ছোট কাজ করে ছোট টাকা উপার্জন (অভিজ্ঞদের জন্য নয়)
আশা করি সবাই ভালো আছেন। ইন্টারনেট এ ছোট ছোট কাজ করে কিছু টাকা
উপার্জনের কিছু সাইট নিয়ে হাজির হলাম আপনাদের সামনে। হয়তবা অনেকেই
এই সাইট গুলোর নাম আগে থেকেই জানেন। যারা জানেন না তাদের জন্য আমার আজকের
লিখা।
microworkers.com: এই সাইটটি অনেক জনপ্রিয়। কাজ করার সাত দিনের মাঝে আপনার টাকা হয়ে যাবে। একাধিক একাউন্ট করা যাবে না। নয় ডলারের বেশি হলে পেপাল, পায়জা ও মানিবুকের্স দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন।
shorttask.com: এই সাইটটি কার্যক্রম অনেক ভালো। একাধিক একাউন্ট করা যাবে না। দশ ডলারের বেশি হলে পেপাল দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন।
minuteworkers.com: এই সাইটটি ভালো সাইট হিসাবে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে। রেফারেল দিলে পাচ সেন্ট পাবেন ও আপনার রেফারার যদি একটি কাজ সফলভাবে শেষ করেন তবে দশ সেন্ট পাবেন। দুই ডলারের বেশি হলে ১০% ফী দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন। তবে দশ ডলারের বেশি হলে কোনো ফী দিতে হবে না। পেপাল ও পায়জা দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন।
microtoilers.com: এই সাইটটিতে একাউন্ট করার সাথে সাথে এক ডলার পাবেন। এই সাইট এ রেফারেল এর বেবস্থা আছে। প্রথমবার টাকা তুলতে পচিশ ডলার বেশি হতে হবে। এরপর নয় ডলারের বেশি হলে পেপাল ও পায়জা দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন। (তবে এই সাইটটিতে আমি কখনো কাজ করিনি)
jobboy.com: এই সাইটটিতে একাউন্ট করার সাথে সাথে এক ডলার পাবেন। এই সাইট এ রেফারেল এর বেবস্থা আছে। দশ ডলারের বেশি হলে পেপাল ও পায়জা দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন।
microjob.co: এই সাইটটিতে আপনি নিজের প্রোফাইল তৈরী করে আপনার কাজের বর্ণনা দিতে পারবেন পাশাপাশি ছোট ছোট কাজ করে কিছু টাকা উপার্জন করতে পারবেন। পেপাল, পায়জা ও মানিবুকের্স দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন। কিন্তু টাকা পাঠাতে ত্রিশ কর্ম দিবস সময় নিয়ে থাকে।
centworkers.com: এই সাইটটিতে আপনি রেফারেল দিলে দশ সেন্ট পাবেন ও আপনার রেফারার যদি কাজ করে একশ ডলার উপার্জন করেন তবে এক ডলার পঞ্চাশ সেন্ট পাবেন। পাচ ডলারের বেশি হলে পেপাল, পায়জা ও মানিবুকের্স দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন।
pointdollars.com: এই সাইট এ রেফারেল এর বেবস্থা আছে। প্রথমবার টাকা তুলতে পচিশ ডলার বেশি হতে হবে। এরপর নয় ডলারের বেশি হলে পেপাল ও পায়জা দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন। (তবে এই সাইটটিতে আমি কখনো কাজ করিনি)
deshiworker.com: এটি একটি বাংলাদেশী সাইট। এর মান ঠিক রাখতে এডমিনগণ যথেষ্ট চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যারা ইংলিশ একটু কম পারেন, তারা এই সাইটটিতে চেষ্টা করতে পারেন। এই সাইটটি সম্পর্কে বেশি কিছু বলছি না, কারণ সাইটটি বাংলায়। তাই কোনো কিছু বুঝতে অসুবিধা হবার কথা না।
microworkers.com: এই সাইটটি অনেক জনপ্রিয়। কাজ করার সাত দিনের মাঝে আপনার টাকা হয়ে যাবে। একাধিক একাউন্ট করা যাবে না। নয় ডলারের বেশি হলে পেপাল, পায়জা ও মানিবুকের্স দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন।
shorttask.com: এই সাইটটি কার্যক্রম অনেক ভালো। একাধিক একাউন্ট করা যাবে না। দশ ডলারের বেশি হলে পেপাল দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন।
minuteworkers.com: এই সাইটটি ভালো সাইট হিসাবে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে। রেফারেল দিলে পাচ সেন্ট পাবেন ও আপনার রেফারার যদি একটি কাজ সফলভাবে শেষ করেন তবে দশ সেন্ট পাবেন। দুই ডলারের বেশি হলে ১০% ফী দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন। তবে দশ ডলারের বেশি হলে কোনো ফী দিতে হবে না। পেপাল ও পায়জা দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন।
microtoilers.com: এই সাইটটিতে একাউন্ট করার সাথে সাথে এক ডলার পাবেন। এই সাইট এ রেফারেল এর বেবস্থা আছে। প্রথমবার টাকা তুলতে পচিশ ডলার বেশি হতে হবে। এরপর নয় ডলারের বেশি হলে পেপাল ও পায়জা দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন। (তবে এই সাইটটিতে আমি কখনো কাজ করিনি)
jobboy.com: এই সাইটটিতে একাউন্ট করার সাথে সাথে এক ডলার পাবেন। এই সাইট এ রেফারেল এর বেবস্থা আছে। দশ ডলারের বেশি হলে পেপাল ও পায়জা দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন।
microjob.co: এই সাইটটিতে আপনি নিজের প্রোফাইল তৈরী করে আপনার কাজের বর্ণনা দিতে পারবেন পাশাপাশি ছোট ছোট কাজ করে কিছু টাকা উপার্জন করতে পারবেন। পেপাল, পায়জা ও মানিবুকের্স দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন। কিন্তু টাকা পাঠাতে ত্রিশ কর্ম দিবস সময় নিয়ে থাকে।
centworkers.com: এই সাইটটিতে আপনি রেফারেল দিলে দশ সেন্ট পাবেন ও আপনার রেফারার যদি কাজ করে একশ ডলার উপার্জন করেন তবে এক ডলার পঞ্চাশ সেন্ট পাবেন। পাচ ডলারের বেশি হলে পেপাল, পায়জা ও মানিবুকের্স দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন।
pointdollars.com: এই সাইট এ রেফারেল এর বেবস্থা আছে। প্রথমবার টাকা তুলতে পচিশ ডলার বেশি হতে হবে। এরপর নয় ডলারের বেশি হলে পেপাল ও পায়জা দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন। (তবে এই সাইটটিতে আমি কখনো কাজ করিনি)
deshiworker.com: এটি একটি বাংলাদেশী সাইট। এর মান ঠিক রাখতে এডমিনগণ যথেষ্ট চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যারা ইংলিশ একটু কম পারেন, তারা এই সাইটটিতে চেষ্টা করতে পারেন। এই সাইটটি সম্পর্কে বেশি কিছু বলছি না, কারণ সাইটটি বাংলায়। তাই কোনো কিছু বুঝতে অসুবিধা হবার কথা না।
আমার লেখাতে সব কিছু পরিষ্কার না হলে, সাইটগুলো কিভাবে কাজ করে এই নিয়ে বাংলাতে ভিডিও দেখতে পারেন।
Tag :
Adsense,
ফ্রিল্যান্সারে বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে বাংলাদেশের মো. আলী আজগর
(প্রিয় টেক) মো. আলী আজগর। অনলাইন ফ্রিল্যান্সিংয়ে
হাতে খড়ি ২০০৯ সালে। লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন সায়েন্সে মাস্টার্স ও
কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা
সম্পন্ন করে শুধু চাকরির আশায় না ঘুরে নিজে কিছু করার বাসনায় শুরু
করেছিলেন ঘরে বসে অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে আয় করতে।
শুরুতে তেমন সফলতা না পেলেও অদম্য ধৈর্য বর্তমানে তাকে সফলতার
দ্বারপ্রান্তে এনে দিয়েছে। বর্তমানে তিনি শীর্ষ স্থানীয় অনলাইন
মার্কেটপ্লেস ফ্রিল্যান্সার.কম সাইটের ওয়েবসাইট, আইটি
অ্যান্ড সফটওয়্যার ক্যাটাগরির ফেসবুক, টুইটার ও সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং
সাব-ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে রয়েছেন। একই
সঙ্গে সব ক্যাটাগরির মধ্যে তিনি প্রজেক্ট ও আয়ের পরিমাণের ওপর বিশ্বে
তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন। তিনি এ পর্যন্ত ২ হাজার ৫৩১টি প্রজেক্ট সমাপ্ত
করেছেন। ফ্রিল্যান্সার ডটকম সাইটের ৫টি ক্যাটাগরি যথাক্রমে কোয়ালিটি অব
ওয়ার্ক, কমিউনিকেশন, দক্ষতা, কাজের আহ্বান, পেশাগত দক্ষতার ওপর তার সফলতা
শত ভাগ। তার সফলতার গল্প বলেছেন প্রিয়.কমের সাথে। ফ্রিল্যান্সার ডটকমে মো. আলী আজগরের ইউজার নেম ল্যান্সারবয়১২০৬ আর মো. আলী আজগরের সাথে যোগাযোগ করতে তার ফেসবুকে যোগদান করতে পারেন।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে প্রথম ধারণা পেলেন কিভাবে?
মো. আলী আজগর: আমি যখন ক্লাস টেনে পড়ি, তখন থেকেই কম্পিউটার নামক যন্ত্রটির প্রতি প্রচণ্ড ঝোঁক ছিল। সময় পেলেই ওটার পেছনে ব্যয় করতাম। ২০০৮ সালের কথা। নেট নিয়ে ঘাটাঘাটি করা অভ্যাসে পরিণীত হয়। টিউটোরিয়াল ডাউনলোড করে সেটা নিয়ে চর্চা করতাম। তখন ভাল টিউটোরিয়ালের কথা চিন্তাই করা যেত না। তারপরও আমি বলব, আমার টিউটর আমি নিজেই। ওই সময়েই জানতে পারি অনলাইনে আয় করা সম্ভব। কিন্তু কোনভাবেই সেটা উদ্ধার করতে পারছিলাম না। কিন্তু চেষ্টা করে গেলাম।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিংয়ে কিভাবে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন?
মো. আলী আজগর: ২০০৯ সালে সাইনআপ করলাম ফ্রিল্যান্সার.কম-এ। দীর্ঘ ১ বছর বিড করতে করতে ২০১০ সালের শেষে প্রথম বিড জয় করলাম। সত্যি সেটা ছিল এভারেস্ট জয় করার মত আনন্দের। সফলভাবে প্রজেক্ট শেষ করলাম। ক্লায়েন্টও আমার উপর যথেষ্ট খুশি। আরেকটা প্রজেক্ট দিল আমাকে। তারপর একে একে অনেক প্রজেক্ট পেতে থাকলাম। আমাকে আর পেছনে ফিরে যেতে হয়নি কখনই।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিংয়ে আসার জন্য সবচেয়ে বেশি উৎসাহ পেয়েছিলেন কোথা থেকে?
মো. আলী আজগর: আমি আসলে নিজেই আমাকে ফ্রিল্যান্সিংয়ে আসার জন্য সবচেয়ে বেশি উৎসাহ দিয়েছি। কারণ ওই সময়ে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা ছিল না। যা এখন সবার কাছে সুপরিচিত।
প্রিয় টেক: কবে থেকে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেছিলেন? সাধারণত কি কাজ করেন?
মো. আলী আজগর: মূলত বলা যায় আমার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু ২০১০ সালের শেষ দিকে। ফ্রিল্যান্সার.কম-এ আমি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ও ইন্টারনেট মার্কেটিং-এ কাজ করি। ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব ইত্যাদি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে আমি আমার ক্লায়েন্টদের ব্যবসাকে প্রসারিত করার কাজে সহায়তা করছি। ফেসবুক ও টুইটার প্রোমোশন এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং-এ আমি ফ্রিল্যান্সার.কম সাইটে বিশ্বসেরা হিসাবে নির্বাচিত হয়েছি।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং এ আপনার প্রিয় সাইট কোনগুলো?
মো. আলী আজগর: মোটামুটি ফ্রিল্যান্সিং এর বেশিরভাগ সাইটেরই আমি মেম্বার। তবে আমার একটিই মাত্র প্রিয় সাইট - ফ্রিল্যান্সার.কম।
প্রিয় টেক: অন্য সাইট গুলো থেকে আপনার সব থেকে প্রিয় সাইটের তফাৎ কি?
মো. আলী আজগর: বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং-এর অজস্র সাইট আছে। আর এখানে আজ প্রচুর বাংলাদেশি কাজ করছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে ফ্রিল্যান্সার.কম-এ কাজ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। এই সাইটের নিয়মকানুন ও কাজের পদ্ধতি আমার কাছে সহজ মনে হয়।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
মো. আলী আজগর: বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার। যদিও আমি বলব এটা মাত্র শুরু। আমাদের আরও এগুতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং উন্নয়নে আমার যে কোন ব্যক্তিগত সহায়তা ও পরামর্শ সবসময় সবার জন্য উন্মুক্ত। ভবিষ্যতে ইচ্ছে আছে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে কিছু একটা করার।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং এ এখন পর্যন্ত আপনার অর্জন কতটুকু?
মো. আলী আজগর: অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, ফ্রিল্যান্সার.কম-এ মাত্র ২ বছরে আজ আমার অবস্থান বিশ্বের ৩ নম্বরে। আর ফেসবুক ও টুইটার প্রোমোশন এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং-এ আমি ফ্রিল্যান্সার.কম সাইটে বিশ্বসেরা। এই মূহুর্ত পর্যন্ত আমার সংগ্রহ ২২৬৪ টি ফিডব্যাক (রিভিউ) এবং ১০০% রেপুটেশন। সাধারণত: ৫টি ক্যাটাগরিতে রেপুটেশন দেয়া হয়। সবগুলো ক্যাটাগরিতেই আমার ১০০% রেপুটেশন।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয় করা প্রথম টাকা কিভাবে পেয়েছিলেন?
মো. আলী আজগর: ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয় করা প্রথম টাকা ফ্রিল্যান্সিং-এর মানি ট্রান্সফার সাইট মানিবুকার্স (বর্তমান নাম স্ক্রিল) এর মাধ্যমে ১৪ দিন পরে আমার ব্যাংক একাউন্টে জমা হয়েছিল।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং এ প্রথম কোন কাজ করেছেন এবং প্রথম পেমেন্ট কত পেয়েছিলেন?
মো. আলী আজগর: ফ্রিল্যান্সিং এ প্রথম কাজটি ছিল ৫০০ ফেসবুক পেইজ লাইক প্রমোট করা। প্রথম পেমেন্ট পেয়েছিলাম ৩০ ডলার। এর মধ্যে ফ্রিল্যান্সার প্রজেক্ট ফি বাবদ ৫ ডলার কেটে রেখেছিল।
প্রিয় টেক: প্রথম টাকা পাওয়ার অনুভূতি কেমন ছিলো এবং সে টাকা কি করেছিলেন?
মো. আলী আজগর: ওটা ছিল এক অদ্ভুত অনুভূতি। আজও আমি সেই দিনের সেই আনন্দ উপলব্ধি করি। সে টাকা দিয়ে আমি আরও দ্রুতগতির ইন্টারনেট নিয়েছিলাম।
প্রিয় টেক: বাংলাদেশ থেকে ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কাজ করার সম্ভাবনা কেমন?
মো. আলী আজগর: এ পেশায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো আজ বাংলাদেশকে তাদের পছন্দের তালিকায় স্থান দিচ্ছে। এটা একটা বড় অর্জন। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এই অর্জনটাকে ধরে রাখতে পারলে এবং বাস্তবে পরিপূর্ণভাবে রূপ দিতে পারলে বাংলাদেশে আর কোন বেকার সমস্যা থাকবে না। তবে এক্ষেত্রে সরকারের সহায়তা জরুরী। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নিশ্চয়তাসহ ইন্টারনেটের মূল্য কমানো এবং কম্পিউটার পণ্যের সহজলভ্যতা, পেপ্যাল চালু করা ইত্যাদি। আমি চাই আগামী প্রজন্ম এই পেশায় আরও সম্পৃক্ত হবে। বাংলাদেশের আর্থিক উন্নয়নে ফ্রিল্যান্সিং হবে প্রধান হাতিয়ার - এটা আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি।
প্রিয় টেক: বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তির মন্দ দিক কোন গুলো ?
মো. আলী আজগর: প্রধান অন্তরায় লোডশেডিং এবং ইন্টারনেট লাইনের দূর্বলতা। এদেশে নেটের বিল অনেক বেশি, সেবার মান খুবই বাজে। পেপ্যাল না আসা। আজও এ দেশে তেমন ভাল কোন ফ্রিল্যান্সিং সংগঠন গড়ে ওঠেনি।
প্রিয় টেক: আপনার কাছে দেশের তথ্য প্রযুক্তির ভালো দিকগুলো কি কি?
মো. আলী আজগর: কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান ফ্রিল্যান্সিং সেমিনার আয়োজন করে এই পেশাকে সবার দোরগোড়ায় নিয়ে গেছে। এটা একটা ভাল দিক। আবার কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান ফ্রিল্যান্সিং -এর বিভিন্ন কোর্স করাচ্ছে। এটাও ভাল দিক। তবে আমাদের সবাইকেই সতর্ক থাকতে হবে প্রশিক্ষণ যেন প্রহসনে পরিণত না হয়। তাই ভাল প্রতিষ্ঠান থেকেই প্রশিক্ষণের ব্যাপারে সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। প্রশিক্ষণের ব্যাপারে সরকারি নীতিমালাও তৈরি করা উচিৎ বলে মনে করি।
প্রিয় টেক: প্রথম প্রথম ইন্টারনেট কি কাজে ব্যবহার করতেন আর এখন ইন্টারনেটে কি নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকেন?
মো. আলী আজগর: প্রথম প্রথম ইন্টারনেটে শুধু গান, মুভি ডাইনলোড করাতেই ব্যস্ত থাকতাম। আর এখন কাজ নিয়ে। মাঝে মাঝে ঘুমাবারও সময় পাইনা।
প্রিয় টেক: তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির জন্য সরকারের কি কি করা উচিত ?
মো. আলী আজগর: নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা করা। আরও দ্রুতগতির ইন্টারনেট সহজলভ্য মূল্যে সরবরাহ করা। স্কুল-কলেজে বিনামূল্যে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সেবা সরবরাহ করা। এমনকি তাদের পাঠ্যপুস্তকে ফ্রিল্যান্সিং অধ্যায় সংযোজন করা। পেপ্যাল দ্রুত চালু করা।
প্রিয় টেক: ইন্টারনেটেই যেহেতু আয় তো বাংলাদেশের ইন্টারনেট সার্ভিস নিয়ে কি আপনি সন্তুষ্ট?
মো. আলী আজগর: মন্দের ভাল। প্রতিদিন কাজ করতে গিয়ে ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ বার ইন্টারনেট সমস্যায় ভুগি। কিছুই করার নেই।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য সবচেয়ে কোন প্রতিবন্ধকতায় বেশি পড়েছেন?
মো. আলী আজগর: ফ্রিল্যান্সিং কথাটা যতটা সহজ মনে হয়, আসলে ততটা নয়। বলা যায় চ্যালেঞ্জিং জব। প্রতিনিয়ত কোন না কোন প্রতিবন্ধকতা আসেই। আর সেগুলোকে মোকাবেলা করে এগিয়ে যাবার মধ্যে আনন্দও আছে। একবার আমার ফ্রিল্যান্সার আইডি হ্যাক হয়ে গিয়েছিল। ১০০০ ডলার ছিল। সেটাও চুরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ফ্রিল্যান্সার.কম-এর সহযোগিতায় সবই আবার ফিরে পেয়েছিলাম।
প্রিয় টেক: বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের সবচেয়ে বড় সমস্যা কোনটি বলে মনে করেন?
মো. আলী আজগর: অধৈর্য্যতা। সবাই রাতারাতি বড়লোক হতে চায়। তাই সাইনআপ করার পর কয়েকদিন বিড করে না পেয়ে হারিয়ে যায়।
প্রিয় টেক: ভবিষ্যতে কি ফ্রিল্যান্সিংকেই ক্যারিয়ার হিসাবে নিতে চান নাকি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাজ করতে চান?
মো. আলী আজগর: ফ্রিল্যান্সার হিসাবে যথেষ্ট পেয়েছি, আমি পরিপূর্ণভাবে সন্তুষ্ট। আমার প্রতিষ্ঠানের নাম “অনলাইন আর্নিং ম্যাজিক”। চিন্তাভাবনা করছি একে আরও বড় প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবার। প্রক্রিয়া চলছে।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কাজ করতে সরকারের কাছে কি কোনো চাওয়া আছে?
মো. আলী আজগর: প্রথম চাওয়া পেপ্যাল। দ্বিতীয় চাওয়া দ্রুত গতির অথবা বেশিদামির ইন্টারনেট হোক, সেটা আমার বড় চাওয়া নয়, আমার বড় চাওয়া যে ইন্টারনেট পাচ্ছি তা যেন স্ট্যাবল থাকে সেটা নিশ্চিত করা। কাজ করতে গিয়ে যেন প্রতিদিন হাজারবার নেট ফল্ট না করে। যা খুবই বিরক্তিকর এবং কাজের গতি মারাত্মকভাবে হ্রাস করে। আর, আবারও বলছি - নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ চাই।
প্রিয় টেক: বায়াররা বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের কেমন মূল্যায়ন করে বলে মনে করেন?
মো. আলী আজগর: বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা বিদেশি বায়ারদের কাছে খুবই মূল্যায়িত। এর অন্যতম এবং প্রধান কারণ - এদেশের শ্রম সবচেয়ে সস্তা। আর এটাও পাশাপাশি স্বীকার করতেই হবে - বাংলাদেশের সবাই টাইগার। তাদের সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে কাজ করার যোগ্যতা আজ বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদেরকে নিয়ে ভাবতে বিদেশি প্রতিষ্ঠান ও বায়ারদেরকে বাধ্য করছে। এটা বাংলাদেশের বড় প্রাপ্তি।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং এ ভালো পারফরমেন্স করার জন্য কি কি যোগ্যতা থাকা উচিত?
মো. আলী আজগর: ভাল যোগাযোগ গুণাবলী। ইংরেজিতে দক্ষ। কাজের মূল্যায়ন করা ও মান ঠিক রাখা। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ ডেলিভারি দেয়া।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং এ যারা নতুন তাদের জন্য কি পরামর্শ দিবেন?
মো. আলী আজগর: নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে গেলে সফলতা আসবেই। ফ্রিল্যান্সিং-এ অজস্র রকমের কাজ আছে। যে কোন একটা স্কিলে দক্ষতা অর্জন করে এগিয়ে গেলে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে অবশ্যই যাওয়া সম্ভব। বিশেষ পরামর্শ - একসাথে সব স্কিলে কাজ করতে গেলে শেষ পর্যন্ত কোনটাই হবে না। তাই সাবধানতা অবলম্বন করা কাম্য।
মো. আলী আজগর: আমি যখন ক্লাস টেনে পড়ি, তখন থেকেই কম্পিউটার নামক যন্ত্রটির প্রতি প্রচণ্ড ঝোঁক ছিল। সময় পেলেই ওটার পেছনে ব্যয় করতাম। ২০০৮ সালের কথা। নেট নিয়ে ঘাটাঘাটি করা অভ্যাসে পরিণীত হয়। টিউটোরিয়াল ডাউনলোড করে সেটা নিয়ে চর্চা করতাম। তখন ভাল টিউটোরিয়ালের কথা চিন্তাই করা যেত না। তারপরও আমি বলব, আমার টিউটর আমি নিজেই। ওই সময়েই জানতে পারি অনলাইনে আয় করা সম্ভব। কিন্তু কোনভাবেই সেটা উদ্ধার করতে পারছিলাম না। কিন্তু চেষ্টা করে গেলাম।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিংয়ে কিভাবে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন?
মো. আলী আজগর: ২০০৯ সালে সাইনআপ করলাম ফ্রিল্যান্সার.কম-এ। দীর্ঘ ১ বছর বিড করতে করতে ২০১০ সালের শেষে প্রথম বিড জয় করলাম। সত্যি সেটা ছিল এভারেস্ট জয় করার মত আনন্দের। সফলভাবে প্রজেক্ট শেষ করলাম। ক্লায়েন্টও আমার উপর যথেষ্ট খুশি। আরেকটা প্রজেক্ট দিল আমাকে। তারপর একে একে অনেক প্রজেক্ট পেতে থাকলাম। আমাকে আর পেছনে ফিরে যেতে হয়নি কখনই।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিংয়ে আসার জন্য সবচেয়ে বেশি উৎসাহ পেয়েছিলেন কোথা থেকে?
মো. আলী আজগর: আমি আসলে নিজেই আমাকে ফ্রিল্যান্সিংয়ে আসার জন্য সবচেয়ে বেশি উৎসাহ দিয়েছি। কারণ ওই সময়ে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা ছিল না। যা এখন সবার কাছে সুপরিচিত।
প্রিয় টেক: কবে থেকে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেছিলেন? সাধারণত কি কাজ করেন?
মো. আলী আজগর: মূলত বলা যায় আমার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু ২০১০ সালের শেষ দিকে। ফ্রিল্যান্সার.কম-এ আমি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ও ইন্টারনেট মার্কেটিং-এ কাজ করি। ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব ইত্যাদি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে আমি আমার ক্লায়েন্টদের ব্যবসাকে প্রসারিত করার কাজে সহায়তা করছি। ফেসবুক ও টুইটার প্রোমোশন এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং-এ আমি ফ্রিল্যান্সার.কম সাইটে বিশ্বসেরা হিসাবে নির্বাচিত হয়েছি।
মো. আলী আজগর: মোটামুটি ফ্রিল্যান্সিং এর বেশিরভাগ সাইটেরই আমি মেম্বার। তবে আমার একটিই মাত্র প্রিয় সাইট - ফ্রিল্যান্সার.কম।
প্রিয় টেক: অন্য সাইট গুলো থেকে আপনার সব থেকে প্রিয় সাইটের তফাৎ কি?
মো. আলী আজগর: বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং-এর অজস্র সাইট আছে। আর এখানে আজ প্রচুর বাংলাদেশি কাজ করছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে ফ্রিল্যান্সার.কম-এ কাজ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। এই সাইটের নিয়মকানুন ও কাজের পদ্ধতি আমার কাছে সহজ মনে হয়।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
মো. আলী আজগর: বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার। যদিও আমি বলব এটা মাত্র শুরু। আমাদের আরও এগুতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং উন্নয়নে আমার যে কোন ব্যক্তিগত সহায়তা ও পরামর্শ সবসময় সবার জন্য উন্মুক্ত। ভবিষ্যতে ইচ্ছে আছে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে কিছু একটা করার।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং এ এখন পর্যন্ত আপনার অর্জন কতটুকু?
মো. আলী আজগর: অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, ফ্রিল্যান্সার.কম-এ মাত্র ২ বছরে আজ আমার অবস্থান বিশ্বের ৩ নম্বরে। আর ফেসবুক ও টুইটার প্রোমোশন এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং-এ আমি ফ্রিল্যান্সার.কম সাইটে বিশ্বসেরা। এই মূহুর্ত পর্যন্ত আমার সংগ্রহ ২২৬৪ টি ফিডব্যাক (রিভিউ) এবং ১০০% রেপুটেশন। সাধারণত: ৫টি ক্যাটাগরিতে রেপুটেশন দেয়া হয়। সবগুলো ক্যাটাগরিতেই আমার ১০০% রেপুটেশন।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয় করা প্রথম টাকা কিভাবে পেয়েছিলেন?
মো. আলী আজগর: ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয় করা প্রথম টাকা ফ্রিল্যান্সিং-এর মানি ট্রান্সফার সাইট মানিবুকার্স (বর্তমান নাম স্ক্রিল) এর মাধ্যমে ১৪ দিন পরে আমার ব্যাংক একাউন্টে জমা হয়েছিল।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং এ প্রথম কোন কাজ করেছেন এবং প্রথম পেমেন্ট কত পেয়েছিলেন?
মো. আলী আজগর: ফ্রিল্যান্সিং এ প্রথম কাজটি ছিল ৫০০ ফেসবুক পেইজ লাইক প্রমোট করা। প্রথম পেমেন্ট পেয়েছিলাম ৩০ ডলার। এর মধ্যে ফ্রিল্যান্সার প্রজেক্ট ফি বাবদ ৫ ডলার কেটে রেখেছিল।
প্রিয় টেক: প্রথম টাকা পাওয়ার অনুভূতি কেমন ছিলো এবং সে টাকা কি করেছিলেন?
মো. আলী আজগর: ওটা ছিল এক অদ্ভুত অনুভূতি। আজও আমি সেই দিনের সেই আনন্দ উপলব্ধি করি। সে টাকা দিয়ে আমি আরও দ্রুতগতির ইন্টারনেট নিয়েছিলাম।
প্রিয় টেক: বাংলাদেশ থেকে ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কাজ করার সম্ভাবনা কেমন?
মো. আলী আজগর: এ পেশায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো আজ বাংলাদেশকে তাদের পছন্দের তালিকায় স্থান দিচ্ছে। এটা একটা বড় অর্জন। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এই অর্জনটাকে ধরে রাখতে পারলে এবং বাস্তবে পরিপূর্ণভাবে রূপ দিতে পারলে বাংলাদেশে আর কোন বেকার সমস্যা থাকবে না। তবে এক্ষেত্রে সরকারের সহায়তা জরুরী। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নিশ্চয়তাসহ ইন্টারনেটের মূল্য কমানো এবং কম্পিউটার পণ্যের সহজলভ্যতা, পেপ্যাল চালু করা ইত্যাদি। আমি চাই আগামী প্রজন্ম এই পেশায় আরও সম্পৃক্ত হবে। বাংলাদেশের আর্থিক উন্নয়নে ফ্রিল্যান্সিং হবে প্রধান হাতিয়ার - এটা আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি।
প্রিয় টেক: বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তির মন্দ দিক কোন গুলো ?
মো. আলী আজগর: প্রধান অন্তরায় লোডশেডিং এবং ইন্টারনেট লাইনের দূর্বলতা। এদেশে নেটের বিল অনেক বেশি, সেবার মান খুবই বাজে। পেপ্যাল না আসা। আজও এ দেশে তেমন ভাল কোন ফ্রিল্যান্সিং সংগঠন গড়ে ওঠেনি।
প্রিয় টেক: আপনার কাছে দেশের তথ্য প্রযুক্তির ভালো দিকগুলো কি কি?
মো. আলী আজগর: কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান ফ্রিল্যান্সিং সেমিনার আয়োজন করে এই পেশাকে সবার দোরগোড়ায় নিয়ে গেছে। এটা একটা ভাল দিক। আবার কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান ফ্রিল্যান্সিং -এর বিভিন্ন কোর্স করাচ্ছে। এটাও ভাল দিক। তবে আমাদের সবাইকেই সতর্ক থাকতে হবে প্রশিক্ষণ যেন প্রহসনে পরিণত না হয়। তাই ভাল প্রতিষ্ঠান থেকেই প্রশিক্ষণের ব্যাপারে সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। প্রশিক্ষণের ব্যাপারে সরকারি নীতিমালাও তৈরি করা উচিৎ বলে মনে করি।
প্রিয় টেক: প্রথম প্রথম ইন্টারনেট কি কাজে ব্যবহার করতেন আর এখন ইন্টারনেটে কি নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকেন?
মো. আলী আজগর: প্রথম প্রথম ইন্টারনেটে শুধু গান, মুভি ডাইনলোড করাতেই ব্যস্ত থাকতাম। আর এখন কাজ নিয়ে। মাঝে মাঝে ঘুমাবারও সময় পাইনা।
প্রিয় টেক: তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির জন্য সরকারের কি কি করা উচিত ?
মো. আলী আজগর: নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা করা। আরও দ্রুতগতির ইন্টারনেট সহজলভ্য মূল্যে সরবরাহ করা। স্কুল-কলেজে বিনামূল্যে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সেবা সরবরাহ করা। এমনকি তাদের পাঠ্যপুস্তকে ফ্রিল্যান্সিং অধ্যায় সংযোজন করা। পেপ্যাল দ্রুত চালু করা।
প্রিয় টেক: ইন্টারনেটেই যেহেতু আয় তো বাংলাদেশের ইন্টারনেট সার্ভিস নিয়ে কি আপনি সন্তুষ্ট?
মো. আলী আজগর: মন্দের ভাল। প্রতিদিন কাজ করতে গিয়ে ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ বার ইন্টারনেট সমস্যায় ভুগি। কিছুই করার নেই।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য সবচেয়ে কোন প্রতিবন্ধকতায় বেশি পড়েছেন?
মো. আলী আজগর: ফ্রিল্যান্সিং কথাটা যতটা সহজ মনে হয়, আসলে ততটা নয়। বলা যায় চ্যালেঞ্জিং জব। প্রতিনিয়ত কোন না কোন প্রতিবন্ধকতা আসেই। আর সেগুলোকে মোকাবেলা করে এগিয়ে যাবার মধ্যে আনন্দও আছে। একবার আমার ফ্রিল্যান্সার আইডি হ্যাক হয়ে গিয়েছিল। ১০০০ ডলার ছিল। সেটাও চুরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ফ্রিল্যান্সার.কম-এর সহযোগিতায় সবই আবার ফিরে পেয়েছিলাম।
প্রিয় টেক: বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের সবচেয়ে বড় সমস্যা কোনটি বলে মনে করেন?
মো. আলী আজগর: অধৈর্য্যতা। সবাই রাতারাতি বড়লোক হতে চায়। তাই সাইনআপ করার পর কয়েকদিন বিড করে না পেয়ে হারিয়ে যায়।
প্রিয় টেক: ভবিষ্যতে কি ফ্রিল্যান্সিংকেই ক্যারিয়ার হিসাবে নিতে চান নাকি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাজ করতে চান?
মো. আলী আজগর: ফ্রিল্যান্সার হিসাবে যথেষ্ট পেয়েছি, আমি পরিপূর্ণভাবে সন্তুষ্ট। আমার প্রতিষ্ঠানের নাম “অনলাইন আর্নিং ম্যাজিক”। চিন্তাভাবনা করছি একে আরও বড় প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবার। প্রক্রিয়া চলছে।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কাজ করতে সরকারের কাছে কি কোনো চাওয়া আছে?
মো. আলী আজগর: প্রথম চাওয়া পেপ্যাল। দ্বিতীয় চাওয়া দ্রুত গতির অথবা বেশিদামির ইন্টারনেট হোক, সেটা আমার বড় চাওয়া নয়, আমার বড় চাওয়া যে ইন্টারনেট পাচ্ছি তা যেন স্ট্যাবল থাকে সেটা নিশ্চিত করা। কাজ করতে গিয়ে যেন প্রতিদিন হাজারবার নেট ফল্ট না করে। যা খুবই বিরক্তিকর এবং কাজের গতি মারাত্মকভাবে হ্রাস করে। আর, আবারও বলছি - নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ চাই।
প্রিয় টেক: বায়াররা বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের কেমন মূল্যায়ন করে বলে মনে করেন?
মো. আলী আজগর: বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা বিদেশি বায়ারদের কাছে খুবই মূল্যায়িত। এর অন্যতম এবং প্রধান কারণ - এদেশের শ্রম সবচেয়ে সস্তা। আর এটাও পাশাপাশি স্বীকার করতেই হবে - বাংলাদেশের সবাই টাইগার। তাদের সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে কাজ করার যোগ্যতা আজ বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদেরকে নিয়ে ভাবতে বিদেশি প্রতিষ্ঠান ও বায়ারদেরকে বাধ্য করছে। এটা বাংলাদেশের বড় প্রাপ্তি।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং এ ভালো পারফরমেন্স করার জন্য কি কি যোগ্যতা থাকা উচিত?
মো. আলী আজগর: ভাল যোগাযোগ গুণাবলী। ইংরেজিতে দক্ষ। কাজের মূল্যায়ন করা ও মান ঠিক রাখা। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ ডেলিভারি দেয়া।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং এ যারা নতুন তাদের জন্য কি পরামর্শ দিবেন?
মো. আলী আজগর: নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে গেলে সফলতা আসবেই। ফ্রিল্যান্সিং-এ অজস্র রকমের কাজ আছে। যে কোন একটা স্কিলে দক্ষতা অর্জন করে এগিয়ে গেলে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে অবশ্যই যাওয়া সম্ভব। বিশেষ পরামর্শ - একসাথে সব স্কিলে কাজ করতে গেলে শেষ পর্যন্ত কোনটাই হবে না। তাই সাবধানতা অবলম্বন করা কাম্য।
Tag :
Adsense,
যেভাবে google অ্যাডসেন্স থেকে প্রতিমাসে হাজার ডলার আয় করছি!
মাত্র বছর খানেক কাজ করেই আজ আমি প্রতি মাসে ১০০০ ডলারের মত আয় করছি।
আর এই ছোট্ট সফলতাটুকু কিভাবে এল তা নিয়ে বিস্তারিত জানাতেই আজকের এই
পোস্ট। তো, চলুন পিছনে ফিরে যাই।
দেখতে দেখতে প্রায় ৭/৮ মাস পার হয়ে গেছে। আমার সাইটে এখন অনেক ভিজিটর (দৈনিক ১০০০ পেজভিউ!!!) আসে। সুমন ভাই বললো এবার এ্যাডসেন্স এ এপ্লাই কর। আমি করলাম। কিন্তু পেলাম না। সুমন ভাইকে জানালাম। তিনি সাইট দেখে বললো, সাইটের ডিজাইন চেঞ্জ কর আর বাংলা লেখা গুলো রিমুভ কর। উনার কথামত সব ঠিকঠাক করে আবার এ্যাডসেন্স এ্যাকাউন্ট করার নিয়ম অনুযায়ী গুগল এ রিকুয়েস্ট করলাম। ৪ দিন পর রিপ্লে এল, আমার এ্যাকাউন্ট এক্টিভ হয়নি। কারণ, Unacceptable content. আবার সুমন ভাইয়ের সরানাপন্ন হলাম। তিনি বললেন, আমি এ্যাডসেন্স এর নীতিমালা পড়েছি কিনা?? আমি বললাম না। তখন সুমন ভাই আমাকে বললেন যে আপনি আমার আগের পোস্ট গুলা আবার পরেন। সেখানে সুমন ভাইয়ের কিছু লেখা দেখে বুঝতে পারলাম আমার সাইটে আরও ভালো মানের কন্টেন্ট লাগবে, ভিসিটর আরও বেশি লাগবে, আরও বেশি পেজভিউ লাগবে। ঠিক আছে। আশা ছারলাম না। আবারও শুরু করলাম। (ঘুরে ফিরে আবার SEO তে যাওয়া লাগলো)।
হ্যাঁ, আমি এ্যাডসেন্স এ্যাকাউন্ট পেয়ে গেছি। এবার আমাকে কে ঠ্যাকায়?
যেভাবে আমার ইন্টারনেট জগতে আগমন?
২০০৯ এর শেষের দিকে আমি যখন U@C কোচিং সেন্টারে একজন কম্পিউটার অপারেটর হিসাবে কাজ করি, তখনই প্রথম ইন্টারনেট এর সাথে আমার পরিচয়। আর তখন থেকেই আমি ইন্টারনেট সম্পর্কে জানি। এর কিছুদিন পর আমি একটা ফেসবুক এ্যাকাউন্ট খুলি। এটাই ছিল আমার প্রথম কাজ ইন্টারনেটে। তবে এটুকুতেই সীমাবদ্ধ ছিলাম অনেকদিন। একদিনের ঘটনাঃ AIUB এর এক বড় ভাই আমার কম্পিউটারে একটা ভাইরাস ঢুকিয়ে দিল। আমি যখন এ কম্পিউটার অন করি, ১০/১৫ সেকেন্ড পড়ে আবার বন্ধ হয়ে যায়। মাথায় কিচ্ছু ঢুকছে না। কেন এমন হচ্ছে? কি ধরতে পেরেছেন? হ্যাঁ, তিনি আমার কম্পিউটারে একটা অটরান ভাইরাস স্টার্টআপে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। পড়ে অবশ্য উনিই সেটা ঠিক করে দেন। তো, আমি উনাকে বললাম, এইটা কিভাবে করলেন? তিনি আমাকে বললেন, টেকটিউনস নামে একটা ব্লগ আছে সেখান থেকে শিখেছি। আমি উনার কাছে লিঙ্ক চাইলাম। উনি আমাকে লিঙ্ক দিলেন। বুঝতেই পারিনি মুরসালিন ভাই (AIUB এর ওই ভাইয়ের নাম ছিল মুরসালিন) আমাকে আসলে ব্লগের লিঙ্ক নয়, আমার লাইফের মোড় ঘুরানোর লিঙ্ক দিয়েছেন। তো সারাদিন টেকটিউন্সে পড়ে থাকতাম। রাত জেগে জেগে লেখা পড়তাম। হঠাত একদিন চোখে পড়ল ডেভসটিম লিমিটেড এর কো ফাউন্ডার “তাহের চৌধুরী সুমন” ভাইয়ের ব্লগিং শুরু করা নিয়ে একটি লেখা। লেখাটা পড়ে আমার এতটাই ভালো লাগলো যে আমি সেদিনই উনার সমস্ত লেখাগুলো খুঁজা শুরু করলাম। পেয়েও গেলাম এ্যাডসেন্স নিয়ে উনার লেখাগুলো। ব্যস, আর যায় কোথায়?? সারাদিন এগুলো পড়ি আর স্বপ্ন দেখি আমিও একদিন এ্যাডসেন্স থেকে ইনকাম করব। কিন্তু কিভাবে শুরু করব এটাই বুঝে উঠতে পারছিলাম না। কথায় আছে, “ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। ঘাটতে ঘাটতে সুমন ভাইয়ের ফেসবুক আইডি পেয়ে গেলাম। দিলাম ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট!!! এরপর?????বিষয় নির্বাচন নিয়ে মহা বিপদঃ
সুমন ভাই আমার ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট এক্সেপ্ট করলেন। তার কাছে জিজ্ঞেস করলাম ভাইয়া আমি তো ব্লগিং সিখতে চাই। আমি কিভাবে শুরু করবো?? সুমন ভাই আমাকে বললেন যে তুমি কি কি জান? আমার সোজাসাপ্টা উত্তরঃ আমি কিছুই জানি না। সুমন ভাই তখন বললো যে ব্লগিং কাজ করতে গেলে আমাকে জানতে হবে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কিংবা যে কোন সিএমএস সাইট ডিজাইনের জন্য, জানতে হবে লেখা লেখি এর সাইটটাকে প্রোমট করার বিষয় গুলোও জানতে হবে। উনি আমাকে বেশ কয়েকটা সাইটের লিঙ্কও দিয়ে দিলেন। এরপর শুরু করলাম ওয়েব ডেভেলপিং শিখা। যখন মুটামুটি শিখলাম, তখন সুমন ভাইকে নক করলাম উনি সাজেস্ট করলেন আমার জানাশুনা আছে এমন বিষয় নিয়ে লিখা লিখি করতে। এবার আরেকটা টেনশন এ পরলাম। একাউন্ট তো খুললাম, কিন্তু কি বিষয়ে আমি ব্লগিং করবো কারন আমার জানাশুনার বিষয় গুলো খুব কম? এবার বিষয় খুঁজে পাচ্ছিনা। মহা টেনশন! অবশেষে আবার আরেক ত্রাণকর্তার খোঁজ পেলাম? এবার কে জানেন? জিন্নাতুল হাসান ভাইয়ের বাংলা ব্লগটি। সেখানে নাম মনে নেই এক লেখকের টিউনে জানতে পারলাম যে, আপনি যেই বিষয়টি খুব ভালো জানেন, সেই বিষয় টি নিয়ে ব্লগিং শুরু করেন, ঠিক সেই সুমন ভাইয়ার মতই উত্তর। এবার আবার চিন্তা শুরু হলঃ আমি কোন বিষয়টা ভালো জানি? (আমার কাছে মনে হয় কিছুই জানিনা আবার মনে হয় আমি দুনিয়ার সব ই জানি। হা…হা…হা…) আমি তখন প্রচুর বই পরতাম। আচমকা মাথায় আইডিয়া এল যে, আমি যদি ই-বুক নিয়ে সাইট করে কেমন হয়? যেই ভাবা সেই কাজ। শুরু করলাম ই-বুক নিয়ে কাজ। অবশেষে একটা সাইট দাড়করালাম ই-বুক নিয়ে। কিন্তু সাইটে তো বই আছে ঠিকই, ভিজিটর কই? আবার সমস্যা?সাইটে ভিজিটর নেই, এখন উপায়?
কদিন বাদেই সুমন ভাইকে আবারো মেসেজ দিলাম। ভাইয়া, আমি তো সাইট করছি কিন্তু ইনকাম কই??? সুমন ভাই এবার আমাকে বুঝিয়ে বললেন যে, সাইটে ইনকাম করতে হলে আমার প্রথমেই দরকার প্রচুর পরিমানে ভিজিটর। আমার সাইটে জত বেশি ভিজিটর আসবে ততদ্রুত আমার ইঙ্কামের রাস্তা খুলবে। আর যায় কোথায়, শুরু করলাম ফেসবুকে যেখানে সেখানে কমেন্ট করা। যার তার সাইটে স্প্যামিং করা। কিন্তু ভিজিটর আসতেছেই না। যদিও আসে, কিন্তু তারা থাকে না। এখন উপায়? ইতিমধ্যে আমি এ্যাডসেন্স এ এ্যাপ্লাইও করে ফেলেছি। ফলাফলঃ পাইনি।নতুন সমস্যায় পড়লামঃ
হ্যাঁ, একেতো সাইটে ভিজিটর নেই এই চিন্তায় আমি অস্থির। কিন্তু, হঠাত করেই সুমন ভাই বললো তুমি এইভাবে করলে হবে না। যদি ব্লগিং কে পেশা হিসেবে নিতে চাও, তবে Domain Hosting কিনে শুরু কর। এদিকে আমার বিশ্বাসে আস্তে আস্তে চির ধরতে শুরু করছে যে হয়তো আমার পক্ষে এইসব সম্ভব না। কিন্তু সুমন ভাইয়ের কথা গুলো বিশ্বাস করতাম। আর আজও করি। তো তার কথা মত ডোমেইন হোস্টিং কিনেই শুরু করলাম। আমি ততদিনে জুমলা শিখে গেছি। প্রথম সাইটটা বানালাম জুমলা দিয়ে। কিন্তু সমস্যাটা রয়েই গেল। সাইটে ভিজিটর নেই। আগেই জেনে গেছি যে, সাইটে ট্র্যাফিক না থাকলে টাকাও নেই!! সুতরাং, সাইটের ভিজিটর বাড়ানো আমার জন্যে অপরিহার্য হয়ে দাঁড়ালো। (যদি ইনকাম করতে চাই)শুরু হল এসইও শিখাঃ
সাইটে ভিজিটর নেই কেন? কি করে সাইটে ভিজিটর বাড়াবো এই সব নিয়ে যখন খুব চিন্তায় আছি। তখনই পাশে এসে দাঁড়ালেন সুমন ভাই। জানালেন এসইও কথা। কিওয়ার্ড রিসার্স, অনপেজ অপটিমাইজেশন এবং অফপেজ অপটিমাইজেশন আরও কত্ত কি। তাঁর লিখা গুলো এবং নেটেও এসইও নিয়ে পড়াশুনা করতে বললেন তার কথা মত শুরু করলাম এসইও শেখা। পাশিপাশি সাইটের এসইও’র কাজও। মাত্র ১০/১৫ দিনের মধ্যেই আমি দেখলাম আমার সাইটে উল্লেখ পরিমাণ ভিজিটর আসা শুরু করেছে। মুখের হাসিটাও আস্তে আস্তে ফুটতে শুরু করছে। কিন্তু ইনকাম কই????দেখতে দেখতে প্রায় ৭/৮ মাস পার হয়ে গেছে। আমার সাইটে এখন অনেক ভিজিটর (দৈনিক ১০০০ পেজভিউ!!!) আসে। সুমন ভাই বললো এবার এ্যাডসেন্স এ এপ্লাই কর। আমি করলাম। কিন্তু পেলাম না। সুমন ভাইকে জানালাম। তিনি সাইট দেখে বললো, সাইটের ডিজাইন চেঞ্জ কর আর বাংলা লেখা গুলো রিমুভ কর। উনার কথামত সব ঠিকঠাক করে আবার এ্যাডসেন্স এ্যাকাউন্ট করার নিয়ম অনুযায়ী গুগল এ রিকুয়েস্ট করলাম। ৪ দিন পর রিপ্লে এল, আমার এ্যাকাউন্ট এক্টিভ হয়নি। কারণ, Unacceptable content. আবার সুমন ভাইয়ের সরানাপন্ন হলাম। তিনি বললেন, আমি এ্যাডসেন্স এর নীতিমালা পড়েছি কিনা?? আমি বললাম না। তখন সুমন ভাই আমাকে বললেন যে আপনি আমার আগের পোস্ট গুলা আবার পরেন। সেখানে সুমন ভাইয়ের কিছু লেখা দেখে বুঝতে পারলাম আমার সাইটে আরও ভালো মানের কন্টেন্ট লাগবে, ভিসিটর আরও বেশি লাগবে, আরও বেশি পেজভিউ লাগবে। ঠিক আছে। আশা ছারলাম না। আবারও শুরু করলাম। (ঘুরে ফিরে আবার SEO তে যাওয়া লাগলো)।
এ্যাডসেন্স নামক সোনার হরিণটা পেয়েই গেলামঃ
দেখতে দেখতে এক বছর পার হয়ে গেলো। আমার ভিসিটর ও বাড়া শুরু হল। আমিও টিটি থেকে ওয়েব ডিজাইনিং শিখে নিয়েছি। জুমলার উপর মোটামুটি হাফেজ হয়ে গেলাম। এইবার নিজের মানসিকতার ও পরিবর্তন করলাম। সিদ্ধান্ত নিলাম, টাকা ইনকাম করতে পারি আর না পারি, প্রতিদিনই আমি আমার সাইটে নিত্য-নতুন বই আপলোড করবো। (তাই বলে ভাববেন না যে, আমি এ্যাডসেন্সের জন্যে আবেদন করা বন্ধ রেখেছি!!) ঠিক মত পোস্ট করি, ঠিক মত SEO করি, নিয়মিত ভিসিটরদের চাহিদার প্রতি খেয়াল রাখি। আমার তখন দৈনিক সাইট ভিসিট হয় ১২০০ বারের উপর। এ্যাডসেন্স পাই আর না পাই, নিজেকে সার্থক মনে হতে লাগলো। কে জানতে এরই মধ্যে আমি আরও এক জায়গায় সফল হয়ে যাচ্ছি!!!!!!!!!!!!!!হ্যাঁ, আমি এ্যাডসেন্স এ্যাকাউন্ট পেয়ে গেছি। এবার আমাকে কে ঠ্যাকায়?
এক্যাউন্ট তো পেয়েছি, কোড বসাবো কোথায়?
হ্যাঁ, আমি এখন মোটামুটি সফল একাউন্ট পেয়ে গেছি। কিন্তু, সমস্যা হচ্ছে কোথায় কোথায় এ্যাডের কোড বসাবো? এবার আবার ত্রাণকর্তা তাহের চৌধুরী সুমন ভাই উনি আমাকে মাসুদুর রশিদ ভাইয়ের লেখার লিংক দিলেন । তার একটা টিউন থেকে জানতে পারলাম কোথায় এ্যাড কোড বসাতে হবে? কিভাবে বসাতে হবে? একটা পেজ এ সর্বোচ্চ কয়টা লিঙ্ক এ্যাড বসাতে পারব, কয়টা টেক্সট/ইমেজ/ব্যানার এ্যাড বসাতে পারব? এইসব। তার টিউন মত সব বসালাম। এবার অপেক্ষা টাকা আর টাকা ইনকামের। হায়রে, টাকা আর টাকা। টাকা আর টাকা। টাকা আর টাকা। টাকা আর টাকা। (আমি কি তখন যানতাম, রাস্তা আরও অনেক দূর?!) এরই মধ্যে তাহের ভাইয়ের সেই বিখ্যাত টিউনের লিঙ্ক আমাকে পাঠিয়ে দিলেন “গুগল এডসেন্স ধারীরা সাবধান হোন : এডসেন্স ব্যান এড়াতে টিউনটিতে বিশেষ দৃষ্টি দিন”বলেন তো দেখি, এ্যাডসেন্স পাওয়ার সাথে সাথে যদি কেউ এমন হুমকি দেয় মেজাজ টা কেমন লাগে????? (ভাগ্য ভালো, সেদিন উনি লিঙ্কটা দিয়েছিলেন। নয়তো কবেই আমার একাউন্ট পটল তুলত)মাস শেষ হয়ে গেলো, ইনকাম মাত্র ১৬ সেন্ট????
একমাস হয়ে গেলো। আমার ইনকাম হল মাত্র ১৬ সেন্ট? ক্লিক ও পড়ে কম। অথচ ভিসিট হয় ১২০০+. বিশ্বাস করা যায়? (পরের মাসের ইনকাম শুনলে লাফ দিবেন) এতদিনে আমি মাসুদুর রশিদ ভাইকে চিনে ফেলেছি। তাই, তার সরনাপন্ন হলাম। তিনি আমাকে বললেন যে, আপনি যে SEO করার সময় যেই সব Keyword ব্যবহার করছেন, সেগুলোর ক্লিকের দাম কম, তাই আপনার ইনকাম ও কম। এবার আবার শুরু হল কি-ওয়ারড রিসার্চ। অবশেষে ১ মাস পর আমার এক্যাউন্ট এ দেখি ১১৩ ডলার ৮০ সেন্ট! হয়তো, অনেক কম টাকা কিন্তু একাউন্ট পাওয়ার ২ মাস পর ১১৩ ডলার আমার মত ছেলের জন্যে অনেক ছিল। অবশেষে গুগল আমার চেক ইস্যু করল। পাঠিয়ে দিল আমার আড়াই বছরের কষ্টার্জিত ১১৩ ডলার ৮০ সেন্ট!!!!সময় এবার অপেক্ষার! কখন আসবে সেই চেক???
চেক আর আসেনা। সময় ও যেন কাটেনা। (কেন জানিনা এই সময়টায় আমি “সময় যেন কাটেনা” গানটা একটু বেশি শুনেছি) তাহের ভাইকে ফোন দেই আর বলি ভাই আমার চেক তো এলো না, তাহের ভাই বলে অপেক্ষা করেন, চলে আসেবে। শাকিল আরেফীন ভাইকেও ফোন দেই আর বলি ভাই আমার চেক তো এলো না, তাহের ভাই বলে অপেক্ষা করেন, চলে আসেবে। একই ভাবে ফোন দেই, Sowrdfish মাহবুব ভাইকেও। সবাই বলে অপেক্ষা করেন, চলে আসবে। আমিও তখন মনকে বুঝাই, অপেক্ষা কর, চলে আসবে!!!!!!!!!অবশেষে এল স্বপ্নের সেই এ্যাডসেন্স চেক !!!!!!!!!!!!!!!!
২৭ দিন পর অফিসে এসে ডাকপিয়ন আমাকে গুগল এর চেক দিয়ে যায়। মনটা যে কি খুসি লাগছিল বুঝাতে পারবনা। ঠিক এখন আপনাদের কাছে যেমন লাগছে, আমার কাছে তার চেয়ে বেশি লেগেছি। আড়াই বছর চাষ করার পর আজ প্রথম আমি ফসল পেলাম। সাথে সাথে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলাম। টিটিকে জানাল, তাহের ভাইকে জানালাম, মাহবুব ভাইকে জানালাম, শাকিল আরেফিন ভাইকে জানালাম, সাব্বির আলাম (আসিফ পাগলা সাব্বির) ভাইকেও জানালাম। টেক্টিউন্স এর সবাইকে জানালাম। অন্য রকম একটা দিন উদযাপন করলাম। আর স্বপ্ন দেখতে লাগলাম প্রতি মাসে একটা করে গুগলের চেকের। (কে জানতে কয়দিন পর আমার উপর দিয়ে একটা ঝড় যাবে???)চেক ভাঙ্গাতে গিয়ে মহা বিপদঃ কোন ব্যাংকে ভাঙ্গাবোঃ
চেক ভাঙ্গাতে গিয়ে কি বিপদে পরেছি তা জানতে এখানে যান। অবশেষে যদি ও আমি ইসলামী ব্যাংক থেকেই চেক ভাঙ্গিয়েছি। সময় লেগেছে ২০ দিনের মত, টাকা কেটেছে প্রথম বার ১৬০২ টাকা। তবে পরের বার থেকে নাকি এত কাটবে না। সর্বোচ্চ ৬০০ কাটবে। প্রথম বার দেখে ওদের সিস্টেম এ কিছু ভুল ছিল। (এরপরের চেক ভাঙ্গাতে আমার ৩৬০০/= টাকা কেটে রেখেছিল। যেখানে কাটার কথা ছিল ৬০০ সেখানে কাটছে ৩৬০০ টাকা। পড়ে ব্যাঙ্কের হেডঅফিসে গিয়ে বিস্তারিত জানিয়ে অভিযোগ দেয়ার পর বর্তমানে মাত্র ১১৫/= টাকা কাটে)“অতি লোভে তাঁতি নস্ট” মরতে মরতে বেঁচে গিয়েছিঃ
তখন আমার দৈনিক ২ ডলারের কাছাকাছি ইনকাম হত। হটাত একদিন মাথায় দুষ্টু বুদ্দি চেপে বসলো। কি জানেন? IP Hide করে নিজের এ্যাড এ নিজে ক্লিক দেয়ার সিধান্ত। যেই ভাবা সেই কাজ। দিলাম আমার আই পি হাইড করে America র আইপি বানিয়ে। আর সাইটে গিয়ে দিলাম ৪ টা ক্লিক! ৩/৪ ঘন্টা পর দেখি আমার একাউন্ট এ জমা পরছে ২২ ডলার। মাথা নস্ট। এখন থেকে দৈনিক আইপি হাইড করে ক্লিক দেবো। হতাত, সন্দেহ হল যে আমার আইপি কি গুগল ধরতে পারবে? দিলাম গুগলে সার্চ “What is my real IP?”. ওমা! আমার তো দেখি আসল আই পি শো করছে!!!!! সাথে সাথে তাহের ভাইকে ফোন, ভাই এখন কি করবো? উনি প্রথমে ছোট ভাইয়ের মত ইচ্ছামত শাসালেন। আর বললেন পেজভিউ কত? বললাম যে ৩০০০ এর বেশি। উনি বললেন, যা করছে তা তো আর ফিরে পাওয়া জাবেনা, তবে জীবনে ও আর এই কাজ করেন না। আমি বললাম আচ্ছা। বিশ্বাস করুন, আমি আর জীবনে ও এই কাজ করিনি আর করবো ও না। শেষে দেখা যাবে, আম যাবে, ছালাও যাবে। তাই, এই সব বাদ ঠিক পথে ইনকাম শুরু করলাম। আর সবাইকে জানাতে লাগলাম যে, আমার সাইটে প্রচুর পরিমাণে বই পাওয়া যায়। এইসব করে ভিসিটর বশড়াতে লাগলাম। (কে জানত যে আমি ঠিক পথে থাকলেও, কিছু মানুষ ইতিমধ্যেই আমার ক্ষতি করা শুরু করছে??????)লিঙ্ক শেয়ার করে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারলাম!!
সামু তে একদিন গিয়ে দেখি এক জন হুমায়ুন আহমেদ এর বই খুঁজছে। বেচারার প্রতি সদয় হয়ে আমি আমার ওয়েব সাইটের লিঙ্কটা সামুতে শেয়ার করলাম। (নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারলাম) তো, আমি ঘন্টাখানেক পড়ে আমার এ্যাডসেন্স এ্যাকাউন্ট এ গিয়ে দেখি ক্লিক পরেছে ১৩০ টা!!!!!!!!!! ইনকাম হয়েছে ৪৫ ডলার!!!!!! কি? খুব খুসি লাগছে শুনে? না? আমার কপাল ভালো যে, আমি সেইদিন এত ইনকাম দেখে খুসি হতে পারিনি। যদি খুসি হতাম। তাহলে আমার একাউন্ট আর থাকতো না! কিচ্ছু বুঝতে পারছি কি করব? উপায় না সাইটই অফলাইনে নিয়ে গেলাম। এখন আবার চিন্তা সাইট যদি ভিসিট না হয়, তাহলে পেজভিউ বারবে না। পেজ CTR 15 এর উপরে। যেখান ১০ হলেই বিনা নোটিসে একাউন্ট ব্যান হয়, সেখানে ১৫!!!!!!!!!!!! ভাবা ঝায়???? আবার ফোন দিলাম তাহের ভাইকে (যেখানেই বিপদ, সেখানেই তাহের ভাই। আমার বিশ্বাস হয়না এই লোকটা এত হেল্পফুল কিভাবে হতে পারে তাও আবার নিস্বার্থভাবে) তিনি আমাকে বললেন, আপনার এ্যাডের কোডগুলো আপাতত ব্লক করে দেন। তাহলে পেজভিউ বারবে, কিন্তু কোন ক্লিক পরলে গুগল কাউন্ট করবে না। উনার কথামত এ্যাড কোড ব্লক করে দিলাম। কিছুক্ষন পর দেখি আমার পেজ CTR কমা শুরু হইছে। আর সেই ৪৫ ডলার মাইনাস হয়ে Real Income ৩ ডলার দেখাচ্ছে। (শালা কত্ত খারাপ! ৪৫ ডলার যখন দিছিলি, তখন মাইনাস করলি কেন?) অল্পের উপর দিয়ে বেঁচে গেলাম। তবে বিশ্বাস করুন, আমি এখন ভয়ে আছি সেই দিনের ঘটনার জন্যেই না আমার এ্যাকাউন্ট ব্যান হয়ে যায়! আমার জন্যে একটু দোয়া কইরেন।এখন আমার কি অবস্থা????
আমার বর্তমান অবস্থা জানতে বেশি কিছু লাগবে না শুধু আমার আজকের ইনকামের স্ক্রীনশটটা দেখুনঃTag :
Adsense,
ZOVOXZ INSTITUTE-e নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ফ্রি কনসাল্টেশন !
নতুন ফ্রিল্যান্সারদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও গাইডলাইন দেয়ার জন্য ZOVOXZ INSTITUTE
প্রতি শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আয়োজন করছে ফ্রি
কনসাল্টেশনের । যারা ফ্রিল্যান্সিং করার কথা ভাবছেন কিন্তু কোথা থেকে শুরু
করবেন, কি দিয়ে শুরু করবেন বা কোন বিষয়ে কাজ করবেন এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে
পড়ে যান ।
অনেকেই বিভিন্ন গ্রুপ, ব্লগ বা ফোরামে সাহায্য চান কিন্তু অনেকেই সেখান থেকে সমাধান দিলেও বুঝতে পারেন না । তাই তাদের সুবিধার্থে হাতে-কলমে বিষয়গুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেয়ার জন্য ZOVOXZ এর একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস । ইতোমধ্যে কয়েক সপ্তাহে অনেক নতুন ফ্রিল্যান্সার বা ফ্রিল্যান্সার হতে আগ্রহীদের নিয়ে সফলভাবে কন্সালটেশনের আয়োজন করা হয়েছে । যারা ফ্রিল্যান্সিং করছেন তারা যদি কাজ করতে গিয়ে কোথাও সমস্যায় পড়েন তাহলে সরাসরি অফিসে গিয়ে ZOVOXZ TEAM এর সহায়তা নিয়ে সমস্যার সমাধান করতে পারবেন ।
কারা যোগ দিতে পারবে ?
কি কি বিষয়ে আলোচনা হবে ?
কিভাবে যোগ দিবেন ?
অফিসের ঠিকানাঃ
জোভোক্স লিমিটেড
স্যুইট# ০৬, লেভেল# ০৮ (এ. কে কমপ্লেক্স)
১৯, গ্রিন রোড, ঢাকা-১২০৫
হটলাইনঃ ০১৫ ১১ ৯৬ ৮৬ ৯৯
ওয়েবসাইটঃ www.zovoxz.com
অনেকেই বিভিন্ন গ্রুপ, ব্লগ বা ফোরামে সাহায্য চান কিন্তু অনেকেই সেখান থেকে সমাধান দিলেও বুঝতে পারেন না । তাই তাদের সুবিধার্থে হাতে-কলমে বিষয়গুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেয়ার জন্য ZOVOXZ এর একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস । ইতোমধ্যে কয়েক সপ্তাহে অনেক নতুন ফ্রিল্যান্সার বা ফ্রিল্যান্সার হতে আগ্রহীদের নিয়ে সফলভাবে কন্সালটেশনের আয়োজন করা হয়েছে । যারা ফ্রিল্যান্সিং করছেন তারা যদি কাজ করতে গিয়ে কোথাও সমস্যায় পড়েন তাহলে সরাসরি অফিসে গিয়ে ZOVOXZ TEAM এর সহায়তা নিয়ে সমস্যার সমাধান করতে পারবেন ।
কারা যোগ দিতে পারবে ?
- নতুন ফ্রিল্যান্সার
- ফ্রিল্যান্সার হতে আগ্রহী যে কেউ
- প্রোগ্রামিং, ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ইত্যাদি নিয়ে কাজ করতে ইচ্ছুক ব্যাক্তি
কি কি বিষয়ে আলোচনা হবে ?
- স্কিল ডেভলপমেন্ট
- ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস
- ক্যারিয়ার
কিভাবে যোগ দিবেন ?
ফ্রি কনসাল্টেশনে যোগ দিতে চাইলে এই লিঙ্ক থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে ।
অফিসের ঠিকানাঃ
জোভোক্স লিমিটেড
স্যুইট# ০৬, লেভেল# ০৮ (এ. কে কমপ্লেক্স)
১৯, গ্রিন রোড, ঢাকা-১২০৫
হটলাইনঃ ০১৫ ১১ ৯৬ ৮৬ ৯৯
ওয়েবসাইটঃ www.zovoxz.com
Tag :
oDesk,
"ওয়ার্ডপ্রেস থীম ডেভলপমেন্ট" শীর্ষক ফ্রী ইবুক প্রকাশ করল ZOVOXZ INSTITUTE
ফ্রীল্যান্সারদের ক্যারিয়ার গঠনে সহায়তার লক্ষ্যে ZOVOXZ INSTITUTE
প্রতিমাসে দুটি ক্যারিয়ার সহায়ক ইবুক প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তারই
ধারাবাহিকতায় প্রকাশিত হল "ওয়ার্ডপ্রেস থীম ডেভলপমেন্ট" শীর্ষক প্রথম ইবুক।
বইটি সম্পূর্ন বিনামূল্যে বিতরনের জন্য।
লেখকঃ নাজমুল হাসান রূপক
বিঃদ্রঃ বইটি মিডিয়াফায়ারে আপলোড করা আছে। অনুগ্রহপূর্বক কেউ অন্য কোথাও বইটি আপলোড করে শেয়ার করবেন না। কারন এতে বইটি সঠিক ডাউনলোড এর সংখ্যা আমরা বুঝতে পারব না। শেয়ার করতে হলে নিচের শর্ট লিংকটি শেয়ার করুন।
http://tiny.cc/wpthemedev
বইতে থাকছে -
- প্রয়োজনীয় টুলস
- ডেভলপমেন্ট স্ট্যান্ডার্ড
- ওয়ার্ডপ্রেস থীমের গঠন
- টেমপ্লেট ফাইল লিস্ট
- প্রথম থীম তৈরি
- ডাইনামিক লিঙ্কের ব্যবহার
- থীম ফাংশন
- নেভিগেশন মেনু রেজিস্টার
- উইজেট রেজিস্টার
- কাস্টম পেজ টেমপ্লেট
- কুয়েরি-বেজড টেমপ্লেট
- প্লাগিন এ পি আই হুক্স
- থীম কাস্টমাইজেশন এ পি আই
লেখকঃ নাজমুল হাসান রূপক
বিঃদ্রঃ বইটি মিডিয়াফায়ারে আপলোড করা আছে। অনুগ্রহপূর্বক কেউ অন্য কোথাও বইটি আপলোড করে শেয়ার করবেন না। কারন এতে বইটি সঠিক ডাউনলোড এর সংখ্যা আমরা বুঝতে পারব না। শেয়ার করতে হলে নিচের শর্ট লিংকটি শেয়ার করুন।
http://tiny.cc/wpthemedev
ZOVOXZ INSTITUTE এর পক্ষ থেকে প্রতিমাসে দুটি ক্যারিয়ার সহায়ক ইবুক
প্রকাশিত হবে । আপনার কপিটি বুঝে পেতে নিচের লিঙ্ক থেকে ফর্মটি পূরন করুন ।
আমাদের নতুন বই প্রকাশিত হওয়ার পরে আপনার ইমেইলে আপনার কপিটি পৌঁছে দেয়া
হবে ।
http://institute.zovoxz.com/subscribeTag :
Word Press,
সফল ফ্রিল্যান্সার হউন: সাথে বাংলা ভিডিও টিউটোরিয়াল
আসসালামুআলাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজকে লিখতে বসলাম
ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে। ইদানিং এইটি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এছাড়া
অতিরিক্ত কিছু টাকা আয়ের জন্য অনেক ভালো একটি উপায় হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং।
কিন্তু এটি নিয়ে এখন ব্যবসা শুরু হয়ে গেছে। চারদিকে নানা রকম কোর্স, নানা
রকম ওয়েবসাইট। কি বিশ্বাস করবো, কাকে বিশ্বাস করবো, কোন ওয়েবসাইট
বিশ্বাস করব? এই প্রশ্নের জবাব আমি আপনাকে দিয়েই দেওয়াবো! কিভাবে? তাহলে
পুরো লেখাটি পড়ুন।
প্রথমে শুরু করি ওয়েবসাইট দিয়ে। আপনি কিভাবে বুঝবেন, আপনি যে ওয়েবসাইটে কাজ করছেন এটি আসল নাকি নকল? এটির জন্য নিচের ছবিটি দেখুন।
কি দেখলেন? একটি ওয়েবসাইটের লিঙ্ক। এটি একটি সনদ বলা যায়। একটি ওয়েবসাইট কতটা আসল বা নকল তা নির্ভর করে এই সনদটির উপর। আমি বলতে চাচ্ছি, যে কোনো টাকা লেনদেনের ওয়েবসাইটে এই সনদটি অবশ্যই থাকবে। আর যদি না থাকে তাহলে বুঝবেন সেই ওয়েবসাইটে কোনো ঝামেলা আছে। তবে এই সনদ ছাড়া যে সব ওয়েবসাইটই নকল তা না, তবে ৯৫% ই নকল। তাই কোনো টাকা লেনদেনের ওয়েবসাইটকে বিশ্বাস করার আগে এই বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে নিন।
জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটের নাম সবারই জানা, তাই সেগুলো নিয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। কিন্তু আপনি কি কাজ করবেন? সেটি সম্পূর্ণ আপনার ভালো লাগা ও দক্ষতার উপর নির্ভর করে। তবে মনে রাখবেন, যদি আপনি একদিনে কোটিপতি হয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে থাকেন। তবে আমি বলবো ফ্রিল্যান্সিং বাদ দেন। তাহলে আপনি কোন কাজটি করতে পারেন? যদি আপনার হাতে খুব বেশি সময় না থাকে তবে এসইও এর কাজ শিখতে পারেন। এটি শিখতে খুব বেশি সময় লাগে না, কিন্তু কাজ করতে অনেক সময় প্রয়োজন। কারণ এসইও এক/দুই ঘন্টার কাজ না। আর ইদানিং বাংলাদেশে অনেকেই এসইও এর কাজ করছে। যার ফলে এই কাজের রেট দিন দিন কমে যাচ্ছে। ইদানিং দেখি ওদেস্ক এর ক্লায়েন্টরা কাজের বর্ণনার মাঝেই লিখে দেয় 0.20/hr ডলার বাকিটা আপনিই বুঝতেই পারছেন। এসইও শিখতে আপনার জন্য বাংলা ভিডিও টিউটোরিয়াল।
এছাড়া ওয়েব ডিজাইন ও গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজের রেট তুলনামূলক ভাবে বেশি। এই কাজ গুলো করতে এসইও এর থেকে কম সময় লাগে কিন্তু শিখতে অনেক সময় লাগে ও প্রচুর মাথা খাটাতে হয়। ওয়েব ডিজাইন ও গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপর বাংলা ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখতে চাইলে ফ্রী বাংলা টিউটোরিয়াল তো আছেই। এছাড়া আর্টিকেল লিখেও ভালো টাকা আয় করা সম্ভব, কিন্তু তাতে অবশ্যই ইংরেজীতে ভালো দখল থাকতে হবে।
সবশেষে বলবো, কষ্ট করুন, দক্ষ হউন, সফলতা আপনার কাছে আসতে বাধ্য। আমার কোনো কথায় কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে মাফ করবেন। সবাইকে ধন্যবাদ।
প্রথমে শুরু করি ওয়েবসাইট দিয়ে। আপনি কিভাবে বুঝবেন, আপনি যে ওয়েবসাইটে কাজ করছেন এটি আসল নাকি নকল? এটির জন্য নিচের ছবিটি দেখুন।
কি দেখলেন? একটি ওয়েবসাইটের লিঙ্ক। এটি একটি সনদ বলা যায়। একটি ওয়েবসাইট কতটা আসল বা নকল তা নির্ভর করে এই সনদটির উপর। আমি বলতে চাচ্ছি, যে কোনো টাকা লেনদেনের ওয়েবসাইটে এই সনদটি অবশ্যই থাকবে। আর যদি না থাকে তাহলে বুঝবেন সেই ওয়েবসাইটে কোনো ঝামেলা আছে। তবে এই সনদ ছাড়া যে সব ওয়েবসাইটই নকল তা না, তবে ৯৫% ই নকল। তাই কোনো টাকা লেনদেনের ওয়েবসাইটকে বিশ্বাস করার আগে এই বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে নিন।
জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটের নাম সবারই জানা, তাই সেগুলো নিয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। কিন্তু আপনি কি কাজ করবেন? সেটি সম্পূর্ণ আপনার ভালো লাগা ও দক্ষতার উপর নির্ভর করে। তবে মনে রাখবেন, যদি আপনি একদিনে কোটিপতি হয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে থাকেন। তবে আমি বলবো ফ্রিল্যান্সিং বাদ দেন। তাহলে আপনি কোন কাজটি করতে পারেন? যদি আপনার হাতে খুব বেশি সময় না থাকে তবে এসইও এর কাজ শিখতে পারেন। এটি শিখতে খুব বেশি সময় লাগে না, কিন্তু কাজ করতে অনেক সময় প্রয়োজন। কারণ এসইও এক/দুই ঘন্টার কাজ না। আর ইদানিং বাংলাদেশে অনেকেই এসইও এর কাজ করছে। যার ফলে এই কাজের রেট দিন দিন কমে যাচ্ছে। ইদানিং দেখি ওদেস্ক এর ক্লায়েন্টরা কাজের বর্ণনার মাঝেই লিখে দেয় 0.20/hr ডলার বাকিটা আপনিই বুঝতেই পারছেন। এসইও শিখতে আপনার জন্য বাংলা ভিডিও টিউটোরিয়াল।
এছাড়া ওয়েব ডিজাইন ও গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজের রেট তুলনামূলক ভাবে বেশি। এই কাজ গুলো করতে এসইও এর থেকে কম সময় লাগে কিন্তু শিখতে অনেক সময় লাগে ও প্রচুর মাথা খাটাতে হয়। ওয়েব ডিজাইন ও গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপর বাংলা ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখতে চাইলে ফ্রী বাংলা টিউটোরিয়াল তো আছেই। এছাড়া আর্টিকেল লিখেও ভালো টাকা আয় করা সম্ভব, কিন্তু তাতে অবশ্যই ইংরেজীতে ভালো দখল থাকতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং এ সফল হওয়ার কিছু উপায়:
- এটির জন্য অবশ্যই আপনাকে দক্ষ হতে হবে
- সুন্দর একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে
- আপনার একটি সুন্দর ব্লগ বা ওয়েবসাইট থাকা উচিত, যাতে আপনার দক্ষতার পূর্ণ পরিচয় পাওয়া যায়
- ক্লায়েন্টকে মুগ্ধ করার মত কভার লেটার লেখার যা অবশ্যই কাজের বর্ণনার সাথে মিল থাকতে হবে
- ক্লায়েন্ট যে কাজটির জন্য জব পোস্ট করেছে, যদি সম্ভব হয় তবে সেই কাজের কিছু স্যাম্পল করে কভার লেটারে যুক্ত করে দিন
- আপনার স্কাইপি, গুগলটক্, ইয়াহু ম্যাসেঞ্জার, টিম ভিউয়ার সবসময় একটিভ রাখুন
- সবসময় ক্লায়েন্টের সাথে দ্রুত যোগাযোগের চেষ্টা করুন
- যে কাজ পারবেন না শুধু শুধু ঐসব কাজে বিড দিবেন না
সবশেষে বলবো, কষ্ট করুন, দক্ষ হউন, সফলতা আপনার কাছে আসতে বাধ্য। আমার কোনো কথায় কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে মাফ করবেন। সবাইকে ধন্যবাদ।
Tag :
oDesk,
ফ্রিল্যান্সারদের ডলার ভাঙ্গিয়েও আয় করা যায়
একাধারে ওয়েব ডেভেলপার, গ্রাফিক্স ডিজাইনার, ব্লগার,
এসইও, আউটসোর্সিং এবং ইন্টারনেট মার্কেটিং নিয়ে কাজ করছি। 2008 সালে
এস.এস.সি পরীক্ষা শেষ করে আতাউর রহমান সোহেল নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে
প্রথম মাইক্রোসফট অফিস সম্পর্কে শিক্ষা নেওয়ার মাধ্যমে এই জগতে আমার
অনুপ্রবেশ। আমার প্রথম ওয়েবডিজাইন মাত্র ১ মাস নিজে নিজে শেখার পরেই করি।
এই কাজের পর থেকেই আবার সবার সামনে নিজেকে অন্য পরিচয়ে নিয়ে আসি। শুরু
হয় নতুন জীবনের পদচারনা এবং এখনও চলছে।
আমি গতানুগতিক ধারার বাইরে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে থাকি। বাংলাদেশে যারা অনলাইনে আয় করা ডলার ক্যাশ করতে সমস্যায় পরেন তাদের জন্য আমি পেপ্যালসহ অন্য ইন্টারন্যাশনাল কার্ড সাপোর্ট দিয়ে থাকি। নতুন যারা ফ্রিল্যান্সিং এ আসেন তাদের জন্য প্রাথমিক অবস্থায় ডলার ভাঙ্গান একটু ঝামেলা হয়ে যায়। আবার অনেক পুরানা লোকও জরুরী টাকার প্রয়োজনে আমার কাছে ডলার ভাঙ্গাতে আসে। আমি তাদের ডলার ভাঙ্গিয়ে দিয়ে একটা কমিশন রাখি। এর থেকেও আমার আয় হয়। আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম পেবিডিটি।
আমি যখন দেশের বাইরের কাজ যোগাড় করার চিন্তা করি, তখন মাথাতে আসে প্রথম ই-কমার্স ব্যবসা করার। এই পরিকল্পনা থেকে আমি আমার এক অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী বন্ধুর মাধ্যমে সে দেশে ব্যবসা করার লাইন্সেস নেই। একটা ই-কমার্স সাইট বানাই আমার অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী সেই বন্ধুর সাহায্য নিয়ে। তখন এই ব্যবসার জন্য পেপ্যাল, মাস্টারকার্ড, ভিসা কার্ড এর ব্যবস্থা করি। ৫ টা অষ্ট্রেলিয়ান ওয়্যার হাউজের সাথে চুক্তিও শেষ করি। কিন্তু যে ধরনের সেটআপ দরকার সেটার ব্যবস্থা করতে পারছিলাম না। তখন আপাতত সেটার পরিকল্পনা বন্ধ রাখলাম। আবার অন্যদিকে আমার কাছে বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল কার্ড আছে জানার পর অনেকে তাদের বিভিন্ন সার্ভিসের জন্য আমার সাহায্য নেয়া শুরু করল। তখন অনেকের অনুরোধ রাখতে গিয়ে শুরু করি অনলাইন পেমেন্ট সাপোর্ট ব্যবসা। এই প্রজেক্টের নাম দেই পেবিডিটি। সেটা করার পর আমি অনেক কিছু শিখতে পারি। ফ্রিল্যান্সিং জগতের অনেক অলিগলি সম্পর্কে জানতে পারি। কারন যারা অনলাইনে উপার্জন করে তাদের অনেকে ডলার আনার জন্য পেবিডিটি'র সার্ভিস নিয়ে থাকে। এই সার্ভিস দিতে গিয়ে দেখি, অনেকে অনেক জায়গা থেকে ইনকাম করে। অনেক অজানা পদ্ধতিগুলো জানতে পারি। মূলত এই ব্যবসা করতে গিয়েই ফ্রিল্যান্সিংয়ের ব্যাপারে ভাল ভাবে উদ্ধুদ্ধ হই।
আমাদের দেশে অনলাইনে যারা উপার্জন করে তারা সবাই এক জায়গাতেই দৌড়ায়। যখন ডাটা এন্ট্রির হাওয়া ছিল তখন সবাই মিলে এই কাজটাই করেছে। যখন লাইভ স্ট্রিমিংয়ের এফিলিয়েশন শুরু হল সবাই এই জায়গাতে ঝাপিয়ে পড়ল। এখন চলছে ওডেস্কের হাওয়া, সবাই এখন এখানে সাতার কাটছে। কিন্তু অনলাইন ইনকাম মানে শুধু মাত্র ওডেস্ক, এফিলিয়েশন না। আরও অনেক উপায় আছে, যেগুলা আমরা জানিনা। সেগুলা মানুষকে জানানোর জন্য আমার একটা বই ছাপানোর পরিকল্পনা আছে। সেটা বর্তমানে প্রতি মঙ্গলবার দৈনিক আমার দেশ পত্রিকাতে "অনলাইনে ইনকামের ১০০ উপায়" শিরোনামে ছাপা হচ্ছে। এখানে আমি অনলাইনে ইনকামের সত্যিকারের ১০০ টা উপায় নিয়ে ধারাবাহিকভাবে লিখছি। ভবিষ্যতে বই আকারে প্রকাশ করার ইচ্ছা আছে, যদি আল্লাহ সেই সুযোগ দিয়ে থাকেন।
বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং অনেক ভাল অবদান রাখার সম্ভাবনা আছে। আমাদের মত দরিদ্র দেশগুলোতে শ্রমের মূল্য কম দেখে বায়াররা এসব কাজ করিয়ে নিতে আগ্রহবোধ করে। এদেশে বর্তমানে মানুষদের মধ্যে প্রচুর আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে এই ব্যপারে। অনেকে কাজ করার জন্য এগিয়ে আসছে আবার অনেকে ব্যক্তিগতভাবে কিংবা সংগঠিতভাবে অন্যকে দক্ষ করে তৈরির জন্য এগিয়ে এসেছে। এটা অনেক ভাল লক্ষণ। ইতিমধ্যে বায়ারদের কাছে বাংলাদেশের ব্যাপারে ভাল ধারনা তৈরি হয়েছে। তবে আমাদের দেশে বিদ্যুৎ সমস্যা এবং ইন্টারনেট সমস্যাটা সবচেয়ে বেশি। এই দিকগুলোতে সমস্যা দূর করা গেলে ঢাকার বাইরের জেলাগুলো থেকে আরো অনেক লোক প্রস্তুত হবে এই কাজ করার জন্য। আমাদের দেশে তথ্যপ্রযুক্তির যাত্রা খুব বেশিদিনের নয়। তারপর অনেক মানুষের চেষ্টাতে আমরা খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি। অনেক ব্লগ এবং ফেসবুক আপনি দেখে থাকবেন অনেক সফল ব্যক্তি তাদের অনেক ব্যস্ততার মধ্যেও যেকোন ধরনের সাহায্য কেউ চাইলে সহযোগিতা করে। বিভিন্ন ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমেও তারা অনেক দক্ষ লোক তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যেখানে এদেশের সব জায়গাতে এখন কলুষিত হয়ে গেছে, সেখানে আইটি জগতের এই রকম সৎ পরিবেশ আমাকে বড় স্বপ্ন দেখায়। এটা আমাদের তথ্য প্রযুক্তির অনেক ভাল দিক।
আমার এই মুহুর্তে ২টা দাবি সরকারের কাছে। বিদ্যুৎ সমস্যা দূর করতে হবে, ইন্টারনেট সেবা দেশের সবজায়গাতে সহজলভ্য করতে হবে। বাংলাদেশের ইন্টারনেট সার্ভিস আগে থেকে অনেকগুন উন্নত হয়েছে। তবে অনেক ভাল করতে হবে। আমার কাছে মনে হয় সরকারের এই জায়গাতে নিয়ন্ত্রন অনেক কম। যে যার মত ব্যবসা করে যাচ্ছে। সরকারকে এখনই জোরালো কোন পদক্ষেপ নেয়া জরুরী। ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আগ্রহ তৈরির জন্য সরকারকে উদ্যোগ নেয়া উচিত।
আর ফ্রিল্যান্সিং এ যারা ভালো পারফরমেন্স করাতে চান তাদের জন্য বলছি, সবার আগে ইংরেজী জানতে হবে। বায়ারদের সাথে কমিউনিকেশনের জন্য এটা জরুরী। ধৈর্য্য বাড়াতে হবে। কম্পিউটারের যেকোন একটি বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। সাধারনত এসইও, গ্রাফিক্স এবং ওয়েব ডিজাইন জানা লোকদের ফ্রিল্যান্সিং এ ভাল চাহিদা করতে পারে। আগে কিছু শিখার জন্য সময় ব্যয় করতে হবে। এখন যেকোন কিছুর জন্য অনেক ভাল ভাল প্রতিষ্ঠান আছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্লগগুলো থেকেও অনেক কিছু শিখা যায়। তাছাড়া ইউটিউব তো আছেই। আগেই টাকার জন্য কাজ না করে, দক্ষ হওয়ার জন্য কাজ করুন। যখন আপনি দক্ষ হবেন তখন টাকা আপনার পিছনে ছুটবে।
আমি গতানুগতিক ধারার বাইরে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে থাকি। বাংলাদেশে যারা অনলাইনে আয় করা ডলার ক্যাশ করতে সমস্যায় পরেন তাদের জন্য আমি পেপ্যালসহ অন্য ইন্টারন্যাশনাল কার্ড সাপোর্ট দিয়ে থাকি। নতুন যারা ফ্রিল্যান্সিং এ আসেন তাদের জন্য প্রাথমিক অবস্থায় ডলার ভাঙ্গান একটু ঝামেলা হয়ে যায়। আবার অনেক পুরানা লোকও জরুরী টাকার প্রয়োজনে আমার কাছে ডলার ভাঙ্গাতে আসে। আমি তাদের ডলার ভাঙ্গিয়ে দিয়ে একটা কমিশন রাখি। এর থেকেও আমার আয় হয়। আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম পেবিডিটি।
আমি যখন দেশের বাইরের কাজ যোগাড় করার চিন্তা করি, তখন মাথাতে আসে প্রথম ই-কমার্স ব্যবসা করার। এই পরিকল্পনা থেকে আমি আমার এক অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী বন্ধুর মাধ্যমে সে দেশে ব্যবসা করার লাইন্সেস নেই। একটা ই-কমার্স সাইট বানাই আমার অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী সেই বন্ধুর সাহায্য নিয়ে। তখন এই ব্যবসার জন্য পেপ্যাল, মাস্টারকার্ড, ভিসা কার্ড এর ব্যবস্থা করি। ৫ টা অষ্ট্রেলিয়ান ওয়্যার হাউজের সাথে চুক্তিও শেষ করি। কিন্তু যে ধরনের সেটআপ দরকার সেটার ব্যবস্থা করতে পারছিলাম না। তখন আপাতত সেটার পরিকল্পনা বন্ধ রাখলাম। আবার অন্যদিকে আমার কাছে বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল কার্ড আছে জানার পর অনেকে তাদের বিভিন্ন সার্ভিসের জন্য আমার সাহায্য নেয়া শুরু করল। তখন অনেকের অনুরোধ রাখতে গিয়ে শুরু করি অনলাইন পেমেন্ট সাপোর্ট ব্যবসা। এই প্রজেক্টের নাম দেই পেবিডিটি। সেটা করার পর আমি অনেক কিছু শিখতে পারি। ফ্রিল্যান্সিং জগতের অনেক অলিগলি সম্পর্কে জানতে পারি। কারন যারা অনলাইনে উপার্জন করে তাদের অনেকে ডলার আনার জন্য পেবিডিটি'র সার্ভিস নিয়ে থাকে। এই সার্ভিস দিতে গিয়ে দেখি, অনেকে অনেক জায়গা থেকে ইনকাম করে। অনেক অজানা পদ্ধতিগুলো জানতে পারি। মূলত এই ব্যবসা করতে গিয়েই ফ্রিল্যান্সিংয়ের ব্যাপারে ভাল ভাবে উদ্ধুদ্ধ হই।
আমাদের দেশে অনলাইনে যারা উপার্জন করে তারা সবাই এক জায়গাতেই দৌড়ায়। যখন ডাটা এন্ট্রির হাওয়া ছিল তখন সবাই মিলে এই কাজটাই করেছে। যখন লাইভ স্ট্রিমিংয়ের এফিলিয়েশন শুরু হল সবাই এই জায়গাতে ঝাপিয়ে পড়ল। এখন চলছে ওডেস্কের হাওয়া, সবাই এখন এখানে সাতার কাটছে। কিন্তু অনলাইন ইনকাম মানে শুধু মাত্র ওডেস্ক, এফিলিয়েশন না। আরও অনেক উপায় আছে, যেগুলা আমরা জানিনা। সেগুলা মানুষকে জানানোর জন্য আমার একটা বই ছাপানোর পরিকল্পনা আছে। সেটা বর্তমানে প্রতি মঙ্গলবার দৈনিক আমার দেশ পত্রিকাতে "অনলাইনে ইনকামের ১০০ উপায়" শিরোনামে ছাপা হচ্ছে। এখানে আমি অনলাইনে ইনকামের সত্যিকারের ১০০ টা উপায় নিয়ে ধারাবাহিকভাবে লিখছি। ভবিষ্যতে বই আকারে প্রকাশ করার ইচ্ছা আছে, যদি আল্লাহ সেই সুযোগ দিয়ে থাকেন।
বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং অনেক ভাল অবদান রাখার সম্ভাবনা আছে। আমাদের মত দরিদ্র দেশগুলোতে শ্রমের মূল্য কম দেখে বায়াররা এসব কাজ করিয়ে নিতে আগ্রহবোধ করে। এদেশে বর্তমানে মানুষদের মধ্যে প্রচুর আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে এই ব্যপারে। অনেকে কাজ করার জন্য এগিয়ে আসছে আবার অনেকে ব্যক্তিগতভাবে কিংবা সংগঠিতভাবে অন্যকে দক্ষ করে তৈরির জন্য এগিয়ে এসেছে। এটা অনেক ভাল লক্ষণ। ইতিমধ্যে বায়ারদের কাছে বাংলাদেশের ব্যাপারে ভাল ধারনা তৈরি হয়েছে। তবে আমাদের দেশে বিদ্যুৎ সমস্যা এবং ইন্টারনেট সমস্যাটা সবচেয়ে বেশি। এই দিকগুলোতে সমস্যা দূর করা গেলে ঢাকার বাইরের জেলাগুলো থেকে আরো অনেক লোক প্রস্তুত হবে এই কাজ করার জন্য। আমাদের দেশে তথ্যপ্রযুক্তির যাত্রা খুব বেশিদিনের নয়। তারপর অনেক মানুষের চেষ্টাতে আমরা খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি। অনেক ব্লগ এবং ফেসবুক আপনি দেখে থাকবেন অনেক সফল ব্যক্তি তাদের অনেক ব্যস্ততার মধ্যেও যেকোন ধরনের সাহায্য কেউ চাইলে সহযোগিতা করে। বিভিন্ন ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমেও তারা অনেক দক্ষ লোক তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যেখানে এদেশের সব জায়গাতে এখন কলুষিত হয়ে গেছে, সেখানে আইটি জগতের এই রকম সৎ পরিবেশ আমাকে বড় স্বপ্ন দেখায়। এটা আমাদের তথ্য প্রযুক্তির অনেক ভাল দিক।
আমার এই মুহুর্তে ২টা দাবি সরকারের কাছে। বিদ্যুৎ সমস্যা দূর করতে হবে, ইন্টারনেট সেবা দেশের সবজায়গাতে সহজলভ্য করতে হবে। বাংলাদেশের ইন্টারনেট সার্ভিস আগে থেকে অনেকগুন উন্নত হয়েছে। তবে অনেক ভাল করতে হবে। আমার কাছে মনে হয় সরকারের এই জায়গাতে নিয়ন্ত্রন অনেক কম। যে যার মত ব্যবসা করে যাচ্ছে। সরকারকে এখনই জোরালো কোন পদক্ষেপ নেয়া জরুরী। ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আগ্রহ তৈরির জন্য সরকারকে উদ্যোগ নেয়া উচিত।
আর ফ্রিল্যান্সিং এ যারা ভালো পারফরমেন্স করাতে চান তাদের জন্য বলছি, সবার আগে ইংরেজী জানতে হবে। বায়ারদের সাথে কমিউনিকেশনের জন্য এটা জরুরী। ধৈর্য্য বাড়াতে হবে। কম্পিউটারের যেকোন একটি বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। সাধারনত এসইও, গ্রাফিক্স এবং ওয়েব ডিজাইন জানা লোকদের ফ্রিল্যান্সিং এ ভাল চাহিদা করতে পারে। আগে কিছু শিখার জন্য সময় ব্যয় করতে হবে। এখন যেকোন কিছুর জন্য অনেক ভাল ভাল প্রতিষ্ঠান আছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্লগগুলো থেকেও অনেক কিছু শিখা যায়। তাছাড়া ইউটিউব তো আছেই। আগেই টাকার জন্য কাজ না করে, দক্ষ হওয়ার জন্য কাজ করুন। যখন আপনি দক্ষ হবেন তখন টাকা আপনার পিছনে ছুটবে।
Tag :
oDesk,
"ফ্রিল্যান্সিং" রাতারাতি বড়লোক হবার সর্টকার্ট রাস্তা নয়!
যখন আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন, সেদিন থেকে আপনি আপনার, আপনার নেই
কোন ধরা বাধা পেশা। আপনি স্বাধীন এবং আপনার উন্নতি আপনার দক্ষতার উপর।
ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটি বিপ্লব, আধুনিক যুগে নিজেকে উচু করে তোলার একটি
নতুন পদ্ধতি। আজ থেকে বহু বছর আগে ইংল্যান্ডে শিল্প বিল্পব হয়েছিল, কিন্তু
আজো নতুন প্রজন্ম সেই দিনটির কথা স্মরন করে।এখন থেকে বহু বছর পরের প্রজন্ম
ঠিক তেমনি করে স্মরন করবে ফ্রিল্যান্সিং বিপ্লবের কথা। ২০১১-২০১২ সালটা
হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশের জন্য স্বর্ণযুগ। বাংলাদেশের বেশিরভাগ
মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয়ের জন্য,তাদের মনে ২য় কোন ভাবনা আছে কিনা
তা আমার জানা নেই। তবে অনেকে এটাকে টাকা আয়েরর সরল পথ হিসেবে অভিহিত করে।
চলুন আজ থেকে ১০ বছর আগের বাংলাদেশে ফিরে যাই,কয়টা কম্পিউটার ছিল
বাংলাদেশে? হাতে গোনা শ’খানেক? কিংবা আরো কম/বেশি। তখন যুব সমাজের মনে
প্রশ্ন জাগতো পড়াশোনা শেষ করে একটা ভালো চাকরি করবো। কেউ ডাক্তার কেউ
ইঞ্জিনিয়ার হত। অনেক সময় ছোট একটি চাকরি করেও ভালোই দিন কেটে যেত। তো
২০১২ সালের যুবক সমাজের মনে কি প্রশ্ন জাগে? ডাক্তার/ ইঞ্জিনিয়ার হয়ে
টাকা আর টাকা ইনকাম ? নাকী অন্য কিছু ? প্রযুক্তির যতই কাছে যাচ্ছি ততই
আমরা সর্টকার্ট হয়ে যাচ্ছি। কাজে কর্মে,যাতায়াতে কিংবা বিনোদনে। কিন্তু
একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীতে চাকরি করলে কি বিনোদনের সময় পাবেন? সকাল ৮
টা থেকে বিকেল ৫টা বাজার আগে বাড়ি গিয়ে বিশ্রামের চিন্তা? ইম্পসিবল।
বসের গাল মন্ধ না শুনলে সেটা কি চাকরি হল? মাস শেষে অফিসের ম্যানেজারের
রুমের সামনে গোরাগোরি ছাড়া মাইনে নিবেন? অসম্ভব।
আপনার কি ইচ্ছে করে না বাসায় বসে গরম কপিতে চুমুক দিয়ে বসের ঝাড়ি না খেয়েই অফিস করতে ? কিংবা সকাল বেলা চাকুরি করে বিকেল বেলা পার্কে গিয়ে সময় কাটাতে ? সপ্তাহের যে কোন দিন পরিবার পরিজন নিয়ে ভ্রমনে যেতে ? যদি ইচ্ছে থাকে তবেই ফ্রিল্যান্সিং এ আসুন। ভালো কথা,আরাম আয়েশ এর কথা শুনে এই পথে আসলেন ? তো করবেন টা কি ?আপনার যোগ্যতা কি ? বিকম/এমবিএ কিংবা ডাক্তার ? অনলাইনে বসে ডাক্তারি করবেন ? হয়েছে আপনি রুগি মেরে ফেলবেন।তো আপনার প্রথমেই জানা দরকার অনলাইনে কি কি কাজের ক্ষেত্র আছে ।
আমি এই পথে আসার আগে আপনাকে ৫টি প্রশ্ন করবো ,আগে নিজেকে নিজে সেই প্রশ্ন করুন তার উত্তর দিন:-
১. আমি কেন বর্তমান পেশা ছেড়ে ফ্রিল্যান্সিং এ যাচ্ছি?
২. ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কি এটা আমার সঠিক সময়?
৩. আমি কি আমার বর্তমান পেশার প্রতি যত্নবান?
৪. আমি কি নিজের ভুল নিজেই ধরতে পারি ?
৫. আমি কি ফ্রিল্যান্সারদের মতই আচরন করতে পারবো?
আমি কেন বর্তমান পেশা ছেড়ে ফ্রিল্যান্সিং এ যাচ্ছি? :
আপনার বর্তমান পেশায় আপনার বেতন কম,পদোন্নতি হচ্ছে না,পদোন্নতির ভবিষত সুযোগ নেই,আমি এই পেশায় আগ্রহী নই,আমি অফিসের নিয়ম কানুন মেনে চলতে পারছি না। যদি এই হয় আপনার উত্তর তবে আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং এ স্বাগতম।
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কি এটা আমার সঠিক সময়?
সব কিছুর একটা বয়স/সময় আছে,সঠিক সময়ে সঠিক পথে না গেলে পরে সফল হবার সম্ভাববনা কমেই যায়। নিজের দিকে তাকিয়ে দেখুন,বর্তমান পেশা ছেড়ে ফ্রিল্যান্সিং এ আসলে আপনি মানিয়ে নিতে পারবেন কিনা। যদি আপনি শিক্ষার্থী কিংবা সদ্য পাশ করা যুবক হয়ে থাকেন তবে এক কথায় বলবো এই পথে আপনার সূচনা হওয়া চাই।
প্রতিটা মানুষের চাকরি/কাজ করার জন্য একটা উপযুক্ত সময় লাগে,আপনি যদি একজন ইন্টারমেডিয়েট পরীক্ষার্থীকে এনে এই পেশায় ডুকিয়ে দিন তবে তার বড় হওয়া তো দূরের কথা স্বপ্ন দেখাই পাপ হয়ে দাড়াবে। তাই যখন তখন ফ্রিল্যান্সিংয়ে আসা যাবে না।আগে একটা উপযুক্ত সময় বেছে নিন। আপনি যখন নিজেকে মানষিক ভাবে যখন কাজ করার জন্য প্রস্তুত মনে করবেন,তখনি আসুন।
আমি কি আমার বর্তমান পেশার প্রতি যত্নবান?
দরুন আপনি বর্তমানে একজন ব্যাংক কর্মকর্তা,আপনি একটু স্বাধীন ভাবে চলার জন্য ব্যাংক এর চাকরি ছেড়ে দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করবেন ? ভুল সিব্ধান্ত নিবেন না কারন আপনার দক্ষতা হিসাব নিকাশে অন্য কিছুতে নয়। আপনি আপনার বর্তমান পেশাকে সম্মান করেন,এবং কাজটি আপনার জন্য সহজ অথচ মাইনে কম, তো আপনি কি বেশি আয়ের জন্য ফ্রিল্যান্সিং এ নামবেন ? টাকা তো পরের কথা আসল কথা হচ্ছে আপনি তো এই কাজে পারদর্শী নন। তাই আমি বলবো আপনি যে কাজটি ভালো পারেন সেটাই করুন,হোক না কয়টা টাকা মাইনে কম বা বেশি।
আমি কি নিজের ভুল নিজেই ধরতে পারি?
এই পেশায় ২/৪টা ভুল করবেন এটা নিশ্চিত,তবে আপনি যদি বাসায় বসে কাজ করেন তবে আপনার ভুলগুলো সংশোধনের জন্য কি আপনি প্রস্তুত ? যদি নিজের ভুল নিজে ধরতে না পারেন তবে আপনার জন্য এই পেশা কিছুটা ঝুকির হতে পারে। যারা ভুল করার পর অন্নত সেটা উপলব্ধি করতে পারেন তবে তাদের জন্য এই পেশা শুভ।
আমি কি ফ্রিল্যান্সারদের মতই আচরন করতে পারবো?
অফিসে আপনি বসের প্রতিদিন বকা খেতেন দেরিতে আসার জন্য,কিন্তু এই আচরন যদি আপনার থেকে চিরবিদায়া না নেয় তবে ফ্লিল্যান্সিং ও আপনার জন্য কল্যানকর হবে না। কারন এখানে মানুষ টিকে থাকে পার্সোনালীটি এবং দক্ষতার উপর।তাই বাজে অভ্যাশ ত্যাগ করুন।
ডিগ্রি ছাড়া ফ্লিল্যান্সিং চলবে?
আপনি যদি ডিগ্রি প্রাপ্ত হোন তবে আপনার জন্য ওয়েলকাম,বর্তমানে আগের মত আর সুযোগ নেই যে ১০ টাকা দিয়ে ব্যাবনা শুরু করে পরে ১০ বিলিয়নের মালিক হবেন। বর্তমানে অবস্থা হচ্ছে সঠিক পথে না যেতে পারলে ১০ টাকা দিয়ে ব্যাবসা করে ১০ বিলিয়নের মালিক হওয়া যাবে না। যাদের শিক্ষাগত যোগত্য নেই তাদের জন্য এই পেশা অসম্ভব,যদি স্বয়ং আল্লাহ আপনাকে কোন বিশেষ জ্ঞান না দিয়ে থাকেন তবে আপনার জন্য এই পেশা উপযোগী নয়। কেননা এখানে আপনাকে ভিন্ন ধরনের একটি সমাজে উপস্থিত হতে হবে,যার সাথে আপনি সম্পূর্ণ অপরিচিত।তাই আমি বলবো আগে শিক্ষাগত যোগত্য অর্জন করুন এবং পরে পেশায় আসুন। এই পেশায় আসতে হলে আমর কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন ?: প্রথমত আপনাকে স্কুল/কলেজের/বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা অর্জন করতে হবে।হতে পারে তা হাতে কলমে শিক্ষা কিংবা বই মুখস্ত করে শিক্ষা,তবে আপনাকে শিক্ষা গ্রহন করতেই হবে।
২য় কথা হচ্ছে ফ্লিল্যান্সিং পেশায় আপনি যে কাজটি করতে চাইছেন তার সম্পর্কে শিক্ষা লাভ।যদি তা হয় চিত্রাংকন কিংবা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট তবে সেই বিষয়ে আপনাকে শিক্ষাগ্রহন করতে হবে। আমি কিন্তু ডিগ্রি বলতে শুধু নামকরা প্রতিষ্ঠানের বড় বড় সার্টিফিকেটের কথা বলছি না,যে কোন প্রতিষ্ঠান হতে পারে,তবে আপনাকে শিক্ষা গ্রহন করেই এই পেশায় আসার অনুরোধ করছি।
আমার রুম মেট প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা আয় করে,আমিও তার সাথে যোগ দেব ? :
ধরুন আপনি ইংরেজীতে অনার্স করেছেন এবং ইংরেজী অনেক ভালো জানেন। আপনার বন্ধু মার্কেটিং কিংবা হিসাব বিজ্ঞানে অনার্স করেছে। এখন আপনি করেন কোন কলেজে ইংরেজী বিষয়ে শিক্ষকতার চাকুরি। আর আপানার বন্ধু করে শেয়ার বাজার বিজনেস। আপনি চাইলেন আপনার জমানো টাকা দিয়ে তার সাথে শেয়ার বিজনেস শুরু করবেন,এবং শেয়ার বাজারে আপনার ১ লক্ষ টাকাও বিনিয়োগ করলেন। ১ মাস বাধে আপনার ১ লক্ষ টাকা লস হলো,এবং আপনি শেয়ার বাজারের সামনে লাঠি নিয়ে অবস্থান করলেন।আপনার ধারনা সব দোষ শেয়ার বাজারের।
কিন্তু আসল ব্যাপার হচ্ছে কিভাবে শেয়ার বিজনেস পরিচালনা করতে হয় আপনি তা জানেন না,কথন কোন প্রদক্ষেপ নিতে হয় আপনি তাও জানেন না। কেননা শেয়ার বাজার সমন্ধে আপনার কোন ধারনা নেই,আপনি ইংরেজীতে অনেক পারদর্শী তাই বলে শেয়ার বাজারে আপনার লাভ হবে তা নয়।আপনারই বন্ধু শেয়ার বাজারে লাভ করতে পেরেছে কারন তিনি শেয়ার বাজার সমন্ধে অনেক ভালো বুঝেন,তিনি এই বিষয়ে শিক্ষা লাভ করেছেন সে জন্য। তাই অন্যকে দেখে তার পেশায় ঝুকে পড়বেন না,আপনি যা ভালো পারেন তাই করুন । আর পেশা বদলাতে হলে সেই পেশার সমন্ধে আগে অবগত হোন,ট্রেইনিং গ্রহন করুন। না ঝুঝে,না জেনে,যেখানে সেখানে নিজেকে পরিচালিত করবেন না। ফ্রিল্যান্সিং কে পেশা হিসেবে নিতে হলে আগে ফ্রিল্যান্সিং এর উপর খোজ খবর নিন,অভিজ্ঞদের থেকে পরামর্শ নিন প্রয়োজনে প্রশিক্ষন নিন।
আমি তো ফিজিক্স এর ছাত্র ফ্রিল্যান্সিং কি আমাকে দিয়ে হবে?
আপনি কিসের ছাত্র তা দেখার বিষয় নয় আসল কথা হচ্ছে আপনি কোন বিষয়ে আগ্রহী এবং দক্ষ। আপনি যদি ফিজিক্স এর ছাত্র হয়ে থাকেন কিন্তু আপনি আইটি সেক্টরে অনেক আগ্রহী হয়ে থাকেন তবে আমি বলবে আপনিও এই পেশায় আসতে পারেন।
কেননা আপনার সফলতা নিশ্চিত ,যেহেতু আপনি এই পেশার প্রতি আগ্রহী। তবে আগের কথা হচ্ছে এই যে আপনাকে উপযুক্ত শিক্ষা লাভ করতে হবে এবং তারপরেই ফ্রিল্যান্সিং এ প্রবেশ করবেন।
আমি ফ্লিল্যান্সিং পেশায় পেশাজীবি হতে চাই,কিন্তু কিভাবে?
১. সব সময় নিজেকে প্রফেশনাল ভাবতে শিখুন: আপনি মনে করবেন যে আপনি বেকার নন,শুধু অফিসে বসে কাজ করলেই তাকে পেশা/চাকুরি বলে না। আপনি সব সময় ভাবুন যে আপনি পেশাজীবি এবং আপনার একটি সম্মানজনক পেশা আছে।
২. সব সোর্স থেকে উপদেশ গ্রহন করবেন না: আমরা প্রতিদিন যে কথাবার্তা শুনি বা বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় কিংবা জনসভায় যা শুনি তার সবগুলো আপনি উপদেশ হিসেবে গ্রহন করবেন না।
ভালো এবং খারাফের পার্থক্য নিশ্চিত করার পর ভালো টা গ্রহন করুন।অনেকে পত্র পত্রিকায় নিজেদের স্বার্থে অনেক কিছুই বলে/লিখে,তবে তার সব কটি পজেটিভ নয়।
৩. পরিবার এবং বন্ধুদের থেকে সাহায্য নিন
৪. একটি সময় ঠিক করুন,কতদিন এই পেশায় থাকবেন: মিনিমাম ৩ অথবা ৫ বছর প্রাথমিক ভাবে নিদ্দিষ্ট করুন যে আপনি আগামী ৫ বছর ফ্রিল্যান্সিং করবেন।
৫. সব অফার গ্রহন করবেন না: আপনি যখন ভালো পজিশনে থাকবেন তখন অনেক অফার পাবেন,তাই বলে সবগুলো গ্রহন করবেন না,কিছু অফার ছেড়ে দিন এবং বেছে যেকোন একটি ভালো সুযোগ গ্রহন করুন। কেননা ছোট এবং কম লাভজনক কাজে নিজেকে জড়িয়ে ফেললে পরে ভালো অফার পেলেও আপনি তা গ্রহন করতে পারবেন না বা সেই সুযোগ থাকবে না।
৬. যে কাজটি পারেন তাই করুন: ফ্রিল্যান্সিং এ অনেক কাজ রয়েছে,আপনি যেটা ভালো পারেন সব সময় সেটাই করুন,বার বার কাজ পাল্টাবেন না,এতে আপনি ততটা দক্ষতা অর্জন করতে কোনদিন পারবেন না।যে কোন একটা কাজেরই অভিঙ্গতা অর্জন করুন।
প্রমোশন লাগবে ? আগে এগুলো করুন:
১. দায়িত্বের অবহেলা নয়: আপনাকে কেউ hire করেছে তার একটি কাজ করে দেওয়ার জন্য,অথচ সে আপনাকে কাজের সময় পেলো না,তবে প্রমোশন হবে নাকী ডিমোশন হবে ?
তাই কাজের প্রতি এবং সময়ের প্রতি যত্নশীল হোন।
২. কাজ নির্বাচন করুন; ক্লায়েন্ট আপনাকে কি কাজের জন্য hire করেছেন তার সম্পর্কে আপনার স্বচ্ছ ধারনা নিতে হবে এবং সেই কাজটি আপনি পারেন কিনা তা নিশ্চিত হোন।
৩. কাজ না করে লোক বলে বেড়াবেন না: কোন কাজ শেষ করার আগে লোক বলে বেড়াবেন না ।
৪. আপনার কতটুকু বহনের ক্ষমতা আছে:এক সাথে কতটুকু কাজ আপনি করতে পারবেন তার উপর অনুমান করেই কাজ নিন,ওভার লোড নিবেন না।তাতে কোন কাজই সময় মত শেষ করতে পারবেন না।
আমার কাজের মূল্য কত ?
আমি যে কাজ করি তার জন্য ক্লায়েন্ট এর কাছে কত টাকা চাইতে পারি?
১. নিজেকে অযোগ্য মনে করে কাজের মূল্য খুব কমাবেন না
২.আপনি কাজটি একা করতে পারবেন নাকী অন্য কাউকে সাথে নিবেন,তবে সে হিসেবে টাকার ইষ্টিমিট করুন
৩.নিজেকে ভাগ্যবান মনে করে ভালো কাজ অল্প দামে করবেন না
৪.আগামীতে আরো কাজ পাবার আশায় কারো কাজ খুব কম দামে করবেন না।
৫.ক্লায়েন্ট কে বোকা ভেবে কোন কাজের মূল্য খুব বড় অংকের চাইবেন না।
৬.আপনার প্রাপ্য থেকে কখনো ডিসকাউন্ট দিবেন না
কাজ নিতে গেলে যে সকল বাক বিতর্ক প্রায়ই হয়:
যা আপনাকে ক্লায়েন্ট বলতে পারে-
“ এই কাজের জন্য আমরা ইতিমধ্যে অনেক টাকা খরচ করে ফেলছি.”
তার মানে ক্লায়েন্ট আপনাকে বলতে চাচ্ছে যে তারা আপনাকে যে কাজের জন্য নিতে চাচ্ছেন সে কাজটি তারা এর আগেও অন্য কাউকে দিয়ে করিয়েছেন,এবং অনেক অর্থ খরচ করেছেন।
“ আপনি যে টাকা দাবি করছেন,তার অর্ধেক দামেই আমাদের আগের কর্মীরা কাজ করেছেন“
এখন আপনি আপনার ক্লায়েন্ট এর কাছে একটা টাকার পরিমান চাইবার পরে সে আপনাকে বলবে যে এর আগে তারা অনেক সস্তায় কাজ করিয়েছেন।
“ আমাদের এখানে আপনার দীর্ঘদিন কাজ করার সুযোগ রয়েছে ”
আপনাকে লোভ দেখানো হচ্ছে যে আপনি কিছু টাকা কম নিলে তারা আপনাকে অনেক দিন তাদের কাজে রাখবে
“ আপনার পূর্বের করা কাজের নমুনা দেখতে চাই ”
আপনি তাদের কাজটি করতে পারবেন কিনা সে বিষয়ে ধারনা পেতে তারা আপনার কিছু সদ্য শেষ করা কাজের নমুনা দেখতে চাইবে।
“ আপনাকে আমাদের সাথে সময় মেনে কাজ করতে হবে ”
আপনি যে দেশেই থাকুন না কেন ক্লায়েন্ট চাইবে তার সুবিদা মত আপনাকে কাজে পেতে,তাই একটা সময় নির্ধারন করে নিবে।
“আপনিই প্রথম,যাকে আমি নিজে থেকে hire করেছি”
তার মানে ক্লায়েন্ট বলতে চাইছে,তার কাছে আপনাকে হয়তো পছন্দ হয়েছে অথবা যোগ্য মনে হয়ছে।
“আপনার কাজের মূল্যায়ন করেই আপনার সাথে আগাবো”
এখন আপনাকে অগ্রিম তাদের সাথে কাজ কন্টিনিউ করার একটা প্রসেস বলে দেওয়া হয়েছে।
ক্লায়েন্ট রেগে গেছেন ! কি করবেন ?
ANGER !
জেনে নিন ANGER এর পূর্ণ রুপ আসলে কি
A=Acknowledge= স্বীকার
N=Nod = নড়া
G=Guide= গাইড
E=Execute= সম্পাদন
R=Retreat= পশ্চাদপসরণ
আপনার ক্লায়েন্ট রেগে গেছেন এটা কোন ব্যাপার নয়,আপনি ক্লায়েন্ট সমন্ধে কি চিন্তা করছেন তাও ব্যাপার নয় আসল কথা হচ্ছে আপনি কিভাবে এটা হ্যান্ডেল করবেন। এবার আপনিও রেগে গেছেন ? একটাই সমাধান চুপ করে বসে থাকুন,নো টক
একই কাজের রিলেটেড কয়েকটা কাজ শিখে রাখুন
মনে করুন আপনি একজন ডাক্তার,আপনি কারো পেট কেটে তার টিউমার অপারেশন করেছেন,তার পেটে কেটে দেখলেন যে তার কিডনির ও সমস্যা আছে,এখন আপনি কি করবেন ?তার টিউমার এর সমস্যা সমাধান করে তার পেট সেলাই করে দিবেন এবং অন্য ডাক্তার এনে আবার তার পেট কেটে কিডনির সমস্যা সারাবেন ? এক পেটে কত সেলাই করবেন ? রুগী কি বাচবে ? আপনার যদি কিডনির সম্পর্কে ধারনা থাকতো তবে এই অপারেশনে ২টি সমস্যার সমাধান করে পেলতে পারতেন।
কেন এই উদাহরন দিলাম:
মনে করুন আপনি নিজেকে ওয়ার্ডপ্রেস/জুমলা এক্সপার্ট পরিচয় দেন কিংবা মনে করেন। আপনাকে যদি আপনার ক্লায়েন্ট বলে যে আপনি আমাকে সাইটের মধ্যে অমুক ফিচার টি এড করে দিন। তখন আপনি কি করবেন ? তার মানেই হলো ওয়ার্ডপ্রেস কিংবা জুমলা জানলেই আপনি ওয়েব পরিপূর্ণ নন। আপনাকে তার পাশাপাশি অন্য কাজগুলো আয়ত্ব করে নিতে হবে।ওয়েব ডেভেলপার হতে হলে আপনাকে প্লেইন কোডিং,সিএমএস,সিকুরেটি এইসব কিছুই জানতে হবে।
যাদের প্রতি মুহুর্তে টাকা উপার্জন প্রয়োজন তারা এই পেশার আসবেন না:
ফ্রিল্যান্সিং এমন একটা পেশা যার ভবিষ্যত কি হবে তা কেউ বলতে পারবে না,বর্তমানে যে কাজটি বেশি জনপ্রিয় এবং চাহিদা আছে আগামী দিনে তা কি হবে তা কেউ জানে না। এখানে প্রতিদিন কিন্তু কাজ পাবেন তাও নয়,এটি যেমন স্বাধীন পেশা তাই এখানে সব সময় কাজ পাবেন না।এটাকে সিজনাল ও বলতে পারেন,এখানে অনেক প্রতিযোগী তাই আপনাকে কে ভাবে গড়ে তুলতে হবে। যাদের মাস পুরালেই অবশ্যই নির্দিষ্ট অংকের টাকা প্রয়োজন তারা এই পেশায় আসবেন না। কেননা এখানে মাস শেষে কতটাকা ইনকাম হবে তা মাসের শুরুতে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে আপনার উচিত আপনার চাহিদা অনুযায়ী চাকুরি/কাজ কার এবং যাতে আপনার বাজেট ফিক্সড হয়। যাদের সংসার চালাতে মাসে নূন্যতম একটা টাকার অংক(আবশ্যক) লাগবেই তারা এই পেশায় না এসে কোথাও চাহিদা অনুসারে কাজ নিন।আমি তাদের কথাই বলছি যাদের সংসারে ব্যাকাপ দেবার মত কেউ নেই তাদের। কেননা এখানে কোন মাসে আপনি অনেক টাকা আয় করবেন আবার কয়েকমাস কোন আয় হবে না,সে ক্ষেত্রে আপনি বিপদে পড়ে যাবেন। তবে আপনি চাইলে চাকুরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং টাকে অপশনাল হিসেবে নিন,তাহলে আপনার আর কোন রিক্স থাকবে না।
ব্লগে/পত্র পত্রিকায় সবাই বলে ফ্রিল্যান্সিং সহজ,অথচ আপনি বলছেন অনিশ্চিত !
কোট টাই লাগিয়ে আপনাদের সামনে ভাষন দিতে আসিনি,কিংবা আমার পিএস আমাতে কাগজে লিখে দিয়ে যায়নি মহান ভক্তা হবার বিশেষ ভাষন। আমি যা বলছি এবং লিখছি তা জীবনমুখী,এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই। কোন সফল কাহীনির বাংলা অনুবাদ করে লিখছি না, আমরা বাংলাদেশীরা সব সময় ইন্টারনেটে বসে বসে সফল কাহীনি খুজে,তাই আমরা সমস্যা গুলো খুজে পাইনা। শতকরা ১০ ভাগ মানুষ সফল হয়,আর বাকী ৯০ ভাগ মানুষ ব্যার্থ হয়,কারন তারা আকাশের দিকে তাকিয়ে হাটতে হাটতে মাটিতে হোচড় খায়,আপনি যদি সফল হতে চান তবে সঠিক পথে ধরে এগোতে হবে।
সবাই বড়লোক হতে বলে,কিন্তু বড়লোক হবার সঠিক রাস্তা কেউ দেখায় না
ব্লগ/নিউজ পেপার/পরিবার/বন্ধু বলেন ,কেউ আপনাকে বড়লোক করে দিতে পারবে না,কেউ জানেও না কিভাবে বড়লোক হতে হয়। মানুষ আস্তে আস্তে কোন একদিন অপরের চোখে বড়লোক হয়ে উঠে,তবে তার জন্য কতটা পথ অতিক্রম করতে হয় তা গননার প্রয়োজন নেই।আপনাকে কেই জীবনে বড় হতে বললেই ভাববেন না যে সে মহা অপরাধ করেছে আসলে সে আপনার মাথায় বড়লোক হবার ভাবনা ডুকিয়ে দিয়েছে এখন বাকী কাজ আপনার। ভাইয়া আমি অনলাইনে আয় করতে চাই,ইনকাম করতে চাই: আমার ভাইয়েরা,আপনাদের অনুরোধ করবো আপনারা যারা ঘরে বসে আয় করতে চান তারা আগে কোন একট নির্দিষ্ট বিষয়ের উপরে প্রশিক্ষন গ্রহন করুন। মনে রাখবেন দক্ষ হলে যে কোথাও তার কাজ আছে আর দক্ষ না হলে তার স্থান কোথাও নেই।
অনলাইনে আয় করে বড়লোক হোন !
অনেক সময় এই ধরনের শিরোনামের কিছু লেখা চোখে পড়ে, আসলেই কি টাকা উপার্জন এতটা সহজ ? রাতারাতি বড়লোক হবার কোন সর্টকার্ট রাস্তা নেই(ভালো পথে)।ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটা সময়উপযোগী পেশা,এখানে আপনার নিজেকে প্রমোট করার সুযোগ নিজের হাতেই,তবে আপনাকে একটা ভালো পজিশনে যেতে হলে প্রচুর কায়িক শ্রম দিতে হবে। আজকে ফ্রিল্যান্স শুরু করে কালকে বড়লোক হয়ে যাবেন সেটা কথনো হবার নয়। একটা কাজ করতে করতে যখন আপনি সেই কাজে পারদর্শী হয়ে যাবেন তখনি আপনার প্রমোশন।অপরের কথায় আত্বভোলা না হয়ে নিজে বুঝে তারপর সিদ্ধান্ত নিন।
সবাই ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আসার জন্য উ্যসাহ দেয়,আমি কেন নেগেটিভ কথা বলছি ?
পৃথিবীতে অনেক কঠিন সত্য আছে তাই।সব কিছুর একটা বাজে দিক আছে,যদিও এই পেশার সমস্যাগুলো ততোটা বাজে নয় তবুও জেনে শুনে বিষ পান করাও শ্রেয়।
টিকা:
বাংলা টেকনোলজী ব্লগ গুলোর মডারেশন প্যানেলকে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে যাতে কেউ ভুল ব্যাখ্যা না দিয়ে লেখা না প্রকাশ করে। অনেকে রাতারাতি টাকা আয়ের পথ দেখায়, পিটিসি কিংবা ফেইসবুক লাইক দেয়ার জবের কথা বলে। আসলে এই সব কাজের কোন গ্যারান্টি নেই। তাই ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক লেখাগুলোকে ভালো করে যাচাই করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
আমি যে সব ভালো কথা বলছি তা কিন্তু নয়। শুধুমাত্র ব্যাক্তিগত মতামত আপনাদের সামনে প্রেজেন্ট করছি। সবচেয়ে উত্তম কাজ হবে আমার লেখা থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বের করতে পারেন কিনা সেটাই। আমার লেখায় ভালো কিছু থাকলে তা গ্রহন করুন আর যা আপনার মতের সাথে মিলছে না তা বর্জন করুন।
আপনার কি ইচ্ছে করে না বাসায় বসে গরম কপিতে চুমুক দিয়ে বসের ঝাড়ি না খেয়েই অফিস করতে ? কিংবা সকাল বেলা চাকুরি করে বিকেল বেলা পার্কে গিয়ে সময় কাটাতে ? সপ্তাহের যে কোন দিন পরিবার পরিজন নিয়ে ভ্রমনে যেতে ? যদি ইচ্ছে থাকে তবেই ফ্রিল্যান্সিং এ আসুন। ভালো কথা,আরাম আয়েশ এর কথা শুনে এই পথে আসলেন ? তো করবেন টা কি ?আপনার যোগ্যতা কি ? বিকম/এমবিএ কিংবা ডাক্তার ? অনলাইনে বসে ডাক্তারি করবেন ? হয়েছে আপনি রুগি মেরে ফেলবেন।তো আপনার প্রথমেই জানা দরকার অনলাইনে কি কি কাজের ক্ষেত্র আছে ।
আমি এই পথে আসার আগে আপনাকে ৫টি প্রশ্ন করবো ,আগে নিজেকে নিজে সেই প্রশ্ন করুন তার উত্তর দিন:-
১. আমি কেন বর্তমান পেশা ছেড়ে ফ্রিল্যান্সিং এ যাচ্ছি?
২. ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কি এটা আমার সঠিক সময়?
৩. আমি কি আমার বর্তমান পেশার প্রতি যত্নবান?
৪. আমি কি নিজের ভুল নিজেই ধরতে পারি ?
৫. আমি কি ফ্রিল্যান্সারদের মতই আচরন করতে পারবো?
আমি কেন বর্তমান পেশা ছেড়ে ফ্রিল্যান্সিং এ যাচ্ছি? :
আপনার বর্তমান পেশায় আপনার বেতন কম,পদোন্নতি হচ্ছে না,পদোন্নতির ভবিষত সুযোগ নেই,আমি এই পেশায় আগ্রহী নই,আমি অফিসের নিয়ম কানুন মেনে চলতে পারছি না। যদি এই হয় আপনার উত্তর তবে আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং এ স্বাগতম।
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কি এটা আমার সঠিক সময়?
সব কিছুর একটা বয়স/সময় আছে,সঠিক সময়ে সঠিক পথে না গেলে পরে সফল হবার সম্ভাববনা কমেই যায়। নিজের দিকে তাকিয়ে দেখুন,বর্তমান পেশা ছেড়ে ফ্রিল্যান্সিং এ আসলে আপনি মানিয়ে নিতে পারবেন কিনা। যদি আপনি শিক্ষার্থী কিংবা সদ্য পাশ করা যুবক হয়ে থাকেন তবে এক কথায় বলবো এই পথে আপনার সূচনা হওয়া চাই।
প্রতিটা মানুষের চাকরি/কাজ করার জন্য একটা উপযুক্ত সময় লাগে,আপনি যদি একজন ইন্টারমেডিয়েট পরীক্ষার্থীকে এনে এই পেশায় ডুকিয়ে দিন তবে তার বড় হওয়া তো দূরের কথা স্বপ্ন দেখাই পাপ হয়ে দাড়াবে। তাই যখন তখন ফ্রিল্যান্সিংয়ে আসা যাবে না।আগে একটা উপযুক্ত সময় বেছে নিন। আপনি যখন নিজেকে মানষিক ভাবে যখন কাজ করার জন্য প্রস্তুত মনে করবেন,তখনি আসুন।
আমি কি আমার বর্তমান পেশার প্রতি যত্নবান?
দরুন আপনি বর্তমানে একজন ব্যাংক কর্মকর্তা,আপনি একটু স্বাধীন ভাবে চলার জন্য ব্যাংক এর চাকরি ছেড়ে দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করবেন ? ভুল সিব্ধান্ত নিবেন না কারন আপনার দক্ষতা হিসাব নিকাশে অন্য কিছুতে নয়। আপনি আপনার বর্তমান পেশাকে সম্মান করেন,এবং কাজটি আপনার জন্য সহজ অথচ মাইনে কম, তো আপনি কি বেশি আয়ের জন্য ফ্রিল্যান্সিং এ নামবেন ? টাকা তো পরের কথা আসল কথা হচ্ছে আপনি তো এই কাজে পারদর্শী নন। তাই আমি বলবো আপনি যে কাজটি ভালো পারেন সেটাই করুন,হোক না কয়টা টাকা মাইনে কম বা বেশি।
আমি কি নিজের ভুল নিজেই ধরতে পারি?
এই পেশায় ২/৪টা ভুল করবেন এটা নিশ্চিত,তবে আপনি যদি বাসায় বসে কাজ করেন তবে আপনার ভুলগুলো সংশোধনের জন্য কি আপনি প্রস্তুত ? যদি নিজের ভুল নিজে ধরতে না পারেন তবে আপনার জন্য এই পেশা কিছুটা ঝুকির হতে পারে। যারা ভুল করার পর অন্নত সেটা উপলব্ধি করতে পারেন তবে তাদের জন্য এই পেশা শুভ।
আমি কি ফ্রিল্যান্সারদের মতই আচরন করতে পারবো?
অফিসে আপনি বসের প্রতিদিন বকা খেতেন দেরিতে আসার জন্য,কিন্তু এই আচরন যদি আপনার থেকে চিরবিদায়া না নেয় তবে ফ্লিল্যান্সিং ও আপনার জন্য কল্যানকর হবে না। কারন এখানে মানুষ টিকে থাকে পার্সোনালীটি এবং দক্ষতার উপর।তাই বাজে অভ্যাশ ত্যাগ করুন।
ডিগ্রি ছাড়া ফ্লিল্যান্সিং চলবে?
আপনি যদি ডিগ্রি প্রাপ্ত হোন তবে আপনার জন্য ওয়েলকাম,বর্তমানে আগের মত আর সুযোগ নেই যে ১০ টাকা দিয়ে ব্যাবনা শুরু করে পরে ১০ বিলিয়নের মালিক হবেন। বর্তমানে অবস্থা হচ্ছে সঠিক পথে না যেতে পারলে ১০ টাকা দিয়ে ব্যাবসা করে ১০ বিলিয়নের মালিক হওয়া যাবে না। যাদের শিক্ষাগত যোগত্য নেই তাদের জন্য এই পেশা অসম্ভব,যদি স্বয়ং আল্লাহ আপনাকে কোন বিশেষ জ্ঞান না দিয়ে থাকেন তবে আপনার জন্য এই পেশা উপযোগী নয়। কেননা এখানে আপনাকে ভিন্ন ধরনের একটি সমাজে উপস্থিত হতে হবে,যার সাথে আপনি সম্পূর্ণ অপরিচিত।তাই আমি বলবো আগে শিক্ষাগত যোগত্য অর্জন করুন এবং পরে পেশায় আসুন। এই পেশায় আসতে হলে আমর কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন ?: প্রথমত আপনাকে স্কুল/কলেজের/বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা অর্জন করতে হবে।হতে পারে তা হাতে কলমে শিক্ষা কিংবা বই মুখস্ত করে শিক্ষা,তবে আপনাকে শিক্ষা গ্রহন করতেই হবে।
২য় কথা হচ্ছে ফ্লিল্যান্সিং পেশায় আপনি যে কাজটি করতে চাইছেন তার সম্পর্কে শিক্ষা লাভ।যদি তা হয় চিত্রাংকন কিংবা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট তবে সেই বিষয়ে আপনাকে শিক্ষাগ্রহন করতে হবে। আমি কিন্তু ডিগ্রি বলতে শুধু নামকরা প্রতিষ্ঠানের বড় বড় সার্টিফিকেটের কথা বলছি না,যে কোন প্রতিষ্ঠান হতে পারে,তবে আপনাকে শিক্ষা গ্রহন করেই এই পেশায় আসার অনুরোধ করছি।
আমার রুম মেট প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা আয় করে,আমিও তার সাথে যোগ দেব ? :
ধরুন আপনি ইংরেজীতে অনার্স করেছেন এবং ইংরেজী অনেক ভালো জানেন। আপনার বন্ধু মার্কেটিং কিংবা হিসাব বিজ্ঞানে অনার্স করেছে। এখন আপনি করেন কোন কলেজে ইংরেজী বিষয়ে শিক্ষকতার চাকুরি। আর আপানার বন্ধু করে শেয়ার বাজার বিজনেস। আপনি চাইলেন আপনার জমানো টাকা দিয়ে তার সাথে শেয়ার বিজনেস শুরু করবেন,এবং শেয়ার বাজারে আপনার ১ লক্ষ টাকাও বিনিয়োগ করলেন। ১ মাস বাধে আপনার ১ লক্ষ টাকা লস হলো,এবং আপনি শেয়ার বাজারের সামনে লাঠি নিয়ে অবস্থান করলেন।আপনার ধারনা সব দোষ শেয়ার বাজারের।
কিন্তু আসল ব্যাপার হচ্ছে কিভাবে শেয়ার বিজনেস পরিচালনা করতে হয় আপনি তা জানেন না,কথন কোন প্রদক্ষেপ নিতে হয় আপনি তাও জানেন না। কেননা শেয়ার বাজার সমন্ধে আপনার কোন ধারনা নেই,আপনি ইংরেজীতে অনেক পারদর্শী তাই বলে শেয়ার বাজারে আপনার লাভ হবে তা নয়।আপনারই বন্ধু শেয়ার বাজারে লাভ করতে পেরেছে কারন তিনি শেয়ার বাজার সমন্ধে অনেক ভালো বুঝেন,তিনি এই বিষয়ে শিক্ষা লাভ করেছেন সে জন্য। তাই অন্যকে দেখে তার পেশায় ঝুকে পড়বেন না,আপনি যা ভালো পারেন তাই করুন । আর পেশা বদলাতে হলে সেই পেশার সমন্ধে আগে অবগত হোন,ট্রেইনিং গ্রহন করুন। না ঝুঝে,না জেনে,যেখানে সেখানে নিজেকে পরিচালিত করবেন না। ফ্রিল্যান্সিং কে পেশা হিসেবে নিতে হলে আগে ফ্রিল্যান্সিং এর উপর খোজ খবর নিন,অভিজ্ঞদের থেকে পরামর্শ নিন প্রয়োজনে প্রশিক্ষন নিন।
আমি তো ফিজিক্স এর ছাত্র ফ্রিল্যান্সিং কি আমাকে দিয়ে হবে?
আপনি কিসের ছাত্র তা দেখার বিষয় নয় আসল কথা হচ্ছে আপনি কোন বিষয়ে আগ্রহী এবং দক্ষ। আপনি যদি ফিজিক্স এর ছাত্র হয়ে থাকেন কিন্তু আপনি আইটি সেক্টরে অনেক আগ্রহী হয়ে থাকেন তবে আমি বলবে আপনিও এই পেশায় আসতে পারেন।
কেননা আপনার সফলতা নিশ্চিত ,যেহেতু আপনি এই পেশার প্রতি আগ্রহী। তবে আগের কথা হচ্ছে এই যে আপনাকে উপযুক্ত শিক্ষা লাভ করতে হবে এবং তারপরেই ফ্রিল্যান্সিং এ প্রবেশ করবেন।
আমি ফ্লিল্যান্সিং পেশায় পেশাজীবি হতে চাই,কিন্তু কিভাবে?
১. সব সময় নিজেকে প্রফেশনাল ভাবতে শিখুন: আপনি মনে করবেন যে আপনি বেকার নন,শুধু অফিসে বসে কাজ করলেই তাকে পেশা/চাকুরি বলে না। আপনি সব সময় ভাবুন যে আপনি পেশাজীবি এবং আপনার একটি সম্মানজনক পেশা আছে।
২. সব সোর্স থেকে উপদেশ গ্রহন করবেন না: আমরা প্রতিদিন যে কথাবার্তা শুনি বা বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় কিংবা জনসভায় যা শুনি তার সবগুলো আপনি উপদেশ হিসেবে গ্রহন করবেন না।
ভালো এবং খারাফের পার্থক্য নিশ্চিত করার পর ভালো টা গ্রহন করুন।অনেকে পত্র পত্রিকায় নিজেদের স্বার্থে অনেক কিছুই বলে/লিখে,তবে তার সব কটি পজেটিভ নয়।
৩. পরিবার এবং বন্ধুদের থেকে সাহায্য নিন
৪. একটি সময় ঠিক করুন,কতদিন এই পেশায় থাকবেন: মিনিমাম ৩ অথবা ৫ বছর প্রাথমিক ভাবে নিদ্দিষ্ট করুন যে আপনি আগামী ৫ বছর ফ্রিল্যান্সিং করবেন।
৫. সব অফার গ্রহন করবেন না: আপনি যখন ভালো পজিশনে থাকবেন তখন অনেক অফার পাবেন,তাই বলে সবগুলো গ্রহন করবেন না,কিছু অফার ছেড়ে দিন এবং বেছে যেকোন একটি ভালো সুযোগ গ্রহন করুন। কেননা ছোট এবং কম লাভজনক কাজে নিজেকে জড়িয়ে ফেললে পরে ভালো অফার পেলেও আপনি তা গ্রহন করতে পারবেন না বা সেই সুযোগ থাকবে না।
৬. যে কাজটি পারেন তাই করুন: ফ্রিল্যান্সিং এ অনেক কাজ রয়েছে,আপনি যেটা ভালো পারেন সব সময় সেটাই করুন,বার বার কাজ পাল্টাবেন না,এতে আপনি ততটা দক্ষতা অর্জন করতে কোনদিন পারবেন না।যে কোন একটা কাজেরই অভিঙ্গতা অর্জন করুন।
প্রমোশন লাগবে ? আগে এগুলো করুন:
১. দায়িত্বের অবহেলা নয়: আপনাকে কেউ hire করেছে তার একটি কাজ করে দেওয়ার জন্য,অথচ সে আপনাকে কাজের সময় পেলো না,তবে প্রমোশন হবে নাকী ডিমোশন হবে ?
তাই কাজের প্রতি এবং সময়ের প্রতি যত্নশীল হোন।
২. কাজ নির্বাচন করুন; ক্লায়েন্ট আপনাকে কি কাজের জন্য hire করেছেন তার সম্পর্কে আপনার স্বচ্ছ ধারনা নিতে হবে এবং সেই কাজটি আপনি পারেন কিনা তা নিশ্চিত হোন।
৩. কাজ না করে লোক বলে বেড়াবেন না: কোন কাজ শেষ করার আগে লোক বলে বেড়াবেন না ।
৪. আপনার কতটুকু বহনের ক্ষমতা আছে:এক সাথে কতটুকু কাজ আপনি করতে পারবেন তার উপর অনুমান করেই কাজ নিন,ওভার লোড নিবেন না।তাতে কোন কাজই সময় মত শেষ করতে পারবেন না।
আমার কাজের মূল্য কত ?
আমি যে কাজ করি তার জন্য ক্লায়েন্ট এর কাছে কত টাকা চাইতে পারি?
১. নিজেকে অযোগ্য মনে করে কাজের মূল্য খুব কমাবেন না
২.আপনি কাজটি একা করতে পারবেন নাকী অন্য কাউকে সাথে নিবেন,তবে সে হিসেবে টাকার ইষ্টিমিট করুন
৩.নিজেকে ভাগ্যবান মনে করে ভালো কাজ অল্প দামে করবেন না
৪.আগামীতে আরো কাজ পাবার আশায় কারো কাজ খুব কম দামে করবেন না।
৫.ক্লায়েন্ট কে বোকা ভেবে কোন কাজের মূল্য খুব বড় অংকের চাইবেন না।
৬.আপনার প্রাপ্য থেকে কখনো ডিসকাউন্ট দিবেন না
কাজ নিতে গেলে যে সকল বাক বিতর্ক প্রায়ই হয়:
যা আপনাকে ক্লায়েন্ট বলতে পারে-
“ এই কাজের জন্য আমরা ইতিমধ্যে অনেক টাকা খরচ করে ফেলছি.”
তার মানে ক্লায়েন্ট আপনাকে বলতে চাচ্ছে যে তারা আপনাকে যে কাজের জন্য নিতে চাচ্ছেন সে কাজটি তারা এর আগেও অন্য কাউকে দিয়ে করিয়েছেন,এবং অনেক অর্থ খরচ করেছেন।
“ আপনি যে টাকা দাবি করছেন,তার অর্ধেক দামেই আমাদের আগের কর্মীরা কাজ করেছেন“
এখন আপনি আপনার ক্লায়েন্ট এর কাছে একটা টাকার পরিমান চাইবার পরে সে আপনাকে বলবে যে এর আগে তারা অনেক সস্তায় কাজ করিয়েছেন।
“ আমাদের এখানে আপনার দীর্ঘদিন কাজ করার সুযোগ রয়েছে ”
আপনাকে লোভ দেখানো হচ্ছে যে আপনি কিছু টাকা কম নিলে তারা আপনাকে অনেক দিন তাদের কাজে রাখবে
“ আপনার পূর্বের করা কাজের নমুনা দেখতে চাই ”
আপনি তাদের কাজটি করতে পারবেন কিনা সে বিষয়ে ধারনা পেতে তারা আপনার কিছু সদ্য শেষ করা কাজের নমুনা দেখতে চাইবে।
“ আপনাকে আমাদের সাথে সময় মেনে কাজ করতে হবে ”
আপনি যে দেশেই থাকুন না কেন ক্লায়েন্ট চাইবে তার সুবিদা মত আপনাকে কাজে পেতে,তাই একটা সময় নির্ধারন করে নিবে।
“আপনিই প্রথম,যাকে আমি নিজে থেকে hire করেছি”
তার মানে ক্লায়েন্ট বলতে চাইছে,তার কাছে আপনাকে হয়তো পছন্দ হয়েছে অথবা যোগ্য মনে হয়ছে।
“আপনার কাজের মূল্যায়ন করেই আপনার সাথে আগাবো”
এখন আপনাকে অগ্রিম তাদের সাথে কাজ কন্টিনিউ করার একটা প্রসেস বলে দেওয়া হয়েছে।
ক্লায়েন্ট রেগে গেছেন ! কি করবেন ?
ANGER !
জেনে নিন ANGER এর পূর্ণ রুপ আসলে কি
A=Acknowledge= স্বীকার
N=Nod = নড়া
G=Guide= গাইড
E=Execute= সম্পাদন
R=Retreat= পশ্চাদপসরণ
আপনার ক্লায়েন্ট রেগে গেছেন এটা কোন ব্যাপার নয়,আপনি ক্লায়েন্ট সমন্ধে কি চিন্তা করছেন তাও ব্যাপার নয় আসল কথা হচ্ছে আপনি কিভাবে এটা হ্যান্ডেল করবেন। এবার আপনিও রেগে গেছেন ? একটাই সমাধান চুপ করে বসে থাকুন,নো টক
একই কাজের রিলেটেড কয়েকটা কাজ শিখে রাখুন
মনে করুন আপনি একজন ডাক্তার,আপনি কারো পেট কেটে তার টিউমার অপারেশন করেছেন,তার পেটে কেটে দেখলেন যে তার কিডনির ও সমস্যা আছে,এখন আপনি কি করবেন ?তার টিউমার এর সমস্যা সমাধান করে তার পেট সেলাই করে দিবেন এবং অন্য ডাক্তার এনে আবার তার পেট কেটে কিডনির সমস্যা সারাবেন ? এক পেটে কত সেলাই করবেন ? রুগী কি বাচবে ? আপনার যদি কিডনির সম্পর্কে ধারনা থাকতো তবে এই অপারেশনে ২টি সমস্যার সমাধান করে পেলতে পারতেন।
কেন এই উদাহরন দিলাম:
মনে করুন আপনি নিজেকে ওয়ার্ডপ্রেস/জুমলা এক্সপার্ট পরিচয় দেন কিংবা মনে করেন। আপনাকে যদি আপনার ক্লায়েন্ট বলে যে আপনি আমাকে সাইটের মধ্যে অমুক ফিচার টি এড করে দিন। তখন আপনি কি করবেন ? তার মানেই হলো ওয়ার্ডপ্রেস কিংবা জুমলা জানলেই আপনি ওয়েব পরিপূর্ণ নন। আপনাকে তার পাশাপাশি অন্য কাজগুলো আয়ত্ব করে নিতে হবে।ওয়েব ডেভেলপার হতে হলে আপনাকে প্লেইন কোডিং,সিএমএস,সিকুরেটি এইসব কিছুই জানতে হবে।
যাদের প্রতি মুহুর্তে টাকা উপার্জন প্রয়োজন তারা এই পেশার আসবেন না:
ফ্রিল্যান্সিং এমন একটা পেশা যার ভবিষ্যত কি হবে তা কেউ বলতে পারবে না,বর্তমানে যে কাজটি বেশি জনপ্রিয় এবং চাহিদা আছে আগামী দিনে তা কি হবে তা কেউ জানে না। এখানে প্রতিদিন কিন্তু কাজ পাবেন তাও নয়,এটি যেমন স্বাধীন পেশা তাই এখানে সব সময় কাজ পাবেন না।এটাকে সিজনাল ও বলতে পারেন,এখানে অনেক প্রতিযোগী তাই আপনাকে কে ভাবে গড়ে তুলতে হবে। যাদের মাস পুরালেই অবশ্যই নির্দিষ্ট অংকের টাকা প্রয়োজন তারা এই পেশায় আসবেন না। কেননা এখানে মাস শেষে কতটাকা ইনকাম হবে তা মাসের শুরুতে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে আপনার উচিত আপনার চাহিদা অনুযায়ী চাকুরি/কাজ কার এবং যাতে আপনার বাজেট ফিক্সড হয়। যাদের সংসার চালাতে মাসে নূন্যতম একটা টাকার অংক(আবশ্যক) লাগবেই তারা এই পেশায় না এসে কোথাও চাহিদা অনুসারে কাজ নিন।আমি তাদের কথাই বলছি যাদের সংসারে ব্যাকাপ দেবার মত কেউ নেই তাদের। কেননা এখানে কোন মাসে আপনি অনেক টাকা আয় করবেন আবার কয়েকমাস কোন আয় হবে না,সে ক্ষেত্রে আপনি বিপদে পড়ে যাবেন। তবে আপনি চাইলে চাকুরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং টাকে অপশনাল হিসেবে নিন,তাহলে আপনার আর কোন রিক্স থাকবে না।
ব্লগে/পত্র পত্রিকায় সবাই বলে ফ্রিল্যান্সিং সহজ,অথচ আপনি বলছেন অনিশ্চিত !
কোট টাই লাগিয়ে আপনাদের সামনে ভাষন দিতে আসিনি,কিংবা আমার পিএস আমাতে কাগজে লিখে দিয়ে যায়নি মহান ভক্তা হবার বিশেষ ভাষন। আমি যা বলছি এবং লিখছি তা জীবনমুখী,এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই। কোন সফল কাহীনির বাংলা অনুবাদ করে লিখছি না, আমরা বাংলাদেশীরা সব সময় ইন্টারনেটে বসে বসে সফল কাহীনি খুজে,তাই আমরা সমস্যা গুলো খুজে পাইনা। শতকরা ১০ ভাগ মানুষ সফল হয়,আর বাকী ৯০ ভাগ মানুষ ব্যার্থ হয়,কারন তারা আকাশের দিকে তাকিয়ে হাটতে হাটতে মাটিতে হোচড় খায়,আপনি যদি সফল হতে চান তবে সঠিক পথে ধরে এগোতে হবে।
সবাই বড়লোক হতে বলে,কিন্তু বড়লোক হবার সঠিক রাস্তা কেউ দেখায় না
ব্লগ/নিউজ পেপার/পরিবার/বন্ধু বলেন ,কেউ আপনাকে বড়লোক করে দিতে পারবে না,কেউ জানেও না কিভাবে বড়লোক হতে হয়। মানুষ আস্তে আস্তে কোন একদিন অপরের চোখে বড়লোক হয়ে উঠে,তবে তার জন্য কতটা পথ অতিক্রম করতে হয় তা গননার প্রয়োজন নেই।আপনাকে কেই জীবনে বড় হতে বললেই ভাববেন না যে সে মহা অপরাধ করেছে আসলে সে আপনার মাথায় বড়লোক হবার ভাবনা ডুকিয়ে দিয়েছে এখন বাকী কাজ আপনার। ভাইয়া আমি অনলাইনে আয় করতে চাই,ইনকাম করতে চাই: আমার ভাইয়েরা,আপনাদের অনুরোধ করবো আপনারা যারা ঘরে বসে আয় করতে চান তারা আগে কোন একট নির্দিষ্ট বিষয়ের উপরে প্রশিক্ষন গ্রহন করুন। মনে রাখবেন দক্ষ হলে যে কোথাও তার কাজ আছে আর দক্ষ না হলে তার স্থান কোথাও নেই।
অনলাইনে আয় করে বড়লোক হোন !
অনেক সময় এই ধরনের শিরোনামের কিছু লেখা চোখে পড়ে, আসলেই কি টাকা উপার্জন এতটা সহজ ? রাতারাতি বড়লোক হবার কোন সর্টকার্ট রাস্তা নেই(ভালো পথে)।ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটা সময়উপযোগী পেশা,এখানে আপনার নিজেকে প্রমোট করার সুযোগ নিজের হাতেই,তবে আপনাকে একটা ভালো পজিশনে যেতে হলে প্রচুর কায়িক শ্রম দিতে হবে। আজকে ফ্রিল্যান্স শুরু করে কালকে বড়লোক হয়ে যাবেন সেটা কথনো হবার নয়। একটা কাজ করতে করতে যখন আপনি সেই কাজে পারদর্শী হয়ে যাবেন তখনি আপনার প্রমোশন।অপরের কথায় আত্বভোলা না হয়ে নিজে বুঝে তারপর সিদ্ধান্ত নিন।
সবাই ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আসার জন্য উ্যসাহ দেয়,আমি কেন নেগেটিভ কথা বলছি ?
পৃথিবীতে অনেক কঠিন সত্য আছে তাই।সব কিছুর একটা বাজে দিক আছে,যদিও এই পেশার সমস্যাগুলো ততোটা বাজে নয় তবুও জেনে শুনে বিষ পান করাও শ্রেয়।
টিকা:
বাংলা টেকনোলজী ব্লগ গুলোর মডারেশন প্যানেলকে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে যাতে কেউ ভুল ব্যাখ্যা না দিয়ে লেখা না প্রকাশ করে। অনেকে রাতারাতি টাকা আয়ের পথ দেখায়, পিটিসি কিংবা ফেইসবুক লাইক দেয়ার জবের কথা বলে। আসলে এই সব কাজের কোন গ্যারান্টি নেই। তাই ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক লেখাগুলোকে ভালো করে যাচাই করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
আমি যে সব ভালো কথা বলছি তা কিন্তু নয়। শুধুমাত্র ব্যাক্তিগত মতামত আপনাদের সামনে প্রেজেন্ট করছি। সবচেয়ে উত্তম কাজ হবে আমার লেখা থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বের করতে পারেন কিনা সেটাই। আমার লেখায় ভালো কিছু থাকলে তা গ্রহন করুন আর যা আপনার মতের সাথে মিলছে না তা বর্জন করুন।
Tag :
oDesk,
আমি টুইটারে আয় করি যেভাবে
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে অনেকেই শুধু মজা করেই সময় পার করে দেন।
কিন্তু আমি যেমন মজা করি তেমনি আয়ও করি। সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট গুলোর
কল্যাণে অনলাইন মার্কেটিং এখন যেমন দ্রুত হয়ে গেছে ঠিক তেমনি এই সাইট
গুলোর কদর দিন দিন বেড়েই চলেছে, আর অনেকেই বিভিন্ন ভাবে এই সাইট গুলোকে
নিজের ব্যবসা, প্রচারণার ক্ষেত্রে ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করছেন। আজকে আপনাদের
কাছে আলোচনা করব টুইটার থেকে কিভাবে, কত, কোথায় কেমন করে আয় করা যায়।
টুইটার কি তা নিয়ে আশা করি বিস্তারিত আলোচনা করার প্রয়োজন নাই। তাই
সরাসরি মূল আলোচনায় চলে যাওয়া যেতে পারে। খুব সংক্ষেপে টুইটারে আয় করার
কয়েকটি বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
টুইটার কীভাবে টাকা দেবে?
খুব সাধারণ একটা প্রশ্ন, অনেকেই যারা নতুন তারা প্রশ্ন করে থাকেন যে, আদৌ কি টুইটার থেকে আয় করা যায়? আর তারা কেন মানুষকে টাকা দিতে যাবে? বিষয়টা আসলে সেরকম নয়, বরং এখানে টুইটার আপনাকে এক টাকাও দেবে না। টাকা দেবে আপনি যাদের হয়ে টুইটারে কাজ করবেন। তাদের অনেক কাজ এখন ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে পাওয়া যায়।
টুইটারে আমার কাজ কি হবে?
টুইটার হচ্ছে বিশাল সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারী এই সাইটটিকে নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করছেন। কেউ করছেন নিজের মতামত প্রকাশ করার জন্যে। কেউবা ব্যবসায়িক প্রচারণা করার জন্যে। কেউ ব্রান্ডকে প্রমোট করার জন্যে। কেউ বা সেলিব্রেটিদের প্রচারণার জন্যে। তাদের এই কাজগুলোই মূলত আপনার কাজ। মুল কথা যুগের চাহিদা এবং সবার সাথে যোগাযোগ রাখার উত্তম মাধ্যম হিসেবে এক অনন্য এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট। তাছাড়া বিখ্যাত, সেলিব্রেটি, আদর্শ মানুষ গুলোকে খুব কাছ থেকে জানার আগ্রহ থেকে প্রচুর মানুষের মনের মধ্যে এক তুড়িতে স্থান করে নিয়েছে এই সাইটগুলো। এছাড়াও ওয়েব সাইট গুলোর ভিজিটর পাওয়ার অন্যতম মাধ্যম সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে প্রচুর প্রতিযোগিতা(SEO) এর কারণে কাঙ্ক্ষিত ভিজিটর না পাওয়া একটি অন্যতম কারণ।
টুইটারে কি কি কাজ পাওয়া যায়?
অনেক কাজ আছে এখানে। যেমন followers সংগ্রহ করে, টুইটার একাউন্ট তৈরি করে, retweet করে, ব্যাকগ্রাউন্ড ইমেজ তৈরি করে এবং আরও অনেক কাজ।
১. followers সংগ্রহ করে।
টুইটারের মধ্যে এই কাজটির চাহিদা সব চেয়ে বেশি, অনেক বায়ার বিভিন্ন এলাকা ভিত্তিক, বা বিষয় ভিত্তিক অনুসারী মানুষ গুলোকে follower হিসেবে সংগ্রহ করার জন্যে কাজ করিয়ে নেন।
২. টুইটার একাউন্ট তৈরি করে।
খুব সহজ একটি কাজ, মূলত শত শত একাউন্ট তৈরি করার জন্যে এই ধরনের কাজ করতে হয়
৩. retweet করে।
আপনার একটি পপুলার একাউন্ট থেকে অন্যের টুইটারের পোষ্ট গুলো retweet করে আপনার ফলোয়ারের সাথে শেয়ার করে।
৪. ব্যাকগ্রাউন্ড ইমেজ তৈরি করে।
বিভিন্ন ব্রান্ড কোম্পানি এবং সেলিব্রেটি দের জন্যে মানানসই ব্যাকগ্রাউন্ড ছবি তৈরির কাজ গুলো প্রচুর পাওয়া যায়। এছাড়া আরো অনেক উপায়ে টুইটার থেকে আয় সম্ভব
কিভাবে শুরু করবেন?
প্রথমেই একটু কষ্ট করে ১০টা একাউন্ট তৈরি করে ফলোয়ার সংখ্যা বাড়িয়ে নিন এবং কয়েকদিন নিয়মিত পোষ্ট দিন। এর মানে আপনার প্রতি একাউন্টে ১ হাজার করে ফলোয়ার থাকলে ১০ টি একাউন্টে ১০ হাজার মানুষ আপনাকে অনুসরণ করছে। এর চার ভাগের একভাগও যদি ধরেন তাহলে ২৫০০। এদের থেকে ১০০০ হাজার বাদ দিয়ে মোটামুটি একটিভ মানুষ পাবেন ১৫০০ জন। প্রতিদিন ১০০০ মানুষের কাছে যদি একটি সংবাদ নিয়মিত পৌঁছে দেন তাহলে সেটি প্রচার পেতে খুব বেশি সময় লাগার কথা নয়। আর এই ভাবে আপনার মত একজন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটর এর জন্ম হয় এবং এক সময় সফল হয়। ঠিক তখন আপনার মত মানুষের একটি সামান্য পোষ্টের জন্যে হাজার হাজার মানুষের অপেক্ষার প্রহর গুনতে হয়।
কেমন আয় হবে?
কাজের প্রয়োজনীয়তা, অভিজ্ঞতা, ইত্যাদি ভেদে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রেট এর কাজ পাওয়া যায়। তারপরও প্রতি পোষ্ট, রিটুইট এবং ফলোয়ারের জন্যে নুন্যতম ২-৩ টাকা থেকে শুরু করে ১০ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়। এবং দীর্ঘ সময়ের বড় কাজ এর ক্ষেত্রে রেটটা বায়ারের সাথে আলোচনা সাপেক্ষ হয়।
কোথায় কাজ পাবেন?
ফ্রিল্যান্সিং করা যায় এমন যেকোন সাইট থেকে আপনি কাজ নিতে পারবেন। আর একটু কষ্ট করে খুঁজতে থাকুন। আপনার ১০ হাজারের বেশি ফলোয়ার থাকলে আপনাকে ঠেকায় কে? এই সেক্টরে প্রচুর কাজ পাওয়া যায়। শুধু ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন অনেক ভাল করতে পারবেন।
টুইটার কীভাবে টাকা দেবে?
খুব সাধারণ একটা প্রশ্ন, অনেকেই যারা নতুন তারা প্রশ্ন করে থাকেন যে, আদৌ কি টুইটার থেকে আয় করা যায়? আর তারা কেন মানুষকে টাকা দিতে যাবে? বিষয়টা আসলে সেরকম নয়, বরং এখানে টুইটার আপনাকে এক টাকাও দেবে না। টাকা দেবে আপনি যাদের হয়ে টুইটারে কাজ করবেন। তাদের অনেক কাজ এখন ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে পাওয়া যায়।
টুইটারে আমার কাজ কি হবে?
টুইটার হচ্ছে বিশাল সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারী এই সাইটটিকে নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করছেন। কেউ করছেন নিজের মতামত প্রকাশ করার জন্যে। কেউবা ব্যবসায়িক প্রচারণা করার জন্যে। কেউ ব্রান্ডকে প্রমোট করার জন্যে। কেউ বা সেলিব্রেটিদের প্রচারণার জন্যে। তাদের এই কাজগুলোই মূলত আপনার কাজ। মুল কথা যুগের চাহিদা এবং সবার সাথে যোগাযোগ রাখার উত্তম মাধ্যম হিসেবে এক অনন্য এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট। তাছাড়া বিখ্যাত, সেলিব্রেটি, আদর্শ মানুষ গুলোকে খুব কাছ থেকে জানার আগ্রহ থেকে প্রচুর মানুষের মনের মধ্যে এক তুড়িতে স্থান করে নিয়েছে এই সাইটগুলো। এছাড়াও ওয়েব সাইট গুলোর ভিজিটর পাওয়ার অন্যতম মাধ্যম সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে প্রচুর প্রতিযোগিতা(SEO) এর কারণে কাঙ্ক্ষিত ভিজিটর না পাওয়া একটি অন্যতম কারণ।
টুইটারে কি কি কাজ পাওয়া যায়?
অনেক কাজ আছে এখানে। যেমন followers সংগ্রহ করে, টুইটার একাউন্ট তৈরি করে, retweet করে, ব্যাকগ্রাউন্ড ইমেজ তৈরি করে এবং আরও অনেক কাজ।
১. followers সংগ্রহ করে।
টুইটারের মধ্যে এই কাজটির চাহিদা সব চেয়ে বেশি, অনেক বায়ার বিভিন্ন এলাকা ভিত্তিক, বা বিষয় ভিত্তিক অনুসারী মানুষ গুলোকে follower হিসেবে সংগ্রহ করার জন্যে কাজ করিয়ে নেন।
২. টুইটার একাউন্ট তৈরি করে।
খুব সহজ একটি কাজ, মূলত শত শত একাউন্ট তৈরি করার জন্যে এই ধরনের কাজ করতে হয়
৩. retweet করে।
আপনার একটি পপুলার একাউন্ট থেকে অন্যের টুইটারের পোষ্ট গুলো retweet করে আপনার ফলোয়ারের সাথে শেয়ার করে।
৪. ব্যাকগ্রাউন্ড ইমেজ তৈরি করে।
বিভিন্ন ব্রান্ড কোম্পানি এবং সেলিব্রেটি দের জন্যে মানানসই ব্যাকগ্রাউন্ড ছবি তৈরির কাজ গুলো প্রচুর পাওয়া যায়। এছাড়া আরো অনেক উপায়ে টুইটার থেকে আয় সম্ভব
কিভাবে শুরু করবেন?
প্রথমেই একটু কষ্ট করে ১০টা একাউন্ট তৈরি করে ফলোয়ার সংখ্যা বাড়িয়ে নিন এবং কয়েকদিন নিয়মিত পোষ্ট দিন। এর মানে আপনার প্রতি একাউন্টে ১ হাজার করে ফলোয়ার থাকলে ১০ টি একাউন্টে ১০ হাজার মানুষ আপনাকে অনুসরণ করছে। এর চার ভাগের একভাগও যদি ধরেন তাহলে ২৫০০। এদের থেকে ১০০০ হাজার বাদ দিয়ে মোটামুটি একটিভ মানুষ পাবেন ১৫০০ জন। প্রতিদিন ১০০০ মানুষের কাছে যদি একটি সংবাদ নিয়মিত পৌঁছে দেন তাহলে সেটি প্রচার পেতে খুব বেশি সময় লাগার কথা নয়। আর এই ভাবে আপনার মত একজন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটর এর জন্ম হয় এবং এক সময় সফল হয়। ঠিক তখন আপনার মত মানুষের একটি সামান্য পোষ্টের জন্যে হাজার হাজার মানুষের অপেক্ষার প্রহর গুনতে হয়।
কেমন আয় হবে?
কাজের প্রয়োজনীয়তা, অভিজ্ঞতা, ইত্যাদি ভেদে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রেট এর কাজ পাওয়া যায়। তারপরও প্রতি পোষ্ট, রিটুইট এবং ফলোয়ারের জন্যে নুন্যতম ২-৩ টাকা থেকে শুরু করে ১০ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়। এবং দীর্ঘ সময়ের বড় কাজ এর ক্ষেত্রে রেটটা বায়ারের সাথে আলোচনা সাপেক্ষ হয়।
কোথায় কাজ পাবেন?
ফ্রিল্যান্সিং করা যায় এমন যেকোন সাইট থেকে আপনি কাজ নিতে পারবেন। আর একটু কষ্ট করে খুঁজতে থাকুন। আপনার ১০ হাজারের বেশি ফলোয়ার থাকলে আপনাকে ঠেকায় কে? এই সেক্টরে প্রচুর কাজ পাওয়া যায়। শুধু ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন অনেক ভাল করতে পারবেন।
Tag :
oDesk,
Odesk-e আমি যেভাবে অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে কাজ পাই
ফ্রিল্যান্সিং এর এই সময়ে আমরা সবাই ওডেস্ক এ কাজ পেতে এবং ওডেস্ক
ক্যারিয়ার গড়তে অনেক উৎসাহী। আমি ডেস্ক এ কাজ করছি ২০১০ সাল থেকে।
আল্লাহর রহমতে খুব ভালভাবে কাজ করতে পারছি। আমার ওডেস্ক প্রোফাইল এর লিঙ্কটি দেখতে পারেন এখানে।
ওডেস্ক এ কাজ পেতে হলে আমাদের অনেক প্রতিযোগিতা করতে হয়। তবে এখানে ভাল
একটি কাভার লেটার লিখতে পারলে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।
আপনাদের সকলের ওডেস্ক এ কাজ পেতে সহায়ক একটি নমুনা অ্যাপ্লিকেশন দিচ্ছি।
এর আগে সবাইকে সুনিশ্চিত করতে হবে নিচের বিষয়গুলো ঠিকঠাক আছে কিনা।
১ আপনার ওডেস্ক এর প্রোফাইল completeness ১০০% আছে কিনা।
২ সুন্দর একটি টাইটেল এবং overview আছে কিনা।
৩ আপনার Skills and Employment History অ্যাড করা আছে কিনা।
৪ অবশ্যই অবশ্যই আপনার নিজস্ব করা এবং অনেক সুন্দর সুন্দর কাজের portfolio (image + link) থাকতে হবে।
শুধুমাত্র উপরের বিষয়গুলো ঠিকঠাক থাকলেই আপনি নিচে দেওয়া Application Format টি Follow করলে আপনার ওডেস্ক এ কাজ পাওয়া এবং ওডেস্ক এর Career গড়ে তোলা সুনিশ্চিত।
অ্যাপ্লিকেশন/Cover letter format নিম্নরূপ:
Dear Hiring Manager,
You had mentioned that you are looking for [Job post] who can [job role].
I’m interested in the position of [job position here]. I have been a professional [your working platform] working for over [--] years with a lot of projects using [tehchnology, methods if any]. Moreover, I have professional working experience with [company name where have you worked].
I will do this job in the following way: [your planning to complete the job according to buyer's choice]
You can see some of my completed job related to this:
1. ----------------------------- (link of your portfolio - Portfolio must be related to buyers requirement)
2. ---------------------------- (link of your portfolio - Portfolio must be related to buyers requirement)
3. ----------------------------- (link of your portfolio - Portfolio must be related to buyers requirement)
----------------------------------------
[say something about your availability]
[say something about your timeline to complete the job]
Feel free to ask me any question any time.
Regards
[Your Name]
মনে রাখবেন কখনো ভুলেও আপনার ইমেইল, স্কাইপ আইডি, ইয়াহু, এগুলো কাভার লেটারে দেওয়া যাবে না। ক্লায়েন্ট আপনাকে নক করলে শুধুমাত্র তখনি আপনার কন্টাক্ট ডিটেইলস তাকে দিবেন। আর অবশ্যই যে কাজ আপনি খুব ভালভাবে করতে পারবেন শুধুমাত্র সেই কাজের জন্যই অ্যাপ্লিকেশন করবেন। আশা করি এটি অবশ্যই আপনাদের কাজে লাগবে।
১ আপনার ওডেস্ক এর প্রোফাইল completeness ১০০% আছে কিনা।
২ সুন্দর একটি টাইটেল এবং overview আছে কিনা।
৩ আপনার Skills and Employment History অ্যাড করা আছে কিনা।
৪ অবশ্যই অবশ্যই আপনার নিজস্ব করা এবং অনেক সুন্দর সুন্দর কাজের portfolio (image + link) থাকতে হবে।
শুধুমাত্র উপরের বিষয়গুলো ঠিকঠাক থাকলেই আপনি নিচে দেওয়া Application Format টি Follow করলে আপনার ওডেস্ক এ কাজ পাওয়া এবং ওডেস্ক এর Career গড়ে তোলা সুনিশ্চিত।
অ্যাপ্লিকেশন/Cover letter format নিম্নরূপ:
Dear Hiring Manager,
You had mentioned that you are looking for [Job post] who can [job role].
I’m interested in the position of [job position here]. I have been a professional [your working platform] working for over [--] years with a lot of projects using [tehchnology, methods if any]. Moreover, I have professional working experience with [company name where have you worked].
I will do this job in the following way: [your planning to complete the job according to buyer's choice]
You can see some of my completed job related to this:
1. ----------------------------- (link of your portfolio - Portfolio must be related to buyers requirement)
2. ---------------------------- (link of your portfolio - Portfolio must be related to buyers requirement)
3. ----------------------------- (link of your portfolio - Portfolio must be related to buyers requirement)
----------------------------------------
[say something about your availability]
[say something about your timeline to complete the job]
Feel free to ask me any question any time.
Regards
[Your Name]
মনে রাখবেন কখনো ভুলেও আপনার ইমেইল, স্কাইপ আইডি, ইয়াহু, এগুলো কাভার লেটারে দেওয়া যাবে না। ক্লায়েন্ট আপনাকে নক করলে শুধুমাত্র তখনি আপনার কন্টাক্ট ডিটেইলস তাকে দিবেন। আর অবশ্যই যে কাজ আপনি খুব ভালভাবে করতে পারবেন শুধুমাত্র সেই কাজের জন্যই অ্যাপ্লিকেশন করবেন। আশা করি এটি অবশ্যই আপনাদের কাজে লাগবে।
Tag :
oDesk,
Income করেছি কিন্তু কখনো ফ্রিলেন্সিং প্লাটফর্ম গুলোতে কাজ করতে হয় নি।
ইচ্ছাটা যেখান থেকে শুরুঃ
ক্লাস 7/8 এ যখন “আমার জীবনের লক্ষ্য” বা “Aim in life” রচনা পরতাম তখন থেকে মনে মনে ভাবতাম বড় হয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হব। কিন্তু আমার ফ্যামিলিতে বা আসেপাশে গাইডলাইন দেবার মত কেউ ছিল না। ফলে ক্লাস নাইনে কমার্স নিয়ে নেই। কলেজে ভর্তি হবার পর জানতে পারি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হতে হলে CSE পড়তে হবে এবং যার জন্য ব্যাকগ্রউন্ড সাইন্স হতে হবে। মনে বড় দুঃখ পাই ব্যাপারটা জেনে। তখন এক বড় ভাই বলল মন খারাপ করো না তুমি। পড়াশুনার পাশাপাশি নিয়মিত এটাকে নিলে পড়ে থাকলে কিছু একটা করতে পারবা। তার কথা মতই করলাম।তো অনেক মানুষের কাছে প্রথমে সাহায্যের জন্য যেতাম কি ভাবে কি শিখব তা জানার জন্য। কিন্তু সবাই কেমন যেন করত। দেখাতে চাইত না। বাসায় থেকেও বলত আমি বাসায় নেই যদি কিছু শিখার জন্য বাসায় চলে যায় সেই ভেবে। একটা ঘটনা এখনও মনে আছে এক বন্ধুর বাসায় গিয়ে কম্পিউটার ধরে একটু বিভিন্ন অপশন দেখছিলাম (যখন আমার কম্পিউটার ছিল না) হঠাৎ বন্ধু আসে মাউসটা সরিয়ে নিয়ে বলে আরে গুতাগাঁতি কইরা সব প্রবলেম কইরা দিব তো ... !
আমার ইন্টার পরীক্ষার অনেক পরে কম্পিউটার হাতে পাই। ২০০৯ এর শেষের দিকে। তখন থেকে শুরু হয় আমার কম্পিউটার গুতাগুতি। তখন ইচ্ছা করি কম্পিউটারের যত কিছু আছে সব শিখব। তখন ওয়েব ডেভলপমেন্ট, এস.ই.ও এগুলো কিছু জানতাম না। শুধু বুঝতাম ছবি এডিটিং করা। সেই থেকে পরিচয় Photoshop, Illustrator এর সাথে। প্রথম থেকে সাহায্যের জন্য অনেক মানুষের কাছে গিয়েছি কেউ কোন সাহায্য করত না। পরে রাগে ক্ষোভে গুগলকে ব্যবহার করা শুরু করলাম। যেখানে বেজে যেতাম গুগল কে ব্যবহার করতাম। আর নিজে নিজে প্রচুর পরিমানে অপশন টিপে টিপে দেখতাম কি হয়। প্রতিদিন ১২/১৪ ধন্টা সময় দিতাম পিসিতে। এভাবে মোটামুটি গ্রাফিক্সের কাজ অনেকটা শিখে ফেলেছি।
এরপর কি যেন গুগল সার্চ করতে করতে টেকটিউনস এর লিঙ্কটা পাই। সেখান থেকে জানি ওয়েব ডেভলপমেন্ট কি, এস.ই.ও কি এমন আরও অনেক কিছু। তখন থেকে আবার শুরু করি শেখা। ঘোড়ার মত দৌড়িয়েছি শেখার জন্য। এখনও মনে আছে প্রথমে গুগলে সার্চ দেই “How to I learn web development” তারপর থেকে শুরু শিখা। অনেক গুলো গাইড লাইন দেখে বুঝতে পারি কি কি শিখতে হয় Web Development এর জন্য তারপর শিখতে শুরু করি একে একে HTML, CSS, PHP, MySQL, WordPress ইত্যাদি। প্রথম প্রথম তো সুন্দর সুন্দর ওয়েবসাইট পাইলেই Ctrl + U চেপে সোর্স কোডও দেখতাম অনেকক্ষণ। বিভিন্ন থিম বা টেমপ্লেট নামিয়ে নোট প্যাডে ওপেন করে বসে বসে পরতাম আর মাঝে মাঝে একটু একটু এডিট করে দেখতাম কি হয়। মাঝে মাঝে কোড পড়তে পড়তে মনে হত যেন মাথা ঘুরাচ্ছে। ধৈর্য হারিয়ে ফেলতাম। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে বা বাহিরে হাটাহাটি করে আবার শুরু করতাম। আল্লাহকে অশেষ ধন্যবাদ সে আমাকে অনেক ধৈর্য দিয়েছিল, না হলে এভাবে একটা ১২/১৪ ঘণ্টা কাজ শিখা অনেক কষ্ট সাধ্য ছিল। হয়ত পারতামই না।
আর একটা মজার ব্যাপার হল আমার মুভি দেখের নেশা আছে। অনেক মুভি দেখি। তো মুভি দেখার সময়টা কোন কিছু শুখতে পারব না বলে মনিটরের অর্ধেকে কাজের কোন কিছু রাখতাম বাকি অর্ধেকে মুভি চালিয়ে রাখতাম। মজার ব্যাপার হল মুভি শেষ কিন্তু মনে মনে বলছি মুভিতে কি হল কয়েকটা সিন ছাড়াতো আর কিছুই মনে নেই !!! তখন আবার চালু করতাম মুভিটা। এভাবে একটা মুভি ২/৩ বার দেখতাম।
আমি শেখার সময় কখনও চিন্তা করি নি এটা নিয়ে ইনকাম করব। নিজে টিউশনি করতাম; তা থেকে যা পেতাম হয়ে তাতে মাস কাভার হয়ে যেত কারন সারা দিনই তো বাসায় থাকতাম পিসি নিয়ে। আমার যেটা ইচ্ছা ছিল – কম্পিউটারের সব কিছু শিখব সব। সেই ইচ্ছা পূরণের জন্য সেই তখন থেকে লেগে আছি এখন পর্যন্ত। যদি টাকা খরচ করে কোন প্রতিষ্ঠানে যেতাম তাহলে হয়ত আমার এত কষ্ট করা লাগত না। কিন্তু নির্ভরযোগ্য কোন প্রতিষ্ঠান পাই নি তাই যাওয়া হয়নি। আর সবচেয়ে বড় কথা আমার কোন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিখতে মনে চায় নি। কারন একটা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হইছিমাল(Basic Computer শিখার জন্য) সেই প্রথম দিকে মাসখানেকের মত ছিলাম; যা শিখিয়েছে বা যে ভাবে শিখিছে তাতে পেট ও মন দুটাই ভরে গেছে। সেগুলো দিয়ে কিছুই লাভ হয় নি।
অনলাইনে ইনকামের শুরুটা যে ভাবে হলঃ
এবার আমার অনলাইনে ইনকামের শুরুটা বলি। খুব অদ্ভুদ ভাবে শুরুটা হয়। আগেই বলেছি শেখার সময় কখনও মনে চিন্তাও আনি নি যে ইনকাম করব এটা নিয়ে। ব্লগিং করতে ভাল লাগত তাই ব্লগিং করতাম। ব্লগিং করে মানুষকে বিভিন্ন কিছু শিখাতাম। অন্যের সাথে অনেক কিছু শেয়ার করতাম। সেই সুবাদে অনেক মানুষের সাথে পরিচয় ঘটে। অনেক মানুষের সাথে পরিচিতি লাভ করি। এর মধ্যে অনেক গুলো প্রবাসী মানুষও ছিল। তাদের সাথে প্রায় সময় চ্যাট হত। এমনই একজন প্রবাসী এক ভাইয়ের সাথে একদিন চ্যাট করতে করতে সে হঠাৎ বলল তুমি কি কি কাজ পার? আমি বললাম গ্রাফিক্স আর ওয়েব ডেলপমেন্ট। তখন সে আমাকে বলল আমার একটা ওয়েব সাইটের জন্য একটা ব্যানার ডিজাইন দিতে পারবা? আমি বললাম আচ্ছা দিচ্ছি। আমার বানানো ব্যানারটা তার অনেক পছন্দ হয়। সে ওটা ব্যবহার করে। তারপর আস্তে আস্তে জানতে পারলাম সে যেই দেশে থাকে সেখানে তার একটি IT Firm আছে। সেই থেকে তার কোম্পানির কোন ডেভলপমেন্ট এর কাজ বা গ্রাফিক্সের কাজ আসলে আমাকে দিত। এটা হল অনলাইনে ইনকাম শুরু। এর পর থেকে ব্লগিং এবং বিভিন্ন ফোরামে মানুষকে সাহায্য করতাম ওয়েব ডেভলপমেন্ট বিষয়ে সেখান থেকেও বেশ কিছু বিদেশি বায়ারদের সাথে যোগাযোগ হয়ে যায়। আল্লাহ্র অশেষ রহমত আমাকে কখনও বিভিন্ন ফ্রিলেন্সিং মার্কেট প্লেস গুলোতে দৌড়াতে হয়নি। প্রতি মাসেই সরাসরি বায়ারদের কাছ থেকে কাজ পেয়েছি। এগুলোর সাথে আস্তে আস্তে আমাদের দেশের লোকাল কাজ গুলোও করা শুরু করি। এভাবে আমাদের দেশের মধ্যেও বেশ কিছু ক্লাইন্ট হয়ে যায়।কাজের চাপ আস্তে আস্তে বাড়তে লাগলো। তাই ২০১১ তে mrLab নামে একটি টিম গঠন করি। সেখানে বেশ কিছু ফ্রেন্ড মিলে একসাথে কাজ করতাম। রাস্তা-ঘাটে, মাঠে, ক্যান্টিনে টিম মেম্বাররা মিলে কাজের প্লান করা, কাজ করা ইত্যাদি চলত। টিমের সবাই মিলে বেশ ভাল কাজ করলাম ১ বছর।
টিম মেম্বারদের নিয়ে আস্তে আস্তে আগাতে থাকি এবং স্বপ্ন দেখতে থাকি একজন আইটি উদ্যোক্তা হবার। স্বপ্ন দেখতে দেখতে এই তো কিছু দিন আগে (১৬ ই ডিসেম্বর ২০১২) এ ZOVOXZ LTD.(IT Firm) এর যাত্রা শুরু করি। এখন সেই আগের কাজ গুলোই একটু প্রফেশনাল ভাবে করি এই আর কি। আমি এখনও সেই আগের মতই ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইন্ট এবং দেশি ক্লাইন্ট নিয়ে সরাসরি কাজ করছি এবং ভবিষ্যতেও করব। সেই প্রথম থেকে মানুষকে সাহায্য করে এসেছি এখনও করছি। আমার কাজের পাশা পাশি মানুষকে সাহায্য করার জন্য এবং দেশের তরুনদের টেকনোলজিতে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য ২ টা প্রোজেক্ট এ কাজ করছি। ইনশাল্লাহ খুব শীঘ্রই সবার মাঝে আমার প্রোজেক্ট গুলো তুলে ধরতে পারব। এতে আমাদের দেশ তথা তরুনদের বেশ উপকার হবে। বহু কষ্ট, অনেক বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে আজ এই স্থানে আসতে পেরেছি সে জন্য আল্লাহ্ কাছে শুকরিয়া জানাই।
আমার জীবনের অনেক কিছু আমি বাদ দিয়েছি। অনেক কিছু সরিয়ে দিয়েছি কিন্তু কম্পিউটারের প্রতি আগ্রহ এখনও সরে যায় নি। শিখার ইচ্ছা, আগ্রহ এখনও প্রবল হয়েছে। আর এই ইচ্ছা শক্তির কারনেই এখন এত কিছু শিখতে পেরেছি এবং এই স্থানে আসতে পেরেছি।
এই ছিল আমার ফ্রিলেন্সিং জীবনের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা।
Tag :
oDesk,
ফ্রিল্যান্সিংয়ে ভিন্ন ধারার কাজের ক্ষেত্র "ফাইভার"
আজ একটু অন্য ধরনের পোস্ট করতে বসলাম। ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে।
ফ্রিল্যান্সিং এখন অনেক জনপ্রিয় একটি কর্মসংস্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অনেকে ফ্রিল্যান্সিং করে সফলও হচ্ছে। আমারা সাধারনত freelancer বা odesk এ
কাজ করে থাকি। আজ আমি একটি অন্য ধরনের কাজের রাস্তা দেখাতে এসেছি।
ফ্রিল্যান্সিং সাইট গুলোতে কাজ পেতে হলে অনেক অভিজ্ঞ বা জানা বোঝার বেপার
আছে। আমরা কতজন ই বা অত জান নে ওয়ালা। আমরা হয়ত অনেক কাজ এ পারি যা এসব
ফ্রিল্যান্সিং সাইট এ কোন দাম দেয় না।
এখন কথা হল, এই ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফরমে যেসব কাজের অর্ডার দেয়া হয় সেইসবের যেকোন একটি জানতে হবে। এখন ধরেন আপনি খুব ভাল নাচতে পারেন বা গান গাইতে অথবা কমেডি করে বন্ধুদের হাসাতে পারেন কিংবা এমন অসাধারণ কিছু করতে পারেন যেটা অন্যরা দেখতে মজা পায়। কিন্তু এই ধরনের কাজের ফ্রিল্যান্সার এর জন্য কেউ ওই প্ল্যাটফরমগুলোতে আসেনি। এখন আপনার কি উপায়? নিরাশ হওয়ার কোন কারণ নেই। আপনাদের জন্য আছে এক সাইট যেখানে আপনি এইধরনের কাজের জন্য বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন। চলুন দেখে নেই সেই সাইটের খুঁটিনাটি:
ফাইভার কি?
ফাইভার হচ্ছে এমন একটি সাইটে যেখানে আপনি ৫ ডলারের বিনিময়ে যেকোন কাজ করার জন্য বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। যেকোন বলতে আপনি যা করতে পারবেন সেগুলোই। "ফাইভার" একটি ভিন্ন ধারার ফ্রিল্যান্সিং সাইট। এখানে আপনি আপনার পছন্দ মত কাজ অফার দেবেন। মানুষ সেটা কিনবে। আপনাকে কাজ খুজতে হবে না। আপনার কাজ বায়ার খুজে নেবে। সাইট টা একবার ভিজিট করলেই বুঝতে পারবেন। যেমন ধরেন আপনি ভালো গান লিখতে পারেন। আপনি সাইট টিতে পোস্ট দিলেন, " I will write a professional lyrics for $5" আপনার এই কাজ টিও বিক্রি হয়ে যাবে সেখানে। ভিষন মজার। একবার ঘুরে দেখে আসুন।
এরকম যেকোন কাজের বিজ্ঞাপন আপনি দিতে পারেন তবে সবগুলোই ৫ ডলারের বিনিময়ে। এগুলো ছাড়াও নিয়মিত যারা ফ্রিল্যান্সিং করেন তাদের জন্যও আছে আলাদা বিভাগ। সেসব বিভাগে প্রোগ্রামিং, লোগো বানানো, আর্টিকেল এসব এর বিনিময় মুল্য দিয়ে বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন। বিজ্ঞাপন দেয়ার নিয়মও সোজা। রেজিস্ট্রেশান করে লগিন করুন। এরপর উপরে বার থেকে Seller এ গিয়ে My Gigs থেকে নতুন কাজের বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন।
লক্ষণীয় বিষয়:
* ফাইভার থেকে বেশি করে আয় করার জন্য একের অধিক কাজের বিজ্ঞাপন দিন তবে এক কাজের বারবার দেয়া যাবে না।যাতে যেকোন একটি অন্তত প্রথম পাতায় আসতে পারে।
* বিজ্ঞাপন লেখার সময় ম্যাক্সিমাম কিওয়ার্ড এবং সুন্দর ডেসক্রিপশন ব্যবহার করুন।
* প্রতিটি কাজের জন্য ভিডিও আপলোড করার চেষ্টা করুন। ভিডিও সম্বলিত কাজের বিজ্ঞাপনগুলো সাধারণত ফাইভার আগে প্রমোট করার চেষ্টা করে।
* কাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন করে বায়ারকে কাজের প্রমাণ পাঠিয়ে দিবেন।
* কাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন করে বায়ারকে কাজের প্রমান পাঠিয়ে দিবেন গোপনবার্তায় করে পাঠিয়ে দিবেন।মনে রাখবেন, বায়ার যদি কাজে সন্তুষ্ট না হয় তাহলে সেটির টাকা পাওয়া যাবে না।
* ম্যাসেজে বায়ারের সাথে ব্যাক্তিগতভাবে যোগাযোগের জন্য মেইল অথবা ডাইরেক্ট পেমেন্টের জন্য পেপ্যাল, এলার্টপে এগুলোর জন্য রিকোয়েষ্ট করবেন না।প্রমান পেলে একাউন্টে টাকা থাকা অবস্থায় ব্যান করে দিতে পারে।
* ফাইভার প্রতি ৫ ডলারে ১ ডলার চার্জ হিসেবে কেটে নিবে অর্থাৎ প্রতিটি কাজের বিনিময় মুল্য আপনি পাবেন ৪ ডলার করে।প্রতিটি কাজ বায়ার এর দেয়া কমপ্লিট ঘোষনা দেয়ার ১৫ দিন পরে পেপ্যালে ক্যাশাউট করা যাবে।
* এটি স্ক্যাম বা প্রতারক সাইট নয়।
এখন কথা হল, এই ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফরমে যেসব কাজের অর্ডার দেয়া হয় সেইসবের যেকোন একটি জানতে হবে। এখন ধরেন আপনি খুব ভাল নাচতে পারেন বা গান গাইতে অথবা কমেডি করে বন্ধুদের হাসাতে পারেন কিংবা এমন অসাধারণ কিছু করতে পারেন যেটা অন্যরা দেখতে মজা পায়। কিন্তু এই ধরনের কাজের ফ্রিল্যান্সার এর জন্য কেউ ওই প্ল্যাটফরমগুলোতে আসেনি। এখন আপনার কি উপায়? নিরাশ হওয়ার কোন কারণ নেই। আপনাদের জন্য আছে এক সাইট যেখানে আপনি এইধরনের কাজের জন্য বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন। চলুন দেখে নেই সেই সাইটের খুঁটিনাটি:
ফাইভার কি?
ফাইভার হচ্ছে এমন একটি সাইটে যেখানে আপনি ৫ ডলারের বিনিময়ে যেকোন কাজ করার জন্য বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। যেকোন বলতে আপনি যা করতে পারবেন সেগুলোই। "ফাইভার" একটি ভিন্ন ধারার ফ্রিল্যান্সিং সাইট। এখানে আপনি আপনার পছন্দ মত কাজ অফার দেবেন। মানুষ সেটা কিনবে। আপনাকে কাজ খুজতে হবে না। আপনার কাজ বায়ার খুজে নেবে। সাইট টা একবার ভিজিট করলেই বুঝতে পারবেন। যেমন ধরেন আপনি ভালো গান লিখতে পারেন। আপনি সাইট টিতে পোস্ট দিলেন, " I will write a professional lyrics for $5" আপনার এই কাজ টিও বিক্রি হয়ে যাবে সেখানে। ভিষন মজার। একবার ঘুরে দেখে আসুন।
এরকম যেকোন কাজের বিজ্ঞাপন আপনি দিতে পারেন তবে সবগুলোই ৫ ডলারের বিনিময়ে। এগুলো ছাড়াও নিয়মিত যারা ফ্রিল্যান্সিং করেন তাদের জন্যও আছে আলাদা বিভাগ। সেসব বিভাগে প্রোগ্রামিং, লোগো বানানো, আর্টিকেল এসব এর বিনিময় মুল্য দিয়ে বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন। বিজ্ঞাপন দেয়ার নিয়মও সোজা। রেজিস্ট্রেশান করে লগিন করুন। এরপর উপরে বার থেকে Seller এ গিয়ে My Gigs থেকে নতুন কাজের বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন।
লক্ষণীয় বিষয়:
* ফাইভার থেকে বেশি করে আয় করার জন্য একের অধিক কাজের বিজ্ঞাপন দিন তবে এক কাজের বারবার দেয়া যাবে না।যাতে যেকোন একটি অন্তত প্রথম পাতায় আসতে পারে।
* বিজ্ঞাপন লেখার সময় ম্যাক্সিমাম কিওয়ার্ড এবং সুন্দর ডেসক্রিপশন ব্যবহার করুন।
* প্রতিটি কাজের জন্য ভিডিও আপলোড করার চেষ্টা করুন। ভিডিও সম্বলিত কাজের বিজ্ঞাপনগুলো সাধারণত ফাইভার আগে প্রমোট করার চেষ্টা করে।
* কাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন করে বায়ারকে কাজের প্রমাণ পাঠিয়ে দিবেন।
* কাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন করে বায়ারকে কাজের প্রমান পাঠিয়ে দিবেন গোপনবার্তায় করে পাঠিয়ে দিবেন।মনে রাখবেন, বায়ার যদি কাজে সন্তুষ্ট না হয় তাহলে সেটির টাকা পাওয়া যাবে না।
* ম্যাসেজে বায়ারের সাথে ব্যাক্তিগতভাবে যোগাযোগের জন্য মেইল অথবা ডাইরেক্ট পেমেন্টের জন্য পেপ্যাল, এলার্টপে এগুলোর জন্য রিকোয়েষ্ট করবেন না।প্রমান পেলে একাউন্টে টাকা থাকা অবস্থায় ব্যান করে দিতে পারে।
* ফাইভার প্রতি ৫ ডলারে ১ ডলার চার্জ হিসেবে কেটে নিবে অর্থাৎ প্রতিটি কাজের বিনিময় মুল্য আপনি পাবেন ৪ ডলার করে।প্রতিটি কাজ বায়ার এর দেয়া কমপ্লিট ঘোষনা দেয়ার ১৫ দিন পরে পেপ্যালে ক্যাশাউট করা যাবে।
* এটি স্ক্যাম বা প্রতারক সাইট নয়।
Tag :
oDesk,