Popular Post

zwani.com myspace graphic comments

Showing posts with label oDesk. Show all posts

ফ্রীলেন্সারদের জন্যঃ odesk profile শতভাগ পূর্ণ করার উপায়




ওডেস্ক প্রোফাইল শতভাগ পূর্ণ করার উপায়

প্রথমে প্রোফাইলকে শতভাগ পূর্ণ করুন। প্রোফাইল শতভাগ পূর্ণ হলে নিচের ছবির মতো তথ্য দেখতে পাবেন। ওডেস্ক অ্যাকাউন্ট ওপেন করার পরই প্রোফাইলকে পূর্ণ করাটা জরুরি। অবশ্য অনেক অভিজ্ঞ ডেভেলপার তার প্রোফাইলকে শতভাগ পূর্ণ না করে এবং কোনো ওডেস্ক টেস্ট না দিয়েই কাজ পেয়ে গেছেন এমন কথাও শোনা গেছে। তবে যারা মোটামুটি কাজ পারেন, তাদের জন্যই নিচে বর্ণিত ব্যবস্থা।
সুতরাং দেখা যাক প্রোফাইলকে শতভাগ করার প্রক্রিয়া।  নিচে ক্রমানুসারে বিষয়টি দেখানো হয়েছে :
০১. লগইন করার পর হোমপেজের ডান দিকে ইউজার নেমের Account & Profile settings-এ ক্লিক করুন।
০২. এবার আপনার Security Question-এর উওর দিন।
০৩. এখন Profile & Settings Option আসবে।
০৪. চিত্রে দেখুন বামদিকে Profile & Settings মেনু রয়েছে এবং User Info show হচ্ছে। এখান থেকে User Info, My Contractor Profile, My Test মেনুর অপশনগুলো ভালোভাবে পূর্ণ করলেই প্রোফাইল কমপ্লিটনেস ০% থেকে বাড়তে থাকবে।
০৫. Fill up User Info : ইউজার ইনফোতে দুটি সেকশন রয়েছে। একটি হচ্ছে Your Account info, অন্যটি Your Location Info।
০৬. Your Account info পরিচিতি : এখানে প্রথমে রয়েছে User ID, First Name, Last Name। এটি যখন প্রথম অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন তখনকার তথ্য।
০৭. এরপর রয়েছে Verification Status। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটিও কাজ পেতে সাহায্য করে। এটি ভেরিফাই করতে verify your identity লিঙ্কটিতে ক্লিক করুন। এখানে তিনটি ধাপ রয়েছে। প্রথমে একটি স্পষ্ট ফটো দিতে হবে, দ্বিতীয় ধাপে আপনার পাসপোর্ট বা ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটো এবং তৃতীয় ধাপে আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট দিতে হবে। এর ফলে ওডেস্ক আপনাকে কিছুদিনের মধ্যে আইডি ভেরিফাই করে দেবে।
০৮. এরপর রয়েছে Odesk Email, Personal Email এবং Security Email।
০৯. এরপর রয়েছে Portrait। এখানে আপনার ফটো দেবেন। ফটো দেয়ার সাথে সাথেই আপনার প্রোফাইল কমপ্লিটনেস ১০% বাড়বে।
১০. Your Location Info পরিচিতি : এখানে আপনার Timezone, Address, City, Country, Postal Code/Zip, Phone নাম্বার ইত্যাদি দেবেন।
Fill up My Contractor Profile : My Contractor প্রোফাইলে নয়টি সেকশন রয়েছে। এগুলো হচ্ছে My Account Summary, My Public Profile, Categories, Skills, Emplacement History, Education, Portfolio Project, Certifications, Other Experiences।
মাই কন্ট্রাক্টর প্রোফাইল শক্তিশালী হলে কাজ পেতে সুবিধা হয়। প্রথমদিকে বায়ারেরা কন্ট্রাক্টর প্রোফাইল এবং বিড অ্যামাউন্ট দেখেই কাজ দিয়ে থাকে।
মাই অ্যাকাউন্ট সামারি পরিচিতি

১.১. Title : টাইটেল হিসেবে আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্টের যে বিষয়গুলো পারেন, সেগুলো দিতে পারেন অথবা নিচের মতো একটি ট্যাগলাইন দিতে পারেন।
Title : PSD to XHTML, CSS, JAVASCRIPT, JQUIRY, PHP, MYSQL, JOOMLA, WORDPRESS, MAGENTO.
অথবা
Title : Creative & professional solution for web development.
১.২. Portrait-এ আপনার একটি সুন্দর ছবি দিন।
১.৩. Personal E-mail-এ আপনার ই-মেইল অ্যাড্রেস দিন।
১.৪. Hourly Pay rate-এ ঘণ্টা হিসেবে কাজের মূল্য লিখুন। নতুনেরা ৩ ডলার থেকে ৫ ডলার দিলে ভালো হয়। পরে অনেকগুলো কাজ সম্পন্ন করার পর Hourly Rate বাড়িয়ে দিতে পারেন।
১.৫. oDesk Ready-তে ওডেস্কে কাজ করতে হলে একটি রেডিনেস টেস্ট দিতে হয়। এখানে একটি রেডিনেস টেস্ট লিঙ্ক আছে, যেখানে টেস্ট দিতে হবে। টেস্ট শুরু করার আগে টেস্টের সাইটের নিয়মগুলো ভালো করে জেনে নিলে ভবিষ্যতে কাজের ক্ষেত্রে খুব উপকারে আসবে। আর পড়ার সময় না থাকলে ওডেস্কে রেডিনেস টেস্টের প্রশ্নের উত্তর পাবেন এই লিঙ্কে। তবে পরে সাইটের নিয়মগুলো সময় নিয়ে অবশ্যই জেনে নিন।
১.৬. Profile Completeness-এ বতর্মান প্রোফাইল সম্পন্ন হতে কত শতাংশ বাকি আছে তা এখানে দেখাবে এবং প্রোফাইল কমপ্লিটনেসের পাশে একটি লিঙ্ক থাকে, যা অনুসরণ করলে পর্যায়ক্রমে আপনার প্রোফাইল কমপ্লিটনেস বাড়বে।
১.৭. Job Application Quota-তে আপনি প্রতি সপ্তাহে কয়টি কাজে অ্যাপ্লিকেশন করতে পারবেন তা দেখাবে। প্রোফাইল কমপ্লিটনেস বাড়ার সাথে সাথে জব অ্যাপ্লিকেশন কোটা বাড়তে থাকে।
My Public Profile পরিচিতি

২.১. Profile Access-এ আপনার প্রোফাইল পাবলিক না প্রাইভেট রাখতে চান এখানে তা নির্ধারণ করে দিতে পারেন। প্রোফাইল অ্যাকসেস পাবলিক রাখলে সবাই আপনার প্রোফাইল দেখতে পারবে, আর প্রাইভেট রাখলে শুধু বায়ার আপনার প্রোফাইল দেখতে পারবে। ভালো হয় প্রোফাইল পাবলিক রাখলে। এতে সার্চ ইঞ্জিন এটি খুঁজে পাবে।
২.২. Display Name-এ নামের কোন অংশটুকু দেখাবে এখানে তা বলে দেয়া যায়।
২.৩. Primary Role-এ আপনার কাজের ধরন অনুযায়ী এখানে Primary role নির্দিষ্ট করতে পারেন। যেমন- প্রোগ্রামার/ডেভেলপার ডাটাএন্ট্রি, প্রফেশনাল, টেকনিক্যাল রাইটার ইত্যাদি উল্লেখ করে দিতে পারেন।
২.৪. Title সম্পর্কে ইতোমধ্যে আলোচনা করা হয়েছে ১.১-এ।
২.৫. Weekly Availability-এ সপ্তায় কত ঘণ্টা কাজ করতে পারবেন তা উল্লেখ করে দিতে পারেন। যেমন- আপনি যদি দিনে গড়ে ৩ ঘণ্টা ওডেস্কে কাজের জন্য ফ্রি থাকেন তাহলে ৩৭ = ২১ ঘণ্টা দিয়ে দিতে পারেন।
২.৬. Years of Experience-এ সংশ্লিষ্ট কাজে আপনার কত বছরের অভিজ্ঞতা আছে তা এখানে উল্লেখ করুন। অভিজ্ঞতা ৩ মাসের থাকলেও কমপক্ষে দুই বছরের উল্লেখ করুন।
২.৭. English-এ আপনার English Proficiency Level উল্লেখ করুন। আপনি যদি মোটামুটি ইংরেজি বুঝতে এবং লেখতে পারেন তাহলেও এখানে ৫ দিয়ে দিন।
২.৮. Objective-এ আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের উদ্দেশ্যসমূহ লিখতে পারেন।
Categories পরিচিতি
এখানে ফ্রিল্যান্সিং কাজের ধরন নির্ধারণ করে দিন। আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ে যে ধরনের কাজ করতে চান এখানে তার ক্যাটাগরি এবং সাব-ক্যাটাগরি নির্ধারণ করে দিন।
Skills পরিচিতি
আপনার নির্দিষ্ট বিষয়ে কী কী দক্ষতা আছে তা নির্ধারণ করে দিন। এখানে আপনার তৈরি করা কোনো প্রজেক্ট উল্লেখ করে দিতে পারেন।
Employment History পরিচিতি
আপনি যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে আগের কাজ করে থাকেন তাহলে এখানে তার বর্ণনা দিতে পারেন।
Education পরিচিতি
এখানে আপনার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার তথ্য দিন।
Portfolio Projects পরিচিতি

ওডেস্কে কাজ পেতে হলে এই অংশটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। Portfolio হচ্ছে আপনার আগের করা কাজগুলো। নতুন যারা ওয়েব ডেভেলপমেন্টে কাজ করতে চান এবং যাদের আগের কোনো কাজ নেই তারা ডেমো প্রজেক্ট বানিয়ে সার্ভারে রেখে দিন। এটি এখানে যোগ করুন আর বিড করার কভার লেটারে লিঙ্ক দিয়ে দিন। যেমন- আপনি যদি একজন ওয়েব ডিজাইনার হন, তাহলে একটি সুন্দর ওয়েবসাইট তৈরি করুন এবং এটি সার্ভারে রেখে দিন (www.yourdomain.com/yourproject)। আর আপনি যদি একজন ওয়েব প্রোগ্রামার হন তাহলে একটি ভালো ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করুন এবং এটি সার্ভারে রেখে দিন। যদি নিজের কোনো ওয়েবসাইট থাকে তাহলে প্রজেক্টগুলো আপনার ওয়েবসাইটের সাবডোমেইনে রেখে দিতে পারেন অথবা আপনার পরিচিতজনের ওয়েবসাইট থাকলে সেটির সাবডোমেইনে আপনার প্রজেক্টগুলো রেখে দিতে পারেন।
Certifications পরিচিতি

আপনার কোনো প্রফেশনাল সার্টিফিকেট থাকলে এটি এখানে উল্লেখ করতে পারেন। এটিও কাজ পেতে সাহায্য করে। Brainbench Certifications নিতে পারেন আপনি এখান থেকে।
Others Experiences পরিচিতি

আপনার অন্যান্য অভিজ্ঞতা আপনি এখানে বর্ণনা করতে পারেন। যেমন- আপনি যদি ওয়েব প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক্স খুব ভালো পারেন তাহলে এটি এখানে উল্লেখ করুন।
Tag : ,

odesk কাজ করতে চান? কি শিখবেন? কিভাবে শিখবেন?

ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে আয় করা এখন যে আর কাল্পনিক কিছু নয় সেটি ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে। হাজার হাজার ছেলে মেয়ে এখন ফ্রিল্যান্সিংয়ের সঙ্গে যুক্ত। এ কাজটি করার মাধ্যমে তারা নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলেছে সেই সঙ্গে দেশকেও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে। অনলাইনে বেশ কয়েকটি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম রয়েছে তন্মধ্যে ওডেস্ক রয়েছে সবার উপরে। ওডেস্কে প্রতিদিন বিভিন্ন বিষয়ের উপর হাজার হাজার কাজ জমা পড়ছে। আর সে কাজগুলি করেই বিভিন্ন বিষয়ের দক্ষ ফ্রিল্যান্সারগণ নিজেদেরকে করে তুলেছে অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন। এ কথা থেকে সহজেই অনুমেয় যে ওডেস্কে কাজ পেতে হলে দক্ষতার কোন বিকল্প নেই।
কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে আপনি কি কাজ করবেন বা কোন বিষয়ে দক্ষ হবেন। এটি আসলে নির্ভর করে কোন ব্যক্তির কোন বিষয়ের কাজ ‍করার যোগ্যতা রয়েছে। যেমন কোন ব্যক্তি যদি শুধু টাইপিংয়ের কাজ জানে তাহলে তার উচিত হবে ডাটা এন্ট্রির কাজের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা।তো বন্ধুগণ এমনিভাবে আজ আমরা আলোচনা করব ফ্রিল্যান্সিংয়ের সফল হওয়ার জন্য কী কাজ শিখবেন এবং সেটি কীভাবেই বা শিখবেন?

কাজ পাওয়ার জন্য কী শিখবেন

কাজ পেতে হলে কিছু বিষয় অবশ্যই আপনার আয়ত্তে আনতে হবে। তো চলুন দেখে নেওয়া যাক কী শিখবেন?
● ইংরেজীর গুরুত্ব নিশ্চয় আপনাকে বোঝানো লাগবে না। সুতরাং ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফলতার জন্য ইংরেজী শিখুন।
● ৩) এরপর নিচের যেকোনটা  বেছে নিন , তবে যত বেশি জানবেন ততই লাভ,
ডাটা এন্ট্রির জন্য-অফিস প্যাকেজ, ওয়েব রিসার্চ, আর্টিক্যাল রাইটিং, ইউটিউব ডিটেইলস ইত্যাদি।
গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর জন্য- ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর,কোরেল ড্র, ইনডিজাইন শিখুন।
ওয়েব ডিজাইনিং এর জন্য-ফটোশপ, HTML, CSS, Javascript, JQuery,
ওয়েব ডেভেলপিং এর জন্য-HTML, CSS,পিএইচপি
কনটেন্ট ম্যানেজমেন্টের জন্য – ওয়ার্ডপ্রেস, জুমলা (ব্যাসিক ও আ্যডভান্স)

কাজ কীভাবে শিখবেন, কোথা থেকে শিখবেন?

● অনলাইনে যেকোন কাজ আপনি খুব সহজেই শিখতে পারেন বিভিন্ন টিউটোরিয়ালের মাধ্যমে। টিউটোরিয়াল খুজে পেতে গুগলের সহায়তা নিন।
●  ভিডিও দেখে শিখবেন। ইউটিউব ছাড়াও লিন্ডা ইত্যাদির ভিডিও টিউটোরিয়াল রয়েছে। বাংলায় আল-হেরা মাল্টিমিডিয়ার ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখেও শিখতে পারেন।

কিছু স্যাম্পল কাজ আগেই করে রাখুন

আপনি কোন কাজ করতে পারেন সেটি বায়ারকে শুধু মুখে বললেই তো আর কাজ পাওয়া যাবে না। বরং ঐ ধরনের কিছু কাজ আগে থেকে করে রেডি রাখুন এবং বায়ারকে দেখান। তবে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। তাছাড়া বাংলা প্রবাদটি তো আপনারও জানা যে “শুকনো কথায় চিড়া ভিজে না”।

কাজ পাওয়ার পূর্বশর্ত

ফ্রিল্যান্সিং ই এখন অনেকের মূল পেশা। আবার অনেকেই রয়েছেন অল্প কিছুদিন কাজ পাওয়ার চেষ্টা করে কাজ না পেয়ে হতাশাগ্রস্থ হয়ে ফ্রিল্যান্সিং-ই ছেড়ে দিয়েছেন।বিপরীতভাবে অনেকেই রয়েছেন যারা ধৈর্যের সাথে নিয়মিত চেষ্টা করে গেছেন এবং পরবর্তীতে কাজও পেয়ে গেছেন। এখন তারাই সফল ফ্রিল্যান্সার। সুতরাং একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে হলে আপনাকে অবশ্যই নিম্নোক্ত কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে।
● আপনাকে আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। খুব সহজেই হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়া চলবে না।
● আপনি যে ধরনের কাজ করতে চান সেসব কাজের কিছু স্যাম্পল আগেই তৈরী করে পোর্টফোলিওতে রাখতে হবে।
● আপনার দক্ষতাগুলি প্রকাশ পায় এমনভাবে সুন্দর একটি কাভার লেটার তৈরী করতে হবে।
● আপনি যে ধরনের কাজ করেন সে কাজের নিত্য নতুন ট্রেন্ডের সঙ্গে পরিচিত হতে হবে এবং সেগুলি শিখে আপনার আয়ত্তে রাখতে হবে।

আগে কাজ করুন, টাকা এমনিতেই পাবেন

আমাদের দেশ থেকে এখন লক্ষ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার ওডেস্কে কাজ করছে এবং কোন ঝামেলা ছাড়াই তাদের টাকা হাতে পেয়ে যাচ্ছে। সুতরাং টাকা পাওয়ার ব্যাপারে দুঃচিন্তা না করলেও চলবে। তবে আপনাকে যেটি নিয়ে চিন্তা করতে হবে সেটি হচ্ছে বায়ারের রেটিং এবং কাজটি কিভাবে পাওয়া যায়। কারণ বায়ারের রেটিং ভালো হলে টাকা পাওয়ার ব্যাপারটি নিয়ে বিন্দুমাত্র ঝামেলার আশঙ্কাও নেই। আর কাজটি পেয়ে আপনি সঠিকভাবে করে দিতে পারলে পেওনার, মানিবুকার, চেক, ওয়ার ইত্যাদি অনেক উপায়েই আপনি টাকা তুলতে পারবেন। সুতরাং টাকা কিভাবে পাবেন সে চিন্তা না করে বরং কোন কাজ কীভাবে পাবেন এবং সেটি কীভাবে করবেন সেটি চিন্তা করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
Tag : ,

অনলাইনে আয় করার দশ উপায়

তুমি কি বাংলাদেশে থাকো? তুমি কি অনলাইনে আয় রোজগারের সঠিক উপায় খুঁজছ? তাহলে আমার এই নিবন্ধটি পড়ো। এটি তোমার জন্য একটা সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। কারণ, অনলাইনে যে কিভাবে ঘরে বসে অনেকভাবে অর্থ উপার্জন করা যায়, তা এই নিবন্ধ পড়লে তুমি জানতে পারবে। আমি তোমাকে বলে রাখতে চাই যে, অনলাইনে আয় করা বাস্তব জীবনে আয় করার মতোই কঠিন। এখানে এমন কিছু রাস্তা আছে যেগুলোতে কাজ শুরু করা সহজ। কিন্তু এগুলো থেকে বেশি টাকা আয় করা যায় না। এর তুলনায় অন্যান্য উপার্জনের পন্থায় ভালো আয়ও হয় আবার তা ধারাবাহিকভাবেও বজায় থাকে। বাংলাদেশ থেকে অনলাইন আয় রোজগারের উপায়গুলো নিম্নে উপস্থাপন করলাম। আশা করি তোমাদের ভাল লাগবে।
১। প্যাড রিভিউ-এর মাধ্যমে আয় রোজগার
সার্ভে বা জরিপ একটা পুরাতন পদ্ধতি আর আমার মনে হয় তুমি এ বিষয়ে জানো। “সার্ভে” সাইটে তুমি গিয়ে নিবন্ধিত হবে আর সার্ভে বা জরিপ আসার অপেক্ষা করবে; সার্ভে ফর্ম পূরণ করে তোমার মতামত জানাবে, ব্যস! প্রতিটি সার্ভের জন্যে তুমি টাকা পাবে। এখানে, এমন কিছু ব্যবস্থাও আছে যেখানে, ইমেইল পড়ার ও জবাব দেওয়ারও কাজ থাকে। সার্ভে সাইট হিসেবে অন্যতম জনপ্রিয় সাইট হচ্ছে-সার্ভে সেভী।
২। নিবন্ধ লিখে আয় রোজগার
এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলো পাঠকদের লেখায় আপডেট হতে থাকে। কোন কোন সাইটে তারা লেখকদের সাথে মুনাফা ভাগ করে নেয়। তুমি এখানে বিভিন্ন নিবন্ধ লিখতে পারো আর তোমার আর্টিকেল বা নিবন্ধ যতো বেশি পাঠক পড়বে, তুমি ততো বেশি টাকা পাবে। “শুভং” নামক একটা ওয়েবসাইট আছে যারা তাদের লেখকদের সাথে শতকরা ১০ ভাগ গুগল এডসেন্স-এর লভ্যাংশও ভাগ করে নেয়।
৩। পিটিসি বা প্যাড-টু-ক্লিক এ আয় রোজগার
পিটিসি বা প্যাড-টু-ক্লিক এর সাহায্যে তুমি ওয়েবসাইট(শুধুমাত্র স্পনসরড্ সাইটগুলো‌)ব্রাউজ করার জন্যে টাকা পাবে। এতে আরো উপায় আছে যাতে ওয়েবসাইট সার্ফ করে, ওয়েবসাইট দেখে আর ওয়েবসাইট সার্চ করে টাকা উপার্জন। সত্যকথা বলতে কি, এই সাইটগুলো আয়ের তুলনায় অনেক বেশী সময় অপচয় করে। এরা তোমার একেক ইউনিট এডের পেছনে তোমার ব্যয়ের তুলনায় খুবই কম টাকা দেয়। একটা জনপ্রিয় পিটিসি সাইট যারা ভালো অর্থ প্রদানও করে থাকে সেটি হচ্ছে- বাক্স টু।
৪। তোমার তোলা ছবির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন
যদি তুমি একজন ফটোগ্রাফার বা চিত্রগ্রাহক হয়ে থাকো, তবে তোমার তোলা আকর্ষণীয় ছবিগুলো অনলাইনে বিক্রি করতে পারো। অনলাইনের ডিজাইনাররা তাদের প্রজেক্টের জন্যে অনেক ছবি খুঁজে থাকেন, তুমি তাদের নিকট তোমার ছবিগুলো বিক্রি করতে পারো। তুমি তোমার ছবিগুলো আই-স্টক-ফটোস্‌ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রিও করতে পারো।
৫। গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আয় রোজগার
গুগল এডসেন্সে আয় করার জন্যে তোমার একটা সচল ওয়েবসাইট অথবা ব্লগ প্রয়োজন। তুমি নিশ্চয়ই দেখেছো এমন বিলবোর্ড বা পোস্টার যেখানে তারা(জনৈক অসাধু ব্যবসায়ীরা) দাবি করে যে, তুমি এখান ১০ থেকে ২০ ডলার দৈনিক আয় করতে পারবে- এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা! গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম হয় তখন যখন, কেউ গুগলের সেসব এডে ক্লিক করে। কিন্তু, এখানে ইনকাম করার পূর্বে তোমাকে একটা তথ্যসমৃদ্ধ ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে হবে। কিন্তু, তোমাকে সেসব নকল এডসেন্স শেখার জায়গায় এই শেখানো হয় যে, কিভাবে চুরির লেখা দিয়ে একটা নকল ওয়েবসাইট বানাতে হয়, এটাতো আসল নয় কারণ এটা একটা ধোঁকাবাজি।
google.com/adsense
৬। তোমার মতামত প্রকাশের জন্যে টাকা পাবে
হ্যাঁ, এটিই নতুন দিনের আয় রোজগার মাধ্যম, এখন তুমি টাকা নিয়ে যেকোন ওয়েবসাইট বা কোম্পানির ব্যাপারে তোমার মতামত দিয়ে একটা নিবন্ধ লিখে ফেলো তোমার ব্লগে। প্যাড রিভিউ সাইটগুলো কল্যাণে, এখন তারা(কোম্পানি বা ওয়েবসাইটগুলো) তোমাকে তাদের ব্র্যান্ড, পণ্য বা ওয়েবসাইটের বিষয়ে লেখার জন্যে অর্থ পরিশোধ করবে। তোমার এই মতামত বা ব্লগ তাদের নিয়ে বাজারে আলোড়ন সৃষ্টি করবে আর তারা পাবে অধিক পাঠক ও ক্রেতা। এরকম একটা জনপ্রিয় প্যাড রিভিউ সাইট হচ্ছে-সোস্যাল সম্পর্ক।
৭। এফাইলিয়েট মার্কেটিং-এর মাধ্যমে আয় রোজগার(সেবামূলক গোষ্ঠীর সাহায্য করা)
এটি একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে তুমি তোমার ওয়েবসাইটে কোন পণ্যের প্রচার করবে আর যখন পণ্য বিক্রি হবে, তখন তুমি এর থেকে কমিশন পাবে। এখানে অনেক আধুনিক আর ভালো পণ্য আছে যেগুলো বিক্রি করা যায় আর মানুষ কিনতেও আগ্রহী; তুমি একজন এফাইলিয়েট হয়েও কাজ করতে পারো। তুমি “ক্লিক ব্যাংক”-এর মাধ্যমে একজন এফাইলিয়েট হয়ে পণ্য বিক্রয় করতে পারো।
৮। ব্যানার এডস্‌ বা “ব্যানার” জাতীয় বিজ্ঞাপন বিক্রি করে আয় রোজগার
যদি তোমার একটা প্রতিষ্ঠিত ওয়েবসাইট বা ব্লগ থাকে, তবে বিজ্ঞাপনদাতারা তোমার ব্লগে তাদের বিজ্ঞাপন দিতে দ্বিধাবোধ করবে না। একেই বলে, ব্যানার এডস্‌ অথবা সরাসরি ইনকামের সুযোগ। তোমার ওয়েবসাইটের জনপ্রিয়তা যতো বেশি হবে তোমার পাঠক সংখ্যা বাড়বে ততো বেশি হবে আর তোমার আয়ও বাড়তে থাকবে।
৯। ফ্রি-লেন্সিং বা অস্থায়ী কর্মী হিসেবে অর্থ উপার্জন
ঘরে বসে ফ্রি-লেন্সিং করা আয় রোজগারের একটা চমৎকার সুযোগ। তোমার যদি ডাটা এন্ট্রি, গ্রাফিক্স ডিজাইন অথবা এডমিনিস্ট্রেশন বা তদারকির কাজে দক্ষতা থাকে তাহলে, তুমি অনলাইনে এসব কাজ করে আয় রোজগার করতে পারো। তুমি চাইলে ফ্রিলেন্সিংভিত্তিক একটা ক্যারিয়ারই গড়ে তুলতে পারো।
১০। টুইটার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয় করা
বিজ্ঞাপনদাতাগণ বর্তমানে তাদের ক্যাম্পেইন বা বিজ্ঞাপন উদ্যোগগুলো “টুইটার” বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে চাচ্ছেন। এজন্যে, তোমার কোন ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইট থাকারও প্রয়োজন নেই। এমন অনেক কোম্পানি রয়েছে, যারা টুইটার বিজ্ঞাপনের কাজ করে থাকে যেমন- মেগ-এ-পাই।
অনলাইনে আয়ের টাকা বাংলাদেশে কিভাবে পাবে?
১. চেকে টাকা পাওয়া
এটা একটা ব্যাংকের চেক যেটি তুমি যেকোন ব্যাংক থেকেই উত্তোলন করতে পারবে। এডসেন্স ও অন্যন্য সাইট এরকম চেকে টাকা পাঠিয়ে থাকে। এটা বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর সবচেয়ে সাধারণ ও জনপ্রিয় মাধ্যম।
২. পেপ্যাল-এর মাধ্যমে টাকা পাওয়া
পেপ্যাল টাকা পাওয়ার একটি জনপ্রিয় মাধ্যম, যেটি তোমাকে অনলাইনে টাকা পেতে সাহায্য করবে। অবশ্য, এখনও পেপ্যাল বাংলাদেশে আসেনি কিন্তু শীঘ্রই আসবে।
৩. পেওনিয়ার প্রিপেইড ডেবিট মাস্টারকার্ড
এটা বাংলাদেশে অনলাইনের টাকা পাওয়ার জন্যে নতুন একটা রাস্তা। তুমি ওডেস্ক থেকে মাস্টারকার্ড পেয়ে সেই কার্ড থেকে টাকা উঠাতে পারো। পড়ে নাও-বাংলাদেশে ওডেস্ক পেওনিয়ার প্রিপেইড ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে অর্থ প্রাপ্তি।
৪. মানিবুকারস্‌ থেকে টাকা প্রাপ্তি
মানিবুকারস অনেকটা পেপ্যালের মতোই। আর এটা তোমার ব্যাংক একাউন্টের মতনও। বাংলাদেশে এটা প্রচলিত আছে।
৫. এলার্টপে
এর মাধ্যমে টাকা পাওয়া। এটিও পেপ্যালের মতোই আর বাংলাদেশে প্রচলিত আছে। তুমি এর টাকা ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন থেকে উঠাতে পারো।
৬. ই-গোল্ড ব্যবহার টাকা প্রাপ্তি
পেপ্যালের মতোই ই-গোল্ড।
আমি অনলাইনে কত টাকা আয় করতে পারবো?
এটা তোমার পরিশ্রম, দক্ষতা আর পদ্ধতির উপর নির্ভর করবে, তুমি চাইলে ৫০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা প্রতি মাসে আয় করতে পারবে। আয় সম্পূর্ণ নির্ভর করে তোমার বিশ্বস্ততা ও পরিশ্রমের উপর। এখন, তুমি চাইলে ১৫,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা বা উপরে ৫০,০০০ প্রতি মাসে উপার্জন করতে পারো। আমার একটা পরামর্শ নিতে পারো, এখানে সত্যিই অনেক টাকা বানানো যায় আর এটা কোন ফাজলামো নয়, তুমি যাই করো গম্ভীর হয়ে করবে আর কঠোর পরিশ্রম করবে। কখনো চুরি, ধোঁকাবাজি করবে না আর তোমার কাজের প্রতি সৎ থাকার চেষ্টা করবে।
Tag : ,

The Won Blog Of EARN FOR TEICKS. The Blog Created by Bijoy Kumar Biswas. Designed by বিজয়*বিজন*বিজু