Popular Post

zwani.com myspace graphic comments

ইন্টারনেটে কাজ করে কীভাবে অর্থ উপার্জন করবেন?

সরকার ঘোষণা দিয়েছেন ডিজিটাল বাংলাদেশের। প্রতিদিন এবিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। বলা হচ্ছে আগামীতে আউটসোর্সিং হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আয়ের উৎস, কর্মসংস্থানের সবচেয়ে বড় যায়গা। তারপরও যারা একাজ করবেন তারা অনেকেই অন্ধকারে রয়ে গেছেন। অনেকেই জানেন না ঠিক কি করবেন। কি যোগ্যতা প্রয়োজন হবে, কি কি যন্ত্রপাতি প্রয়োজন হবে, কি কাজ করতে হবে, কাজ কোথায় পাওয়া যাবে, কত টাকা পাওয়া যাবে, কিভাবে পাওয়া যাবে।
এই প্রশ্নগুলির উত্তর ধারাবাহিকভাবে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে এখানে।
প্রথমেই একটা কথা পরিষ্কার করে নেয়া ভাল। বলা হচ্ছে কাজ করে অর্থ উপার্জনের বিষয়ে। কাজেই আপনাকে কাজ করতে হবে, সে কাজ শিখতে হবে, অন্যদের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হবে। আপনার দক্ষতা যত বেশি অর্থ উপার্জনের সুযোগ তত বেশি। এটাই একমাত্র পথ। যদি কাজ শিখতে এবং করতে পর্যাপ্ত আগ্রহ এবং চেষ্টা না থাকে তাহলে সময় নষ্ট না করাই ভাল। সহজে অর্থ উপার্জন বলে যা বুঝানো হয় তা আসলে ততটা সহজ না।
আউটসোর্সিং কি?
এটা নিশ্চয়ই প্রথম প্রশ্ন। উত্তর হচ্ছে, বাড়িতে বসে অন্য কারো কাজ করা। উন্নত দেশগুলিতে (আমেরিকা কিংবা ইউরোপ) মজুরী অত্যন্ত বেশি। কোন কোম্পানির যদি নির্দিষ্ট প্রোগ্রাম তৈরি প্রয়োজন হয়, এজন্য যদি একজন প্রোগ্রামার নিয়োগ করতে হয় তাহলে বিপুল পরিমাণ টাকা গুনতে হয়। সেকাজটিই অন্য দেশের প্রোগ্রামার দিয়ে করিয়ে নিলে তুলনামূলক কম টাকায় করানো যায়। বর্তমান ইন্টারনেট ব্যবস্থায় খুব সহজে একাজ করা সম্ভব। আপনি সেই প্রোগ্রামার, ডিজাইনার, এনিমেটর অথবা যাই হোন না কেন ইন্টারনেটের মাধ্যমেই তাদের কাজ করতে পারেন, ঘরের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
বড় কোম্পানির বদলে ছোট কোম্পানি, কিংবা ব্যক্তি পর্যায়ের কাজের কথা যদি এরসাথে যোগ করা হয় তাহলে কাজের পরিধি বেড়ে যায় অনেক। ধরুন কোন ব্যক্তির একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা প্রয়োজন। তিনি নিজে সেকাজ পারেন না। কাজেই তার প্রয়োজন এমন একজন ব্যক্তি যিনি সেকাজ করে দেবেন। আপনি যদি সেকাজে দক্ষ হন তাহলে আপনি আগ্রহী হয়ে সেখানে যোগাযোগ করলেন। সমঝোতা হল, আপনি কাজটি করে দেবেন, বিনিময়ে ১০০ ডলার পাবেন। লাভ দুজনেরই।
কাজেই, আউটসোর্সিং হচ্ছে এক যায়গার কাজ অন্য জায়গা থেকে করিয়ে নেয়া। এই কাজকে সহজ করার জন্য অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাদের ওয়ের সাইটে বিনামূল্যে সদস্য হওয়া যায় (আপনাকে বিনামূল্যে সেবা দিয়েও তারা নিজেরা লাভ করেন। সে হিসেব আলাদা)।
তাদের সদস্য দুধরনের, একপক্ষ কাজ দেন, আরেকপক্ষ কাজ করেন। আপনি যখন কাজ দেবেন তখন কাজের বিবরণ, সময়, অর্থের পরিমাণ ইত্যাদি তাদের জানাবেন। তারা ওয়েবসাইটে সেগুলি রেখে দেবেন যারা কাজ করতে আগ্রহী তাদের জন্য।
আপনি যত কাজ করবেন তখন তাদের ওয়েব সাইটে গিয়ে সেই তালিকা থেকে নিজের পছন্দমত কাজের জন্য আবেদন করবেন (সাধারণত একটি লিংকে ক্লিক করাই যথেষ্ট)। যার কাজ তিনি আবেদনগুলি যাচাই করে যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকে কাজটি দেবেন। আপনি সেই ব্যক্তি হলে কাজটি করে ইন্টারনেটের মাধ্যমেই তার কাছে পাঠিয়ে দেবেন। সাথে সাথে আপনার একাউন্টে কাজের অর্থ জমা হবে।
কাজের ধরন
একটু আগে দুধরনের কাজের কথা বলা হয়েছে, একটি কোম্পানির, অপরটি ছোট কোম্পানি কিংবা ব্যক্তির। আউটসোসিং এর কাজ মূলত এই দুধরনের। বড় কোম্পানির বড় কাজ করার জন্য বড় প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন। সেখানে আপনি একজন নিয়মিত কর্মী হিসেবে নিয়োগ পেতে পারেন। আপনি ফ্রিল্যান্সার নন।
আর ছোট কাজের ক্ষেত্রে আপনি নিজেই সবকিছু। যোগাযোগ, কাজ করা, অর্থ গ্রহণ সবকিছু করতে হবে নিজেকেই। অবশ্য কয়েকজন একসাথে শুরু করে ক্রমাম্বয়ে বড় কোম্পানিতে পরিণত হওয়া অবশ্যই সম্ভব।
ধরে নেয়া হচ্ছে আপনি একা কাজ করতে আগ্রহী। এখানে সে সম্পর্কিত তথ্যই উল্লেখ করা হচ্ছে।
এক কথায়, কম্পিউটার ব্যবহার করে যাকিছু করা সম্ভব সবধরনের কাজই পাওয়া যায় এভাবে। গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব পেজ তৈরি, ওয়েব পেজের কোন সমস্যার সমাধান থেকে শুরু করে এনিমেশন, ভিডিও এডিটিং কিংবা একেবারে সহজ ডাটা এন্ট্রি পর্যন্ত। কাজ যত সহজ অর্থের পরিমাণ তত কম, কাজ যত জটিল অর্থের পরিমাণ তত বেশি এই নিয়মে।
উদাহরণ হিসেবে ওয়েব সাইটের জন্য ফটোশপে একটি ব্যানার বিজ্ঞাপন তৈরি করে যে পরিমাণ অর্থ পাবেন ফ্লাশে এনিমেটেড ব্যানার তৈরি করে পাবেন তার থেকে অনেক বেশি অর্থ। বাস্তব ধারনা পাওয়ার সবচেয়ে ভাল পথ হচ্ছে এধরনের ওয়েবসাইটে গিয়ে কাজের তালিকা দেখা।
কি শিখতে হবে
কোন কাজ আপনার জন্য ভাল সেটা যাচাইয়ের দায়িত্ব আপনার। আগ্রহ কোন বিষয়ে, দক্ষতা কোন বিষয়ে, কতদূর পর্যন্ত যেতে পারবেন এগুলি একমাত্র আপনিই জানতে পারেন। কোন কাজে অর্থ বেশি এটা বিচার করে সেই কাজ করতে না যাওয়াই ভাল। প্রোগ্রামার হওয়ার জন্য একধরনের প্রতিভা প্রয়োজন, এনিমেটর হওয়ার জন্য আরেক ধরনের, ভাল ডিজাইনার হওয়ার জন্য আরেক ধরনের। কোন বিষয়ে আগ্রহী হলে সে বিষয়ে খোজ নিন, কিছুদিন চেষ্টা করুন, তারপর দ্রুতই সিদ্ধান্ত নিন। এবিষয়েও সত্যিকারের সাহায্য পাবেন এধরনের জব সাইটে। প্রতিটি কাজের বর্ণনার সাথে কোন সফটওয়্যারে দক্ষতা থাকতে হবে তা উল্লেখ করা থাকে।
কত আয় করা সম্ভব
বিষয়টি পুরোপুরি আপনার কাজের ধরনের ওপর নির্ভর করে। অধিকাংশ কাজের হিসেব হয় ঘণ্টা হিসেবে। গ্রাফিক ডিজাইনকে উদাহরণ হিসেবে ধরলে মাসে অনায়াসে হাজার ডলার আয় করা সম্ভব। প্রোগ্রামার হলে অনেক বেশি।
কি যন্ত্রপাতি প্রয়োজন
এধরনের কাজে আপনার মুল অস্ত্র হচ্ছে মেধা। কাজেই দামী যন্ত্রপাতি নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন হয় না, বিশেষ কাজ ছাড়া। কাজের ধরন অনুযায়ী অবশ্যই আপনার স্ক্যানার, গ্রাফিক ট্যাবলেট, দামী ক্যামেরা ইত্যাদি প্রয়োজন হতে পারে। এধরনের বিশেষ যন্ত্র বাদ দিলে আপনার প্রয়োজন একটি মোটামুটি পর্যায়ের কম্পিউটার এবং ভাল ইন্টারনেট সংযোগ।
বর্তমানে যথেষ্ট কম টাকায় ভাল কম্পিউটার পাওয়া যায়। আর ইন্টারনেট সংযোগের বিষয়ে বলা আসলে অর্থহীন। তারা আশা করে আপনি টাকা দেবেন, বদলে কি পাবেন তাতে তাদের কিছু যায়-আসে না। আর সরকার কিংবা প্রশাসন যত বক্তৃতা-বিবৃতি দিক না কেন, ব্যবসায়ীদের কাছে সবসময় মাথা নিচু করে থাকে।
মুল কথায় ফেরা যাক। ইন্টারনেটে কাজ করে অর্থ উপার্জনের এটা প্রাথমিক তথ্য। শুরুতেই আপনি যা করতে পারেন তা হচ্ছে এধরনের ওয়েবসাইটে গিয়ে বিস্তারিত পড়া, বোঝার চেষ্টা করা। সত্যি কাজের তথ্য তাদের কাছেই পাওয়া সম্ভব, অকারণে অন্য যায়গায় সময় নষ্ট করবেন না।
odesk, freelancer এধরনের জনপ্রিয় ওয়েব সাইটের উদাহরণ। সার্চ করলে এধরনের আরো বহু সাইট পাবেন। ভালভাবে বোঝার জন্য কয়েকদিন নিয়মিত এই সাইটগুলিতে সময় কাটান।
কাজ শুরু করুন, সেইসাথে আরো জানার চেষ্টা করুন।
দ্রুত ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার ভাল-মন্দ
অনেকেই এখানে আসতে চান কিন্তু কিভাবে আসবেন বা দ্রুত না ধীরে শুরু করবেন এমন নানান ব্যাপার রয়েছে। তাই তাদের জন্য আমার কিছু পরামর্শ দিলাম এখানে। ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টি নিয়ে সাম্প্রতিককালে যত আলোচনা হয়েছে অন্য কোন পদ্ধতি নিয়ে ততটা সম্ভবত হয়নি। অনেকের মতে কর্মসংস্থান, কাজের ধরন সবকিছুই পাল্টে দিচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। এখনও বলা হচ্ছে, এই পদ্ধতি চলছে। অন্যান্য পদ্ধতির মত পুরোপুরি স্বীকৃতি পায়নি। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন থাকতে পারে এখনই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা উচিত কি-না। ফ্রিল্যান্সিং একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। প্রস্তুতির জন্য বহু সময় ব্যয় করতে হয়, নানাধরনের পদ্ধতি শিখতে হয়। অন্যকথায় অভ্যস্ত হতে হয়। যেহেতু এটি চলমান প্রক্রিয়া সেহেতু হ্যাঁ বা না উত্তর যথেষ্ট না। এখনই শুরু করার ভাল এবং মন্দ দুদিকই রয়েছে। জেনে নেয়া যাক ভাল দিকগুলি কি, মন্দ দিকই বা কি।
দ্রুত শুরু করার সুবিধে
* নিজেকে অভিজ্ঞ হিসেবে তৈরি করার জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া যায়। একটি উদাহরণ বিবেচনায় আনতে পারেন, যারা উইন্ডোজের আগেই ডস ব্যবহার করে কম্পিউটারে কাজ শুরু করেছেন তারা কম্পিউটারের ভেতরের অনেক বিষয় সহজে বোঝেন যা বর্তমানের উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরা বোঝেন না। প্রতিদিন ফ্রিল্যান্সিং কাজের পদ্ধতির যে পরিবর্তনগুলি হচ্ছে তারসাথে মিল রেখে নিজেকে এগিয়ে রাখা সম্ভব দ্রুত শুরু করলে।
* নিজের অবস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়া, ব্লগ ইত্যাদির মাধ্যমে পরিচয় তৈরি করতে হলে যত দ্রুত শুরু করা যায় তত এগিয়ে থাকা সম্ভব।
* কাজের পরিধি বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হয় দ্রুত শুরু করলে। হয়ত এই মুহূর্তে যে কাজে আপনি আগ্রহী নন তেমন কোন কাজ আপনার পছন্দের তালিকায় যোগ হতে পারে এবং একসময় সেটাই মুল কাজ হতে পারে।
* বাংলায় বলে পুরনো চাল ভাতে বাড়ে, ইংরেজিতে বলে ওল্ড ইজ গোল্ড। মুল বক্তব্য একটাই, অনেক কোম্পানি অভিজ্ঞতা বিচার করে সুবিধে দেয়। দ্রুত শুরু করে এই সুবিধে পেতে পারেন।
দ্রুত শুরু করার কিছু সমস্যাও রয়েছে। সেগুলি একবার জেনে নেয়া যাক;
* ফ্রিল্যান্সার হতে সময় লাগে একথা ভুলে যাবেন না। আপনি কাজ শুরু করে কয়েক মাসে সফল ফ্রিল্যান্সার হবেন একথা ঠিক না। এমন পরিস্থিতিতে যদি আয়ের জন্য অন্য পেশার ওপর নির্ভর করতে হয় তাহলে সেদিকে ক্ষতি হতে পারে। অন্তত এখন পর্যন্ত যখন ফ্রিল্যান্সিংকে সাধারণ পেশার পর্যায়ে বিবেচনা করা হয় না।
* আপনি সফল নাও হতে পারেন। আবারও, কারণ একই। ফ্রিল্যান্সিং এখনও প্রক্রিয়াধীন। আপনি যে সেবা নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে আগামীতে সেই সেবার প্রয়োজন নাও থাকতে পারে। বর্তমানে মানুষকে করতে হয় এমন অনেক কাজ হয়ত আগামীতে প্রযুক্তির মাধ্যমে করা হবে।
* আপনার খরচ বাড়তে পারে। যদি স্মার্টফোনের সফটওয়্যার তৈরিকে কাজ হিসেবে বিবেচনা করেন, আপনাকে নানা ধরনের ডিভাইস কিনতে হবে। অন্যান্য কাজের জন্য বিশেষ কিছু কেনা প্রয়োজন হতে পারে।
* প্রযুক্তির দীর্ঘ স্থায়িত্ব না থাকাও একটি মাথাব্যথার কারণ হিসেবে দেখা দিতে পারে। যে সফটওয়্যার আপনি ব্যবহার করছেন আগামীতে তার বদলে অন্যকিছু ব্যবহৃত হতে পারে। বিশেষ করে অপারেটিং সিস্টেমে যখন ঘনঘন পরিবর্তন হচ্ছে, তারসাথে মিল রেখে নতুন ডিভাইস তৈরি হচ্ছে সেখানে এই বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন বললে বেশি বলা হয় না। ট্যাবলেট, এন্ড্রয়েড ইত্যাদি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে। স্থায়ী চেহারা না নেয়া পর্যন্ত সকলের পক্ষে সফল হওয়া সম্ভব নাও হতে পারে।
আপনি দ্রুত শুরু করবেন কি-না এ প্রশ্ন যদি করেন তাহলে উত্তর হতে পারে, সবকিছু বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়াই মঙ্গল। এমন কোন বিষয় বেছে নিন যা স্থায়ী, আপনার আওতার মধ্যে এবং বর্তমান অন্য কাজের ক্ষতি না করেই করা যায়।
Tag : ,

উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন শুরু যেখানে...

ফ্রীল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং জগতে পদচারনা খুব বেশি দিনের নয় কিন্তু ফ্রীল্যান্সিং থেকেই ইতোমধ্যে খুঁজে পেয়েছি অনেক কিছু। জীবনকে বিশ্বাস করতে শিখেছি। শিখেছি কিভাবে হাহাকারময় চাকুরীর বাঁজারে নিজেকে প্রমাণ করে নিজের পায়ে দাঁড়ানো যায়। স্বপ্ন দেখতে শিখেছি এবং পেয়েছি পরিশ্রম দিয়েই নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার নির্ভরযোগ্য প্লাটফর্ম।
পড়াশোনা করছি কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এ শেষ বর্ষে। ফ্রীল্যান্সিং এর পাশাপাশি নিজেদের উদ্যোগে গড়ে তোলা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। সাথে আছে আরো কিছু স্বপ্নবান সঙ্গী। আমার ফ্রীল্যান্সার থেকে উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার ব্যক্তিগত কিছু কথা, কিছু স্বপ্নের কথা শেয়ার করার জন্যই আজকের এই লেখা।
শুরুর কথা
কম্পিউটার বিজ্ঞানের ছাত্র হওয়ায় কিছু দক্ষতা হয়ত ছিল কিন্তু ছিলোনা তেমন আত্মবিশ্বাস। কারন চার বছরের গ্রাজুয়েশন কোর্সের চার বছর শেষ হলেও নিজেকে আবিষ্কার করলাম তৃতীয় বর্ষের শুরুতে। না দোষ কিন্তু আমার না! দোষ হয়ত শিক্ষ্যাব্যবস্থার। যেকারনে চিন্তা শুরু হয়েছিল কিছু একটা করার কারন চাকুরীর বাজারও তেমন আশাব্যাঞ্জক বলে কারো মুখে শুনিনি। তাছাড়া পড়াশোনা শেষ করার আগে ভাল চাকুরি শুরুর কথা স্বপ্নেও ভাবা যায়না। তারপরে আবার “অভিজ্ঞতা” নামক প্রহসন।
এসব কারনেই “কিছু একটা” করার চিন্তায় যখন ঘুরছিলাম তখন দেখতাম অনেকেই ফ্রীল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং করে নিজের খরচ নিজে বহন করছে। ২০১১ এর শুরুর দিকে নিজে নিজেই ব্যাপারটা নিয়ে একটু ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করে মার্কেটপ্লেসগুলো সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সংগ্রহ করলাম। যেমন মার্কেটপ্লেসগুলো কি, এখানে কীভাবে কাজ করা হয়, কীভাবে টাকা পাওয়া যায় ইত্যাদি।
এরপর প্রাথমিক ধারণা অর্জনের পর শুরু ওডেস্ক এবং ফ্রীল্যান্সারে অ্যাকাউন্ট করে ফেললাম। নিজের প্রয়োজনীয় তথ্য এবং কয়েকটা সাধারণ টেস্ট বা পরীক্ষা দিয়ে প্রোফাইলটাও তৈরি করে ফেলি।
নিজেকে তৈরি করা
প্রোফাইল তৈরির পর মার্কেটপ্লেসগুলোতে জমা হওয়া কাজগুলো দেখতে থাকলাম। দেখা গেল সাধারণ কাজগুলো আমি পারি কিন্তু তাতে টাকার পরিমাণ কম। আর একটু কঠিন কাজগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকলেও কাজ শুরু করার মত তৈরি ছিলাম না। তাই নিজেকে আরেকটু ঝালাই করে নেয়া শুরু করলাম। নেটওয়ার্কিং এর কোর্স (CCNA) করা ছিল কিন্তু এই বিষয়ে পোস্ট হওয়া কাজগুলো বুঝতে বেশ সমস্যা হচ্ছিল তাই ওয়েব ডেভলপমেন্ট নিয়ে কাজ শুরু করলাম। এইচটিএমএল, সিএসএস জাভাস্ক্রিপ্ট এবং পিএইচপি ঝালাই করে নিলাম। উল্লেখ্য এই ল্যাঙ্গুয়েজ ছাড়াও আমার আরো কিছু ল্যাঙ্গুয়েজ জানা ছিল কিন্তু পেশাদার কাজ কখনো করা হয়ে ওঠেনি তাই শুরুতে বেশ বিব্রত ছিলাম। কাজ শুরু করার পর দেখলাম অনেক কিছুই পারিনা!! হাল ছাড়িনি, হাল ছাড়তে হয়নি কারন আমার সাথে গুগল ছিল! যেকোন সমস্যায় পড়লেই গুগলে সার্চ দিতাম এবং সমাধানও পেয়ে যেতাম। যেকোন কাজের জন্য আসলে ইন্টারনেটে প্রচুর রিসোর্স রয়েছে। শুধু তাঁদের খুঁজে বের করে ব্যবহার করতে জানতে পারলেই হয়।
প্রথম কাজ ওডেস্কে
আমি যখন বিড করা শুরু করি এবং যখন শুরু করি তখন আমার জব কোটা ছিল ১৫। আমি খুব সাবধানে আমার পক্ষ্যে যে কাজগুলো সম্পূর্ন ভাবে করা সম্ভব এবং করতে পারব সেরকম কিছু জবে বিড করি। সম্ভবত একদিনে ৮টা জবে বিড করেছিলাম। হয়ত আমার ভাগ্য ভাল কিংবা আমি সঠিক পদ্ধতিতে বিড করেছিলাম অথবা দুটোর কারনেই সেদিনই রাত ৩টার দিকে একটা ইন্টারভিউ এর অফার পাই। বায়ারের সাথে স্কাইপে কথা হয় এবং কাজটি আমাকে দিয়ে দেয়। কাজ পেয়ে খুশি হওয়ার বদলে আমার উত্তেজনা বেড়ে যায় এবং ঠিকঠাক শেষ করতে পারব কিনা এই ভয়ে সারারাত না ঘুমিয়ে কাজ করতে থাকি এবং উত্তেজনাবশত সকালের মধ্যেই একটা ওয়েবসাইট দাঁড় করিয়ে ফেলি! যদিও আমার কাজ শেষ করার সময়সীমা ছিল ৭ দিন কিন্তু পরেরদিনই আমার যতটুকু করার কথা ততটুকু করে দিই। বায়ার কাজে সন্তুষ্ট হয় এবং সাথে সাথেই ডলার পাঠিয়ে দেয়। তখনের অনুভূতিটা ছিল আসলেই অন্যরকম!! উল্লেখ্য কাজটি ছিল একটি ওয়েবসাইট তৈরির কাজ যার বাজেট ছিল ৫০ ডলার এবং আমি বিড করেছিলাম ৩০ ডলারে। কিন্তু বায়ার আমাকে পরেরদিন দিয়েছিল ১০০ ডলার!
কাজ এবং কাজ
প্রথমে ক্লায়েন্টের প্রজেক্টটি শেষ করার পর আমি দ্বিতীয় কাজের জন্য কয়েকমাস বিড করার সুযোগ পাইনি! কারন ওই ক্লায়েন্ট পরেরদিন আমাকে না বলেই নতুন একটা প্রজেক্টে হায়ার করে এবং সেটা ছিল ঘন্টাপ্রতি কাজ। শুরুতে আমি প্রফাইলে আওয়ারলি রেট পাঁচ দিয়ে রেখেছিলাম এবং সে ওই রেটেই আমাকে কাজ করার ইনভাইটেশন পাঠায়। আমিও স্বানন্দে গ্রহন করি এবং বেশ কয়েকটা প্রজেক্ট সফলভাবেই শেষ করি। এরপর আর কাজ খোঁজার জন্য আমাকে সময় খরচ করতে হয়নি বরং নিজের পড়াশোনা এবং অন্যান্য কাজের ফাঁকে প্রজেক্টের কাজ করতে থাকি...
উল্লেখ্য তার সাথে আমার কমিউনিকেশন খুব ভাল ছিল এবং লোকটা বেশ রসিকও! আমার কাছে মনে হয় ক্লায়েন্টদের সাথে ঠিকঠাক যোগাযোগ এবং ভাল সম্পর্ক তৈরি করতে পারলে নতুন কাজ পাওয়ার জন্য তেমন কিছু করতে হয়না। আমার প্রথম ক্লায়েন্টের সাথেই আমি অনেক ভাল একটা সম্পর্ক তৈরি করি এবং এখনো তার যেকোন কাজের জন্যই আমার ডাক পড়ে!
নিজেকে আরো বিস্তৃত করা
আসলে মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়া এবং করার পর আমার আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে যায়। আমি বিশ্বাস করতে শিখি নিজের ভিতরে কিছু থাকলে আমি যেকোন জায়গায় বসে অন্তত মার্কেটপ্লেস থেকে আয় করতে পারব। তাই আরো নতুন নতুন জিনিস শেখার জন্য সময় দিতে থাকি। টেকনোলজির যেকোন ব্যাপারে আমার আগ্রহ আগে থেকেই ছিল কিন্তু এটা থেকে আয় করার পর আমার আগ্রহ আরো বহুগুণে বেড়ে যায়। তখন আর নতুন কিছু শেখার জন্য সময় পার করলেও খুব বেশি খারাপ লাগেনা বরং নিজের মধ্যে নতুন নতুন দক্ষতা যোগ করতে পেরে আরো আত্মবিশ্বাসী হই। শিখে নিতে থাকি আরো কিছু প্রয়োজনীয় ল্যাঙ্গুয়েজ ও টেকনলজি।
কাজ করা একসাথে...
এরই মাঝে পরিচয় হয় রাহাত হোসেন নামের আরেক স্বপ্নবান যুবকের সাথে। আমরা কিছু আইডিয়া নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম mrLab নামে একটি ভার্চুয়াল টীমের মাধ্যমে। মার্কেটপ্লেস ছাড়াও আরো কিছু নতুন কাজ করার সুযোগ পাই। তারপর কাজ করতে থাকি একসাথে এবং সাথে জন্ম নিতে থাকে উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার স্বপ্ন... ...
উদ্যোক্তা হয়ে ওঠা
আমরা কয়েকজন একসাথে বিভিন্ন কাজ করছিলাম ঠিকই কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু সমস্যায় পড়ে যেতে হত। প্রয়োজন হত একসাথে বসে কিছু সমস্যা সমাধান করার। দুইজনের বাসার দূরত্ব ছিল অনেক তাই মাঝে মাঝে ধানমন্ডি লেক, স্টার কাবাব বা টিএসসি’র মাঠ হয়ে উঠতো আমাদের অফিস! আমরা অনুভব করলাম আমাদের (সাথে আরো কয়েকজন ছিল) একসাথে বসে কাজ করার মত একটা জায়গা দরকার। একে অপরকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য দরকার মাথার উপর একটি অভিন্ন সিলিং!
কিন্তু বললেই তো আর হয়ে যায়না! একটা অফিস নেয়া এবং সাথে আরো কিছু অপরিহার্য প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়া, অফিসের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা ইত্যাদি বেশ একটা খরচান্ত ব্যাপার যা বহন করার ক্ষমতা আমাদের ছিলোনা। যেহেতু আমাদের কিছু নেই তাই কোন ব্যাংকও আমাদের পাশে দাঁড়াবে না।
কিন্তু তারুন্যের কাছে হার মানতে বাধ্য হল সব বাধাবিপত্তি! আমরা শুরু করার মত প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে গেলাম। পেয়ে গেলাম স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় রসদ।
শুরু হল মাস্টারপ্ল্যান কারন আমরা শুরু করেই মুখ থুবড়ে পড়তে চাইনি। যদিও বেশ কিছু বিদেশী ক্লায়েন্ট আমাদের ভরসা ছিল তথাপি আমরা দেশেও দেশের হয়ে কিছু করার চিন্তা করলাম। শুধু মার্কেটপ্লেসের কাজ করে টাকা উপার্জন করতে চাইনি, চেয়েছি বৃত্তের বাইরে আরো কিছু একটা করতে।
স্বপ্ন বাস্তবায়নের আগে বেড়ে ওঠা বেয়াড়া স্বপ্নগুলোকে একটা নির্দিষ্ট ফ্রেমে নিয়ে আসা হল। সাথে যোগ হল কিছু নতুন মিশন... নতুন ভিশন...
আমরা যখন উদ্যোক্তা
অতঃপর ২০১২ এর নভেম্বরে নিজেদের একটা স্থান খুঁজে পেলাম। একটা নতুন অফিস নিয়ে নিলাম এবং জন্ম নিল ZOVOXZ নামের একটি সম্ভাবনা! নিজেদের মত করে অফিস সাজাতে লাগলাম। আমরা নিজেরাই মাঝে মাঝে আর্কিটেক্ট আবার নিজেরাই ঘাম ঝরানো শ্রমিক। গ্রিন রোডের এ.কে কমপ্লেক্সের নবম তলায় তৈরি হল আমাদের স্বপ্ন! তৈরি হল ZOVOXZ LTD. নামের একটি কোম্পানি যার প্রত্যেকটি সদস্যের বয়স ২৫ এর কম কিন্তু চোখেমুখে স্বপ্নের কোন অভাব নেই, সারাদিন পরিশ্রমের পরেও শরীরে নেই কোন ক্লান্তি! কারন আমরা আমাদের কাজকে ভালবাসতে শিখেছিলাম!
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১২! কিছু কাছের মানুষের ভালবাসা ও শুভকামনায় শুরু হল আমাদের পথচলা...
আমরা উদ্যোগ নিয়েছি নিজেদের স্বাবলম্বী করার সাথে আরো অনেককেই স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ করে দেয়ার।
আমাদের নিজস্ব কিছু আইডিয়া আছে যেগুলো বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে আমরা একসাথে এক ছাদের নিচে কাজ করে যাচ্ছি। মূলত মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ নিয়ে সেগুলো নিজেরা করে থাকি এবং দেশীয় কাজগুলোও করি। কাজ করতে করতে আমাদের অর্জিত জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা ছড়িয়ে দেয়ার জন্য প্রতি শুক্রবার আমাদের অফিসে ফ্রী কনসাল্টেশনের ব্যবস্থা রেখেছি যেন নতুনদের দিক-নির্দেশনা দিতে পারি। অনেকেই ইতোমধ্যে আমাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে কাজ শুরু করছেন। তাছাড়া প্রতিমাসে ক্যারিয়ার সহায়ক দুটি বই প্রকাশ করে বিনামূল্যে বিতরনের উদ্যোগ গ্রহন করেছি। এ ছাড়াও নতুনদের মার্কেটপ্লেসে কাজ করার জন্য উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য সীমিত আসনের এবং সাধ্যের মধ্যে কিছু প্রফেশনাল ট্রেনিং এর ব্যবস্থা আছে। আমরা আরো কিছু ভবিষ্যৎ উদ্যোগ গ্রহন করেছি যার লক্ষ্যে আমরা অবিরাম কাজ করে যাচ্ছি...
শেষকথা
শুরু করেছিলাম “আমি” বা আমাকে এবং আমার ফ্রীল্যান্সিং দিয়ে কিন্তু একা শেষ করতে পারলাম না! যোগ হয়ে গেল আরো কিছু স্বপ্ন এবং একটি সম্পূর্ন নতুন “উদ্যোগ”!! মানে আমরা এখন একেকজন গর্বিত উদ্যোক্তা কিন্তু শুরুটা হয়েছিল ফ্রীল্যান্সিং দিয়ে । ফ্রীল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে আমরা আত্মবিশ্বাস এবং জয়ের পুঁজি পেয়েছিলাম এবং নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলাম। আমরা আমাদের প্রাথমিক স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। নিজেদের স্বাবলম্বী করতে পেরেছি। অপেক্ষা করছি সবাইকে নিয়ে স্বাবলম্বী হয়ে সমৃদ্ধ জন্মভূমি গড়ে তোলার
Tag : ,

ব্লগিং বদলে দিক আপনার ভাগ্য........................

অনলাইন ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে ব্লগিং হচ্ছে দ্রুত প্রসারমান ও সম্ভাবনাময় একটি ক্ষেত্র। অনলাইনে আয় করার অন্যতম সহজ ও সম্ভাবনাময় উপায় হল লেখালেখি, যেটিকে আমরা আর্টিকেল রাইটিং বা ব্লগিং হিসেবে জানি। যারা ইংরেজিতে ভালো তারা ব্লগিং ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে পারেন। যারা ইংরেজিতে দক্ষ তারা এই ধরনের কাজ করে মাসে বেশ ভালো আয় করতে পারেন। বাংলাদেশে অনেক প্রফেশনাল ব্লগার রয়েছেন যারা নিজের ভাষাগত দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে এ ধরনের কাজগুলো সফলতার সাথে করছেন। এরা একে মূল পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
what-a-blog-can-do.jpg
বাংলাদেশে ব্লগিংয়ের সম্ভাবনা অফুরন্ত!
ব্লগিং আমাদের দেশে নতুন মনে হলেও উন্নত বিশ্বে এটি বিরাট আয়ের জন্য অনেক জনপ্রিয় মাধ্যম। যেহেতু বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ আর এখানকার শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা অনেক, তাই ঐ সব শিক্ষিত বেকারদের যদি ব্লগিং সম্পর্কে ভাল ধারণা দেওয়া যায় তাহলে তারা খুব সহজেই নিজেদের স্বাবলম্বী হিসাবে গড়ে তুলতে পারেন।
ইচ্ছাশক্তি বড় শক্তি!
ইচ্ছা থাকলে আপনি ব্লগিংয়ের কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। প্রয়োজন শুধু একটি কম্পিউটার, ইন্টারনেট সংযোগ ও ব্লগিং সম্পর্কিত বিস্তারিত ধারণা। আপনা ক্যারিয়ার হিসেবে ব্লগিং হতে পারে আদর্শ পেশা। কেননা, অন্যান্য চাকরিতে আপনাকে দিনে কমপক্ষে ৮ ঘন্টা বা তারো বেশি পরিশ্রম করতে হয়। তার বিনিময়ে যে পরিমাণ পারিশ্রমিক আপনি পান সেই তুলনায় ব্লগিংয়ে মাত্র ৫ থেকে ৬ ঘন্টা সময় দিলেই তারচেয়ে অনেক বেশি পরিমানে আয় করা সম্ভব। উদাহরণ হিসেবে আমরা অনেকের নাম বলতে পারি যারা ব্লগিংয়ে পেশা হিসাবে নিয়ে আজ প্রতিষ্ঠিত। যা কিনা যেকোন চাকরির চেয়ে অনেক ভাল। আর তা একটু মেধা খাটিয়ে কাজ করতে পারলে সম্ভব।
skill-up.JPG
যোগ্যতা ছাড়াই কি ব্লগিং সম্ভব?
অনলাইনে আয় করার জন্য শুধু যে দক্ষতা থাকতে তা নয় আপনার অবশ্যই যোগ্যতাও থাকতে হবে। অনলাইনে আয় করার জন্য আপনার খুব বেশি যোগ্যতার প্রয়োজন হবে না। আর ব্লগিং অর্থাৎ ইংরেজি লেখালেখি শুরু করার আগে প্রথমে কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে হবে। আর তাহলঃ
১। আপনার আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে আত্নবিশ্বাস খুবই জরুরি কারণ এখানে আপনাকে আপনার নিজের দক্ষতা এবং যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে আয় করতে হবে সেই ক্ষেত্রে আপনাকে নিজের উপর অবশ্যই বিশ্বাস আনতে হবে যে এই কাজের জন্য আপনিই উপযোগী কি না? কারণ বিশ্বাস ছাড়া আপনার এখানে কাজ নির্বাচন এবং তা সম্পূর্ণ করার ক্ষেত্রে দিদ্ধাগ্রস্ত হবেন। তাই আপনাকে নিজের উপর বিশ্বাস আনতে হবে। তা না হলে আপনি কোন কাজই সফলভাবে করতে পারবেন না সকল কাজ করার ক্ষেত্রেই আপনার মনে ভীতস্ততা কাজ করবে।
২। আপনাকে অবশ্যই ইংরেজিতে ভালো হতে হবে। ইংরেজি বানান এবং ব্যাকরণ সঠিকভাবে জানা থাকতে হবে, বিশেষ করে কমপ্লেক্স ও কম্পাউন্ড বাক্য ঠিকভাবে লেখার যোগ্যতা থাকতে হবে। ছোট, মাঝারি ও লম্বা বাক্য লিখতে পারার দক্ষতা থাকতে হবে। শুদ্ধ বানানের প্রতি লক্ষ রাখতে হবে। এক্ষেত্রে এমএস ওয়ার্ডের স্পেল চেকারের ব্যবহার করতে পারেন। আমেরিকান স্পেলিং শুদ্ধভাবে জানতে হবে। ছোট, মাঝারি ও লম্বা বাক্য লিখতে হবে। তাই গ্রামার সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। এক্ষেত্রে ব্রিটিশ ও আমেরিকান গ্রামার সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা ভালো।
৩। পরিশ্রম করার মানসিকতা থাকতে হবে। কারণ পরিশ্রমই ব্লগিংয়ের অন্যতম বিষয়।
৪। যে বিষয়ে আপনি ব্লগিং করবেন সে বিষয়ে আপনার সম্যক জ্ঞান থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ধারণা না থাকলে সে বিষয়ে কিছুই লিখতে পারবেন না।
৫। ব্লগ পোস্ট আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করার দক্ষতা অর্জন করতে হবে। ব্লগিংয়ে পোস্টের মধ্যে ভালোভাবে আলোচিত বিষয়কে তুলে ধরতে পারার দক্ষতা থাকতে হবে এবং আপনার স্বয়তা তুলে ধরতে হবে।
৬। এখানে পারিশ্রমিক হিসেবে বিভিন্ন এড মিডিয়া বা গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে প্রদর্শিত এড থেকে আয় মাসে ১০০ ডলার থেকে ১০০০ ডলার বা তারও বেশি হতে পারে (এটি ভিজিটরের এড ক্লিকের উপর নির্ভরশীল)। এক্ষেত্রে আয় কম হলে দমে যেতে পারবেন না।
৭। কোনো কোনো মাসে হয়তো প্রতিদিন ১০০-২০০ জন বা আরও বেশি ভিসিটর পেতে পারেন, আবার কখনো হয়তো দিনে ২০-৫০ জন ভিসিটরও পেতে পারেন। এক্ষেত্রেও দমে যেতে পারবেন না।
৮। আপনি ধৈর্যহারা হতে পারবেন না। কারণ ব্লগিংয়ে ধৈর্যধারণ ছাড়া সাফল্য আসে না। তাই আপনাকে লেগেই থাকতে হবে।
আপনি যদি মনে করেন উপরের সবগুলো শর্তই আপনার মধ্যে আছে তাহলেই কেবল আপনি অনলাইনে আয় করার জন্য সমর্থ হবেন।
writting.jpg
কতটুকু শ্রম দিতে হবে?
আপনাকে ধরে নিতে হবে আপনি এক দিনে মানসম্পন্ন কতগুলো পোস্ট করতে পারবেন। কিভাবে সুন্দরভাবে গুছিয়ে ব্লগপোস্ট লিখতে পারবেন। ক্লান্তি কতখানি সামাল দিতে পারবেন, দিনে কত ঘণ্টা ব্লগিংয়ের পিছনে ব্যয় করতে পারবেন ইত্যাদি নির্ভর করছে আপনি কতখানি ভিজিটর থেকে সাড়া পাচ্ছেন এবং নিজে কতক্ষণ করতে পারছেন তার ওপর। আর শ্রম কতটুকু দিতে হতে পারে তা আগের বর্ণনা থেকে নিশ্চয় বুঝে ফেলেছেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ভালো দক্ষতাসম্পন্ন হতে হবে। আপনি ব্লগপোস্ট লেখার ক্ষেত্রে কোনোভাবেই অন্যের লেখা কপি করতে পারবেন না। ব্লগপোস্টের স্বকীয়তার মাধ্যমে আপনাকে তা তুলে ধরতে হবে।
money.jpg
কি পরিমাণ আয় করা সম্ভব?
একজন ব্লগার এর আয় নির্ভর করে তার ব্লগিং স্টাইল ও দক্ষতার উপর। যে যত বেশি দক্ষ তার আয়ও তত বেশি। তবে সাধারণত একজন দক্ষ ব্লগার অনায়াসেই মাসে ২০/৩০ হাজার থেকে শুরু করে লক্ষাধিক টাকাও আয় করতে পারেন। তাছাড়া আরও যেসব বিষয়ের উপর আয় নির্ভর করেঃ
১। আপনার ব্লগে কি পরিমাণ ভিসিটর বা ট্রাফিক পাচ্ছেন।
২। আপনার ব্লগে প্রদর্শিত এডে ক্লিক কেমন পড়ছে (ভিসিটরের উপর নির্ভরশীল) এবং
৩। আপনি প্রতিদিন ব্লগিংয়ে কত ঘণ্টা সময় দিতে পারছেন।
তবে এ কথা মাথায় রাখতে হবে যে, সব মাসে একইভাবে আয় হবে না। কতটুকু পারবেন এবং কতখানি কাজ করলে আপনার ব্লগিংয়ের কোয়ালিটি ধরে রাখতে পারবেন, কতটুকু লাভ করবেন- সব নির্ভর করে আপনার ওপর।
blog-boss.jpg
কেমন প্রস্তুতি নিতে হবে?
APA Style, MLA, Chicago Style Proof Reading জানাটা জরুরি। APA হলো American Psychological Association এবং MLA হলো Modern Languages Association। এছাড়া ব্রিটিশ ইংরেজির জন্য অক্সফোর্ড স্টাইলের Proof Reading ও Editing জানলেও ভালো কাজ দেবে। ইংরেজি বিষয়ে অনলাইন থেকে অনেক সাহায্য পাবেন।
অনলাইন ইংরেজি শেখার কিছু লার্নিং টুলঃ
livemocha.JPG
১। লাইভমোচাঃ এটি হচ্ছে ভাষা শেখার কাজে ব্যবহৃত একটি সোশ্যাল নেটওয়ার্ক। এর সাহায্যে আপনি যেমন আপনার মাতৃভাষা শেখার কাজে কেউ একজনকে সাহায্য করতে পারেন তেমনি সেও পারে আপনি শেখার চেষ্টা করছেন এমন একটি বিদেশী ভাষা শিক্ষায় আপনাকে সাহায্য করতে। লিংকঃ http://www.livemocha.com/
verbalearn.JPG
২। ভারবালার্নঃ এই ওয়েব সাইটের সাহায্যে অনলাইন স্টাডি সেশনের মাধ্যমে আপনি আপনার ইংরেজি ভাষা দক্ষতাকে বৃদ্ধি করতে পারবেন। আপনার সঙ্গে সঙ্গে এ টুলটি নিজেও শিখতে থাকবে, সে সঙ্গে আপনার অগ্রগতি এবং দুর্বলতার একটি রেকর্ডও সংরক্ষণ করতে থাকবে। অফলাইনে নিজের স্টাডি লিস্ট পর্যালোচনা করার মাধ্যমে বিভিন্ন শব্দের মানে আরো ভালভাবে মনে রাখতে পারবেন, সে সঙ্গে এগুলোর উচ্চারণ কি হবে তাও অনলাইনে জেনে নিতে পারবেন। লিংকঃ http://www.verbalearn.com/
এছাড়াও বিভিন্ন বইয়ের লাইব্রেরিতেও এসব বিষয়ে বই পাবেন আশা করি। তবে নিয়মগুলো বেশ ভালোভাবে রপ্ত করতে হবে।
কি লিখবেন?
ব্লগিংয়ের বিষয়টা নির্ভর করে আপনার দক্ষতা, রুচি, সহযোগিতা সর্বোপরি যে সাইট বা বিষয়ের জন্য লেখা হচ্ছে সেটার চাহিদার ওপর। যে কোন বিষয়ে একটি ব্লগ তৈরি করে আয় করা যায়। ব্লগে ভিজিটর যত বেশি হবে আয়ের সম্ভাবনা তত বেশি। এজন্য শুরুতে একটি বিষয় বেছে নেয়া প্রয়োজন।
ইন্টারনেটে খোঁজ করে ব্লগের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে ধারণা পেতে পারেন। বস্তুত বিষয়ের কোন সীমাবদ্ধতা নেই। তবে বিষয়বস্তু যা-ই হোক না কেন একজন ব্লগারকে কোনো নির্দিষ্ট টপিক নিয়ে ভালভাবে ধারণা অর্জন করে তৈরি করতে হয়। উন্নত বিশ্বে একজন ব্লগারকে একজন সাংবাদিক আবার গবেষকও অভিহিত করা হয়। আপনার ব্লগিংয়ের বিষয়বস্তু উপর ভিত্তি করে ঠিক করে নিতে হয় আপনার দিক ঠিক করে নিতে হবে।
কিভাবে লিখবেন?
একটি ব্লগপোস্ট অবশ্যই প্রাঞ্জল ও গুরত্বপূর্ণ তথ্য দ্বারা সমৃদ্ধ হতে হবে। ব্লগার হিসেবে আপনাকে মনে রাখতে হবে, যারা ব্লগে আপনার ব্লগপোস্ট পড়বেন, তিনি মিনিট প্রতি বা ঘণ্টা প্রতি নির্দিষ্ট পয়সা খরচ করে পড়বেন। সুতরাং তিনি চাইবেন সবচেয়ে কম সময়ে প্রয়োজনীয় জিনিস পড়তে। তাই তথ্য নির্ভর, সংক্ষিপ্ত বিষয়ভিত্তিক লেখাই আপনাকে লিখতে হবে। এতে ব্লগার হিসেবে আপনার গ্রহণযোগ্যতা যেমন বাড়বে তেমনি উপার্জনের পথও প্রশস্ত হবে।
মনে রাখতে হবে ব্লগপোস্ট যেন যুক্তিযুক্ত হয়। ব্লগপোস্ট লেখার আগে কি লিখছেন, কেন লিখছেন তা জানতে হবে। নিজের কোনো শখ, দৈনন্দিন জীবন, ব্যক্তিগত কোনো অভিজ্ঞতা বিষয়ে লিখতে হলে ব্লগপোস্ট লেখার শুরুটা হবে একটু অন্যরকম। কারণ ভিন্নতা পাঠককে নাড়া দেয়। এ ক্ষেত্রে ঘটনার খুটিনাটি বিষয়ে না গিয়ে বরং যা ঘটেছিল ঠিক তাই বর্ণনা করুন। অতিরিক্ত শব্দ ব্যবহার না করে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং সহজ শব্দ বেছে নিন। ব্লগপোস্ট লেখা শেষে বারবার পড়ুন। ভালো ব্লগপোস্ট পড়া, ই-মেইল, চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে ব্লগারদের সঙ্গে ভাবনা চিন্তার আদান প্রদান করুন। ব্লগপোস্টের মধ্যে রহস্য রাখার চেষ্টা করুন। পাঠকরা যাতে চমক পায় সে রকম কিছু রাখুন।
helpful-tips.jpg
ভালো ব্লগার হওয়ার জন্য যেসব বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন!
প্রথমে ইন্টারনেট ব্যবহারের খুটিনাটি সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। তারপর তীক্ষ্ণ একাগ্রতার সাথে টপিকের বিষয়বস্তু ভালভাবে জানার চেষ্টা করতে হবে। নিজের সৃজনশীলতায় তথ্যকে সম্পূর্ণ করে লেখার যোগ্যতা থাকতে হবে। নিজস্ব এবং সংগৃহীত তথ্যকে সাজিয়ে পাঠকের সামনে নতুনভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করতে হবে। যাতে পাঠক নতুন কিছু লাভ করতে পারে।
ব্লগার হিসেবে আপনি একেবারে নতুন হলেও সমস্যা নেই। তবে সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা থাকলে ভালো হয়। লেখার ইচ্ছা, ভালো রচনাশৈলী ও সময়োপযোগী বিষয়বস্তু নির্বাচনের সামর্থ্য থাকলে এ পেশায় আপনি সফলতা লাভ করতে পারবেন।
কিভাবে আপনি ব্লগিংয়ের ধারণা পাবেন?
১। কোন বিষয় একাগ্রতার সাথে জানার মাধ্যমেঃ ব্লগিং করতে হলে যে জিনিসটি আপনাকে সবচেয়ে বেশি করতে হবে, সেটি হলো পড়া। যেকোনো বিষয়ে ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে পড়া হল সবচেয়ে জরুরী বিষয়। নিয়মিত সংশ্লিষ্ঠ বিষয়ে বিভিন্ন ব্লগ পড়লে বা ইন্টারনেটে ঘাটাঘাটি করলে আপনি কি নিয়ে লিখবেন সেটি সম্পর্কে অনেক ব্লগিং আইডিয়া পাবেন। আপনি যেটা পড়েছেন সেটি নিয়ে লিখবেন না। ঠিক তারই পাশাপাশি যেটি পাঠক এখনো জানেনি সেটি নিয়ে নতুন ধারণা করতে পারবেন। আপনি শুধু অন্যান্য ব্লগ পড়বেন না একটি সাধারণ বই পড়লেও ব্লগিং আইডিয়া পাওয়ার যায়।
আপনি বিভিন্ন ম্যাগাজিন, কনফারেন্স পেপার, বিশিষ্ঠজনদের বায়োগ্রাফি অথবা তাদের সাফল্যের কাহিনী পড়েও অনেক আইডিয়া পেতে পারেন। এখন সে বিষয়টি নির্দিষ্ঠ করে আপনাকে মার্কেট রিসার্চ করতে হবে এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আপনার ব্লগিং আইডিয়া পেতে অন্য ব্লগাররা কি বলছে বা লিখছে সেটি আপনাকে অনেক সহায়তা করবে। আপনার যদি ভালোমানের ব্লগার হতে চান তাহলে এ কাজটি আপনাকে করতেই হবে। ইন্টারনেট মার্কেটিং, ব্লগিং বা মানি মেকিং অনলাইন বিষয়ে প্রোব্লগার (http://www.problogger.net/) এর মতো অনেক ভালো ভালো ব্লগ আছে। এসব ব্লগের পোস্ট পড়ে আপনি অনেক আইডিয়া পাবেন।
২। অনলাইন ফোরামে অন্যের টপিক সমস্যার সমাধান দিনঃ ফোরাম হলো এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে মানুষ কি জানতে চায় বা অনুসন্ধান করছে সেটি জানার অন্যতম মাধ্যম। ফোরাম হিসেবে আপনি ইয়াহু অ্যান্সার বা উইকি অ্যান্সারসহ হাজার হাজার ফোরাম পাবেন যেখান থেকে আপনি আপনার লেখার আইডিয়া পাবেন। ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আয়ের জন্য এ বিষয়ের বিভিন্ন ব্লগ বা বিভিন্ন ফোরামে ঢুকে বিভিন্নজনের টপিক পড়ুন। আলোচনা পড়ুন। অনেক দিকনির্দেশনা পাবেন।
৩। আর্টিকেল ডিরেক্টরি নিয়মিত ভিজিট করার মাধ্যমেঃ বিভিন্ন আর্টিকেল ডিরেক্টরি থেকে আপনি কি বিষয়ে লিখতে পারেন সে বিষয়ে সম্পর্কে সম্যক ধারণা সৃষ্টি করতে পারে। আপনি আপনার ব্লগে বিভিন্ন আর্টিকেল ডিরেক্টরির একই বিষয় নিয়ে আরো গভীরভাবে ও ভালোভাবে তা প্রকাশ করে সে বিষয়ে সবাইকে জানাতে পারেন।
৫। গুগল অ্যাডওয়ার্ড টুল ব্যবহারের মাধ্যমেঃ লোকজন সার্চ ইঞ্জিনে কি অনুসন্ধান করছে সে শব্দ বা বাক্য দিয়ে গুগল অ্যাডওয়ার্ড (https://adwords.google.co.uk/select/KeywordToolExternal) টুলের মাধ্যমে ঐ সম্পর্কিত ভালো আইডিয়া পাওয়া যায়। সে হিসেবে লোকজন কি বিষয়ে অনুসন্ধান করছে তার উপর ভিত্তি করে আপনি বেশ কিছু ব্লগিং আইডিয়া পাবেন। তাছাড়া এটি একটি এসইও টুলও। তাই আপনি এর মাধ্যমে আপনি আপনার ব্লগপোস্টে গুরুত্বপূর্ণ কিওয়ার্ড যুক্ত করতে পারবেন।
৬। সাম্প্রতিক বিষয় সম্পর্কে ধারণা রাখার মাধ্যমেঃ নতুন নতুন ব্লগিং আইডিয়া ও ব্লগ কনটেন্ট পাওয়ার জন্য সাম্প্রতিক বিষয় একটি গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎস। আপনি যদি কোনো সংবাদ ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারেন তবে যারা সাম্প্রতিক সংবাদ খোঁজেন তাদের মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন থেকে ভালো ট্রাফিক পাবেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আপডেটেড নিউজ পেতে আপনি গুগলে নিউজ অ্যালার্ট তৈরি করতে পারেন। ফলে আপনি সহজেই আপডেটেড নিউজের খবর পাবেন। তাছাড়া আপনি যদি এমন কোনো বিষয়ে ব্লগিং করেন যেটি দ্রুত পরিবর্তন হয়, যেমন- রাজনীতি বা প্রযুক্তি, সেসকল ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ব্লগিং আইডিয়া পেতে সর্বশেষ সংবাদের খোঁজ রাখতেই হবে।
৭। পাঠকের সাথে সম্পর্ক তৈরি করার মাধ্যমেঃ ব্লগের ক্ষেত্রে এটি একটি প্রয়োজনীয় বিষয়। আপনি আপনার পোস্টে পাঠকের কাছে তাদের মতামত চেয়ে প্রশ্ন করতে পারেন। এর ফলে আপনি কিছু অ্যাক্টিভ মন্তব্যকারী পাবেন। এছাড়া তারা কি চায় সে সম্পর্কেও অনেক মন্তব্য পাবেন। একই কাজটি আপনি সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুকে বা টুইটারেও করতে পারেন। তাদের বিষয় থেকে নতুন নতুন ব্লগিং আইডিয়া পাবেন।
৮। নিয়মিত গুগল অ্যানালাইটিক্স চেক করার মাধ্যমেঃ ভিসিটর কিভাবে আপনার ব্লগে আসছে সে সম্পর্কে গুগল অ্যানালাইটিক্স (http://www.google.com/analytics/) ধারণা দেয়। সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে কি পরিমাণ ভিজিটর আসছে সেটি জানার মাধ্যমে আপনি তাদেরকে কতোটা সন্তুষ্ট করতে পারছেন বা আপনার কিওয়ার্ডটি কতোটুকু যুক্তিযুক্ত হয়েছে সেটি সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাবেন। আর এই টার্গেটেড কিওয়ার্ডের মাধ্যমে আপনি আপনার ব্লগকে উন্নত করে আরো ভালো ট্রাফিক লাভ করবেন।
google-adsense-logo.gif
গুগল এডসেন্স থেকে হাজার ডলার আয় করুন!
গুগল এডসেন্স (http://www.google.com/adsense) ব্যবহৃত হয় এমন সাইটে Ads By Google কথাটি লেখা থাকে। এখন আপনি যদি Ads By Google লেখা ওয়েবসাইটের কোন বিজ্ঞাপনে ক্লিক করেন তাহলে উক্ত ওয়েবসাইটের মালিক গুগলের কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ রেভিনিউ পাবে। ইন্টারনেটে যত ওয়েবসাইট আছে তার অধিকাংশ ওয়েবসাইটই এই গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় করে থাকে।
গুগলের অনলাইন বেজড অ্যাডভার্টাইজিং প্রোগ্রাম-এর নাম হল অ্যাডসেন্স। গুগল নিজে ধনী হবার পাশাপাশি তার হাজারো ভক্তদের অর্থ উপার্জনের সুযোগ দিয়েছে। বিশ্বের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইনে তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। এই বিজ্ঞাপনগুলো প্রচার করে থাকে গুগল অ্যাডসেন্স-এর মত অ্যাডভার্টাইজিং নেটওয়ার্ক। এসব নেটওয়ার্ক বিজ্ঞাপন প্রচারে যে পরিমাণ অর্থ পায় তা থেকে কিছু অর্থ তাদের নেটওয়ার্কের পাবলিশার বা আমাদের মত ওয়েবসাইট মালিক বা ব্লগারদের দিয়ে থাকে।
গুগল অ্যাডওয়ার্ডসের মাধ্যমে বিজ্ঞাপনদাতারা গুগলকে বিজ্ঞাপন দেয় আর সে বিজ্ঞাপনগুলো গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে ওয়েবমাষ্টার বা ব্লগাররা তাদের সাইটে প্রদর্শন করে। আর এটি অনলাইনে টাকা উপার্জনের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম।
গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় করতে যেসব বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখবেন!
১। গুগল অ্যাডসেন্স-এর পাবলিশার হবার জন্য আপনার একটি নিজস্ব ওয়েব সাইট বা ব্লগসাইট থাকতে হবে। এটি ফ্রিও হতে পারে।
২। আপনার সাইটে প্রচুর পরিমাণে তথ্যবহুল কনটেন্ট থাকতে হবে। ব্লগের বিষয়বস্তুর ধারাবাহিকতা থাকতে হবে। ব্লগের কনটেন্ট হিসেবে লিখতে পারেন যে কোনো পণ্য বা সফটঅয়্যার, মুভি ইত্যাদির রিভিউ। তবে পাইরেসি সংক্রান্ত জটিলতা এড়ানো অপরিহার্য। কারণ যে সফটঅয়্যার টাকা দিয়ে কিনতে হয় সেটি যদি আপনি অবৈধভাবে ডাউনলোড লিংক দেন তাহলে তাহবে আইন বিরোধী এবং অ্যাডসেন্স-এর নিয়ম বিরুদ্ধ।
৩। কোনো ওয়েব সাইট থেকে কনটেন্ট কপি পেস্ট করা চলবে না। আপনার ব্লগে কমপক্ষে ৩০-৪০টি পোস্ট থাকতে হবে।
৪। সাইটটিতে ভাল ভিজিটর বা ট্রাফিক থাকতে হবে।
৫। আপনার সাইটটি সার্চ ইঞ্জিনে থাকতে হবে। কারণ গুগল সার্চ ইঞ্জিন থেকে আসা ভিজিটরকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে।
৬। আপনার করা পোস্টগুলোর মধ্যে কমপক্ষে ১৫-২০ টি গুগলের সার্চ ইঞ্জিনে ইনডেক্স হতে হবে। আপনার কয়টি পেজ ইনডেক্স হয়েছে তা জানতে গুগলে sites://http://yourblogaddress দিয়ে সার্চ করে দেখতে পারেন। যদি ইনডেক্স না হয় তবে অ্যাপ্লাই না করাই ভাল। কারণ আপনার অ্যাপ্লিকেশন গ্রহণ করা নাও হতে পারে। তখন আপনার পরিশ্রমটাই বৃথা যাবে। তাই ইনডেক্স হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
গুগল অ্যাডসেন্স থেকে কিভাবে টাকা পাব?
গুগল অ্যাডসেন্স-এ রেজিস্ট্রেশন করার সময় গুগল আপনার Payee Name, Contact Address, Post Code অর্থাৎ আপনার বিস্তারিত তথ্য নিয়ে নেবে। এরপর আপনার অ্যাকাউন্টে ১০ ডলার জমা হলে আপনার প্রদেয় ঠিকানাতে ডাকযোগে পিন নম্বরের একটি চিঠি আসবে। উক্ত চিঠিতে যে পিন নম্বরটি পাবেন তা আপনার অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টে দিতে হবে।
যখন আপনার অ্যাকাউন্টে যখন ১০০ বা তার বেশি পরিমাণ ডলার জমা হবে তখন আপনার প্রদত্ত ঠিকানায় অ্যাডসেন্স থেকে একটি চেক আসবে। চেকটি পাবার পর আপনার স্থানীয় ব্যাংকে উক্ত Payee Name দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট খুলুন এবং চেকটি জমা দিন। কিছুদিন পর চেকটি লোকাল কারেন্সি অর্থাৎ বাংলাদেশী টাকায় কনভার্ট হয়ে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হবে। মনে রাখবেন Payee Name ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মালিকের নাম একই হতে হবে।
কিভাবে গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় করা যায়?
গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় করতে হলে প্রথমেই যে জিনিসটা দরকার সেটা হচ্ছে একটি তথ্যবহুল ওয়েবসাইট বা ব্লগ, যেখানে নির্দিষ্ট কোন একটা বিষয়ের উপর প্রচুর তথ্য উপাত্ত থাকবে এবং বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন যেমন গুগল, ইয়াহু, বিং থেকে ভিজিটররা এসে ওয়েবসাইট বা ব্লগে তাদের আকাংখিত তথ্য এবং সমাধান পাবে।
দ্বিতীয়ত, একটি গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টের জন্য গুগলের নিজস্ব প্রাইভেসি পলিসি এবং টার্মস অব সার্ভিসেস গুলো মেনে আবেদন করতে হয়। দুই ধাপের ভেরিফিকেশন প্রসেস সম্পন্ন হওয়ার পর গুগল অ্যাডসেন্স কর্তৃপক্ষ আবেদনকারিকে অ্যাপ্রুভাল দেয়।
আবেদন গৃহীত হওয়ার পর, অ্যাডসেন্স সাইট থেকে বিজ্ঞাপন জেনারেট করে সাইটে বসাতে হয়। অ্যাডসেন্স রোবট সাইটের কনটেন্টের উপর ভিত্তি করে কন্টেক্সচুয়াল বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে এবং ভিজিটররা উক্ত বিজ্ঞাপনে ক্লিক করা মাত্রই পাবলিশারদের অ্যাকাউন্টে প্রাপ্ত টাকাটা জমা হয়। প্রতি মাসের শেষের দিকে অ্যাডসেন্স কর্তৃপক্ষ অ্যাকাউন্টধারীর ঠিকানায় চেক ইস্যু করে।
একজন অ্যাডসেন্স পাবলিশার মাসে কত টাকা আয় করতে পারে?
আমাদের তরুণদের মধ্যে ব্লগ লিখে শত কোটি টাকা আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। গুগল অ্যাডসেন্স মূলত গুগলের একটি পণ্য। গতবছর গুগল এ পণ্য থেকে আয় করেছে ৭৭ হাজার ৬৮০ কোটি টাকারও বেশি বেশি পরিমাণ অর্থ (সূত্রঃ উইকিপিডিয়া)। তারা মধ্য সুবিধা প্রদানকারী হিসাবে ৩২ শতাংশ টাকা কেটে রাখে।
এখন ৩২ শতাংশ থেকেই গুগলের যদি আয় হয় ৭৭ হাজার কোটি টাকার বেশি, তাহলে ৬৮ শতাংশ পেয়ে অ্যাডসেন্স পাবলিশারদের আয় আরও বেশি। অন্যান্য দেশের অনেক তরুণ-তরুণীরা একমাত্র গুগল অ্যাডসেন্স থেকে মাসে ৩০ হাজার ডলারের উপরে আয় করছেন। সঠিক দিক নির্দেশনা আর নিয়মিত সাধনা করে গেলে প্রতি মাসে বাংলাদেশিরাও সমপরিমাণ বা তারচেয়ে বেশি আয় করতে পারে।
শুধুমাত্র বেসিক ইংরেজি জ্ঞান এবং নিয়মিত লিখে যাওয়ার ধৈর্য্যই গুগল অ্যাডসেন্সে সাফল্য পাওয়ার মূলমন্ত্র। বাংলাদেশী তরুন এবং বেকার যুবকরা তাদের অলস সময়ের কিছুটা সময় এর পিছনে ব্যয় করলে তাদের জীবনধারাই পাল্টে যেতে পারে। টাকা উপার্জনের এই ফ্রি এবং বৈধ প্লাটফর্মটিকে সঠিকভাবে কাজে লাগান গেলে বাংলাদেশ এই সেক্টর থেকেই প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারে।
বাংলাদেশে এখন এমন গুগল অ্যাডসেন্স পাবলিশার রয়েছেন যারা ব্লগ লিখে আয় করছেন ৩ থেকে ৫ হাজার ডলার পর্যন্ত। বাংলাদেশে গুগল অ্যাডসেন্সে খুব ভালো করছে এরকম মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। অনেকেই প্রফেশনাল ব্লগিং এর দিকে নজর দিচ্ছে এবং উত্তরোত্তর নিজের দক্ষতা উন্নয়ন করে অ্যাডসেন্স থেকে বেশ ভালো অংকের টাকা আয় করছে।
বর্তমানে প্রায় ৩৫ টি দেশের ভাষায় অ্যাডসেন্স চালু রয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, বাংলা ভাষায় এখনো অ্যাডসেন্স পাওয়া যায় না। অ্যাডসেন্স যদি বাংলা ভাষা সাপোর্ট করে; তবে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের বাংলা ব্লগাররা প্রচুর আয় করার স্বপ্ন দেখতে পারে।
গুগল অ্যাডসেন্সের চেক কিভাবে দেশে আনবেন?
গুগল অ্যাডসেন্সের চেক সাধারনত দুটি উপায়ে বাংলাদেশে আনা যায়। ডাক বিভাগের সাধারণ সার্ভিসের মাধ্যমে অথবা ডিএইচএল কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে। সাধারণ ডাক সার্ভিসের মাধ্যমে ঠিকানামতো পৌছাতে একটি চেক ১৫ থেকে ২০ দিনের মতো সময় নেয়। তবে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে মাত্র ৪ দিনের মধ্যেই চেক আনা সম্ভব।
may-adsense-earnings.jpeg
গুগল অ্যাডসেন্সের চেক কোথায় ক্যাশ করাবেন?
বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় অনেক সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংক গুগল অ্যাডসেন্সের চেক ক্যাশ করে থাকে। সরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে জনতা ব্যাংক এবং সোনালী ব্যাংক অন্যতম। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে এক্সিম ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, এইচএসবিসি এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংক গুগলের চেক ক্যাশ করে থাকে। একটি চেক ক্রেডিট হতে লোকাল ব্যাংকগুলোতে সাধারণত ২০ থেকে ৪৫ দিনের মতো সময় লাগে।
গুগল অ্যাডসেন্সে সাফল্য পেতে কতদিন লাগতে পারে?
গুগল অ্যাডসেন্সে সাফল্য পুরোপুরি নির্ভর করে ওয়েবসাইট বা ব্লগের কনটেন্ট এবং সাইটে আসা ট্রাফিকের উপর। কেউ যদি ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করার ঠিক ২ মাসের মধ্যেই প্রচুর পরিমাণ ট্রাফিক তথা ভিজিটর সাইটে আনতে পারে, তবে ঠিক ২ মাস পর থেকেই আয় করা সম্ভব। হতাশ না হয়ে নিয়মিত ভালো মানের ব্লগপোস্ট লিখে যেতে পারলে গুগল অ্যাডসেন্স থেকে সাফল্য আসতে বাধ্য। যদি লেগে থাকার মতো ধৈর্য থাকে এবং নিয়মিত নতুন নতুন ব্লগপোস্ট লেখা যায় তবে কেউ অ্যাডসেন্স নিয়ে কাজ শুরু করার ঠিক ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যেই সাফল্য পেতে পারে।
গুগল অ্যাডসেন্সে সাফল্য পেতে হলে যেসব বিষয় মাথায় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে!
১। পাঠক যাতে আপনার ব্লগ পড়ে স্বাচ্ছন্দ্য পায় এবং তার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সহজেই জানতে পারে সেজন্য পয়েন্ট অথবা তালিকা আকারে ব্লগ লিখুন।
২। একজন ব্লগারের লেখা পড়তেই পাঠকরা তার ওয়েবসাইটে আসেন। আর ওয়েবসাইটে গুছিয়ে এবং সাবলীলভাবে লেখার প্রতিই সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দেওয়া জরুরি। কারণ আপনি যত সুন্দরভাবে গুছিয়ে লিখতে পারবেন সাফল্যও তত দ্রুত আপনার দরজায় উঁকি দেবে।
৩। ব্লগে প্রতিটি আর্টিকেল পাবলিশ করার সময় রিলেটেড ছবি ব্যবহার করবেন। আর্টিকেলে যদি যথোপযুক্ত ছবি থাকে তা বিজ্ঞাপনে ক্লিক বেশি পড়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। তবে কখনোই বিজ্ঞাপন আর্টিকেলের ছবির পাশাপাশি বা একসাথে ঘেষে বসানো যাবে না। ছবি থাকলে আর্টিকেল পড়তে মানুষজন আগ্রহী হয় এবং বেশি সময় ধরে সাইটে অবস্থান করে। এটি সত্য যে, একজন ভিজিটর যদি বেশকিছু সময় ধরে সাইটে অবস্থান করে তবে তার মধ্যে আরো তথ্য জানার একটা আগ্রহ তৈরি হয় এবং তখনই কেবল সে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে।
৪। প্রথমেই খুব বেশি টাকা পাওয়া যায় এমন কিওয়ার্ড টার্গেট করে ব্লগ বানাবেন না। প্রথমে কম দামি কিওয়ার্ড টার্গেট করুন এবং সাইটে ভিজিটর আসতে শুরু করলে তারপর বেশি টাকা পাওয়া যায় এমন কিওয়ার্ড টার্গেট করুন।
৫। নিয়মিত ভালো মানের ব্লগপোস্ট প্রকাশ করুন। তবে কখনোই লেখা অন্য সাইট থেকে কপি করে প্রকাশ করা যাবে না। লেখার মান ভালো হলে সার্চ ইঞ্জিন থেকে প্রচুর ভিজিটর পাওয়া যায়। যেহেতু মোট ক্লিকের উপর টাকার পরিমাণ নির্ভর করে সেহেতু যত বেশি সম্ভব ট্রাফিক আনা যায় আয় বেশি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
৬। কখনই কপিরাইটকৃত ছবি ব্যবহার করবেন না। কারণ কপিরাইটেড ছবি ব্যবহার করলে গুগল যেকোন সময় অ্যাকাউন্ট ব্যান করে দিতে পারে।
৭। অপ্রাসঙ্গিক কোন ছবি, রং এবং অযাচিত উইজেট ব্যবহার করবেন না। এগুলো পাঠককে বিভ্রান্ত করে এবং সাইটের বাউন্স রেট বাড়িয়ে দেয়। একই সঙ্গে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করার সম্ভাবনাও কমিয়ে দেয়।
৮। মোটামুটি সার্চ হয় এরকম কিওয়ার্ড টার্গেট করে ব্লগ তৈরি করুন। গুগলের এক্সটারনাল কিওয়ার্ড টুল ব্যবহার করে, কিওয়ার্ড রিসার্চ এবং কম্পিটিটিভ এনালাইজ করে সঠিক কিওয়ার্ডগুলো নির্বাচন করুন এবং তার উপর ভিত্তি করে ব্লগপোস্ট তৈরি করুন। মনে রাখবেন, যত বেশি ইউনিক ব্লগপোস্ট পাবলিশ করা যায় আয়ের সম্ভাবনা ততই বেশি।
৯। একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে ব্লগিং করুন। বিভিন্ন টপিক নিয়ে ব্লগিং করলে সঠিক অ্যাড পাওয়া যায় না। ফলে বিজ্ঞাপনে ক্লিক পড়ার হার কমে যায়। সবচেয়ে ভাল হয় যদি গতানুগতিক টপিক সিলেক্ট না করে মার্কেট রিসার্চ করে এমন একটা টপিকে ব্লগিং করা যেটা নিয়ে সচরাচর মানুষ ব্লগিং খুব কম করে। এতে করে প্রতিযোগীতা কম হয় এবং খুব সহজেই সার্চ ইঞ্জিন থেকে ভিজিটর পাওয়া যায় এবং বিজ্ঞাপনের কস্ট পার ক্লিকও (প্রতি ক্লিকের মূল্য) বেশি পাওয়া যায়।
১০। নিয়মিত সাইটের ট্রাফিক, CTR (ক্লিক পড়ার হার) এবং পেজ ইম্প্রেশন মনিটর করুন। ইনভ্যালিড অথবা অস্বাভাবিক পরিমাণ ক্লিক পড়লে সাথে সাথে সেটা গুগলের কাছে রিপোর্ট করুন। এতে করে অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট ব্যান হওয়া থেকে রক্ষা পাবেন।
১১। কখনো সার্চ ইঞ্জিনকে টার্গেট করে অযাচিত কিওয়ার্ড দিয়ে ব্লগ বানাবেন না। কারণ সার্চ ইঞ্জিনগুলো শুধুমাত্র আপনাকে পাঠক এনে দিতে পারবে কিন্তু পাঠক যদি সাইটে বেশি সময় অবস্থান না করে তবে কখনো বিজ্ঞাপনেও ক্লিক করবে না।
গুগলের অ্যাডসেন্স বিষয়ে কিছু ভ্রান্ত ধারণার অপনোদন!
১। গুগলের অ্যাডসেন্স পাবলিশারদের অ্যাকাউন্ট বাতিল হয়ে যাওয়াঃ বাংলাদেশি কোন পাবলিশারের ওয়েবসাইটে একটু বেশি Click Through Ratio (CTO) অর্থ্যাৎ ক্লিকের হার বেশি হলেই অ্যাকাউন্ট বাতিল হয়ে যায়। এ কারণেই অনেক ব্লগার মাঝপথে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
২। অনেকগুলি সাইটে অনেকগুলি এ্যাডসেন্স ব্যবহার করলে আয় বেশিঃ এ্যাডসেন্সে লাভ দেখে অনেকেই একাধিক এ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট ব্যবহারে আগ্রহী হন। এটি করে আপনি প্রথম দিকে করে আয় করতে পারবেন কিন্তু পরে সব হারাতে হবে। কারণ গুগলের ট্র্যাক করার ক্ষমতা অন্যান্য সাইট থেকে সবচেয়ে বেশি তাই গুগল কোন একসময় সেটা ঠিকই ধরে ফেলবে এবং সবগুলি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেবে।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) সফটওয়্যার ব্যবহার করলে দ্রুত আয় বাড়েঃ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের জন্য সফটওয়্যার ব্যবহার করলে অবশ্যই সাইটের পরিচিতি বাড়ে কিন্তু এ্যাডসেন্সকে টার্গেট করে যদি সেটা করেন তাহলে গুগল সেটা পছন্দ করে না। গুগল এমন সাইটে লাভজনক এ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপন দেয় সেখানে ভিজিটর নিজে আগ্রহী হয়ে যায়। ফলে কোন সাইটে প্রতি ক্লিকে পাওয়া যায় কয়েক সেন্ট, কোন সাইটে কয়েক ডলার।
আপনারা যেহেতু অনলাইনে আয় করতে চান অবশ্যই এই সকল ধারণাকে এড়িয়ে চলবেন কারণ এই সকল ভুল ধারণাগুলো আপনার অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করবে। তাই যথাসম্ভব এই সকল উদ্দেশ্য এবং পথ এড়িয়ে আপনার জন্য শ্রেয়। কারণ অনলাইনে আয় অনেকই এ করতে পারে কিন্তু আয় করে সফল সকলে হতে পারে না। মনে রাখবেন, অ্যাডসেন্স থেকে টাকা উপার্জনের জন্য অনেক সময়ের প্রয়োজন।
reference-links.gif
ব্লগিংয়ের টপ টেন ওয়েবসাইট!
ব্লগিং বিষয়ে আরও ভাল ধারণা পাওয়ার জন্য নিচের দশটি ব্লগ সাইট দেখতে পারেন।
১। বিজনেস ইন সাইডার। লিংকঃ http://www.businessinsider.com/
২। শাউট মি লাউড। লিংকঃ http://www.shoutmeloud.com/
৩। হাফিংটন পোস্ট। লিংকঃ http://www.huffingtonpost.com/
৪। ম্যাশেবল। লিংকঃ http://www.mashable.com/
৫। প্রোব্লগার। লিংকঃ http://www.problogger.net/
৬। মেন উইথ পেনস। লিংকঃ http://www.menwithpens.ca/
৭। কপি ব্লগার। লিংকঃ http://www.copyblogger.com/
৮। ক্রিস ব্রগান। লিংকঃ http://www.chrisbrogan.com/
৯। স্মার্ট প্যাসিভ ইনকাম। লিংকঃ http://www.smartpassiveincome.com/
১০। দ্যা সিম্পল ডলার। লিংকঃ http://www.thesimpledollar.c

ব্লগিংয়ের মাধ্যমে হাজার ডলার আয়ের উপায় এবং সর্বাধিক আয়কৃত কিছু ব্লগের গল্প

ব্লগিং অনলাইন আয়ের ক্ষেত্রে একটি নির্ভরযোগ্য উপায়। ব্লগিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে অর্থ উপার্জন করা যায়। এটা আমরা সবাই কমবেশি জানি। কিন্তু একটি ব্লগ থেকে মাসে $100,000 আয় করা যায় এরকমটি হয়ত আমাদের জানা নেই। শুনতে একটু অবিশ্বাস্য লাগলেও ব্যাপারটি কিন্তু সত্যি। অনলাইনে এমন কিছু ব্লগ রয়েছে যাদের মাসিক ইনকাম উপরোল্লেখিত অর্থের সমান বা সামান্য কম বেশি। আজ আমরা আলোচনা করব এমন কিছু সফল ব্লগের সম্পর্কে যেগুলি অন্যান্য ব্লগারদের ব্লগিংয়ে সফলতার ব্যাপারে ক্রমাগত অনুপ্রেরণা যুগিয়ে যাচ্ছে। তো বন্ধুগণ চলুন দেখে নেওয়া যাক এমন কিছু ব্লগ যেগুলি মাসে আয় করছে মিলিয়ন ডলার।

Rank Website Owner Monthly Earnings Main Income
1 The Huffington Post Arianna Huffington $2,330,000 Pay Per Click
2 www.mashable.com Pete Cashmore $560,000 Advertising Banners
3 Perez Hilton Mario Lavandeira $450,000 Advertising Banners
4 Techcrunch Michael Arrington $400,000 Advertising Banners
5 Smashing Magazine Vitaly Friedman $190,000 Advertising Banners
6 Timothy Sykes Timothy Sykes $150,000 Affiliate Sales
7 Gothamist Jake Dobkin $110,000 Pay Per Click
8 Tuts Plus Collis Taeed $110,000 Membership Area
9 Car Advice Alborz Fallah $70,000 Advertising Banners
10 Venture Beat Matt Marshall $62,000 Pay Per Click
11 Slash Gear Ewdison Then $60,000 Pay Per Click
12 Life Hacker Nick Denton $60,000 Advertising Banners
13 Dooce Heather B. Armstrong $50,000 Pay Per Click
14 Steve Pavlina Steve Pavlina $45,000 Pay Per Click
15 Talking Point Memo Joshua Micah Marshall $45,000 Advertising Banners
16 Problogger Darren Rowse $40,000 Advertising Banners
17 Kotaku Nick Denton $32,000 Advertising Banners
18 Shoemoney Jeremy Schoemaker $30,000 Private Advertising
19 Coolest Gadgets Allan Carlton $30,000 Advertising Banners
20 JohnChow John Chow $29,000 Affiliate Sales
21 SmartPassiveIncome Pat Flynn $21,500 Affiliate Commissions
22 Joystiq AOL $18,000 CPM Advertising
23 PC Mech David Risley $16,000 Affiliate Sales
24 Freelance Switch Collis Ta’eed $15,000 Membership Area
25 Abduzeedo Fabio Sasso $12,000 Advertising Banners
26 Sizlopedia Saad Hamid $11,000 Pay Per Click
27 Overhead in New York Michael Malice $9,000 Advertising Banners
28 Six Revisions Jacob Gube $9,000 Advertising Banners
29 Noupe Noupe $8,000 Advertising Banners
30 Retire at 21 Michael Dunlop $5,000 Affiliate Sales


আপনি ব্লগ তৈরী করতে যত দেরি করবেন, অর্থ উপার্জনের সুযোগ ততটাই হারাবেন

ব্লগিং এখন অনলাইন আয়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য একটি মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। ব্লগিংয়ে সফলতার মূল চাবিকাঠি অবশ্যই ধৈর্য এবং সহনশীলতা। আজকে যার সফল ব্লগার তারাও ব্লগিংয়ের প্রথম দিকে চরম ধৈর্যশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। সুতরাং ‍ব্লগিংয়ে সফল হওয়ার জন্য ধৈর্য এবং নিষ্ঠা সহকারে কাজ করে যেতে হবে।
আপনি যদি আপনার ব্লগে কার্যকরী পোস্ট দিতে পারেন তাহলে ভিজিটর  আপনার ব্লগের প্রতি আকৃষ্ট হবে। এবং প্রতিনিয়ত আপনার ব্লগের ভিজিটর সংখ্যা বাড়তেই থাকবে। আর যখন উপার্জন বাড়তে থাকবে তখন ব্লগিংকেই আপনি মূল পেশা হিসাবে নিতে পারবেন আনায়াসেই। সুতরাং আর দেরী কেন আপনি যদি ব্লগিংকে পেশা হিসাবে নিতে চান তাহলে তৈরী করে ফেলুন একটি ব্লগ সাইট এবং শুরু করুন ব্লগিং।

কিভাবে ব্লগিংয়ের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যায়

ব্লগিংয়ের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের জন্য রয়েছে নানা উপায়। কোন ব্লগার বিভিন্ন ধরনের কীওয়ার্ড নিস [niche] ব্যবহার করে। কেউবা high paying keyword ব্যবহার করে। আর এভাবেই তাদের ব্লগে আনতে থাকে হাজার হাজার ভিজিটর আর বাড়তে থাকে উপার্জন। তো চলুন জেনে নেওয়া কোন কোন পদ্ধতি অবলম্বন করে ব্লগারগণ আয় করছে হাজার হাজার ডলার।

ব্যানার এডভার্টাইজিং

এটি ব্লগারদের নিকট সবচেয়ে জনপ্রিয় এডভার্টাইজিং পদ্ধতি। ব্লগারগণ এটি বেশি পছন্দ করেন কারণ এটি নিশ্চিত আয়ের একটি পথ। অন্য কিছু যেমন, এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে প্রোডাক্টের উপর ভিত্তি করে আয়ের পরিমাণ উঠানামা করতে থাকে।

CPM এডভার্টাইজিং

যে ব্লগে প্রচুর পরিমাণ ভিজিটর রয়েছে সে ব্লগে এ পদ্ধতি খুবই জনপ্রিয়। কারণ এক্ষেত্রে এডভার্টাইজার শুধুমাত্র Impression হলেই পেমেন্ট করবে। এখানে কোন ক্লিকের ব্যাপারও নেই আবার প্রোডাক্ট বিক্রির ব্যপারও নেই। সুতরাং ব্লগে ভিজিটর মানেই ইনকাম।

এফিলিয়েট মার্কেটিং

এফিলিয়েট মার্কেটিংও ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আয়ের একটি কার্যকরী উপায়। সেলস কমিশন নির্ভর করবে আপনার প্রোডাক্ট নিস-এর উপর। ভাল প্রোডাক্ট প্রোমোট করতে পারলে আপনার আয়ের পরিমাণও ভাল হতে থাকবে।

পে পার ক্লিক

পে পার ক্লিক ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আয়ের জন্য সবচেয়ে প্রচলিত এবং জনপ্রিয় পদ্ধতি। আর এক্ষেত্রে আয়ের জন্য পরম নির্ভরতার নাম গুগল এডসেন্স। যদি সঠিকভাবে ব্লগিং করা যায় তাহলে গুগল এডসেন্স-ই আপনাকে পৌছে দিতে পারে সাফল্যের শিখরে।
Tag : ,

শুধূমাত্র ওডেস্কে যারা নতুন তাদের জন্য কিছু উপকারি তথ্য। কাজে লাগবে আশা করি।

ওনেকদিন পর লিখতে বসেছি, ব্যাস্ততার জন্য লেখা-লেখি হয় না। আজ আমি ওডেস্ক নিয়ে আমার কিছু ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করব।
ওডেস্ক সবচেয়ে বড় অনলাইন জব মার্কেটপ্লেস।  এটি এমন একটি বিস্বস্ত সাইট যেখানে আপনি আপনার দক্ষতা ফুটিয়ে তুলতে পারেন পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারবেন।
কিন্তু প্রায়শই দেখি অনেকে প্রশ্ন করেন ভাই আমি ওডেস্কে নতুন, কিভাবে কাজ পাব আর কাজ পেলে কিভাবে করব?
আমার কিছু সাজেশন আছে সবার জন্য (অবশ্যই যারা নতুন তাদের জন্য)। আর এইগুলো আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে প্রাপ্ত। আশা করি নতুন যারা আছেন সবাই উপকৃত হবেন।
১। ওডেস্কে জবগুল দেখেন। দেখবেন প্রায়শই একই ধরনের কাজ আসে।
২। প্রায় সব জবেই কিছু নির্দিষ্ট স্কিল চাওয়া হয়।
৩। আপনার যে ধরনের কাজ ভাল লাগে সেই কাজের উপরে স্কিল বাড়ান।

৪। গুগল মামাকে জিজ্ঞেস করেন ওই স্কিল কিভাবে শেখা যাবে?
৫। ওনেক সাইট আছে যেখানে অনলাইনে ওনেক কিছু শেখা যায়। সেখান থেকে স্কিল শিখে নিন। ভঁয় নেই আমি নিজেও কিন্তু এভাবেই কাজ শিখেছি। কেঊ আমাকে কিছু শিখিয়ে যায় নি। এই সাইট-টি অনেক উপকারে আসবে আশা করি।
৬। ওডেস্কে আকাউন্ট বানিয়ে সাথে সাথেই বিড করবেন না। ওডেস্ক দেখুন-জানুন তারপর বিড করুন। এখন অনেক বাংলা ব্লগ আছে যেখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ শিখতে পারবেন এবং ওডেস্ক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতেও পাড়বেন।
আপনারা বলা যায় ওনেক ভাগ্যবান এই ক্ষেত্রে কারন আমাদের সময়ে এই রকম বাংলা ব্লগ ছিল না। কেউ ছিল না সাহায্য করার মত। :(
৭। সর্বোপরি ইংরেজি না জানলে ওডেস্কে আপনি এগোতে পারবেন না। তাই এই ক্ষেত্রে আপনি যদি দুর্বল হলে কেউ আপনাকে সাহায্য করতে পারবে না।
তাই ইংরেজিতে দক্ষতা বাড়াতে হবেই হবে।

আরোও অনেক সাজেশন ছিল কিন্তু এখন মনে পড়ছে না। :( যাই হোক এই পয়েন্টগুলোই বেসিক। তাই এই পয়েন্টগুলো অনুসরণ করে এগিয়ে যান। সফল হোন এই কামনা করি।
Tag : ,

Facebook এর Security Code প্রায়ই মোবাইলে ৮/১০ ঘন্টা দেরি করে আসে, এই সমস্যার সমাধানে যা করতে হবে …

যারা Google এর  2 step verification ও Facebook এর Login Approval চালু করেছেন তারা জানেন Google এর verification code নিয়ে sms মূহুর্তেই আসে কিন্তু Facebook এর security code মাসে অন্তত পাচ দিন ঝামেলা করে। যাদেরটা ঝামেলা হয়নি ভবিষ্যতে অবশ্যই হবে। মোবাইল কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলে, Facebook হতেই এস.এম.এস আসেনি আর Facebook এর সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলে, আমরা পাঠাইছি। Google ব্যবহার করে International No এবং Facebook করে পোর্ট (৩২৬৬৫) যা সহজে নিয়ন্ত্রনযোগ্য।

Google- এ বিকল্প দুইটা পদ্ধতি আছে : sms কোন কারনে না আসলে phone call এর মাধ্যমে তা সংগ্রহ করা যায়। পাশাপাশি তারা ১০টা ‘One Time Use – BackUp Code’ দেয়। Facebook যদি Google এর মত বিকল্প দুটি পদ্ধতি চালু করত তবে নি:সন্দেহে ঝামেলা হতে মুক্তি পেতাম। Yahoo ভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে “Sign In With Google”  (নিচের ছবিটি দেখুন)

যার মাধ্যমে “One Google Account : One Yahoo Account” এই ণীতিতে Google-এ Log In করা অবস্থায় Yahoo-র Website-এ “Sign In With Google” লিঙ্কে ক্লিক করলে পাসওয়ার্ড ছাড়াই প্রবেশ করা সম্ভব হয়। এই পদ্ধতিতে লগ ইন করার সুযোগ যদি Techtunes, প্রথম আলো ব্লগ, Twitter, GoDaddy, Paypal, LinkedIn, Odesk, Wikipedia, Everyone, Alexa দিত তবে Hacker/Keylogger Software এর আশঙ্কা হতে মুক্ত হতাম। প্রত্যেকের হয়ত Personal PC  নেই বা বিভিন্ন কারনে বাইরে হতে লগ ইন করতে হয়।
সর্বোপরি Facebook এই বিকল্প লগ ইন চালু করলেও Security Code দেরিতে আসলে সমস্যা হত না। এই লেখাটি ব্লগ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করে তবে তারা হয়ত Sign In With Google ব্যবস্থা চালু করবে তবে Facebook এর দৃষ্টি আকর্ষন এর জন্য একটা Feedback Form পুরন করতে হবে, তার লিঙ্ক হল : https://www.facebook.com/help/contact/?id=142315805886940  আমি একটা খসড়া চিঠি ইংরেজীতে টাইপ করে নিচে দিলাম। যদি সহমত হন তবে নির্দিষ্ট লিঙ্কে যেয়ে ইমেইল এর জায়গায় আপনার ইমেইল ও Thanks এর শেষে আপনার নাম বসিয়ে সেন্ড করুন।
Hello Facebook,
Sometimes I have to use Facebook from Office or Cyber Café or Library. There are many hackers surrounding me who use key logger softwares and other techniques. So I must have to use  'Login Approval' Service.
PROBLEM:
I have started your 'Login Approval' Service but sometimes the Mobile Telecom Company, which I use, fails/delays to send the Security Code (for max 12 hours) at least for 5 to 6 days in a month, which results serious problem.
To get notification from Facebook is not important. Telecom can ban it but to get ‘Security Code’ is most important. Please tell the Telecom Company to charge standard sms rate for all outgoing message AND standard sms charge/free of charge for incoming ‘Security Code’ sms. What will they do for other incoming notification sms, will be decided by themselves.
PERMANENT SOLUTION :
Google sends verification code by its own name “Google” (the word Google displayed at the place of Sender’s name). Sometimes it shows a specific International no (eg. +447781470659). It is easy to block/control any port like 32665. YOU SHOULD USE AN INTERNATIONAL NO TO SEND SECURITY CODE.
(Please know, Google uses dynamic ip for HTTPS://www.youtube.com so it is hard to block YouTube by the Governments of Third world.)
I suggest you to provide Optional “Voice Call" service also like Google here. If sms delivery fails, we will collect code by receiving phone call. AND also provide Ten “One Time Use – Backup Code” like Google. If I loss my mobile phone or visit other State without roaming service, it will help.
ALTERNATIVE SOLUTION:
In the meantime, you can provide OpenID like "Sign In with Google” service including others. Yahoo uses different method “Sign in with Google” through which, based on “One Google Account : One Yahoo Account” policy anyone can login to Yahoo’s website without password just by clicking on “Sign in with Google”. I use it to login to http://www.mail.yahoo.com by my Google Account. (In Flickr it shows a small icon link for OpenID login, which looks good)
KEEP TWO SYSTEMS:
You can keep ALTERNATIVE SOLUTION beside PERMANENT SOLUTION. Then if user chooses OpenID’s icon link, s/he will directly enter to the account OR at next login (without change of settings) if s/he enters password, then server will start processing to send the ‘Security Code’
MORE FLEXIBLE:
Sometimes people are using multiple phones and also traveling world wide. Everywhere roaming is not available. If you provide the chance to use maximum 4 phone no. for getting ‘Security Code’, it will be more suitable. Two for own state, two for abroad. Just after entering the email address(ID) & password server will NOT directly send sms. It will ask to know in which no. server will send the code:
Which phone do you prefer to get the security code?
# +123*****78
# +123*****83
# +442*****33
# +880*****83
SUBMIT
After user’s selection in option button, server will send the code to specific no. Travelers will have to use one backup code after going abroad to setup a newly purchased local phone no.
Wish you good luck.
Thanks,
আরেকটু কষ্ট করুন। এই লেখাটি বাংলায় যা অন্য ভাষার পাঠকরা বুঝবেন না।  পৃথিবির বিভিন্ন রাষ্ট্র হতে বিভিন্ন ভাষার মানুষরা যদি Feedback পাঠায় তবে Facebook হয়ত দ্রুত সাড়া দিবে। আমি আমার ব্লগে Twitter, GoDaddy, Paypal, LinkedIn, Odesk, Wikipedia, Everyone, Alexa তে Feedback পাঠানোর জন্য আলাদা আলাদা চিঠির খসড়া ও লিংক দিয়েছি। হাতে সময় থাকলে ভবিস্যতের স্বার্থে, নিজের একাউন্ট নিরাপদ করার স্বার্থে সেগুলোতে-ও Feedback পাঠান।
Tag : , ,

odesk শেষ পর্বঃ cavar letter গঠন ও সফল হওয়ার টিপস

আজকের শেষ পর্বটি কভার লেটার ও ওডেস্কের সফল হওয়ার অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য দিয়ে সাজালাম। অনেকদিনপর লিখতে বসলাম ওডেস্ক নিয়ে লেখার ধারাবাহিকটির শেষ পর্ব। ব্যস্ততার কারনে শেষ পর্বটি লিখতে দেরি হয়ে গেল। শুরু করা যাক।

কোন একটি জবের বর্ণনা খুলে ডানপাশে পাবেন বায়ারের তথ্য। বায়ারের Payment Method Verified কিনা চেক করে নিন। যদি ভেরিফাইড হয়ে থাকে তাহলে Apply to this job নামের একটি বাটন আছে, সেখানে ক্লিক করুন। নতুন যে পেজ ওপেন হবে, সেখানে উপরে Paid to You-এর ডান পাশের বক্সে আপনি কত ডলারে কাজটি করতে চাচ্ছেন, সেটির পরিমান লিখুন । আর যদি ঘন্টাভিত্তিক কাজ হয়ে থাকে, তাহলে প্রতি ঘন্টাতে কত ডলারে কাজ করবেন, সেটা লিখতে হবে। Cover Letter  বক্সে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কভার লেটারটি কিভাবে লিখবেন?

কভার লেটার লিখার ক্ষেত্রে লক্ষণীয়

অনেকে অন্য বন্ধু যে খুব ভাল ইংরেজী পারে তাকে দিয়ে এটি লিখিয়ে নেয়, কিংবা অন্যের কভার লেটারকে নকল করে। ২টাই খুবই বিপদজনক। নিজের থেকেই লিখেন।
  • ক) খুব সুন্দর ইংরেজী ব্যবহার করে, বড় কোন কিছু লেখাকে ভাল কভার লেটার বলেনা।
  • খ) ক্লায়েন্টকে একদম পারলে একলাইনে লিখুন কাজটি পারবেন, তাহলে ক্লায়েন্ট খুশি হবে সবচাইতে বেশি। ক্লায়েন্টের সময়ের মূল্য আছে। বড় কভার লেটার দেখলে ভয়ে আর সেটা পড়বেনা ক্লায়েন্ট।
  • গ) মনে মনে নিজেকে ক্লায়েন্ট ভাবুন। এবার ভাবুন, আপনাকে কেউ কিভাবে বললে আপনি কাজটি টাকা খরচ করে করবেন।
  • ঘ) ক্লায়েন্টের কাছে ভিক্ষা চাওয়ার দরকার নাই। তাহলে ক্লায়েন্ট আপনার যোগ্যতা নিয়ে সন্দেহে পড়ে যাবে। কাজটি পারার ব্যাপারে কনফিডেন্ট প্রকাশ করুন।
  • ঙ) অন্যের কভার লেটার নিজে ব্যবহার করবেননা। আপনি ইংরেজী কম জানলেও না। কারন আপনি খুব ভাল কেউ ইংরেজী পারে এমন কাউকে দিয়ে হয়ত কভারলেটারটি লেখালেন্। ক্লায়েন্ট কাজ দেয়ার আগে আপনাকে ইন্টারভিউতে ডাকবে। তখন দেখল আপনার ইংরেজী লেখার ধরন অন্যরকম, তখন শুরুতেই আপনাকে ভন্ড ভেবে নিবে। সেজন্য কাজটি আর আপনি পাবেননা।
  • চ) নিজের একই কভার লেটারও বারবার ব্যবহার করবেননা। অর্থাৎ যা লিখবেন, লাইভ লিখবেন।
  • ছ) বেশি কথা না বলে আপনার কাজের স্যাম্পল দিন। এটি আপনার ৫০০০ লাইনের কথা বলার সমান কাজ করে দিবে।
  • জ) কভার লেটারে নিজের গুনগান গেয়ে কিংবা করুণা ভিক্ষা চেয়ে ক্লায়েন্টকে আকর্ষণ করার চেষ্টা করবেননা। প্রজেক্টটি ভালভাবে সে অনুযায়ি কভার লেটার তৈরি করুন।
  • ঝ) কখনো ভুলেও আপনার ইমেইল, স্কাইপ আইডি, ইয়াহু, এগুলো কাভার লেটারে দেওয়া যাবে না। ক্লায়েন্ট আপনাকে নক করলে শুধুমাত্র তখনি আপনার কন্টাক্ট ডিটেইলস তাকে দিবেন।

কভার লেটারের গঠনঃ

  • ক) স্যার বলে সম্বোধন করবেননা। এটি বাংলাদেশিরা পছন্দ করে, বিদেশিরা পছন্দ করেনা। Hi, Hello ব্যবহার করুন, সম্বোধনের ক্ষেত্রে।
  • খ) প্রজেক্টটি পড়ে আপনি যে ক্লায়েন্টের চাহিদা ভালভাবে বুঝেছেন, সেটি লেটারের প্রথমেই বোঝানোর জন্য কোন লাইন লিখতে পারেন।
  • গ) এবার বোঝানোর চেষ্টা করুন, আপনারে পক্ষে যে কাজটি করা সম্ভব।
  • ঘ) এ ধরনের কাজের ব্যপারে আপনার পূর্ব অভিজ্ঞতা উল্লেখ করুন।
  • ঙ) ক্লায়েন্টের রিপ্লাইয়ের জন্য আপনি অপেক্ষা করছেন, এ ধরনের কোন লাইন লিখুন।
  • চ) ধন্যবাদ সহকারে নিজের নাম উল্লেখ করে শেষ করেন লেটারটি।
অর্থাৎ এভাবে হবে লেটারটি।
"এই কাজ কোনো ব্যাপার না, আমি আগেও করেছি, এই দেখেন [লিংক] বা স্যাম্পল (এটাচ করা ফাইলে)"
শুধু এই লাইনটাই ইংরেজিতে লিখুন।

কভারলেটারের উদাহরণঃ

Hi,
I am interested to do your project. I can provide/collect you more than 000 Facebook likes within 0 days. I have more than 0000 Facebook friends and also have many Facebook groups, page etc. So I think, I can do your project properly. I am waiting for your nice response.
Thanks
AR
কাজটিতে যদি বায়ারের বিশেষ রিকয়ারমেন্ট থাকে সেক্ষেত্রে রেট না কমিয়ে কাজের Sample বা পারফর্মেন্স দেখিয়ে বিড জেতার চেষ্টা করুন। অন্যদিকে যদি সহজ কাজ হয়, যেখানে আপনি বুঝতেই পারছেন বায়ার মূলতঃ কম বাজেটে কাজটি করাতে চাচ্ছে, সেক্ষেত্রে বিডের এমাউন্ট কমিয়ে দিন।
PMB (Private Message)  তে লেখার ২টি নমুনা প্রদত্ত হল।
যেমনঃ  I’m ready to work with your asking budget.
অথবা Please tell me your actual budget, i’m ready to work with cheap rate.

কাজ শুরু করুন


ঘণ্টাভিত্তিক কাজের ক্ষেত্রে http://www.odesk.com/downloads থেকে ওডেস্ক টিম সফটওয়্যারটি নামিয়ে নিন, পিসিতে ইন্সটল করুন। এবার কাজ শুরু আগে কাজটি সিলেক্ট করে Start-এ ক্লিক করুন। দেখতে পাবেন, কাজের সময় গণনা শুরু হয়ে গেছে। সফটওয়্যারটি কিছুক্ষণ পরপর আপনার কম্পিউটারের স্ক্রিণশট নিবে, সাথে সাথে সেটা আবার ক্লায়েন্টের কাছে পাঠিয়ে দিবে। কাজ শেষ হলে বায়ার যখন আপনাকে পেমেন্ট দিয়ে চুক্তি শেষ করবেন, তখন আপনার কাছে একটি নোটিফিকেশন আসবে BuyerName ended your contract ….। এবার বায়ার ফিডব্যাক দিবে, আপনাকেও দিতে হবে বায়ার সম্পর্কিত ফিডব্যাক। পূণমান ৫-এর মধ্যে এ ফিডব্যাক হয়।উভয় পক্ষ ফিডব্যাক দিলেই কেবল একজন অপরেরটা দেখতে পাবেন।
ভালো ফিডব্যাক পেলে পরবর্তীকালে বেশি কাজ পেতে সুবিধা হয়। বাজে ফিডব্যাক পেলে সেটি মুছে ফেলতে পারবেন। আপনি যদি বায়ারের পেমেন্ট ফেরত দিয়ে দেন, তাহলে আপনার প্রোফাইলে ওই বাজে ফিডব্যাক আর দেখা যাবে না। নোটিফিকেশন পেইজে Give refund-এ ক্লিক করে আপনি বায়ারকে পেমেন্ট ফেরত দিয়ে দিতে পারবেন। বায়ার আপনাকে পেমেন্ট দেওয়ার পর সেই পেমেন্ট এক সপ্তাহের মতো পেন্ডিং থেকে তারপর আপনার ওডেস্ক অ্যাকাউন্টে জমা হবে। আপনার বর্তমানে ব্যালান্স কত আছে এবং পেনডিং-এ কত আছে, সেটি জানার জন্য Transaction History-এ ক্লিক করুন।

ফ্রিল্যান্সে সফল হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ


  • ক) আপনার  প্রোফাইল ১০০%  করুন।
  • খ) আপনার প্রোফাইলে সুন্দর একটি Title এবং overview ঠিক করুন।
  • গ) আপনার Skills and Employment History ভালভাবে যুক্ত করুন।
  • ঘ) আপনার নিজের করা সেরা কাজগুলো (image + Link) যুক্ত করুন প্রোফাইলে।
  • ঙ)  আপনি প্রোফাইলে যেটিতে দক্ষ উল্লেখ করেছেন, সে ধরনের কাজগুলোতে বিড করুন। যেটি বিড করতে চাচ্ছেন, সেটি প্রোফাইলে না থাকলে কাজটি পাবেননা।
  • চ) কাউকে কপি করবেননা। প্রোফাইল তৈরিতেও না, কভার লেটার লিখার ক্ষেত্রেও না। নকল করার ক্ষেত্রে সাবধান। আপনার একাউন্ট পযন্ত বাদ হয়ে যেতে পারে।
  • জ) নতুন কাজে বিড করুন। ৪ থেকে ৫ জনকে ইতিমধ্যে ইন্টারভিউতে ডাকা হয়ে গেলে সেই কাজটি পাওয়ার সম্ভবনা খুবই ক্ষীণ।
  • ঝ) শুরুতে ছোট ছোট কাজ করে ফিডব্যাক সংগ্রহ করুন।
  • ঞ) কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে ইমোশনারলি ক্লায়েন্টকে আকর্ষণ করলে কাজ পাবেননা।
  • ট) বিডিং রেট বাজার রেটের চাইতে অস্বাভাবিক কমালে কাজ না পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে, তাতে আপনার ব্যাপারে নেগেটিভ ধারনা পাবে।
  • ঠ) বিড শুরু করার আগে বায়ারের রেটিং, পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড কিনা চেক করে নিন।
  • ড) আপনার পোর্টফোলিও হালনাগাদ করুন।
  • ঢ) অবশ্যই আপনার স্কাইপ অ্যাকাউন্ট রেডি করুন।
  • ণ) ধৈয্য ও অধ্যাবসায় খুব জরুরী। একদিনে কাজ পাওয়ার আশা না করে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

শেষ পর্বটি লিখতে দেরি হওয়ার জন্য সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। ২টা ফ্রিল্যান্সিং সেমিনারের (অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও পাবলিক লাইব্রেরীতে আয়োজিত)  জন্য ব্যস্ত ছিলাম। আগামী ৩জুলাই আবার যাচ্ছি চট্টগ্রামে। সেখানে সাউদার্ণ ভার্সিটিতে আউটসোর্সিং ক্যারিয়ারের উপর বক্তব্য দিব। সবাইকে আমন্ত্রন রইল। আর লেখাটি কেমন লাগল কমেন্ট করে জানাবেন। যাদের এখানে একাউন্ট নাই,  তারা ফেসবুক গ্রুপে এসে কমেন্ট করতে পারেন।
ফেসবুকগ্রুপঃ
সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন। আর উপরের টিউনটিটি ভাল লাগলে আপনার ফেসবুকে শেয়ার করতে ভুলবেননা। নাহলে অন্যরা লেখাটি সম্পর্কে জানতে পারবেনা। আপনার জন্য অন্য কারও উপকার হলে সারাজীবন আপনাআপনি দোয়া পাবেন।
Tag : ,

ঘরে বসে ইনকাম এর সবচেয় উত্তম মাধ্যম গুগল এডসেন্স

এডসেন্স কি ?

এডসেন্স গুগল এর একটি প্রতিষ্ঠান,গুগল এডসেন্স অনলাইন ভিত্তিক বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন দাতা সংস্থা। সহজ ভাষায় এডসেন্স হচ্ছে ব্লগ বা অয়েব সাইট থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য সব চেয়ে ভাল মাধ্যম। আপনার যদি একটি ভাল মানের ব্লগ বা অয়েব সাইট থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই শত শত ডলার ইনকাম করতে পারবেন এডসেন্স এর মাধ্যমে।

এডসেন্স কেন ?

আপনার অয়েব সাইট থেকে টাকা ইনকাম করতে সাহায্য করাই এডসেন্স এর কাম্য। বতর্মান সময়ে প্রায় সকল ধরনের জি্নিষপপত্র অনলাইনেই পাওয়া সম্ভব,তাই অনেকেই তাদের পন্য বিক্রির জন্য অনলাইন ভিত্তিক এড দিয়ে থাকে,আর যেহেতু অনলাইন বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের উত্তম মাধ্যম হচ্ছে এডসেন্স,তাই সবাইনির্দিষ্ট পরিমান অর্থের বিনিময়ে এডসেন্স কেই বেছে নেয়।সেই সকল এড আপনার অয়েব সাইট এ প্রদর্শনের মাধ্যমে আপনি ডলার ইনকাম করতেপারবেন, যদি আপনার একটি ভালো মানের ব্লগ বা অয়েব সাইট থাকে,সেই সাইটে যদি এডসেন্স এর এড ব্যবহার করেন আর সেই এড এ যদি কেউ ক্লিক করে তাহলে এডসেন্স সেই ক্লিক এর জন্য আপনাকে টাকা প্রদান করবে।

এডসেন্স কিভাবে পাবেন ?


এডসেন্স একাউন্ট পেতে হলে আপনাকে তদের সকল শর্ত মানতে হবে। প্রথমেই আপনার একটি মানসম্মত ব্লগ বা অয়েব সাইট থাকতে হবে। যদি থাকে তাহলে http://www.google.com/adsense এই সাইট এ গিয়ে সাইন আপ এ ক্লিক করুন এবার যে ফর্ম টি আসবে তাতে সঠিক তথ্য প্রদান করুন। যদি সব কিছু ঠিক থাকে তাহলে এডসেন্স এক থেকে দুই দিন এর মধ্যে আপনাকে জানাবে যে আপনি এডসেন্স এর যোগ্য কিনা।যদি এডসেন্স থেকে আপনার সাইট টি এপ্রুভ করা হয় তাহলে আর দেরি না করে এডসেন্স থেকে এড কোড নিয়ে আপনার সাইট এ কোড গুলি বসিয়ে দিন আর শুরু করে দিন ডলার ইনকাম।

আপনি কি পারবেন এডসেন্স থেকে ইনকাম করতে?

হ্যাঁ আপনিও পারবেন এডসেন্স থেকে ইনকাম করতে,কিন্তু তার জন্য আপনাকে সামান্য পরিশ্রম করতে হবে। ক‌য়েকটি গুন আপনার মধ্যে থাকতেই হবে যেমনঃ আপনাকে কিছুটা ইংরেজি জানতে হবে,ইন্টারনেট সম্বন্ধে ধারনা থা্কতে হবে,,ইনকাম করার জন্য ধৈয‍‌ ধারন করার ক্ষমতা থাকতে হবে। আপনার অয়েব সাইটে ভাল মানের ভিজিটর থাকতে হবে, আর সাইটে প্রচুর ভিজিটর আনার জন্য আপনাকে প্রতিদিন কমপক্ষে এক থেকে দুইটি পোষ্ট করতে হবে। পোষ্টগুলি অবশ্যই আপনার নিজের লেখা হতে হবে,তাহলেই আপনার সাইটে ভিজিটর বারবে ,আর যত ভিজিটর আসবে তত ক্লিক এর সংখ্যা বারবে তখন ইনকামও বারবে। চেষ্টা করে দেখুন আপনিও পারবেন অনলাইন থেকে ঘরেবসে ইনকাম করতে।আপনার মতোই হাজারো বাঙালি ঘরে বসে ইনোকাম করছে তাহলে আপনি পারবেন না কেন? আসাকরি ছোটবেলার কথাটা ভুলে যাবেন না কখনোই "এক বার না পারিলে দেখ শত বার"।

কোথায় এডসেন্স ব্যবহার করা যায়?

এডসেন্স ব্যবহার করে টাকা ইনকাম করতে চাইলে আপনাকে একটি প্রাইমারি ডোমেইন থাকতে হবে,যেমনঃwww.abcd.com, তবে যারা প্রথম দিকে টাকা খরচ করে com ডোমেইন কিনতে চান না তদের জন্যও ব্যবস্থা আছে, আপনি প্রথম দিকে http://www.blogger.com সাইট থেকে একটি ব্লগ বানিয়েও টাকা ইনকাম করতে পারবেন।আপনার ব্লগে বা সাইটের সার্চ বক্স এর মধ্যেও এড বসাতে পারবেন।ইউটিউব এ এড বসিয়েউ ইনকাম করা যায়।তবে ব্লগারে এড ব্যবহার করাই সবচেয়ে ভাল।

কিভাবে এডসেন্স থেকে টাকা প্রদান করা হয় ?

এডসেন্স থেকে টাকা পাওয়ার মাধ্যম হচ্ছে চেক, এডসেন্স চেক এর মাধ্যমে টাকা প্রদান করে থাকে,আপনার ইনকাম যখন ১০ ডলার অতিক্রম করবে তখন এডসেন্স আপনার এড্রেস ভেরিফাই করার জন্য একটা চিঠি পাঠাবে আপনার দেয়া ঠিকানায়, যদি এড্রেস টি ভেরিফাইড হয়ে থাকে তাহলে আপনার ইনকাম ১০০ ডলার অতিক্রম করলেই এডসেন্স আপনাকে চেক পাঠিয়ে দিবে।

এডসেন্স ব্যবহার করে কত টাকা ইনকাম করা সম্ভব?

অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে এডসেন্স থেকে কত টাকা ইনকাম করা সম্ভব?অনেকেই এডসেন্স কে সোনার হরিণ বলে মনে করেন। এডসেন্স এর ইনকাম এর অনুপাত দারাবে আপনার কঠোর পরিশ্রম এর উপর,আপনি যত পরিশ্রম করবেন তত বেশি ইনকাম করতে পারবেন।প্রতিদিন যদি আপনার সাইটে ১০০০ ভিজিটর আসে তাহলে ৪-৬ ডলার এর মত আয় করতে পারবেন,তবে ভাল কিওয়ার্ড থাকলে আর বেশি আয় করতে পারবেন।এডসেন্স প্রতি ক্লিক এর জন্য .১ সেন্ট থেকে শুরু করে ২০০ ডলার পর্যন্ত দিয়ে থাকে।চলুন দেখে নেয়া যাক কিছু অয়েব সাইট এর ইনকাম...............
Ranking by earningsWebsiteAdSense Earnings $Views per month
#1Mashable600,00025million
#2Digital Point500,000
#3Plenty Of Fish400,000
#4Digg250,00030million
#5TechCrunch240,000
#6Tweetmeme225,000
#7Perez Hilton200,00030million
#8Weblogs190,00025million
#9Shoe Money140,000
#10Click India85,0005.5million
এই অয়েব সাইট গুলি প্রতি মাসে লাখ লাখ আমেরিকান ডলার আয় করছে শুধু মাত্র এডসেন্স এর এড ব্যবহার করে,আসা করি কিছুটা হলেও ধারনা হয়েছে আপনি কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
Tag : , ,

freeluncer দের জন্যঃ odesk porfile 100% করার উপায়

ওডেস্ক প্রোফাইল শতভাগ পূর্ণ করার উপায়

প্রথমে প্রোফাইলকে শতভাগ পূর্ণ করুন। প্রোফাইল শতভাগ পূর্ণ হলে নিচের ছবির মতো তথ্য দেখতে পাবেন। ওডেস্ক অ্যাকাউন্ট ওপেন করার পরই প্রোফাইলকে পূর্ণ করাটা জরুরি। অবশ্য অনেক অভিজ্ঞ ডেভেলপার তার প্রোফাইলকে শতভাগ পূর্ণ না করে এবং কোনো ওডেস্ক টেস্ট না দিয়েই কাজ পেয়ে গেছেন এমন কথাও শোনা গেছে। তবে যারা মোটামুটি কাজ পারেন, তাদের জন্যই নিচে বর্ণিত ব্যবস্থা।
সুতরাং দেখা যাক প্রোফাইলকে শতভাগ করার প্রক্রিয়া।  নিচে ক্রমানুসারে বিষয়টি দেখানো হয়েছে :
০১. লগইন করার পর হোমপেজের ডান দিকে ইউজার নেমের Account & Profile settings-এ ক্লিক করুন।
০২. এবার আপনার Security Question-এর উওর দিন।
০৩. এখন Profile & Settings Option আসবে।
০৪. চিত্রে দেখুন বামদিকে Profile & Settings মেনু রয়েছে এবং User Info show হচ্ছে। এখান থেকে User Info, My Contractor Profile, My Test মেনুর অপশনগুলো ভালোভাবে পূর্ণ করলেই প্রোফাইল কমপ্লিটনেস ০% থেকে বাড়তে থাকবে।
০৫. Fill up User Info : ইউজার ইনফোতে দুটি সেকশন রয়েছে। একটি হচ্ছে Your Account info, অন্যটি Your Location Info।
০৬. Your Account info পরিচিতি : এখানে প্রথমে রয়েছে User ID, First Name, Last Name। এটি যখন প্রথম অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন তখনকার তথ্য।
০৭. এরপর রয়েছে Verification Status। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটিও কাজ পেতে সাহায্য করে। এটি ভেরিফাই করতে verify your identity লিঙ্কটিতে ক্লিক করুন। এখানে তিনটি ধাপ রয়েছে। প্রথমে একটি স্পষ্ট ফটো দিতে হবে, দ্বিতীয় ধাপে আপনার পাসপোর্ট বা ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটো এবং তৃতীয় ধাপে আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট দিতে হবে। এর ফলে ওডেস্ক আপনাকে কিছুদিনের মধ্যে আইডি ভেরিফাই করে দেবে।
০৮. এরপর রয়েছে Odesk Email, Personal Email এবং Security Email।
০৯. এরপর রয়েছে Portrait। এখানে আপনার ফটো দেবেন। ফটো দেয়ার সাথে সাথেই আপনার প্রোফাইল কমপ্লিটনেস ১০% বাড়বে।
১০. Your Location Info পরিচিতি : এখানে আপনার Timezone, Address, City, Country, Postal Code/Zip, Phone নাম্বার ইত্যাদি দেবেন।
Fill up My Contractor Profile : My Contractor প্রোফাইলে নয়টি সেকশন রয়েছে। এগুলো হচ্ছে My Account Summary, My Public Profile, Categories, Skills, Emplacement History, Education, Portfolio Project, Certifications, Other Experiences।
মাই কন্ট্রাক্টর প্রোফাইল শক্তিশালী হলে কাজ পেতে সুবিধা হয়। প্রথমদিকে বায়ারেরা কন্ট্রাক্টর প্রোফাইল এবং বিড অ্যামাউন্ট দেখেই কাজ দিয়ে থাকে।
মাই অ্যাকাউন্ট সামারি পরিচিতি

১.১. Title : টাইটেল হিসেবে আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্টের যে বিষয়গুলো পারেন, সেগুলো দিতে পারেন অথবা নিচের মতো একটি ট্যাগলাইন দিতে পারেন।
Title : PSD to XHTML, CSS, JAVASCRIPT, JQUIRY, PHP, MYSQL, JOOMLA, WORDPRESS, MAGENTO.
অথবা
Title : Creative & professional solution for web development.
১.২. Portrait-এ আপনার একটি সুন্দর ছবি দিন।
১.৩. Personal E-mail-এ আপনার ই-মেইল অ্যাড্রেস দিন।
১.৪. Hourly Pay rate-এ ঘণ্টা হিসেবে কাজের মূল্য লিখুন। নতুনেরা ৩ ডলার থেকে ৫ ডলার দিলে ভালো হয়। পরে অনেকগুলো কাজ সম্পন্ন করার পর Hourly Rate বাড়িয়ে দিতে পারেন।
১.৫. oDesk Ready-তে ওডেস্কে কাজ করতে হলে একটি রেডিনেস টেস্ট দিতে হয়। এখানে একটি রেডিনেস টেস্ট লিঙ্ক আছে, যেখানে টেস্ট দিতে হবে। টেস্ট শুরু করার আগে টেস্টের সাইটের নিয়মগুলো ভালো করে জেনে নিলে ভবিষ্যতে কাজের ক্ষেত্রে খুব উপকারে আসবে। আর পড়ার সময় না থাকলে ওডেস্কে রেডিনেস টেস্টের প্রশ্নের উত্তর পাবেন এই লিঙ্কে। তবে পরে সাইটের নিয়মগুলো সময় নিয়ে অবশ্যই জেনে নিন।
১.৬. Profile Completeness-এ বতর্মান প্রোফাইল সম্পন্ন হতে কত শতাংশ বাকি আছে তা এখানে দেখাবে এবং প্রোফাইল কমপ্লিটনেসের পাশে একটি লিঙ্ক থাকে, যা অনুসরণ করলে পর্যায়ক্রমে আপনার প্রোফাইল কমপ্লিটনেস বাড়বে।
১.৭. Job Application Quota-তে আপনি প্রতি সপ্তাহে কয়টি কাজে অ্যাপ্লিকেশন করতে পারবেন তা দেখাবে। প্রোফাইল কমপ্লিটনেস বাড়ার সাথে সাথে জব অ্যাপ্লিকেশন কোটা বাড়তে থাকে।
My Public Profile পরিচিতি

২.১. Profile Access-এ আপনার প্রোফাইল পাবলিক না প্রাইভেট রাখতে চান এখানে তা নির্ধারণ করে দিতে পারেন। প্রোফাইল অ্যাকসেস পাবলিক রাখলে সবাই আপনার প্রোফাইল দেখতে পারবে, আর প্রাইভেট রাখলে শুধু বায়ার আপনার প্রোফাইল দেখতে পারবে। ভালো হয় প্রোফাইল পাবলিক রাখলে। এতে সার্চ ইঞ্জিন এটি খুঁজে পাবে।
২.২. Display Name-এ নামের কোন অংশটুকু দেখাবে এখানে তা বলে দেয়া যায়।
২.৩. Primary Role-এ আপনার কাজের ধরন অনুযায়ী এখানে Primary role নির্দিষ্ট করতে পারেন। যেমন- প্রোগ্রামার/ডেভেলপার ডাটাএন্ট্রি, প্রফেশনাল, টেকনিক্যাল রাইটার ইত্যাদি উল্লেখ করে দিতে পারেন।
২.৪. Title সম্পর্কে ইতোমধ্যে আলোচনা করা হয়েছে ১.১-এ।
২.৫. Weekly Availability-এ সপ্তায় কত ঘণ্টা কাজ করতে পারবেন তা উল্লেখ করে দিতে পারেন। যেমন- আপনি যদি দিনে গড়ে ৩ ঘণ্টা ওডেস্কে কাজের জন্য ফ্রি থাকেন তাহলে ৩৭ = ২১ ঘণ্টা দিয়ে দিতে পারেন।
২.৬. Years of Experience-এ সংশ্লিষ্ট কাজে আপনার কত বছরের অভিজ্ঞতা আছে তা এখানে উল্লেখ করুন। অভিজ্ঞতা ৩ মাসের থাকলেও কমপক্ষে দুই বছরের উল্লেখ করুন।
২.৭. English-এ আপনার English Proficiency Level উল্লেখ করুন। আপনি যদি মোটামুটি ইংরেজি বুঝতে এবং লেখতে পারেন তাহলেও এখানে ৫ দিয়ে দিন।
২.৮. Objective-এ আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের উদ্দেশ্যসমূহ লিখতে পারেন।
Categories পরিচিতি
এখানে ফ্রিল্যান্সিং কাজের ধরন নির্ধারণ করে দিন। আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ে যে ধরনের কাজ করতে চান এখানে তার ক্যাটাগরি এবং সাব-ক্যাটাগরি নির্ধারণ করে দিন।
Skills পরিচিতি
আপনার নির্দিষ্ট বিষয়ে কী কী দক্ষতা আছে তা নির্ধারণ করে দিন। এখানে আপনার তৈরি করা কোনো প্রজেক্ট উল্লেখ করে দিতে পারেন।
Employment History পরিচিতি
আপনি যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে আগের কাজ করে থাকেন তাহলে এখানে তার বর্ণনা দিতে পারেন।
Education পরিচিতি
এখানে আপনার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার তথ্য দিন।
Portfolio Projects পরিচিতি

ওডেস্কে কাজ পেতে হলে এই অংশটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। Portfolio হচ্ছে আপনার আগের করা কাজগুলো। নতুন যারা ওয়েব ডেভেলপমেন্টে কাজ করতে চান এবং যাদের আগের কোনো কাজ নেই তারা ডেমো প্রজেক্ট বানিয়ে সার্ভারে রেখে দিন। এটি এখানে যোগ করুন আর বিড করার কভার লেটারে লিঙ্ক দিয়ে দিন। যেমন- আপনি যদি একজন ওয়েব ডিজাইনার হন, তাহলে একটি সুন্দর ওয়েবসাইট তৈরি করুন এবং এটি সার্ভারে রেখে দিন (www.yourdomain.com/yourproject)। আর আপনি যদি একজন ওয়েব প্রোগ্রামার হন তাহলে একটি ভালো ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করুন এবং এটি সার্ভারে রেখে দিন। যদি নিজের কোনো ওয়েবসাইট থাকে তাহলে প্রজেক্টগুলো আপনার ওয়েবসাইটের সাবডোমেইনে রেখে দিতে পারেন অথবা আপনার পরিচিতজনের ওয়েবসাইট থাকলে সেটির সাবডোমেইনে আপনার প্রজেক্টগুলো রেখে দিতে পারেন।
Certifications পরিচিতি

আপনার কোনো প্রফেশনাল সার্টিফিকেট থাকলে এটি এখানে উল্লেখ করতে পারেন। এটিও কাজ পেতে সাহায্য করে। Brainbench Certifications নিতে পারেন আপনি এখান থেকে।
Others Experiences পরিচিতি

আপনার অন্যান্য অভিজ্ঞতা আপনি এখানে বর্ণনা করতে পারেন। যেমন- আপনি যদি ওয়েব প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক্স খুব ভালো পারেন তাহলে এটি এখানে উল্লেখ করুন।
Tag : ,

The Won Blog Of EARN FOR TEICKS. The Blog Created by Bijoy Kumar Biswas. Designed by বিজয়*বিজন*বিজু