Popular Post

zwani.com myspace graphic comments

Showing posts with label oDesk. Show all posts

ফ্রীলেন্সারদের জন্যঃ odesk profile শতভাগ পূর্ণ করার উপায়




ওডেস্ক প্রোফাইল শতভাগ পূর্ণ করার উপায়

প্রথমে প্রোফাইলকে শতভাগ পূর্ণ করুন। প্রোফাইল শতভাগ পূর্ণ হলে নিচের ছবির মতো তথ্য দেখতে পাবেন। ওডেস্ক অ্যাকাউন্ট ওপেন করার পরই প্রোফাইলকে পূর্ণ করাটা জরুরি। অবশ্য অনেক অভিজ্ঞ ডেভেলপার তার প্রোফাইলকে শতভাগ পূর্ণ না করে এবং কোনো ওডেস্ক টেস্ট না দিয়েই কাজ পেয়ে গেছেন এমন কথাও শোনা গেছে। তবে যারা মোটামুটি কাজ পারেন, তাদের জন্যই নিচে বর্ণিত ব্যবস্থা।
সুতরাং দেখা যাক প্রোফাইলকে শতভাগ করার প্রক্রিয়া।  নিচে ক্রমানুসারে বিষয়টি দেখানো হয়েছে :
০১. লগইন করার পর হোমপেজের ডান দিকে ইউজার নেমের Account & Profile settings-এ ক্লিক করুন।
০২. এবার আপনার Security Question-এর উওর দিন।
০৩. এখন Profile & Settings Option আসবে।
০৪. চিত্রে দেখুন বামদিকে Profile & Settings মেনু রয়েছে এবং User Info show হচ্ছে। এখান থেকে User Info, My Contractor Profile, My Test মেনুর অপশনগুলো ভালোভাবে পূর্ণ করলেই প্রোফাইল কমপ্লিটনেস ০% থেকে বাড়তে থাকবে।
০৫. Fill up User Info : ইউজার ইনফোতে দুটি সেকশন রয়েছে। একটি হচ্ছে Your Account info, অন্যটি Your Location Info।
০৬. Your Account info পরিচিতি : এখানে প্রথমে রয়েছে User ID, First Name, Last Name। এটি যখন প্রথম অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন তখনকার তথ্য।
০৭. এরপর রয়েছে Verification Status। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটিও কাজ পেতে সাহায্য করে। এটি ভেরিফাই করতে verify your identity লিঙ্কটিতে ক্লিক করুন। এখানে তিনটি ধাপ রয়েছে। প্রথমে একটি স্পষ্ট ফটো দিতে হবে, দ্বিতীয় ধাপে আপনার পাসপোর্ট বা ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটো এবং তৃতীয় ধাপে আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট দিতে হবে। এর ফলে ওডেস্ক আপনাকে কিছুদিনের মধ্যে আইডি ভেরিফাই করে দেবে।
০৮. এরপর রয়েছে Odesk Email, Personal Email এবং Security Email।
০৯. এরপর রয়েছে Portrait। এখানে আপনার ফটো দেবেন। ফটো দেয়ার সাথে সাথেই আপনার প্রোফাইল কমপ্লিটনেস ১০% বাড়বে।
১০. Your Location Info পরিচিতি : এখানে আপনার Timezone, Address, City, Country, Postal Code/Zip, Phone নাম্বার ইত্যাদি দেবেন।
Fill up My Contractor Profile : My Contractor প্রোফাইলে নয়টি সেকশন রয়েছে। এগুলো হচ্ছে My Account Summary, My Public Profile, Categories, Skills, Emplacement History, Education, Portfolio Project, Certifications, Other Experiences।
মাই কন্ট্রাক্টর প্রোফাইল শক্তিশালী হলে কাজ পেতে সুবিধা হয়। প্রথমদিকে বায়ারেরা কন্ট্রাক্টর প্রোফাইল এবং বিড অ্যামাউন্ট দেখেই কাজ দিয়ে থাকে।
মাই অ্যাকাউন্ট সামারি পরিচিতি

১.১. Title : টাইটেল হিসেবে আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্টের যে বিষয়গুলো পারেন, সেগুলো দিতে পারেন অথবা নিচের মতো একটি ট্যাগলাইন দিতে পারেন।
Title : PSD to XHTML, CSS, JAVASCRIPT, JQUIRY, PHP, MYSQL, JOOMLA, WORDPRESS, MAGENTO.
অথবা
Title : Creative & professional solution for web development.
১.২. Portrait-এ আপনার একটি সুন্দর ছবি দিন।
১.৩. Personal E-mail-এ আপনার ই-মেইল অ্যাড্রেস দিন।
১.৪. Hourly Pay rate-এ ঘণ্টা হিসেবে কাজের মূল্য লিখুন। নতুনেরা ৩ ডলার থেকে ৫ ডলার দিলে ভালো হয়। পরে অনেকগুলো কাজ সম্পন্ন করার পর Hourly Rate বাড়িয়ে দিতে পারেন।
১.৫. oDesk Ready-তে ওডেস্কে কাজ করতে হলে একটি রেডিনেস টেস্ট দিতে হয়। এখানে একটি রেডিনেস টেস্ট লিঙ্ক আছে, যেখানে টেস্ট দিতে হবে। টেস্ট শুরু করার আগে টেস্টের সাইটের নিয়মগুলো ভালো করে জেনে নিলে ভবিষ্যতে কাজের ক্ষেত্রে খুব উপকারে আসবে। আর পড়ার সময় না থাকলে ওডেস্কে রেডিনেস টেস্টের প্রশ্নের উত্তর পাবেন এই লিঙ্কে। তবে পরে সাইটের নিয়মগুলো সময় নিয়ে অবশ্যই জেনে নিন।
১.৬. Profile Completeness-এ বতর্মান প্রোফাইল সম্পন্ন হতে কত শতাংশ বাকি আছে তা এখানে দেখাবে এবং প্রোফাইল কমপ্লিটনেসের পাশে একটি লিঙ্ক থাকে, যা অনুসরণ করলে পর্যায়ক্রমে আপনার প্রোফাইল কমপ্লিটনেস বাড়বে।
১.৭. Job Application Quota-তে আপনি প্রতি সপ্তাহে কয়টি কাজে অ্যাপ্লিকেশন করতে পারবেন তা দেখাবে। প্রোফাইল কমপ্লিটনেস বাড়ার সাথে সাথে জব অ্যাপ্লিকেশন কোটা বাড়তে থাকে।
My Public Profile পরিচিতি

২.১. Profile Access-এ আপনার প্রোফাইল পাবলিক না প্রাইভেট রাখতে চান এখানে তা নির্ধারণ করে দিতে পারেন। প্রোফাইল অ্যাকসেস পাবলিক রাখলে সবাই আপনার প্রোফাইল দেখতে পারবে, আর প্রাইভেট রাখলে শুধু বায়ার আপনার প্রোফাইল দেখতে পারবে। ভালো হয় প্রোফাইল পাবলিক রাখলে। এতে সার্চ ইঞ্জিন এটি খুঁজে পাবে।
২.২. Display Name-এ নামের কোন অংশটুকু দেখাবে এখানে তা বলে দেয়া যায়।
২.৩. Primary Role-এ আপনার কাজের ধরন অনুযায়ী এখানে Primary role নির্দিষ্ট করতে পারেন। যেমন- প্রোগ্রামার/ডেভেলপার ডাটাএন্ট্রি, প্রফেশনাল, টেকনিক্যাল রাইটার ইত্যাদি উল্লেখ করে দিতে পারেন।
২.৪. Title সম্পর্কে ইতোমধ্যে আলোচনা করা হয়েছে ১.১-এ।
২.৫. Weekly Availability-এ সপ্তায় কত ঘণ্টা কাজ করতে পারবেন তা উল্লেখ করে দিতে পারেন। যেমন- আপনি যদি দিনে গড়ে ৩ ঘণ্টা ওডেস্কে কাজের জন্য ফ্রি থাকেন তাহলে ৩৭ = ২১ ঘণ্টা দিয়ে দিতে পারেন।
২.৬. Years of Experience-এ সংশ্লিষ্ট কাজে আপনার কত বছরের অভিজ্ঞতা আছে তা এখানে উল্লেখ করুন। অভিজ্ঞতা ৩ মাসের থাকলেও কমপক্ষে দুই বছরের উল্লেখ করুন।
২.৭. English-এ আপনার English Proficiency Level উল্লেখ করুন। আপনি যদি মোটামুটি ইংরেজি বুঝতে এবং লেখতে পারেন তাহলেও এখানে ৫ দিয়ে দিন।
২.৮. Objective-এ আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের উদ্দেশ্যসমূহ লিখতে পারেন।
Categories পরিচিতি
এখানে ফ্রিল্যান্সিং কাজের ধরন নির্ধারণ করে দিন। আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ে যে ধরনের কাজ করতে চান এখানে তার ক্যাটাগরি এবং সাব-ক্যাটাগরি নির্ধারণ করে দিন।
Skills পরিচিতি
আপনার নির্দিষ্ট বিষয়ে কী কী দক্ষতা আছে তা নির্ধারণ করে দিন। এখানে আপনার তৈরি করা কোনো প্রজেক্ট উল্লেখ করে দিতে পারেন।
Employment History পরিচিতি
আপনি যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে আগের কাজ করে থাকেন তাহলে এখানে তার বর্ণনা দিতে পারেন।
Education পরিচিতি
এখানে আপনার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার তথ্য দিন।
Portfolio Projects পরিচিতি

ওডেস্কে কাজ পেতে হলে এই অংশটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। Portfolio হচ্ছে আপনার আগের করা কাজগুলো। নতুন যারা ওয়েব ডেভেলপমেন্টে কাজ করতে চান এবং যাদের আগের কোনো কাজ নেই তারা ডেমো প্রজেক্ট বানিয়ে সার্ভারে রেখে দিন। এটি এখানে যোগ করুন আর বিড করার কভার লেটারে লিঙ্ক দিয়ে দিন। যেমন- আপনি যদি একজন ওয়েব ডিজাইনার হন, তাহলে একটি সুন্দর ওয়েবসাইট তৈরি করুন এবং এটি সার্ভারে রেখে দিন (www.yourdomain.com/yourproject)। আর আপনি যদি একজন ওয়েব প্রোগ্রামার হন তাহলে একটি ভালো ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করুন এবং এটি সার্ভারে রেখে দিন। যদি নিজের কোনো ওয়েবসাইট থাকে তাহলে প্রজেক্টগুলো আপনার ওয়েবসাইটের সাবডোমেইনে রেখে দিতে পারেন অথবা আপনার পরিচিতজনের ওয়েবসাইট থাকলে সেটির সাবডোমেইনে আপনার প্রজেক্টগুলো রেখে দিতে পারেন।
Certifications পরিচিতি

আপনার কোনো প্রফেশনাল সার্টিফিকেট থাকলে এটি এখানে উল্লেখ করতে পারেন। এটিও কাজ পেতে সাহায্য করে। Brainbench Certifications নিতে পারেন আপনি এখান থেকে।
Others Experiences পরিচিতি

আপনার অন্যান্য অভিজ্ঞতা আপনি এখানে বর্ণনা করতে পারেন। যেমন- আপনি যদি ওয়েব প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক্স খুব ভালো পারেন তাহলে এটি এখানে উল্লেখ করুন।
Tag : ,

odesk কাজ করতে চান? কি শিখবেন? কিভাবে শিখবেন?

ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে আয় করা এখন যে আর কাল্পনিক কিছু নয় সেটি ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে। হাজার হাজার ছেলে মেয়ে এখন ফ্রিল্যান্সিংয়ের সঙ্গে যুক্ত। এ কাজটি করার মাধ্যমে তারা নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলেছে সেই সঙ্গে দেশকেও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে। অনলাইনে বেশ কয়েকটি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম রয়েছে তন্মধ্যে ওডেস্ক রয়েছে সবার উপরে। ওডেস্কে প্রতিদিন বিভিন্ন বিষয়ের উপর হাজার হাজার কাজ জমা পড়ছে। আর সে কাজগুলি করেই বিভিন্ন বিষয়ের দক্ষ ফ্রিল্যান্সারগণ নিজেদেরকে করে তুলেছে অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন। এ কথা থেকে সহজেই অনুমেয় যে ওডেস্কে কাজ পেতে হলে দক্ষতার কোন বিকল্প নেই।
কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে আপনি কি কাজ করবেন বা কোন বিষয়ে দক্ষ হবেন। এটি আসলে নির্ভর করে কোন ব্যক্তির কোন বিষয়ের কাজ ‍করার যোগ্যতা রয়েছে। যেমন কোন ব্যক্তি যদি শুধু টাইপিংয়ের কাজ জানে তাহলে তার উচিত হবে ডাটা এন্ট্রির কাজের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা।তো বন্ধুগণ এমনিভাবে আজ আমরা আলোচনা করব ফ্রিল্যান্সিংয়ের সফল হওয়ার জন্য কী কাজ শিখবেন এবং সেটি কীভাবেই বা শিখবেন?

কাজ পাওয়ার জন্য কী শিখবেন

কাজ পেতে হলে কিছু বিষয় অবশ্যই আপনার আয়ত্তে আনতে হবে। তো চলুন দেখে নেওয়া যাক কী শিখবেন?
● ইংরেজীর গুরুত্ব নিশ্চয় আপনাকে বোঝানো লাগবে না। সুতরাং ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফলতার জন্য ইংরেজী শিখুন।
● ৩) এরপর নিচের যেকোনটা  বেছে নিন , তবে যত বেশি জানবেন ততই লাভ,
ডাটা এন্ট্রির জন্য-অফিস প্যাকেজ, ওয়েব রিসার্চ, আর্টিক্যাল রাইটিং, ইউটিউব ডিটেইলস ইত্যাদি।
গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর জন্য- ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর,কোরেল ড্র, ইনডিজাইন শিখুন।
ওয়েব ডিজাইনিং এর জন্য-ফটোশপ, HTML, CSS, Javascript, JQuery,
ওয়েব ডেভেলপিং এর জন্য-HTML, CSS,পিএইচপি
কনটেন্ট ম্যানেজমেন্টের জন্য – ওয়ার্ডপ্রেস, জুমলা (ব্যাসিক ও আ্যডভান্স)

কাজ কীভাবে শিখবেন, কোথা থেকে শিখবেন?

● অনলাইনে যেকোন কাজ আপনি খুব সহজেই শিখতে পারেন বিভিন্ন টিউটোরিয়ালের মাধ্যমে। টিউটোরিয়াল খুজে পেতে গুগলের সহায়তা নিন।
●  ভিডিও দেখে শিখবেন। ইউটিউব ছাড়াও লিন্ডা ইত্যাদির ভিডিও টিউটোরিয়াল রয়েছে। বাংলায় আল-হেরা মাল্টিমিডিয়ার ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখেও শিখতে পারেন।

কিছু স্যাম্পল কাজ আগেই করে রাখুন

আপনি কোন কাজ করতে পারেন সেটি বায়ারকে শুধু মুখে বললেই তো আর কাজ পাওয়া যাবে না। বরং ঐ ধরনের কিছু কাজ আগে থেকে করে রেডি রাখুন এবং বায়ারকে দেখান। তবে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। তাছাড়া বাংলা প্রবাদটি তো আপনারও জানা যে “শুকনো কথায় চিড়া ভিজে না”।

কাজ পাওয়ার পূর্বশর্ত

ফ্রিল্যান্সিং ই এখন অনেকের মূল পেশা। আবার অনেকেই রয়েছেন অল্প কিছুদিন কাজ পাওয়ার চেষ্টা করে কাজ না পেয়ে হতাশাগ্রস্থ হয়ে ফ্রিল্যান্সিং-ই ছেড়ে দিয়েছেন।বিপরীতভাবে অনেকেই রয়েছেন যারা ধৈর্যের সাথে নিয়মিত চেষ্টা করে গেছেন এবং পরবর্তীতে কাজও পেয়ে গেছেন। এখন তারাই সফল ফ্রিল্যান্সার। সুতরাং একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে হলে আপনাকে অবশ্যই নিম্নোক্ত কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে।
● আপনাকে আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। খুব সহজেই হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়া চলবে না।
● আপনি যে ধরনের কাজ করতে চান সেসব কাজের কিছু স্যাম্পল আগেই তৈরী করে পোর্টফোলিওতে রাখতে হবে।
● আপনার দক্ষতাগুলি প্রকাশ পায় এমনভাবে সুন্দর একটি কাভার লেটার তৈরী করতে হবে।
● আপনি যে ধরনের কাজ করেন সে কাজের নিত্য নতুন ট্রেন্ডের সঙ্গে পরিচিত হতে হবে এবং সেগুলি শিখে আপনার আয়ত্তে রাখতে হবে।

আগে কাজ করুন, টাকা এমনিতেই পাবেন

আমাদের দেশ থেকে এখন লক্ষ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার ওডেস্কে কাজ করছে এবং কোন ঝামেলা ছাড়াই তাদের টাকা হাতে পেয়ে যাচ্ছে। সুতরাং টাকা পাওয়ার ব্যাপারে দুঃচিন্তা না করলেও চলবে। তবে আপনাকে যেটি নিয়ে চিন্তা করতে হবে সেটি হচ্ছে বায়ারের রেটিং এবং কাজটি কিভাবে পাওয়া যায়। কারণ বায়ারের রেটিং ভালো হলে টাকা পাওয়ার ব্যাপারটি নিয়ে বিন্দুমাত্র ঝামেলার আশঙ্কাও নেই। আর কাজটি পেয়ে আপনি সঠিকভাবে করে দিতে পারলে পেওনার, মানিবুকার, চেক, ওয়ার ইত্যাদি অনেক উপায়েই আপনি টাকা তুলতে পারবেন। সুতরাং টাকা কিভাবে পাবেন সে চিন্তা না করে বরং কোন কাজ কীভাবে পাবেন এবং সেটি কীভাবে করবেন সেটি চিন্তা করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
Tag : ,

অনলাইনে আয় করার দশ উপায়

তুমি কি বাংলাদেশে থাকো? তুমি কি অনলাইনে আয় রোজগারের সঠিক উপায় খুঁজছ? তাহলে আমার এই নিবন্ধটি পড়ো। এটি তোমার জন্য একটা সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। কারণ, অনলাইনে যে কিভাবে ঘরে বসে অনেকভাবে অর্থ উপার্জন করা যায়, তা এই নিবন্ধ পড়লে তুমি জানতে পারবে। আমি তোমাকে বলে রাখতে চাই যে, অনলাইনে আয় করা বাস্তব জীবনে আয় করার মতোই কঠিন। এখানে এমন কিছু রাস্তা আছে যেগুলোতে কাজ শুরু করা সহজ। কিন্তু এগুলো থেকে বেশি টাকা আয় করা যায় না। এর তুলনায় অন্যান্য উপার্জনের পন্থায় ভালো আয়ও হয় আবার তা ধারাবাহিকভাবেও বজায় থাকে। বাংলাদেশ থেকে অনলাইন আয় রোজগারের উপায়গুলো নিম্নে উপস্থাপন করলাম। আশা করি তোমাদের ভাল লাগবে।
১। প্যাড রিভিউ-এর মাধ্যমে আয় রোজগার
সার্ভে বা জরিপ একটা পুরাতন পদ্ধতি আর আমার মনে হয় তুমি এ বিষয়ে জানো। “সার্ভে” সাইটে তুমি গিয়ে নিবন্ধিত হবে আর সার্ভে বা জরিপ আসার অপেক্ষা করবে; সার্ভে ফর্ম পূরণ করে তোমার মতামত জানাবে, ব্যস! প্রতিটি সার্ভের জন্যে তুমি টাকা পাবে। এখানে, এমন কিছু ব্যবস্থাও আছে যেখানে, ইমেইল পড়ার ও জবাব দেওয়ারও কাজ থাকে। সার্ভে সাইট হিসেবে অন্যতম জনপ্রিয় সাইট হচ্ছে-সার্ভে সেভী।
২। নিবন্ধ লিখে আয় রোজগার
এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলো পাঠকদের লেখায় আপডেট হতে থাকে। কোন কোন সাইটে তারা লেখকদের সাথে মুনাফা ভাগ করে নেয়। তুমি এখানে বিভিন্ন নিবন্ধ লিখতে পারো আর তোমার আর্টিকেল বা নিবন্ধ যতো বেশি পাঠক পড়বে, তুমি ততো বেশি টাকা পাবে। “শুভং” নামক একটা ওয়েবসাইট আছে যারা তাদের লেখকদের সাথে শতকরা ১০ ভাগ গুগল এডসেন্স-এর লভ্যাংশও ভাগ করে নেয়।
৩। পিটিসি বা প্যাড-টু-ক্লিক এ আয় রোজগার
পিটিসি বা প্যাড-টু-ক্লিক এর সাহায্যে তুমি ওয়েবসাইট(শুধুমাত্র স্পনসরড্ সাইটগুলো‌)ব্রাউজ করার জন্যে টাকা পাবে। এতে আরো উপায় আছে যাতে ওয়েবসাইট সার্ফ করে, ওয়েবসাইট দেখে আর ওয়েবসাইট সার্চ করে টাকা উপার্জন। সত্যকথা বলতে কি, এই সাইটগুলো আয়ের তুলনায় অনেক বেশী সময় অপচয় করে। এরা তোমার একেক ইউনিট এডের পেছনে তোমার ব্যয়ের তুলনায় খুবই কম টাকা দেয়। একটা জনপ্রিয় পিটিসি সাইট যারা ভালো অর্থ প্রদানও করে থাকে সেটি হচ্ছে- বাক্স টু।
৪। তোমার তোলা ছবির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন
যদি তুমি একজন ফটোগ্রাফার বা চিত্রগ্রাহক হয়ে থাকো, তবে তোমার তোলা আকর্ষণীয় ছবিগুলো অনলাইনে বিক্রি করতে পারো। অনলাইনের ডিজাইনাররা তাদের প্রজেক্টের জন্যে অনেক ছবি খুঁজে থাকেন, তুমি তাদের নিকট তোমার ছবিগুলো বিক্রি করতে পারো। তুমি তোমার ছবিগুলো আই-স্টক-ফটোস্‌ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রিও করতে পারো।
৫। গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আয় রোজগার
গুগল এডসেন্সে আয় করার জন্যে তোমার একটা সচল ওয়েবসাইট অথবা ব্লগ প্রয়োজন। তুমি নিশ্চয়ই দেখেছো এমন বিলবোর্ড বা পোস্টার যেখানে তারা(জনৈক অসাধু ব্যবসায়ীরা) দাবি করে যে, তুমি এখান ১০ থেকে ২০ ডলার দৈনিক আয় করতে পারবে- এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা! গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম হয় তখন যখন, কেউ গুগলের সেসব এডে ক্লিক করে। কিন্তু, এখানে ইনকাম করার পূর্বে তোমাকে একটা তথ্যসমৃদ্ধ ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে হবে। কিন্তু, তোমাকে সেসব নকল এডসেন্স শেখার জায়গায় এই শেখানো হয় যে, কিভাবে চুরির লেখা দিয়ে একটা নকল ওয়েবসাইট বানাতে হয়, এটাতো আসল নয় কারণ এটা একটা ধোঁকাবাজি।
google.com/adsense
৬। তোমার মতামত প্রকাশের জন্যে টাকা পাবে
হ্যাঁ, এটিই নতুন দিনের আয় রোজগার মাধ্যম, এখন তুমি টাকা নিয়ে যেকোন ওয়েবসাইট বা কোম্পানির ব্যাপারে তোমার মতামত দিয়ে একটা নিবন্ধ লিখে ফেলো তোমার ব্লগে। প্যাড রিভিউ সাইটগুলো কল্যাণে, এখন তারা(কোম্পানি বা ওয়েবসাইটগুলো) তোমাকে তাদের ব্র্যান্ড, পণ্য বা ওয়েবসাইটের বিষয়ে লেখার জন্যে অর্থ পরিশোধ করবে। তোমার এই মতামত বা ব্লগ তাদের নিয়ে বাজারে আলোড়ন সৃষ্টি করবে আর তারা পাবে অধিক পাঠক ও ক্রেতা। এরকম একটা জনপ্রিয় প্যাড রিভিউ সাইট হচ্ছে-সোস্যাল সম্পর্ক।
৭। এফাইলিয়েট মার্কেটিং-এর মাধ্যমে আয় রোজগার(সেবামূলক গোষ্ঠীর সাহায্য করা)
এটি একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে তুমি তোমার ওয়েবসাইটে কোন পণ্যের প্রচার করবে আর যখন পণ্য বিক্রি হবে, তখন তুমি এর থেকে কমিশন পাবে। এখানে অনেক আধুনিক আর ভালো পণ্য আছে যেগুলো বিক্রি করা যায় আর মানুষ কিনতেও আগ্রহী; তুমি একজন এফাইলিয়েট হয়েও কাজ করতে পারো। তুমি “ক্লিক ব্যাংক”-এর মাধ্যমে একজন এফাইলিয়েট হয়ে পণ্য বিক্রয় করতে পারো।
৮। ব্যানার এডস্‌ বা “ব্যানার” জাতীয় বিজ্ঞাপন বিক্রি করে আয় রোজগার
যদি তোমার একটা প্রতিষ্ঠিত ওয়েবসাইট বা ব্লগ থাকে, তবে বিজ্ঞাপনদাতারা তোমার ব্লগে তাদের বিজ্ঞাপন দিতে দ্বিধাবোধ করবে না। একেই বলে, ব্যানার এডস্‌ অথবা সরাসরি ইনকামের সুযোগ। তোমার ওয়েবসাইটের জনপ্রিয়তা যতো বেশি হবে তোমার পাঠক সংখ্যা বাড়বে ততো বেশি হবে আর তোমার আয়ও বাড়তে থাকবে।
৯। ফ্রি-লেন্সিং বা অস্থায়ী কর্মী হিসেবে অর্থ উপার্জন
ঘরে বসে ফ্রি-লেন্সিং করা আয় রোজগারের একটা চমৎকার সুযোগ। তোমার যদি ডাটা এন্ট্রি, গ্রাফিক্স ডিজাইন অথবা এডমিনিস্ট্রেশন বা তদারকির কাজে দক্ষতা থাকে তাহলে, তুমি অনলাইনে এসব কাজ করে আয় রোজগার করতে পারো। তুমি চাইলে ফ্রিলেন্সিংভিত্তিক একটা ক্যারিয়ারই গড়ে তুলতে পারো।
১০। টুইটার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয় করা
বিজ্ঞাপনদাতাগণ বর্তমানে তাদের ক্যাম্পেইন বা বিজ্ঞাপন উদ্যোগগুলো “টুইটার” বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে চাচ্ছেন। এজন্যে, তোমার কোন ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইট থাকারও প্রয়োজন নেই। এমন অনেক কোম্পানি রয়েছে, যারা টুইটার বিজ্ঞাপনের কাজ করে থাকে যেমন- মেগ-এ-পাই।
অনলাইনে আয়ের টাকা বাংলাদেশে কিভাবে পাবে?
১. চেকে টাকা পাওয়া
এটা একটা ব্যাংকের চেক যেটি তুমি যেকোন ব্যাংক থেকেই উত্তোলন করতে পারবে। এডসেন্স ও অন্যন্য সাইট এরকম চেকে টাকা পাঠিয়ে থাকে। এটা বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর সবচেয়ে সাধারণ ও জনপ্রিয় মাধ্যম।
২. পেপ্যাল-এর মাধ্যমে টাকা পাওয়া
পেপ্যাল টাকা পাওয়ার একটি জনপ্রিয় মাধ্যম, যেটি তোমাকে অনলাইনে টাকা পেতে সাহায্য করবে। অবশ্য, এখনও পেপ্যাল বাংলাদেশে আসেনি কিন্তু শীঘ্রই আসবে।
৩. পেওনিয়ার প্রিপেইড ডেবিট মাস্টারকার্ড
এটা বাংলাদেশে অনলাইনের টাকা পাওয়ার জন্যে নতুন একটা রাস্তা। তুমি ওডেস্ক থেকে মাস্টারকার্ড পেয়ে সেই কার্ড থেকে টাকা উঠাতে পারো। পড়ে নাও-বাংলাদেশে ওডেস্ক পেওনিয়ার প্রিপেইড ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে অর্থ প্রাপ্তি।
৪. মানিবুকারস্‌ থেকে টাকা প্রাপ্তি
মানিবুকারস অনেকটা পেপ্যালের মতোই। আর এটা তোমার ব্যাংক একাউন্টের মতনও। বাংলাদেশে এটা প্রচলিত আছে।
৫. এলার্টপে
এর মাধ্যমে টাকা পাওয়া। এটিও পেপ্যালের মতোই আর বাংলাদেশে প্রচলিত আছে। তুমি এর টাকা ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন থেকে উঠাতে পারো।
৬. ই-গোল্ড ব্যবহার টাকা প্রাপ্তি
পেপ্যালের মতোই ই-গোল্ড।
আমি অনলাইনে কত টাকা আয় করতে পারবো?
এটা তোমার পরিশ্রম, দক্ষতা আর পদ্ধতির উপর নির্ভর করবে, তুমি চাইলে ৫০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা প্রতি মাসে আয় করতে পারবে। আয় সম্পূর্ণ নির্ভর করে তোমার বিশ্বস্ততা ও পরিশ্রমের উপর। এখন, তুমি চাইলে ১৫,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা বা উপরে ৫০,০০০ প্রতি মাসে উপার্জন করতে পারো। আমার একটা পরামর্শ নিতে পারো, এখানে সত্যিই অনেক টাকা বানানো যায় আর এটা কোন ফাজলামো নয়, তুমি যাই করো গম্ভীর হয়ে করবে আর কঠোর পরিশ্রম করবে। কখনো চুরি, ধোঁকাবাজি করবে না আর তোমার কাজের প্রতি সৎ থাকার চেষ্টা করবে।
Tag : ,

কি কি কারণে ওডেস্কের আ্যাকাউন্ট ব্যান হতে পারে

কি কি কারণে ওডেস্কের আ্যাকাউন্ট ব্যান হতে পারে
  • ১. একই পি সি থেকে একাধিক একাউন্ট করলে আইডি ফ্ল্যাগ হতে পারে। সেক্ষেত্রে আইডি ভেরিফিকেশন করে নিলে সমস্যা হবে না।
  • ২. ওডেস্ক অ্যাকাউন্ট ব্যান হওয়ার আরেকটি বড় কারণ কাভার লেটার স্প্যামিং, যেটির কারণ মূলত কপি পেস্ট। অন্যের কাভার লেটার তো কপি করবেনই না, বরং নিজের কাভার লেটারও বারংবার কপি না করে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে লিখুন।
  • ৩. কাভার লেটারে কোন প্রকার কন্টাক্ট ইনফরমেশন দিবেন না। কন্টাক্ট ইনফরমেশন দিলে আপনার অ্যাকাউন্ট ব্যান হয়ে যাবে এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।
  • ৪. যারা ওডেস্কের বায়ার তাদের জন্য একটা কথা নিজের টিম মেম্বার কে হায়ার করলে অ্যাকাউন্ট ব্যান হবে না।

  • ৫. বায়ার যদি আপনার সাথে কোন রকম ২ নাম্বারি করে তাহলে নিজে আ্যকশনে যাবার কোন দরকার নেই। বায়ারের সাথে কোন রকম বাকবিতন্ডা করবেন না। কারণ বায়ারের নেগেটিভ কমপ্লিমেন্ট আপনার ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই এক্ষেত্রে আপনি বায়ারের সকল উল্টা পাল্টা কর্মকান্ডের স্ক্রীনশট, তথ্য প্রমানাদি সংরক্ষন করুন এবং ঠান্ডা মাথায় ওডেস্ক কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিন। তাহলে ওডেস্কই বায়ারকে ভাল উত্তম মধ্যম দিবে।
  • ৬. কখনই অন্যের প্রোফাইলের জিনিসপত্র আপনার প্রোফাইলে বসাবেন না, সোজা বাংলায় নকল করবেন না। নকল করলেন তো মরলেন। একটা কথা মনে রাখবেন, ভাল একজন ফ্রিল্যান্সারের প্রোফাইলের অনুকরণ নয়, অনুসরণই আপনাকে সঠিক গন্তব্যে পৌছাতে সাহায্য করতে পারে।
  • ৭. আপনি কখনই অন্যের পোর্টফোলিও নিজের নামে চালাতে যাবেন না। যদি এ কাজটি করেন তাহলে ফলাফল নগদেই হাতে হাতে পেয়ে যাবেন্।
Tag : ,

ODesk যাদের জন্য ( নয় )

বাংলা ব্লগ এবং কম্যুনিটির সুবাদে ODesk ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের কাছে একটি পরিচিত নাম। আজকাল আবার দেখছি দেশের গনমাধ্যমও আউট সোর্সিং এর নাম নিতে ODesk ODesk করছে। কিন্তু এর ফলাফল হিসেবে অনেক অনেক বাংলাদেশী ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ODesk সম্মন্ধে জেনে বা না জেনে রেজিস্ট্রেশন করছেন। যারা জেনে ODesk এ সাইন আপ করছেন এদের সংখ্যা খুবই কম বেশির ভাগ ই না জেনে রেজিস্ট্রেশন করছেন এবং অদ্ভূত কর্মকান্ড করে বাইরের Employer দের কাছে বাংলাদেশীদের সম্পর্কে বাজে ধারনা তৈরী করছেন। নীচের লেখা গুলো তাদের জন্য
ODesk Logo
ODesk যাদের জন্য নয়
১. যারা ইংরেজীতে কথা বলতে জানেন না, ODesk তাদের জন্য নয়
২. যারা কাজ জানেন না, ক্লিক করে উপার্জন করতে চান, ODesk তাদের জন্য নয়
৩. যারা কাজ শিখতে চান, ODesk তাদের জন্য নয়, ODesk শুধুমাত্র প্রফেশনালদের জন্য
৪. যারা ডেডলাইন কি জিনিস এটা বোঝেন না, ODesk তাদের জন্য নয়
৫. যারা সল্প সময়ে টাকা / ডলার পেতে চান বা ধৈর্য্য নেই ODesk তাদের জন্য নয়
আসল কথা, আপনি ODesk এ যদি কাজ করতে চান তবে পর্যাপ্ত যোগ্যতা এবং ধৈর্য্য নিয়ে আসতে হবে। তা-না হলে আপনার নিজের কোনোই লাভ নেই, শুধু শুধু সময় নষ্ট।
Tag : ,

একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে odesk-e গত তিন মাসে আমার অবস্থান

ওডেক্সে আমার যাত্রা শুরু গত তিন মাস আগে।খু্বই চিন্তায় ছিলাম কিভাবে ওডেস্কে সহজে আগানো ও কাজ পাওয়া যাবে তা নিয়ে। আমার মাথায় ছিল কোন ক্যাটাগরিতে কাজ করলে সহজে কাজ পাওয়া যাবে। এজন্য আমি SEO,Blogging, Web Development & Design, Writing ইত্যাদির উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করি।
ওডেস্কে কাজ পাওয়ার জন্য প্রথমে চিন্তা করে বের করি কোন দক্ষতা নিয়ে কাজের আবেদন করলে সহজে কাজ পাওয়া যাবে। SEO শিখার সময় আমি yahoo-answers এর উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে ছিলাম। ওডেক্সে সার্চ করে দেখলাম yahoo-answers এর উপর কাজ খুবই কম। তাই আমি ওডেক্সে yahoo-answers কে প্রথম কাজ পাওয়ার কৌশল হিসাবে বেছে নিলাম। যথারীতি আবেদন করলাম এবং কাজও পেলাম। এই মুর্হূতে ওডেক্সে Find contractors এ yahoo-answers দিয়ে সার্চ দিলে আমার পজিশন 2 (দুই) নাম্বারে। আমার জন্য সুখবর হলো এই যে, আমার এখন yahoo-answers এ কাজের জন্য বিড করতে হয় না। বিড করা ছাড়াই ওডেস্ক এবং ওডেস্ক মার্কেটপ্লেস এর বাহিরে প্রতি মাসে 5/7টি কাজ পায় নিয়মিত।
ওডেস্ক এ আমার yahoo-answers সার্চ প্রোপাইলঃ https://www.odesk.com/o/profiles/browse/min/0/max/45/hrs/0/?q=yahoo-answers
আমার ওডেক্স প্রোপাইলঃ https://www.odesk.com/users/Writing-Wordpress-Joomla-Drupal-PHPBB-Ecomme...
Tag : ,

ZOVOXZ INSTITUTE-e নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ফ্রি কনসাল্টেশন !

নতুন ফ্রিল্যান্সারদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও গাইডলাইন দেয়ার জন্য ZOVOXZ INSTITUTE প্রতি শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আয়োজন করছে ফ্রি কনসাল্টেশনের । যারা ফ্রিল্যান্সিং করার কথা ভাবছেন কিন্তু কোথা থেকে শুরু করবেন, কি দিয়ে শুরু করবেন বা কোন বিষয়ে কাজ করবেন এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যান ।
অনেকেই বিভিন্ন গ্রুপ, ব্লগ বা ফোরামে সাহায্য চান কিন্তু অনেকেই সেখান থেকে সমাধান দিলেও বুঝতে পারেন না । তাই তাদের সুবিধার্থে হাতে-কলমে বিষয়গুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেয়ার জন্য ZOVOXZ এর একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস । ইতোমধ্যে কয়েক সপ্তাহে অনেক নতুন ফ্রিল্যান্সার বা ফ্রিল্যান্সার হতে আগ্রহীদের নিয়ে সফলভাবে কন্সালটেশনের আয়োজন করা হয়েছে । যারা ফ্রিল্যান্সিং করছেন তারা যদি কাজ করতে গিয়ে কোথাও সমস্যায় পড়েন তাহলে সরাসরি অফিসে গিয়ে ZOVOXZ TEAM এর সহায়তা নিয়ে সমস্যার সমাধান করতে পারবেন ।
Free-Consultation

কারা যোগ দিতে পারবে ?
  • নতুন ফ্রিল্যান্সার
  • ফ্রিল্যান্সার হতে আগ্রহী যে কেউ
  • প্রোগ্রামিং, ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ইত্যাদি নিয়ে কাজ করতে ইচ্ছুক ব্যাক্তি

কি কি বিষয়ে আলোচনা হবে ?
  • স্কিল ডেভলপমেন্ট
  • ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস
  • ক্যারিয়ার

কিভাবে যোগ দিবেন ?
ফ্রি কনসাল্টেশনে যোগ দিতে চাইলে এই লিঙ্ক থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে ।

অফিসের ঠিকানাঃ
জোভোক্স লিমিটেড
স্যুইট# ০৬, লেভেল# ০৮ (এ. কে কমপ্লেক্স)
১৯, গ্রিন রোড, ঢাকা-১২০৫
হটলাইনঃ ০১৫ ১১ ৯৬ ৮৬ ৯৯
ওয়েবসাইটঃ www.zovoxz.com
Tag : ,

সফল ফ্রিল্যান্সার হউন: সাথে বাংলা ভিডিও টিউটোরিয়াল

আসসালামুআলাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজকে লিখতে বসলাম ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে। ইদানিং এইটি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এছাড়া অতিরিক্ত কিছু টাকা আয়ের জন্য অনেক ভালো একটি উপায় হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। কিন্তু এটি নিয়ে এখন ব্যবসা শুরু হয়ে গেছে। চারদিকে নানা রকম কোর্স, নানা রকম ওয়েবসাইট। কি বিশ্বাস করবো, কাকে বিশ্বাস করবো, কোন ওয়েবসাইট বিশ্বাস করব? এই প্রশ্নের জবাব আমি আপনাকে দিয়েই দেওয়াবো! কিভাবে? তাহলে পুরো লেখাটি পড়ুন।
প্রথমে শুরু করি ওয়েবসাইট দিয়ে। আপনি কিভাবে বুঝবেন, আপনি যে ওয়েবসাইটে কাজ করছেন এটি আসল নাকি নকল? এটির জন্য নিচের ছবিটি দেখুন।

কি দেখলেন? একটি ওয়েবসাইটের লিঙ্ক। এটি একটি সনদ বলা যায়। একটি ওয়েবসাইট কতটা আসল বা নকল তা নির্ভর করে এই সনদটির উপর। আমি বলতে চাচ্ছি, যে কোনো টাকা লেনদেনের ওয়েবসাইটে এই সনদটি অবশ্যই থাকবে। আর যদি না থাকে তাহলে বুঝবেন সেই ওয়েবসাইটে কোনো ঝামেলা আছে। তবে এই সনদ ছাড়া যে সব ওয়েবসাইটই নকল তা না, তবে ৯৫% ই নকল। তাই কোনো টাকা লেনদেনের ওয়েবসাইটকে বিশ্বাস করার আগে এই বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে নিন।
জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটের নাম সবারই জানা, তাই সেগুলো নিয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। কিন্তু আপনি কি কাজ করবেন? সেটি সম্পূর্ণ আপনার ভালো লাগা ও দক্ষতার উপর নির্ভর করে। তবে মনে রাখবেন, যদি আপনি একদিনে কোটিপতি হয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে থাকেন। তবে আমি বলবো ফ্রিল্যান্সিং বাদ দেন। তাহলে আপনি কোন কাজটি করতে পারেন? যদি আপনার হাতে খুব বেশি সময় না থাকে তবে এসইও এর কাজ শিখতে পারেন। এটি শিখতে খুব বেশি সময় লাগে না, কিন্তু কাজ করতে অনেক সময় প্রয়োজন। কারণ এসইও এক/দুই ঘন্টার কাজ না। আর ইদানিং বাংলাদেশে অনেকেই এসইও এর কাজ করছে। যার ফলে এই কাজের রেট দিন দিন কমে যাচ্ছে। ইদানিং দেখি ওদেস্ক এর ক্লায়েন্টরা কাজের বর্ণনার মাঝেই লিখে দেয় 0.20/hr ডলার বাকিটা আপনিই বুঝতেই পারছেন। এসইও শিখতে আপনার জন্য বাংলা ভিডিও টিউটোরিয়াল
এছাড়া ওয়েব ডিজাইন ও গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজের রেট তুলনামূলক ভাবে বেশি। এই কাজ গুলো করতে এসইও এর থেকে কম সময় লাগে কিন্তু শিখতে অনেক সময় লাগে ও প্রচুর মাথা খাটাতে হয়। ওয়েব ডিজাইন ও গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপর বাংলা ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখতে চাইলে ফ্রী বাংলা টিউটোরিয়াল তো আছেই। এছাড়া আর্টিকেল লিখেও ভালো টাকা আয় করা সম্ভব, কিন্তু তাতে অবশ্যই ইংরেজীতে ভালো দখল থাকতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং এ সফল হওয়ার কিছু উপায়:

  • এটির জন্য অবশ্যই আপনাকে দক্ষ হতে হবে
  • সুন্দর একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে
  • আপনার একটি সুন্দর ব্লগ বা ওয়েবসাইট থাকা উচিত, যাতে আপনার দক্ষতার পূর্ণ পরিচয় পাওয়া যায়
  • ক্লায়েন্টকে মুগ্ধ করার মত কভার লেটার লেখার যা অবশ্যই কাজের বর্ণনার সাথে মিল থাকতে হবে
  • ক্লায়েন্ট যে কাজটির জন্য জব পোস্ট করেছে, যদি সম্ভব হয় তবে সেই কাজের কিছু স্যাম্পল করে কভার লেটারে যুক্ত করে দিন
  • আপনার স্কাইপি, গুগলটক্, ইয়াহু ম্যাসেঞ্জার, টিম ভিউয়ার সবসময় একটিভ রাখুন
  • সবসময় ক্লায়েন্টের সাথে দ্রুত যোগাযোগের চেষ্টা করুন
  • যে কাজ পারবেন না শুধু শুধু ঐসব কাজে বিড দিবেন না
আর সকল ফ্রিল্যান্সারের কাছে আমার আকুল আবেদন, দয়া করে মনসম্মত রেটে বিড দিবেন। $০.২/hr রেটে কাজ করার থেকে রাস্তার মাঝে ভিক্ষা করেন, অনেক বেশি টাকা পাবেন। আমরা অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং করতে আগ্রহী কিন্তু ঠিক মত প্রোফাইল তৈরি করতে পারি না বা সঠিক নিয়মে তা করি না। যার ফলে আমাদের কাজ পাওয়াটা খুব কষ্টকর হয়ে যায়। এই নিয়ে বাংলা ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখতে পারেন।
সবশেষে বলবো, কষ্ট করুন, দক্ষ হউন, সফলতা আপনার কাছে আসতে বাধ্য। আমার কোনো কথায় কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে মাফ করবেন। সবাইকে ধন্যবাদ।
Tag : ,

ফ্রিল্যান্সারদের ডলার ভাঙ্গিয়েও আয় করা যায়

 একাধারে ওয়েব ডেভেলপার, গ্রাফিক্স ডিজাইনার, ব্লগার, এসইও, আউটসোর্সিং এবং ইন্টারনেট মার্কেটিং নিয়ে কাজ করছি। 2008 সালে এস.এস.সি পরীক্ষা শেষ করে আতাউর রহমান সোহেল নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রথম মাইক্রোসফট অফিস সম্পর্কে শিক্ষা নেওয়ার মাধ্যমে এই জগতে আমার অনুপ্রবেশ। আমার প্রথম ওয়েবডিজাইন মাত্র ১ মাস নিজে নিজে শেখার পরেই করি। এই কাজের পর থেকেই আবার সবার সামনে নিজেকে অন্য পরিচয়ে নিয়ে আসি। শুরু হয় নতুন জীবনের পদচারনা এবং এখনও চলছে।
আমি গতানুগতিক ধারার বাইরে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে থাকি। বাংলাদেশে যারা অনলাইনে আয় করা ডলার ক্যাশ করতে সমস্যায় পরেন তাদের জন্য আমি পেপ্যালসহ অন্য ইন্টারন্যাশনাল কার্ড সাপোর্ট দিয়ে থাকি। নতুন যারা ফ্রিল্যান্সিং এ আসেন তাদের জন্য প্রাথমিক অবস্থায় ডলার ভাঙ্গান একটু ঝামেলা হয়ে যায়। আবার অনেক পুরানা লোকও জরুরী টাকার প্রয়োজনে আমার কাছে ডলার ভাঙ্গাতে আসে। আমি তাদের ডলার ভাঙ্গিয়ে দিয়ে একটা কমিশন রাখি। এর থেকেও আমার আয় হয়। আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম পেবিডিটি।
আমি যখন দেশের বাইরের কাজ যোগাড় করার চিন্তা করি, তখন মাথাতে আসে প্রথম ই-কমার্স ব্যবসা করার। এই পরিকল্পনা থেকে আমি আমার এক অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী বন্ধুর মাধ্যমে সে দেশে ব্যবসা করার লাইন্সেস নেই। একটা ই-কমার্স সাইট বানাই আমার অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী সেই বন্ধুর সাহায্য নিয়ে। তখন এই ব্যবসার জন্য পেপ্যাল, মাস্টারকার্ড, ভিসা কার্ড এর ব্যবস্থা করি। ৫ টা অষ্ট্রেলিয়ান ওয়্যার হাউজের সাথে চুক্তিও শেষ করি। কিন্তু যে ধরনের সেটআপ দরকার সেটার ব্যবস্থা করতে পারছিলাম না। তখন আপাতত সেটার পরিকল্পনা বন্ধ রাখলাম। আবার অন্যদিকে আমার কাছে বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল কার্ড আছে জানার পর অনেকে তাদের বিভিন্ন সার্ভিসের জন্য আমার সাহায্য নেয়া শুরু করল। তখন অনেকের অনুরোধ রাখতে গিয়ে শুরু করি অনলাইন পেমেন্ট সাপোর্ট ব্যবসা। এই প্রজেক্টের নাম দেই পেবিডিটি। সেটা করার পর আমি অনেক কিছু শিখতে পারি। ফ্রিল্যান্সিং জগতের অনেক অলিগলি সম্পর্কে জানতে পারি। কারন যারা অনলাইনে উপার্জন করে তাদের অনেকে ডলার আনার জন্য পেবিডিটি'র সার্ভিস নিয়ে থাকে। এই সার্ভিস দিতে গিয়ে দেখি, অনেকে অনেক জায়গা থেকে ইনকাম করে। অনেক অজানা পদ্ধতিগুলো জানতে পারি। মূলত এই ব্যবসা করতে গিয়েই ফ্রিল্যান্সিংয়ের ব্যাপারে ভাল ভাবে উদ্ধুদ্ধ হই।
আমাদের দেশে অনলাইনে যারা উপার্জন করে তারা সবাই এক জায়গাতেই দৌড়ায়। যখন ডাটা এন্ট্রির হাওয়া ছিল তখন সবাই মিলে এই কাজটাই করেছে। যখন লাইভ স্ট্রিমিংয়ের এফিলিয়েশন শুরু হল সবাই এই জায়গাতে ঝাপিয়ে পড়ল। এখন চলছে ওডেস্কের হাওয়া, সবাই এখন এখানে সাতার কাটছে। কিন্তু অনলাইন ইনকাম মানে শুধু মাত্র ওডেস্ক, এফিলিয়েশন না। আরও অনেক উপায় আছে, যেগুলা আমরা জানিনা। সেগুলা মানুষকে জানানোর জন্য আমার একটা বই ছাপানোর পরিকল্পনা আছে। সেটা বর্তমানে প্রতি মঙ্গলবার দৈনিক আমার দেশ পত্রিকাতে "অনলাইনে ইনকামের ১০০ উপায়" শিরোনামে ছাপা হচ্ছে। এখানে আমি অনলাইনে ইনকামের সত্যিকারের ১০০ টা উপায় নিয়ে ধারাবাহিকভাবে লিখছি। ভবিষ্যতে বই আকারে প্রকাশ করার ইচ্ছা আছে, যদি আল্লাহ সেই সুযোগ দিয়ে থাকেন।
বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং অনেক ভাল অবদান রাখার সম্ভাবনা আছে। আমাদের মত দরিদ্র দেশগুলোতে শ্রমের মূল্য কম দেখে বায়াররা এসব কাজ করিয়ে নিতে আগ্রহবোধ করে। এদেশে বর্তমানে মানুষদের মধ্যে প্রচুর আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে এই ব্যপারে। অনেকে কাজ করার জন্য এগিয়ে আসছে আবার অনেকে ব্যক্তিগতভাবে কিংবা সংগঠিতভাবে অন্যকে দক্ষ করে তৈরির জন্য এগিয়ে এসেছে। এটা অনেক ভাল লক্ষণ। ইতিমধ্যে বায়ারদের কাছে বাংলাদেশের ব্যাপারে ভাল ধারনা তৈরি হয়েছে। তবে আমাদের দেশে বিদ্যুৎ সমস্যা এবং ইন্টারনেট সমস্যাটা সবচেয়ে বেশি। এই দিকগুলোতে সমস্যা দূর করা গেলে ঢাকার বাইরের জেলাগুলো থেকে আরো অনেক লোক প্রস্তুত হবে এই কাজ করার জন্য। আমাদের দেশে তথ্যপ্রযুক্তির যাত্রা খুব বেশিদিনের নয়। তারপর অনেক মানুষের চেষ্টাতে আমরা খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি। অনেক ব্লগ এবং ফেসবুক আপনি দেখে থাকবেন অনেক সফল ব্যক্তি তাদের অনেক ব্যস্ততার মধ্যেও যেকোন ধরনের সাহায্য কেউ চাইলে সহযোগিতা করে। বিভিন্ন ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমেও তারা অনেক দক্ষ লোক তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যেখানে এদেশের সব জায়গাতে এখন কলুষিত হয়ে গেছে, সেখানে আইটি জগতের এই রকম সৎ পরিবেশ আমাকে বড় স্বপ্ন দেখায়। এটা আমাদের তথ্য প্রযুক্তির অনেক ভাল দিক।
আমার এই মুহুর্তে ২টা দাবি সরকারের কাছে। বিদ্যুৎ সমস্যা দূর করতে হবে, ইন্টারনেট সেবা দেশের সবজায়গাতে সহজলভ্য করতে হবে। বাংলাদেশের ইন্টারনেট সার্ভিস আগে থেকে অনেকগুন উন্নত হয়েছে। তবে অনেক ভাল করতে হবে। আমার কাছে মনে হয় সরকারের এই জায়গাতে নিয়ন্ত্রন অনেক কম। যে যার মত ব্যবসা করে যাচ্ছে। সরকারকে এখনই জোরালো কোন পদক্ষেপ নেয়া জরুরী। ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আগ্রহ তৈরির জন্য সরকারকে উদ্যোগ নেয়া উচিত।
আর ফ্রিল্যান্সিং এ যারা ভালো পারফরমেন্স করাতে চান তাদের জন্য বলছি, সবার আগে ইংরেজী জানতে হবে। বায়ারদের সাথে কমিউনিকেশনের জন্য এটা জরুরী। ধৈর্য্য বাড়াতে হবে। কম্পিউটারের যেকোন একটি বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। সাধারনত এসইও, গ্রাফিক্স এবং ওয়েব ডিজাইন জানা লোকদের ফ্রিল্যান্সিং এ ভাল চাহিদা করতে পারে। আগে কিছু শিখার জন্য সময় ব্যয় করতে হবে। এখন যেকোন কিছুর জন্য অনেক ভাল ভাল প্রতিষ্ঠান আছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্লগগুলো থেকেও অনেক কিছু শিখা যায়। তাছাড়া ইউটিউব তো আছেই। আগেই টাকার জন্য কাজ না করে, দক্ষ হওয়ার জন্য কাজ করুন। যখন আপনি দক্ষ হবেন তখন টাকা আপনার পিছনে ছুটবে।
Tag : ,

"ফ্রিল্যান্সিং" রাতারাতি বড়লোক হবার সর্টকার্ট রাস্তা নয়!

যখন আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন, সেদিন থেকে আপনি আপনার, আপনার নেই কোন ধরা বাধা পেশা। আপনি স্বাধীন এবং আপনার উন্নতি আপনার দক্ষতার উপর। ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটি বিপ্লব, আধুনিক যুগে নিজেকে উচু করে তোলার একটি নতুন পদ্ধতি। আজ থেকে বহু বছর আগে ইংল্যান্ডে শিল্প বিল্পব হয়েছিল, কিন্তু আজো নতুন প্রজন্ম সেই দিনটির কথা স্মরন করে।এখন থেকে বহু বছর পরের প্রজন্ম ঠিক তেমনি করে স্মরন করবে ফ্রিল্যান্সিং বিপ্লবের কথা। ২০১১-২০১২ সালটা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশের জন্য স্বর্ণযুগ। বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয়ের জন্য,তাদের মনে ২য় কোন ভাবনা আছে কিনা তা আমার জানা নেই। তবে অনেকে এটাকে টাকা আয়েরর সরল পথ হিসেবে অভিহিত করে।
চলুন আজ থেকে ১০ বছর আগের বাংলাদেশে ফিরে যাই,কয়টা কম্পিউটার ছিল বাংলাদেশে? হাতে গোনা শ’খানেক? কিংবা আরো কম/বেশি। তখন যুব সমাজের মনে প্রশ্ন জাগতো পড়াশোনা শেষ করে একটা ভালো চাকরি করবো। কেউ ডাক্তার কেউ ইঞ্জিনিয়ার হত। অনেক সময় ছোট একটি চাকরি করেও ভালোই দিন কেটে যেত। তো ২০১২ সালের যুবক সমাজের মনে কি প্রশ্ন জাগে? ডাক্তার/ ইঞ্জিনিয়ার হয়ে টাকা আর টাকা ইনকাম ? নাকী অন্য কিছু ? প্রযুক্তির যতই কাছে যাচ্ছি ততই আমরা সর্টকার্ট হয়ে যাচ্ছি। কাজে কর্মে,যাতায়াতে কিংবা বিনোদনে। কিন্তু একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীতে চাকরি করলে কি বিনোদনের সময় পাবেন? সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৫টা বাজার আগে বাড়ি গিয়ে বিশ্রামের চিন্তা? ইম্পসিবল। বসের গাল মন্ধ না শুনলে সেটা কি চাকরি হল? মাস শেষে অফিসের ম্যানেজারের রুমের সামনে গোরাগোরি ছাড়া মাইনে নিবেন? অসম্ভব।
আপনার কি ইচ্ছে করে না বাসায় বসে গরম কপিতে চুমুক দিয়ে বসের ঝাড়ি না খেয়েই অফিস করতে ? কিংবা সকাল বেলা চাকুরি করে বিকেল বেলা পার্কে গিয়ে সময় কাটাতে ? সপ্তাহের যে কোন দিন পরিবার পরিজন নিয়ে ভ্রমনে যেতে ? যদি ইচ্ছে থাকে তবেই ফ্রিল্যান্সিং এ আসুন। ভালো কথা,আরাম আয়েশ এর কথা শুনে এই পথে আসলেন ? তো করবেন টা কি ?আপনার যোগ্যতা কি ? বিকম/এমবিএ কিংবা ডাক্তার ? অনলাইনে বসে ডাক্তারি করবেন ? হয়েছে আপনি রুগি মেরে ফেলবেন।তো আপনার প্রথমেই জানা দরকার অনলাইনে কি কি কাজের ক্ষেত্র আছে ।
আমি এই পথে আসার আগে আপনাকে ৫টি প্রশ্ন করবো ,আগে নিজেকে নিজে সেই প্রশ্ন করুন তার উত্তর দিন:-
১. আমি কেন বর্তমান পেশা ছেড়ে ফ্রিল্যান্সিং এ যাচ্ছি?
২. ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কি এটা আমার সঠিক সময়?
৩. আমি কি আমার বর্তমান পেশার প্রতি যত্নবান?
৪. আমি কি নিজের ভুল নিজেই ধরতে পারি ?
৫. আমি কি ফ্রিল্যান্সারদের মতই আচরন করতে পারবো?
আমি কেন বর্তমান পেশা ছেড়ে ফ্রিল্যান্সিং এ যাচ্ছি? :
আপনার বর্তমান পেশায় আপনার বেতন কম,পদোন্নতি হচ্ছে না,পদোন্নতির ভবিষত সুযোগ নেই,আমি এই পেশায় আগ্রহী নই,আমি অফিসের নিয়ম কানুন মেনে চলতে পারছি না। যদি এই হয় আপনার উত্তর তবে আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং এ স্বাগতম।
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কি এটা আমার সঠিক সময়?
সব কিছুর একটা বয়স/সময় আছে,সঠিক সময়ে সঠিক পথে না গেলে পরে সফল হবার সম্ভাববনা কমেই যায়। নিজের দিকে তাকিয়ে দেখুন,বর্তমান পেশা ছেড়ে ফ্রিল্যান্সিং এ আসলে আপনি মানিয়ে নিতে পারবেন কিনা। যদি আপনি শিক্ষার্থী কিংবা সদ্য পাশ করা যুবক হয়ে থাকেন তবে এক কথায় বলবো এই পথে আপনার সূচনা হওয়া চাই।
প্রতিটা মানুষের চাকরি/কাজ করার জন্য একটা উপযুক্ত সময় লাগে,আপনি যদি একজন ইন্টারমেডিয়েট পরীক্ষার্থীকে এনে এই পেশায় ডুকিয়ে দিন তবে তার বড় হওয়া তো দূরের কথা স্বপ্ন দেখাই পাপ হয়ে দাড়াবে। তাই যখন তখন ফ্রিল্যান্সিংয়ে আসা যাবে না।আগে একটা উপযুক্ত সময় বেছে নিন। আপনি যখন নিজেকে মানষিক ভাবে যখন কাজ করার জন্য প্রস্তুত মনে করবেন,তখনি আসুন।
আমি কি আমার বর্তমান পেশার প্রতি যত্নবান?
দরুন আপনি বর্তমানে একজন ব্যাংক কর্মকর্তা,আপনি একটু স্বাধীন ভাবে চলার জন্য ব্যাংক এর চাকরি ছেড়ে দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করবেন ? ভুল সিব্ধান্ত নিবেন না কারন আপনার দক্ষতা হিসাব নিকাশে অন্য কিছুতে নয়। আপনি আপনার বর্তমান পেশাকে সম্মান করেন,এবং কাজটি আপনার জন্য সহজ অথচ মাইনে কম, তো আপনি কি বেশি আয়ের জন্য ফ্রিল্যান্সিং এ নামবেন ? টাকা তো পরের কথা আসল কথা হচ্ছে আপনি তো এই কাজে পারদর্শী নন। তাই আমি বলবো আপনি যে কাজটি ভালো পারেন সেটাই করুন,হোক না কয়টা টাকা মাইনে কম বা বেশি।
আমি কি নিজের ভুল নিজেই ধরতে পারি?
এই পেশায় ২/৪টা ভুল করবেন এটা নিশ্চিত,তবে আপনি যদি বাসায় বসে কাজ করেন তবে আপনার ভুলগুলো সংশোধনের জন্য কি আপনি প্রস্তুত ? যদি নিজের ভুল নিজে ধরতে না পারেন তবে আপনার জন্য এই পেশা কিছুটা ঝুকির হতে পারে। যারা ভুল করার পর অন্নত সেটা উপলব্ধি করতে পারেন তবে তাদের জন্য এই পেশা শুভ।
আমি কি ফ্রিল্যান্সারদের মতই আচরন করতে পারবো?
অফিসে আপনি বসের প্রতিদিন বকা খেতেন দেরিতে আসার জন্য,কিন্তু এই আচরন যদি আপনার থেকে চিরবিদায়া না নেয় তবে ফ্লিল্যান্সিং ও আপনার জন্য কল্যানকর হবে না। কারন এখানে মানুষ টিকে থাকে পার্সোনালীটি এবং দক্ষতার উপর।তাই বাজে অভ্যাশ ত্যাগ করুন।
ডিগ্রি ছাড়া ফ্লিল্যান্সিং চলবে?
আপনি যদি ডিগ্রি প্রাপ্ত হোন তবে আপনার জন্য ওয়েলকাম,বর্তমানে আগের মত আর সুযোগ নেই যে ১০ টাকা দিয়ে ব্যাবনা শুরু করে পরে ১০ বিলিয়নের মালিক হবেন। বর্তমানে অবস্থা হচ্ছে সঠিক পথে না যেতে পারলে ১০ টাকা দিয়ে ব্যাবসা করে ১০ বিলিয়নের মালিক হওয়া যাবে না। যাদের শিক্ষাগত যোগত্য নেই তাদের জন্য এই পেশা অসম্ভব,যদি স্বয়ং আল্লাহ আপনাকে কোন বিশেষ জ্ঞান না দিয়ে থাকেন তবে আপনার জন্য এই পেশা উপযোগী নয়। কেননা এখানে আপনাকে ভিন্ন ধরনের একটি সমাজে উপস্থিত হতে হবে,যার সাথে আপনি সম্পূর্ণ অপরিচিত।তাই আমি বলবো আগে শিক্ষাগত যোগত্য অর্জন করুন এবং পরে পেশায় আসুন। এই পেশায় আসতে হলে আমর কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন ?: প্রথমত আপনাকে স্কুল/কলেজের/বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা অর্জন করতে হবে।হতে পারে তা হাতে কলমে শিক্ষা কিংবা বই মুখস্ত করে শিক্ষা,তবে আপনাকে শিক্ষা গ্রহন করতেই হবে।
২য় কথা হচ্ছে ফ্লিল্যান্সিং পেশায় আপনি যে কাজটি করতে চাইছেন তার সম্পর্কে শিক্ষা লাভ।যদি তা হয় চিত্রাংকন কিংবা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট তবে সেই বিষয়ে আপনাকে শিক্ষাগ্রহন করতে হবে। আমি কিন্তু ডিগ্রি বলতে শুধু নামকরা প্রতিষ্ঠানের বড় বড় সার্টিফিকেটের কথা বলছি না,যে কোন প্রতিষ্ঠান হতে পারে,তবে আপনাকে শিক্ষা গ্রহন করেই এই পেশায় আসার অনুরোধ করছি।
আমার রুম মেট প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা আয় করে,আমিও তার সাথে যোগ দেব ? :
ধরুন আপনি ইংরেজীতে অনার্স করেছেন এবং ইংরেজী অনেক ভালো জানেন। আপনার বন্ধু মার্কেটিং কিংবা হিসাব বিজ্ঞানে অনার্স করেছে। এখন আপনি করেন কোন কলেজে ইংরেজী বিষয়ে শিক্ষকতার চাকুরি। আর আপানার বন্ধু করে শেয়ার বাজার বিজনেস। আপনি চাইলেন আপনার জমানো টাকা দিয়ে তার সাথে শেয়ার বিজনেস শুরু করবেন,এবং শেয়ার বাজারে আপনার ১ লক্ষ টাকাও বিনিয়োগ করলেন। ১ মাস বাধে আপনার ১ লক্ষ টাকা লস হলো,এবং আপনি শেয়ার বাজারের সামনে লাঠি নিয়ে অবস্থান করলেন।আপনার ধারনা সব দোষ শেয়ার বাজারের।
কিন্তু আসল ব্যাপার হচ্ছে কিভাবে শেয়ার বিজনেস পরিচালনা করতে হয় আপনি তা জানেন না,কথন কোন প্রদক্ষেপ নিতে হয় আপনি তাও জানেন না। কেননা শেয়ার বাজার সমন্ধে আপনার কোন ধারনা নেই,আপনি ইংরেজীতে অনেক পারদর্শী তাই বলে শেয়ার বাজারে আপনার লাভ হবে তা নয়।আপনারই বন্ধু শেয়ার বাজারে লাভ করতে পেরেছে কারন তিনি শেয়ার বাজার সমন্ধে অনেক ভালো বুঝেন,তিনি এই বিষয়ে শিক্ষা লাভ করেছেন সে জন্য। তাই অন্যকে দেখে তার পেশায় ঝুকে পড়বেন না,আপনি যা ভালো পারেন তাই করুন । আর পেশা বদলাতে হলে সেই পেশার সমন্ধে আগে অবগত হোন,ট্রেইনিং গ্রহন করুন। না ঝুঝে,না জেনে,যেখানে সেখানে নিজেকে পরিচালিত করবেন না। ফ্রিল্যান্সিং কে পেশা হিসেবে নিতে হলে আগে ফ্রিল্যান্সিং এর উপর খোজ খবর নিন,অভিজ্ঞদের থেকে পরামর্শ নিন প্রয়োজনে প্রশিক্ষন নিন।
আমি তো ফিজিক্স এর ছাত্র ফ্রিল্যান্সিং কি আমাকে দিয়ে হবে?
আপনি কিসের ছাত্র তা দেখার বিষয় নয় আসল কথা হচ্ছে আপনি কোন বিষয়ে আগ্রহী এবং দক্ষ। আপনি যদি ফিজিক্স এর ছাত্র হয়ে থাকেন কিন্তু আপনি আইটি সেক্টরে অনেক আগ্রহী হয়ে থাকেন তবে আমি বলবে আপনিও এই পেশায় আসতে পারেন।
কেননা আপনার সফলতা নিশ্চিত ,যেহেতু আপনি এই পেশার প্রতি আগ্রহী। তবে আগের কথা হচ্ছে এই যে আপনাকে উপযুক্ত শিক্ষা লাভ করতে হবে এবং তারপরেই ফ্রিল্যান্সিং এ প্রবেশ করবেন।
আমি ফ্লিল্যান্সিং পেশায় পেশাজীবি হতে চাই,কিন্তু কিভাবে?
১. সব সময় নিজেকে প্রফেশনাল ভাবতে শিখুন: আপনি মনে করবেন যে আপনি বেকার নন,শুধু অফিসে বসে কাজ করলেই তাকে পেশা/চাকুরি বলে না। আপনি সব সময় ভাবুন যে আপনি পেশাজীবি এবং আপনার একটি সম্মানজনক পেশা আছে।
২. সব সোর্স থেকে উপদেশ গ্রহন করবেন না: আমরা প্রতিদিন যে কথাবার্তা শুনি বা বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় কিংবা জনসভায় যা শুনি তার সবগুলো আপনি উপদেশ হিসেবে গ্রহন করবেন না।
ভালো এবং খারাফের পার্থক্য নিশ্চিত করার পর ভালো টা গ্রহন করুন।অনেকে পত্র পত্রিকায় নিজেদের স্বার্থে অনেক কিছুই বলে/লিখে,তবে তার সব কটি পজেটিভ নয়।
৩. পরিবার এবং বন্ধুদের থেকে সাহায্য নিন
৪. একটি সময় ঠিক করুন,কতদিন এই পেশায় থাকবেন: মিনিমাম ৩ অথবা ৫ বছর প্রাথমিক ভাবে নিদ্দিষ্ট করুন যে আপনি আগামী ৫ বছর ফ্রিল্যান্সিং করবেন।
৫. সব অফার গ্রহন করবেন না: আপনি যখন ভালো পজিশনে থাকবেন তখন অনেক অফার পাবেন,তাই বলে সবগুলো গ্রহন করবেন না,কিছু অফার ছেড়ে দিন এবং বেছে যেকোন একটি ভালো সুযোগ গ্রহন করুন। কেননা ছোট এবং কম লাভজনক কাজে নিজেকে জড়িয়ে ফেললে পরে ভালো অফার পেলেও আপনি তা গ্রহন করতে পারবেন না বা সেই সুযোগ থাকবে না।
৬. যে কাজটি পারেন তাই করুন: ফ্রিল্যান্সিং এ অনেক কাজ রয়েছে,আপনি যেটা ভালো পারেন সব সময় সেটাই করুন,বার বার কাজ পাল্টাবেন না,এতে আপনি ততটা দক্ষতা অর্জন করতে কোনদিন পারবেন না।যে কোন একটা কাজেরই অভিঙ্গতা অর্জন করুন।

প্রমোশন লাগবে ? আগে এগুলো করুন:
১. দায়িত্বের অবহেলা নয়: আপনাকে কেউ hire করেছে তার একটি কাজ করে দেওয়ার জন্য,অথচ সে আপনাকে কাজের সময় পেলো না,তবে প্রমোশন হবে নাকী ডিমোশন হবে ?
তাই কাজের প্রতি এবং সময়ের প্রতি যত্নশীল হোন।
২. কাজ নির্বাচন করুন; ক্লায়েন্ট আপনাকে কি কাজের জন্য hire করেছেন তার সম্পর্কে আপনার স্বচ্ছ ধারনা নিতে হবে এবং সেই কাজটি আপনি পারেন কিনা তা নিশ্চিত হোন।
৩. কাজ না করে লোক বলে বেড়াবেন না: কোন কাজ শেষ করার আগে লোক বলে বেড়াবেন না ।
৪. আপনার কতটুকু বহনের ক্ষমতা আছে:এক সাথে কতটুকু কাজ আপনি করতে পারবেন তার উপর অনুমান করেই কাজ নিন,ওভার লোড নিবেন না।তাতে কোন কাজই সময় মত শেষ করতে পারবেন না।
আমার কাজের মূল্য কত ?
আমি যে কাজ করি তার জন্য ক্লায়েন্ট এর কাছে কত টাকা চাইতে পারি?
১. নিজেকে অযোগ্য মনে করে কাজের মূল্য খুব কমাবেন না
২.আপনি কাজটি একা করতে পারবেন নাকী অন্য কাউকে সাথে নিবেন,তবে সে হিসেবে টাকার ইষ্টিমিট করুন
৩.নিজেকে ভাগ্যবান মনে করে ভালো কাজ অল্প দামে করবেন না
৪.আগামীতে আরো কাজ পাবার আশায় কারো কাজ খুব কম দামে করবেন না।
৫.ক্লায়েন্ট কে বোকা ভেবে কোন কাজের মূল্য খুব বড় অংকের চাইবেন না।
৬.আপনার প্রাপ্য থেকে কখনো ডিসকাউন্ট দিবেন না
কাজ নিতে গেলে যে সকল বাক বিতর্ক প্রায়ই হয়:
যা আপনাকে ক্লায়েন্ট বলতে পারে-
“ এই কাজের জন্য আমরা ইতিমধ্যে অনেক টাকা খরচ করে ফেলছি.”
তার মানে ক্লায়েন্ট আপনাকে বলতে চাচ্ছে যে তারা আপনাকে যে কাজের জন্য নিতে চাচ্ছেন সে কাজটি তারা এর আগেও অন্য কাউকে দিয়ে করিয়েছেন,এবং অনেক অর্থ খরচ করেছেন।
“ আপনি যে টাকা দাবি করছেন,তার অর্ধেক দামেই আমাদের আগের কর্মীরা কাজ করেছেন“
এখন আপনি আপনার ক্লায়েন্ট এর কাছে একটা টাকার পরিমান চাইবার পরে সে আপনাকে বলবে যে এর আগে তারা অনেক সস্তায় কাজ করিয়েছেন।
“ আমাদের এখানে আপনার দীর্ঘদিন কাজ করার সুযোগ রয়েছে ”
আপনাকে লোভ দেখানো হচ্ছে যে আপনি কিছু টাকা কম নিলে তারা আপনাকে অনেক দিন তাদের কাজে রাখবে
“ আপনার পূর্বের করা কাজের নমুনা দেখতে চাই ”
আপনি তাদের কাজটি করতে পারবেন কিনা সে বিষয়ে ধারনা পেতে তারা আপনার কিছু সদ্য শেষ করা কাজের নমুনা দেখতে চাইবে।
“ আপনাকে আমাদের সাথে সময় মেনে কাজ করতে হবে ”
আপনি যে দেশেই থাকুন না কেন ক্লায়েন্ট চাইবে তার সুবিদা মত আপনাকে কাজে পেতে,তাই একটা সময় নির্ধারন করে নিবে।
“আপনিই প্রথম,যাকে আমি নিজে থেকে hire করেছি”
তার মানে ক্লায়েন্ট বলতে চাইছে,তার কাছে আপনাকে হয়তো পছন্দ হয়েছে অথবা যোগ্য মনে হয়ছে।
“আপনার কাজের মূল্যায়ন করেই আপনার সাথে আগাবো”
এখন আপনাকে অগ্রিম তাদের সাথে কাজ কন্টিনিউ করার একটা প্রসেস বলে দেওয়া হয়েছে।
ক্লায়েন্ট রেগে গেছেন ! কি করবেন ?
ANGER !
জেনে নিন ANGER এর পূর্ণ রুপ আসলে কি
A=Acknowledge= স্বীকার
N=Nod = নড়া
G=Guide= গাইড
E=Execute= সম্পাদন
R=Retreat= পশ্চাদপসরণ
আপনার ক্লায়েন্ট রেগে গেছেন এটা কোন ব্যাপার নয়,আপনি ক্লায়েন্ট সমন্ধে কি চিন্তা করছেন তাও ব্যাপার নয় আসল কথা হচ্ছে আপনি কিভাবে এটা হ্যান্ডেল করবেন। এবার আপনিও রেগে গেছেন ? একটাই সমাধান চুপ করে বসে থাকুন,নো টক
একই কাজের রিলেটেড কয়েকটা কাজ শিখে রাখুন
মনে করুন আপনি একজন ডাক্তার,আপনি কারো পেট কেটে তার টিউমার অপারেশন করেছেন,তার পেটে কেটে দেখলেন যে তার কিডনির ও সমস্যা আছে,এখন আপনি কি করবেন ?তার টিউমার এর সমস্যা সমাধান করে তার পেট সেলাই করে দিবেন এবং অন্য ডাক্তার এনে আবার তার পেট কেটে কিডনির সমস্যা সারাবেন ? এক পেটে কত সেলাই করবেন ? রুগী কি বাচবে ? আপনার যদি কিডনির সম্পর্কে ধারনা থাকতো তবে এই অপারেশনে ২টি সমস্যার সমাধান করে পেলতে পারতেন।
কেন এই উদাহরন দিলাম:
মনে করুন আপনি নিজেকে ওয়ার্ডপ্রেস/জুমলা এক্সপার্ট পরিচয় দেন কিংবা মনে করেন। আপনাকে যদি আপনার ক্লায়েন্ট বলে যে আপনি আমাকে সাইটের মধ্যে অমুক ফিচার টি এড করে দিন। তখন আপনি কি করবেন ? তার মানেই হলো ওয়ার্ডপ্রেস কিংবা জুমলা জানলেই আপনি ওয়েব পরিপূর্ণ নন। আপনাকে তার পাশাপাশি অন্য কাজগুলো আয়ত্ব করে নিতে হবে।ওয়েব ডেভেলপার হতে হলে আপনাকে প্লেইন কোডিং,সিএমএস,সিকুরেটি এইসব কিছুই জানতে হবে।
যাদের প্রতি মুহুর্তে টাকা উপার্জন প্রয়োজন তারা এই পেশার আসবেন না:
ফ্রিল্যান্সিং এমন একটা পেশা যার ভবিষ্যত কি হবে তা কেউ বলতে পারবে না,বর্তমানে যে কাজটি বেশি জনপ্রিয় এবং চাহিদা আছে আগামী দিনে তা কি হবে তা কেউ জানে না। এখানে প্রতিদিন কিন্তু কাজ পাবেন তাও নয়,এটি যেমন স্বাধীন পেশা তাই এখানে সব সময় কাজ পাবেন না।এটাকে সিজনাল ও বলতে পারেন,এখানে অনেক প্রতিযোগী তাই আপনাকে কে ভাবে গড়ে তুলতে হবে। যাদের মাস পুরালেই অবশ্যই নির্দিষ্ট অংকের টাকা প্রয়োজন তারা এই পেশায় আসবেন না। কেননা এখানে মাস শেষে কতটাকা ইনকাম হবে তা মাসের শুরুতে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে আপনার উচিত আপনার চাহিদা অনুযায়ী চাকুরি/কাজ কার এবং যাতে আপনার বাজেট ফিক্সড হয়। যাদের সংসার চালাতে মাসে নূন্যতম একটা টাকার অংক(আবশ্যক) লাগবেই তারা এই পেশায় না এসে কোথাও চাহিদা অনুসারে কাজ নিন।আমি তাদের কথাই বলছি যাদের সংসারে ব্যাকাপ দেবার মত কেউ নেই তাদের। কেননা এখানে কোন মাসে আপনি অনেক টাকা আয় করবেন আবার কয়েকমাস কোন আয় হবে না,সে ক্ষেত্রে আপনি বিপদে পড়ে যাবেন। তবে আপনি চাইলে চাকুরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং টাকে অপশনাল হিসেবে নিন,তাহলে আপনার আর কোন রিক্স থাকবে না।
ব্লগে/পত্র পত্রিকায় সবাই বলে ফ্রিল্যান্সিং সহজ,অথচ আপনি বলছেন অনিশ্চিত !
কোট টাই লাগিয়ে আপনাদের সামনে ভাষন দিতে আসিনি,কিংবা আমার পিএস আমাতে কাগজে লিখে দিয়ে যায়নি মহান ভক্তা হবার বিশেষ ভাষন। আমি যা বলছি এবং লিখছি তা জীবনমুখী,এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই। কোন সফল কাহীনির বাংলা অনুবাদ করে লিখছি না, আমরা বাংলাদেশীরা সব সময় ইন্টারনেটে বসে বসে সফল কাহীনি খুজে,তাই আমরা সমস্যা গুলো খুজে পাইনা। শতকরা ১০ ভাগ মানুষ সফল হয়,আর বাকী ৯০ ভাগ মানুষ ব্যার্থ হয়,কারন তারা আকাশের দিকে তাকিয়ে হাটতে হাটতে মাটিতে হোচড় খায়,আপনি যদি সফল হতে চান তবে সঠিক পথে ধরে এগোতে হবে।
সবাই বড়লোক হতে বলে,কিন্তু বড়লোক হবার সঠিক রাস্তা কেউ দেখায় না
ব্লগ/নিউজ পেপার/পরিবার/বন্ধু বলেন ,কেউ আপনাকে বড়লোক করে দিতে পারবে না,কেউ জানেও না কিভাবে বড়লোক হতে হয়। মানুষ আস্তে আস্তে কোন একদিন অপরের চোখে বড়লোক হয়ে উঠে,তবে তার জন্য কতটা পথ অতিক্রম করতে হয় তা গননার প্রয়োজন নেই।আপনাকে কেই জীবনে বড় হতে বললেই ভাববেন না যে সে মহা অপরাধ করেছে আসলে সে আপনার মাথায় বড়লোক হবার ভাবনা ডুকিয়ে দিয়েছে এখন বাকী কাজ আপনার। ভাইয়া আমি অনলাইনে আয় করতে চাই,ইনকাম করতে চাই: আমার ভাইয়েরা,আপনাদের অনুরোধ করবো আপনারা যারা ঘরে বসে আয় করতে চান তারা আগে কোন একট নির্দিষ্ট বিষয়ের উপরে প্রশিক্ষন গ্রহন করুন। মনে রাখবেন দক্ষ হলে যে কোথাও তার কাজ আছে আর দক্ষ না হলে তার স্থান কোথাও নেই।
অনলাইনে আয় করে বড়লোক হোন !
অনেক সময় এই ধরনের শিরোনামের কিছু লেখা চোখে পড়ে, আসলেই কি টাকা উপার্জন এতটা সহজ ? রাতারাতি বড়লোক হবার কোন সর্টকার্ট রাস্তা নেই(ভালো পথে)।ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটা সময়উপযোগী পেশা,এখানে আপনার নিজেকে প্রমোট করার সুযোগ নিজের হাতেই,তবে আপনাকে একটা ভালো পজিশনে যেতে হলে প্রচুর কায়িক শ্রম দিতে হবে। আজকে ফ্রিল্যান্স শুরু করে কালকে বড়লোক হয়ে যাবেন সেটা কথনো হবার নয়। একটা কাজ করতে করতে যখন আপনি সেই কাজে পারদর্শী হয়ে যাবেন তখনি আপনার প্রমোশন।অপরের কথায় আত্বভোলা না হয়ে নিজে বুঝে তারপর সিদ্ধান্ত নিন।
সবাই ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আসার জন্য উ্যসাহ দেয়,আমি কেন নেগেটিভ কথা বলছি ?
পৃথিবীতে অনেক কঠিন সত্য আছে তাই।সব কিছুর একটা বাজে দিক আছে,যদিও এই পেশার সমস্যাগুলো ততোটা বাজে নয় তবুও জেনে শুনে বিষ পান করাও শ্রেয়।
টিকা:
বাংলা টেকনোলজী ব্লগ গুলোর মডারেশন প্যানেলকে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে যাতে কেউ ভুল ব্যাখ্যা না দিয়ে লেখা না প্রকাশ করে। অনেকে রাতারাতি টাকা আয়ের পথ দেখায়, পিটিসি কিংবা ফেইসবুক লাইক দেয়ার জবের কথা বলে। আসলে এই সব কাজের কোন গ্যারান্টি নেই। তাই ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক লেখাগুলোকে ভালো করে যাচাই করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
আমি যে সব ভালো কথা বলছি তা কিন্তু নয়। শুধুমাত্র ব্যাক্তিগত মতামত আপনাদের সামনে প্রেজেন্ট করছি। সবচেয়ে উত্তম কাজ হবে আমার লেখা থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বের করতে পারেন কিনা সেটাই। আমার লেখায় ভালো কিছু থাকলে তা গ্রহন করুন আর যা আপনার মতের সাথে মিলছে না তা বর্জন করুন।
Tag : ,

আমি টুইটারে আয় করি যেভাবে

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে অনেকেই শুধু মজা করেই সময় পার করে দেন। কিন্তু আমি যেমন মজা করি তেমনি আয়ও করি। সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট গুলোর কল্যাণে অনলাইন মার্কেটিং এখন যেমন দ্রুত হয়ে গেছে ঠিক তেমনি এই সাইট গুলোর কদর দিন দিন বেড়েই চলেছে, আর অনেকেই বিভিন্ন ভাবে এই সাইট গুলোকে নিজের ব্যবসা, প্রচারণার ক্ষেত্রে ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করছেন। আজকে আপনাদের কাছে আলোচনা করব টুইটার থেকে কিভাবে, কত, কোথায় কেমন করে আয় করা যায়। টুইটার কি তা নিয়ে আশা করি বিস্তারিত আলোচনা করার প্রয়োজন নাই। তাই সরাসরি মূল আলোচনায় চলে যাওয়া যেতে পারে। খুব সংক্ষেপে টুইটারে আয় করার কয়েকটি বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
টুইটার কীভাবে টাকা দেবে?
খুব সাধারণ একটা প্রশ্ন, অনেকেই যারা নতুন তারা প্রশ্ন করে থাকেন যে, আদৌ কি টুইটার থেকে আয় করা যায়? আর তারা কেন মানুষকে টাকা দিতে যাবে? বিষয়টা আসলে সেরকম নয়, বরং এখানে টুইটার আপনাকে এক টাকাও দেবে না। টাকা দেবে আপনি যাদের হয়ে টুইটারে কাজ করবেন। তাদের অনেক কাজ এখন ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে পাওয়া যায়।
টুইটারে আমার কাজ কি হবে?
টুইটার হচ্ছে বিশাল সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারী এই সাইটটিকে নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করছেন। কেউ করছেন নিজের মতামত প্রকাশ করার জন্যে। কেউবা ব্যবসায়িক প্রচারণা করার জন্যে। কেউ ব্রান্ডকে প্রমোট করার জন্যে। কেউ বা সেলিব্রেটিদের প্রচারণার জন্যে। তাদের এই কাজগুলোই মূলত আপনার কাজ। মুল কথা যুগের চাহিদা এবং সবার সাথে যোগাযোগ রাখার উত্তম মাধ্যম হিসেবে এক অনন্য এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট। তাছাড়া বিখ্যাত, সেলিব্রেটি, আদর্শ মানুষ গুলোকে খুব কাছ থেকে জানার আগ্রহ থেকে প্রচুর মানুষের মনের মধ্যে এক তুড়িতে স্থান করে নিয়েছে এই সাইটগুলো। এছাড়াও ওয়েব সাইট গুলোর ভিজিটর পাওয়ার অন্যতম মাধ্যম সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে প্রচুর প্রতিযোগিতা(SEO) এর কারণে কাঙ্ক্ষিত ভিজিটর না পাওয়া একটি অন্যতম কারণ।
টুইটারে কি কি কাজ পাওয়া যায়?
অনেক কাজ আছে এখানে। যেমন followers সংগ্রহ করে, টুইটার একাউন্ট তৈরি করে, retweet করে, ব্যাকগ্রাউন্ড ইমেজ তৈরি করে এবং আরও অনেক কাজ।
১. followers সংগ্রহ করে।
টুইটারের মধ্যে এই কাজটির চাহিদা সব চেয়ে বেশি, অনেক বায়ার বিভিন্ন এলাকা ভিত্তিক, বা বিষয় ভিত্তিক অনুসারী মানুষ গুলোকে follower হিসেবে সংগ্রহ করার জন্যে কাজ করিয়ে নেন।
২. টুইটার একাউন্ট তৈরি করে।
খুব সহজ একটি কাজ, মূলত শত শত একাউন্ট তৈরি করার জন্যে এই ধরনের কাজ করতে হয়
৩. retweet করে।
আপনার একটি পপুলার একাউন্ট থেকে অন্যের টুইটারের পোষ্ট গুলো retweet করে আপনার ফলোয়ারের সাথে শেয়ার করে।
৪. ব্যাকগ্রাউন্ড ইমেজ তৈরি করে।
বিভিন্ন ব্রান্ড কোম্পানি এবং সেলিব্রেটি দের জন্যে মানানসই ব্যাকগ্রাউন্ড ছবি তৈরির কাজ গুলো প্রচুর পাওয়া যায়। এছাড়া আরো অনেক উপায়ে টুইটার থেকে আয় সম্ভব
কিভাবে শুরু করবেন?
প্রথমেই একটু কষ্ট করে ১০টা একাউন্ট তৈরি করে ফলোয়ার সংখ্যা বাড়িয়ে নিন এবং কয়েকদিন নিয়মিত পোষ্ট দিন। এর মানে আপনার প্রতি একাউন্টে ১ হাজার করে ফলোয়ার থাকলে ১০ টি একাউন্টে ১০ হাজার মানুষ আপনাকে অনুসরণ করছে। এর চার ভাগের একভাগও যদি ধরেন তাহলে ২৫০০। এদের থেকে ১০০০ হাজার বাদ দিয়ে মোটামুটি একটিভ মানুষ পাবেন ১৫০০ জন। প্রতিদিন ১০০০ মানুষের কাছে যদি একটি সংবাদ নিয়মিত পৌঁছে দেন তাহলে সেটি প্রচার পেতে খুব বেশি সময় লাগার কথা নয়। আর এই ভাবে আপনার মত একজন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটর এর জন্ম হয় এবং এক সময় সফল হয়। ঠিক তখন আপনার মত মানুষের একটি সামান্য পোষ্টের জন্যে হাজার হাজার মানুষের অপেক্ষার প্রহর গুনতে হয়।
কেমন আয় হবে?
কাজের প্রয়োজনীয়তা, অভিজ্ঞতা, ইত্যাদি ভেদে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রেট এর কাজ পাওয়া যায়। তারপরও প্রতি পোষ্ট, রিটুইট এবং ফলোয়ারের জন্যে নুন্যতম ২-৩ টাকা থেকে শুরু করে ১০ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়। এবং দীর্ঘ সময়ের বড় কাজ এর ক্ষেত্রে রেটটা বায়ারের সাথে আলোচনা সাপেক্ষ হয়।
কোথায় কাজ পাবেন?
ফ্রিল্যান্সিং করা যায় এমন যেকোন সাইট থেকে আপনি কাজ নিতে পারবেন। আর একটু কষ্ট করে খুঁজতে থাকুন। আপনার ১০ হাজারের বেশি ফলোয়ার থাকলে আপনাকে ঠেকায় কে? এই সেক্টরে প্রচুর কাজ পাওয়া যায়। শুধু ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন অনেক ভাল করতে পারবেন।
Tag : ,

Odesk-e আমি যেভাবে অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে কাজ পাই

ফ্রিল্যান্সিং এর এই সময়ে আমরা সবাই ওডেস্ক এ কাজ পেতে এবং ওডেস্ক ক্যারিয়ার গড়তে অনেক উৎসাহী। আমি ডেস্ক এ কাজ করছি ২০১০ সাল থেকে। আল্লাহর রহমতে খুব ভালভাবে কাজ করতে পারছি। আমার ওডেস্ক প্রোফাইল এর লিঙ্কটি দেখতে পারেন এখানে। ওডেস্ক এ কাজ পেতে হলে আমাদের অনেক প্রতিযোগিতা করতে হয়। তবে এখানে ভাল একটি কাভার লেটার লিখতে পারলে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। আপনাদের সকলের ওডেস্ক এ কাজ পেতে সহায়ক একটি নমুনা অ্যাপ্লিকেশন দিচ্ছি। এর আগে সবাইকে সুনিশ্চিত করতে হবে নিচের বিষয়গুলো ঠিকঠাক আছে কিনা।
১ আপনার ওডেস্ক এর প্রোফাইল completeness ১০০% আছে কিনা।
২ সুন্দর একটি টাইটেল এবং overview আছে কিনা।
৩ আপনার Skills and Employment History অ্যাড করা আছে কিনা।
৪ অবশ্যই অবশ্যই আপনার নিজস্ব করা এবং অনেক সুন্দর সুন্দর কাজের portfolio (image + link) থাকতে হবে।
শুধুমাত্র উপরের বিষয়গুলো ঠিকঠাক থাকলেই আপনি নিচে দেওয়া Application Format টি Follow করলে আপনার ওডেস্ক এ কাজ পাওয়া এবং ওডেস্ক এর Career গড়ে তোলা সুনিশ্চিত।
অ্যাপ্লিকেশন/Cover letter format নিম্নরূপ:
Dear Hiring Manager,
You had mentioned that you are looking for [Job post] who can [job role].
I’m interested in the position of [job position here]. I have been a professional [your working platform] working for over [--] years with a lot of projects using [tehchnology, methods if any]. Moreover, I have professional working experience with [company name where have you worked].
I will do this job in the following way: [your planning to complete the job according to buyer's choice]
You can see some of my completed job related to this:
1. ----------------------------- (link of your portfolio - Portfolio must be related to buyers requirement)
2. ---------------------------- (link of your portfolio - Portfolio must be related to buyers requirement)
3. ----------------------------- (link of your portfolio - Portfolio must be related to buyers requirement)
----------------------------------------
[say something about your availability]
[say something about your timeline to complete the job]
Feel free to ask me any question any time.
Regards
[Your Name]
মনে রাখবেন কখনো ভুলেও আপনার ইমেইল, স্কাইপ আইডি, ইয়াহু, এগুলো কাভার লেটারে দেওয়া যাবে না। ক্লায়েন্ট আপনাকে নক করলে শুধুমাত্র তখনি আপনার কন্টাক্ট ডিটেইলস তাকে দিবেন। আর অবশ্যই যে কাজ আপনি খুব ভালভাবে করতে পারবেন শুধুমাত্র সেই কাজের জন্যই অ্যাপ্লিকেশন করবেন। আশা করি এটি অবশ্যই আপনাদের কাজে লাগবে।
Tag : ,

Income করেছি কিন্তু কখনো ফ্রিলেন্সিং প্লাটফর্ম গুলোতে কাজ করতে হয় নি।

ইচ্ছাটা যেখান থেকে শুরুঃ

ক্লাস 7/8 এ যখন “আমার জীবনের লক্ষ্য” বা “Aim in life” রচনা পরতাম তখন থেকে মনে মনে ভাবতাম বড় হয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হব। কিন্তু আমার ফ্যামিলিতে বা আসেপাশে গাইডলাইন দেবার মত কেউ ছিল না। ফলে ক্লাস নাইনে কমার্স নিয়ে নেই। কলেজে ভর্তি হবার পর জানতে পারি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হতে হলে CSE পড়তে হবে এবং যার জন্য ব্যাকগ্রউন্ড সাইন্স হতে হবে। মনে বড় দুঃখ পাই ব্যাপারটা জেনে। তখন এক বড় ভাই বলল মন খারাপ করো না তুমি। পড়াশুনার পাশাপাশি নিয়মিত এটাকে নিলে পড়ে থাকলে কিছু একটা করতে পারবা। তার কথা মতই করলাম।
তো অনেক মানুষের কাছে প্রথমে সাহায্যের জন্য যেতাম কি ভাবে কি শিখব তা জানার জন্য। কিন্তু সবাই কেমন যেন করত। দেখাতে চাইত না। বাসায় থেকেও বলত আমি বাসায় নেই যদি কিছু শিখার জন্য বাসায় চলে যায় সেই ভেবে। একটা ঘটনা এখনও মনে আছে এক বন্ধুর বাসায় গিয়ে কম্পিউটার ধরে একটু বিভিন্ন অপশন দেখছিলাম (যখন আমার কম্পিউটার ছিল না) হঠাৎ বন্ধু আসে মাউসটা সরিয়ে নিয়ে বলে আরে গুতাগাঁতি কইরা সব প্রবলেম কইরা দিব তো ... !
আমার ইন্টার পরীক্ষার অনেক পরে কম্পিউটার হাতে পাই। ২০০৯ এর শেষের দিকে। তখন থেকে শুরু হয় আমার কম্পিউটার গুতাগুতি। তখন ইচ্ছা করি কম্পিউটারের যত কিছু আছে সব শিখব। তখন ওয়েব ডেভলপমেন্ট, এস.ই.ও এগুলো কিছু জানতাম না। শুধু বুঝতাম ছবি এডিটিং করা। সেই থেকে পরিচয় Photoshop, Illustrator এর সাথে। প্রথম থেকে সাহায্যের জন্য অনেক মানুষের কাছে গিয়েছি কেউ কোন সাহায্য করত না। পরে রাগে ক্ষোভে গুগলকে ব্যবহার করা শুরু করলাম। যেখানে বেজে যেতাম গুগল কে ব্যবহার করতাম। আর নিজে নিজে প্রচুর পরিমানে অপশন টিপে টিপে দেখতাম কি হয়। প্রতিদিন ১২/১৪ ধন্টা সময় দিতাম পিসিতে। এভাবে মোটামুটি গ্রাফিক্সের কাজ অনেকটা শিখে ফেলেছি।
এরপর কি যেন গুগল সার্চ করতে করতে টেকটিউনস এর লিঙ্কটা পাই। সেখান থেকে জানি ওয়েব ডেভলপমেন্ট কি, এস.ই.ও কি এমন আরও অনেক কিছু। তখন থেকে আবার শুরু করি শেখা। ঘোড়ার মত দৌড়িয়েছি শেখার জন্য। এখনও মনে আছে প্রথমে গুগলে সার্চ দেই “How to I learn web development” তারপর থেকে শুরু শিখা। অনেক গুলো গাইড লাইন দেখে বুঝতে পারি কি কি শিখতে হয় Web Development এর জন্য তারপর শিখতে শুরু করি একে একে HTML, CSS, PHP, MySQL, WordPress ইত্যাদি। প্রথম প্রথম তো সুন্দর সুন্দর ওয়েবসাইট পাইলেই Ctrl + U চেপে সোর্স কোডও দেখতাম অনেকক্ষণ। বিভিন্ন থিম বা টেমপ্লেট নামিয়ে নোট প্যাডে ওপেন করে বসে বসে পরতাম আর মাঝে মাঝে একটু একটু এডিট করে দেখতাম কি হয়। মাঝে মাঝে কোড পড়তে পড়তে মনে হত যেন মাথা ঘুরাচ্ছে। ধৈর্য হারিয়ে ফেলতাম। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে বা বাহিরে হাটাহাটি করে আবার শুরু করতাম। আল্লাহকে অশেষ ধন্যবাদ সে আমাকে অনেক ধৈর্য দিয়েছিল, না হলে এভাবে একটা ১২/১৪ ঘণ্টা কাজ শিখা অনেক কষ্ট সাধ্য ছিল। হয়ত পারতামই না।
আর একটা মজার ব্যাপার হল আমার মুভি দেখের নেশা আছে। অনেক মুভি দেখি। তো মুভি দেখার সময়টা কোন কিছু শুখতে পারব না বলে মনিটরের অর্ধেকে কাজের কোন কিছু রাখতাম বাকি অর্ধেকে মুভি চালিয়ে রাখতাম। মজার ব্যাপার হল মুভি শেষ কিন্তু মনে মনে বলছি মুভিতে কি হল কয়েকটা সিন ছাড়াতো আর কিছুই মনে নেই !!! তখন আবার চালু করতাম মুভিটা। এভাবে একটা মুভি ২/৩ বার দেখতাম।
আমি শেখার সময় কখনও চিন্তা করি নি এটা নিয়ে ইনকাম করব। নিজে টিউশনি করতাম; তা থেকে যা পেতাম হয়ে তাতে মাস কাভার হয়ে যেত কারন সারা দিনই তো বাসায় থাকতাম পিসি নিয়ে। আমার যেটা ইচ্ছা ছিল – কম্পিউটারের সব কিছু শিখব সব। সেই ইচ্ছা পূরণের জন্য সেই তখন থেকে লেগে আছি এখন পর্যন্ত। যদি টাকা খরচ করে কোন প্রতিষ্ঠানে যেতাম তাহলে হয়ত আমার এত কষ্ট করা লাগত না। কিন্তু নির্ভরযোগ্য কোন প্রতিষ্ঠান পাই নি তাই যাওয়া হয়নি। আর সবচেয়ে বড় কথা আমার কোন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিখতে মনে চায় নি। কারন একটা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হইছিমাল(Basic Computer শিখার জন্য) সেই প্রথম দিকে মাসখানেকের মত ছিলাম; যা শিখিয়েছে বা যে ভাবে শিখিছে তাতে পেট ও মন দুটাই ভরে গেছে। সেগুলো দিয়ে কিছুই লাভ হয় নি।

অনলাইনে ইনকামের শুরুটা যে ভাবে হলঃ

এবার আমার অনলাইনে ইনকামের শুরুটা বলি। খুব অদ্ভুদ ভাবে শুরুটা হয়। আগেই বলেছি শেখার সময় কখনও মনে চিন্তাও আনি নি যে ইনকাম করব এটা নিয়ে। ব্লগিং করতে ভাল লাগত তাই ব্লগিং করতাম। ব্লগিং করে মানুষকে বিভিন্ন কিছু শিখাতাম। অন্যের সাথে অনেক কিছু শেয়ার করতাম। সেই সুবাদে অনেক মানুষের সাথে পরিচয় ঘটে। অনেক মানুষের সাথে পরিচিতি লাভ করি। এর মধ্যে অনেক গুলো প্রবাসী মানুষও ছিল। তাদের সাথে প্রায় সময় চ্যাট হত। এমনই একজন প্রবাসী এক ভাইয়ের সাথে একদিন চ্যাট করতে করতে সে হঠাৎ বলল তুমি কি কি কাজ পার? আমি বললাম গ্রাফিক্স আর ওয়েব ডেলপমেন্ট। তখন সে আমাকে বলল আমার একটা ওয়েব সাইটের জন্য একটা ব্যানার ডিজাইন দিতে পারবা? আমি বললাম আচ্ছা দিচ্ছি। আমার বানানো ব্যানারটা তার অনেক পছন্দ হয়। সে ওটা ব্যবহার করে। তারপর আস্তে আস্তে জানতে পারলাম সে যেই দেশে থাকে সেখানে তার একটি IT Firm আছে। সেই থেকে তার কোম্পানির কোন ডেভলপমেন্ট এর কাজ বা গ্রাফিক্সের কাজ আসলে আমাকে দিত। এটা হল অনলাইনে ইনকাম শুরু। এর পর থেকে ব্লগিং এবং বিভিন্ন ফোরামে মানুষকে সাহায্য করতাম ওয়েব ডেভলপমেন্ট বিষয়ে সেখান থেকেও বেশ কিছু বিদেশি বায়ারদের সাথে যোগাযোগ হয়ে যায়। আল্লাহ্‌র অশেষ রহমত আমাকে কখনও বিভিন্ন ফ্রিলেন্সিং মার্কেট প্লেস গুলোতে দৌড়াতে হয়নি। প্রতি মাসেই সরাসরি বায়ারদের কাছ থেকে কাজ পেয়েছি। এগুলোর সাথে আস্তে আস্তে আমাদের দেশের লোকাল কাজ গুলোও করা শুরু করি। এভাবে আমাদের দেশের মধ্যেও বেশ কিছু ক্লাইন্ট হয়ে যায়।
কাজের চাপ আস্তে আস্তে বাড়তে লাগলো। তাই ২০১১ তে mrLab নামে একটি টিম গঠন করি। সেখানে বেশ কিছু ফ্রেন্ড মিলে একসাথে কাজ করতাম। রাস্তা-ঘাটে, মাঠে, ক্যান্টিনে টিম মেম্বাররা মিলে কাজের প্লান করা, কাজ করা ইত্যাদি চলত। টিমের সবাই মিলে বেশ ভাল কাজ করলাম ১ বছর।
টিম মেম্বারদের নিয়ে আস্তে আস্তে আগাতে থাকি এবং স্বপ্ন দেখতে থাকি একজন আইটি উদ্যোক্তা হবার। স্বপ্ন দেখতে দেখতে এই তো কিছু দিন আগে (১৬ ই ডিসেম্বর ২০১২) এ ZOVOXZ LTD.(IT Firm) এর যাত্রা শুরু করি। এখন সেই আগের কাজ গুলোই একটু প্রফেশনাল ভাবে করি এই আর কি। আমি এখনও সেই আগের মতই ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইন্ট এবং দেশি ক্লাইন্ট নিয়ে সরাসরি কাজ করছি এবং ভবিষ্যতেও করব। সেই প্রথম থেকে মানুষকে সাহায্য করে এসেছি এখনও করছি। আমার কাজের পাশা পাশি মানুষকে সাহায্য করার জন্য এবং দেশের তরুনদের টেকনোলজিতে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য ২ টা প্রোজেক্ট এ কাজ করছি। ইনশাল্লাহ খুব শীঘ্রই সবার মাঝে আমার প্রোজেক্ট গুলো তুলে ধরতে পারব। এতে আমাদের দেশ তথা তরুনদের বেশ উপকার হবে। বহু কষ্ট, অনেক বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে আজ এই স্থানে আসতে পেরেছি সে জন্য আল্লাহ্‌ কাছে শুকরিয়া জানাই।
আমার জীবনের অনেক কিছু আমি বাদ দিয়েছি। অনেক কিছু সরিয়ে দিয়েছি কিন্তু কম্পিউটারের প্রতি আগ্রহ এখনও সরে যায় নি। শিখার ইচ্ছা, আগ্রহ এখনও প্রবল হয়েছে। আর এই ইচ্ছা শক্তির কারনেই এখন এত কিছু শিখতে পেরেছি এবং এই স্থানে আসতে পেরেছি।
এই ছিল আমার ফ্রিলেন্সিং জীবনের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা।
Tag : ,

ফ্রিল্যান্সিংয়ে ভিন্ন ধারার কাজের ক্ষেত্র "ফাইভার"

আজ একটু অন্য ধরনের পোস্ট করতে বসলাম। ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে। ফ্রিল্যান্সিং এখন অনেক জনপ্রিয় একটি কর্মসংস্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকে ফ্রিল্যান্সিং করে সফলও হচ্ছে। আমারা সাধারনত freelancer বা odesk এ কাজ করে থাকি। আজ আমি একটি অন্য ধরনের কাজের রাস্তা দেখাতে এসেছি। ফ্রিল্যান্সিং সাইট গুলোতে কাজ পেতে হলে অনেক অভিজ্ঞ বা জানা বোঝার বেপার আছে। আমরা কতজন ই বা অত জান নে ওয়ালা। আমরা হয়ত অনেক কাজ এ পারি যা এসব ফ্রিল্যান্সিং সাইট এ কোন দাম দেয় না।
এখন কথা হল, এই ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফরমে যেসব কাজের অর্ডার দেয়া হয় সেইসবের যেকোন একটি জানতে হবে। এখন ধরেন আপনি খুব ভাল নাচতে পারেন বা গান গাইতে অথবা কমেডি করে বন্ধুদের হাসাতে পারেন কিংবা এমন অসাধারণ কিছু করতে পারেন যেটা অন্যরা দেখতে মজা পায়। কিন্তু এই ধরনের কাজের ফ্রিল্যান্সার এর জন্য কেউ ওই প্ল্যাটফরমগুলোতে আসেনি। এখন আপনার কি উপায়? নিরাশ হওয়ার কোন কারণ নেই। আপনাদের জন্য আছে এক সাইট যেখানে আপনি এইধরনের কাজের জন্য বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন। চলুন দেখে নেই সেই সাইটের খুঁটিনাটি:
ফাইভার কি?

ফাইভার হচ্ছে এমন একটি সাইটে যেখানে আপনি ৫ ডলারের বিনিময়ে যেকোন কাজ করার জন্য বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। যেকোন বলতে আপনি যা করতে পারবেন সেগুলোই। "ফাইভার" একটি ভিন্ন ধারার ফ্রিল্যান্সিং সাইট। এখানে আপনি আপনার পছন্দ মত কাজ অফার দেবেন। মানুষ সেটা কিনবে। আপনাকে কাজ খুজতে হবে না। আপনার কাজ বায়ার খুজে নেবে। সাইট টা একবার ভিজিট করলেই বুঝতে পারবেন। যেমন ধরেন আপনি ভালো গান লিখতে পারেন। আপনি সাইট টিতে পোস্ট দিলেন, " I will write a professional lyrics for $5" আপনার এই কাজ টিও বিক্রি হয়ে যাবে সেখানে। ভিষন মজার। একবার ঘুরে দেখে আসুন।
এরকম যেকোন কাজের বিজ্ঞাপন আপনি দিতে পারেন তবে সবগুলোই ৫ ডলারের বিনিময়ে। এগুলো ছাড়াও নিয়মিত যারা ফ্রিল্যান্সিং করেন তাদের জন্যও আছে আলাদা বিভাগ। সেসব বিভাগে প্রোগ্রামিং, লোগো বানানো, আর্টিকেল এসব এর বিনিময় মুল্য দিয়ে বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন। বিজ্ঞাপন দেয়ার নিয়মও সোজা। রেজিস্ট্রেশান করে লগিন করুন। এরপর উপরে বার থেকে Seller এ গিয়ে My Gigs থেকে নতুন কাজের বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন।
লক্ষণীয় বিষয়:
* ফাইভার থেকে বেশি করে আয় করার জন্য একের অধিক কাজের বিজ্ঞাপন দিন তবে এক কাজের বারবার দেয়া যাবে না।যাতে যেকোন একটি অন্তত প্রথম পাতায় আসতে পারে।
* বিজ্ঞাপন লেখার সময় ম্যাক্সিমাম কিওয়ার্ড এবং সুন্দর ডেসক্রিপশন ব্যবহার করুন।
* প্রতিটি কাজের জন্য ভিডিও আপলোড করার চেষ্টা করুন। ভিডিও সম্বলিত কাজের বিজ্ঞাপনগুলো সাধারণত ফাইভার আগে প্রমোট করার চেষ্টা করে।
* কাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন করে বায়ারকে কাজের প্রমাণ পাঠিয়ে দিবেন।
* কাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন করে বায়ারকে কাজের প্রমান পাঠিয়ে দিবেন গোপনবার্তায় করে পাঠিয়ে দিবেন।মনে রাখবেন, বায়ার যদি কাজে সন্তুষ্ট না হয় তাহলে সেটির টাকা পাওয়া যাবে না।
* ম্যাসেজে বায়ারের সাথে ব্যাক্তিগতভাবে যোগাযোগের জন্য মেইল অথবা ডাইরেক্ট পেমেন্টের জন্য পেপ্যাল, এলার্টপে এগুলোর জন্য রিকোয়েষ্ট করবেন না।প্রমান পেলে একাউন্টে টাকা থাকা অবস্থায় ব্যান করে দিতে পারে।
* ফাইভার প্রতি ৫ ডলারে ১ ডলার চার্জ হিসেবে কেটে নিবে অর্থাৎ প্রতিটি কাজের বিনিময় মুল্য আপনি পাবেন ৪ ডলার করে।প্রতিটি কাজ বায়ার এর দেয়া কমপ্লিট ঘোষনা দেয়ার ১৫ দিন পরে পেপ্যালে ক্যাশাউট করা যাবে।
* এটি স্ক্যাম বা প্রতারক সাইট নয়।
Tag : ,

ইন্টারনেটে কাজ করে কীভাবে অর্থ উপার্জন করবেন?

সরকার ঘোষণা দিয়েছেন ডিজিটাল বাংলাদেশের। প্রতিদিন এবিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। বলা হচ্ছে আগামীতে আউটসোর্সিং হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আয়ের উৎস, কর্মসংস্থানের সবচেয়ে বড় যায়গা। তারপরও যারা একাজ করবেন তারা অনেকেই অন্ধকারে রয়ে গেছেন। অনেকেই জানেন না ঠিক কি করবেন। কি যোগ্যতা প্রয়োজন হবে, কি কি যন্ত্রপাতি প্রয়োজন হবে, কি কাজ করতে হবে, কাজ কোথায় পাওয়া যাবে, কত টাকা পাওয়া যাবে, কিভাবে পাওয়া যাবে।
এই প্রশ্নগুলির উত্তর ধারাবাহিকভাবে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে এখানে।
প্রথমেই একটা কথা পরিষ্কার করে নেয়া ভাল। বলা হচ্ছে কাজ করে অর্থ উপার্জনের বিষয়ে। কাজেই আপনাকে কাজ করতে হবে, সে কাজ শিখতে হবে, অন্যদের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হবে। আপনার দক্ষতা যত বেশি অর্থ উপার্জনের সুযোগ তত বেশি। এটাই একমাত্র পথ। যদি কাজ শিখতে এবং করতে পর্যাপ্ত আগ্রহ এবং চেষ্টা না থাকে তাহলে সময় নষ্ট না করাই ভাল। সহজে অর্থ উপার্জন বলে যা বুঝানো হয় তা আসলে ততটা সহজ না।
আউটসোর্সিং কি?
এটা নিশ্চয়ই প্রথম প্রশ্ন। উত্তর হচ্ছে, বাড়িতে বসে অন্য কারো কাজ করা। উন্নত দেশগুলিতে (আমেরিকা কিংবা ইউরোপ) মজুরী অত্যন্ত বেশি। কোন কোম্পানির যদি নির্দিষ্ট প্রোগ্রাম তৈরি প্রয়োজন হয়, এজন্য যদি একজন প্রোগ্রামার নিয়োগ করতে হয় তাহলে বিপুল পরিমাণ টাকা গুনতে হয়। সেকাজটিই অন্য দেশের প্রোগ্রামার দিয়ে করিয়ে নিলে তুলনামূলক কম টাকায় করানো যায়। বর্তমান ইন্টারনেট ব্যবস্থায় খুব সহজে একাজ করা সম্ভব। আপনি সেই প্রোগ্রামার, ডিজাইনার, এনিমেটর অথবা যাই হোন না কেন ইন্টারনেটের মাধ্যমেই তাদের কাজ করতে পারেন, ঘরের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
বড় কোম্পানির বদলে ছোট কোম্পানি, কিংবা ব্যক্তি পর্যায়ের কাজের কথা যদি এরসাথে যোগ করা হয় তাহলে কাজের পরিধি বেড়ে যায় অনেক। ধরুন কোন ব্যক্তির একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা প্রয়োজন। তিনি নিজে সেকাজ পারেন না। কাজেই তার প্রয়োজন এমন একজন ব্যক্তি যিনি সেকাজ করে দেবেন। আপনি যদি সেকাজে দক্ষ হন তাহলে আপনি আগ্রহী হয়ে সেখানে যোগাযোগ করলেন। সমঝোতা হল, আপনি কাজটি করে দেবেন, বিনিময়ে ১০০ ডলার পাবেন। লাভ দুজনেরই।
কাজেই, আউটসোর্সিং হচ্ছে এক যায়গার কাজ অন্য জায়গা থেকে করিয়ে নেয়া। এই কাজকে সহজ করার জন্য অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাদের ওয়ের সাইটে বিনামূল্যে সদস্য হওয়া যায় (আপনাকে বিনামূল্যে সেবা দিয়েও তারা নিজেরা লাভ করেন। সে হিসেব আলাদা)।
তাদের সদস্য দুধরনের, একপক্ষ কাজ দেন, আরেকপক্ষ কাজ করেন। আপনি যখন কাজ দেবেন তখন কাজের বিবরণ, সময়, অর্থের পরিমাণ ইত্যাদি তাদের জানাবেন। তারা ওয়েবসাইটে সেগুলি রেখে দেবেন যারা কাজ করতে আগ্রহী তাদের জন্য।
আপনি যত কাজ করবেন তখন তাদের ওয়েব সাইটে গিয়ে সেই তালিকা থেকে নিজের পছন্দমত কাজের জন্য আবেদন করবেন (সাধারণত একটি লিংকে ক্লিক করাই যথেষ্ট)। যার কাজ তিনি আবেদনগুলি যাচাই করে যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকে কাজটি দেবেন। আপনি সেই ব্যক্তি হলে কাজটি করে ইন্টারনেটের মাধ্যমেই তার কাছে পাঠিয়ে দেবেন। সাথে সাথে আপনার একাউন্টে কাজের অর্থ জমা হবে।
কাজের ধরন
একটু আগে দুধরনের কাজের কথা বলা হয়েছে, একটি কোম্পানির, অপরটি ছোট কোম্পানি কিংবা ব্যক্তির। আউটসোসিং এর কাজ মূলত এই দুধরনের। বড় কোম্পানির বড় কাজ করার জন্য বড় প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন। সেখানে আপনি একজন নিয়মিত কর্মী হিসেবে নিয়োগ পেতে পারেন। আপনি ফ্রিল্যান্সার নন।
আর ছোট কাজের ক্ষেত্রে আপনি নিজেই সবকিছু। যোগাযোগ, কাজ করা, অর্থ গ্রহণ সবকিছু করতে হবে নিজেকেই। অবশ্য কয়েকজন একসাথে শুরু করে ক্রমাম্বয়ে বড় কোম্পানিতে পরিণত হওয়া অবশ্যই সম্ভব।
ধরে নেয়া হচ্ছে আপনি একা কাজ করতে আগ্রহী। এখানে সে সম্পর্কিত তথ্যই উল্লেখ করা হচ্ছে।
এক কথায়, কম্পিউটার ব্যবহার করে যাকিছু করা সম্ভব সবধরনের কাজই পাওয়া যায় এভাবে। গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব পেজ তৈরি, ওয়েব পেজের কোন সমস্যার সমাধান থেকে শুরু করে এনিমেশন, ভিডিও এডিটিং কিংবা একেবারে সহজ ডাটা এন্ট্রি পর্যন্ত। কাজ যত সহজ অর্থের পরিমাণ তত কম, কাজ যত জটিল অর্থের পরিমাণ তত বেশি এই নিয়মে।
উদাহরণ হিসেবে ওয়েব সাইটের জন্য ফটোশপে একটি ব্যানার বিজ্ঞাপন তৈরি করে যে পরিমাণ অর্থ পাবেন ফ্লাশে এনিমেটেড ব্যানার তৈরি করে পাবেন তার থেকে অনেক বেশি অর্থ। বাস্তব ধারনা পাওয়ার সবচেয়ে ভাল পথ হচ্ছে এধরনের ওয়েবসাইটে গিয়ে কাজের তালিকা দেখা।
কি শিখতে হবে
কোন কাজ আপনার জন্য ভাল সেটা যাচাইয়ের দায়িত্ব আপনার। আগ্রহ কোন বিষয়ে, দক্ষতা কোন বিষয়ে, কতদূর পর্যন্ত যেতে পারবেন এগুলি একমাত্র আপনিই জানতে পারেন। কোন কাজে অর্থ বেশি এটা বিচার করে সেই কাজ করতে না যাওয়াই ভাল। প্রোগ্রামার হওয়ার জন্য একধরনের প্রতিভা প্রয়োজন, এনিমেটর হওয়ার জন্য আরেক ধরনের, ভাল ডিজাইনার হওয়ার জন্য আরেক ধরনের। কোন বিষয়ে আগ্রহী হলে সে বিষয়ে খোজ নিন, কিছুদিন চেষ্টা করুন, তারপর দ্রুতই সিদ্ধান্ত নিন। এবিষয়েও সত্যিকারের সাহায্য পাবেন এধরনের জব সাইটে। প্রতিটি কাজের বর্ণনার সাথে কোন সফটওয়্যারে দক্ষতা থাকতে হবে তা উল্লেখ করা থাকে।
কত আয় করা সম্ভব
বিষয়টি পুরোপুরি আপনার কাজের ধরনের ওপর নির্ভর করে। অধিকাংশ কাজের হিসেব হয় ঘণ্টা হিসেবে। গ্রাফিক ডিজাইনকে উদাহরণ হিসেবে ধরলে মাসে অনায়াসে হাজার ডলার আয় করা সম্ভব। প্রোগ্রামার হলে অনেক বেশি।
কি যন্ত্রপাতি প্রয়োজন
এধরনের কাজে আপনার মুল অস্ত্র হচ্ছে মেধা। কাজেই দামী যন্ত্রপাতি নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন হয় না, বিশেষ কাজ ছাড়া। কাজের ধরন অনুযায়ী অবশ্যই আপনার স্ক্যানার, গ্রাফিক ট্যাবলেট, দামী ক্যামেরা ইত্যাদি প্রয়োজন হতে পারে। এধরনের বিশেষ যন্ত্র বাদ দিলে আপনার প্রয়োজন একটি মোটামুটি পর্যায়ের কম্পিউটার এবং ভাল ইন্টারনেট সংযোগ।
বর্তমানে যথেষ্ট কম টাকায় ভাল কম্পিউটার পাওয়া যায়। আর ইন্টারনেট সংযোগের বিষয়ে বলা আসলে অর্থহীন। তারা আশা করে আপনি টাকা দেবেন, বদলে কি পাবেন তাতে তাদের কিছু যায়-আসে না। আর সরকার কিংবা প্রশাসন যত বক্তৃতা-বিবৃতি দিক না কেন, ব্যবসায়ীদের কাছে সবসময় মাথা নিচু করে থাকে।
মুল কথায় ফেরা যাক। ইন্টারনেটে কাজ করে অর্থ উপার্জনের এটা প্রাথমিক তথ্য। শুরুতেই আপনি যা করতে পারেন তা হচ্ছে এধরনের ওয়েবসাইটে গিয়ে বিস্তারিত পড়া, বোঝার চেষ্টা করা। সত্যি কাজের তথ্য তাদের কাছেই পাওয়া সম্ভব, অকারণে অন্য যায়গায় সময় নষ্ট করবেন না।
odesk, freelancer এধরনের জনপ্রিয় ওয়েব সাইটের উদাহরণ। সার্চ করলে এধরনের আরো বহু সাইট পাবেন। ভালভাবে বোঝার জন্য কয়েকদিন নিয়মিত এই সাইটগুলিতে সময় কাটান।
কাজ শুরু করুন, সেইসাথে আরো জানার চেষ্টা করুন।
দ্রুত ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার ভাল-মন্দ
অনেকেই এখানে আসতে চান কিন্তু কিভাবে আসবেন বা দ্রুত না ধীরে শুরু করবেন এমন নানান ব্যাপার রয়েছে। তাই তাদের জন্য আমার কিছু পরামর্শ দিলাম এখানে। ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টি নিয়ে সাম্প্রতিককালে যত আলোচনা হয়েছে অন্য কোন পদ্ধতি নিয়ে ততটা সম্ভবত হয়নি। অনেকের মতে কর্মসংস্থান, কাজের ধরন সবকিছুই পাল্টে দিচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। এখনও বলা হচ্ছে, এই পদ্ধতি চলছে। অন্যান্য পদ্ধতির মত পুরোপুরি স্বীকৃতি পায়নি। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন থাকতে পারে এখনই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা উচিত কি-না। ফ্রিল্যান্সিং একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। প্রস্তুতির জন্য বহু সময় ব্যয় করতে হয়, নানাধরনের পদ্ধতি শিখতে হয়। অন্যকথায় অভ্যস্ত হতে হয়। যেহেতু এটি চলমান প্রক্রিয়া সেহেতু হ্যাঁ বা না উত্তর যথেষ্ট না। এখনই শুরু করার ভাল এবং মন্দ দুদিকই রয়েছে। জেনে নেয়া যাক ভাল দিকগুলি কি, মন্দ দিকই বা কি।
দ্রুত শুরু করার সুবিধে
* নিজেকে অভিজ্ঞ হিসেবে তৈরি করার জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া যায়। একটি উদাহরণ বিবেচনায় আনতে পারেন, যারা উইন্ডোজের আগেই ডস ব্যবহার করে কম্পিউটারে কাজ শুরু করেছেন তারা কম্পিউটারের ভেতরের অনেক বিষয় সহজে বোঝেন যা বর্তমানের উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরা বোঝেন না। প্রতিদিন ফ্রিল্যান্সিং কাজের পদ্ধতির যে পরিবর্তনগুলি হচ্ছে তারসাথে মিল রেখে নিজেকে এগিয়ে রাখা সম্ভব দ্রুত শুরু করলে।
* নিজের অবস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়া, ব্লগ ইত্যাদির মাধ্যমে পরিচয় তৈরি করতে হলে যত দ্রুত শুরু করা যায় তত এগিয়ে থাকা সম্ভব।
* কাজের পরিধি বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হয় দ্রুত শুরু করলে। হয়ত এই মুহূর্তে যে কাজে আপনি আগ্রহী নন তেমন কোন কাজ আপনার পছন্দের তালিকায় যোগ হতে পারে এবং একসময় সেটাই মুল কাজ হতে পারে।
* বাংলায় বলে পুরনো চাল ভাতে বাড়ে, ইংরেজিতে বলে ওল্ড ইজ গোল্ড। মুল বক্তব্য একটাই, অনেক কোম্পানি অভিজ্ঞতা বিচার করে সুবিধে দেয়। দ্রুত শুরু করে এই সুবিধে পেতে পারেন।
দ্রুত শুরু করার কিছু সমস্যাও রয়েছে। সেগুলি একবার জেনে নেয়া যাক;
* ফ্রিল্যান্সার হতে সময় লাগে একথা ভুলে যাবেন না। আপনি কাজ শুরু করে কয়েক মাসে সফল ফ্রিল্যান্সার হবেন একথা ঠিক না। এমন পরিস্থিতিতে যদি আয়ের জন্য অন্য পেশার ওপর নির্ভর করতে হয় তাহলে সেদিকে ক্ষতি হতে পারে। অন্তত এখন পর্যন্ত যখন ফ্রিল্যান্সিংকে সাধারণ পেশার পর্যায়ে বিবেচনা করা হয় না।
* আপনি সফল নাও হতে পারেন। আবারও, কারণ একই। ফ্রিল্যান্সিং এখনও প্রক্রিয়াধীন। আপনি যে সেবা নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে আগামীতে সেই সেবার প্রয়োজন নাও থাকতে পারে। বর্তমানে মানুষকে করতে হয় এমন অনেক কাজ হয়ত আগামীতে প্রযুক্তির মাধ্যমে করা হবে।
* আপনার খরচ বাড়তে পারে। যদি স্মার্টফোনের সফটওয়্যার তৈরিকে কাজ হিসেবে বিবেচনা করেন, আপনাকে নানা ধরনের ডিভাইস কিনতে হবে। অন্যান্য কাজের জন্য বিশেষ কিছু কেনা প্রয়োজন হতে পারে।
* প্রযুক্তির দীর্ঘ স্থায়িত্ব না থাকাও একটি মাথাব্যথার কারণ হিসেবে দেখা দিতে পারে। যে সফটওয়্যার আপনি ব্যবহার করছেন আগামীতে তার বদলে অন্যকিছু ব্যবহৃত হতে পারে। বিশেষ করে অপারেটিং সিস্টেমে যখন ঘনঘন পরিবর্তন হচ্ছে, তারসাথে মিল রেখে নতুন ডিভাইস তৈরি হচ্ছে সেখানে এই বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন বললে বেশি বলা হয় না। ট্যাবলেট, এন্ড্রয়েড ইত্যাদি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে। স্থায়ী চেহারা না নেয়া পর্যন্ত সকলের পক্ষে সফল হওয়া সম্ভব নাও হতে পারে।
আপনি দ্রুত শুরু করবেন কি-না এ প্রশ্ন যদি করেন তাহলে উত্তর হতে পারে, সবকিছু বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়াই মঙ্গল। এমন কোন বিষয় বেছে নিন যা স্থায়ী, আপনার আওতার মধ্যে এবং বর্তমান অন্য কাজের ক্ষতি না করেই করা যায়।
Tag : ,

উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন শুরু যেখানে...

ফ্রীল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং জগতে পদচারনা খুব বেশি দিনের নয় কিন্তু ফ্রীল্যান্সিং থেকেই ইতোমধ্যে খুঁজে পেয়েছি অনেক কিছু। জীবনকে বিশ্বাস করতে শিখেছি। শিখেছি কিভাবে হাহাকারময় চাকুরীর বাঁজারে নিজেকে প্রমাণ করে নিজের পায়ে দাঁড়ানো যায়। স্বপ্ন দেখতে শিখেছি এবং পেয়েছি পরিশ্রম দিয়েই নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার নির্ভরযোগ্য প্লাটফর্ম।
পড়াশোনা করছি কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এ শেষ বর্ষে। ফ্রীল্যান্সিং এর পাশাপাশি নিজেদের উদ্যোগে গড়ে তোলা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। সাথে আছে আরো কিছু স্বপ্নবান সঙ্গী। আমার ফ্রীল্যান্সার থেকে উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার ব্যক্তিগত কিছু কথা, কিছু স্বপ্নের কথা শেয়ার করার জন্যই আজকের এই লেখা।
শুরুর কথা
কম্পিউটার বিজ্ঞানের ছাত্র হওয়ায় কিছু দক্ষতা হয়ত ছিল কিন্তু ছিলোনা তেমন আত্মবিশ্বাস। কারন চার বছরের গ্রাজুয়েশন কোর্সের চার বছর শেষ হলেও নিজেকে আবিষ্কার করলাম তৃতীয় বর্ষের শুরুতে। না দোষ কিন্তু আমার না! দোষ হয়ত শিক্ষ্যাব্যবস্থার। যেকারনে চিন্তা শুরু হয়েছিল কিছু একটা করার কারন চাকুরীর বাজারও তেমন আশাব্যাঞ্জক বলে কারো মুখে শুনিনি। তাছাড়া পড়াশোনা শেষ করার আগে ভাল চাকুরি শুরুর কথা স্বপ্নেও ভাবা যায়না। তারপরে আবার “অভিজ্ঞতা” নামক প্রহসন।
এসব কারনেই “কিছু একটা” করার চিন্তায় যখন ঘুরছিলাম তখন দেখতাম অনেকেই ফ্রীল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং করে নিজের খরচ নিজে বহন করছে। ২০১১ এর শুরুর দিকে নিজে নিজেই ব্যাপারটা নিয়ে একটু ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করে মার্কেটপ্লেসগুলো সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সংগ্রহ করলাম। যেমন মার্কেটপ্লেসগুলো কি, এখানে কীভাবে কাজ করা হয়, কীভাবে টাকা পাওয়া যায় ইত্যাদি।
এরপর প্রাথমিক ধারণা অর্জনের পর শুরু ওডেস্ক এবং ফ্রীল্যান্সারে অ্যাকাউন্ট করে ফেললাম। নিজের প্রয়োজনীয় তথ্য এবং কয়েকটা সাধারণ টেস্ট বা পরীক্ষা দিয়ে প্রোফাইলটাও তৈরি করে ফেলি।
নিজেকে তৈরি করা
প্রোফাইল তৈরির পর মার্কেটপ্লেসগুলোতে জমা হওয়া কাজগুলো দেখতে থাকলাম। দেখা গেল সাধারণ কাজগুলো আমি পারি কিন্তু তাতে টাকার পরিমাণ কম। আর একটু কঠিন কাজগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকলেও কাজ শুরু করার মত তৈরি ছিলাম না। তাই নিজেকে আরেকটু ঝালাই করে নেয়া শুরু করলাম। নেটওয়ার্কিং এর কোর্স (CCNA) করা ছিল কিন্তু এই বিষয়ে পোস্ট হওয়া কাজগুলো বুঝতে বেশ সমস্যা হচ্ছিল তাই ওয়েব ডেভলপমেন্ট নিয়ে কাজ শুরু করলাম। এইচটিএমএল, সিএসএস জাভাস্ক্রিপ্ট এবং পিএইচপি ঝালাই করে নিলাম। উল্লেখ্য এই ল্যাঙ্গুয়েজ ছাড়াও আমার আরো কিছু ল্যাঙ্গুয়েজ জানা ছিল কিন্তু পেশাদার কাজ কখনো করা হয়ে ওঠেনি তাই শুরুতে বেশ বিব্রত ছিলাম। কাজ শুরু করার পর দেখলাম অনেক কিছুই পারিনা!! হাল ছাড়িনি, হাল ছাড়তে হয়নি কারন আমার সাথে গুগল ছিল! যেকোন সমস্যায় পড়লেই গুগলে সার্চ দিতাম এবং সমাধানও পেয়ে যেতাম। যেকোন কাজের জন্য আসলে ইন্টারনেটে প্রচুর রিসোর্স রয়েছে। শুধু তাঁদের খুঁজে বের করে ব্যবহার করতে জানতে পারলেই হয়।
প্রথম কাজ ওডেস্কে
আমি যখন বিড করা শুরু করি এবং যখন শুরু করি তখন আমার জব কোটা ছিল ১৫। আমি খুব সাবধানে আমার পক্ষ্যে যে কাজগুলো সম্পূর্ন ভাবে করা সম্ভব এবং করতে পারব সেরকম কিছু জবে বিড করি। সম্ভবত একদিনে ৮টা জবে বিড করেছিলাম। হয়ত আমার ভাগ্য ভাল কিংবা আমি সঠিক পদ্ধতিতে বিড করেছিলাম অথবা দুটোর কারনেই সেদিনই রাত ৩টার দিকে একটা ইন্টারভিউ এর অফার পাই। বায়ারের সাথে স্কাইপে কথা হয় এবং কাজটি আমাকে দিয়ে দেয়। কাজ পেয়ে খুশি হওয়ার বদলে আমার উত্তেজনা বেড়ে যায় এবং ঠিকঠাক শেষ করতে পারব কিনা এই ভয়ে সারারাত না ঘুমিয়ে কাজ করতে থাকি এবং উত্তেজনাবশত সকালের মধ্যেই একটা ওয়েবসাইট দাঁড় করিয়ে ফেলি! যদিও আমার কাজ শেষ করার সময়সীমা ছিল ৭ দিন কিন্তু পরেরদিনই আমার যতটুকু করার কথা ততটুকু করে দিই। বায়ার কাজে সন্তুষ্ট হয় এবং সাথে সাথেই ডলার পাঠিয়ে দেয়। তখনের অনুভূতিটা ছিল আসলেই অন্যরকম!! উল্লেখ্য কাজটি ছিল একটি ওয়েবসাইট তৈরির কাজ যার বাজেট ছিল ৫০ ডলার এবং আমি বিড করেছিলাম ৩০ ডলারে। কিন্তু বায়ার আমাকে পরেরদিন দিয়েছিল ১০০ ডলার!
কাজ এবং কাজ
প্রথমে ক্লায়েন্টের প্রজেক্টটি শেষ করার পর আমি দ্বিতীয় কাজের জন্য কয়েকমাস বিড করার সুযোগ পাইনি! কারন ওই ক্লায়েন্ট পরেরদিন আমাকে না বলেই নতুন একটা প্রজেক্টে হায়ার করে এবং সেটা ছিল ঘন্টাপ্রতি কাজ। শুরুতে আমি প্রফাইলে আওয়ারলি রেট পাঁচ দিয়ে রেখেছিলাম এবং সে ওই রেটেই আমাকে কাজ করার ইনভাইটেশন পাঠায়। আমিও স্বানন্দে গ্রহন করি এবং বেশ কয়েকটা প্রজেক্ট সফলভাবেই শেষ করি। এরপর আর কাজ খোঁজার জন্য আমাকে সময় খরচ করতে হয়নি বরং নিজের পড়াশোনা এবং অন্যান্য কাজের ফাঁকে প্রজেক্টের কাজ করতে থাকি...
উল্লেখ্য তার সাথে আমার কমিউনিকেশন খুব ভাল ছিল এবং লোকটা বেশ রসিকও! আমার কাছে মনে হয় ক্লায়েন্টদের সাথে ঠিকঠাক যোগাযোগ এবং ভাল সম্পর্ক তৈরি করতে পারলে নতুন কাজ পাওয়ার জন্য তেমন কিছু করতে হয়না। আমার প্রথম ক্লায়েন্টের সাথেই আমি অনেক ভাল একটা সম্পর্ক তৈরি করি এবং এখনো তার যেকোন কাজের জন্যই আমার ডাক পড়ে!
নিজেকে আরো বিস্তৃত করা
আসলে মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়া এবং করার পর আমার আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে যায়। আমি বিশ্বাস করতে শিখি নিজের ভিতরে কিছু থাকলে আমি যেকোন জায়গায় বসে অন্তত মার্কেটপ্লেস থেকে আয় করতে পারব। তাই আরো নতুন নতুন জিনিস শেখার জন্য সময় দিতে থাকি। টেকনোলজির যেকোন ব্যাপারে আমার আগ্রহ আগে থেকেই ছিল কিন্তু এটা থেকে আয় করার পর আমার আগ্রহ আরো বহুগুণে বেড়ে যায়। তখন আর নতুন কিছু শেখার জন্য সময় পার করলেও খুব বেশি খারাপ লাগেনা বরং নিজের মধ্যে নতুন নতুন দক্ষতা যোগ করতে পেরে আরো আত্মবিশ্বাসী হই। শিখে নিতে থাকি আরো কিছু প্রয়োজনীয় ল্যাঙ্গুয়েজ ও টেকনলজি।
কাজ করা একসাথে...
এরই মাঝে পরিচয় হয় রাহাত হোসেন নামের আরেক স্বপ্নবান যুবকের সাথে। আমরা কিছু আইডিয়া নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম mrLab নামে একটি ভার্চুয়াল টীমের মাধ্যমে। মার্কেটপ্লেস ছাড়াও আরো কিছু নতুন কাজ করার সুযোগ পাই। তারপর কাজ করতে থাকি একসাথে এবং সাথে জন্ম নিতে থাকে উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার স্বপ্ন... ...
উদ্যোক্তা হয়ে ওঠা
আমরা কয়েকজন একসাথে বিভিন্ন কাজ করছিলাম ঠিকই কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু সমস্যায় পড়ে যেতে হত। প্রয়োজন হত একসাথে বসে কিছু সমস্যা সমাধান করার। দুইজনের বাসার দূরত্ব ছিল অনেক তাই মাঝে মাঝে ধানমন্ডি লেক, স্টার কাবাব বা টিএসসি’র মাঠ হয়ে উঠতো আমাদের অফিস! আমরা অনুভব করলাম আমাদের (সাথে আরো কয়েকজন ছিল) একসাথে বসে কাজ করার মত একটা জায়গা দরকার। একে অপরকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য দরকার মাথার উপর একটি অভিন্ন সিলিং!
কিন্তু বললেই তো আর হয়ে যায়না! একটা অফিস নেয়া এবং সাথে আরো কিছু অপরিহার্য প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়া, অফিসের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা ইত্যাদি বেশ একটা খরচান্ত ব্যাপার যা বহন করার ক্ষমতা আমাদের ছিলোনা। যেহেতু আমাদের কিছু নেই তাই কোন ব্যাংকও আমাদের পাশে দাঁড়াবে না।
কিন্তু তারুন্যের কাছে হার মানতে বাধ্য হল সব বাধাবিপত্তি! আমরা শুরু করার মত প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে গেলাম। পেয়ে গেলাম স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় রসদ।
শুরু হল মাস্টারপ্ল্যান কারন আমরা শুরু করেই মুখ থুবড়ে পড়তে চাইনি। যদিও বেশ কিছু বিদেশী ক্লায়েন্ট আমাদের ভরসা ছিল তথাপি আমরা দেশেও দেশের হয়ে কিছু করার চিন্তা করলাম। শুধু মার্কেটপ্লেসের কাজ করে টাকা উপার্জন করতে চাইনি, চেয়েছি বৃত্তের বাইরে আরো কিছু একটা করতে।
স্বপ্ন বাস্তবায়নের আগে বেড়ে ওঠা বেয়াড়া স্বপ্নগুলোকে একটা নির্দিষ্ট ফ্রেমে নিয়ে আসা হল। সাথে যোগ হল কিছু নতুন মিশন... নতুন ভিশন...
আমরা যখন উদ্যোক্তা
অতঃপর ২০১২ এর নভেম্বরে নিজেদের একটা স্থান খুঁজে পেলাম। একটা নতুন অফিস নিয়ে নিলাম এবং জন্ম নিল ZOVOXZ নামের একটি সম্ভাবনা! নিজেদের মত করে অফিস সাজাতে লাগলাম। আমরা নিজেরাই মাঝে মাঝে আর্কিটেক্ট আবার নিজেরাই ঘাম ঝরানো শ্রমিক। গ্রিন রোডের এ.কে কমপ্লেক্সের নবম তলায় তৈরি হল আমাদের স্বপ্ন! তৈরি হল ZOVOXZ LTD. নামের একটি কোম্পানি যার প্রত্যেকটি সদস্যের বয়স ২৫ এর কম কিন্তু চোখেমুখে স্বপ্নের কোন অভাব নেই, সারাদিন পরিশ্রমের পরেও শরীরে নেই কোন ক্লান্তি! কারন আমরা আমাদের কাজকে ভালবাসতে শিখেছিলাম!
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১২! কিছু কাছের মানুষের ভালবাসা ও শুভকামনায় শুরু হল আমাদের পথচলা...
আমরা উদ্যোগ নিয়েছি নিজেদের স্বাবলম্বী করার সাথে আরো অনেককেই স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ করে দেয়ার।
আমাদের নিজস্ব কিছু আইডিয়া আছে যেগুলো বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে আমরা একসাথে এক ছাদের নিচে কাজ করে যাচ্ছি। মূলত মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ নিয়ে সেগুলো নিজেরা করে থাকি এবং দেশীয় কাজগুলোও করি। কাজ করতে করতে আমাদের অর্জিত জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা ছড়িয়ে দেয়ার জন্য প্রতি শুক্রবার আমাদের অফিসে ফ্রী কনসাল্টেশনের ব্যবস্থা রেখেছি যেন নতুনদের দিক-নির্দেশনা দিতে পারি। অনেকেই ইতোমধ্যে আমাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে কাজ শুরু করছেন। তাছাড়া প্রতিমাসে ক্যারিয়ার সহায়ক দুটি বই প্রকাশ করে বিনামূল্যে বিতরনের উদ্যোগ গ্রহন করেছি। এ ছাড়াও নতুনদের মার্কেটপ্লেসে কাজ করার জন্য উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য সীমিত আসনের এবং সাধ্যের মধ্যে কিছু প্রফেশনাল ট্রেনিং এর ব্যবস্থা আছে। আমরা আরো কিছু ভবিষ্যৎ উদ্যোগ গ্রহন করেছি যার লক্ষ্যে আমরা অবিরাম কাজ করে যাচ্ছি...
শেষকথা
শুরু করেছিলাম “আমি” বা আমাকে এবং আমার ফ্রীল্যান্সিং দিয়ে কিন্তু একা শেষ করতে পারলাম না! যোগ হয়ে গেল আরো কিছু স্বপ্ন এবং একটি সম্পূর্ন নতুন “উদ্যোগ”!! মানে আমরা এখন একেকজন গর্বিত উদ্যোক্তা কিন্তু শুরুটা হয়েছিল ফ্রীল্যান্সিং দিয়ে । ফ্রীল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে আমরা আত্মবিশ্বাস এবং জয়ের পুঁজি পেয়েছিলাম এবং নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলাম। আমরা আমাদের প্রাথমিক স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। নিজেদের স্বাবলম্বী করতে পেরেছি। অপেক্ষা করছি সবাইকে নিয়ে স্বাবলম্বী হয়ে সমৃদ্ধ জন্মভূমি গড়ে তোলার
Tag : ,

শুধূমাত্র ওডেস্কে যারা নতুন তাদের জন্য কিছু উপকারি তথ্য। কাজে লাগবে আশা করি।

ওনেকদিন পর লিখতে বসেছি, ব্যাস্ততার জন্য লেখা-লেখি হয় না। আজ আমি ওডেস্ক নিয়ে আমার কিছু ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করব।
ওডেস্ক সবচেয়ে বড় অনলাইন জব মার্কেটপ্লেস।  এটি এমন একটি বিস্বস্ত সাইট যেখানে আপনি আপনার দক্ষতা ফুটিয়ে তুলতে পারেন পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারবেন।
কিন্তু প্রায়শই দেখি অনেকে প্রশ্ন করেন ভাই আমি ওডেস্কে নতুন, কিভাবে কাজ পাব আর কাজ পেলে কিভাবে করব?
আমার কিছু সাজেশন আছে সবার জন্য (অবশ্যই যারা নতুন তাদের জন্য)। আর এইগুলো আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে প্রাপ্ত। আশা করি নতুন যারা আছেন সবাই উপকৃত হবেন।
১। ওডেস্কে জবগুল দেখেন। দেখবেন প্রায়শই একই ধরনের কাজ আসে।
২। প্রায় সব জবেই কিছু নির্দিষ্ট স্কিল চাওয়া হয়।
৩। আপনার যে ধরনের কাজ ভাল লাগে সেই কাজের উপরে স্কিল বাড়ান।

৪। গুগল মামাকে জিজ্ঞেস করেন ওই স্কিল কিভাবে শেখা যাবে?
৫। ওনেক সাইট আছে যেখানে অনলাইনে ওনেক কিছু শেখা যায়। সেখান থেকে স্কিল শিখে নিন। ভঁয় নেই আমি নিজেও কিন্তু এভাবেই কাজ শিখেছি। কেঊ আমাকে কিছু শিখিয়ে যায় নি। এই সাইট-টি অনেক উপকারে আসবে আশা করি।
৬। ওডেস্কে আকাউন্ট বানিয়ে সাথে সাথেই বিড করবেন না। ওডেস্ক দেখুন-জানুন তারপর বিড করুন। এখন অনেক বাংলা ব্লগ আছে যেখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ শিখতে পারবেন এবং ওডেস্ক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতেও পাড়বেন।
আপনারা বলা যায় ওনেক ভাগ্যবান এই ক্ষেত্রে কারন আমাদের সময়ে এই রকম বাংলা ব্লগ ছিল না। কেউ ছিল না সাহায্য করার মত। :(
৭। সর্বোপরি ইংরেজি না জানলে ওডেস্কে আপনি এগোতে পারবেন না। তাই এই ক্ষেত্রে আপনি যদি দুর্বল হলে কেউ আপনাকে সাহায্য করতে পারবে না।
তাই ইংরেজিতে দক্ষতা বাড়াতে হবেই হবে।

আরোও অনেক সাজেশন ছিল কিন্তু এখন মনে পড়ছে না। :( যাই হোক এই পয়েন্টগুলোই বেসিক। তাই এই পয়েন্টগুলো অনুসরণ করে এগিয়ে যান। সফল হোন এই কামনা করি।
Tag : ,

Facebook এর Security Code প্রায়ই মোবাইলে ৮/১০ ঘন্টা দেরি করে আসে, এই সমস্যার সমাধানে যা করতে হবে …

যারা Google এর  2 step verification ও Facebook এর Login Approval চালু করেছেন তারা জানেন Google এর verification code নিয়ে sms মূহুর্তেই আসে কিন্তু Facebook এর security code মাসে অন্তত পাচ দিন ঝামেলা করে। যাদেরটা ঝামেলা হয়নি ভবিষ্যতে অবশ্যই হবে। মোবাইল কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলে, Facebook হতেই এস.এম.এস আসেনি আর Facebook এর সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলে, আমরা পাঠাইছি। Google ব্যবহার করে International No এবং Facebook করে পোর্ট (৩২৬৬৫) যা সহজে নিয়ন্ত্রনযোগ্য।

Google- এ বিকল্প দুইটা পদ্ধতি আছে : sms কোন কারনে না আসলে phone call এর মাধ্যমে তা সংগ্রহ করা যায়। পাশাপাশি তারা ১০টা ‘One Time Use – BackUp Code’ দেয়। Facebook যদি Google এর মত বিকল্প দুটি পদ্ধতি চালু করত তবে নি:সন্দেহে ঝামেলা হতে মুক্তি পেতাম। Yahoo ভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে “Sign In With Google”  (নিচের ছবিটি দেখুন)

যার মাধ্যমে “One Google Account : One Yahoo Account” এই ণীতিতে Google-এ Log In করা অবস্থায় Yahoo-র Website-এ “Sign In With Google” লিঙ্কে ক্লিক করলে পাসওয়ার্ড ছাড়াই প্রবেশ করা সম্ভব হয়। এই পদ্ধতিতে লগ ইন করার সুযোগ যদি Techtunes, প্রথম আলো ব্লগ, Twitter, GoDaddy, Paypal, LinkedIn, Odesk, Wikipedia, Everyone, Alexa দিত তবে Hacker/Keylogger Software এর আশঙ্কা হতে মুক্ত হতাম। প্রত্যেকের হয়ত Personal PC  নেই বা বিভিন্ন কারনে বাইরে হতে লগ ইন করতে হয়।
সর্বোপরি Facebook এই বিকল্প লগ ইন চালু করলেও Security Code দেরিতে আসলে সমস্যা হত না। এই লেখাটি ব্লগ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করে তবে তারা হয়ত Sign In With Google ব্যবস্থা চালু করবে তবে Facebook এর দৃষ্টি আকর্ষন এর জন্য একটা Feedback Form পুরন করতে হবে, তার লিঙ্ক হল : https://www.facebook.com/help/contact/?id=142315805886940  আমি একটা খসড়া চিঠি ইংরেজীতে টাইপ করে নিচে দিলাম। যদি সহমত হন তবে নির্দিষ্ট লিঙ্কে যেয়ে ইমেইল এর জায়গায় আপনার ইমেইল ও Thanks এর শেষে আপনার নাম বসিয়ে সেন্ড করুন।
Hello Facebook,
Sometimes I have to use Facebook from Office or Cyber Café or Library. There are many hackers surrounding me who use key logger softwares and other techniques. So I must have to use  'Login Approval' Service.
PROBLEM:
I have started your 'Login Approval' Service but sometimes the Mobile Telecom Company, which I use, fails/delays to send the Security Code (for max 12 hours) at least for 5 to 6 days in a month, which results serious problem.
To get notification from Facebook is not important. Telecom can ban it but to get ‘Security Code’ is most important. Please tell the Telecom Company to charge standard sms rate for all outgoing message AND standard sms charge/free of charge for incoming ‘Security Code’ sms. What will they do for other incoming notification sms, will be decided by themselves.
PERMANENT SOLUTION :
Google sends verification code by its own name “Google” (the word Google displayed at the place of Sender’s name). Sometimes it shows a specific International no (eg. +447781470659). It is easy to block/control any port like 32665. YOU SHOULD USE AN INTERNATIONAL NO TO SEND SECURITY CODE.
(Please know, Google uses dynamic ip for HTTPS://www.youtube.com so it is hard to block YouTube by the Governments of Third world.)
I suggest you to provide Optional “Voice Call" service also like Google here. If sms delivery fails, we will collect code by receiving phone call. AND also provide Ten “One Time Use – Backup Code” like Google. If I loss my mobile phone or visit other State without roaming service, it will help.
ALTERNATIVE SOLUTION:
In the meantime, you can provide OpenID like "Sign In with Google” service including others. Yahoo uses different method “Sign in with Google” through which, based on “One Google Account : One Yahoo Account” policy anyone can login to Yahoo’s website without password just by clicking on “Sign in with Google”. I use it to login to http://www.mail.yahoo.com by my Google Account. (In Flickr it shows a small icon link for OpenID login, which looks good)
KEEP TWO SYSTEMS:
You can keep ALTERNATIVE SOLUTION beside PERMANENT SOLUTION. Then if user chooses OpenID’s icon link, s/he will directly enter to the account OR at next login (without change of settings) if s/he enters password, then server will start processing to send the ‘Security Code’
MORE FLEXIBLE:
Sometimes people are using multiple phones and also traveling world wide. Everywhere roaming is not available. If you provide the chance to use maximum 4 phone no. for getting ‘Security Code’, it will be more suitable. Two for own state, two for abroad. Just after entering the email address(ID) & password server will NOT directly send sms. It will ask to know in which no. server will send the code:
Which phone do you prefer to get the security code?
# +123*****78
# +123*****83
# +442*****33
# +880*****83
SUBMIT
After user’s selection in option button, server will send the code to specific no. Travelers will have to use one backup code after going abroad to setup a newly purchased local phone no.
Wish you good luck.
Thanks,
আরেকটু কষ্ট করুন। এই লেখাটি বাংলায় যা অন্য ভাষার পাঠকরা বুঝবেন না।  পৃথিবির বিভিন্ন রাষ্ট্র হতে বিভিন্ন ভাষার মানুষরা যদি Feedback পাঠায় তবে Facebook হয়ত দ্রুত সাড়া দিবে। আমি আমার ব্লগে Twitter, GoDaddy, Paypal, LinkedIn, Odesk, Wikipedia, Everyone, Alexa তে Feedback পাঠানোর জন্য আলাদা আলাদা চিঠির খসড়া ও লিংক দিয়েছি। হাতে সময় থাকলে ভবিস্যতের স্বার্থে, নিজের একাউন্ট নিরাপদ করার স্বার্থে সেগুলোতে-ও Feedback পাঠান।
Tag : , ,

odesk শেষ পর্বঃ cavar letter গঠন ও সফল হওয়ার টিপস

আজকের শেষ পর্বটি কভার লেটার ও ওডেস্কের সফল হওয়ার অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য দিয়ে সাজালাম। অনেকদিনপর লিখতে বসলাম ওডেস্ক নিয়ে লেখার ধারাবাহিকটির শেষ পর্ব। ব্যস্ততার কারনে শেষ পর্বটি লিখতে দেরি হয়ে গেল। শুরু করা যাক।

কোন একটি জবের বর্ণনা খুলে ডানপাশে পাবেন বায়ারের তথ্য। বায়ারের Payment Method Verified কিনা চেক করে নিন। যদি ভেরিফাইড হয়ে থাকে তাহলে Apply to this job নামের একটি বাটন আছে, সেখানে ক্লিক করুন। নতুন যে পেজ ওপেন হবে, সেখানে উপরে Paid to You-এর ডান পাশের বক্সে আপনি কত ডলারে কাজটি করতে চাচ্ছেন, সেটির পরিমান লিখুন । আর যদি ঘন্টাভিত্তিক কাজ হয়ে থাকে, তাহলে প্রতি ঘন্টাতে কত ডলারে কাজ করবেন, সেটা লিখতে হবে। Cover Letter  বক্সে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কভার লেটারটি কিভাবে লিখবেন?

কভার লেটার লিখার ক্ষেত্রে লক্ষণীয়

অনেকে অন্য বন্ধু যে খুব ভাল ইংরেজী পারে তাকে দিয়ে এটি লিখিয়ে নেয়, কিংবা অন্যের কভার লেটারকে নকল করে। ২টাই খুবই বিপদজনক। নিজের থেকেই লিখেন।
  • ক) খুব সুন্দর ইংরেজী ব্যবহার করে, বড় কোন কিছু লেখাকে ভাল কভার লেটার বলেনা।
  • খ) ক্লায়েন্টকে একদম পারলে একলাইনে লিখুন কাজটি পারবেন, তাহলে ক্লায়েন্ট খুশি হবে সবচাইতে বেশি। ক্লায়েন্টের সময়ের মূল্য আছে। বড় কভার লেটার দেখলে ভয়ে আর সেটা পড়বেনা ক্লায়েন্ট।
  • গ) মনে মনে নিজেকে ক্লায়েন্ট ভাবুন। এবার ভাবুন, আপনাকে কেউ কিভাবে বললে আপনি কাজটি টাকা খরচ করে করবেন।
  • ঘ) ক্লায়েন্টের কাছে ভিক্ষা চাওয়ার দরকার নাই। তাহলে ক্লায়েন্ট আপনার যোগ্যতা নিয়ে সন্দেহে পড়ে যাবে। কাজটি পারার ব্যাপারে কনফিডেন্ট প্রকাশ করুন।
  • ঙ) অন্যের কভার লেটার নিজে ব্যবহার করবেননা। আপনি ইংরেজী কম জানলেও না। কারন আপনি খুব ভাল কেউ ইংরেজী পারে এমন কাউকে দিয়ে হয়ত কভারলেটারটি লেখালেন্। ক্লায়েন্ট কাজ দেয়ার আগে আপনাকে ইন্টারভিউতে ডাকবে। তখন দেখল আপনার ইংরেজী লেখার ধরন অন্যরকম, তখন শুরুতেই আপনাকে ভন্ড ভেবে নিবে। সেজন্য কাজটি আর আপনি পাবেননা।
  • চ) নিজের একই কভার লেটারও বারবার ব্যবহার করবেননা। অর্থাৎ যা লিখবেন, লাইভ লিখবেন।
  • ছ) বেশি কথা না বলে আপনার কাজের স্যাম্পল দিন। এটি আপনার ৫০০০ লাইনের কথা বলার সমান কাজ করে দিবে।
  • জ) কভার লেটারে নিজের গুনগান গেয়ে কিংবা করুণা ভিক্ষা চেয়ে ক্লায়েন্টকে আকর্ষণ করার চেষ্টা করবেননা। প্রজেক্টটি ভালভাবে সে অনুযায়ি কভার লেটার তৈরি করুন।
  • ঝ) কখনো ভুলেও আপনার ইমেইল, স্কাইপ আইডি, ইয়াহু, এগুলো কাভার লেটারে দেওয়া যাবে না। ক্লায়েন্ট আপনাকে নক করলে শুধুমাত্র তখনি আপনার কন্টাক্ট ডিটেইলস তাকে দিবেন।

কভার লেটারের গঠনঃ

  • ক) স্যার বলে সম্বোধন করবেননা। এটি বাংলাদেশিরা পছন্দ করে, বিদেশিরা পছন্দ করেনা। Hi, Hello ব্যবহার করুন, সম্বোধনের ক্ষেত্রে।
  • খ) প্রজেক্টটি পড়ে আপনি যে ক্লায়েন্টের চাহিদা ভালভাবে বুঝেছেন, সেটি লেটারের প্রথমেই বোঝানোর জন্য কোন লাইন লিখতে পারেন।
  • গ) এবার বোঝানোর চেষ্টা করুন, আপনারে পক্ষে যে কাজটি করা সম্ভব।
  • ঘ) এ ধরনের কাজের ব্যপারে আপনার পূর্ব অভিজ্ঞতা উল্লেখ করুন।
  • ঙ) ক্লায়েন্টের রিপ্লাইয়ের জন্য আপনি অপেক্ষা করছেন, এ ধরনের কোন লাইন লিখুন।
  • চ) ধন্যবাদ সহকারে নিজের নাম উল্লেখ করে শেষ করেন লেটারটি।
অর্থাৎ এভাবে হবে লেটারটি।
"এই কাজ কোনো ব্যাপার না, আমি আগেও করেছি, এই দেখেন [লিংক] বা স্যাম্পল (এটাচ করা ফাইলে)"
শুধু এই লাইনটাই ইংরেজিতে লিখুন।

কভারলেটারের উদাহরণঃ

Hi,
I am interested to do your project. I can provide/collect you more than 000 Facebook likes within 0 days. I have more than 0000 Facebook friends and also have many Facebook groups, page etc. So I think, I can do your project properly. I am waiting for your nice response.
Thanks
AR
কাজটিতে যদি বায়ারের বিশেষ রিকয়ারমেন্ট থাকে সেক্ষেত্রে রেট না কমিয়ে কাজের Sample বা পারফর্মেন্স দেখিয়ে বিড জেতার চেষ্টা করুন। অন্যদিকে যদি সহজ কাজ হয়, যেখানে আপনি বুঝতেই পারছেন বায়ার মূলতঃ কম বাজেটে কাজটি করাতে চাচ্ছে, সেক্ষেত্রে বিডের এমাউন্ট কমিয়ে দিন।
PMB (Private Message)  তে লেখার ২টি নমুনা প্রদত্ত হল।
যেমনঃ  I’m ready to work with your asking budget.
অথবা Please tell me your actual budget, i’m ready to work with cheap rate.

কাজ শুরু করুন


ঘণ্টাভিত্তিক কাজের ক্ষেত্রে http://www.odesk.com/downloads থেকে ওডেস্ক টিম সফটওয়্যারটি নামিয়ে নিন, পিসিতে ইন্সটল করুন। এবার কাজ শুরু আগে কাজটি সিলেক্ট করে Start-এ ক্লিক করুন। দেখতে পাবেন, কাজের সময় গণনা শুরু হয়ে গেছে। সফটওয়্যারটি কিছুক্ষণ পরপর আপনার কম্পিউটারের স্ক্রিণশট নিবে, সাথে সাথে সেটা আবার ক্লায়েন্টের কাছে পাঠিয়ে দিবে। কাজ শেষ হলে বায়ার যখন আপনাকে পেমেন্ট দিয়ে চুক্তি শেষ করবেন, তখন আপনার কাছে একটি নোটিফিকেশন আসবে BuyerName ended your contract ….। এবার বায়ার ফিডব্যাক দিবে, আপনাকেও দিতে হবে বায়ার সম্পর্কিত ফিডব্যাক। পূণমান ৫-এর মধ্যে এ ফিডব্যাক হয়।উভয় পক্ষ ফিডব্যাক দিলেই কেবল একজন অপরেরটা দেখতে পাবেন।
ভালো ফিডব্যাক পেলে পরবর্তীকালে বেশি কাজ পেতে সুবিধা হয়। বাজে ফিডব্যাক পেলে সেটি মুছে ফেলতে পারবেন। আপনি যদি বায়ারের পেমেন্ট ফেরত দিয়ে দেন, তাহলে আপনার প্রোফাইলে ওই বাজে ফিডব্যাক আর দেখা যাবে না। নোটিফিকেশন পেইজে Give refund-এ ক্লিক করে আপনি বায়ারকে পেমেন্ট ফেরত দিয়ে দিতে পারবেন। বায়ার আপনাকে পেমেন্ট দেওয়ার পর সেই পেমেন্ট এক সপ্তাহের মতো পেন্ডিং থেকে তারপর আপনার ওডেস্ক অ্যাকাউন্টে জমা হবে। আপনার বর্তমানে ব্যালান্স কত আছে এবং পেনডিং-এ কত আছে, সেটি জানার জন্য Transaction History-এ ক্লিক করুন।

ফ্রিল্যান্সে সফল হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ


  • ক) আপনার  প্রোফাইল ১০০%  করুন।
  • খ) আপনার প্রোফাইলে সুন্দর একটি Title এবং overview ঠিক করুন।
  • গ) আপনার Skills and Employment History ভালভাবে যুক্ত করুন।
  • ঘ) আপনার নিজের করা সেরা কাজগুলো (image + Link) যুক্ত করুন প্রোফাইলে।
  • ঙ)  আপনি প্রোফাইলে যেটিতে দক্ষ উল্লেখ করেছেন, সে ধরনের কাজগুলোতে বিড করুন। যেটি বিড করতে চাচ্ছেন, সেটি প্রোফাইলে না থাকলে কাজটি পাবেননা।
  • চ) কাউকে কপি করবেননা। প্রোফাইল তৈরিতেও না, কভার লেটার লিখার ক্ষেত্রেও না। নকল করার ক্ষেত্রে সাবধান। আপনার একাউন্ট পযন্ত বাদ হয়ে যেতে পারে।
  • জ) নতুন কাজে বিড করুন। ৪ থেকে ৫ জনকে ইতিমধ্যে ইন্টারভিউতে ডাকা হয়ে গেলে সেই কাজটি পাওয়ার সম্ভবনা খুবই ক্ষীণ।
  • ঝ) শুরুতে ছোট ছোট কাজ করে ফিডব্যাক সংগ্রহ করুন।
  • ঞ) কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে ইমোশনারলি ক্লায়েন্টকে আকর্ষণ করলে কাজ পাবেননা।
  • ট) বিডিং রেট বাজার রেটের চাইতে অস্বাভাবিক কমালে কাজ না পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে, তাতে আপনার ব্যাপারে নেগেটিভ ধারনা পাবে।
  • ঠ) বিড শুরু করার আগে বায়ারের রেটিং, পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড কিনা চেক করে নিন।
  • ড) আপনার পোর্টফোলিও হালনাগাদ করুন।
  • ঢ) অবশ্যই আপনার স্কাইপ অ্যাকাউন্ট রেডি করুন।
  • ণ) ধৈয্য ও অধ্যাবসায় খুব জরুরী। একদিনে কাজ পাওয়ার আশা না করে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

শেষ পর্বটি লিখতে দেরি হওয়ার জন্য সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। ২টা ফ্রিল্যান্সিং সেমিনারের (অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও পাবলিক লাইব্রেরীতে আয়োজিত)  জন্য ব্যস্ত ছিলাম। আগামী ৩জুলাই আবার যাচ্ছি চট্টগ্রামে। সেখানে সাউদার্ণ ভার্সিটিতে আউটসোর্সিং ক্যারিয়ারের উপর বক্তব্য দিব। সবাইকে আমন্ত্রন রইল। আর লেখাটি কেমন লাগল কমেন্ট করে জানাবেন। যাদের এখানে একাউন্ট নাই,  তারা ফেসবুক গ্রুপে এসে কমেন্ট করতে পারেন।
ফেসবুকগ্রুপঃ
সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন। আর উপরের টিউনটিটি ভাল লাগলে আপনার ফেসবুকে শেয়ার করতে ভুলবেননা। নাহলে অন্যরা লেখাটি সম্পর্কে জানতে পারবেনা। আপনার জন্য অন্য কারও উপকার হলে সারাজীবন আপনাআপনি দোয়া পাবেন।
Tag : ,

The Won Blog Of EARN FOR TEICKS. The Blog Created by Bijoy Kumar Biswas. Designed by বিজয়*বিজন*বিজু