Popular Post

zwani.com myspace graphic comments

Showing posts with label Adsense. Show all posts

Free adsense Bangla tutorial

এবার আমরা google ad sense সম্পর্কে বিস্তারিত জানবসবার প্রথমে আপনার দরকার একটি ফ্রি ওয়েব সাইট(ব্যক্তিগত হলেও চলবে) তৈরি করার এজন্য আপনি যেতে পারেন নিচের সাইট গুলোতে
1.www.blogger.com 2.www.synthasite.com 3.www.wordpress.com
মনে রাখবেন আপনি যে সাইটেই ওয়েব পেজ তৈরি করেন না কেন তা সম্পুর্ন ভাবে সম্পাদনা করার ব্যবস্থা থাকতে হবে। এবার আপনার ব্যক্তিগত সাইটটিকে বিভিন্ন content দিয়ে সাজান মনে রাখবেন আপনার সাইটিকে সাজানো কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ন কেকনা আপনার সাইটে যদি কোন content না থাকে তবে আপনি গুগুল এ্যাডসেন্সের কোন এ্যাকাউন্টা করতে পারবেন না। তাই আপনার ওয়েব পেজটিকে যথাসম্ভব সুন্দর করে সাজান।
এবার আপনাকে গুগুল এ্যাডসেন্সের একটি ফ্রি এ্যাকাউন্ট খুলতে হবে এবং তা করার জন্য আপনাকে www.google.com/adsense এ যেতে হবে এবং সেখানকার singUp অপশনে কিক্ল করে প্রাপ্ত ফর্ম সঠিক ভাবে পূরণ করতে হবে । ফর্মটি সঠিক ভাবে পূরণ করার পর গুগুল আপনার ওয়েব সাইটটি পর্যালোচনা করে ১-২ দিনে ভেতর আপনার ইমেল এ্যাডরেসে ইমেল করে জানিয়ে দেবে আপনার সাইটটি এ্যাডসেন্সের উপযোগী কিনা। আশা করি আপনি এভাবে একটি সফল গুগুল এ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পেরেছেন। এবার আপনার এ্যাডসেন্স এ্যাকাউন্টে user name ও password (যা আপনার ইমেল এ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেয়া হবে) দিয়ে লগ ইন করুণ ও সেখান হতে adsense set up tab এ কিক্ল করে বিভিন্ন রেডিও বাটনে কিক্ল করে পরপর continue নামক বাটনে কিক্ল করুন। সবশেসে আপনি কিছু HTML কোড পাবেন। এই কোড গুলো সেভ করে নিন ।এবার আপনার আপনার ওয়েব সাইটের html Editor এ কোড গুলো কাট করে পেষ্ট করে দিন তাহলেই আপনার সাইটে এই এ্যাড গুলো প্রর্দশিত হবে এবং ইউজাররা আপনার সাইটে প্রবেশ করে এসব এ্যাডগুলোতে কিক্ল করলেই আপনি পাবেন ডলার! এবার আপনার সাইটটিকে জনপ্রিয় করে তুলন
Tag : ,

অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করে দুই হাজার ডলার পর্যন্ত দেশে আনা যাবে

অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে সার্ভিস প্রোভাইডারসের (ওপিজিএসপি) মাধ্যমে সেবা রফতানির অর্থ সংগ্রহের শর্ত কিছুটা শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের ফ্রিল্যান্সাররা যাতে সহজে তাদের উপার্জিত অর্থ সংগ্রহ করতে পারে এজন্যই নতুন এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। গেটওয়ের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের পরিধি বাড়িয়ে প্রতিবারে ৫০০ ডলার থেকে সর্বোচ্চ দুই হাজার মার্কিন ডলার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আগে থেকে কোন ঘোষণার (পূর্বানুমতি) প্রয়োজন হবে না। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী সকল অনুমোদিত ডিলারদের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো সার্কুলারে বলা হয়েছে, সেবা রফতানির মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ (ইনওয়ার্ড রেমিট্যান্স) ওপিজিএসপির মাধ্যমে সংগ্রহ করতে সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। প্রতি লেনদেনে দুই হাজার ডলার পর্যন্ত সংগ্রহ করা যাবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত সি ফর্মে ঘোষণা করার প্রয়োজন হবে না। তবে মাস শেষে ডিলার ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকে যে রিপোর্ট পাঠায় তাতে ওই অর্থের কথা উল্লেখ করতে হবে।
জানা গেছে, ওপিজিএসপি সেবা দেয়ার জন্য গত বছর আগস্টে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি, ডাটা প্রসেসিং, বিজনেস প্রসেসিং, বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং, অফশোর তথ্যপ্রযুক্তি প্রভৃতি কাজের মাধ্যমে সেবা রফতানি হচ্ছে। এসব সেবা থেকে অর্জিত অর্থ এর আগে ব্যাংক ব্যবস্থায় আনতে হতো। এতে বিদেশের অনেক প্রতিষ্ঠান অর্থ পরিশোধে বিব্রত বোধ করত। কেননা বেশিরভাগ দেশে এ ধরনের সেবার বিপরীতে অর্থ অনলাইনে পরিশোধ করা হয়। বর্তমানে ওপিজিএসপিতে অর্থ পেতে আন্তর্জাতিক অনলাইন পেমেন্ট কোম্পানি অ্যালার্টপে অনুমোদন পেয়েছে। গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে যার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পরে ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এ সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
এই সিদ্ধান্ত দেশে অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে পেপ্যাল এর কাজ শুরুর পথকেও প্রশস্ত করবে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
Tag : ,

ফ্রিল্যান্সারদের অনলাইন পেমেন্ট সহায়তা করেন ইকরাম

মোঃ ইকরাম। একাধারে তিনি ওয়েব ডেভেলপার, গ্রাফিক্স ডিজাইনার, ব্লগার, এসইও, আউটসোর্সিং এবং ইন্টারনেট মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ। ১৯৯৯ সালে এস.এস.সি পরীক্ষা শেষ করে তিনি আতাউর রহমান সোহেল নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রথম মাইক্রোসফট অফিস শেখেন। এরপর হার্ডওয়্যার নিয়ে কাজ করে এ সম্পর্কে তার অনেক ধারণা হয়ে যায়। দুই বছর পর ২০০১ সালে এলিফ্যান্ট রোডে একটি কম্পিউটার বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করেন। হার্ডওয়্যার নিয়ে তার প্রচণ্ড আগ্রহের কারণে এখানে দুই বছর থেকে আরো বেশি এক্সপার্ট হয়ে যান। এরপর তিনি অনেক প্রতিষ্ঠানেই হার্ডওয়্যার সাপোর্ট দিতে থাকেন।
Ekram-10.jpg
তিনি দেশের একটি বড় সাংবাদিক ট্রেনিং ইন্সটিটিউট বিজেম এ ৫ বছর ধরে আইটি এডভাইজার হিসেবে হার্ড।ওয়্যার ও নেটওয়ার্কিং সাপোর্টসহ সব ধরনের আইটি সাপোর্ট দিচ্ছেন। এছাড়া তার প্রিয় বন্ধু ইফতেখারের সহযোগিতায় কাঁটাবনে ওয়েব ডিজাইন কোম্পানী প্রতিষ্ঠা করেন যেখানে তিনি কোম্পানীর অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, মার্কেটিং, হার্ডওয়্যার, নেটওয়ার্কিং, গ্রাফিক্স ডিপার্টমেন্টের দেখাশোনা করতেন। আট মাসে তাদের অবস্থান প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি হলেও সামান্য ভুল বুঝাবুঝির কারণে সে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হয়। সে সময় তার পার্টনার তাকে চ্যালেঞ্জ দেয় আর সেই চ্যালেঞ্জ থেকেই তিনি আইটিতে নিজেকে দক্ষ হিসেবে তৈরির পরিকল্পনা করেন। প্রথম প্রথম বিভিন্ন সিডি কিনে এবং বই পড়ে প্রথম দক্ষ হন ফ্লাশ এনিমেশনের ওপর। বাচ্চাদের জন্য একটা এনিমেটেড সিডিও তৈরি করেন তিনি। এরপরের পরিকল্পনা ছিল ওয়েবডিজাইন শিখার। সেটাও গুগল থেকে সাহায্য নিয়ে শিখে ফেলেন। তিনি ওয়েব ডিজাইন শিখে প্রথম কাজটাই পেয়েছিলেন একটি বড় কোম্পানীর। কোম্পানীর নাম গিভেন্সী গ্রুপ। তিনি বলেন, আমার প্রথম ওয়েবডিজাইন মাত্র ১ মাস নিজে নিজে শেখার পরেই করি। এই কাজের পর থেকেই আবার সবার সামনে নিজেকে অন্য পরিচয়ে নিয়ে আসি। শুরু হয় নতুন জীবনের পদচরনা এবং এখনও চলছে। তিনি গতানুগতিক ধারার বাইরে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে থাকেন। বাংলাদেশে যারা অনলাইনে আয় করা ডলার ক্যাশ করতে সমস্যায় পরেন তাদের জন্য তিনি পেপ্যালসহ অন্য ইন্টারন্যাশনাল কার্ড সাপোর্ট দিয়ে থাকেন । তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম পেবিডিটি। ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে তার অভিজ্ঞতার গল্প বলেছেন প্রিয়.কমের সাথে। ইকরাম সম্পর্কে আরো জানতে তার ফেসবুক, ব্যক্তিগত সাইট এ যোগদান করতে পারেন।
Ekram-11.JPG
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে প্রথম ধারণা পেলেন কিভাবে?
মোঃ ইকরাম: আমি যখন প্রথম ওয়েবসাইট বানাই তখন থেকেই বাইরের কাজ কিভাবে যোগাড় করা যায়, সেটা নিয়ে ভাবছিলাম। মূলত তখন থেকেই ফ্রিল্যান্সিং কাজের ধারনা পেতে শুরু করি।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিংয়ে কিভাবে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন?
মোঃ ইকরাম: আমি যখন দেশের বাইরের কাজ যোগাড় করার চিন্তা করি, তখন মাথাতে আসে প্রথম ই-কমার্স ব্যবসা করার। এই পরিকল্পনা থেকে আমি আমার এক অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী বন্ধুর মাধ্যমে সে দেশে ব্যবসা করার লাইন্সেস নেই। একটা ই-কমার্স সাইট বানাই আমার অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী সেই বন্ধুর সাহায্য নিয়ে। তখন এই ব্যবসার জন্য পেপ্যাল, মাস্টারকার্ড, ভিসা কার্ড এর ব্যবস্থা করি। ৫ টা অষ্ট্রেলিয়ান ওয়্যার হাউজের সাথে চুক্তিও শেষ করি। কিন্তু যে ধরনের সেটআপ দরকার সেটার ব্যবস্থা করতে পারছিলাম না। তখন আপাতত সেটার পরিকল্পনা বন্ধ রাখলাম। আবার অন্যদিকে আমার কাছে বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল কার্ড আছে জানার পর অনেকে তাদের বিভিন্ন সার্ভিসের জন্য আমার সাহায্য নেয়া শুরু করল। তখন অনেকের অনুরোধ রাখতে গিয়ে শুরু করি অনলাইন পেমেন্ট সাপোর্ট ব্যবসা। এই প্রজেক্টের নাম দেই পেবিডিটি। সেটা করার পর আমি অনেক কিছু শিখতে পারি। ফ্রিল্যান্সিং জগতের অনেক অলিগলি সম্পর্কে জানতে পারি। কারন যারা অনলাইনে উপার্জন করে তাদের অনেকে ডলার আনার জন্য পেবিডিটি'র সার্ভিস নিয়ে থাকে। এই সার্ভিস দিতে গিয়ে দেখি, অনেকে অনেক জায়গা থেকে ইনকাম করে। অনেক অজানা পদ্ধতিগুলো জানতে পারি। মূলত এই ব্যবসা করতে গিয়েই ফ্রিল্যান্সিংয়ের ব্যাপারে ভাল ভাবে উদ্ধুদ্ধ হই।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিংয়ে আসার জন্য সবচেয়ে বেশি উৎসাহ পেয়েছিলেন কোথা থেকে?
মোঃ ইকরাম: paybdt ব্যবসা করার কারনে অনেকে আমার কাছ থেকে ইনকামের ব্যাপারগুলো নিয়ে সাহায্য চাইত। আমি নিজে কাজ শুরুর আগেই মানুষকে এই ব্যপারে সহযোগিতা শুরু করি। পরে কখন যে নিজেও এই জগতের সাথে যুক্ত হয়ে যাই তা টেরই পাইনি!
প্রিয় টেক: কবে থেকে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেছিলেন? সাধারণত কি কাজ করেন?
মোঃ ইকরাম: ২০০৯ থেকে আমি এই জগতে পা রাখি। এফিলিয়েশন কাজ বেশি করি।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং এ আপনার প্রিয় সাইট কোনগুলো?
মোঃ ইকরাম: http://www.freelancer.com , http://www.flippa.com, http://fiverr.com
প্রিয় টেক: অন্য সাইট গুলো থেকে আপনার সব থেকে প্রিয়ই সাইটের তফাৎ কি?
মোঃ ইকরাম: যেকোন গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা freelancer.com এর বিভিন্ন প্রতিযোগীতাতে অংশগ্রহন করে ডলার আয় করতে পারে যেটা অন্য অনেক উপায়ের তুলনায় অনেক সহজ পদ্ধতি। fiverr.com আপনাকে বায়ার খুজতে হয়না, বায়ার আপনাকে খুঁজে বের করবে। এই সাইটের কাজগুলো মাত্র ৫ ডলার হওয়ার কারনে অনেকেই এখানে কাজ করতে আগ্রহ পায় না। কিন্তু তাদের জন্য বলি, আমার একজন ক্লায়েন্ট এই সাইট থেকে একমাসে ২৪০০ ডলার ইনকাম করে সেটা আমার মাধ্যমে পেমেন্ট গ্রহন করেছে।
Ekram-09.jpg
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি?
মোঃ ইকরাম: আমাদের দেশে অনলাইনে যারা উপার্জন করে তারা সবাই এক জায়গাতেই দৌড়ায়। যখন ডাটা এন্ট্রির হাওয়া ছিল তখন সবাই মিলে এই কাজটাই করেছে। যখন লাইভ স্ট্রিমিংয়ের এফিলিয়েশন শুরু হল সবাই এই জায়গাতে ঝাপিয়ে পড়ল। এখন চলছে ওডেস্কের হাওয়া, সবাই এখন এখানে সাতার কাটছে। কিন্তু অনলাইন ইনকাম মানে শুধু মাত্র ওডেস্ক, এফিলিয়েশন না। আরও অনেক উপায় আছে, যেগুলা আমরা জানিনা। সেগুলা মানুষকে জানানোর জন্য আমার একটা বই ছাপানোর পরিকল্পনা আছে। সেটা বর্তমানে প্রতি মঙ্গলবার দৈনিক আমার দেশ পত্রিকাতে "অনলাইনে ইনকামের ১০০ উপায়" শিরোনামে ছাপা হচ্ছে। এখানে আমি অনলাইনে ইনকামের সত্যিকারের ১০০ টা উপায় নিয়ে ধারাবাহিকভাবে লিখছি। ভবিষ্যতে বই আকারে প্রকাশ করার ইচ্ছা আছে, যদি আল্লাহ সেই সুযোগ দিয়ে থাকেন।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং এ এখন পর্যন্ত আপনার অর্জন কতটুকু?
মোঃ ইকরাম: অর্জনের ব্যপারে বলতে গেলে বলতে পারি, আমি অনেকগুলো উপায়ে উপার্জন করেছি যেগুলো আমাদের দেশের খুব কম মানুষ জানে। এই অর্জনটুকুই আমি বড়ভাবে দেখছি।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয় করা প্রথম টাকা কিভাবে পেয়েছিলেন?
মোঃ ইকরাম: আমার নিজের পেপ্যাল কার্ডের মাধ্যমে।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং এ প্রথম কোন কাজ করেছেন এবং প্রথম পেমেন্ট কত পেয়েছিলেন?
মোঃ ইকরাম: fiverr.com এ ফ্লাশ ব্যনার বানানোর কাজ দিয়ে আমার শুরু। ওখানে তো আসলে মাত্র ৫ ডলার পেমেন্ট করে থাকে।
প্রিয় টেক: বাংলাদেশ থেকে ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কাজ করার সম্ভাবনা কেমন?
মোঃ ইকরাম: বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং অনেক ভাল অবদান রাখার সম্ভাবনা আছে। আমাদের মত দরিদ্র দেশগুলোতে শ্রমের মূল্য কম দেখে বায়াররা এসব কাজ করিয়ে নিতে আগ্রহবোধ করে। এদেশে বর্তমানে মানুষদের মধ্যে প্রচুর আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে এই ব্যপারে। অনেকে কাজ করার জন্য এগিয়ে আসছে আবার অনেকে ব্যক্তিগতভাবে কিংবা সংগঠিতভাবে অন্যকে দক্ষ করে তৈরির জন্য এগিয়ে এসেছে। এটা অনেক ভাল লক্ষণ। ইতিমধ্যে বায়ারদের কাছে বাংলাদেশের ব্যাপারে ভাল ধারনা তৈরি হয়েছে।
প্রিয় টেক: বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তির মন্দ দিক কোন গুলো ?
মোঃ ইকরাম: আমাদের দেশে বিদ্যুৎ সমস্যা এবং ইন্টারনেট সমস্যাটা সবচেয়ে বেশি। এই দিকগুলোতে সমস্যা দূর করা গেলে ঢাকার বাইরের জেলাগুলো থেকে আরো অনেক লোক প্রস্তুত হবে এই কাজ করার জন্য।
প্রিয় টেক: আপনার কাছে দেশের তথ্য প্রযুক্তির ভালো দিকগুলো কি কি?
মোঃ ইকরাম: আমাদের দেশে তথ্যপ্রযুক্তির যাত্রা খুব বেশিদিনের নয়। তারপর অনেক মানুষের চেষ্টাতে আমরা খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি।
অনেক ব্লগ এবং ফেসবুক আপনি দেখে থাকবেন অনেক সফল ব্যক্তি তাদের অনেক ব্যস্ততার মধ্যেও যেকোন ধরনের সাহায্য কেউ চাইলে সহযোগিতা করে। বিভিন্ন ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমেও তারা অনেক দক্ষ লোক তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যেখানে এদেশের সব জায়গাতে এখন কলুষিত হয়ে গেছে, সেখানে আইটি জগতের এই রকম সৎ পরিবেশ আমাকে বড় স্বপ্ন দেখায়। এটা আমাদের তথ্য প্রযুক্তির অনেক ভাল দিক।
প্রিয় টেক: প্রথম প্রথম ইন্টারনেট কি কাজে ব্যবহার করতেন আর এখন ইন্টারনেটে কি নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকেন?
মোঃ ইকরাম: প্রথম কম্পিউটার ব্যবহার শুরু করি ১৯৯৯ সালে আর প্রথম ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু করি ২০০০ সালে। প্রথম দিকে শুধুমাত্র গান, ওয়ালপেপার সংগ্রহের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করতাম। এখন ইন্টারনেটে খুব বেশি দেশি বিদেশি ব্লগের লেখা পড়ে, বিভিন্ন পত্রিকার কলাম পড়ে সময় কাটে। নিজেও বিভিন্ন ব্লগে রেগুলার লেখি। ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে অনেকের প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়।
প্রিয় টেক: তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির জন্য সরকারের কি কি করা উচিত ?
মোঃ ইকরাম: এই মুহুর্তে ২টা দাবি সরকারের কাছে। বিদ্যুৎ সমস্যা দূর করতে হবে, ইন্টারনেট সেবা দেশের সবজায়গাতে সহজলভ্য করতে হবে।
প্রিয় টেক: ইন্টারনেটেই যেহেতু আয় তো বাংলাদেশের ইন্টারনেট সার্ভিস নিয়ে কি আপনি সন্তুষ্ট?
মোঃ ইকরাম: বাংলাদেশের ইন্টারনেট সার্ভিস আগে থেকে অনেকগুন উন্নত হয়েছে। তবে অনেক ভাল করতে হবে। আমার কাছে মনে হয় সরকারের এই জায়গাতে নিয়ন্ত্রন অনেক কম। যে যার মত ব্যবসা করে যাচ্ছে। সরকারকে এখনই জোরালো কোন পদক্ষেপ নেয়া জরুরী।
Ekram-01.JPG
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং এর কাজগুলো সাধারণত কোন সময় করেন?
মোঃ ইকরাম: রাতের সময়টা ছাড়া এই কাজ করার মত সময় এখন পাইনা।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য সবচেয়ে কোন প্রতিবন্ধকতায় বেশি পড়েছেন?
মোঃ ইকরাম: দক্ষলোকের অভাবের কারনে অনেক কিছু করার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও এখনও অনেক কিছুই করতে পারছি না।
প্রিয় টেক: স্বাধীনভাবে নাকি দলগত ভাবে কাজ করছেন?
মোঃ ইকরাম: দলগতভাবে।
প্রিয় টেক: বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের সবচেয়ে বড় সমস্যা কোনটি বলে মনে করেন?
মোঃ ইকরাম: আমাদের জাতিগতভাবে ধৈর্য্য অনেক কম। সেই সমস্যা থাকার কারনে অল্পদিনেই অনেক কিছু চাই। যেটা ফিল্যান্সিংয়ের অনেক জায়গাতে এখনও আমাদের ভাল অবস্থান থাকলেও ভবিষ্যতে সেটা হয়ত খারাপের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
প্রিয় টেক: ভবিষ্যতে কি ফ্রিল্যান্সিংকেই ক্যারিয়ার হিসাবে নিতে চান নাকি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাজ করতে চান?
মোঃ ইকরাম: অবশ্যই প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাজ করার স্বপ্ন দেখি।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কাজ করতে সরকারের কাছে কি কোনো চাওয়া আছে?
মোঃ ইকরাম: ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আগ্রহ তৈরির জন্য সরকারকে উদ্যোগ নেয়া উচিত। পেপ্যাল সার্ভিস শুনেছি জানুয়ারিতে চালু হবে। সেটা যেন আর না পিছায় যায় সেই দিকে সরকারকে খেয়াল রাখা উচিত।
প্রিয় টেক: বায়াররা বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের কেমন মূল্যায়ন করে বলে মনে করেন?
মোঃ ইকরাম: বাংলাদেশের অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং জগতে অনেক স্বীকৃতি পেয়েছে। এ জন্য আমাদের দিকে বায়ারদের আগ্রহ ও আস্থা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং এ ভালো পারফরমেন্স করার জন্য কি কি যোগ্যতা থাকা উচিত?
মোঃ ইকরাম: সবার আগে বলব ইংরেজী জানতে হবে। বায়ারদের সাথে কমিউনিকেশনের জন্য এটা জরুরী। ধৈর্য্য বাড়াতে হবে। কম্পিউটারের যেকোন একটি বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। সাধারনত এসইও, গ্রাফিক্স এবং ওয়েব ডিজাইন জানা লোকদের ফ্রিল্যান্সিং এ ভাল চাহিদা করতে পারে।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং এ যারা নতুন তাদের জন্য কি পরামর্শ দিবেন?
মোঃ ইকরাম: আগে কিছু শিখার জন্য সময় ব্যয় করতে হবে। এখন যেকোন কিছুর জন্য অনেক ভাল ভাল প্রতিষ্ঠান আছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্লগগুলো থেকেও অনেক কিছু শিখা যায়। তাছাড়া ইউটিউব তো আছেই। আগেই টাকার জন্য কাজ না করে, দক্ষ হওয়ার জন্য কাজ করুন। যখন আপনি দক্ষ হবেন তখন টাকা আপনার পিছনে ছুটবে
Tag : ,

আউটসোর্সিং-এ সফল ব্যক্তিত্ব সাঈদ ইসলাম

 সাঈদ ইসলাম। বাংলাদেশে আউটসোর্সিং-এ সামনের সারি থেকে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি তাদের একজন। পেশায় একজন তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। দেশে ও দেশের বাইরে প্রযুক্তির নানা ক্ষেত্রে তার পদচারণা রয়েছে। দক্ষতা অর্জন করেছেন সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার, ওপেন সোর্স, লিনাক্স, ভিওআইপি এবং টেলিফোন বিলিং সিস্টেমের ওপর। পড়াশোনা করেছেন কানাডা থেকে। সফলতার সাথে বিগমাসটেক কমিউনিকেশনস লি: নামের একটি প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন। বাংলাদেশ থেকে আউটসোর্সিং-এ আয় করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন প্রিয়.কমের সাথে। সাঈদ ইসলাম সম্পর্কে আরও জানতে তার ফেসবুক পেজ অথবা লিঙ্কড ইনে যোগ দিতে পারেন।
সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
সাঈদ ইসলাম প্রিয়.কমের সাথে আলাপ কালে প্রযুক্তি নিয়ে তার ছোট থেকে বেড়ে ওঠা এবং অনেক পাওয়া না পাওয়ার গল্প বলেছেন। তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকে কারিগরী বিষয়ক যেকোন ব্যাপারেই আমার কৌতূহল ছিল। কানাডায় ছাত্রাবস্থায় ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত একটি কম্পিউটার কেনার সামর্থ্য আমার কখনও ছিল না। বিধায় কম্পিউটার আছে এমন কাউকে পেলে তার সাথে বন্ধুত্ব জুড়ে দিতাম আর সে সুবাদে তার কম্পিউটারটি ব্যবহারের সুযোগ হত।
২০০১ সালে পার্ট টাইম হেল্প ডেস্ক/টেকনিক্যাল সাপোর্ট হিসেবে আমার কম্পিউটার পেশার যাত্রা শুরু। তখন উইন্ডোজ সিস্টেম নিয়েই কাজ করতাম আর পাশাপাশি ঘরে ছোট আকারে ল্যাব বানিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে রিসার্চ করে সেগুলো প্র্যাকটিস করতাম। বিশেষ করে টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম। চাকরিরই পাশাপাশি শুরু করি টরেন্টোর ছোট-খাট লিনাক্স ও অ্যাপেল সিস্টেম নির্ভর প্রতিষ্ঠান গুলোকে সাপোর্ট দেয়া। এভাবে আমি লিনাক্স, ভিওআইপি এবং টেলিফোন বিলিং সিস্টেম এ বেশ পারদর্শী হতে থাকি। হঠাৎ করে একদিন স্বল্প ব্যয়ে টেলিফোন সার্ভিস দেয় এমন এক মাঝারি সাইজ এর প্রতিষ্ঠান জি-৩ টেলিকম-এ চাকরির প্রস্তাব পাই। চাকরিতে যোগদানের পর ওখান থেকে আমি টিডিএম সুইচ, সিসকো নেটওয়ার্কিং ও অ্যাডভান্স বিলিং শেখার সুযোগ পাই যা আইটি জগতে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এরপর ২০০৫ থেকে ২০০৯ এর শুরুর দিক পর্যন্ত আমি ওখানকার বড় বড় দুটি প্রতিষ্ঠানে সিনিয়র লিনাক্স সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেটর পদে চাকরি করি এবং শিখি অ্যাডভান্স সিস্টেম টেকনোলজি। যা বিশেষ করে সরকারি, ব্যাংক, টেলিফোন অপারেটর এবং গ্রুপ অফ কোম্পানির মতো প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যবহার হয়। এর পাশাপাশি চুক্তি ভিত্তিক কাজ করতে থাকি ২০০৬ পর্যন্ত।
২০০৯ সালের মার্চ মাস। উত্তর আমেরিকার ১০ দশ বছরের তথ্য প্রযুক্তির অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে বাংলাদেশ উন্নয়নের অংশীদার হবো এই পরিকল্পনা নিয়ে আমার সর্বশেষ কর্মস্থল কানাডার একটি অনলাইন গেমিং প্রতিষ্ঠান এ। যারা শিশু কিশোরদের জন্য গেইমস তৈরি করে, তাদের থেকে ছয় মাস মেয়াদী বাংলাদেশ থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা যাবে এমন একটি চুক্তি ভিত্তিক আইটি কনসালটেন্সি কাজ নিই আর সেটাকে পুঁজি করে দেশে ফিরে আসি। বাংলাদেশ থেকে টানা দেড় বছর প্রতিষ্ঠানটিকে আইটি সেবা প্রদান শেষে আমাকে প্রস্তাব করা হলো কানাডা ফিরে গিয়ে তাদের অফিস থেকে কাজ করতে। আমি সেই প্রস্তাবে রাজি না হয়ে দেশেই থেকে যাবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিই।
এর মাঝে হটাৎ করে গুগল থেকে ইমেইল পাই সিনিয়র সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং পদে চাকরির জন্য। উত্তেজনাময় অবস্থায় প্রস্তুতিহীন ভাবেই দুই ধাপ টেলিফোন ইন্টারভিউ দেই। তৃতীয় ধাপে এসে কর্মস্থল হিসেবে আমাকে জিজ্ঞেস করা হলে আমি পার্শ্ববর্তী দেশে ভারতকে বেছে নিই। কারণ ভারত বাংলাদেশের সব চেয়ে নিকটবর্তী দেশ যা বাংলাদেশ থেকে যাওয়া আসার জন্য সহজ। দুর্ভাগ্য বশত আমাকে জানানো হয় যে তাঁদের সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং টিম শুধু মাত্র যুক্তরাষ্ট্র ও সুইজারল্যান্ডের জন্য প্রযোজ্য। চাকরিটা হলে আরও বিশেষ কাজ শেখা আমার জন্য হতো সুবর্ণ সুযোগ।
প্রিয় টেক: আউটসোর্সিং-এ কিভাবে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন এবং কার উৎসাহে উৎসাহিত হয়েছিলেন?
সাঈদ ইসলাম: ২০০৬ সাল থেকেই আমি কানাডা থেকে ফেরত এসে বাংলাদেশে স্থায়ী ভাবে বসবাস করার জন্য চেষ্টা করতে থাকি। অবশেষে ২০০৯ সালের মার্চ মাসে স্থায়ী ভাবে দেশে ফেরার পর ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আমার এক ছোট ভাই রাকিব এর মাধ্যমে ওডেস্ক সম্পর্কে জানতে পাই। তার যথেষ্ট উৎসাহে আমি ওডেস্ক এর সাথে পুরোপুরি সম্পৃক্ত হয়ে যাবার চেষ্টা চালানো শুরু করে দেই। আমার অভিজ্ঞতা অথবা দক্ষতা অনুযায়ী পছন্দ মত কাজ যেমন অ্যাডভান্স সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং/এডমিনিস্ট্রেশন/আর্কিটেকচার ও ক্লাউড কম্পিউটিং এর কাজ ওডেস্ক ক্যাটাগরির তালিকায় খুবই কম। এর হার ৫ শতাংশ বলা যেতে পারে। সংখ্যার হার কম থাকলেও হাল না ছেড়ে টানা এক মাস চেষ্টার পর ২য় মাসে মোটামুটি একটি মনের মতো কাজ পেয়ে যাই আর সেখান থেকে আমার ওডেস্ক বা আউটসোর্সিং জীবন শুরু।
প্রিয় টেক: আউটসোর্সিং-এ সাধারণত কি কাজ করেন?
সাঈদ ইসলাম: আমি একজন সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার, আর্কিটেক্ট এবং ওপেন সোর্স প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। আমার অভিজ্ঞতা অথবা দক্ষতা অনুযায়ী পছন্দ মত কাজ যেমন অ্যাডভান্স সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং/এডমিনিস্ট্রেশন/আর্কিটেকচার ও ক্লাউড কম্পিউটিং বিষয়ক কাজ করে থাকি। এছাড়াও ওপেন সোর্স প্রযুক্তি ভিত্তিক যেকোনো কাজসহ সিস্টেম ডিজাইন, ডেপলয়মেন্ট, ইন্টিগ্রেশন, ম্যানেজমেন্ট, ট্রাবলশুটিং ও অটোমেশন আমার কাজের অন্তর্ভুক্ত।
প্রিয় টেক: আউটসোর্সিং ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে প্রথম ধারণা পেলেন কিভাবে?
সাঈদ ইসলাম: ২০০৫ এর শেষের দিকে আমি এই ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পাই। এবং এর ভিত্তিতে বাংলাদেশ থেকে সার্ভিসসহ সফটওয়্যার তৈরি করিয়ে উত্তর আমেরিকার বাজারে রপ্তানি করার লক্ষে ২০০৬ সালে ঢাকার মহাখালী এলাকায় বিগমাসটেক কমিউনিকেশনস লিঃ নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালু করি। যা তখন আমি কানাডা থেকে নিয়ন্ত্রণ করতাম। এরপর ২০১০ সালে যখন থেকে ওডেস্ক মার্কেটপ্লেইস কাজ সংগ্রহ করা শুরু করি তখন থেকে এই আউটসোর্সিং ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা পাই।
প্রিয় টেক: এই ইন্ডাস্ট্রিতে এখন পর্যন্ত আপনার অর্জন কতটুকু?
সাঈদ ইসলাম: আউটসোর্সিং ইন্ডাস্ট্রিতে তথ্য প্রযুক্তি সম্পৃক্ত মূলধারার কাজের সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে খুবই কম। অর্থাৎ উন্নত বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠান গুলোর সম্পৃক্ততা এই আউটসোর্সিং মার্কেট প্লেসের সাথে তেমন দেখা যায় না। এতে করে আমার তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা উচ্চতর কাজের ক্ষেত্রে ব্যাবহার করার সুযোগ এখনও মনের মতো করে হয়নি। তবে অন্যান্যদের তুলনায় আমার অর্জন বেশ ভালো। উল্লেখ্য যে, গুগল ইতিমধ্যে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কাজ করানো শুরু করেছে তবে কি ধরণের কাজ করিয়ে যাচ্ছে তা আমার এখন পর্যন্ত জানা নেই।

প্রিয় টেক: এখান থেকে আয় করা প্রথম টাকা কিভাবে পেয়েছিলেন?
সাঈদ ইসলাম: আউটসোর্সিং ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম মার্কেট প্লেস ওডেস্ক থেকে আয় করা টাকা প্রাথমিক ভাবে তাদের অ্যাকাউন্টে জমা থাকে যা একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর উত্তোলন করা যায়। আমি প্রথম থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত ওয়্যার ট্রান্সফারের মাধ্যমে আমার এইচএসবিসি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে নিয়ে আসছি যাতে সময় লাগে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মতো। এতে করে ওয়্যার ট্রান্সফার চার্জ হিসেবে প্রতি বার আমাকে ৩০ ডলার করে দিতে হয়।
প্রিয় টেক: প্রথম টাকা পেতে কি কোনো বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন?
সাঈদ ইসলাম: যেহেতু আমি বাংলাদেশে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা আনার পদ্ধতি ও সম্ভাব্য বিড়ম্বনার ওপর যথেষ্ট খোঁজখবর করেছিলাম এবং সে অনুযায়ী প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছিলাম। সেহেতু আমাকে কোন প্রকার বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হয়নি।
প্রিয় টেক: আউটসোর্সিং ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথম কোন কাজ করেছেন এবং প্রথম পেমেন্ট কত পেয়েছিলেন?
সাঈদ ইসলাম: প্রথম কাজটি সিস্টেম ইনফ্রাষ্ট্রাকচার মাইগ্রেশন ভিত্তিক। দুই মাস নাগাদ কাজটি করার পর যে পেমেন্ট পেয়েছিলাম তা কানাডার সমমানের চাকরির বেতনের কাছাকাছি। এখানে বলে রাখা প্রয়োজন যে ভাল পেমেন্ট শুধু দক্ষতার ভিত্তিতে সম্ভব।
প্রিয় টেক: প্রথম টাকা পাওয়ার অনুভূতি কেমন ছিলো?
সাঈদ ইসলাম: আউটসোর্সিং থেকে প্রাপ্ত প্রথম পেমেন্টের টাকা আমাকে আরও উৎসাহিত করে এবং পর্যাপ্ত আত্মবিশ্বাস যোগায়।
প্রিয় টেক: বাংলাদেশ থেকে আউটসোর্সিং নিয়ে কাজ করার সম্ভাবনা কেমন?
সাঈদ ইসলাম: আউটসোর্সিং কাজের সম্ভাবনার কথা বলতে গেলে গেলে আমি বলবো এটি উজ্জ্বল সম্ভাবনাময়। একটি বিশেষ ক্ষেত্র যা অদূর ভবিষ্যতে বর্তমানের বিপুল লাভজনক গার্মেন্টস শিল্পের সাথে তুলনীয়, তবে এক্ষেত্রে সরকারসহ সবার সহায়তা ও সচেতনতা প্রয়োজন।
প্রিয় টেক: বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তির মন্দ দিক কোন গুলো?
সাঈদ ইসলাম: প্রধানত বিদ্যুৎ সহ ধীর গতির অনিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট। এছাড়া তুলনামূলক ভাবে বাংলাদেশে ইন্টারনেট সার্ভিসের মূল্য বেশি।
প্রিয় টেক: আপনার কাছে দেশের তথ্য প্রযুক্তির ভালো দিকগুলো কি কি?
সাঈদ ইসলাম: বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তির ভালো দিকগুলো বলতে না পারলেও প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে তুলনা করলে দেখা যায় যে আমরা সঠিক পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার অভাবে তাদের থেকে এখনও অনেক পিছিয়ে আছি।

প্রিয় টেক: তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির জন্য সরকারের কি কি করা উচিত?
সাঈদ ইসলাম: প্রথমত সরকারকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট নিশ্চয়তার জন্য সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে। অতঃপর বর্তমান তথ্য প্রযুক্তি সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানে ও ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলতা চিহ্নিত করে তা সংস্করণ করতে হবে। যে সকল প্রকল্প বাস্তবায়নে সঠিক পরিকল্পনা ছিল না তা সনাক্ত করে পুনর্বিবেচনা করতে হবে।
প্রিয় টেক: ইন্টারনেটেই যেহেতু আয় তো বাংলাদেশের ইন্টারনেট সার্ভিস নিয়ে কি আপনি সন্তুষ্ট?
সাঈদ ইসলাম: আমার সামর্থ্য সাধ্য অনুযায়ী ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে আমি একাধিক সংযোগ রাখি। সন্তুষ্ট হবার কাছাকাছি থাকি কিন্তু সাধারণ ব্যবহারকারীদের কথা বিবেচনা করলে এটি সন্তোষজনক নয়।
প্রিয় টেক: আউটসোর্সিং এর কাজগুলো সাধারণত কোন সময় করেন?
সাঈদ ইসলাম: বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ক্লায়েন্ট শিডিউল অথবা প্রোজেক্ট ডেডলাইন অনুসারে নিজের সময় মতো করি। তবে কিছু কিছু কাজের ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট এর অফিস টাইম এর সাথে মিলিয়ে কাজ করতে হয়। সেক্ষেত্রে আমাদের দেশের সময় অনুযায়ী দুপুর দুইটা থেকে ইউরোপিয়ান ক্লায়েন্ট এর জন্য এবং সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত দুইটা বা চারটা পর্যন্ত কাজ করে থাকি।
প্রিয় টেক: আউটসোর্সিং কাজের ক্ষেত্রে সবচেয়ে কোন প্রতিবন্ধকতায় বেশি পড়েছেন?
সাঈদ ইসলাম: অনিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট ও বিদ্যুৎ এর কারণে বেশ কিছু সময়ে ক্লায়েন্টদেরকে মানসম্পন্ন সেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছি এবং পরিশেষে বেশ কিছু ক্লায়েন্ট হারিয়েছি।
প্রিয় টেক: আউটসোর্সিং এর কাজ কি একাই করেন নাকি দলগত করেন?
সাঈদ ইসলাম: আমি সাধারণত যে ধরণের কাজ করে থাকি সেগুলোর জন্য বাংলাদেশে দক্ষ মানুষের বেশ অভাব। ছয় সদস্য বিশিষ্ট ছোট একটি টিম আছে যারা আমার প্রতিষ্ঠান বিগমাসটেকে কর্মরত। টিমের সদস্যদেরকে আমি নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছি এবং তাঁরা অসাধারণ কাজ করছে। এদের মধ্যে সুশান্ত কুমার রায়, কামরুন নাহার ও শাফরিনা এর কথা না বললেই নয়। কাজের ধরণ বিশেষে বেশির ভাগ কাজই আমার নিজেকেই করতে হয়। তারপরও আমার টিম আমাকে যথেষ্ট সহযোগিতা করে থাকে।
প্রিয় টেক: বাংলাদেশের আউটসোর্সিং সার্ভিস প্রভাইডারদের সবচেয়ে বড় সমস্যা কোনটি বলে মনে করেন?
সাঈদ ইসলাম: যারা সফলতার সাথে আউটসোর্সিং এর কাজগুলো করতে পারছে না তাদের ক্ষেত্রে বলা যেতে পারে যে তাদের এই ইন্ডাস্ট্রির উপর পূর্ণ ধারণার অভাব রয়েছে এবং সাথে ধৈর্যেরও ঘাটতি আছে ।
প্রিয় টেক: বায়াররা বাংলাদেশী আউটসোর্সিং সার্ভিস প্রভাইডারদের কেমন মূল্যায়ন করে বলে মনে করেন?
সাঈদ ইসলাম: তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক মূলধারার ও সমমানের কাজের ক্ষেত্রে বিদেশী ক্লায়েন্টরা সাধারণত বাংলাদেশীদের কাজের মানের উপর নির্ভর করতে সংকোচবোধ করে। কেননা আমাদের দেশের বেশির ভাগ পেশাজীবীদের ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট ষ্ট্যাণ্ডার্ড অনুযায়ীয় কাজের গুনাগুণ মাণ নিশ্চিত করার জ্ঞান কম।
প্রিয় টেক: আউটসোর্সিং সার্ভিসে ভালো পারফরমেন্স করার জন্য কি কি যোগ্যতা থাকা উচিত?
সাঈদ ইসলাম: দক্ষতা নিশ্চিত করে ক্লায়েন্টের কাঙ্ক্ষিত মানসম্পন্ন কাজের সেবা দিতে হবে। ক্লায়েন্ট সন্তুষ্টি নিশ্চিত করে তার থেকে কিভাবে ভাল রেটিং ও ফিডব্যাক পাওয়া যায় এর দিকে নজর দিতে হবে। যা পরবর্তীতে কাজ পেতে বিশেষ ভাবে সহায়তা করবে।
প্রিয় টেক: আউটসোর্সিং সার্ভিসে যারা নতুন তাদের জন্য কি পরামর্শ দিবেন?
সাঈদ ইসলাম: কাজ জানা না থাকলে আগে কাজ শিখতে হবে এবং দক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে। তারপর আউটসোর্সিং উপর পর্যাপ্ত রিসার্চ যা এই ক্ষেত্রটির উপর পূর্ণ ধারণা দিবে। শুরুতে কত অর্থ উপার্জন করা যাবে তা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে প্রথম কাজটি কিভাবে পাওয়া যায় সেটির জন্য ধৈর্য সহকারে যথেষ্ট চেষ্টা করতে হবে।
Tag : ,

ছোট কাজ করে ছোট টাকা উপার্জন (অভিজ্ঞদের জন্য নয়)

আশা করি সবাই ভালো আছেন। ইন্টারনেট এ ছোট ছোট কাজ করে কিছু টাকা উপার্জনের কিছু সাইট নিয়ে হাজির হলাম আপনাদের সামনে। হয়তবা অনেকেই এই সাইট গুলোর নাম আগে থেকেই জানেন। যারা জানেন না তাদের জন্য আমার আজকের লিখা।
microworkers.com: এই সাইটটি অনেক জনপ্রিয়। কাজ করার সাত দিনের মাঝে আপনার টাকা হয়ে যাবে। একাধিক একাউন্ট করা যাবে না। নয় ডলারের বেশি হলে পেপাল, পায়জা ও মানিবুকের্স দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন।
shorttask.com: এই সাইটটি কার্যক্রম অনেক ভালো। একাধিক একাউন্ট করা যাবে না। দশ ডলারের বেশি হলে পেপাল দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন।
minuteworkers.com: এই সাইটটি ভালো সাইট হিসাবে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে। রেফারেল দিলে পাচ সেন্ট পাবেন ও আপনার রেফারার যদি একটি কাজ সফলভাবে শেষ করেন তবে দশ সেন্ট পাবেন। দুই ডলারের বেশি হলে ১০% ফী দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন। তবে দশ ডলারের বেশি হলে কোনো ফী দিতে হবে না। পেপাল ও পায়জা দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন।
microtoilers.com: এই সাইটটিতে একাউন্ট করার সাথে সাথে এক ডলার পাবেন। এই সাইট এ রেফারেল এর বেবস্থা আছে। প্রথমবার টাকা তুলতে পচিশ ডলার বেশি হতে হবে। এরপর নয় ডলারের বেশি হলে পেপাল ও পায়জা দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন। (তবে এই সাইটটিতে আমি কখনো কাজ করিনি)
jobboy.com: এই সাইটটিতে একাউন্ট করার সাথে সাথে এক ডলার পাবেন। এই সাইট এ রেফারেল এর বেবস্থা আছে। দশ ডলারের বেশি হলে পেপাল ও পায়জা দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন।
microjob.co: এই সাইটটিতে আপনি নিজের প্রোফাইল তৈরী করে আপনার কাজের বর্ণনা দিতে পারবেন পাশাপাশি ছোট ছোট কাজ করে কিছু টাকা উপার্জন করতে পারবেন। পেপাল, পায়জা ও মানিবুকের্স দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন। কিন্তু টাকা পাঠাতে ত্রিশ কর্ম দিবস সময় নিয়ে থাকে।
centworkers.com: এই সাইটটিতে আপনি রেফারেল দিলে দশ সেন্ট পাবেন ও আপনার রেফারার যদি কাজ করে একশ ডলার উপার্জন করেন তবে এক ডলার পঞ্চাশ সেন্ট পাবেন। পাচ ডলারের বেশি হলে পেপাল, পায়জা ও মানিবুকের্স দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন।
pointdollars.com: এই সাইট এ রেফারেল এর বেবস্থা আছে। প্রথমবার টাকা তুলতে পচিশ ডলার বেশি হতে হবে। এরপর নয় ডলারের বেশি হলে পেপাল ও পায়জা দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন। (তবে এই সাইটটিতে আমি কখনো কাজ করিনি)
deshiworker.com: এটি একটি বাংলাদেশী সাইট। এর মান ঠিক রাখতে এডমিনগণ যথেষ্ট চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যারা ইংলিশ একটু কম পারেন, তারা এই সাইটটিতে চেষ্টা করতে পারেন। এই সাইটটি সম্পর্কে বেশি কিছু বলছি না, কারণ সাইটটি বাংলায়। তাই কোনো কিছু বুঝতে অসুবিধা হবার কথা না।
আমার লেখাতে সব কিছু পরিষ্কার না হলে, সাইটগুলো কিভাবে কাজ করে এই নিয়ে বাংলাতে ভিডিও দেখতে পারেন।
Tag : ,

ফ্রিল্যান্সারে বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে বাংলাদেশের মো. আলী আজগর

(প্রিয় টেক) মো. আলী আজগর। অনলাইন ফ্রিল্যান্সিংয়ে হাতে খড়ি ২০০৯ সালে। লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন সায়েন্সে মাস্টার্স ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করে শুধু চাকরির আশায় না ঘুরে নিজে কিছু করার বাসনায় শুরু করেছিলেন ঘরে বসে অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে আয় করতে। শুরুতে তেমন সফলতা না পেলেও অদম্য ধৈর্য বর্তমানে তাকে সফলতার দ্বারপ্রান্তে এনে দিয়েছে। বর্তমানে তিনি শীর্ষ স্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস ফ্রিল্যান্সার.কম সাইটের ওয়েবসাইট, আইটি অ্যান্ড সফটওয়্যার ক্যাটাগরির ফেসবুক, টুইটার ও সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাব-ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে রয়েছেন। একই সঙ্গে সব ক্যাটাগরির মধ্যে তিনি প্রজেক্ট ও আয়ের পরিমাণের ওপর বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন। তিনি এ পর্যন্ত ২ হাজার ৫৩১টি প্রজেক্ট সমাপ্ত করেছেন। ফ্রিল্যান্সার ডটকম সাইটের ৫টি ক্যাটাগরি যথাক্রমে কোয়ালিটি অব ওয়ার্ক, কমিউনিকেশন, দক্ষতা, কাজের আহ্বান, পেশাগত দক্ষতার ওপর তার সফলতা শত ভাগ। তার সফলতার গল্প বলেছেন প্রিয়.কমের সাথে। ফ্রিল্যান্সার ডটকমে মো. আলী আজগরের ইউজার নেম ল্যান্সারবয়১২০৬ আর মো. আলী আজগরের সাথে যোগাযোগ করতে তার ফেসবুকে যোগদান করতে পারেন

প্রিয়.কমের অফিসে লেখকের সাথে ফ্রিল্যান্সার মো. আলী আজগর
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে প্রথম ধারণা পেলেন কিভাবে?
মো. আলী আজগর: আমি যখন ক্লাস টেনে পড়ি, তখন থেকেই কম্পিউটার নামক যন্ত্রটির প্রতি প্রচণ্ড ঝোঁক ছিল। সময় পেলেই ওটার পেছনে ব্যয় করতাম। ২০০৮ সালের কথা। নেট নিয়ে ঘাটাঘাটি করা অভ্যাসে পরিণীত হয়। টিউটোরিয়াল ডাউনলোড করে সেটা নিয়ে চর্চা করতাম। তখন ভাল টিউটোরিয়ালের কথা চিন্তাই করা যেত না। তারপরও আমি বলব, আমার টিউটর আমি নিজেই। ওই সময়েই জানতে পারি অনলাইনে আয় করা সম্ভব। কিন্তু কোনভাবেই সেটা উদ্ধার করতে পারছিলাম না। কিন্তু চেষ্টা করে গেলাম।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিংয়ে কিভাবে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন?
মো. আলী আজগর: ২০০৯ সালে সাইনআপ করলাম ফ্রিল্যান্সার.কম-এ। দীর্ঘ ১ বছর বিড করতে করতে ২০১০ সালের শেষে প্রথম বিড জয় করলাম। সত্যি সেটা ছিল এভারেস্ট জয় করার মত আনন্দের। সফলভাবে প্রজেক্ট শেষ করলাম। ক্লায়েন্টও আমার উপর যথেষ্ট খুশি। আরেকটা প্রজেক্ট দিল আমাকে। তারপর একে একে অনেক প্রজেক্ট পেতে থাকলাম। আমাকে আর পেছনে ফিরে যেতে হয়নি কখনই।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিংয়ে আসার জন্য সবচেয়ে বেশি উৎসাহ পেয়েছিলেন কোথা থেকে?
মো. আলী আজগর: আমি আসলে নিজেই আমাকে ফ্রিল্যান্সিংয়ে আসার জন্য সবচেয়ে বেশি উৎসাহ দিয়েছি। কারণ ওই সময়ে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা ছিল না। যা এখন সবার কাছে সুপরিচিত।
প্রিয় টেক: কবে থেকে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেছিলেন? সাধারণত কি কাজ করেন?
মো. আলী আজগর: মূলত বলা যায় আমার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু ২০১০ সালের শেষ দিকে। ফ্রিল্যান্সার.কম-এ আমি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ও ইন্টারনেট মার্কেটিং-এ কাজ করি। ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব ইত্যাদি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে আমি আমার ক্লায়েন্টদের ব্যবসাকে প্রসারিত করার কাজে সহায়তা করছি। ফেসবুক ও টুইটার প্রোমোশন এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং-এ আমি ফ্রিল্যান্সার.কম সাইটে বিশ্বসেরা হিসাবে নির্বাচিত হয়েছি।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং এ আপনার প্রিয় সাইট কোনগুলো?
মো. আলী আজগর: মোটামুটি ফ্রিল্যান্সিং এর বেশিরভাগ সাইটেরই আমি মেম্বার। তবে আমার একটিই মাত্র প্রিয় সাইট - ফ্রিল্যান্সার.কম।
প্রিয় টেক: অন্য সাইট গুলো থেকে আপনার সব থেকে প্রিয় সাইটের তফাৎ কি?
মো. আলী আজগর: বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং-এর অজস্র সাইট আছে। আর এখানে আজ প্রচুর বাংলাদেশি কাজ করছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে ফ্রিল্যান্সার.কম-এ কাজ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। এই সাইটের নিয়মকানুন ও কাজের পদ্ধতি আমার কাছে সহজ মনে হয়।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
মো. আলী আজগর: বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার। যদিও আমি বলব এটা মাত্র শুরু। আমাদের আরও এগুতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং উন্নয়নে আমার যে কোন ব্যক্তিগত সহায়তা ও পরামর্শ সবসময় সবার জন্য উন্মুক্ত। ভবিষ্যতে ইচ্ছে আছে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে কিছু একটা করার।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং এ এখন পর্যন্ত আপনার অর্জন কতটুকু?
মো. আলী আজগর: অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, ফ্রিল্যান্সার.কম-এ মাত্র ২ বছরে আজ আমার অবস্থান বিশ্বের ৩ নম্বরে। আর ফেসবুক ও টুইটার প্রোমোশন এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং-এ আমি ফ্রিল্যান্সার.কম সাইটে বিশ্বসেরা। এই মূহুর্ত পর্যন্ত আমার সংগ্রহ ২২৬৪ টি ফিডব্যাক (রিভিউ) এবং ১০০% রেপুটেশন। সাধারণত: ৫টি ক্যাটাগরিতে রেপুটেশন দেয়া হয়। সবগুলো ক্যাটাগরিতেই আমার ১০০% রেপুটেশন।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয় করা প্রথম টাকা কিভাবে পেয়েছিলেন?
মো. আলী আজগর: ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয় করা প্রথম টাকা ফ্রিল্যান্সিং-এর মানি ট্রান্সফার সাইট মানিবুকার্স (বর্তমান নাম স্ক্রিল) এর মাধ্যমে ১৪ দিন পরে আমার ব্যাংক একাউন্টে জমা হয়েছিল।

প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং এ প্রথম কোন কাজ করেছেন এবং প্রথম পেমেন্ট কত পেয়েছিলেন?
মো. আলী আজগর: ফ্রিল্যান্সিং এ প্রথম কাজটি ছিল ৫০০ ফেসবুক পেইজ লাইক প্রমোট করা। প্রথম পেমেন্ট পেয়েছিলাম ৩০ ডলার। এর মধ্যে ফ্রিল্যান্সার প্রজেক্ট ফি বাবদ ৫ ডলার কেটে রেখেছিল।
প্রিয় টেক: প্রথম টাকা পাওয়ার অনুভূতি কেমন ছিলো এবং সে টাকা কি করেছিলেন?
মো. আলী আজগর: ওটা ছিল এক অদ্ভুত অনুভূতি। আজও আমি সেই দিনের সেই আনন্দ উপলব্ধি করি। সে টাকা দিয়ে আমি আরও দ্রুতগতির ইন্টারনেট নিয়েছিলাম।
প্রিয় টেক: বাংলাদেশ থেকে ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কাজ করার সম্ভাবনা কেমন?
মো. আলী আজগর: এ পেশায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো আজ বাংলাদেশকে তাদের পছন্দের তালিকায় স্থান দিচ্ছে। এটা একটা বড় অর্জন। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এই অর্জনটাকে ধরে রাখতে পারলে এবং বাস্তবে পরিপূর্ণভাবে রূপ দিতে পারলে বাংলাদেশে আর কোন বেকার সমস্যা থাকবে না। তবে এক্ষেত্রে সরকারের সহায়তা জরুরী। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নিশ্চয়তাসহ ইন্টারনেটের মূল্য কমানো এবং কম্পিউটার পণ্যের সহজলভ্যতা, পেপ্যাল চালু করা ইত্যাদি। আমি চাই আগামী প্রজন্ম এই পেশায় আরও সম্পৃক্ত হবে। বাংলাদেশের আর্থিক উন্নয়নে ফ্রিল্যান্সিং হবে প্রধান হাতিয়ার - এটা আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি।
প্রিয় টেক: বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তির মন্দ দিক কোন গুলো ?
মো. আলী আজগর: প্রধান অন্তরায় লোডশেডিং এবং ইন্টারনেট লাইনের দূর্বলতা। এদেশে নেটের বিল অনেক বেশি, সেবার মান খুবই বাজে। পেপ্যাল না আসা। আজও এ দেশে তেমন ভাল কোন ফ্রিল্যান্সিং সংগঠন গড়ে ওঠেনি।
প্রিয় টেক: আপনার কাছে দেশের তথ্য প্রযুক্তির ভালো দিকগুলো কি কি?
মো. আলী আজগর: কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান ফ্রিল্যান্সিং সেমিনার আয়োজন করে এই পেশাকে সবার দোরগোড়ায় নিয়ে গেছে। এটা একটা ভাল দিক। আবার কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান ফ্রিল্যান্সিং -এর বিভিন্ন কোর্স করাচ্ছে। এটাও ভাল দিক। তবে আমাদের সবাইকেই সতর্ক থাকতে হবে প্রশিক্ষণ যেন প্রহসনে পরিণত না হয়। তাই ভাল প্রতিষ্ঠান থেকেই প্রশিক্ষণের ব্যাপারে সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। প্রশিক্ষণের ব্যাপারে সরকারি নীতিমালাও তৈরি করা উচিৎ বলে মনে করি।

প্রিয় টেক: প্রথম প্রথম ইন্টারনেট কি কাজে ব্যবহার করতেন আর এখন ইন্টারনেটে কি নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকেন?
মো. আলী আজগর: প্রথম প্রথম ইন্টারনেটে শুধু গান, মুভি ডাইনলোড করাতেই ব্যস্ত থাকতাম। আর এখন কাজ নিয়ে। মাঝে মাঝে ঘুমাবারও সময় পাইনা।
প্রিয় টেক: তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির জন্য সরকারের কি কি করা উচিত ?
মো. আলী আজগর: নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা করা। আরও দ্রুতগতির ইন্টারনেট সহজলভ্য মূল্যে সরবরাহ করা। স্কুল-কলেজে বিনামূল্যে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সেবা সরবরাহ করা। এমনকি তাদের পাঠ্যপুস্তকে ফ্রিল্যান্সিং অধ্যায় সংযোজন করা। পেপ্যাল দ্রুত চালু করা।
প্রিয় টেক: ইন্টারনেটেই যেহেতু আয় তো বাংলাদেশের ইন্টারনেট সার্ভিস নিয়ে কি আপনি সন্তুষ্ট?
মো. আলী আজগর: মন্দের ভাল। প্রতিদিন কাজ করতে গিয়ে ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ বার ইন্টারনেট সমস্যায় ভুগি। কিছুই করার নেই।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য সবচেয়ে কোন প্রতিবন্ধকতায় বেশি পড়েছেন?
মো. আলী আজগর: ফ্রিল্যান্সিং কথাটা যতটা সহজ মনে হয়, আসলে ততটা নয়। বলা যায় চ্যালেঞ্জিং জব। প্রতিনিয়ত কোন না কোন প্রতিবন্ধকতা আসেই। আর সেগুলোকে মোকাবেলা করে এগিয়ে যাবার মধ্যে আনন্দও আছে। একবার আমার ফ্রিল্যান্সার আইডি হ্যাক হয়ে গিয়েছিল। ১০০০ ডলার ছিল। সেটাও চুরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ফ্রিল্যান্সার.কম-এর সহযোগিতায় সবই আবার ফিরে পেয়েছিলাম।
প্রিয় টেক: বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের সবচেয়ে বড় সমস্যা কোনটি বলে মনে করেন?
মো. আলী আজগর: অধৈর্য্যতা। সবাই রাতারাতি বড়লোক হতে চায়। তাই সাইনআপ করার পর কয়েকদিন বিড করে না পেয়ে হারিয়ে যায়।
প্রিয় টেক: ভবিষ্যতে কি ফ্রিল্যান্সিংকেই ক্যারিয়ার হিসাবে নিতে চান নাকি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাজ করতে চান?
মো. আলী আজগর: ফ্রিল্যান্সার হিসাবে যথেষ্ট পেয়েছি, আমি পরিপূর্ণভাবে সন্তুষ্ট। আমার প্রতিষ্ঠানের নাম “অনলাইন আর্নিং ম্যাজিক”। চিন্তাভাবনা করছি একে আরও বড় প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবার। প্রক্রিয়া চলছে।

প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কাজ করতে সরকারের কাছে কি কোনো চাওয়া আছে?
মো. আলী আজগর: প্রথম চাওয়া পেপ্যাল। দ্বিতীয় চাওয়া দ্রুত গতির অথবা বেশিদামির ইন্টারনেট হোক, সেটা আমার বড় চাওয়া নয়, আমার বড় চাওয়া যে ইন্টারনেট পাচ্ছি তা যেন স্ট্যাবল থাকে সেটা নিশ্চিত করা। কাজ করতে গিয়ে যেন প্রতিদিন হাজারবার নেট ফল্ট না করে। যা খুবই বিরক্তিকর এবং কাজের গতি মারাত্মকভাবে হ্রাস করে। আর, আবারও বলছি - নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ চাই।
প্রিয় টেক: বায়াররা বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের কেমন মূল্যায়ন করে বলে মনে করেন?
মো. আলী আজগর: বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা বিদেশি বায়ারদের কাছে খুবই মূল্যায়িত। এর অন্যতম এবং প্রধান কারণ - এদেশের শ্রম সবচেয়ে সস্তা। আর এটাও পাশাপাশি স্বীকার করতেই হবে - বাংলাদেশের সবাই টাইগার। তাদের সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে কাজ করার যোগ্যতা আজ বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদেরকে নিয়ে ভাবতে বিদেশি প্রতিষ্ঠান ও বায়ারদেরকে বাধ্য করছে। এটা বাংলাদেশের বড় প্রাপ্তি।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং এ ভালো পারফরমেন্স করার জন্য কি কি যোগ্যতা থাকা উচিত?
মো. আলী আজগর: ভাল যোগাযোগ গুণাবলী। ইংরেজিতে দক্ষ। কাজের মূল্যায়ন করা ও মান ঠিক রাখা। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ ডেলিভারি দেয়া।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং এ যারা নতুন তাদের জন্য কি পরামর্শ দিবেন?
মো. আলী আজগর: নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে গেলে সফলতা আসবেই। ফ্রিল্যান্সিং-এ অজস্র রকমের কাজ আছে। যে কোন একটা স্কিলে দক্ষতা অর্জন করে এগিয়ে গেলে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে অবশ্যই যাওয়া সম্ভব। বিশেষ পরামর্শ - একসাথে সব স্কিলে কাজ করতে গেলে শেষ পর্যন্ত কোনটাই হবে না। তাই সাবধানতা অবলম্বন করা কাম্য।
Tag : ,

যেভাবে google অ্যাডসেন্স থেকে প্রতিমাসে হাজার ডলার আয় করছি!

মাত্র বছর খানেক কাজ করেই আজ আমি প্রতি মাসে ১০০০ ডলারের মত আয় করছি। আর এই ছোট্ট সফলতাটুকু কিভাবে এল তা নিয়ে বিস্তারিত জানাতেই আজকের এই পোস্ট। তো, চলুন পিছনে ফিরে যাই।

যেভাবে আমার ইন্টারনেট জগতে আগমন?

২০০৯ এর শেষের দিকে আমি যখন U@C কোচিং সেন্টারে একজন কম্পিউটার অপারেটর হিসাবে কাজ করি, তখনই প্রথম ইন্টারনেট এর সাথে আমার পরিচয়। আর তখন থেকেই আমি ইন্টারনেট সম্পর্কে জানি। এর কিছুদিন পর আমি একটা ফেসবুক এ্যাকাউন্ট খুলি। এটাই ছিল আমার প্রথম কাজ ইন্টারনেটে। তবে এটুকুতেই সীমাবদ্ধ ছিলাম অনেকদিন। একদিনের ঘটনাঃ AIUB এর এক বড় ভাই আমার কম্পিউটারে একটা ভাইরাস ঢুকিয়ে দিল। আমি যখন এ কম্পিউটার অন করি, ১০/১৫ সেকেন্ড পড়ে আবার বন্ধ হয়ে যায়। মাথায় কিচ্ছু ঢুকছে না। কেন এমন হচ্ছে? কি ধরতে পেরেছেন? হ্যাঁ, তিনি আমার কম্পিউটারে একটা অটরান ভাইরাস স্টার্টআপে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। পড়ে অবশ্য উনিই সেটা ঠিক করে দেন। তো, আমি উনাকে বললাম, এইটা কিভাবে করলেন? তিনি আমাকে বললেন, টেকটিউনস নামে একটা ব্লগ আছে সেখান থেকে শিখেছি। আমি উনার কাছে লিঙ্ক চাইলাম। উনি আমাকে লিঙ্ক দিলেন। বুঝতেই পারিনি মুরসালিন ভাই (AIUB এর ওই ভাইয়ের নাম ছিল মুরসালিন) আমাকে আসলে ব্লগের লিঙ্ক নয়, আমার লাইফের মোড় ঘুরানোর লিঙ্ক দিয়েছেন। তো সারাদিন টেকটিউন্সে পড়ে থাকতাম। রাত জেগে জেগে লেখা পড়তাম। হঠাত একদিন চোখে পড়ল ডেভসটিম লিমিটেড এর কো ফাউন্ডার “তাহের চৌধুরী সুমন” ভাইয়ের ব্লগিং শুরু করা নিয়ে একটি লেখা। লেখাটা পড়ে আমার এতটাই ভালো লাগলো যে আমি সেদিনই উনার সমস্ত লেখাগুলো খুঁজা শুরু করলাম। পেয়েও গেলাম এ্যাডসেন্স নিয়ে উনার লেখাগুলো। ব্যস, আর যায় কোথায়?? সারাদিন এগুলো পড়ি আর স্বপ্ন দেখি আমিও একদিন এ্যাডসেন্স থেকে ইনকাম করব। কিন্তু কিভাবে শুরু করব এটাই বুঝে উঠতে পারছিলাম না। কথায় আছে, “ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। ঘাটতে ঘাটতে সুমন ভাইয়ের ফেসবুক আইডি পেয়ে গেলাম। দিলাম ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট!!! এরপর?????

বিষয় নির্বাচন নিয়ে মহা বিপদঃ

সুমন ভাই আমার ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট এক্সেপ্ট করলেন। তার কাছে জিজ্ঞেস করলাম ভাইয়া আমি তো ব্লগিং সিখতে চাই। আমি কিভাবে শুরু করবো?? সুমন ভাই আমাকে বললেন যে তুমি কি কি জান? আমার সোজাসাপ্টা উত্তরঃ আমি কিছুই জানি না। সুমন ভাই তখন বললো যে ব্লগিং কাজ করতে গেলে আমাকে জানতে হবে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কিংবা যে কোন সিএমএস সাইট ডিজাইনের জন্য, জানতে হবে লেখা লেখি এর সাইটটাকে প্রোমট করার বিষয় গুলোও জানতে হবে। উনি আমাকে বেশ কয়েকটা সাইটের লিঙ্কও দিয়ে দিলেন। এরপর শুরু করলাম ওয়েব ডেভেলপিং শিখা। যখন মুটামুটি শিখলাম, তখন সুমন ভাইকে নক করলাম উনি সাজেস্ট করলেন আমার জানাশুনা আছে এমন বিষয় নিয়ে লিখা লিখি করতে। এবার আরেকটা টেনশন এ পরলাম। একাউন্ট তো খুললাম, কিন্তু কি বিষয়ে আমি ব্লগিং করবো কারন আমার জানাশুনার বিষয় গুলো খুব কম? এবার বিষয় খুঁজে পাচ্ছিনা। মহা টেনশন! অবশেষে আবার আরেক ত্রাণকর্তার খোঁজ পেলাম? এবার কে জানেন? জিন্নাতুল হাসান ভাইয়ের বাংলা ব্লগটি। সেখানে নাম মনে নেই এক লেখকের টিউনে জানতে পারলাম যে, আপনি যেই বিষয়টি খুব ভালো জানেন, সেই বিষয় টি নিয়ে ব্লগিং শুরু করেন, ঠিক সেই সুমন ভাইয়ার মতই উত্তর। এবার আবার চিন্তা শুরু হলঃ আমি কোন বিষয়টা ভালো জানি? (আমার কাছে মনে হয় কিছুই জানিনা আবার মনে হয় আমি দুনিয়ার সব ই জানি। হা…হা…হা…) আমি তখন প্রচুর বই পরতাম। আচমকা মাথায় আইডিয়া এল যে, আমি যদি ই-বুক নিয়ে সাইট করে কেমন হয়? যেই ভাবা সেই কাজ। শুরু করলাম ই-বুক নিয়ে কাজ। অবশেষে একটা সাইট দাড়করালাম ই-বুক নিয়ে। কিন্তু সাইটে তো বই আছে ঠিকই, ভিজিটর কই? আবার সমস্যা?

সাইটে ভিজিটর নেই, এখন উপায়?

কদিন বাদেই সুমন ভাইকে আবারো মেসেজ দিলাম। ভাইয়া, আমি তো সাইট করছি কিন্তু ইনকাম কই??? সুমন ভাই এবার আমাকে বুঝিয়ে বললেন যে, সাইটে ইনকাম করতে হলে আমার প্রথমেই দরকার প্রচুর পরিমানে ভিজিটর। আমার সাইটে জত বেশি ভিজিটর আসবে ততদ্রুত আমার ইঙ্কামের রাস্তা খুলবে। আর যায় কোথায়, শুরু করলাম ফেসবুকে যেখানে সেখানে কমেন্ট করা। যার তার সাইটে স্প্যামিং করা। কিন্তু ভিজিটর আসতেছেই না। যদিও আসে, কিন্তু তারা থাকে না। এখন উপায়? ইতিমধ্যে আমি এ্যাডসেন্স এ এ্যাপ্লাইও করে ফেলেছি। ফলাফলঃ পাইনি।

নতুন সমস্যায় পড়লামঃ

হ্যাঁ, একেতো সাইটে ভিজিটর নেই এই চিন্তায় আমি অস্থির। কিন্তু, হঠাত করেই সুমন ভাই বললো তুমি এইভাবে করলে হবে না। যদি ব্লগিং কে পেশা হিসেবে নিতে চাও, তবে Domain Hosting কিনে শুরু কর। এদিকে আমার বিশ্বাসে আস্তে আস্তে চির ধরতে শুরু করছে যে হয়তো আমার পক্ষে এইসব সম্ভব না। কিন্তু সুমন ভাইয়ের কথা গুলো বিশ্বাস করতাম। আর আজও করি। তো তার কথা মত ডোমেইন হোস্টিং কিনেই শুরু করলাম। আমি ততদিনে জুমলা শিখে গেছি। প্রথম সাইটটা বানালাম জুমলা দিয়ে। কিন্তু সমস্যাটা রয়েই গেল। সাইটে ভিজিটর নেই। আগেই জেনে গেছি যে, সাইটে ট্র্যাফিক না থাকলে টাকাও নেই!! সুতরাং, সাইটের ভিজিটর বাড়ানো আমার জন্যে অপরিহার্য হয়ে দাঁড়ালো। (যদি ইনকাম করতে চাই)

শুরু হল এসইও শিখাঃ

সাইটে ভিজিটর নেই কেন? কি করে সাইটে ভিজিটর বাড়াবো এই সব নিয়ে যখন খুব চিন্তায় আছি। তখনই পাশে এসে দাঁড়ালেন সুমন ভাই। জানালেন এসইও কথা। কিওয়ার্ড রিসার্স, অনপেজ অপটিমাইজেশন এবং অফপেজ অপটিমাইজেশন আরও কত্ত কি। তাঁর লিখা গুলো এবং নেটেও এসইও নিয়ে পড়াশুনা করতে বললেন তার কথা মত শুরু করলাম এসইও শেখা। পাশিপাশি সাইটের এসইও’র কাজও। মাত্র ১০/১৫ দিনের মধ্যেই আমি দেখলাম আমার সাইটে উল্লেখ পরিমাণ ভিজিটর আসা শুরু করেছে। মুখের হাসিটাও আস্তে আস্তে ফুটতে শুরু করছে। কিন্তু ইনকাম কই????
দেখতে দেখতে প্রায় ৭/৮ মাস পার হয়ে গেছে। আমার সাইটে এখন অনেক ভিজিটর (দৈনিক ১০০০ পেজভিউ!!!) আসে। সুমন ভাই বললো এবার এ্যাডসেন্স এ এপ্লাই কর। আমি করলাম। কিন্তু পেলাম না। সুমন ভাইকে জানালাম। তিনি সাইট দেখে বললো, সাইটের ডিজাইন চেঞ্জ কর আর বাংলা লেখা গুলো রিমুভ কর। উনার কথামত সব ঠিকঠাক করে আবার এ্যাডসেন্স এ্যাকাউন্ট করার নিয়ম অনুযায়ী গুগল এ রিকুয়েস্ট করলাম। ৪ দিন পর রিপ্লে এল, আমার এ্যাকাউন্ট এক্টিভ হয়নি। কারণ, Unacceptable content. আবার সুমন ভাইয়ের সরানাপন্ন হলাম। তিনি বললেন, আমি এ্যাডসেন্স এর নীতিমালা পড়েছি কিনা?? আমি বললাম না। তখন সুমন ভাই আমাকে বললেন যে আপনি আমার আগের পোস্ট গুলা আবার পরেন। সেখানে সুমন ভাইয়ের কিছু লেখা দেখে বুঝতে পারলাম আমার সাইটে আরও ভালো মানের কন্টেন্ট লাগবে, ভিসিটর আরও বেশি লাগবে, আরও বেশি পেজভিউ লাগবে। ঠিক আছে। আশা ছারলাম না। আবারও শুরু করলাম। (ঘুরে ফিরে আবার SEO তে যাওয়া লাগলো)।

এ্যাডসেন্স নামক সোনার হরিণটা পেয়েই গেলামঃ

দেখতে দেখতে এক বছর পার হয়ে গেলো। আমার ভিসিটর ও বাড়া শুরু হল। আমিও টিটি থেকে ওয়েব ডিজাইনিং শিখে নিয়েছি। জুমলার উপর মোটামুটি হাফেজ হয়ে গেলাম। এইবার নিজের মানসিকতার ও পরিবর্তন করলাম। সিদ্ধান্ত নিলাম, টাকা ইনকাম করতে পারি আর না পারি, প্রতিদিনই আমি আমার সাইটে নিত্য-নতুন বই আপলোড করবো। (তাই বলে ভাববেন না যে, আমি এ্যাডসেন্সের জন্যে আবেদন করা বন্ধ রেখেছি!!) ঠিক মত পোস্ট করি, ঠিক মত SEO করি, নিয়মিত ভিসিটরদের চাহিদার প্রতি খেয়াল রাখি। আমার তখন দৈনিক সাইট ভিসিট হয় ১২০০ বারের উপর। এ্যাডসেন্স পাই আর না পাই, নিজেকে সার্থক মনে হতে লাগলো। কে জানতে এরই মধ্যে আমি আরও এক জায়গায় সফল হয়ে যাচ্ছি!!!!!!!!!!!!!!
হ্যাঁ, আমি এ্যাডসেন্স এ্যাকাউন্ট পেয়ে গেছি। এবার আমাকে কে ঠ্যাকায়?

এক্যাউন্ট তো পেয়েছি, কোড বসাবো কোথায়?

হ্যাঁ, আমি এখন মোটামুটি সফল একাউন্ট পেয়ে গেছি। কিন্তু, সমস্যা হচ্ছে কোথায় কোথায় এ্যাডের কোড বসাবো? এবার আবার ত্রাণকর্তা তাহের চৌধুরী সুমন ভাই উনি আমাকে মাসুদুর রশিদ ভাইয়ের লেখার লিংক দিলেন । তার একটা টিউন থেকে জানতে পারলাম কোথায় এ্যাড কোড বসাতে হবে? কিভাবে বসাতে হবে? একটা পেজ এ সর্বোচ্চ কয়টা লিঙ্ক এ্যাড বসাতে পারব, কয়টা টেক্সট/ইমেজ/ব্যানার এ্যাড বসাতে পারব? এইসব। তার টিউন মত সব বসালাম। এবার অপেক্ষা টাকা আর টাকা ইনকামের। হায়রে, টাকা আর টাকা। টাকা আর টাকা। টাকা আর টাকা। টাকা আর টাকা। (আমি কি তখন যানতাম, রাস্তা আরও অনেক দূর?!) এরই মধ্যে তাহের ভাইয়ের সেই বিখ্যাত টিউনের লিঙ্ক আমাকে পাঠিয়ে দিলেন “গুগল এডসেন্স ধারীরা সাবধান হোন : এডসেন্স ব্যান এড়াতে টিউনটিতে বিশেষ দৃষ্টি দিন”বলেন তো দেখি, এ্যাডসেন্স পাওয়ার সাথে সাথে যদি কেউ এমন হুমকি দেয় মেজাজ টা কেমন লাগে????? (ভাগ্য ভালো, সেদিন উনি লিঙ্কটা দিয়েছিলেন। নয়তো কবেই আমার একাউন্ট পটল তুলত)

মাস শেষ হয়ে গেলো, ইনকাম মাত্র ১৬ সেন্ট????

একমাস হয়ে গেলো। আমার ইনকাম হল মাত্র ১৬ সেন্ট? ক্লিক ও পড়ে কম। অথচ ভিসিট হয় ১২০০+. বিশ্বাস করা যায়? (পরের মাসের ইনকাম শুনলে লাফ দিবেন) এতদিনে আমি মাসুদুর রশিদ ভাইকে চিনে ফেলেছি। তাই, তার সরনাপন্ন হলাম। তিনি আমাকে বললেন যে, আপনি যে SEO করার সময় যেই সব Keyword ব্যবহার করছেন, সেগুলোর ক্লিকের দাম কম, তাই আপনার ইনকাম ও কম। এবার আবার শুরু হল কি-ওয়ারড রিসার্চ। অবশেষে ১ মাস পর আমার এক্যাউন্ট এ দেখি ১১৩ ডলার ৮০ সেন্ট! হয়তো, অনেক কম টাকা কিন্তু একাউন্ট পাওয়ার ২ মাস পর ১১৩ ডলার আমার মত ছেলের জন্যে অনেক ছিল। অবশেষে গুগল আমার চেক ইস্যু করল। পাঠিয়ে দিল আমার আড়াই বছরের কষ্টার্জিত ১১৩ ডলার ৮০ সেন্ট!!!!

সময় এবার অপেক্ষার! কখন আসবে সেই চেক???

চেক আর আসেনা। সময় ও যেন কাটেনা। (কেন জানিনা এই সময়টায় আমি “সময় যেন কাটেনা” গানটা একটু বেশি শুনেছি) তাহের ভাইকে ফোন দেই আর বলি ভাই আমার চেক তো এলো না, তাহের ভাই বলে অপেক্ষা করেন, চলে আসেবে। শাকিল আরেফীন ভাইকেও ফোন দেই আর বলি ভাই আমার চেক তো এলো না, তাহের ভাই বলে অপেক্ষা করেন, চলে আসেবে। একই ভাবে ফোন দেই, Sowrdfish মাহবুব ভাইকেও। সবাই বলে অপেক্ষা করেন, চলে আসবে। আমিও তখন মনকে বুঝাই, অপেক্ষা কর, চলে আসবে!!!!!!!!!

অবশেষে এল স্বপ্নের সেই এ্যাডসেন্স চেক !!!!!!!!!!!!!!!!

২৭ দিন পর অফিসে এসে ডাকপিয়ন আমাকে গুগল এর চেক দিয়ে যায়। মনটা যে কি খুসি লাগছিল বুঝাতে পারবনা। ঠিক এখন আপনাদের কাছে যেমন লাগছে, আমার কাছে তার চেয়ে বেশি লেগেছি। আড়াই বছর চাষ করার পর আজ প্রথম আমি ফসল পেলাম। সাথে সাথে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলাম। টিটিকে জানাল, তাহের ভাইকে জানালাম, মাহবুব ভাইকে জানালাম, শাকিল আরেফিন ভাইকে জানালাম, সাব্বির আলাম (আসিফ পাগলা সাব্বির) ভাইকেও জানালাম। টেক্টিউন্স এর সবাইকে জানালাম। অন্য রকম একটা দিন উদযাপন করলাম। আর স্বপ্ন দেখতে লাগলাম প্রতি মাসে একটা করে গুগলের চেকের। (কে জানতে কয়দিন পর আমার উপর দিয়ে একটা ঝড় যাবে???)
adsceque.jpg

চেক ভাঙ্গাতে গিয়ে মহা বিপদঃ কোন ব্যাংকে ভাঙ্গাবোঃ

চেক ভাঙ্গাতে গিয়ে কি বিপদে পরেছি তা জানতে এখানে যান। অবশেষে যদি ও আমি ইসলামী ব্যাংক থেকেই চেক ভাঙ্গিয়েছি। সময় লেগেছে ২০ দিনের মত, টাকা কেটেছে প্রথম বার ১৬০২ টাকা। তবে পরের বার থেকে নাকি এত কাটবে না। সর্বোচ্চ ৬০০ কাটবে। প্রথম বার দেখে ওদের সিস্টেম এ কিছু ভুল ছিল। (এরপরের চেক ভাঙ্গাতে আমার ৩৬০০/= টাকা কেটে রেখেছিল। যেখানে কাটার কথা ছিল ৬০০ সেখানে কাটছে ৩৬০০ টাকা। পড়ে ব্যাঙ্কের হেডঅফিসে গিয়ে বিস্তারিত জানিয়ে অভিযোগ দেয়ার পর বর্তমানে মাত্র ১১৫/= টাকা কাটে)

“অতি লোভে তাঁতি নস্ট” মরতে মরতে বেঁচে গিয়েছিঃ

তখন আমার দৈনিক ২ ডলারের কাছাকাছি ইনকাম হত। হটাত একদিন মাথায় দুষ্টু বুদ্দি চেপে বসলো। কি জানেন? IP Hide করে নিজের এ্যাড এ নিজে ক্লিক দেয়ার সিধান্ত। যেই ভাবা সেই কাজ। দিলাম আমার আই পি হাইড করে America র আইপি বানিয়ে। আর সাইটে গিয়ে দিলাম ৪ টা ক্লিক! ৩/৪ ঘন্টা পর দেখি আমার একাউন্ট এ জমা পরছে ২২ ডলার। মাথা নস্ট। এখন থেকে দৈনিক আইপি হাইড করে ক্লিক দেবো। হতাত, সন্দেহ হল যে আমার আইপি কি গুগল ধরতে পারবে? দিলাম গুগলে সার্চ “What is my real IP?”. ওমা! আমার তো দেখি আসল আই পি শো করছে!!!!! সাথে সাথে তাহের ভাইকে ফোন, ভাই এখন কি করবো? উনি প্রথমে ছোট ভাইয়ের মত ইচ্ছামত শাসালেন। আর বললেন পেজভিউ কত? বললাম যে ৩০০০ এর বেশি। উনি বললেন, যা করছে তা তো আর ফিরে পাওয়া জাবেনা, তবে জীবনে ও আর এই কাজ করেন না। আমি বললাম আচ্ছা। বিশ্বাস করুন, আমি আর জীবনে ও এই কাজ করিনি আর করবো ও না। শেষে দেখা যাবে, আম যাবে, ছালাও যাবে। তাই, এই সব বাদ ঠিক পথে ইনকাম শুরু করলাম। আর সবাইকে জানাতে লাগলাম যে, আমার সাইটে প্রচুর পরিমাণে বই পাওয়া যায়। এইসব করে ভিসিটর বশড়াতে লাগলাম। (কে জানত যে আমি ঠিক পথে থাকলেও, কিছু মানুষ ইতিমধ্যেই আমার ক্ষতি করা শুরু করছে??????)

লিঙ্ক শেয়ার করে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারলাম!!

সামু তে একদিন গিয়ে দেখি এক জন হুমায়ুন আহমেদ এর বই খুঁজছে। বেচারার প্রতি সদয় হয়ে আমি আমার ওয়েব সাইটের লিঙ্কটা সামুতে শেয়ার করলাম। (নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারলাম) তো, আমি ঘন্টাখানেক পড়ে আমার এ্যাডসেন্স এ্যাকাউন্ট এ গিয়ে দেখি ক্লিক পরেছে ১৩০ টা!!!!!!!!!! ইনকাম হয়েছে ৪৫ ডলার!!!!!! কি? খুব খুসি লাগছে শুনে? না? আমার কপাল ভালো যে, আমি সেইদিন এত ইনকাম দেখে খুসি হতে পারিনি। যদি খুসি হতাম। তাহলে আমার একাউন্ট আর থাকতো না! কিচ্ছু বুঝতে পারছি কি করব? উপায় না সাইটই অফলাইনে নিয়ে গেলাম। এখন আবার চিন্তা সাইট যদি ভিসিট না হয়, তাহলে পেজভিউ বারবে না। পেজ CTR 15 এর উপরে। যেখান ১০ হলেই বিনা নোটিসে একাউন্ট ব্যান হয়, সেখানে ১৫!!!!!!!!!!!! ভাবা ঝায়???? আবার ফোন দিলাম তাহের ভাইকে (যেখানেই বিপদ, সেখানেই তাহের ভাই। আমার বিশ্বাস হয়না এই লোকটা এত হেল্পফুল কিভাবে হতে পারে তাও আবার নিস্বার্থভাবে) তিনি আমাকে বললেন, আপনার এ্যাডের কোডগুলো আপাতত ব্লক করে দেন। তাহলে পেজভিউ বারবে, কিন্তু কোন ক্লিক পরলে গুগল কাউন্ট করবে না। উনার কথামত এ্যাড কোড ব্লক করে দিলাম। কিছুক্ষন পর দেখি আমার পেজ CTR কমা শুরু হইছে। আর সেই ৪৫ ডলার মাইনাস হয়ে Real Income ৩ ডলার দেখাচ্ছে। (শালা কত্ত খারাপ! ৪৫ ডলার যখন দিছিলি, তখন মাইনাস করলি কেন?) অল্পের উপর দিয়ে বেঁচে গেলাম। তবে বিশ্বাস করুন, আমি এখন ভয়ে আছি সেই দিনের ঘটনার জন্যেই না আমার এ্যাকাউন্ট ব্যান হয়ে যায়! আমার জন্যে একটু দোয়া কইরেন।

এখন আমার কি অবস্থা????

আমার বর্তমান অবস্থা জানতে বেশি কিছু লাগবে না শুধু আমার আজকের ইনকামের স্ক্রীনশটটা দেখুনঃ
todays.jpg
Tag : ,

ব্লগিং বদলে দিক আপনার ভাগ্য........................

অনলাইন ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে ব্লগিং হচ্ছে দ্রুত প্রসারমান ও সম্ভাবনাময় একটি ক্ষেত্র। অনলাইনে আয় করার অন্যতম সহজ ও সম্ভাবনাময় উপায় হল লেখালেখি, যেটিকে আমরা আর্টিকেল রাইটিং বা ব্লগিং হিসেবে জানি। যারা ইংরেজিতে ভালো তারা ব্লগিং ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে পারেন। যারা ইংরেজিতে দক্ষ তারা এই ধরনের কাজ করে মাসে বেশ ভালো আয় করতে পারেন। বাংলাদেশে অনেক প্রফেশনাল ব্লগার রয়েছেন যারা নিজের ভাষাগত দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে এ ধরনের কাজগুলো সফলতার সাথে করছেন। এরা একে মূল পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
what-a-blog-can-do.jpg
বাংলাদেশে ব্লগিংয়ের সম্ভাবনা অফুরন্ত!
ব্লগিং আমাদের দেশে নতুন মনে হলেও উন্নত বিশ্বে এটি বিরাট আয়ের জন্য অনেক জনপ্রিয় মাধ্যম। যেহেতু বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ আর এখানকার শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা অনেক, তাই ঐ সব শিক্ষিত বেকারদের যদি ব্লগিং সম্পর্কে ভাল ধারণা দেওয়া যায় তাহলে তারা খুব সহজেই নিজেদের স্বাবলম্বী হিসাবে গড়ে তুলতে পারেন।
ইচ্ছাশক্তি বড় শক্তি!
ইচ্ছা থাকলে আপনি ব্লগিংয়ের কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। প্রয়োজন শুধু একটি কম্পিউটার, ইন্টারনেট সংযোগ ও ব্লগিং সম্পর্কিত বিস্তারিত ধারণা। আপনা ক্যারিয়ার হিসেবে ব্লগিং হতে পারে আদর্শ পেশা। কেননা, অন্যান্য চাকরিতে আপনাকে দিনে কমপক্ষে ৮ ঘন্টা বা তারো বেশি পরিশ্রম করতে হয়। তার বিনিময়ে যে পরিমাণ পারিশ্রমিক আপনি পান সেই তুলনায় ব্লগিংয়ে মাত্র ৫ থেকে ৬ ঘন্টা সময় দিলেই তারচেয়ে অনেক বেশি পরিমানে আয় করা সম্ভব। উদাহরণ হিসেবে আমরা অনেকের নাম বলতে পারি যারা ব্লগিংয়ে পেশা হিসাবে নিয়ে আজ প্রতিষ্ঠিত। যা কিনা যেকোন চাকরির চেয়ে অনেক ভাল। আর তা একটু মেধা খাটিয়ে কাজ করতে পারলে সম্ভব।
skill-up.JPG
যোগ্যতা ছাড়াই কি ব্লগিং সম্ভব?
অনলাইনে আয় করার জন্য শুধু যে দক্ষতা থাকতে তা নয় আপনার অবশ্যই যোগ্যতাও থাকতে হবে। অনলাইনে আয় করার জন্য আপনার খুব বেশি যোগ্যতার প্রয়োজন হবে না। আর ব্লগিং অর্থাৎ ইংরেজি লেখালেখি শুরু করার আগে প্রথমে কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে হবে। আর তাহলঃ
১। আপনার আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে আত্নবিশ্বাস খুবই জরুরি কারণ এখানে আপনাকে আপনার নিজের দক্ষতা এবং যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে আয় করতে হবে সেই ক্ষেত্রে আপনাকে নিজের উপর অবশ্যই বিশ্বাস আনতে হবে যে এই কাজের জন্য আপনিই উপযোগী কি না? কারণ বিশ্বাস ছাড়া আপনার এখানে কাজ নির্বাচন এবং তা সম্পূর্ণ করার ক্ষেত্রে দিদ্ধাগ্রস্ত হবেন। তাই আপনাকে নিজের উপর বিশ্বাস আনতে হবে। তা না হলে আপনি কোন কাজই সফলভাবে করতে পারবেন না সকল কাজ করার ক্ষেত্রেই আপনার মনে ভীতস্ততা কাজ করবে।
২। আপনাকে অবশ্যই ইংরেজিতে ভালো হতে হবে। ইংরেজি বানান এবং ব্যাকরণ সঠিকভাবে জানা থাকতে হবে, বিশেষ করে কমপ্লেক্স ও কম্পাউন্ড বাক্য ঠিকভাবে লেখার যোগ্যতা থাকতে হবে। ছোট, মাঝারি ও লম্বা বাক্য লিখতে পারার দক্ষতা থাকতে হবে। শুদ্ধ বানানের প্রতি লক্ষ রাখতে হবে। এক্ষেত্রে এমএস ওয়ার্ডের স্পেল চেকারের ব্যবহার করতে পারেন। আমেরিকান স্পেলিং শুদ্ধভাবে জানতে হবে। ছোট, মাঝারি ও লম্বা বাক্য লিখতে হবে। তাই গ্রামার সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। এক্ষেত্রে ব্রিটিশ ও আমেরিকান গ্রামার সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা ভালো।
৩। পরিশ্রম করার মানসিকতা থাকতে হবে। কারণ পরিশ্রমই ব্লগিংয়ের অন্যতম বিষয়।
৪। যে বিষয়ে আপনি ব্লগিং করবেন সে বিষয়ে আপনার সম্যক জ্ঞান থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ধারণা না থাকলে সে বিষয়ে কিছুই লিখতে পারবেন না।
৫। ব্লগ পোস্ট আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করার দক্ষতা অর্জন করতে হবে। ব্লগিংয়ে পোস্টের মধ্যে ভালোভাবে আলোচিত বিষয়কে তুলে ধরতে পারার দক্ষতা থাকতে হবে এবং আপনার স্বয়তা তুলে ধরতে হবে।
৬। এখানে পারিশ্রমিক হিসেবে বিভিন্ন এড মিডিয়া বা গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে প্রদর্শিত এড থেকে আয় মাসে ১০০ ডলার থেকে ১০০০ ডলার বা তারও বেশি হতে পারে (এটি ভিজিটরের এড ক্লিকের উপর নির্ভরশীল)। এক্ষেত্রে আয় কম হলে দমে যেতে পারবেন না।
৭। কোনো কোনো মাসে হয়তো প্রতিদিন ১০০-২০০ জন বা আরও বেশি ভিসিটর পেতে পারেন, আবার কখনো হয়তো দিনে ২০-৫০ জন ভিসিটরও পেতে পারেন। এক্ষেত্রেও দমে যেতে পারবেন না।
৮। আপনি ধৈর্যহারা হতে পারবেন না। কারণ ব্লগিংয়ে ধৈর্যধারণ ছাড়া সাফল্য আসে না। তাই আপনাকে লেগেই থাকতে হবে।
আপনি যদি মনে করেন উপরের সবগুলো শর্তই আপনার মধ্যে আছে তাহলেই কেবল আপনি অনলাইনে আয় করার জন্য সমর্থ হবেন।
writting.jpg
কতটুকু শ্রম দিতে হবে?
আপনাকে ধরে নিতে হবে আপনি এক দিনে মানসম্পন্ন কতগুলো পোস্ট করতে পারবেন। কিভাবে সুন্দরভাবে গুছিয়ে ব্লগপোস্ট লিখতে পারবেন। ক্লান্তি কতখানি সামাল দিতে পারবেন, দিনে কত ঘণ্টা ব্লগিংয়ের পিছনে ব্যয় করতে পারবেন ইত্যাদি নির্ভর করছে আপনি কতখানি ভিজিটর থেকে সাড়া পাচ্ছেন এবং নিজে কতক্ষণ করতে পারছেন তার ওপর। আর শ্রম কতটুকু দিতে হতে পারে তা আগের বর্ণনা থেকে নিশ্চয় বুঝে ফেলেছেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ভালো দক্ষতাসম্পন্ন হতে হবে। আপনি ব্লগপোস্ট লেখার ক্ষেত্রে কোনোভাবেই অন্যের লেখা কপি করতে পারবেন না। ব্লগপোস্টের স্বকীয়তার মাধ্যমে আপনাকে তা তুলে ধরতে হবে।
money.jpg
কি পরিমাণ আয় করা সম্ভব?
একজন ব্লগার এর আয় নির্ভর করে তার ব্লগিং স্টাইল ও দক্ষতার উপর। যে যত বেশি দক্ষ তার আয়ও তত বেশি। তবে সাধারণত একজন দক্ষ ব্লগার অনায়াসেই মাসে ২০/৩০ হাজার থেকে শুরু করে লক্ষাধিক টাকাও আয় করতে পারেন। তাছাড়া আরও যেসব বিষয়ের উপর আয় নির্ভর করেঃ
১। আপনার ব্লগে কি পরিমাণ ভিসিটর বা ট্রাফিক পাচ্ছেন।
২। আপনার ব্লগে প্রদর্শিত এডে ক্লিক কেমন পড়ছে (ভিসিটরের উপর নির্ভরশীল) এবং
৩। আপনি প্রতিদিন ব্লগিংয়ে কত ঘণ্টা সময় দিতে পারছেন।
তবে এ কথা মাথায় রাখতে হবে যে, সব মাসে একইভাবে আয় হবে না। কতটুকু পারবেন এবং কতখানি কাজ করলে আপনার ব্লগিংয়ের কোয়ালিটি ধরে রাখতে পারবেন, কতটুকু লাভ করবেন- সব নির্ভর করে আপনার ওপর।
blog-boss.jpg
কেমন প্রস্তুতি নিতে হবে?
APA Style, MLA, Chicago Style Proof Reading জানাটা জরুরি। APA হলো American Psychological Association এবং MLA হলো Modern Languages Association। এছাড়া ব্রিটিশ ইংরেজির জন্য অক্সফোর্ড স্টাইলের Proof Reading ও Editing জানলেও ভালো কাজ দেবে। ইংরেজি বিষয়ে অনলাইন থেকে অনেক সাহায্য পাবেন।
অনলাইন ইংরেজি শেখার কিছু লার্নিং টুলঃ
livemocha.JPG
১। লাইভমোচাঃ এটি হচ্ছে ভাষা শেখার কাজে ব্যবহৃত একটি সোশ্যাল নেটওয়ার্ক। এর সাহায্যে আপনি যেমন আপনার মাতৃভাষা শেখার কাজে কেউ একজনকে সাহায্য করতে পারেন তেমনি সেও পারে আপনি শেখার চেষ্টা করছেন এমন একটি বিদেশী ভাষা শিক্ষায় আপনাকে সাহায্য করতে। লিংকঃ http://www.livemocha.com/
verbalearn.JPG
২। ভারবালার্নঃ এই ওয়েব সাইটের সাহায্যে অনলাইন স্টাডি সেশনের মাধ্যমে আপনি আপনার ইংরেজি ভাষা দক্ষতাকে বৃদ্ধি করতে পারবেন। আপনার সঙ্গে সঙ্গে এ টুলটি নিজেও শিখতে থাকবে, সে সঙ্গে আপনার অগ্রগতি এবং দুর্বলতার একটি রেকর্ডও সংরক্ষণ করতে থাকবে। অফলাইনে নিজের স্টাডি লিস্ট পর্যালোচনা করার মাধ্যমে বিভিন্ন শব্দের মানে আরো ভালভাবে মনে রাখতে পারবেন, সে সঙ্গে এগুলোর উচ্চারণ কি হবে তাও অনলাইনে জেনে নিতে পারবেন। লিংকঃ http://www.verbalearn.com/
এছাড়াও বিভিন্ন বইয়ের লাইব্রেরিতেও এসব বিষয়ে বই পাবেন আশা করি। তবে নিয়মগুলো বেশ ভালোভাবে রপ্ত করতে হবে।
কি লিখবেন?
ব্লগিংয়ের বিষয়টা নির্ভর করে আপনার দক্ষতা, রুচি, সহযোগিতা সর্বোপরি যে সাইট বা বিষয়ের জন্য লেখা হচ্ছে সেটার চাহিদার ওপর। যে কোন বিষয়ে একটি ব্লগ তৈরি করে আয় করা যায়। ব্লগে ভিজিটর যত বেশি হবে আয়ের সম্ভাবনা তত বেশি। এজন্য শুরুতে একটি বিষয় বেছে নেয়া প্রয়োজন।
ইন্টারনেটে খোঁজ করে ব্লগের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে ধারণা পেতে পারেন। বস্তুত বিষয়ের কোন সীমাবদ্ধতা নেই। তবে বিষয়বস্তু যা-ই হোক না কেন একজন ব্লগারকে কোনো নির্দিষ্ট টপিক নিয়ে ভালভাবে ধারণা অর্জন করে তৈরি করতে হয়। উন্নত বিশ্বে একজন ব্লগারকে একজন সাংবাদিক আবার গবেষকও অভিহিত করা হয়। আপনার ব্লগিংয়ের বিষয়বস্তু উপর ভিত্তি করে ঠিক করে নিতে হয় আপনার দিক ঠিক করে নিতে হবে।
কিভাবে লিখবেন?
একটি ব্লগপোস্ট অবশ্যই প্রাঞ্জল ও গুরত্বপূর্ণ তথ্য দ্বারা সমৃদ্ধ হতে হবে। ব্লগার হিসেবে আপনাকে মনে রাখতে হবে, যারা ব্লগে আপনার ব্লগপোস্ট পড়বেন, তিনি মিনিট প্রতি বা ঘণ্টা প্রতি নির্দিষ্ট পয়সা খরচ করে পড়বেন। সুতরাং তিনি চাইবেন সবচেয়ে কম সময়ে প্রয়োজনীয় জিনিস পড়তে। তাই তথ্য নির্ভর, সংক্ষিপ্ত বিষয়ভিত্তিক লেখাই আপনাকে লিখতে হবে। এতে ব্লগার হিসেবে আপনার গ্রহণযোগ্যতা যেমন বাড়বে তেমনি উপার্জনের পথও প্রশস্ত হবে।
মনে রাখতে হবে ব্লগপোস্ট যেন যুক্তিযুক্ত হয়। ব্লগপোস্ট লেখার আগে কি লিখছেন, কেন লিখছেন তা জানতে হবে। নিজের কোনো শখ, দৈনন্দিন জীবন, ব্যক্তিগত কোনো অভিজ্ঞতা বিষয়ে লিখতে হলে ব্লগপোস্ট লেখার শুরুটা হবে একটু অন্যরকম। কারণ ভিন্নতা পাঠককে নাড়া দেয়। এ ক্ষেত্রে ঘটনার খুটিনাটি বিষয়ে না গিয়ে বরং যা ঘটেছিল ঠিক তাই বর্ণনা করুন। অতিরিক্ত শব্দ ব্যবহার না করে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং সহজ শব্দ বেছে নিন। ব্লগপোস্ট লেখা শেষে বারবার পড়ুন। ভালো ব্লগপোস্ট পড়া, ই-মেইল, চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে ব্লগারদের সঙ্গে ভাবনা চিন্তার আদান প্রদান করুন। ব্লগপোস্টের মধ্যে রহস্য রাখার চেষ্টা করুন। পাঠকরা যাতে চমক পায় সে রকম কিছু রাখুন।
helpful-tips.jpg
ভালো ব্লগার হওয়ার জন্য যেসব বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন!
প্রথমে ইন্টারনেট ব্যবহারের খুটিনাটি সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। তারপর তীক্ষ্ণ একাগ্রতার সাথে টপিকের বিষয়বস্তু ভালভাবে জানার চেষ্টা করতে হবে। নিজের সৃজনশীলতায় তথ্যকে সম্পূর্ণ করে লেখার যোগ্যতা থাকতে হবে। নিজস্ব এবং সংগৃহীত তথ্যকে সাজিয়ে পাঠকের সামনে নতুনভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করতে হবে। যাতে পাঠক নতুন কিছু লাভ করতে পারে।
ব্লগার হিসেবে আপনি একেবারে নতুন হলেও সমস্যা নেই। তবে সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা থাকলে ভালো হয়। লেখার ইচ্ছা, ভালো রচনাশৈলী ও সময়োপযোগী বিষয়বস্তু নির্বাচনের সামর্থ্য থাকলে এ পেশায় আপনি সফলতা লাভ করতে পারবেন।
কিভাবে আপনি ব্লগিংয়ের ধারণা পাবেন?
১। কোন বিষয় একাগ্রতার সাথে জানার মাধ্যমেঃ ব্লগিং করতে হলে যে জিনিসটি আপনাকে সবচেয়ে বেশি করতে হবে, সেটি হলো পড়া। যেকোনো বিষয়ে ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে পড়া হল সবচেয়ে জরুরী বিষয়। নিয়মিত সংশ্লিষ্ঠ বিষয়ে বিভিন্ন ব্লগ পড়লে বা ইন্টারনেটে ঘাটাঘাটি করলে আপনি কি নিয়ে লিখবেন সেটি সম্পর্কে অনেক ব্লগিং আইডিয়া পাবেন। আপনি যেটা পড়েছেন সেটি নিয়ে লিখবেন না। ঠিক তারই পাশাপাশি যেটি পাঠক এখনো জানেনি সেটি নিয়ে নতুন ধারণা করতে পারবেন। আপনি শুধু অন্যান্য ব্লগ পড়বেন না একটি সাধারণ বই পড়লেও ব্লগিং আইডিয়া পাওয়ার যায়।
আপনি বিভিন্ন ম্যাগাজিন, কনফারেন্স পেপার, বিশিষ্ঠজনদের বায়োগ্রাফি অথবা তাদের সাফল্যের কাহিনী পড়েও অনেক আইডিয়া পেতে পারেন। এখন সে বিষয়টি নির্দিষ্ঠ করে আপনাকে মার্কেট রিসার্চ করতে হবে এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আপনার ব্লগিং আইডিয়া পেতে অন্য ব্লগাররা কি বলছে বা লিখছে সেটি আপনাকে অনেক সহায়তা করবে। আপনার যদি ভালোমানের ব্লগার হতে চান তাহলে এ কাজটি আপনাকে করতেই হবে। ইন্টারনেট মার্কেটিং, ব্লগিং বা মানি মেকিং অনলাইন বিষয়ে প্রোব্লগার (http://www.problogger.net/) এর মতো অনেক ভালো ভালো ব্লগ আছে। এসব ব্লগের পোস্ট পড়ে আপনি অনেক আইডিয়া পাবেন।
২। অনলাইন ফোরামে অন্যের টপিক সমস্যার সমাধান দিনঃ ফোরাম হলো এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে মানুষ কি জানতে চায় বা অনুসন্ধান করছে সেটি জানার অন্যতম মাধ্যম। ফোরাম হিসেবে আপনি ইয়াহু অ্যান্সার বা উইকি অ্যান্সারসহ হাজার হাজার ফোরাম পাবেন যেখান থেকে আপনি আপনার লেখার আইডিয়া পাবেন। ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আয়ের জন্য এ বিষয়ের বিভিন্ন ব্লগ বা বিভিন্ন ফোরামে ঢুকে বিভিন্নজনের টপিক পড়ুন। আলোচনা পড়ুন। অনেক দিকনির্দেশনা পাবেন।
৩। আর্টিকেল ডিরেক্টরি নিয়মিত ভিজিট করার মাধ্যমেঃ বিভিন্ন আর্টিকেল ডিরেক্টরি থেকে আপনি কি বিষয়ে লিখতে পারেন সে বিষয়ে সম্পর্কে সম্যক ধারণা সৃষ্টি করতে পারে। আপনি আপনার ব্লগে বিভিন্ন আর্টিকেল ডিরেক্টরির একই বিষয় নিয়ে আরো গভীরভাবে ও ভালোভাবে তা প্রকাশ করে সে বিষয়ে সবাইকে জানাতে পারেন।
৫। গুগল অ্যাডওয়ার্ড টুল ব্যবহারের মাধ্যমেঃ লোকজন সার্চ ইঞ্জিনে কি অনুসন্ধান করছে সে শব্দ বা বাক্য দিয়ে গুগল অ্যাডওয়ার্ড (https://adwords.google.co.uk/select/KeywordToolExternal) টুলের মাধ্যমে ঐ সম্পর্কিত ভালো আইডিয়া পাওয়া যায়। সে হিসেবে লোকজন কি বিষয়ে অনুসন্ধান করছে তার উপর ভিত্তি করে আপনি বেশ কিছু ব্লগিং আইডিয়া পাবেন। তাছাড়া এটি একটি এসইও টুলও। তাই আপনি এর মাধ্যমে আপনি আপনার ব্লগপোস্টে গুরুত্বপূর্ণ কিওয়ার্ড যুক্ত করতে পারবেন।
৬। সাম্প্রতিক বিষয় সম্পর্কে ধারণা রাখার মাধ্যমেঃ নতুন নতুন ব্লগিং আইডিয়া ও ব্লগ কনটেন্ট পাওয়ার জন্য সাম্প্রতিক বিষয় একটি গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎস। আপনি যদি কোনো সংবাদ ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারেন তবে যারা সাম্প্রতিক সংবাদ খোঁজেন তাদের মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন থেকে ভালো ট্রাফিক পাবেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আপডেটেড নিউজ পেতে আপনি গুগলে নিউজ অ্যালার্ট তৈরি করতে পারেন। ফলে আপনি সহজেই আপডেটেড নিউজের খবর পাবেন। তাছাড়া আপনি যদি এমন কোনো বিষয়ে ব্লগিং করেন যেটি দ্রুত পরিবর্তন হয়, যেমন- রাজনীতি বা প্রযুক্তি, সেসকল ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ব্লগিং আইডিয়া পেতে সর্বশেষ সংবাদের খোঁজ রাখতেই হবে।
৭। পাঠকের সাথে সম্পর্ক তৈরি করার মাধ্যমেঃ ব্লগের ক্ষেত্রে এটি একটি প্রয়োজনীয় বিষয়। আপনি আপনার পোস্টে পাঠকের কাছে তাদের মতামত চেয়ে প্রশ্ন করতে পারেন। এর ফলে আপনি কিছু অ্যাক্টিভ মন্তব্যকারী পাবেন। এছাড়া তারা কি চায় সে সম্পর্কেও অনেক মন্তব্য পাবেন। একই কাজটি আপনি সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুকে বা টুইটারেও করতে পারেন। তাদের বিষয় থেকে নতুন নতুন ব্লগিং আইডিয়া পাবেন।
৮। নিয়মিত গুগল অ্যানালাইটিক্স চেক করার মাধ্যমেঃ ভিসিটর কিভাবে আপনার ব্লগে আসছে সে সম্পর্কে গুগল অ্যানালাইটিক্স (http://www.google.com/analytics/) ধারণা দেয়। সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে কি পরিমাণ ভিজিটর আসছে সেটি জানার মাধ্যমে আপনি তাদেরকে কতোটা সন্তুষ্ট করতে পারছেন বা আপনার কিওয়ার্ডটি কতোটুকু যুক্তিযুক্ত হয়েছে সেটি সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাবেন। আর এই টার্গেটেড কিওয়ার্ডের মাধ্যমে আপনি আপনার ব্লগকে উন্নত করে আরো ভালো ট্রাফিক লাভ করবেন।
google-adsense-logo.gif
গুগল এডসেন্স থেকে হাজার ডলার আয় করুন!
গুগল এডসেন্স (http://www.google.com/adsense) ব্যবহৃত হয় এমন সাইটে Ads By Google কথাটি লেখা থাকে। এখন আপনি যদি Ads By Google লেখা ওয়েবসাইটের কোন বিজ্ঞাপনে ক্লিক করেন তাহলে উক্ত ওয়েবসাইটের মালিক গুগলের কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ রেভিনিউ পাবে। ইন্টারনেটে যত ওয়েবসাইট আছে তার অধিকাংশ ওয়েবসাইটই এই গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় করে থাকে।
গুগলের অনলাইন বেজড অ্যাডভার্টাইজিং প্রোগ্রাম-এর নাম হল অ্যাডসেন্স। গুগল নিজে ধনী হবার পাশাপাশি তার হাজারো ভক্তদের অর্থ উপার্জনের সুযোগ দিয়েছে। বিশ্বের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইনে তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। এই বিজ্ঞাপনগুলো প্রচার করে থাকে গুগল অ্যাডসেন্স-এর মত অ্যাডভার্টাইজিং নেটওয়ার্ক। এসব নেটওয়ার্ক বিজ্ঞাপন প্রচারে যে পরিমাণ অর্থ পায় তা থেকে কিছু অর্থ তাদের নেটওয়ার্কের পাবলিশার বা আমাদের মত ওয়েবসাইট মালিক বা ব্লগারদের দিয়ে থাকে।
গুগল অ্যাডওয়ার্ডসের মাধ্যমে বিজ্ঞাপনদাতারা গুগলকে বিজ্ঞাপন দেয় আর সে বিজ্ঞাপনগুলো গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে ওয়েবমাষ্টার বা ব্লগাররা তাদের সাইটে প্রদর্শন করে। আর এটি অনলাইনে টাকা উপার্জনের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম।
গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় করতে যেসব বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখবেন!
১। গুগল অ্যাডসেন্স-এর পাবলিশার হবার জন্য আপনার একটি নিজস্ব ওয়েব সাইট বা ব্লগসাইট থাকতে হবে। এটি ফ্রিও হতে পারে।
২। আপনার সাইটে প্রচুর পরিমাণে তথ্যবহুল কনটেন্ট থাকতে হবে। ব্লগের বিষয়বস্তুর ধারাবাহিকতা থাকতে হবে। ব্লগের কনটেন্ট হিসেবে লিখতে পারেন যে কোনো পণ্য বা সফটঅয়্যার, মুভি ইত্যাদির রিভিউ। তবে পাইরেসি সংক্রান্ত জটিলতা এড়ানো অপরিহার্য। কারণ যে সফটঅয়্যার টাকা দিয়ে কিনতে হয় সেটি যদি আপনি অবৈধভাবে ডাউনলোড লিংক দেন তাহলে তাহবে আইন বিরোধী এবং অ্যাডসেন্স-এর নিয়ম বিরুদ্ধ।
৩। কোনো ওয়েব সাইট থেকে কনটেন্ট কপি পেস্ট করা চলবে না। আপনার ব্লগে কমপক্ষে ৩০-৪০টি পোস্ট থাকতে হবে।
৪। সাইটটিতে ভাল ভিজিটর বা ট্রাফিক থাকতে হবে।
৫। আপনার সাইটটি সার্চ ইঞ্জিনে থাকতে হবে। কারণ গুগল সার্চ ইঞ্জিন থেকে আসা ভিজিটরকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে।
৬। আপনার করা পোস্টগুলোর মধ্যে কমপক্ষে ১৫-২০ টি গুগলের সার্চ ইঞ্জিনে ইনডেক্স হতে হবে। আপনার কয়টি পেজ ইনডেক্স হয়েছে তা জানতে গুগলে sites://http://yourblogaddress দিয়ে সার্চ করে দেখতে পারেন। যদি ইনডেক্স না হয় তবে অ্যাপ্লাই না করাই ভাল। কারণ আপনার অ্যাপ্লিকেশন গ্রহণ করা নাও হতে পারে। তখন আপনার পরিশ্রমটাই বৃথা যাবে। তাই ইনডেক্স হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
গুগল অ্যাডসেন্স থেকে কিভাবে টাকা পাব?
গুগল অ্যাডসেন্স-এ রেজিস্ট্রেশন করার সময় গুগল আপনার Payee Name, Contact Address, Post Code অর্থাৎ আপনার বিস্তারিত তথ্য নিয়ে নেবে। এরপর আপনার অ্যাকাউন্টে ১০ ডলার জমা হলে আপনার প্রদেয় ঠিকানাতে ডাকযোগে পিন নম্বরের একটি চিঠি আসবে। উক্ত চিঠিতে যে পিন নম্বরটি পাবেন তা আপনার অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টে দিতে হবে।
যখন আপনার অ্যাকাউন্টে যখন ১০০ বা তার বেশি পরিমাণ ডলার জমা হবে তখন আপনার প্রদত্ত ঠিকানায় অ্যাডসেন্স থেকে একটি চেক আসবে। চেকটি পাবার পর আপনার স্থানীয় ব্যাংকে উক্ত Payee Name দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট খুলুন এবং চেকটি জমা দিন। কিছুদিন পর চেকটি লোকাল কারেন্সি অর্থাৎ বাংলাদেশী টাকায় কনভার্ট হয়ে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হবে। মনে রাখবেন Payee Name ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মালিকের নাম একই হতে হবে।
কিভাবে গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় করা যায়?
গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় করতে হলে প্রথমেই যে জিনিসটা দরকার সেটা হচ্ছে একটি তথ্যবহুল ওয়েবসাইট বা ব্লগ, যেখানে নির্দিষ্ট কোন একটা বিষয়ের উপর প্রচুর তথ্য উপাত্ত থাকবে এবং বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন যেমন গুগল, ইয়াহু, বিং থেকে ভিজিটররা এসে ওয়েবসাইট বা ব্লগে তাদের আকাংখিত তথ্য এবং সমাধান পাবে।
দ্বিতীয়ত, একটি গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টের জন্য গুগলের নিজস্ব প্রাইভেসি পলিসি এবং টার্মস অব সার্ভিসেস গুলো মেনে আবেদন করতে হয়। দুই ধাপের ভেরিফিকেশন প্রসেস সম্পন্ন হওয়ার পর গুগল অ্যাডসেন্স কর্তৃপক্ষ আবেদনকারিকে অ্যাপ্রুভাল দেয়।
আবেদন গৃহীত হওয়ার পর, অ্যাডসেন্স সাইট থেকে বিজ্ঞাপন জেনারেট করে সাইটে বসাতে হয়। অ্যাডসেন্স রোবট সাইটের কনটেন্টের উপর ভিত্তি করে কন্টেক্সচুয়াল বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে এবং ভিজিটররা উক্ত বিজ্ঞাপনে ক্লিক করা মাত্রই পাবলিশারদের অ্যাকাউন্টে প্রাপ্ত টাকাটা জমা হয়। প্রতি মাসের শেষের দিকে অ্যাডসেন্স কর্তৃপক্ষ অ্যাকাউন্টধারীর ঠিকানায় চেক ইস্যু করে।
একজন অ্যাডসেন্স পাবলিশার মাসে কত টাকা আয় করতে পারে?
আমাদের তরুণদের মধ্যে ব্লগ লিখে শত কোটি টাকা আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। গুগল অ্যাডসেন্স মূলত গুগলের একটি পণ্য। গতবছর গুগল এ পণ্য থেকে আয় করেছে ৭৭ হাজার ৬৮০ কোটি টাকারও বেশি বেশি পরিমাণ অর্থ (সূত্রঃ উইকিপিডিয়া)। তারা মধ্য সুবিধা প্রদানকারী হিসাবে ৩২ শতাংশ টাকা কেটে রাখে।
এখন ৩২ শতাংশ থেকেই গুগলের যদি আয় হয় ৭৭ হাজার কোটি টাকার বেশি, তাহলে ৬৮ শতাংশ পেয়ে অ্যাডসেন্স পাবলিশারদের আয় আরও বেশি। অন্যান্য দেশের অনেক তরুণ-তরুণীরা একমাত্র গুগল অ্যাডসেন্স থেকে মাসে ৩০ হাজার ডলারের উপরে আয় করছেন। সঠিক দিক নির্দেশনা আর নিয়মিত সাধনা করে গেলে প্রতি মাসে বাংলাদেশিরাও সমপরিমাণ বা তারচেয়ে বেশি আয় করতে পারে।
শুধুমাত্র বেসিক ইংরেজি জ্ঞান এবং নিয়মিত লিখে যাওয়ার ধৈর্য্যই গুগল অ্যাডসেন্সে সাফল্য পাওয়ার মূলমন্ত্র। বাংলাদেশী তরুন এবং বেকার যুবকরা তাদের অলস সময়ের কিছুটা সময় এর পিছনে ব্যয় করলে তাদের জীবনধারাই পাল্টে যেতে পারে। টাকা উপার্জনের এই ফ্রি এবং বৈধ প্লাটফর্মটিকে সঠিকভাবে কাজে লাগান গেলে বাংলাদেশ এই সেক্টর থেকেই প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারে।
বাংলাদেশে এখন এমন গুগল অ্যাডসেন্স পাবলিশার রয়েছেন যারা ব্লগ লিখে আয় করছেন ৩ থেকে ৫ হাজার ডলার পর্যন্ত। বাংলাদেশে গুগল অ্যাডসেন্সে খুব ভালো করছে এরকম মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। অনেকেই প্রফেশনাল ব্লগিং এর দিকে নজর দিচ্ছে এবং উত্তরোত্তর নিজের দক্ষতা উন্নয়ন করে অ্যাডসেন্স থেকে বেশ ভালো অংকের টাকা আয় করছে।
বর্তমানে প্রায় ৩৫ টি দেশের ভাষায় অ্যাডসেন্স চালু রয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, বাংলা ভাষায় এখনো অ্যাডসেন্স পাওয়া যায় না। অ্যাডসেন্স যদি বাংলা ভাষা সাপোর্ট করে; তবে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের বাংলা ব্লগাররা প্রচুর আয় করার স্বপ্ন দেখতে পারে।
গুগল অ্যাডসেন্সের চেক কিভাবে দেশে আনবেন?
গুগল অ্যাডসেন্সের চেক সাধারনত দুটি উপায়ে বাংলাদেশে আনা যায়। ডাক বিভাগের সাধারণ সার্ভিসের মাধ্যমে অথবা ডিএইচএল কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে। সাধারণ ডাক সার্ভিসের মাধ্যমে ঠিকানামতো পৌছাতে একটি চেক ১৫ থেকে ২০ দিনের মতো সময় নেয়। তবে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে মাত্র ৪ দিনের মধ্যেই চেক আনা সম্ভব।
may-adsense-earnings.jpeg
গুগল অ্যাডসেন্সের চেক কোথায় ক্যাশ করাবেন?
বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় অনেক সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংক গুগল অ্যাডসেন্সের চেক ক্যাশ করে থাকে। সরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে জনতা ব্যাংক এবং সোনালী ব্যাংক অন্যতম। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে এক্সিম ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, এইচএসবিসি এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংক গুগলের চেক ক্যাশ করে থাকে। একটি চেক ক্রেডিট হতে লোকাল ব্যাংকগুলোতে সাধারণত ২০ থেকে ৪৫ দিনের মতো সময় লাগে।
গুগল অ্যাডসেন্সে সাফল্য পেতে কতদিন লাগতে পারে?
গুগল অ্যাডসেন্সে সাফল্য পুরোপুরি নির্ভর করে ওয়েবসাইট বা ব্লগের কনটেন্ট এবং সাইটে আসা ট্রাফিকের উপর। কেউ যদি ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করার ঠিক ২ মাসের মধ্যেই প্রচুর পরিমাণ ট্রাফিক তথা ভিজিটর সাইটে আনতে পারে, তবে ঠিক ২ মাস পর থেকেই আয় করা সম্ভব। হতাশ না হয়ে নিয়মিত ভালো মানের ব্লগপোস্ট লিখে যেতে পারলে গুগল অ্যাডসেন্স থেকে সাফল্য আসতে বাধ্য। যদি লেগে থাকার মতো ধৈর্য থাকে এবং নিয়মিত নতুন নতুন ব্লগপোস্ট লেখা যায় তবে কেউ অ্যাডসেন্স নিয়ে কাজ শুরু করার ঠিক ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যেই সাফল্য পেতে পারে।
গুগল অ্যাডসেন্সে সাফল্য পেতে হলে যেসব বিষয় মাথায় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে!
১। পাঠক যাতে আপনার ব্লগ পড়ে স্বাচ্ছন্দ্য পায় এবং তার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সহজেই জানতে পারে সেজন্য পয়েন্ট অথবা তালিকা আকারে ব্লগ লিখুন।
২। একজন ব্লগারের লেখা পড়তেই পাঠকরা তার ওয়েবসাইটে আসেন। আর ওয়েবসাইটে গুছিয়ে এবং সাবলীলভাবে লেখার প্রতিই সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দেওয়া জরুরি। কারণ আপনি যত সুন্দরভাবে গুছিয়ে লিখতে পারবেন সাফল্যও তত দ্রুত আপনার দরজায় উঁকি দেবে।
৩। ব্লগে প্রতিটি আর্টিকেল পাবলিশ করার সময় রিলেটেড ছবি ব্যবহার করবেন। আর্টিকেলে যদি যথোপযুক্ত ছবি থাকে তা বিজ্ঞাপনে ক্লিক বেশি পড়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। তবে কখনোই বিজ্ঞাপন আর্টিকেলের ছবির পাশাপাশি বা একসাথে ঘেষে বসানো যাবে না। ছবি থাকলে আর্টিকেল পড়তে মানুষজন আগ্রহী হয় এবং বেশি সময় ধরে সাইটে অবস্থান করে। এটি সত্য যে, একজন ভিজিটর যদি বেশকিছু সময় ধরে সাইটে অবস্থান করে তবে তার মধ্যে আরো তথ্য জানার একটা আগ্রহ তৈরি হয় এবং তখনই কেবল সে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে।
৪। প্রথমেই খুব বেশি টাকা পাওয়া যায় এমন কিওয়ার্ড টার্গেট করে ব্লগ বানাবেন না। প্রথমে কম দামি কিওয়ার্ড টার্গেট করুন এবং সাইটে ভিজিটর আসতে শুরু করলে তারপর বেশি টাকা পাওয়া যায় এমন কিওয়ার্ড টার্গেট করুন।
৫। নিয়মিত ভালো মানের ব্লগপোস্ট প্রকাশ করুন। তবে কখনোই লেখা অন্য সাইট থেকে কপি করে প্রকাশ করা যাবে না। লেখার মান ভালো হলে সার্চ ইঞ্জিন থেকে প্রচুর ভিজিটর পাওয়া যায়। যেহেতু মোট ক্লিকের উপর টাকার পরিমাণ নির্ভর করে সেহেতু যত বেশি সম্ভব ট্রাফিক আনা যায় আয় বেশি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
৬। কখনই কপিরাইটকৃত ছবি ব্যবহার করবেন না। কারণ কপিরাইটেড ছবি ব্যবহার করলে গুগল যেকোন সময় অ্যাকাউন্ট ব্যান করে দিতে পারে।
৭। অপ্রাসঙ্গিক কোন ছবি, রং এবং অযাচিত উইজেট ব্যবহার করবেন না। এগুলো পাঠককে বিভ্রান্ত করে এবং সাইটের বাউন্স রেট বাড়িয়ে দেয়। একই সঙ্গে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করার সম্ভাবনাও কমিয়ে দেয়।
৮। মোটামুটি সার্চ হয় এরকম কিওয়ার্ড টার্গেট করে ব্লগ তৈরি করুন। গুগলের এক্সটারনাল কিওয়ার্ড টুল ব্যবহার করে, কিওয়ার্ড রিসার্চ এবং কম্পিটিটিভ এনালাইজ করে সঠিক কিওয়ার্ডগুলো নির্বাচন করুন এবং তার উপর ভিত্তি করে ব্লগপোস্ট তৈরি করুন। মনে রাখবেন, যত বেশি ইউনিক ব্লগপোস্ট পাবলিশ করা যায় আয়ের সম্ভাবনা ততই বেশি।
৯। একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে ব্লগিং করুন। বিভিন্ন টপিক নিয়ে ব্লগিং করলে সঠিক অ্যাড পাওয়া যায় না। ফলে বিজ্ঞাপনে ক্লিক পড়ার হার কমে যায়। সবচেয়ে ভাল হয় যদি গতানুগতিক টপিক সিলেক্ট না করে মার্কেট রিসার্চ করে এমন একটা টপিকে ব্লগিং করা যেটা নিয়ে সচরাচর মানুষ ব্লগিং খুব কম করে। এতে করে প্রতিযোগীতা কম হয় এবং খুব সহজেই সার্চ ইঞ্জিন থেকে ভিজিটর পাওয়া যায় এবং বিজ্ঞাপনের কস্ট পার ক্লিকও (প্রতি ক্লিকের মূল্য) বেশি পাওয়া যায়।
১০। নিয়মিত সাইটের ট্রাফিক, CTR (ক্লিক পড়ার হার) এবং পেজ ইম্প্রেশন মনিটর করুন। ইনভ্যালিড অথবা অস্বাভাবিক পরিমাণ ক্লিক পড়লে সাথে সাথে সেটা গুগলের কাছে রিপোর্ট করুন। এতে করে অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট ব্যান হওয়া থেকে রক্ষা পাবেন।
১১। কখনো সার্চ ইঞ্জিনকে টার্গেট করে অযাচিত কিওয়ার্ড দিয়ে ব্লগ বানাবেন না। কারণ সার্চ ইঞ্জিনগুলো শুধুমাত্র আপনাকে পাঠক এনে দিতে পারবে কিন্তু পাঠক যদি সাইটে বেশি সময় অবস্থান না করে তবে কখনো বিজ্ঞাপনেও ক্লিক করবে না।
গুগলের অ্যাডসেন্স বিষয়ে কিছু ভ্রান্ত ধারণার অপনোদন!
১। গুগলের অ্যাডসেন্স পাবলিশারদের অ্যাকাউন্ট বাতিল হয়ে যাওয়াঃ বাংলাদেশি কোন পাবলিশারের ওয়েবসাইটে একটু বেশি Click Through Ratio (CTO) অর্থ্যাৎ ক্লিকের হার বেশি হলেই অ্যাকাউন্ট বাতিল হয়ে যায়। এ কারণেই অনেক ব্লগার মাঝপথে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
২। অনেকগুলি সাইটে অনেকগুলি এ্যাডসেন্স ব্যবহার করলে আয় বেশিঃ এ্যাডসেন্সে লাভ দেখে অনেকেই একাধিক এ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট ব্যবহারে আগ্রহী হন। এটি করে আপনি প্রথম দিকে করে আয় করতে পারবেন কিন্তু পরে সব হারাতে হবে। কারণ গুগলের ট্র্যাক করার ক্ষমতা অন্যান্য সাইট থেকে সবচেয়ে বেশি তাই গুগল কোন একসময় সেটা ঠিকই ধরে ফেলবে এবং সবগুলি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেবে।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) সফটওয়্যার ব্যবহার করলে দ্রুত আয় বাড়েঃ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের জন্য সফটওয়্যার ব্যবহার করলে অবশ্যই সাইটের পরিচিতি বাড়ে কিন্তু এ্যাডসেন্সকে টার্গেট করে যদি সেটা করেন তাহলে গুগল সেটা পছন্দ করে না। গুগল এমন সাইটে লাভজনক এ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপন দেয় সেখানে ভিজিটর নিজে আগ্রহী হয়ে যায়। ফলে কোন সাইটে প্রতি ক্লিকে পাওয়া যায় কয়েক সেন্ট, কোন সাইটে কয়েক ডলার।
আপনারা যেহেতু অনলাইনে আয় করতে চান অবশ্যই এই সকল ধারণাকে এড়িয়ে চলবেন কারণ এই সকল ভুল ধারণাগুলো আপনার অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করবে। তাই যথাসম্ভব এই সকল উদ্দেশ্য এবং পথ এড়িয়ে আপনার জন্য শ্রেয়। কারণ অনলাইনে আয় অনেকই এ করতে পারে কিন্তু আয় করে সফল সকলে হতে পারে না। মনে রাখবেন, অ্যাডসেন্স থেকে টাকা উপার্জনের জন্য অনেক সময়ের প্রয়োজন।
reference-links.gif
ব্লগিংয়ের টপ টেন ওয়েবসাইট!
ব্লগিং বিষয়ে আরও ভাল ধারণা পাওয়ার জন্য নিচের দশটি ব্লগ সাইট দেখতে পারেন।
১। বিজনেস ইন সাইডার। লিংকঃ http://www.businessinsider.com/
২। শাউট মি লাউড। লিংকঃ http://www.shoutmeloud.com/
৩। হাফিংটন পোস্ট। লিংকঃ http://www.huffingtonpost.com/
৪। ম্যাশেবল। লিংকঃ http://www.mashable.com/
৫। প্রোব্লগার। লিংকঃ http://www.problogger.net/
৬। মেন উইথ পেনস। লিংকঃ http://www.menwithpens.ca/
৭। কপি ব্লগার। লিংকঃ http://www.copyblogger.com/
৮। ক্রিস ব্রগান। লিংকঃ http://www.chrisbrogan.com/
৯। স্মার্ট প্যাসিভ ইনকাম। লিংকঃ http://www.smartpassiveincome.com/
১০। দ্যা সিম্পল ডলার। লিংকঃ http://www.thesimpledollar.c

ঘরে বসে ইনকাম এর সবচেয় উত্তম মাধ্যম গুগল এডসেন্স

এডসেন্স কি ?

এডসেন্স গুগল এর একটি প্রতিষ্ঠান,গুগল এডসেন্স অনলাইন ভিত্তিক বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন দাতা সংস্থা। সহজ ভাষায় এডসেন্স হচ্ছে ব্লগ বা অয়েব সাইট থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য সব চেয়ে ভাল মাধ্যম। আপনার যদি একটি ভাল মানের ব্লগ বা অয়েব সাইট থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই শত শত ডলার ইনকাম করতে পারবেন এডসেন্স এর মাধ্যমে।

এডসেন্স কেন ?

আপনার অয়েব সাইট থেকে টাকা ইনকাম করতে সাহায্য করাই এডসেন্স এর কাম্য। বতর্মান সময়ে প্রায় সকল ধরনের জি্নিষপপত্র অনলাইনেই পাওয়া সম্ভব,তাই অনেকেই তাদের পন্য বিক্রির জন্য অনলাইন ভিত্তিক এড দিয়ে থাকে,আর যেহেতু অনলাইন বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের উত্তম মাধ্যম হচ্ছে এডসেন্স,তাই সবাইনির্দিষ্ট পরিমান অর্থের বিনিময়ে এডসেন্স কেই বেছে নেয়।সেই সকল এড আপনার অয়েব সাইট এ প্রদর্শনের মাধ্যমে আপনি ডলার ইনকাম করতেপারবেন, যদি আপনার একটি ভালো মানের ব্লগ বা অয়েব সাইট থাকে,সেই সাইটে যদি এডসেন্স এর এড ব্যবহার করেন আর সেই এড এ যদি কেউ ক্লিক করে তাহলে এডসেন্স সেই ক্লিক এর জন্য আপনাকে টাকা প্রদান করবে।

এডসেন্স কিভাবে পাবেন ?


এডসেন্স একাউন্ট পেতে হলে আপনাকে তদের সকল শর্ত মানতে হবে। প্রথমেই আপনার একটি মানসম্মত ব্লগ বা অয়েব সাইট থাকতে হবে। যদি থাকে তাহলে http://www.google.com/adsense এই সাইট এ গিয়ে সাইন আপ এ ক্লিক করুন এবার যে ফর্ম টি আসবে তাতে সঠিক তথ্য প্রদান করুন। যদি সব কিছু ঠিক থাকে তাহলে এডসেন্স এক থেকে দুই দিন এর মধ্যে আপনাকে জানাবে যে আপনি এডসেন্স এর যোগ্য কিনা।যদি এডসেন্স থেকে আপনার সাইট টি এপ্রুভ করা হয় তাহলে আর দেরি না করে এডসেন্স থেকে এড কোড নিয়ে আপনার সাইট এ কোড গুলি বসিয়ে দিন আর শুরু করে দিন ডলার ইনকাম।

আপনি কি পারবেন এডসেন্স থেকে ইনকাম করতে?

হ্যাঁ আপনিও পারবেন এডসেন্স থেকে ইনকাম করতে,কিন্তু তার জন্য আপনাকে সামান্য পরিশ্রম করতে হবে। ক‌য়েকটি গুন আপনার মধ্যে থাকতেই হবে যেমনঃ আপনাকে কিছুটা ইংরেজি জানতে হবে,ইন্টারনেট সম্বন্ধে ধারনা থা্কতে হবে,,ইনকাম করার জন্য ধৈয‍‌ ধারন করার ক্ষমতা থাকতে হবে। আপনার অয়েব সাইটে ভাল মানের ভিজিটর থাকতে হবে, আর সাইটে প্রচুর ভিজিটর আনার জন্য আপনাকে প্রতিদিন কমপক্ষে এক থেকে দুইটি পোষ্ট করতে হবে। পোষ্টগুলি অবশ্যই আপনার নিজের লেখা হতে হবে,তাহলেই আপনার সাইটে ভিজিটর বারবে ,আর যত ভিজিটর আসবে তত ক্লিক এর সংখ্যা বারবে তখন ইনকামও বারবে। চেষ্টা করে দেখুন আপনিও পারবেন অনলাইন থেকে ঘরেবসে ইনকাম করতে।আপনার মতোই হাজারো বাঙালি ঘরে বসে ইনোকাম করছে তাহলে আপনি পারবেন না কেন? আসাকরি ছোটবেলার কথাটা ভুলে যাবেন না কখনোই "এক বার না পারিলে দেখ শত বার"।

কোথায় এডসেন্স ব্যবহার করা যায়?

এডসেন্স ব্যবহার করে টাকা ইনকাম করতে চাইলে আপনাকে একটি প্রাইমারি ডোমেইন থাকতে হবে,যেমনঃwww.abcd.com, তবে যারা প্রথম দিকে টাকা খরচ করে com ডোমেইন কিনতে চান না তদের জন্যও ব্যবস্থা আছে, আপনি প্রথম দিকে http://www.blogger.com সাইট থেকে একটি ব্লগ বানিয়েও টাকা ইনকাম করতে পারবেন।আপনার ব্লগে বা সাইটের সার্চ বক্স এর মধ্যেও এড বসাতে পারবেন।ইউটিউব এ এড বসিয়েউ ইনকাম করা যায়।তবে ব্লগারে এড ব্যবহার করাই সবচেয়ে ভাল।

কিভাবে এডসেন্স থেকে টাকা প্রদান করা হয় ?

এডসেন্স থেকে টাকা পাওয়ার মাধ্যম হচ্ছে চেক, এডসেন্স চেক এর মাধ্যমে টাকা প্রদান করে থাকে,আপনার ইনকাম যখন ১০ ডলার অতিক্রম করবে তখন এডসেন্স আপনার এড্রেস ভেরিফাই করার জন্য একটা চিঠি পাঠাবে আপনার দেয়া ঠিকানায়, যদি এড্রেস টি ভেরিফাইড হয়ে থাকে তাহলে আপনার ইনকাম ১০০ ডলার অতিক্রম করলেই এডসেন্স আপনাকে চেক পাঠিয়ে দিবে।

এডসেন্স ব্যবহার করে কত টাকা ইনকাম করা সম্ভব?

অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে এডসেন্স থেকে কত টাকা ইনকাম করা সম্ভব?অনেকেই এডসেন্স কে সোনার হরিণ বলে মনে করেন। এডসেন্স এর ইনকাম এর অনুপাত দারাবে আপনার কঠোর পরিশ্রম এর উপর,আপনি যত পরিশ্রম করবেন তত বেশি ইনকাম করতে পারবেন।প্রতিদিন যদি আপনার সাইটে ১০০০ ভিজিটর আসে তাহলে ৪-৬ ডলার এর মত আয় করতে পারবেন,তবে ভাল কিওয়ার্ড থাকলে আর বেশি আয় করতে পারবেন।এডসেন্স প্রতি ক্লিক এর জন্য .১ সেন্ট থেকে শুরু করে ২০০ ডলার পর্যন্ত দিয়ে থাকে।চলুন দেখে নেয়া যাক কিছু অয়েব সাইট এর ইনকাম...............
Ranking by earningsWebsiteAdSense Earnings $Views per month
#1Mashable600,00025million
#2Digital Point500,000
#3Plenty Of Fish400,000
#4Digg250,00030million
#5TechCrunch240,000
#6Tweetmeme225,000
#7Perez Hilton200,00030million
#8Weblogs190,00025million
#9Shoe Money140,000
#10Click India85,0005.5million
এই অয়েব সাইট গুলি প্রতি মাসে লাখ লাখ আমেরিকান ডলার আয় করছে শুধু মাত্র এডসেন্স এর এড ব্যবহার করে,আসা করি কিছুটা হলেও ধারনা হয়েছে আপনি কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
Tag : , ,

গুগল এ্যাডসেন্সঃ আমি যেভাবে পেয়েছি আর আপনি যেভাবে পেতে পারেন!!

যারা শখের বশে কিংবা ইনকামের উদ্দেশ্যে ব্লগিং করছেন কিংবা ওয়েবসাইট  খুলেছেন তাদের সবারই মূল টার্গেট থাকে গুগলের এ্যাড পাওয়া। আর গুগলের এ্যাড পাওয়া আমাদের দেশ থেকে যে কতটা কঠিন তা শুধুমাত্র ভুক্তভোগীরাই জানে। সবার মত আমিও গত 3 মাস ধরে গুগলের এ্যাড পাওয়ার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার পর ঈদের আগের দিন সফল হয়েছি। ইনকাম নয় গুগলের এ্যাড পেয়েই আমি নিজেকে সফল মনে করছি। কারণ গুগলের ইনকামের চেয়ে এ্যাড পাওয়াটা বেশি কঠিন। যাই হোক গুগলের এ্যাডসেন্স পেতে আমি কি করেছি, আর আপনারা কি করতে পারেন সেই বিষয়ে আমার আজকের টিউন। একটা কথা বলে রাখা ভালো, একেক জন গুগলের এ্যাড পেয়েছে একেক রকম অভিজ্ঞতা নিয়ে। তাই আমার অভিজ্ঞতাটা হয়তো সবার মনঃপুত নাও হতে পারে। তারপর ও আশা করি চেষ্টা করে দেখবেন।
যাত্রা হলো শুরুঃ
আমি যখন প্রথম গুগলের এ্যাডসেন্স এর জন্য এপ্লাই করি তখন গুগলের রিপ্লাই পাই 3 দিন পর। গুগল আমার আবেদন গ্রহণ করেনি এই মর্মে মেইল পাঠায়। সেখানে গুগল আমাকে এডসেন্স না দেওয়ার পেছনে ইস্যু দেখিয়েছে “পেজ টাইপ”.  তখন আমি আমার সাইটের গিয়ে দেখলাম আমার সাইটের কি সমস্যা। তখন আমি দেখলাম যে আমার সাইটে অনেকগুলো আর্টিকেল আছে যা হুবহু অন্য সাইট থেকে কপি করা। আমি সেই সব আর্টি কেল ডিলিট করে দিলাম। এর কয়দিন পর আমি পুণরায় একই মেইল থেকে আবার আবেদন  রিসেন্ড করি। এবার রিপ্লে আসলো 4 দিন পর। গুগল আমাকে এবারও আমাকে এডসেন্স না দেওয়ার পেছনে ইস্যু দেখালো “পেজ টাইপ”. এবার আমি আবার আমার সাইটে গিয়ে খুজতে লাগলাম সমস্যা কোথায়। তখন দেখি যে আমার সাইটে বেশির ভাগ কন্টেন্ট ছিল বাংলায়। তখন আমি কয়েক দিন অপেক্ষা করে ধৈর্য্য ধরে কিছু ইংরেজিতে ভালোমানের আর্টিকেল পোস্ট করলাম। এবং আবার গুগলের কাছে একাউন্ট চেয়ে আবেদন করলাম সেই একই মেইল থেকে। এবারও রিপ্লে আসলো “পেজ টাইপ”. এবার আমার মাথা সত্যি সত্যি হ্যাং হয়ে গেলো। কিছু না করেই সাথে সাথে আবার আবেদন করলাম সেই একই মেইল থেকে। এবার গুগল রিপ্লে করলো 2 দিন পর। একাউন্ট পেলাম না এবারও। কারণ হিসেবে দেখালো “ডোমেইন ওনারশিপ”. এর মানে হচ্ছে আমি যেই সাইটের জন্য একাউন্ট চেয়ে আবেদন করেছি সেটা যে আমার সাইট তার প্রমাণ কি? বুঝুন অবস্থা!!! কি আর করা কিছুই করলাম না। না করে আগের বারের মতো এবার ও আবেদন রিসেন্ড করলাম। এর চার দিন পর এই মেইলটি আসে:
Hello Rashead Hasan Akash,
Thank you for your interest in Google AdSense. Unfortunately, after
reviewing your application, we're unable to accept you into Google
AdSense at this time.
We did not approve your application for the reasons listed below.
Issues:
- Domain ownership not evident
---------------------
Further detail:
Domain ownership: To complete our review, we need to confirm your
ownership of the site you've submitted. Please follow the steps below:
- Access the source code of your website.
- Create a separate page on the site and paste "This post confirms my
ownership of the site and that this site adheres to Google AdSense
program policies and Terms and Conditions: 00000000000000000"
- Resubmit the application as described below after replacing the
current URL in the 'Website URL' field with the URL of the page where
you have pasted the snippet.
---------------------
For a complete list of AdSense criteria, please visit:
https://www.google.com/adsense/policies?hl=en_US
https://www.google.com/adsense/localized_tarms?rc?_=BD&c#e=1&hl=en_US
To update and resubmit your application, please visit
https://www.google.com/adsense?#### and sign in using the email
address and password you submitted with your application. Our
specialists will review your account for compliance with our program
policies, so please make sure to resolve all of the issues listed above
before resubmitting.
Sincerely,
The Google AdSense Team
এবার আমি আমার মেইনে ডোমেইন উপরোক্ত লাল রঙ্গের লেখাটি একটি এইচটিএমল পেজে পেস্ট করে তা সাইটে আপলোড করে দেই এবং সাই পেজটার ঠিকানা দিয়ে আবার গুগলের একই মেইল থেকে আবেদন করি।তবে  এবার সাইটের এ্যাড্রেস হিসেবে আমি দেই http//www.edunews4u.com/my domain.html . এরপর রিসেন্ড করি। মেইল রিসেন্ড করার 4 দিন পর অর্থ্যাৎ ঈদের আগের দিন গুগল আমাকে এই মেইল টি পাঠায় আর জানায় আমার আবেদন গুগল গ্রহণ করেছে। আপনাদের সুবিধার্থে মেইলটি নিচে পোষ্ট করে দিলাম। 
Congratulations!
Your Google AdSense application has been approved. To activate your
account and get started with AdSense, follow the steps below.  Or, for
a detailed walkthrough of everything you need to know as a new AdSense
publisher, visit Newbie Central:
https://www.google.com/adsense/support/as/bin/static.pyde=1045789&sct=app-afc-ics&hl=en_US .
STEP 1: Access your account.
Visit https://www.google.com/adsense?sct=sdfapp-afc-il=en_US and sign
in using the email address and password that you submitted with your
application. Before being able to display AdSense ads, you will have to
accept the Terms & Conditions. If you've forgotten your password,
visit:
https://www.google.com/adsense/support/as/bin/stsdfic.py?pagesdf=ts.cs&ts=10sdf&sct=app-afc-ics&hl=en_US .
STEP 2: Create an AdSense ad unit.
Visit the "My Ads" tab, confirm the product selected is "Content" and
click "New ad unit."
STEP 3: Display AdSense ads on your pages.
After you create your ad unit, we'll give you the ad code to paste into
the HTML source of your website so that you can show ads. For help
adding the code to your pages, visit our Code Implementation Guide at:
https://www.google.com/adsense/support/bin/static?page=guide.sdfcs&guide=28893&sct=app-afc-hl=as=us=en_US .
If you don't have access to edit the HTML source of your pages, please
contact your webmaster or hosting company.
IMPORTANT NOTES:
* Please don't click on your ads, even to test them -- doing so isn't
permitted by the AdSense program policies:
https://www.google.com/adsense/policies?hl=en_US .
* As part of changes made in the application approval system, your new
account will be closely monitored for compliance with our policies. If
policy violations are detected, ad serving to your pages may be stopped
or your account disabled.
* You can add the AdSense code to a new page or site that complies with
our program policies at any time. There's no need to inform us or apply
for a new account when you do.
Have more questions? You can find answers in our Help Center at
https://www.google.com/adsense/support/asertive/?sctooMo=app-afc-ics&hl=en_US ,
or the AdSense blog at http://adsenswwe.bloghspot.com?sct=app-afc-ics . In
addition, you can post your questions to the AdSense Help Forum at
http://www.google.com/support/fordsfum/p/sdfAdSense?ssdfct=sdf?_app-dsfafc-icssdfas&hl=en_US .
Sincerely,
The Google AdSense Team
This message was sent from a notification-only email address that does
not accept incoming email. Please do not reply to this message.
Email preferences: You have received this mandatory email service
announcement to update you about important changes to your AdSense
product or account.
Google Inc.
1600 Amphitheatre Parkway
Mountain View, CA 94043
আর এভাবেই আমি অবশেষে জয় করি গুগলের সোনার হরিণ খ্যাত “গুগল এ্যাডসেন্স একাউন্ট”. তাই আপনাদের বলছি থামবেন না, চালিয়ে যান। দেখবেন আপনিও একদিন সফল হবেন। তবে একটা কথা, গুগলের একাউন্ট পেতে চাইলে আর কিছু না শুধুমাত্র আপনার ওয়েবসাইটে বেশি বেশি ভালো মানের আর্টিকেল পোস্ট করুন এবং তা হতে হবে অবশ্যই ইউনিক। কারণ, গুগল ইউনিক আর্টিকেল ছাড়া আপনার সাইটকে কখনোই এ্যাডসেন্স এর পারমিশান দিবে না।
Tag : , ,

এডসেন্স ফর ডোমেইন

এই পোস্ট টা নতুন্দের জন্য। "এডসেন্স ফর ডোমেইন" নিয়ে আমি যত গুলো লেখা দেখেছি সবাই co.cc থেকে কিভাবে করে সেটা দেখিয়েছে। তাই আমি অন্য ডোমেইন প্যানেল থেকে কিভাবে সেটাপ করে তা লিখছি। আমি বিস্তারিত লিখছিনা। হালকা বর্ননা + স্ক্রিনশট দিচ্ছি, সবচেয়ে ভালো হত যদি ভিডিও টিউটোরিয়াল দিতে পারতাম।

এডসেন্সে ডোমেইন লাগানো

প্রথমেই এডসেন্স ফর ডোমেইনের জন্য আমাদের ১টি ভ্যালিড এডসেন্স একাউন্ট প্রয়োজন। তারপর এডসেন্স একাউন্টে লগ ইন করি, তারপর এডসেন্স সেটআপ এ ক্লিক করি। তারপর এডসেন্স ফর ডোমেইনস এ ক্লিক করি। এড নিউ ডোমেইনস এ ক্লিক করি। তারপর add individual domains এর পাশের বক্সটিতে আমাদের ডোমেইন নেমটি লিখি (www ছাড়া)। add domain(s) এ ক্লিক করি। তারপর যে পেইজ টি আসবে সেখান থেকে নিচের ছবিতে দেখানো চিহ্নত অংশটুকু মনে রাখি।
এডসেন্স ফর ডোমেইন সেট আপ
এডসেন্স ফর ডোমেইন সেট আপ
এডসেন্স ফর ডোমেইন ডিএনেস রেকর্ড
এডসেন্স ফর ডোমেইন - (এক্টিভ, পেন্ডিং, ডিসেপ্রুভ)

"এডসেন্স ফর ডোমেইন" ডটটিকে থেকেঃ

আমাদের ডোমেইনটা যদি ডট টিকে থেকে নেয়া হয়!!! অর্থাৎ মাগনা ডোমেইন থেকে আর্ন। ডট টিকের ডোমেইনে এডসেন্স ফর ডোমেইন বসাতে পারেন। এবং এটা খুব সোজা।
এডসেন্স ফর ডোমেইন - ডট টিকে
এডসেন্স ফর ডোমেইন - ডট টিকে

"এডসেন্স ফর ডোমেইন" নেমচিপ থেকেঃ

নেমচিপ থেকে ডোমেইন কিনে যদি সেটা এডসেন্স ফর ডোমেইনে পার্ক করতে চান তাহলে এভাবে করতে পারেন।
> My Account > Manage Domains > Modify Domain
এডসেন্স ফর ডোমেইন - নেমচিপ
এডসেন্স ফর ডোমেইন - নেম চিপ

ডিএনেসঃ Domain Name System(DNS)

শুধু নেমসার্ভার ব্যবহার করলে খুব তাড়াতাড়ি এপ্রুভ হয়ে যায়। তবে এতে ঝামেলা আছে একটা তা হচ্ছে আপানার ডোমেইন থেকে যে কেউ সাবডোমেইন বানিয়ে নিজের বলে চালিয়ে দিতে পারবে ব্লগার ডট কমে। কারন গুগলের নেম সার্ভার ghs.google.com থাকলেই ব্লগার তা এক্সেপ্ট করবে যদি অন্য কেউ তা ব্যবহার না করে থাকে। নিচের নেমসার্ভার গুলো দিতে পারেন।
  • ns1.googleghs.com
  • ns2.googleghs.com
  • ns3.googleghs.com
  • ns4.googleghs.com
অথবা সিনেম/এ এড্রেস দিয়েও করতে পারেন। সিনেম আর এ এড্রেস টা চেঞ্জ হতে একটু সময় লাগে। তবে এতে সুবিধা হচ্ছে আপনি নিজের মত নতুন সিনেম বা সাবডোমেইন তৈরী করতে পারবেন। এবং অন্য কেউ ইচ্ছা মত সাবডোমেইন বানাতে পারবে না।
www - CNAME (alias) - pub-xxxxxxxxx.afd.ghs.google.com (xxxxxxxxx হচ্ছে এডসেন্স পাবলিশার আইডি)
@ - A (address) - 216.239.32.21 অথবা 216.239.34.21 অথবা 216.239.36.21 অথবা 216.239.38.21
প্রায় সব ডোমেইন প্যানেল দেখতে একই রকম, শুধু গেটাপ চেঞ্জ। ডিএনেস পরিবর্তনের মোটামুটি ৩০ মিনিট অপেক্ষার পরই আপনার এডসেন্স ফর ডোমেইন সক্রিয় হবে। তবে ডিএনএস যদি চেঞ্জ না হয় তবে আরো বেশি সময় লাগবে, এটা নির্ভর করছে আপনার ডোমেইন কোঃ এর উপর। দেখুন একটি পার্ক ডোমেইনের বিজ্ঞাপন
-------------------------

আরো কিছু কথাঃ

টাকা দিয়ে ডোমেইন কিনে তারপর টাকা না পেলে অনেকেরই লাভের চেয়ে লসের সম্ভাবনাই বেশি। আমি তো মনে করি অনলাইনে টাকা কামাই করতে এসে অনেকে অনেক পরিশ্রম করেছে, কিন্তু টাকা পায় নাই-তবে লাভ একটা হয়েছে-অনেক কিছু শিখতে পেরেছে।
দুইটা জিনিস মূলতঃ ইন্টারনেটের এত রিসোর্সের জন্ম দিয়েছে-এক. টাকা কামাইয়ের ইচ্ছা দুই. বিনোদন।
এডসেন্স ফর ডোমেইন কি?
এডসেন্স ফর ডোমেইন হল এডসেন্স এ কোন ডোমেইন কে পার্ক করে রাখা। এটি সাধারণ এডসেন্সের চারটি প্রোডাক্টের মাঝে একটি। আপনার যদি ডোমেইন থাকে, তাহলে আপনি ডোমেইনটি গুগলের সার্ভারে পার্ক করে গুগল এডসেন্স দেখিয়ে উপার্জন করতে পারেন। এজন্য কেবল ডোমেইন থাকলেই চলে, কোনো হোস্টিং কিংবা ব্লগের দরকার নেই। তবে ডোমেইন দেখিয়ে এডসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন না, কেবলমাত্র এডসেন্স একাউন্ট থাকলেই কেবলমাত্র এই সুবিধাটি উপভোগ করতে পারবেন।
ডোমেইন পার্ক কি?
ডোমেইন পার্ক (Domain Park) হলো ধরুন আপনি খুব ভালো নামের একটি ডোমেইন কিনে রেখেছেন যার চাহিদা হয়তো ভবিষ্যৎ এ খুব বাড়তে পারে সেটাকে বিক্রীর জন্য কোন সাইটে রাখা তাই হচ্ছে ডোমেইন পার্কিং। যেমন ধরুন ওয়াল্ডর্কাপ ২০১১ বা আইপিএল ২০১২ এরকম বিভিন্ন ইভেন্টের ডেমোইন আগেই কিনে রাখলেন পরে তারা যখন ওই ডোমেইন খুজবে না পেয়ে আপনার ডোমেইনটি কিনতে চাইলেই আপনার পোয়াবারো বিশাল দামে বিক্রী করতে পারবেন অনয়াসেই।
ডোমেইন পার্কিং কতটা লাভজনক?
ভাল ডোমেইন নিয়ে যদি পার্ক করে রাখতে পারেন তবে আজ আর কাল ভাল দামে বিক্রী হবেই। এক্ষেত্রে কয়েকটি উদাহরন টানি যেমন মাত্র ১০ডলারে কেনা ডোমেইন business.com বিক্রী হয়েছিল ৭ লাখ ডলারে। আর বারাক ওবামার নামের একটি ডোমেইন এখন পর্যন্ত ২১ লাখ ডলার দাম উঠেছে।
তাহলে সবাই এ কাজে ডোমেইন ব্যবহার করছে না কেন?
কারণটা খুবই সহজ। যেখানে সারাদিন অপটিমাইজেশন করে সার্চ ইঞ্জিন থেকে ট্রাফিক পাওয়া যায় না, সেখানে একটি পুরোপুরি নতুন ডোমেইনে কি করে ট্রাফিক পাওয়া সম্ভব? আর ট্রাফিক না পেলে যতই মাথা চুলকান ডোমেইনে কেন, পুরো ইন্টারনেটেই কোনোভাবে আয় সম্ভব নয়। তাই অনেকেই ডোমেইন ফর এডসেন্স ঠিকই শুরু করেন কিন্তু ট্রাফিক না পেয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
তাহলে উপায় কি?
প্রথমত, এ বিষয়ে স্বল্প সময়ে ভাল আয় করতে হলে আপনাকে niche topic খুঁজে বের করতে হবে যাতে স্বল্প অপটিমাইজেশনেই ট্রাফিক পাওয়া যায়। এবার সেই বিষয় অনুযায়ী ডোমেইন নেম রেজিস্ট্রেশন করুন কিংবা যেসব ডোমেইন পড়ে আছে সেই বিষয়ক niche topic খুঁজুন। তারপর ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে একটি ব্লগ সেটআপ করুন এবং কিছুদিন ধুমছে পোষ্ট করতে থাকুন। পোষ্টের মান ভাল না হলেও চলবে, কিন্তু keywords এর দিকে লক্ষ্য রাখুন এবং কপি-পেস্ট পোস্ট থেকে বিরত থাকুন।
এভাবে ১/২ মাস পরে যখনই দেখবেন ট্রাফিক পাচ্ছেন, তখনই ব্লগ ডিলিট না করে কেবলমাত্র ডোমেইনটিতে এডসেন্স ফর ডোমেইন সেটআপ করুন। ফলে সার্চ ইঞ্জিন থেকে ট্রাফিক পাবেন ঠিকই কিন্তু তারা আপনার ব্লগ দেখবে না, তারা খুঁজে পাবে আপনার গুগলে পার্ক করা এডসেন্স ফর ডোমেইনের পেজটি। ফলে এডসেন্সে ক্লিক পড়ার হার অনেকাংশে বেড়ে যাবে। আর যখন দেখবেন আয় ধীরে ধীরে কমে আসছে, তখন আবার ডোমেইনে ব্লগটিকে ফিরিয়ে আনুন এবং কনটেন্ট যুক্ত করা শুরু করুন। এভাবে প্রক্রিয়াটি বারবার ব্যবহার করতে পারেন।
শুধু কি বড় দামের আশায়ই পার্ক করবেন?
না কারন বড় লাভের আশায় থাকলে কতদিনে আপনার প্রত্যাশিত দাম পাবেন তা বলা দুরূহ। কিন্তু আপনি যদি একটু ভাল ডোমেইন নিয়ে কয়েকশ ডলারে বিক্রীর জন্য চেষ্টা চালান তাহলে বলা যায় আপনি ঘন ঘন এরকম ডোমেইন বিক্রী করতে পারবেন। আর কয়েকশ ডলারে বিক্রীও কিন্তু অনেক লাভজনক কারন ডোমেইনটি মাত্র ১০ডলারে কেনা।
ক্ষতির সম্ভাবনা আছে কি?
যদি বিক্রী না হয় তাতেও কোন ক্ষতি নাই কারন যেখানে পার্ক করবেন সেখান থেকে অন্তত বছর শেষে ডোমেইন রিনিউ করার খরচ উঠবে তা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়। তাই এটি সম্পূর্ণ ঝুকিমুক্ত এবং এতে ক্ষতি হবার কোন সম্ভাবনই নাই। আর যদি ডোমেইন কিনতে না চান বা প্রথমে ব্যাপারটা যাচাই করতে চান তাহলে tk এর ফ্রি ডোমেইন দিয়েও যাচাই করতে পারেন কারন এই ডোমেইনও পার্ক করা যায়।
এডসেন্স ছাড়া আর কোথায় করা যায় ডোমেইন পার্কিং?
এডসেন্স ছাড়াও আরো অনেক জায়গায় ডোমেইন পার্ক করা যায়। তন্মধ্যে সবচেয়ে ভাল হলো Sedo.com। সত্যি বলতে কি Sedo.com ই ডোমেইন পার্কিং এর সবচাইতে ভাল জায়গা।
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ এডসেন্স ফর ডোমেইন অনেকটা পাঠককে ধোকা দেওয়ার মত। তাই এ থেকে আয় না করাই ভালো। যদি বিক্রি করে দেন তাহলে অন্য হিসাব।
Tag : , ,

The Won Blog Of EARN FOR TEICKS. The Blog Created by Bijoy Kumar Biswas. Designed by বিজয়*বিজন*বিজু