Popular Post

zwani.com myspace graphic comments

Sunday, August 25, 2013

অনলাইন ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে ব্লগিং হচ্ছে দ্রুত প্রসারমান ও সম্ভাবনাময় একটি ক্ষেত্র। অনলাইনে আয় করার অন্যতম সহজ ও সম্ভাবনাময় উপায় হল লেখালেখি, যেটিকে আমরা আর্টিকেল রাইটিং বা ব্লগিং হিসেবে জানি। যারা ইংরেজিতে ভালো তারা ব্লগিং ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে পারেন। যারা ইংরেজিতে দক্ষ তারা এই ধরনের কাজ করে মাসে বেশ ভালো আয় করতে পারেন। বাংলাদেশে অনেক প্রফেশনাল ব্লগার রয়েছেন যারা নিজের ভাষাগত দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে এ ধরনের কাজগুলো সফলতার সাথে করছেন। এরা একে মূল পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
what-a-blog-can-do.jpg
বাংলাদেশে ব্লগিংয়ের সম্ভাবনা অফুরন্ত!
ব্লগিং আমাদের দেশে নতুন মনে হলেও উন্নত বিশ্বে এটি বিরাট আয়ের জন্য অনেক জনপ্রিয় মাধ্যম। যেহেতু বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ আর এখানকার শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা অনেক, তাই ঐ সব শিক্ষিত বেকারদের যদি ব্লগিং সম্পর্কে ভাল ধারণা দেওয়া যায় তাহলে তারা খুব সহজেই নিজেদের স্বাবলম্বী হিসাবে গড়ে তুলতে পারেন।
ইচ্ছাশক্তি বড় শক্তি!
ইচ্ছা থাকলে আপনি ব্লগিংয়ের কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। প্রয়োজন শুধু একটি কম্পিউটার, ইন্টারনেট সংযোগ ও ব্লগিং সম্পর্কিত বিস্তারিত ধারণা। আপনা ক্যারিয়ার হিসেবে ব্লগিং হতে পারে আদর্শ পেশা। কেননা, অন্যান্য চাকরিতে আপনাকে দিনে কমপক্ষে ৮ ঘন্টা বা তারো বেশি পরিশ্রম করতে হয়। তার বিনিময়ে যে পরিমাণ পারিশ্রমিক আপনি পান সেই তুলনায় ব্লগিংয়ে মাত্র ৫ থেকে ৬ ঘন্টা সময় দিলেই তারচেয়ে অনেক বেশি পরিমানে আয় করা সম্ভব। উদাহরণ হিসেবে আমরা অনেকের নাম বলতে পারি যারা ব্লগিংয়ে পেশা হিসাবে নিয়ে আজ প্রতিষ্ঠিত। যা কিনা যেকোন চাকরির চেয়ে অনেক ভাল। আর তা একটু মেধা খাটিয়ে কাজ করতে পারলে সম্ভব।
skill-up.JPG
যোগ্যতা ছাড়াই কি ব্লগিং সম্ভব?
অনলাইনে আয় করার জন্য শুধু যে দক্ষতা থাকতে তা নয় আপনার অবশ্যই যোগ্যতাও থাকতে হবে। অনলাইনে আয় করার জন্য আপনার খুব বেশি যোগ্যতার প্রয়োজন হবে না। আর ব্লগিং অর্থাৎ ইংরেজি লেখালেখি শুরু করার আগে প্রথমে কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে হবে। আর তাহলঃ
১। আপনার আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে আত্নবিশ্বাস খুবই জরুরি কারণ এখানে আপনাকে আপনার নিজের দক্ষতা এবং যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে আয় করতে হবে সেই ক্ষেত্রে আপনাকে নিজের উপর অবশ্যই বিশ্বাস আনতে হবে যে এই কাজের জন্য আপনিই উপযোগী কি না? কারণ বিশ্বাস ছাড়া আপনার এখানে কাজ নির্বাচন এবং তা সম্পূর্ণ করার ক্ষেত্রে দিদ্ধাগ্রস্ত হবেন। তাই আপনাকে নিজের উপর বিশ্বাস আনতে হবে। তা না হলে আপনি কোন কাজই সফলভাবে করতে পারবেন না সকল কাজ করার ক্ষেত্রেই আপনার মনে ভীতস্ততা কাজ করবে।
২। আপনাকে অবশ্যই ইংরেজিতে ভালো হতে হবে। ইংরেজি বানান এবং ব্যাকরণ সঠিকভাবে জানা থাকতে হবে, বিশেষ করে কমপ্লেক্স ও কম্পাউন্ড বাক্য ঠিকভাবে লেখার যোগ্যতা থাকতে হবে। ছোট, মাঝারি ও লম্বা বাক্য লিখতে পারার দক্ষতা থাকতে হবে। শুদ্ধ বানানের প্রতি লক্ষ রাখতে হবে। এক্ষেত্রে এমএস ওয়ার্ডের স্পেল চেকারের ব্যবহার করতে পারেন। আমেরিকান স্পেলিং শুদ্ধভাবে জানতে হবে। ছোট, মাঝারি ও লম্বা বাক্য লিখতে হবে। তাই গ্রামার সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। এক্ষেত্রে ব্রিটিশ ও আমেরিকান গ্রামার সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা ভালো।
৩। পরিশ্রম করার মানসিকতা থাকতে হবে। কারণ পরিশ্রমই ব্লগিংয়ের অন্যতম বিষয়।
৪। যে বিষয়ে আপনি ব্লগিং করবেন সে বিষয়ে আপনার সম্যক জ্ঞান থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ধারণা না থাকলে সে বিষয়ে কিছুই লিখতে পারবেন না।
৫। ব্লগ পোস্ট আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করার দক্ষতা অর্জন করতে হবে। ব্লগিংয়ে পোস্টের মধ্যে ভালোভাবে আলোচিত বিষয়কে তুলে ধরতে পারার দক্ষতা থাকতে হবে এবং আপনার স্বয়তা তুলে ধরতে হবে।
৬। এখানে পারিশ্রমিক হিসেবে বিভিন্ন এড মিডিয়া বা গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে প্রদর্শিত এড থেকে আয় মাসে ১০০ ডলার থেকে ১০০০ ডলার বা তারও বেশি হতে পারে (এটি ভিজিটরের এড ক্লিকের উপর নির্ভরশীল)। এক্ষেত্রে আয় কম হলে দমে যেতে পারবেন না।
৭। কোনো কোনো মাসে হয়তো প্রতিদিন ১০০-২০০ জন বা আরও বেশি ভিসিটর পেতে পারেন, আবার কখনো হয়তো দিনে ২০-৫০ জন ভিসিটরও পেতে পারেন। এক্ষেত্রেও দমে যেতে পারবেন না।
৮। আপনি ধৈর্যহারা হতে পারবেন না। কারণ ব্লগিংয়ে ধৈর্যধারণ ছাড়া সাফল্য আসে না। তাই আপনাকে লেগেই থাকতে হবে।
আপনি যদি মনে করেন উপরের সবগুলো শর্তই আপনার মধ্যে আছে তাহলেই কেবল আপনি অনলাইনে আয় করার জন্য সমর্থ হবেন।
writting.jpg
কতটুকু শ্রম দিতে হবে?
আপনাকে ধরে নিতে হবে আপনি এক দিনে মানসম্পন্ন কতগুলো পোস্ট করতে পারবেন। কিভাবে সুন্দরভাবে গুছিয়ে ব্লগপোস্ট লিখতে পারবেন। ক্লান্তি কতখানি সামাল দিতে পারবেন, দিনে কত ঘণ্টা ব্লগিংয়ের পিছনে ব্যয় করতে পারবেন ইত্যাদি নির্ভর করছে আপনি কতখানি ভিজিটর থেকে সাড়া পাচ্ছেন এবং নিজে কতক্ষণ করতে পারছেন তার ওপর। আর শ্রম কতটুকু দিতে হতে পারে তা আগের বর্ণনা থেকে নিশ্চয় বুঝে ফেলেছেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ভালো দক্ষতাসম্পন্ন হতে হবে। আপনি ব্লগপোস্ট লেখার ক্ষেত্রে কোনোভাবেই অন্যের লেখা কপি করতে পারবেন না। ব্লগপোস্টের স্বকীয়তার মাধ্যমে আপনাকে তা তুলে ধরতে হবে।
money.jpg
কি পরিমাণ আয় করা সম্ভব?
একজন ব্লগার এর আয় নির্ভর করে তার ব্লগিং স্টাইল ও দক্ষতার উপর। যে যত বেশি দক্ষ তার আয়ও তত বেশি। তবে সাধারণত একজন দক্ষ ব্লগার অনায়াসেই মাসে ২০/৩০ হাজার থেকে শুরু করে লক্ষাধিক টাকাও আয় করতে পারেন। তাছাড়া আরও যেসব বিষয়ের উপর আয় নির্ভর করেঃ
১। আপনার ব্লগে কি পরিমাণ ভিসিটর বা ট্রাফিক পাচ্ছেন।
২। আপনার ব্লগে প্রদর্শিত এডে ক্লিক কেমন পড়ছে (ভিসিটরের উপর নির্ভরশীল) এবং
৩। আপনি প্রতিদিন ব্লগিংয়ে কত ঘণ্টা সময় দিতে পারছেন।
তবে এ কথা মাথায় রাখতে হবে যে, সব মাসে একইভাবে আয় হবে না। কতটুকু পারবেন এবং কতখানি কাজ করলে আপনার ব্লগিংয়ের কোয়ালিটি ধরে রাখতে পারবেন, কতটুকু লাভ করবেন- সব নির্ভর করে আপনার ওপর।
blog-boss.jpg
কেমন প্রস্তুতি নিতে হবে?
APA Style, MLA, Chicago Style Proof Reading জানাটা জরুরি। APA হলো American Psychological Association এবং MLA হলো Modern Languages Association। এছাড়া ব্রিটিশ ইংরেজির জন্য অক্সফোর্ড স্টাইলের Proof Reading ও Editing জানলেও ভালো কাজ দেবে। ইংরেজি বিষয়ে অনলাইন থেকে অনেক সাহায্য পাবেন।
অনলাইন ইংরেজি শেখার কিছু লার্নিং টুলঃ
livemocha.JPG
১। লাইভমোচাঃ এটি হচ্ছে ভাষা শেখার কাজে ব্যবহৃত একটি সোশ্যাল নেটওয়ার্ক। এর সাহায্যে আপনি যেমন আপনার মাতৃভাষা শেখার কাজে কেউ একজনকে সাহায্য করতে পারেন তেমনি সেও পারে আপনি শেখার চেষ্টা করছেন এমন একটি বিদেশী ভাষা শিক্ষায় আপনাকে সাহায্য করতে। লিংকঃ http://www.livemocha.com/
verbalearn.JPG
২। ভারবালার্নঃ এই ওয়েব সাইটের সাহায্যে অনলাইন স্টাডি সেশনের মাধ্যমে আপনি আপনার ইংরেজি ভাষা দক্ষতাকে বৃদ্ধি করতে পারবেন। আপনার সঙ্গে সঙ্গে এ টুলটি নিজেও শিখতে থাকবে, সে সঙ্গে আপনার অগ্রগতি এবং দুর্বলতার একটি রেকর্ডও সংরক্ষণ করতে থাকবে। অফলাইনে নিজের স্টাডি লিস্ট পর্যালোচনা করার মাধ্যমে বিভিন্ন শব্দের মানে আরো ভালভাবে মনে রাখতে পারবেন, সে সঙ্গে এগুলোর উচ্চারণ কি হবে তাও অনলাইনে জেনে নিতে পারবেন। লিংকঃ http://www.verbalearn.com/
এছাড়াও বিভিন্ন বইয়ের লাইব্রেরিতেও এসব বিষয়ে বই পাবেন আশা করি। তবে নিয়মগুলো বেশ ভালোভাবে রপ্ত করতে হবে।
কি লিখবেন?
ব্লগিংয়ের বিষয়টা নির্ভর করে আপনার দক্ষতা, রুচি, সহযোগিতা সর্বোপরি যে সাইট বা বিষয়ের জন্য লেখা হচ্ছে সেটার চাহিদার ওপর। যে কোন বিষয়ে একটি ব্লগ তৈরি করে আয় করা যায়। ব্লগে ভিজিটর যত বেশি হবে আয়ের সম্ভাবনা তত বেশি। এজন্য শুরুতে একটি বিষয় বেছে নেয়া প্রয়োজন।
ইন্টারনেটে খোঁজ করে ব্লগের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে ধারণা পেতে পারেন। বস্তুত বিষয়ের কোন সীমাবদ্ধতা নেই। তবে বিষয়বস্তু যা-ই হোক না কেন একজন ব্লগারকে কোনো নির্দিষ্ট টপিক নিয়ে ভালভাবে ধারণা অর্জন করে তৈরি করতে হয়। উন্নত বিশ্বে একজন ব্লগারকে একজন সাংবাদিক আবার গবেষকও অভিহিত করা হয়। আপনার ব্লগিংয়ের বিষয়বস্তু উপর ভিত্তি করে ঠিক করে নিতে হয় আপনার দিক ঠিক করে নিতে হবে।
কিভাবে লিখবেন?
একটি ব্লগপোস্ট অবশ্যই প্রাঞ্জল ও গুরত্বপূর্ণ তথ্য দ্বারা সমৃদ্ধ হতে হবে। ব্লগার হিসেবে আপনাকে মনে রাখতে হবে, যারা ব্লগে আপনার ব্লগপোস্ট পড়বেন, তিনি মিনিট প্রতি বা ঘণ্টা প্রতি নির্দিষ্ট পয়সা খরচ করে পড়বেন। সুতরাং তিনি চাইবেন সবচেয়ে কম সময়ে প্রয়োজনীয় জিনিস পড়তে। তাই তথ্য নির্ভর, সংক্ষিপ্ত বিষয়ভিত্তিক লেখাই আপনাকে লিখতে হবে। এতে ব্লগার হিসেবে আপনার গ্রহণযোগ্যতা যেমন বাড়বে তেমনি উপার্জনের পথও প্রশস্ত হবে।
মনে রাখতে হবে ব্লগপোস্ট যেন যুক্তিযুক্ত হয়। ব্লগপোস্ট লেখার আগে কি লিখছেন, কেন লিখছেন তা জানতে হবে। নিজের কোনো শখ, দৈনন্দিন জীবন, ব্যক্তিগত কোনো অভিজ্ঞতা বিষয়ে লিখতে হলে ব্লগপোস্ট লেখার শুরুটা হবে একটু অন্যরকম। কারণ ভিন্নতা পাঠককে নাড়া দেয়। এ ক্ষেত্রে ঘটনার খুটিনাটি বিষয়ে না গিয়ে বরং যা ঘটেছিল ঠিক তাই বর্ণনা করুন। অতিরিক্ত শব্দ ব্যবহার না করে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং সহজ শব্দ বেছে নিন। ব্লগপোস্ট লেখা শেষে বারবার পড়ুন। ভালো ব্লগপোস্ট পড়া, ই-মেইল, চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে ব্লগারদের সঙ্গে ভাবনা চিন্তার আদান প্রদান করুন। ব্লগপোস্টের মধ্যে রহস্য রাখার চেষ্টা করুন। পাঠকরা যাতে চমক পায় সে রকম কিছু রাখুন।
helpful-tips.jpg
ভালো ব্লগার হওয়ার জন্য যেসব বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন!
প্রথমে ইন্টারনেট ব্যবহারের খুটিনাটি সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। তারপর তীক্ষ্ণ একাগ্রতার সাথে টপিকের বিষয়বস্তু ভালভাবে জানার চেষ্টা করতে হবে। নিজের সৃজনশীলতায় তথ্যকে সম্পূর্ণ করে লেখার যোগ্যতা থাকতে হবে। নিজস্ব এবং সংগৃহীত তথ্যকে সাজিয়ে পাঠকের সামনে নতুনভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করতে হবে। যাতে পাঠক নতুন কিছু লাভ করতে পারে।
ব্লগার হিসেবে আপনি একেবারে নতুন হলেও সমস্যা নেই। তবে সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা থাকলে ভালো হয়। লেখার ইচ্ছা, ভালো রচনাশৈলী ও সময়োপযোগী বিষয়বস্তু নির্বাচনের সামর্থ্য থাকলে এ পেশায় আপনি সফলতা লাভ করতে পারবেন।
কিভাবে আপনি ব্লগিংয়ের ধারণা পাবেন?
১। কোন বিষয় একাগ্রতার সাথে জানার মাধ্যমেঃ ব্লগিং করতে হলে যে জিনিসটি আপনাকে সবচেয়ে বেশি করতে হবে, সেটি হলো পড়া। যেকোনো বিষয়ে ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে পড়া হল সবচেয়ে জরুরী বিষয়। নিয়মিত সংশ্লিষ্ঠ বিষয়ে বিভিন্ন ব্লগ পড়লে বা ইন্টারনেটে ঘাটাঘাটি করলে আপনি কি নিয়ে লিখবেন সেটি সম্পর্কে অনেক ব্লগিং আইডিয়া পাবেন। আপনি যেটা পড়েছেন সেটি নিয়ে লিখবেন না। ঠিক তারই পাশাপাশি যেটি পাঠক এখনো জানেনি সেটি নিয়ে নতুন ধারণা করতে পারবেন। আপনি শুধু অন্যান্য ব্লগ পড়বেন না একটি সাধারণ বই পড়লেও ব্লগিং আইডিয়া পাওয়ার যায়।
আপনি বিভিন্ন ম্যাগাজিন, কনফারেন্স পেপার, বিশিষ্ঠজনদের বায়োগ্রাফি অথবা তাদের সাফল্যের কাহিনী পড়েও অনেক আইডিয়া পেতে পারেন। এখন সে বিষয়টি নির্দিষ্ঠ করে আপনাকে মার্কেট রিসার্চ করতে হবে এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আপনার ব্লগিং আইডিয়া পেতে অন্য ব্লগাররা কি বলছে বা লিখছে সেটি আপনাকে অনেক সহায়তা করবে। আপনার যদি ভালোমানের ব্লগার হতে চান তাহলে এ কাজটি আপনাকে করতেই হবে। ইন্টারনেট মার্কেটিং, ব্লগিং বা মানি মেকিং অনলাইন বিষয়ে প্রোব্লগার (http://www.problogger.net/) এর মতো অনেক ভালো ভালো ব্লগ আছে। এসব ব্লগের পোস্ট পড়ে আপনি অনেক আইডিয়া পাবেন।
২। অনলাইন ফোরামে অন্যের টপিক সমস্যার সমাধান দিনঃ ফোরাম হলো এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে মানুষ কি জানতে চায় বা অনুসন্ধান করছে সেটি জানার অন্যতম মাধ্যম। ফোরাম হিসেবে আপনি ইয়াহু অ্যান্সার বা উইকি অ্যান্সারসহ হাজার হাজার ফোরাম পাবেন যেখান থেকে আপনি আপনার লেখার আইডিয়া পাবেন। ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আয়ের জন্য এ বিষয়ের বিভিন্ন ব্লগ বা বিভিন্ন ফোরামে ঢুকে বিভিন্নজনের টপিক পড়ুন। আলোচনা পড়ুন। অনেক দিকনির্দেশনা পাবেন।
৩। আর্টিকেল ডিরেক্টরি নিয়মিত ভিজিট করার মাধ্যমেঃ বিভিন্ন আর্টিকেল ডিরেক্টরি থেকে আপনি কি বিষয়ে লিখতে পারেন সে বিষয়ে সম্পর্কে সম্যক ধারণা সৃষ্টি করতে পারে। আপনি আপনার ব্লগে বিভিন্ন আর্টিকেল ডিরেক্টরির একই বিষয় নিয়ে আরো গভীরভাবে ও ভালোভাবে তা প্রকাশ করে সে বিষয়ে সবাইকে জানাতে পারেন।
৫। গুগল অ্যাডওয়ার্ড টুল ব্যবহারের মাধ্যমেঃ লোকজন সার্চ ইঞ্জিনে কি অনুসন্ধান করছে সে শব্দ বা বাক্য দিয়ে গুগল অ্যাডওয়ার্ড (https://adwords.google.co.uk/select/KeywordToolExternal) টুলের মাধ্যমে ঐ সম্পর্কিত ভালো আইডিয়া পাওয়া যায়। সে হিসেবে লোকজন কি বিষয়ে অনুসন্ধান করছে তার উপর ভিত্তি করে আপনি বেশ কিছু ব্লগিং আইডিয়া পাবেন। তাছাড়া এটি একটি এসইও টুলও। তাই আপনি এর মাধ্যমে আপনি আপনার ব্লগপোস্টে গুরুত্বপূর্ণ কিওয়ার্ড যুক্ত করতে পারবেন।
৬। সাম্প্রতিক বিষয় সম্পর্কে ধারণা রাখার মাধ্যমেঃ নতুন নতুন ব্লগিং আইডিয়া ও ব্লগ কনটেন্ট পাওয়ার জন্য সাম্প্রতিক বিষয় একটি গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎস। আপনি যদি কোনো সংবাদ ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারেন তবে যারা সাম্প্রতিক সংবাদ খোঁজেন তাদের মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন থেকে ভালো ট্রাফিক পাবেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আপডেটেড নিউজ পেতে আপনি গুগলে নিউজ অ্যালার্ট তৈরি করতে পারেন। ফলে আপনি সহজেই আপডেটেড নিউজের খবর পাবেন। তাছাড়া আপনি যদি এমন কোনো বিষয়ে ব্লগিং করেন যেটি দ্রুত পরিবর্তন হয়, যেমন- রাজনীতি বা প্রযুক্তি, সেসকল ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ব্লগিং আইডিয়া পেতে সর্বশেষ সংবাদের খোঁজ রাখতেই হবে।
৭। পাঠকের সাথে সম্পর্ক তৈরি করার মাধ্যমেঃ ব্লগের ক্ষেত্রে এটি একটি প্রয়োজনীয় বিষয়। আপনি আপনার পোস্টে পাঠকের কাছে তাদের মতামত চেয়ে প্রশ্ন করতে পারেন। এর ফলে আপনি কিছু অ্যাক্টিভ মন্তব্যকারী পাবেন। এছাড়া তারা কি চায় সে সম্পর্কেও অনেক মন্তব্য পাবেন। একই কাজটি আপনি সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুকে বা টুইটারেও করতে পারেন। তাদের বিষয় থেকে নতুন নতুন ব্লগিং আইডিয়া পাবেন।
৮। নিয়মিত গুগল অ্যানালাইটিক্স চেক করার মাধ্যমেঃ ভিসিটর কিভাবে আপনার ব্লগে আসছে সে সম্পর্কে গুগল অ্যানালাইটিক্স (http://www.google.com/analytics/) ধারণা দেয়। সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে কি পরিমাণ ভিজিটর আসছে সেটি জানার মাধ্যমে আপনি তাদেরকে কতোটা সন্তুষ্ট করতে পারছেন বা আপনার কিওয়ার্ডটি কতোটুকু যুক্তিযুক্ত হয়েছে সেটি সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাবেন। আর এই টার্গেটেড কিওয়ার্ডের মাধ্যমে আপনি আপনার ব্লগকে উন্নত করে আরো ভালো ট্রাফিক লাভ করবেন।
google-adsense-logo.gif
গুগল এডসেন্স থেকে হাজার ডলার আয় করুন!
গুগল এডসেন্স (http://www.google.com/adsense) ব্যবহৃত হয় এমন সাইটে Ads By Google কথাটি লেখা থাকে। এখন আপনি যদি Ads By Google লেখা ওয়েবসাইটের কোন বিজ্ঞাপনে ক্লিক করেন তাহলে উক্ত ওয়েবসাইটের মালিক গুগলের কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ রেভিনিউ পাবে। ইন্টারনেটে যত ওয়েবসাইট আছে তার অধিকাংশ ওয়েবসাইটই এই গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় করে থাকে।
গুগলের অনলাইন বেজড অ্যাডভার্টাইজিং প্রোগ্রাম-এর নাম হল অ্যাডসেন্স। গুগল নিজে ধনী হবার পাশাপাশি তার হাজারো ভক্তদের অর্থ উপার্জনের সুযোগ দিয়েছে। বিশ্বের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইনে তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। এই বিজ্ঞাপনগুলো প্রচার করে থাকে গুগল অ্যাডসেন্স-এর মত অ্যাডভার্টাইজিং নেটওয়ার্ক। এসব নেটওয়ার্ক বিজ্ঞাপন প্রচারে যে পরিমাণ অর্থ পায় তা থেকে কিছু অর্থ তাদের নেটওয়ার্কের পাবলিশার বা আমাদের মত ওয়েবসাইট মালিক বা ব্লগারদের দিয়ে থাকে।
গুগল অ্যাডওয়ার্ডসের মাধ্যমে বিজ্ঞাপনদাতারা গুগলকে বিজ্ঞাপন দেয় আর সে বিজ্ঞাপনগুলো গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে ওয়েবমাষ্টার বা ব্লগাররা তাদের সাইটে প্রদর্শন করে। আর এটি অনলাইনে টাকা উপার্জনের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম।
গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় করতে যেসব বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখবেন!
১। গুগল অ্যাডসেন্স-এর পাবলিশার হবার জন্য আপনার একটি নিজস্ব ওয়েব সাইট বা ব্লগসাইট থাকতে হবে। এটি ফ্রিও হতে পারে।
২। আপনার সাইটে প্রচুর পরিমাণে তথ্যবহুল কনটেন্ট থাকতে হবে। ব্লগের বিষয়বস্তুর ধারাবাহিকতা থাকতে হবে। ব্লগের কনটেন্ট হিসেবে লিখতে পারেন যে কোনো পণ্য বা সফটঅয়্যার, মুভি ইত্যাদির রিভিউ। তবে পাইরেসি সংক্রান্ত জটিলতা এড়ানো অপরিহার্য। কারণ যে সফটঅয়্যার টাকা দিয়ে কিনতে হয় সেটি যদি আপনি অবৈধভাবে ডাউনলোড লিংক দেন তাহলে তাহবে আইন বিরোধী এবং অ্যাডসেন্স-এর নিয়ম বিরুদ্ধ।
৩। কোনো ওয়েব সাইট থেকে কনটেন্ট কপি পেস্ট করা চলবে না। আপনার ব্লগে কমপক্ষে ৩০-৪০টি পোস্ট থাকতে হবে।
৪। সাইটটিতে ভাল ভিজিটর বা ট্রাফিক থাকতে হবে।
৫। আপনার সাইটটি সার্চ ইঞ্জিনে থাকতে হবে। কারণ গুগল সার্চ ইঞ্জিন থেকে আসা ভিজিটরকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে।
৬। আপনার করা পোস্টগুলোর মধ্যে কমপক্ষে ১৫-২০ টি গুগলের সার্চ ইঞ্জিনে ইনডেক্স হতে হবে। আপনার কয়টি পেজ ইনডেক্স হয়েছে তা জানতে গুগলে sites://http://yourblogaddress দিয়ে সার্চ করে দেখতে পারেন। যদি ইনডেক্স না হয় তবে অ্যাপ্লাই না করাই ভাল। কারণ আপনার অ্যাপ্লিকেশন গ্রহণ করা নাও হতে পারে। তখন আপনার পরিশ্রমটাই বৃথা যাবে। তাই ইনডেক্স হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
গুগল অ্যাডসেন্স থেকে কিভাবে টাকা পাব?
গুগল অ্যাডসেন্স-এ রেজিস্ট্রেশন করার সময় গুগল আপনার Payee Name, Contact Address, Post Code অর্থাৎ আপনার বিস্তারিত তথ্য নিয়ে নেবে। এরপর আপনার অ্যাকাউন্টে ১০ ডলার জমা হলে আপনার প্রদেয় ঠিকানাতে ডাকযোগে পিন নম্বরের একটি চিঠি আসবে। উক্ত চিঠিতে যে পিন নম্বরটি পাবেন তা আপনার অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টে দিতে হবে।
যখন আপনার অ্যাকাউন্টে যখন ১০০ বা তার বেশি পরিমাণ ডলার জমা হবে তখন আপনার প্রদত্ত ঠিকানায় অ্যাডসেন্স থেকে একটি চেক আসবে। চেকটি পাবার পর আপনার স্থানীয় ব্যাংকে উক্ত Payee Name দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট খুলুন এবং চেকটি জমা দিন। কিছুদিন পর চেকটি লোকাল কারেন্সি অর্থাৎ বাংলাদেশী টাকায় কনভার্ট হয়ে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হবে। মনে রাখবেন Payee Name ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মালিকের নাম একই হতে হবে।
কিভাবে গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় করা যায়?
গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় করতে হলে প্রথমেই যে জিনিসটা দরকার সেটা হচ্ছে একটি তথ্যবহুল ওয়েবসাইট বা ব্লগ, যেখানে নির্দিষ্ট কোন একটা বিষয়ের উপর প্রচুর তথ্য উপাত্ত থাকবে এবং বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন যেমন গুগল, ইয়াহু, বিং থেকে ভিজিটররা এসে ওয়েবসাইট বা ব্লগে তাদের আকাংখিত তথ্য এবং সমাধান পাবে।
দ্বিতীয়ত, একটি গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টের জন্য গুগলের নিজস্ব প্রাইভেসি পলিসি এবং টার্মস অব সার্ভিসেস গুলো মেনে আবেদন করতে হয়। দুই ধাপের ভেরিফিকেশন প্রসেস সম্পন্ন হওয়ার পর গুগল অ্যাডসেন্স কর্তৃপক্ষ আবেদনকারিকে অ্যাপ্রুভাল দেয়।
আবেদন গৃহীত হওয়ার পর, অ্যাডসেন্স সাইট থেকে বিজ্ঞাপন জেনারেট করে সাইটে বসাতে হয়। অ্যাডসেন্স রোবট সাইটের কনটেন্টের উপর ভিত্তি করে কন্টেক্সচুয়াল বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে এবং ভিজিটররা উক্ত বিজ্ঞাপনে ক্লিক করা মাত্রই পাবলিশারদের অ্যাকাউন্টে প্রাপ্ত টাকাটা জমা হয়। প্রতি মাসের শেষের দিকে অ্যাডসেন্স কর্তৃপক্ষ অ্যাকাউন্টধারীর ঠিকানায় চেক ইস্যু করে।
একজন অ্যাডসেন্স পাবলিশার মাসে কত টাকা আয় করতে পারে?
আমাদের তরুণদের মধ্যে ব্লগ লিখে শত কোটি টাকা আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। গুগল অ্যাডসেন্স মূলত গুগলের একটি পণ্য। গতবছর গুগল এ পণ্য থেকে আয় করেছে ৭৭ হাজার ৬৮০ কোটি টাকারও বেশি বেশি পরিমাণ অর্থ (সূত্রঃ উইকিপিডিয়া)। তারা মধ্য সুবিধা প্রদানকারী হিসাবে ৩২ শতাংশ টাকা কেটে রাখে।
এখন ৩২ শতাংশ থেকেই গুগলের যদি আয় হয় ৭৭ হাজার কোটি টাকার বেশি, তাহলে ৬৮ শতাংশ পেয়ে অ্যাডসেন্স পাবলিশারদের আয় আরও বেশি। অন্যান্য দেশের অনেক তরুণ-তরুণীরা একমাত্র গুগল অ্যাডসেন্স থেকে মাসে ৩০ হাজার ডলারের উপরে আয় করছেন। সঠিক দিক নির্দেশনা আর নিয়মিত সাধনা করে গেলে প্রতি মাসে বাংলাদেশিরাও সমপরিমাণ বা তারচেয়ে বেশি আয় করতে পারে।
শুধুমাত্র বেসিক ইংরেজি জ্ঞান এবং নিয়মিত লিখে যাওয়ার ধৈর্য্যই গুগল অ্যাডসেন্সে সাফল্য পাওয়ার মূলমন্ত্র। বাংলাদেশী তরুন এবং বেকার যুবকরা তাদের অলস সময়ের কিছুটা সময় এর পিছনে ব্যয় করলে তাদের জীবনধারাই পাল্টে যেতে পারে। টাকা উপার্জনের এই ফ্রি এবং বৈধ প্লাটফর্মটিকে সঠিকভাবে কাজে লাগান গেলে বাংলাদেশ এই সেক্টর থেকেই প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারে।
বাংলাদেশে এখন এমন গুগল অ্যাডসেন্স পাবলিশার রয়েছেন যারা ব্লগ লিখে আয় করছেন ৩ থেকে ৫ হাজার ডলার পর্যন্ত। বাংলাদেশে গুগল অ্যাডসেন্সে খুব ভালো করছে এরকম মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। অনেকেই প্রফেশনাল ব্লগিং এর দিকে নজর দিচ্ছে এবং উত্তরোত্তর নিজের দক্ষতা উন্নয়ন করে অ্যাডসেন্স থেকে বেশ ভালো অংকের টাকা আয় করছে।
বর্তমানে প্রায় ৩৫ টি দেশের ভাষায় অ্যাডসেন্স চালু রয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, বাংলা ভাষায় এখনো অ্যাডসেন্স পাওয়া যায় না। অ্যাডসেন্স যদি বাংলা ভাষা সাপোর্ট করে; তবে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের বাংলা ব্লগাররা প্রচুর আয় করার স্বপ্ন দেখতে পারে।
গুগল অ্যাডসেন্সের চেক কিভাবে দেশে আনবেন?
গুগল অ্যাডসেন্সের চেক সাধারনত দুটি উপায়ে বাংলাদেশে আনা যায়। ডাক বিভাগের সাধারণ সার্ভিসের মাধ্যমে অথবা ডিএইচএল কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে। সাধারণ ডাক সার্ভিসের মাধ্যমে ঠিকানামতো পৌছাতে একটি চেক ১৫ থেকে ২০ দিনের মতো সময় নেয়। তবে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে মাত্র ৪ দিনের মধ্যেই চেক আনা সম্ভব।
may-adsense-earnings.jpeg
গুগল অ্যাডসেন্সের চেক কোথায় ক্যাশ করাবেন?
বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় অনেক সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংক গুগল অ্যাডসেন্সের চেক ক্যাশ করে থাকে। সরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে জনতা ব্যাংক এবং সোনালী ব্যাংক অন্যতম। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে এক্সিম ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, এইচএসবিসি এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংক গুগলের চেক ক্যাশ করে থাকে। একটি চেক ক্রেডিট হতে লোকাল ব্যাংকগুলোতে সাধারণত ২০ থেকে ৪৫ দিনের মতো সময় লাগে।
গুগল অ্যাডসেন্সে সাফল্য পেতে কতদিন লাগতে পারে?
গুগল অ্যাডসেন্সে সাফল্য পুরোপুরি নির্ভর করে ওয়েবসাইট বা ব্লগের কনটেন্ট এবং সাইটে আসা ট্রাফিকের উপর। কেউ যদি ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করার ঠিক ২ মাসের মধ্যেই প্রচুর পরিমাণ ট্রাফিক তথা ভিজিটর সাইটে আনতে পারে, তবে ঠিক ২ মাস পর থেকেই আয় করা সম্ভব। হতাশ না হয়ে নিয়মিত ভালো মানের ব্লগপোস্ট লিখে যেতে পারলে গুগল অ্যাডসেন্স থেকে সাফল্য আসতে বাধ্য। যদি লেগে থাকার মতো ধৈর্য থাকে এবং নিয়মিত নতুন নতুন ব্লগপোস্ট লেখা যায় তবে কেউ অ্যাডসেন্স নিয়ে কাজ শুরু করার ঠিক ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যেই সাফল্য পেতে পারে।
গুগল অ্যাডসেন্সে সাফল্য পেতে হলে যেসব বিষয় মাথায় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে!
১। পাঠক যাতে আপনার ব্লগ পড়ে স্বাচ্ছন্দ্য পায় এবং তার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সহজেই জানতে পারে সেজন্য পয়েন্ট অথবা তালিকা আকারে ব্লগ লিখুন।
২। একজন ব্লগারের লেখা পড়তেই পাঠকরা তার ওয়েবসাইটে আসেন। আর ওয়েবসাইটে গুছিয়ে এবং সাবলীলভাবে লেখার প্রতিই সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দেওয়া জরুরি। কারণ আপনি যত সুন্দরভাবে গুছিয়ে লিখতে পারবেন সাফল্যও তত দ্রুত আপনার দরজায় উঁকি দেবে।
৩। ব্লগে প্রতিটি আর্টিকেল পাবলিশ করার সময় রিলেটেড ছবি ব্যবহার করবেন। আর্টিকেলে যদি যথোপযুক্ত ছবি থাকে তা বিজ্ঞাপনে ক্লিক বেশি পড়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। তবে কখনোই বিজ্ঞাপন আর্টিকেলের ছবির পাশাপাশি বা একসাথে ঘেষে বসানো যাবে না। ছবি থাকলে আর্টিকেল পড়তে মানুষজন আগ্রহী হয় এবং বেশি সময় ধরে সাইটে অবস্থান করে। এটি সত্য যে, একজন ভিজিটর যদি বেশকিছু সময় ধরে সাইটে অবস্থান করে তবে তার মধ্যে আরো তথ্য জানার একটা আগ্রহ তৈরি হয় এবং তখনই কেবল সে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে।
৪। প্রথমেই খুব বেশি টাকা পাওয়া যায় এমন কিওয়ার্ড টার্গেট করে ব্লগ বানাবেন না। প্রথমে কম দামি কিওয়ার্ড টার্গেট করুন এবং সাইটে ভিজিটর আসতে শুরু করলে তারপর বেশি টাকা পাওয়া যায় এমন কিওয়ার্ড টার্গেট করুন।
৫। নিয়মিত ভালো মানের ব্লগপোস্ট প্রকাশ করুন। তবে কখনোই লেখা অন্য সাইট থেকে কপি করে প্রকাশ করা যাবে না। লেখার মান ভালো হলে সার্চ ইঞ্জিন থেকে প্রচুর ভিজিটর পাওয়া যায়। যেহেতু মোট ক্লিকের উপর টাকার পরিমাণ নির্ভর করে সেহেতু যত বেশি সম্ভব ট্রাফিক আনা যায় আয় বেশি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
৬। কখনই কপিরাইটকৃত ছবি ব্যবহার করবেন না। কারণ কপিরাইটেড ছবি ব্যবহার করলে গুগল যেকোন সময় অ্যাকাউন্ট ব্যান করে দিতে পারে।
৭। অপ্রাসঙ্গিক কোন ছবি, রং এবং অযাচিত উইজেট ব্যবহার করবেন না। এগুলো পাঠককে বিভ্রান্ত করে এবং সাইটের বাউন্স রেট বাড়িয়ে দেয়। একই সঙ্গে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করার সম্ভাবনাও কমিয়ে দেয়।
৮। মোটামুটি সার্চ হয় এরকম কিওয়ার্ড টার্গেট করে ব্লগ তৈরি করুন। গুগলের এক্সটারনাল কিওয়ার্ড টুল ব্যবহার করে, কিওয়ার্ড রিসার্চ এবং কম্পিটিটিভ এনালাইজ করে সঠিক কিওয়ার্ডগুলো নির্বাচন করুন এবং তার উপর ভিত্তি করে ব্লগপোস্ট তৈরি করুন। মনে রাখবেন, যত বেশি ইউনিক ব্লগপোস্ট পাবলিশ করা যায় আয়ের সম্ভাবনা ততই বেশি।
৯। একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে ব্লগিং করুন। বিভিন্ন টপিক নিয়ে ব্লগিং করলে সঠিক অ্যাড পাওয়া যায় না। ফলে বিজ্ঞাপনে ক্লিক পড়ার হার কমে যায়। সবচেয়ে ভাল হয় যদি গতানুগতিক টপিক সিলেক্ট না করে মার্কেট রিসার্চ করে এমন একটা টপিকে ব্লগিং করা যেটা নিয়ে সচরাচর মানুষ ব্লগিং খুব কম করে। এতে করে প্রতিযোগীতা কম হয় এবং খুব সহজেই সার্চ ইঞ্জিন থেকে ভিজিটর পাওয়া যায় এবং বিজ্ঞাপনের কস্ট পার ক্লিকও (প্রতি ক্লিকের মূল্য) বেশি পাওয়া যায়।
১০। নিয়মিত সাইটের ট্রাফিক, CTR (ক্লিক পড়ার হার) এবং পেজ ইম্প্রেশন মনিটর করুন। ইনভ্যালিড অথবা অস্বাভাবিক পরিমাণ ক্লিক পড়লে সাথে সাথে সেটা গুগলের কাছে রিপোর্ট করুন। এতে করে অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট ব্যান হওয়া থেকে রক্ষা পাবেন।
১১। কখনো সার্চ ইঞ্জিনকে টার্গেট করে অযাচিত কিওয়ার্ড দিয়ে ব্লগ বানাবেন না। কারণ সার্চ ইঞ্জিনগুলো শুধুমাত্র আপনাকে পাঠক এনে দিতে পারবে কিন্তু পাঠক যদি সাইটে বেশি সময় অবস্থান না করে তবে কখনো বিজ্ঞাপনেও ক্লিক করবে না।
গুগলের অ্যাডসেন্স বিষয়ে কিছু ভ্রান্ত ধারণার অপনোদন!
১। গুগলের অ্যাডসেন্স পাবলিশারদের অ্যাকাউন্ট বাতিল হয়ে যাওয়াঃ বাংলাদেশি কোন পাবলিশারের ওয়েবসাইটে একটু বেশি Click Through Ratio (CTO) অর্থ্যাৎ ক্লিকের হার বেশি হলেই অ্যাকাউন্ট বাতিল হয়ে যায়। এ কারণেই অনেক ব্লগার মাঝপথে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
২। অনেকগুলি সাইটে অনেকগুলি এ্যাডসেন্স ব্যবহার করলে আয় বেশিঃ এ্যাডসেন্সে লাভ দেখে অনেকেই একাধিক এ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট ব্যবহারে আগ্রহী হন। এটি করে আপনি প্রথম দিকে করে আয় করতে পারবেন কিন্তু পরে সব হারাতে হবে। কারণ গুগলের ট্র্যাক করার ক্ষমতা অন্যান্য সাইট থেকে সবচেয়ে বেশি তাই গুগল কোন একসময় সেটা ঠিকই ধরে ফেলবে এবং সবগুলি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেবে।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) সফটওয়্যার ব্যবহার করলে দ্রুত আয় বাড়েঃ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের জন্য সফটওয়্যার ব্যবহার করলে অবশ্যই সাইটের পরিচিতি বাড়ে কিন্তু এ্যাডসেন্সকে টার্গেট করে যদি সেটা করেন তাহলে গুগল সেটা পছন্দ করে না। গুগল এমন সাইটে লাভজনক এ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপন দেয় সেখানে ভিজিটর নিজে আগ্রহী হয়ে যায়। ফলে কোন সাইটে প্রতি ক্লিকে পাওয়া যায় কয়েক সেন্ট, কোন সাইটে কয়েক ডলার।
আপনারা যেহেতু অনলাইনে আয় করতে চান অবশ্যই এই সকল ধারণাকে এড়িয়ে চলবেন কারণ এই সকল ভুল ধারণাগুলো আপনার অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করবে। তাই যথাসম্ভব এই সকল উদ্দেশ্য এবং পথ এড়িয়ে আপনার জন্য শ্রেয়। কারণ অনলাইনে আয় অনেকই এ করতে পারে কিন্তু আয় করে সফল সকলে হতে পারে না। মনে রাখবেন, অ্যাডসেন্স থেকে টাকা উপার্জনের জন্য অনেক সময়ের প্রয়োজন।
reference-links.gif
ব্লগিংয়ের টপ টেন ওয়েবসাইট!
ব্লগিং বিষয়ে আরও ভাল ধারণা পাওয়ার জন্য নিচের দশটি ব্লগ সাইট দেখতে পারেন।
১। বিজনেস ইন সাইডার। লিংকঃ http://www.businessinsider.com/
২। শাউট মি লাউড। লিংকঃ http://www.shoutmeloud.com/
৩। হাফিংটন পোস্ট। লিংকঃ http://www.huffingtonpost.com/
৪। ম্যাশেবল। লিংকঃ http://www.mashable.com/
৫। প্রোব্লগার। লিংকঃ http://www.problogger.net/
৬। মেন উইথ পেনস। লিংকঃ http://www.menwithpens.ca/
৭। কপি ব্লগার। লিংকঃ http://www.copyblogger.com/
৮। ক্রিস ব্রগান। লিংকঃ http://www.chrisbrogan.com/
৯। স্মার্ট প্যাসিভ ইনকাম। লিংকঃ http://www.smartpassiveincome.com/
১০। দ্যা সিম্পল ডলার। লিংকঃ http://www.thesimpledollar.c

Leave a Reply

Subscribe to Posts | Subscribe to Comments

The Won Blog Of EARN FOR TEICKS. The Blog Created by Bijoy Kumar Biswas. Designed by বিজয়*বিজন*বিজু