Popular Post

zwani.com myspace graphic comments

"ফ্রিল্যান্সিং" রাতারাতি বড়লোক হবার সর্টকার্ট রাস্তা নয়!

যখন আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন, সেদিন থেকে আপনি আপনার, আপনার নেই কোন ধরা বাধা পেশা। আপনি স্বাধীন এবং আপনার উন্নতি আপনার দক্ষতার উপর। ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটি বিপ্লব, আধুনিক যুগে নিজেকে উচু করে তোলার একটি নতুন পদ্ধতি। আজ থেকে বহু বছর আগে ইংল্যান্ডে শিল্প বিল্পব হয়েছিল, কিন্তু আজো নতুন প্রজন্ম সেই দিনটির কথা স্মরন করে।এখন থেকে বহু বছর পরের প্রজন্ম ঠিক তেমনি করে স্মরন করবে ফ্রিল্যান্সিং বিপ্লবের কথা। ২০১১-২০১২ সালটা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশের জন্য স্বর্ণযুগ। বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয়ের জন্য,তাদের মনে ২য় কোন ভাবনা আছে কিনা তা আমার জানা নেই। তবে অনেকে এটাকে টাকা আয়েরর সরল পথ হিসেবে অভিহিত করে।
চলুন আজ থেকে ১০ বছর আগের বাংলাদেশে ফিরে যাই,কয়টা কম্পিউটার ছিল বাংলাদেশে? হাতে গোনা শ’খানেক? কিংবা আরো কম/বেশি। তখন যুব সমাজের মনে প্রশ্ন জাগতো পড়াশোনা শেষ করে একটা ভালো চাকরি করবো। কেউ ডাক্তার কেউ ইঞ্জিনিয়ার হত। অনেক সময় ছোট একটি চাকরি করেও ভালোই দিন কেটে যেত। তো ২০১২ সালের যুবক সমাজের মনে কি প্রশ্ন জাগে? ডাক্তার/ ইঞ্জিনিয়ার হয়ে টাকা আর টাকা ইনকাম ? নাকী অন্য কিছু ? প্রযুক্তির যতই কাছে যাচ্ছি ততই আমরা সর্টকার্ট হয়ে যাচ্ছি। কাজে কর্মে,যাতায়াতে কিংবা বিনোদনে। কিন্তু একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীতে চাকরি করলে কি বিনোদনের সময় পাবেন? সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৫টা বাজার আগে বাড়ি গিয়ে বিশ্রামের চিন্তা? ইম্পসিবল। বসের গাল মন্ধ না শুনলে সেটা কি চাকরি হল? মাস শেষে অফিসের ম্যানেজারের রুমের সামনে গোরাগোরি ছাড়া মাইনে নিবেন? অসম্ভব।
আপনার কি ইচ্ছে করে না বাসায় বসে গরম কপিতে চুমুক দিয়ে বসের ঝাড়ি না খেয়েই অফিস করতে ? কিংবা সকাল বেলা চাকুরি করে বিকেল বেলা পার্কে গিয়ে সময় কাটাতে ? সপ্তাহের যে কোন দিন পরিবার পরিজন নিয়ে ভ্রমনে যেতে ? যদি ইচ্ছে থাকে তবেই ফ্রিল্যান্সিং এ আসুন। ভালো কথা,আরাম আয়েশ এর কথা শুনে এই পথে আসলেন ? তো করবেন টা কি ?আপনার যোগ্যতা কি ? বিকম/এমবিএ কিংবা ডাক্তার ? অনলাইনে বসে ডাক্তারি করবেন ? হয়েছে আপনি রুগি মেরে ফেলবেন।তো আপনার প্রথমেই জানা দরকার অনলাইনে কি কি কাজের ক্ষেত্র আছে ।
আমি এই পথে আসার আগে আপনাকে ৫টি প্রশ্ন করবো ,আগে নিজেকে নিজে সেই প্রশ্ন করুন তার উত্তর দিন:-
১. আমি কেন বর্তমান পেশা ছেড়ে ফ্রিল্যান্সিং এ যাচ্ছি?
২. ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কি এটা আমার সঠিক সময়?
৩. আমি কি আমার বর্তমান পেশার প্রতি যত্নবান?
৪. আমি কি নিজের ভুল নিজেই ধরতে পারি ?
৫. আমি কি ফ্রিল্যান্সারদের মতই আচরন করতে পারবো?
আমি কেন বর্তমান পেশা ছেড়ে ফ্রিল্যান্সিং এ যাচ্ছি? :
আপনার বর্তমান পেশায় আপনার বেতন কম,পদোন্নতি হচ্ছে না,পদোন্নতির ভবিষত সুযোগ নেই,আমি এই পেশায় আগ্রহী নই,আমি অফিসের নিয়ম কানুন মেনে চলতে পারছি না। যদি এই হয় আপনার উত্তর তবে আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং এ স্বাগতম।
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কি এটা আমার সঠিক সময়?
সব কিছুর একটা বয়স/সময় আছে,সঠিক সময়ে সঠিক পথে না গেলে পরে সফল হবার সম্ভাববনা কমেই যায়। নিজের দিকে তাকিয়ে দেখুন,বর্তমান পেশা ছেড়ে ফ্রিল্যান্সিং এ আসলে আপনি মানিয়ে নিতে পারবেন কিনা। যদি আপনি শিক্ষার্থী কিংবা সদ্য পাশ করা যুবক হয়ে থাকেন তবে এক কথায় বলবো এই পথে আপনার সূচনা হওয়া চাই।
প্রতিটা মানুষের চাকরি/কাজ করার জন্য একটা উপযুক্ত সময় লাগে,আপনি যদি একজন ইন্টারমেডিয়েট পরীক্ষার্থীকে এনে এই পেশায় ডুকিয়ে দিন তবে তার বড় হওয়া তো দূরের কথা স্বপ্ন দেখাই পাপ হয়ে দাড়াবে। তাই যখন তখন ফ্রিল্যান্সিংয়ে আসা যাবে না।আগে একটা উপযুক্ত সময় বেছে নিন। আপনি যখন নিজেকে মানষিক ভাবে যখন কাজ করার জন্য প্রস্তুত মনে করবেন,তখনি আসুন।
আমি কি আমার বর্তমান পেশার প্রতি যত্নবান?
দরুন আপনি বর্তমানে একজন ব্যাংক কর্মকর্তা,আপনি একটু স্বাধীন ভাবে চলার জন্য ব্যাংক এর চাকরি ছেড়ে দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করবেন ? ভুল সিব্ধান্ত নিবেন না কারন আপনার দক্ষতা হিসাব নিকাশে অন্য কিছুতে নয়। আপনি আপনার বর্তমান পেশাকে সম্মান করেন,এবং কাজটি আপনার জন্য সহজ অথচ মাইনে কম, তো আপনি কি বেশি আয়ের জন্য ফ্রিল্যান্সিং এ নামবেন ? টাকা তো পরের কথা আসল কথা হচ্ছে আপনি তো এই কাজে পারদর্শী নন। তাই আমি বলবো আপনি যে কাজটি ভালো পারেন সেটাই করুন,হোক না কয়টা টাকা মাইনে কম বা বেশি।
আমি কি নিজের ভুল নিজেই ধরতে পারি?
এই পেশায় ২/৪টা ভুল করবেন এটা নিশ্চিত,তবে আপনি যদি বাসায় বসে কাজ করেন তবে আপনার ভুলগুলো সংশোধনের জন্য কি আপনি প্রস্তুত ? যদি নিজের ভুল নিজে ধরতে না পারেন তবে আপনার জন্য এই পেশা কিছুটা ঝুকির হতে পারে। যারা ভুল করার পর অন্নত সেটা উপলব্ধি করতে পারেন তবে তাদের জন্য এই পেশা শুভ।
আমি কি ফ্রিল্যান্সারদের মতই আচরন করতে পারবো?
অফিসে আপনি বসের প্রতিদিন বকা খেতেন দেরিতে আসার জন্য,কিন্তু এই আচরন যদি আপনার থেকে চিরবিদায়া না নেয় তবে ফ্লিল্যান্সিং ও আপনার জন্য কল্যানকর হবে না। কারন এখানে মানুষ টিকে থাকে পার্সোনালীটি এবং দক্ষতার উপর।তাই বাজে অভ্যাশ ত্যাগ করুন।
ডিগ্রি ছাড়া ফ্লিল্যান্সিং চলবে?
আপনি যদি ডিগ্রি প্রাপ্ত হোন তবে আপনার জন্য ওয়েলকাম,বর্তমানে আগের মত আর সুযোগ নেই যে ১০ টাকা দিয়ে ব্যাবনা শুরু করে পরে ১০ বিলিয়নের মালিক হবেন। বর্তমানে অবস্থা হচ্ছে সঠিক পথে না যেতে পারলে ১০ টাকা দিয়ে ব্যাবসা করে ১০ বিলিয়নের মালিক হওয়া যাবে না। যাদের শিক্ষাগত যোগত্য নেই তাদের জন্য এই পেশা অসম্ভব,যদি স্বয়ং আল্লাহ আপনাকে কোন বিশেষ জ্ঞান না দিয়ে থাকেন তবে আপনার জন্য এই পেশা উপযোগী নয়। কেননা এখানে আপনাকে ভিন্ন ধরনের একটি সমাজে উপস্থিত হতে হবে,যার সাথে আপনি সম্পূর্ণ অপরিচিত।তাই আমি বলবো আগে শিক্ষাগত যোগত্য অর্জন করুন এবং পরে পেশায় আসুন। এই পেশায় আসতে হলে আমর কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন ?: প্রথমত আপনাকে স্কুল/কলেজের/বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা অর্জন করতে হবে।হতে পারে তা হাতে কলমে শিক্ষা কিংবা বই মুখস্ত করে শিক্ষা,তবে আপনাকে শিক্ষা গ্রহন করতেই হবে।
২য় কথা হচ্ছে ফ্লিল্যান্সিং পেশায় আপনি যে কাজটি করতে চাইছেন তার সম্পর্কে শিক্ষা লাভ।যদি তা হয় চিত্রাংকন কিংবা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট তবে সেই বিষয়ে আপনাকে শিক্ষাগ্রহন করতে হবে। আমি কিন্তু ডিগ্রি বলতে শুধু নামকরা প্রতিষ্ঠানের বড় বড় সার্টিফিকেটের কথা বলছি না,যে কোন প্রতিষ্ঠান হতে পারে,তবে আপনাকে শিক্ষা গ্রহন করেই এই পেশায় আসার অনুরোধ করছি।
আমার রুম মেট প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা আয় করে,আমিও তার সাথে যোগ দেব ? :
ধরুন আপনি ইংরেজীতে অনার্স করেছেন এবং ইংরেজী অনেক ভালো জানেন। আপনার বন্ধু মার্কেটিং কিংবা হিসাব বিজ্ঞানে অনার্স করেছে। এখন আপনি করেন কোন কলেজে ইংরেজী বিষয়ে শিক্ষকতার চাকুরি। আর আপানার বন্ধু করে শেয়ার বাজার বিজনেস। আপনি চাইলেন আপনার জমানো টাকা দিয়ে তার সাথে শেয়ার বিজনেস শুরু করবেন,এবং শেয়ার বাজারে আপনার ১ লক্ষ টাকাও বিনিয়োগ করলেন। ১ মাস বাধে আপনার ১ লক্ষ টাকা লস হলো,এবং আপনি শেয়ার বাজারের সামনে লাঠি নিয়ে অবস্থান করলেন।আপনার ধারনা সব দোষ শেয়ার বাজারের।
কিন্তু আসল ব্যাপার হচ্ছে কিভাবে শেয়ার বিজনেস পরিচালনা করতে হয় আপনি তা জানেন না,কথন কোন প্রদক্ষেপ নিতে হয় আপনি তাও জানেন না। কেননা শেয়ার বাজার সমন্ধে আপনার কোন ধারনা নেই,আপনি ইংরেজীতে অনেক পারদর্শী তাই বলে শেয়ার বাজারে আপনার লাভ হবে তা নয়।আপনারই বন্ধু শেয়ার বাজারে লাভ করতে পেরেছে কারন তিনি শেয়ার বাজার সমন্ধে অনেক ভালো বুঝেন,তিনি এই বিষয়ে শিক্ষা লাভ করেছেন সে জন্য। তাই অন্যকে দেখে তার পেশায় ঝুকে পড়বেন না,আপনি যা ভালো পারেন তাই করুন । আর পেশা বদলাতে হলে সেই পেশার সমন্ধে আগে অবগত হোন,ট্রেইনিং গ্রহন করুন। না ঝুঝে,না জেনে,যেখানে সেখানে নিজেকে পরিচালিত করবেন না। ফ্রিল্যান্সিং কে পেশা হিসেবে নিতে হলে আগে ফ্রিল্যান্সিং এর উপর খোজ খবর নিন,অভিজ্ঞদের থেকে পরামর্শ নিন প্রয়োজনে প্রশিক্ষন নিন।
আমি তো ফিজিক্স এর ছাত্র ফ্রিল্যান্সিং কি আমাকে দিয়ে হবে?
আপনি কিসের ছাত্র তা দেখার বিষয় নয় আসল কথা হচ্ছে আপনি কোন বিষয়ে আগ্রহী এবং দক্ষ। আপনি যদি ফিজিক্স এর ছাত্র হয়ে থাকেন কিন্তু আপনি আইটি সেক্টরে অনেক আগ্রহী হয়ে থাকেন তবে আমি বলবে আপনিও এই পেশায় আসতে পারেন।
কেননা আপনার সফলতা নিশ্চিত ,যেহেতু আপনি এই পেশার প্রতি আগ্রহী। তবে আগের কথা হচ্ছে এই যে আপনাকে উপযুক্ত শিক্ষা লাভ করতে হবে এবং তারপরেই ফ্রিল্যান্সিং এ প্রবেশ করবেন।
আমি ফ্লিল্যান্সিং পেশায় পেশাজীবি হতে চাই,কিন্তু কিভাবে?
১. সব সময় নিজেকে প্রফেশনাল ভাবতে শিখুন: আপনি মনে করবেন যে আপনি বেকার নন,শুধু অফিসে বসে কাজ করলেই তাকে পেশা/চাকুরি বলে না। আপনি সব সময় ভাবুন যে আপনি পেশাজীবি এবং আপনার একটি সম্মানজনক পেশা আছে।
২. সব সোর্স থেকে উপদেশ গ্রহন করবেন না: আমরা প্রতিদিন যে কথাবার্তা শুনি বা বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় কিংবা জনসভায় যা শুনি তার সবগুলো আপনি উপদেশ হিসেবে গ্রহন করবেন না।
ভালো এবং খারাফের পার্থক্য নিশ্চিত করার পর ভালো টা গ্রহন করুন।অনেকে পত্র পত্রিকায় নিজেদের স্বার্থে অনেক কিছুই বলে/লিখে,তবে তার সব কটি পজেটিভ নয়।
৩. পরিবার এবং বন্ধুদের থেকে সাহায্য নিন
৪. একটি সময় ঠিক করুন,কতদিন এই পেশায় থাকবেন: মিনিমাম ৩ অথবা ৫ বছর প্রাথমিক ভাবে নিদ্দিষ্ট করুন যে আপনি আগামী ৫ বছর ফ্রিল্যান্সিং করবেন।
৫. সব অফার গ্রহন করবেন না: আপনি যখন ভালো পজিশনে থাকবেন তখন অনেক অফার পাবেন,তাই বলে সবগুলো গ্রহন করবেন না,কিছু অফার ছেড়ে দিন এবং বেছে যেকোন একটি ভালো সুযোগ গ্রহন করুন। কেননা ছোট এবং কম লাভজনক কাজে নিজেকে জড়িয়ে ফেললে পরে ভালো অফার পেলেও আপনি তা গ্রহন করতে পারবেন না বা সেই সুযোগ থাকবে না।
৬. যে কাজটি পারেন তাই করুন: ফ্রিল্যান্সিং এ অনেক কাজ রয়েছে,আপনি যেটা ভালো পারেন সব সময় সেটাই করুন,বার বার কাজ পাল্টাবেন না,এতে আপনি ততটা দক্ষতা অর্জন করতে কোনদিন পারবেন না।যে কোন একটা কাজেরই অভিঙ্গতা অর্জন করুন।

প্রমোশন লাগবে ? আগে এগুলো করুন:
১. দায়িত্বের অবহেলা নয়: আপনাকে কেউ hire করেছে তার একটি কাজ করে দেওয়ার জন্য,অথচ সে আপনাকে কাজের সময় পেলো না,তবে প্রমোশন হবে নাকী ডিমোশন হবে ?
তাই কাজের প্রতি এবং সময়ের প্রতি যত্নশীল হোন।
২. কাজ নির্বাচন করুন; ক্লায়েন্ট আপনাকে কি কাজের জন্য hire করেছেন তার সম্পর্কে আপনার স্বচ্ছ ধারনা নিতে হবে এবং সেই কাজটি আপনি পারেন কিনা তা নিশ্চিত হোন।
৩. কাজ না করে লোক বলে বেড়াবেন না: কোন কাজ শেষ করার আগে লোক বলে বেড়াবেন না ।
৪. আপনার কতটুকু বহনের ক্ষমতা আছে:এক সাথে কতটুকু কাজ আপনি করতে পারবেন তার উপর অনুমান করেই কাজ নিন,ওভার লোড নিবেন না।তাতে কোন কাজই সময় মত শেষ করতে পারবেন না।
আমার কাজের মূল্য কত ?
আমি যে কাজ করি তার জন্য ক্লায়েন্ট এর কাছে কত টাকা চাইতে পারি?
১. নিজেকে অযোগ্য মনে করে কাজের মূল্য খুব কমাবেন না
২.আপনি কাজটি একা করতে পারবেন নাকী অন্য কাউকে সাথে নিবেন,তবে সে হিসেবে টাকার ইষ্টিমিট করুন
৩.নিজেকে ভাগ্যবান মনে করে ভালো কাজ অল্প দামে করবেন না
৪.আগামীতে আরো কাজ পাবার আশায় কারো কাজ খুব কম দামে করবেন না।
৫.ক্লায়েন্ট কে বোকা ভেবে কোন কাজের মূল্য খুব বড় অংকের চাইবেন না।
৬.আপনার প্রাপ্য থেকে কখনো ডিসকাউন্ট দিবেন না
কাজ নিতে গেলে যে সকল বাক বিতর্ক প্রায়ই হয়:
যা আপনাকে ক্লায়েন্ট বলতে পারে-
“ এই কাজের জন্য আমরা ইতিমধ্যে অনেক টাকা খরচ করে ফেলছি.”
তার মানে ক্লায়েন্ট আপনাকে বলতে চাচ্ছে যে তারা আপনাকে যে কাজের জন্য নিতে চাচ্ছেন সে কাজটি তারা এর আগেও অন্য কাউকে দিয়ে করিয়েছেন,এবং অনেক অর্থ খরচ করেছেন।
“ আপনি যে টাকা দাবি করছেন,তার অর্ধেক দামেই আমাদের আগের কর্মীরা কাজ করেছেন“
এখন আপনি আপনার ক্লায়েন্ট এর কাছে একটা টাকার পরিমান চাইবার পরে সে আপনাকে বলবে যে এর আগে তারা অনেক সস্তায় কাজ করিয়েছেন।
“ আমাদের এখানে আপনার দীর্ঘদিন কাজ করার সুযোগ রয়েছে ”
আপনাকে লোভ দেখানো হচ্ছে যে আপনি কিছু টাকা কম নিলে তারা আপনাকে অনেক দিন তাদের কাজে রাখবে
“ আপনার পূর্বের করা কাজের নমুনা দেখতে চাই ”
আপনি তাদের কাজটি করতে পারবেন কিনা সে বিষয়ে ধারনা পেতে তারা আপনার কিছু সদ্য শেষ করা কাজের নমুনা দেখতে চাইবে।
“ আপনাকে আমাদের সাথে সময় মেনে কাজ করতে হবে ”
আপনি যে দেশেই থাকুন না কেন ক্লায়েন্ট চাইবে তার সুবিদা মত আপনাকে কাজে পেতে,তাই একটা সময় নির্ধারন করে নিবে।
“আপনিই প্রথম,যাকে আমি নিজে থেকে hire করেছি”
তার মানে ক্লায়েন্ট বলতে চাইছে,তার কাছে আপনাকে হয়তো পছন্দ হয়েছে অথবা যোগ্য মনে হয়ছে।
“আপনার কাজের মূল্যায়ন করেই আপনার সাথে আগাবো”
এখন আপনাকে অগ্রিম তাদের সাথে কাজ কন্টিনিউ করার একটা প্রসেস বলে দেওয়া হয়েছে।
ক্লায়েন্ট রেগে গেছেন ! কি করবেন ?
ANGER !
জেনে নিন ANGER এর পূর্ণ রুপ আসলে কি
A=Acknowledge= স্বীকার
N=Nod = নড়া
G=Guide= গাইড
E=Execute= সম্পাদন
R=Retreat= পশ্চাদপসরণ
আপনার ক্লায়েন্ট রেগে গেছেন এটা কোন ব্যাপার নয়,আপনি ক্লায়েন্ট সমন্ধে কি চিন্তা করছেন তাও ব্যাপার নয় আসল কথা হচ্ছে আপনি কিভাবে এটা হ্যান্ডেল করবেন। এবার আপনিও রেগে গেছেন ? একটাই সমাধান চুপ করে বসে থাকুন,নো টক
একই কাজের রিলেটেড কয়েকটা কাজ শিখে রাখুন
মনে করুন আপনি একজন ডাক্তার,আপনি কারো পেট কেটে তার টিউমার অপারেশন করেছেন,তার পেটে কেটে দেখলেন যে তার কিডনির ও সমস্যা আছে,এখন আপনি কি করবেন ?তার টিউমার এর সমস্যা সমাধান করে তার পেট সেলাই করে দিবেন এবং অন্য ডাক্তার এনে আবার তার পেট কেটে কিডনির সমস্যা সারাবেন ? এক পেটে কত সেলাই করবেন ? রুগী কি বাচবে ? আপনার যদি কিডনির সম্পর্কে ধারনা থাকতো তবে এই অপারেশনে ২টি সমস্যার সমাধান করে পেলতে পারতেন।
কেন এই উদাহরন দিলাম:
মনে করুন আপনি নিজেকে ওয়ার্ডপ্রেস/জুমলা এক্সপার্ট পরিচয় দেন কিংবা মনে করেন। আপনাকে যদি আপনার ক্লায়েন্ট বলে যে আপনি আমাকে সাইটের মধ্যে অমুক ফিচার টি এড করে দিন। তখন আপনি কি করবেন ? তার মানেই হলো ওয়ার্ডপ্রেস কিংবা জুমলা জানলেই আপনি ওয়েব পরিপূর্ণ নন। আপনাকে তার পাশাপাশি অন্য কাজগুলো আয়ত্ব করে নিতে হবে।ওয়েব ডেভেলপার হতে হলে আপনাকে প্লেইন কোডিং,সিএমএস,সিকুরেটি এইসব কিছুই জানতে হবে।
যাদের প্রতি মুহুর্তে টাকা উপার্জন প্রয়োজন তারা এই পেশার আসবেন না:
ফ্রিল্যান্সিং এমন একটা পেশা যার ভবিষ্যত কি হবে তা কেউ বলতে পারবে না,বর্তমানে যে কাজটি বেশি জনপ্রিয় এবং চাহিদা আছে আগামী দিনে তা কি হবে তা কেউ জানে না। এখানে প্রতিদিন কিন্তু কাজ পাবেন তাও নয়,এটি যেমন স্বাধীন পেশা তাই এখানে সব সময় কাজ পাবেন না।এটাকে সিজনাল ও বলতে পারেন,এখানে অনেক প্রতিযোগী তাই আপনাকে কে ভাবে গড়ে তুলতে হবে। যাদের মাস পুরালেই অবশ্যই নির্দিষ্ট অংকের টাকা প্রয়োজন তারা এই পেশায় আসবেন না। কেননা এখানে মাস শেষে কতটাকা ইনকাম হবে তা মাসের শুরুতে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে আপনার উচিত আপনার চাহিদা অনুযায়ী চাকুরি/কাজ কার এবং যাতে আপনার বাজেট ফিক্সড হয়। যাদের সংসার চালাতে মাসে নূন্যতম একটা টাকার অংক(আবশ্যক) লাগবেই তারা এই পেশায় না এসে কোথাও চাহিদা অনুসারে কাজ নিন।আমি তাদের কথাই বলছি যাদের সংসারে ব্যাকাপ দেবার মত কেউ নেই তাদের। কেননা এখানে কোন মাসে আপনি অনেক টাকা আয় করবেন আবার কয়েকমাস কোন আয় হবে না,সে ক্ষেত্রে আপনি বিপদে পড়ে যাবেন। তবে আপনি চাইলে চাকুরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং টাকে অপশনাল হিসেবে নিন,তাহলে আপনার আর কোন রিক্স থাকবে না।
ব্লগে/পত্র পত্রিকায় সবাই বলে ফ্রিল্যান্সিং সহজ,অথচ আপনি বলছেন অনিশ্চিত !
কোট টাই লাগিয়ে আপনাদের সামনে ভাষন দিতে আসিনি,কিংবা আমার পিএস আমাতে কাগজে লিখে দিয়ে যায়নি মহান ভক্তা হবার বিশেষ ভাষন। আমি যা বলছি এবং লিখছি তা জীবনমুখী,এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই। কোন সফল কাহীনির বাংলা অনুবাদ করে লিখছি না, আমরা বাংলাদেশীরা সব সময় ইন্টারনেটে বসে বসে সফল কাহীনি খুজে,তাই আমরা সমস্যা গুলো খুজে পাইনা। শতকরা ১০ ভাগ মানুষ সফল হয়,আর বাকী ৯০ ভাগ মানুষ ব্যার্থ হয়,কারন তারা আকাশের দিকে তাকিয়ে হাটতে হাটতে মাটিতে হোচড় খায়,আপনি যদি সফল হতে চান তবে সঠিক পথে ধরে এগোতে হবে।
সবাই বড়লোক হতে বলে,কিন্তু বড়লোক হবার সঠিক রাস্তা কেউ দেখায় না
ব্লগ/নিউজ পেপার/পরিবার/বন্ধু বলেন ,কেউ আপনাকে বড়লোক করে দিতে পারবে না,কেউ জানেও না কিভাবে বড়লোক হতে হয়। মানুষ আস্তে আস্তে কোন একদিন অপরের চোখে বড়লোক হয়ে উঠে,তবে তার জন্য কতটা পথ অতিক্রম করতে হয় তা গননার প্রয়োজন নেই।আপনাকে কেই জীবনে বড় হতে বললেই ভাববেন না যে সে মহা অপরাধ করেছে আসলে সে আপনার মাথায় বড়লোক হবার ভাবনা ডুকিয়ে দিয়েছে এখন বাকী কাজ আপনার। ভাইয়া আমি অনলাইনে আয় করতে চাই,ইনকাম করতে চাই: আমার ভাইয়েরা,আপনাদের অনুরোধ করবো আপনারা যারা ঘরে বসে আয় করতে চান তারা আগে কোন একট নির্দিষ্ট বিষয়ের উপরে প্রশিক্ষন গ্রহন করুন। মনে রাখবেন দক্ষ হলে যে কোথাও তার কাজ আছে আর দক্ষ না হলে তার স্থান কোথাও নেই।
অনলাইনে আয় করে বড়লোক হোন !
অনেক সময় এই ধরনের শিরোনামের কিছু লেখা চোখে পড়ে, আসলেই কি টাকা উপার্জন এতটা সহজ ? রাতারাতি বড়লোক হবার কোন সর্টকার্ট রাস্তা নেই(ভালো পথে)।ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটা সময়উপযোগী পেশা,এখানে আপনার নিজেকে প্রমোট করার সুযোগ নিজের হাতেই,তবে আপনাকে একটা ভালো পজিশনে যেতে হলে প্রচুর কায়িক শ্রম দিতে হবে। আজকে ফ্রিল্যান্স শুরু করে কালকে বড়লোক হয়ে যাবেন সেটা কথনো হবার নয়। একটা কাজ করতে করতে যখন আপনি সেই কাজে পারদর্শী হয়ে যাবেন তখনি আপনার প্রমোশন।অপরের কথায় আত্বভোলা না হয়ে নিজে বুঝে তারপর সিদ্ধান্ত নিন।
সবাই ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আসার জন্য উ্যসাহ দেয়,আমি কেন নেগেটিভ কথা বলছি ?
পৃথিবীতে অনেক কঠিন সত্য আছে তাই।সব কিছুর একটা বাজে দিক আছে,যদিও এই পেশার সমস্যাগুলো ততোটা বাজে নয় তবুও জেনে শুনে বিষ পান করাও শ্রেয়।
টিকা:
বাংলা টেকনোলজী ব্লগ গুলোর মডারেশন প্যানেলকে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে যাতে কেউ ভুল ব্যাখ্যা না দিয়ে লেখা না প্রকাশ করে। অনেকে রাতারাতি টাকা আয়ের পথ দেখায়, পিটিসি কিংবা ফেইসবুক লাইক দেয়ার জবের কথা বলে। আসলে এই সব কাজের কোন গ্যারান্টি নেই। তাই ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক লেখাগুলোকে ভালো করে যাচাই করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
আমি যে সব ভালো কথা বলছি তা কিন্তু নয়। শুধুমাত্র ব্যাক্তিগত মতামত আপনাদের সামনে প্রেজেন্ট করছি। সবচেয়ে উত্তম কাজ হবে আমার লেখা থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বের করতে পারেন কিনা সেটাই। আমার লেখায় ভালো কিছু থাকলে তা গ্রহন করুন আর যা আপনার মতের সাথে মিলছে না তা বর্জন করুন।
Tag : ,

আমি টুইটারে আয় করি যেভাবে

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে অনেকেই শুধু মজা করেই সময় পার করে দেন। কিন্তু আমি যেমন মজা করি তেমনি আয়ও করি। সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট গুলোর কল্যাণে অনলাইন মার্কেটিং এখন যেমন দ্রুত হয়ে গেছে ঠিক তেমনি এই সাইট গুলোর কদর দিন দিন বেড়েই চলেছে, আর অনেকেই বিভিন্ন ভাবে এই সাইট গুলোকে নিজের ব্যবসা, প্রচারণার ক্ষেত্রে ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করছেন। আজকে আপনাদের কাছে আলোচনা করব টুইটার থেকে কিভাবে, কত, কোথায় কেমন করে আয় করা যায়। টুইটার কি তা নিয়ে আশা করি বিস্তারিত আলোচনা করার প্রয়োজন নাই। তাই সরাসরি মূল আলোচনায় চলে যাওয়া যেতে পারে। খুব সংক্ষেপে টুইটারে আয় করার কয়েকটি বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
টুইটার কীভাবে টাকা দেবে?
খুব সাধারণ একটা প্রশ্ন, অনেকেই যারা নতুন তারা প্রশ্ন করে থাকেন যে, আদৌ কি টুইটার থেকে আয় করা যায়? আর তারা কেন মানুষকে টাকা দিতে যাবে? বিষয়টা আসলে সেরকম নয়, বরং এখানে টুইটার আপনাকে এক টাকাও দেবে না। টাকা দেবে আপনি যাদের হয়ে টুইটারে কাজ করবেন। তাদের অনেক কাজ এখন ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে পাওয়া যায়।
টুইটারে আমার কাজ কি হবে?
টুইটার হচ্ছে বিশাল সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারী এই সাইটটিকে নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করছেন। কেউ করছেন নিজের মতামত প্রকাশ করার জন্যে। কেউবা ব্যবসায়িক প্রচারণা করার জন্যে। কেউ ব্রান্ডকে প্রমোট করার জন্যে। কেউ বা সেলিব্রেটিদের প্রচারণার জন্যে। তাদের এই কাজগুলোই মূলত আপনার কাজ। মুল কথা যুগের চাহিদা এবং সবার সাথে যোগাযোগ রাখার উত্তম মাধ্যম হিসেবে এক অনন্য এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট। তাছাড়া বিখ্যাত, সেলিব্রেটি, আদর্শ মানুষ গুলোকে খুব কাছ থেকে জানার আগ্রহ থেকে প্রচুর মানুষের মনের মধ্যে এক তুড়িতে স্থান করে নিয়েছে এই সাইটগুলো। এছাড়াও ওয়েব সাইট গুলোর ভিজিটর পাওয়ার অন্যতম মাধ্যম সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে প্রচুর প্রতিযোগিতা(SEO) এর কারণে কাঙ্ক্ষিত ভিজিটর না পাওয়া একটি অন্যতম কারণ।
টুইটারে কি কি কাজ পাওয়া যায়?
অনেক কাজ আছে এখানে। যেমন followers সংগ্রহ করে, টুইটার একাউন্ট তৈরি করে, retweet করে, ব্যাকগ্রাউন্ড ইমেজ তৈরি করে এবং আরও অনেক কাজ।
১. followers সংগ্রহ করে।
টুইটারের মধ্যে এই কাজটির চাহিদা সব চেয়ে বেশি, অনেক বায়ার বিভিন্ন এলাকা ভিত্তিক, বা বিষয় ভিত্তিক অনুসারী মানুষ গুলোকে follower হিসেবে সংগ্রহ করার জন্যে কাজ করিয়ে নেন।
২. টুইটার একাউন্ট তৈরি করে।
খুব সহজ একটি কাজ, মূলত শত শত একাউন্ট তৈরি করার জন্যে এই ধরনের কাজ করতে হয়
৩. retweet করে।
আপনার একটি পপুলার একাউন্ট থেকে অন্যের টুইটারের পোষ্ট গুলো retweet করে আপনার ফলোয়ারের সাথে শেয়ার করে।
৪. ব্যাকগ্রাউন্ড ইমেজ তৈরি করে।
বিভিন্ন ব্রান্ড কোম্পানি এবং সেলিব্রেটি দের জন্যে মানানসই ব্যাকগ্রাউন্ড ছবি তৈরির কাজ গুলো প্রচুর পাওয়া যায়। এছাড়া আরো অনেক উপায়ে টুইটার থেকে আয় সম্ভব
কিভাবে শুরু করবেন?
প্রথমেই একটু কষ্ট করে ১০টা একাউন্ট তৈরি করে ফলোয়ার সংখ্যা বাড়িয়ে নিন এবং কয়েকদিন নিয়মিত পোষ্ট দিন। এর মানে আপনার প্রতি একাউন্টে ১ হাজার করে ফলোয়ার থাকলে ১০ টি একাউন্টে ১০ হাজার মানুষ আপনাকে অনুসরণ করছে। এর চার ভাগের একভাগও যদি ধরেন তাহলে ২৫০০। এদের থেকে ১০০০ হাজার বাদ দিয়ে মোটামুটি একটিভ মানুষ পাবেন ১৫০০ জন। প্রতিদিন ১০০০ মানুষের কাছে যদি একটি সংবাদ নিয়মিত পৌঁছে দেন তাহলে সেটি প্রচার পেতে খুব বেশি সময় লাগার কথা নয়। আর এই ভাবে আপনার মত একজন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটর এর জন্ম হয় এবং এক সময় সফল হয়। ঠিক তখন আপনার মত মানুষের একটি সামান্য পোষ্টের জন্যে হাজার হাজার মানুষের অপেক্ষার প্রহর গুনতে হয়।
কেমন আয় হবে?
কাজের প্রয়োজনীয়তা, অভিজ্ঞতা, ইত্যাদি ভেদে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রেট এর কাজ পাওয়া যায়। তারপরও প্রতি পোষ্ট, রিটুইট এবং ফলোয়ারের জন্যে নুন্যতম ২-৩ টাকা থেকে শুরু করে ১০ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়। এবং দীর্ঘ সময়ের বড় কাজ এর ক্ষেত্রে রেটটা বায়ারের সাথে আলোচনা সাপেক্ষ হয়।
কোথায় কাজ পাবেন?
ফ্রিল্যান্সিং করা যায় এমন যেকোন সাইট থেকে আপনি কাজ নিতে পারবেন। আর একটু কষ্ট করে খুঁজতে থাকুন। আপনার ১০ হাজারের বেশি ফলোয়ার থাকলে আপনাকে ঠেকায় কে? এই সেক্টরে প্রচুর কাজ পাওয়া যায়। শুধু ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন অনেক ভাল করতে পারবেন।
Tag : ,

Odesk-e আমি যেভাবে অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে কাজ পাই

ফ্রিল্যান্সিং এর এই সময়ে আমরা সবাই ওডেস্ক এ কাজ পেতে এবং ওডেস্ক ক্যারিয়ার গড়তে অনেক উৎসাহী। আমি ডেস্ক এ কাজ করছি ২০১০ সাল থেকে। আল্লাহর রহমতে খুব ভালভাবে কাজ করতে পারছি। আমার ওডেস্ক প্রোফাইল এর লিঙ্কটি দেখতে পারেন এখানে। ওডেস্ক এ কাজ পেতে হলে আমাদের অনেক প্রতিযোগিতা করতে হয়। তবে এখানে ভাল একটি কাভার লেটার লিখতে পারলে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। আপনাদের সকলের ওডেস্ক এ কাজ পেতে সহায়ক একটি নমুনা অ্যাপ্লিকেশন দিচ্ছি। এর আগে সবাইকে সুনিশ্চিত করতে হবে নিচের বিষয়গুলো ঠিকঠাক আছে কিনা।
১ আপনার ওডেস্ক এর প্রোফাইল completeness ১০০% আছে কিনা।
২ সুন্দর একটি টাইটেল এবং overview আছে কিনা।
৩ আপনার Skills and Employment History অ্যাড করা আছে কিনা।
৪ অবশ্যই অবশ্যই আপনার নিজস্ব করা এবং অনেক সুন্দর সুন্দর কাজের portfolio (image + link) থাকতে হবে।
শুধুমাত্র উপরের বিষয়গুলো ঠিকঠাক থাকলেই আপনি নিচে দেওয়া Application Format টি Follow করলে আপনার ওডেস্ক এ কাজ পাওয়া এবং ওডেস্ক এর Career গড়ে তোলা সুনিশ্চিত।
অ্যাপ্লিকেশন/Cover letter format নিম্নরূপ:
Dear Hiring Manager,
You had mentioned that you are looking for [Job post] who can [job role].
I’m interested in the position of [job position here]. I have been a professional [your working platform] working for over [--] years with a lot of projects using [tehchnology, methods if any]. Moreover, I have professional working experience with [company name where have you worked].
I will do this job in the following way: [your planning to complete the job according to buyer's choice]
You can see some of my completed job related to this:
1. ----------------------------- (link of your portfolio - Portfolio must be related to buyers requirement)
2. ---------------------------- (link of your portfolio - Portfolio must be related to buyers requirement)
3. ----------------------------- (link of your portfolio - Portfolio must be related to buyers requirement)
----------------------------------------
[say something about your availability]
[say something about your timeline to complete the job]
Feel free to ask me any question any time.
Regards
[Your Name]
মনে রাখবেন কখনো ভুলেও আপনার ইমেইল, স্কাইপ আইডি, ইয়াহু, এগুলো কাভার লেটারে দেওয়া যাবে না। ক্লায়েন্ট আপনাকে নক করলে শুধুমাত্র তখনি আপনার কন্টাক্ট ডিটেইলস তাকে দিবেন। আর অবশ্যই যে কাজ আপনি খুব ভালভাবে করতে পারবেন শুধুমাত্র সেই কাজের জন্যই অ্যাপ্লিকেশন করবেন। আশা করি এটি অবশ্যই আপনাদের কাজে লাগবে।
Tag : ,

Income করেছি কিন্তু কখনো ফ্রিলেন্সিং প্লাটফর্ম গুলোতে কাজ করতে হয় নি।

ইচ্ছাটা যেখান থেকে শুরুঃ

ক্লাস 7/8 এ যখন “আমার জীবনের লক্ষ্য” বা “Aim in life” রচনা পরতাম তখন থেকে মনে মনে ভাবতাম বড় হয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হব। কিন্তু আমার ফ্যামিলিতে বা আসেপাশে গাইডলাইন দেবার মত কেউ ছিল না। ফলে ক্লাস নাইনে কমার্স নিয়ে নেই। কলেজে ভর্তি হবার পর জানতে পারি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হতে হলে CSE পড়তে হবে এবং যার জন্য ব্যাকগ্রউন্ড সাইন্স হতে হবে। মনে বড় দুঃখ পাই ব্যাপারটা জেনে। তখন এক বড় ভাই বলল মন খারাপ করো না তুমি। পড়াশুনার পাশাপাশি নিয়মিত এটাকে নিলে পড়ে থাকলে কিছু একটা করতে পারবা। তার কথা মতই করলাম।
তো অনেক মানুষের কাছে প্রথমে সাহায্যের জন্য যেতাম কি ভাবে কি শিখব তা জানার জন্য। কিন্তু সবাই কেমন যেন করত। দেখাতে চাইত না। বাসায় থেকেও বলত আমি বাসায় নেই যদি কিছু শিখার জন্য বাসায় চলে যায় সেই ভেবে। একটা ঘটনা এখনও মনে আছে এক বন্ধুর বাসায় গিয়ে কম্পিউটার ধরে একটু বিভিন্ন অপশন দেখছিলাম (যখন আমার কম্পিউটার ছিল না) হঠাৎ বন্ধু আসে মাউসটা সরিয়ে নিয়ে বলে আরে গুতাগাঁতি কইরা সব প্রবলেম কইরা দিব তো ... !
আমার ইন্টার পরীক্ষার অনেক পরে কম্পিউটার হাতে পাই। ২০০৯ এর শেষের দিকে। তখন থেকে শুরু হয় আমার কম্পিউটার গুতাগুতি। তখন ইচ্ছা করি কম্পিউটারের যত কিছু আছে সব শিখব। তখন ওয়েব ডেভলপমেন্ট, এস.ই.ও এগুলো কিছু জানতাম না। শুধু বুঝতাম ছবি এডিটিং করা। সেই থেকে পরিচয় Photoshop, Illustrator এর সাথে। প্রথম থেকে সাহায্যের জন্য অনেক মানুষের কাছে গিয়েছি কেউ কোন সাহায্য করত না। পরে রাগে ক্ষোভে গুগলকে ব্যবহার করা শুরু করলাম। যেখানে বেজে যেতাম গুগল কে ব্যবহার করতাম। আর নিজে নিজে প্রচুর পরিমানে অপশন টিপে টিপে দেখতাম কি হয়। প্রতিদিন ১২/১৪ ধন্টা সময় দিতাম পিসিতে। এভাবে মোটামুটি গ্রাফিক্সের কাজ অনেকটা শিখে ফেলেছি।
এরপর কি যেন গুগল সার্চ করতে করতে টেকটিউনস এর লিঙ্কটা পাই। সেখান থেকে জানি ওয়েব ডেভলপমেন্ট কি, এস.ই.ও কি এমন আরও অনেক কিছু। তখন থেকে আবার শুরু করি শেখা। ঘোড়ার মত দৌড়িয়েছি শেখার জন্য। এখনও মনে আছে প্রথমে গুগলে সার্চ দেই “How to I learn web development” তারপর থেকে শুরু শিখা। অনেক গুলো গাইড লাইন দেখে বুঝতে পারি কি কি শিখতে হয় Web Development এর জন্য তারপর শিখতে শুরু করি একে একে HTML, CSS, PHP, MySQL, WordPress ইত্যাদি। প্রথম প্রথম তো সুন্দর সুন্দর ওয়েবসাইট পাইলেই Ctrl + U চেপে সোর্স কোডও দেখতাম অনেকক্ষণ। বিভিন্ন থিম বা টেমপ্লেট নামিয়ে নোট প্যাডে ওপেন করে বসে বসে পরতাম আর মাঝে মাঝে একটু একটু এডিট করে দেখতাম কি হয়। মাঝে মাঝে কোড পড়তে পড়তে মনে হত যেন মাথা ঘুরাচ্ছে। ধৈর্য হারিয়ে ফেলতাম। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে বা বাহিরে হাটাহাটি করে আবার শুরু করতাম। আল্লাহকে অশেষ ধন্যবাদ সে আমাকে অনেক ধৈর্য দিয়েছিল, না হলে এভাবে একটা ১২/১৪ ঘণ্টা কাজ শিখা অনেক কষ্ট সাধ্য ছিল। হয়ত পারতামই না।
আর একটা মজার ব্যাপার হল আমার মুভি দেখের নেশা আছে। অনেক মুভি দেখি। তো মুভি দেখার সময়টা কোন কিছু শুখতে পারব না বলে মনিটরের অর্ধেকে কাজের কোন কিছু রাখতাম বাকি অর্ধেকে মুভি চালিয়ে রাখতাম। মজার ব্যাপার হল মুভি শেষ কিন্তু মনে মনে বলছি মুভিতে কি হল কয়েকটা সিন ছাড়াতো আর কিছুই মনে নেই !!! তখন আবার চালু করতাম মুভিটা। এভাবে একটা মুভি ২/৩ বার দেখতাম।
আমি শেখার সময় কখনও চিন্তা করি নি এটা নিয়ে ইনকাম করব। নিজে টিউশনি করতাম; তা থেকে যা পেতাম হয়ে তাতে মাস কাভার হয়ে যেত কারন সারা দিনই তো বাসায় থাকতাম পিসি নিয়ে। আমার যেটা ইচ্ছা ছিল – কম্পিউটারের সব কিছু শিখব সব। সেই ইচ্ছা পূরণের জন্য সেই তখন থেকে লেগে আছি এখন পর্যন্ত। যদি টাকা খরচ করে কোন প্রতিষ্ঠানে যেতাম তাহলে হয়ত আমার এত কষ্ট করা লাগত না। কিন্তু নির্ভরযোগ্য কোন প্রতিষ্ঠান পাই নি তাই যাওয়া হয়নি। আর সবচেয়ে বড় কথা আমার কোন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিখতে মনে চায় নি। কারন একটা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হইছিমাল(Basic Computer শিখার জন্য) সেই প্রথম দিকে মাসখানেকের মত ছিলাম; যা শিখিয়েছে বা যে ভাবে শিখিছে তাতে পেট ও মন দুটাই ভরে গেছে। সেগুলো দিয়ে কিছুই লাভ হয় নি।

অনলাইনে ইনকামের শুরুটা যে ভাবে হলঃ

এবার আমার অনলাইনে ইনকামের শুরুটা বলি। খুব অদ্ভুদ ভাবে শুরুটা হয়। আগেই বলেছি শেখার সময় কখনও মনে চিন্তাও আনি নি যে ইনকাম করব এটা নিয়ে। ব্লগিং করতে ভাল লাগত তাই ব্লগিং করতাম। ব্লগিং করে মানুষকে বিভিন্ন কিছু শিখাতাম। অন্যের সাথে অনেক কিছু শেয়ার করতাম। সেই সুবাদে অনেক মানুষের সাথে পরিচয় ঘটে। অনেক মানুষের সাথে পরিচিতি লাভ করি। এর মধ্যে অনেক গুলো প্রবাসী মানুষও ছিল। তাদের সাথে প্রায় সময় চ্যাট হত। এমনই একজন প্রবাসী এক ভাইয়ের সাথে একদিন চ্যাট করতে করতে সে হঠাৎ বলল তুমি কি কি কাজ পার? আমি বললাম গ্রাফিক্স আর ওয়েব ডেলপমেন্ট। তখন সে আমাকে বলল আমার একটা ওয়েব সাইটের জন্য একটা ব্যানার ডিজাইন দিতে পারবা? আমি বললাম আচ্ছা দিচ্ছি। আমার বানানো ব্যানারটা তার অনেক পছন্দ হয়। সে ওটা ব্যবহার করে। তারপর আস্তে আস্তে জানতে পারলাম সে যেই দেশে থাকে সেখানে তার একটি IT Firm আছে। সেই থেকে তার কোম্পানির কোন ডেভলপমেন্ট এর কাজ বা গ্রাফিক্সের কাজ আসলে আমাকে দিত। এটা হল অনলাইনে ইনকাম শুরু। এর পর থেকে ব্লগিং এবং বিভিন্ন ফোরামে মানুষকে সাহায্য করতাম ওয়েব ডেভলপমেন্ট বিষয়ে সেখান থেকেও বেশ কিছু বিদেশি বায়ারদের সাথে যোগাযোগ হয়ে যায়। আল্লাহ্‌র অশেষ রহমত আমাকে কখনও বিভিন্ন ফ্রিলেন্সিং মার্কেট প্লেস গুলোতে দৌড়াতে হয়নি। প্রতি মাসেই সরাসরি বায়ারদের কাছ থেকে কাজ পেয়েছি। এগুলোর সাথে আস্তে আস্তে আমাদের দেশের লোকাল কাজ গুলোও করা শুরু করি। এভাবে আমাদের দেশের মধ্যেও বেশ কিছু ক্লাইন্ট হয়ে যায়।
কাজের চাপ আস্তে আস্তে বাড়তে লাগলো। তাই ২০১১ তে mrLab নামে একটি টিম গঠন করি। সেখানে বেশ কিছু ফ্রেন্ড মিলে একসাথে কাজ করতাম। রাস্তা-ঘাটে, মাঠে, ক্যান্টিনে টিম মেম্বাররা মিলে কাজের প্লান করা, কাজ করা ইত্যাদি চলত। টিমের সবাই মিলে বেশ ভাল কাজ করলাম ১ বছর।
টিম মেম্বারদের নিয়ে আস্তে আস্তে আগাতে থাকি এবং স্বপ্ন দেখতে থাকি একজন আইটি উদ্যোক্তা হবার। স্বপ্ন দেখতে দেখতে এই তো কিছু দিন আগে (১৬ ই ডিসেম্বর ২০১২) এ ZOVOXZ LTD.(IT Firm) এর যাত্রা শুরু করি। এখন সেই আগের কাজ গুলোই একটু প্রফেশনাল ভাবে করি এই আর কি। আমি এখনও সেই আগের মতই ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইন্ট এবং দেশি ক্লাইন্ট নিয়ে সরাসরি কাজ করছি এবং ভবিষ্যতেও করব। সেই প্রথম থেকে মানুষকে সাহায্য করে এসেছি এখনও করছি। আমার কাজের পাশা পাশি মানুষকে সাহায্য করার জন্য এবং দেশের তরুনদের টেকনোলজিতে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য ২ টা প্রোজেক্ট এ কাজ করছি। ইনশাল্লাহ খুব শীঘ্রই সবার মাঝে আমার প্রোজেক্ট গুলো তুলে ধরতে পারব। এতে আমাদের দেশ তথা তরুনদের বেশ উপকার হবে। বহু কষ্ট, অনেক বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে আজ এই স্থানে আসতে পেরেছি সে জন্য আল্লাহ্‌ কাছে শুকরিয়া জানাই।
আমার জীবনের অনেক কিছু আমি বাদ দিয়েছি। অনেক কিছু সরিয়ে দিয়েছি কিন্তু কম্পিউটারের প্রতি আগ্রহ এখনও সরে যায় নি। শিখার ইচ্ছা, আগ্রহ এখনও প্রবল হয়েছে। আর এই ইচ্ছা শক্তির কারনেই এখন এত কিছু শিখতে পেরেছি এবং এই স্থানে আসতে পেরেছি।
এই ছিল আমার ফ্রিলেন্সিং জীবনের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা।
Tag : ,

ফ্রিল্যান্সিংয়ে ভিন্ন ধারার কাজের ক্ষেত্র "ফাইভার"

আজ একটু অন্য ধরনের পোস্ট করতে বসলাম। ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে। ফ্রিল্যান্সিং এখন অনেক জনপ্রিয় একটি কর্মসংস্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকে ফ্রিল্যান্সিং করে সফলও হচ্ছে। আমারা সাধারনত freelancer বা odesk এ কাজ করে থাকি। আজ আমি একটি অন্য ধরনের কাজের রাস্তা দেখাতে এসেছি। ফ্রিল্যান্সিং সাইট গুলোতে কাজ পেতে হলে অনেক অভিজ্ঞ বা জানা বোঝার বেপার আছে। আমরা কতজন ই বা অত জান নে ওয়ালা। আমরা হয়ত অনেক কাজ এ পারি যা এসব ফ্রিল্যান্সিং সাইট এ কোন দাম দেয় না।
এখন কথা হল, এই ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফরমে যেসব কাজের অর্ডার দেয়া হয় সেইসবের যেকোন একটি জানতে হবে। এখন ধরেন আপনি খুব ভাল নাচতে পারেন বা গান গাইতে অথবা কমেডি করে বন্ধুদের হাসাতে পারেন কিংবা এমন অসাধারণ কিছু করতে পারেন যেটা অন্যরা দেখতে মজা পায়। কিন্তু এই ধরনের কাজের ফ্রিল্যান্সার এর জন্য কেউ ওই প্ল্যাটফরমগুলোতে আসেনি। এখন আপনার কি উপায়? নিরাশ হওয়ার কোন কারণ নেই। আপনাদের জন্য আছে এক সাইট যেখানে আপনি এইধরনের কাজের জন্য বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন। চলুন দেখে নেই সেই সাইটের খুঁটিনাটি:
ফাইভার কি?

ফাইভার হচ্ছে এমন একটি সাইটে যেখানে আপনি ৫ ডলারের বিনিময়ে যেকোন কাজ করার জন্য বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। যেকোন বলতে আপনি যা করতে পারবেন সেগুলোই। "ফাইভার" একটি ভিন্ন ধারার ফ্রিল্যান্সিং সাইট। এখানে আপনি আপনার পছন্দ মত কাজ অফার দেবেন। মানুষ সেটা কিনবে। আপনাকে কাজ খুজতে হবে না। আপনার কাজ বায়ার খুজে নেবে। সাইট টা একবার ভিজিট করলেই বুঝতে পারবেন। যেমন ধরেন আপনি ভালো গান লিখতে পারেন। আপনি সাইট টিতে পোস্ট দিলেন, " I will write a professional lyrics for $5" আপনার এই কাজ টিও বিক্রি হয়ে যাবে সেখানে। ভিষন মজার। একবার ঘুরে দেখে আসুন।
এরকম যেকোন কাজের বিজ্ঞাপন আপনি দিতে পারেন তবে সবগুলোই ৫ ডলারের বিনিময়ে। এগুলো ছাড়াও নিয়মিত যারা ফ্রিল্যান্সিং করেন তাদের জন্যও আছে আলাদা বিভাগ। সেসব বিভাগে প্রোগ্রামিং, লোগো বানানো, আর্টিকেল এসব এর বিনিময় মুল্য দিয়ে বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন। বিজ্ঞাপন দেয়ার নিয়মও সোজা। রেজিস্ট্রেশান করে লগিন করুন। এরপর উপরে বার থেকে Seller এ গিয়ে My Gigs থেকে নতুন কাজের বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন।
লক্ষণীয় বিষয়:
* ফাইভার থেকে বেশি করে আয় করার জন্য একের অধিক কাজের বিজ্ঞাপন দিন তবে এক কাজের বারবার দেয়া যাবে না।যাতে যেকোন একটি অন্তত প্রথম পাতায় আসতে পারে।
* বিজ্ঞাপন লেখার সময় ম্যাক্সিমাম কিওয়ার্ড এবং সুন্দর ডেসক্রিপশন ব্যবহার করুন।
* প্রতিটি কাজের জন্য ভিডিও আপলোড করার চেষ্টা করুন। ভিডিও সম্বলিত কাজের বিজ্ঞাপনগুলো সাধারণত ফাইভার আগে প্রমোট করার চেষ্টা করে।
* কাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন করে বায়ারকে কাজের প্রমাণ পাঠিয়ে দিবেন।
* কাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন করে বায়ারকে কাজের প্রমান পাঠিয়ে দিবেন গোপনবার্তায় করে পাঠিয়ে দিবেন।মনে রাখবেন, বায়ার যদি কাজে সন্তুষ্ট না হয় তাহলে সেটির টাকা পাওয়া যাবে না।
* ম্যাসেজে বায়ারের সাথে ব্যাক্তিগতভাবে যোগাযোগের জন্য মেইল অথবা ডাইরেক্ট পেমেন্টের জন্য পেপ্যাল, এলার্টপে এগুলোর জন্য রিকোয়েষ্ট করবেন না।প্রমান পেলে একাউন্টে টাকা থাকা অবস্থায় ব্যান করে দিতে পারে।
* ফাইভার প্রতি ৫ ডলারে ১ ডলার চার্জ হিসেবে কেটে নিবে অর্থাৎ প্রতিটি কাজের বিনিময় মুল্য আপনি পাবেন ৪ ডলার করে।প্রতিটি কাজ বায়ার এর দেয়া কমপ্লিট ঘোষনা দেয়ার ১৫ দিন পরে পেপ্যালে ক্যাশাউট করা যাবে।
* এটি স্ক্যাম বা প্রতারক সাইট নয়।
Tag : ,

ইন্টারনেটে কাজ করে কীভাবে অর্থ উপার্জন করবেন?

সরকার ঘোষণা দিয়েছেন ডিজিটাল বাংলাদেশের। প্রতিদিন এবিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। বলা হচ্ছে আগামীতে আউটসোর্সিং হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আয়ের উৎস, কর্মসংস্থানের সবচেয়ে বড় যায়গা। তারপরও যারা একাজ করবেন তারা অনেকেই অন্ধকারে রয়ে গেছেন। অনেকেই জানেন না ঠিক কি করবেন। কি যোগ্যতা প্রয়োজন হবে, কি কি যন্ত্রপাতি প্রয়োজন হবে, কি কাজ করতে হবে, কাজ কোথায় পাওয়া যাবে, কত টাকা পাওয়া যাবে, কিভাবে পাওয়া যাবে।
এই প্রশ্নগুলির উত্তর ধারাবাহিকভাবে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে এখানে।
প্রথমেই একটা কথা পরিষ্কার করে নেয়া ভাল। বলা হচ্ছে কাজ করে অর্থ উপার্জনের বিষয়ে। কাজেই আপনাকে কাজ করতে হবে, সে কাজ শিখতে হবে, অন্যদের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হবে। আপনার দক্ষতা যত বেশি অর্থ উপার্জনের সুযোগ তত বেশি। এটাই একমাত্র পথ। যদি কাজ শিখতে এবং করতে পর্যাপ্ত আগ্রহ এবং চেষ্টা না থাকে তাহলে সময় নষ্ট না করাই ভাল। সহজে অর্থ উপার্জন বলে যা বুঝানো হয় তা আসলে ততটা সহজ না।
আউটসোর্সিং কি?
এটা নিশ্চয়ই প্রথম প্রশ্ন। উত্তর হচ্ছে, বাড়িতে বসে অন্য কারো কাজ করা। উন্নত দেশগুলিতে (আমেরিকা কিংবা ইউরোপ) মজুরী অত্যন্ত বেশি। কোন কোম্পানির যদি নির্দিষ্ট প্রোগ্রাম তৈরি প্রয়োজন হয়, এজন্য যদি একজন প্রোগ্রামার নিয়োগ করতে হয় তাহলে বিপুল পরিমাণ টাকা গুনতে হয়। সেকাজটিই অন্য দেশের প্রোগ্রামার দিয়ে করিয়ে নিলে তুলনামূলক কম টাকায় করানো যায়। বর্তমান ইন্টারনেট ব্যবস্থায় খুব সহজে একাজ করা সম্ভব। আপনি সেই প্রোগ্রামার, ডিজাইনার, এনিমেটর অথবা যাই হোন না কেন ইন্টারনেটের মাধ্যমেই তাদের কাজ করতে পারেন, ঘরের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
বড় কোম্পানির বদলে ছোট কোম্পানি, কিংবা ব্যক্তি পর্যায়ের কাজের কথা যদি এরসাথে যোগ করা হয় তাহলে কাজের পরিধি বেড়ে যায় অনেক। ধরুন কোন ব্যক্তির একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা প্রয়োজন। তিনি নিজে সেকাজ পারেন না। কাজেই তার প্রয়োজন এমন একজন ব্যক্তি যিনি সেকাজ করে দেবেন। আপনি যদি সেকাজে দক্ষ হন তাহলে আপনি আগ্রহী হয়ে সেখানে যোগাযোগ করলেন। সমঝোতা হল, আপনি কাজটি করে দেবেন, বিনিময়ে ১০০ ডলার পাবেন। লাভ দুজনেরই।
কাজেই, আউটসোর্সিং হচ্ছে এক যায়গার কাজ অন্য জায়গা থেকে করিয়ে নেয়া। এই কাজকে সহজ করার জন্য অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাদের ওয়ের সাইটে বিনামূল্যে সদস্য হওয়া যায় (আপনাকে বিনামূল্যে সেবা দিয়েও তারা নিজেরা লাভ করেন। সে হিসেব আলাদা)।
তাদের সদস্য দুধরনের, একপক্ষ কাজ দেন, আরেকপক্ষ কাজ করেন। আপনি যখন কাজ দেবেন তখন কাজের বিবরণ, সময়, অর্থের পরিমাণ ইত্যাদি তাদের জানাবেন। তারা ওয়েবসাইটে সেগুলি রেখে দেবেন যারা কাজ করতে আগ্রহী তাদের জন্য।
আপনি যত কাজ করবেন তখন তাদের ওয়েব সাইটে গিয়ে সেই তালিকা থেকে নিজের পছন্দমত কাজের জন্য আবেদন করবেন (সাধারণত একটি লিংকে ক্লিক করাই যথেষ্ট)। যার কাজ তিনি আবেদনগুলি যাচাই করে যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকে কাজটি দেবেন। আপনি সেই ব্যক্তি হলে কাজটি করে ইন্টারনেটের মাধ্যমেই তার কাছে পাঠিয়ে দেবেন। সাথে সাথে আপনার একাউন্টে কাজের অর্থ জমা হবে।
কাজের ধরন
একটু আগে দুধরনের কাজের কথা বলা হয়েছে, একটি কোম্পানির, অপরটি ছোট কোম্পানি কিংবা ব্যক্তির। আউটসোসিং এর কাজ মূলত এই দুধরনের। বড় কোম্পানির বড় কাজ করার জন্য বড় প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন। সেখানে আপনি একজন নিয়মিত কর্মী হিসেবে নিয়োগ পেতে পারেন। আপনি ফ্রিল্যান্সার নন।
আর ছোট কাজের ক্ষেত্রে আপনি নিজেই সবকিছু। যোগাযোগ, কাজ করা, অর্থ গ্রহণ সবকিছু করতে হবে নিজেকেই। অবশ্য কয়েকজন একসাথে শুরু করে ক্রমাম্বয়ে বড় কোম্পানিতে পরিণত হওয়া অবশ্যই সম্ভব।
ধরে নেয়া হচ্ছে আপনি একা কাজ করতে আগ্রহী। এখানে সে সম্পর্কিত তথ্যই উল্লেখ করা হচ্ছে।
এক কথায়, কম্পিউটার ব্যবহার করে যাকিছু করা সম্ভব সবধরনের কাজই পাওয়া যায় এভাবে। গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব পেজ তৈরি, ওয়েব পেজের কোন সমস্যার সমাধান থেকে শুরু করে এনিমেশন, ভিডিও এডিটিং কিংবা একেবারে সহজ ডাটা এন্ট্রি পর্যন্ত। কাজ যত সহজ অর্থের পরিমাণ তত কম, কাজ যত জটিল অর্থের পরিমাণ তত বেশি এই নিয়মে।
উদাহরণ হিসেবে ওয়েব সাইটের জন্য ফটোশপে একটি ব্যানার বিজ্ঞাপন তৈরি করে যে পরিমাণ অর্থ পাবেন ফ্লাশে এনিমেটেড ব্যানার তৈরি করে পাবেন তার থেকে অনেক বেশি অর্থ। বাস্তব ধারনা পাওয়ার সবচেয়ে ভাল পথ হচ্ছে এধরনের ওয়েবসাইটে গিয়ে কাজের তালিকা দেখা।
কি শিখতে হবে
কোন কাজ আপনার জন্য ভাল সেটা যাচাইয়ের দায়িত্ব আপনার। আগ্রহ কোন বিষয়ে, দক্ষতা কোন বিষয়ে, কতদূর পর্যন্ত যেতে পারবেন এগুলি একমাত্র আপনিই জানতে পারেন। কোন কাজে অর্থ বেশি এটা বিচার করে সেই কাজ করতে না যাওয়াই ভাল। প্রোগ্রামার হওয়ার জন্য একধরনের প্রতিভা প্রয়োজন, এনিমেটর হওয়ার জন্য আরেক ধরনের, ভাল ডিজাইনার হওয়ার জন্য আরেক ধরনের। কোন বিষয়ে আগ্রহী হলে সে বিষয়ে খোজ নিন, কিছুদিন চেষ্টা করুন, তারপর দ্রুতই সিদ্ধান্ত নিন। এবিষয়েও সত্যিকারের সাহায্য পাবেন এধরনের জব সাইটে। প্রতিটি কাজের বর্ণনার সাথে কোন সফটওয়্যারে দক্ষতা থাকতে হবে তা উল্লেখ করা থাকে।
কত আয় করা সম্ভব
বিষয়টি পুরোপুরি আপনার কাজের ধরনের ওপর নির্ভর করে। অধিকাংশ কাজের হিসেব হয় ঘণ্টা হিসেবে। গ্রাফিক ডিজাইনকে উদাহরণ হিসেবে ধরলে মাসে অনায়াসে হাজার ডলার আয় করা সম্ভব। প্রোগ্রামার হলে অনেক বেশি।
কি যন্ত্রপাতি প্রয়োজন
এধরনের কাজে আপনার মুল অস্ত্র হচ্ছে মেধা। কাজেই দামী যন্ত্রপাতি নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন হয় না, বিশেষ কাজ ছাড়া। কাজের ধরন অনুযায়ী অবশ্যই আপনার স্ক্যানার, গ্রাফিক ট্যাবলেট, দামী ক্যামেরা ইত্যাদি প্রয়োজন হতে পারে। এধরনের বিশেষ যন্ত্র বাদ দিলে আপনার প্রয়োজন একটি মোটামুটি পর্যায়ের কম্পিউটার এবং ভাল ইন্টারনেট সংযোগ।
বর্তমানে যথেষ্ট কম টাকায় ভাল কম্পিউটার পাওয়া যায়। আর ইন্টারনেট সংযোগের বিষয়ে বলা আসলে অর্থহীন। তারা আশা করে আপনি টাকা দেবেন, বদলে কি পাবেন তাতে তাদের কিছু যায়-আসে না। আর সরকার কিংবা প্রশাসন যত বক্তৃতা-বিবৃতি দিক না কেন, ব্যবসায়ীদের কাছে সবসময় মাথা নিচু করে থাকে।
মুল কথায় ফেরা যাক। ইন্টারনেটে কাজ করে অর্থ উপার্জনের এটা প্রাথমিক তথ্য। শুরুতেই আপনি যা করতে পারেন তা হচ্ছে এধরনের ওয়েবসাইটে গিয়ে বিস্তারিত পড়া, বোঝার চেষ্টা করা। সত্যি কাজের তথ্য তাদের কাছেই পাওয়া সম্ভব, অকারণে অন্য যায়গায় সময় নষ্ট করবেন না।
odesk, freelancer এধরনের জনপ্রিয় ওয়েব সাইটের উদাহরণ। সার্চ করলে এধরনের আরো বহু সাইট পাবেন। ভালভাবে বোঝার জন্য কয়েকদিন নিয়মিত এই সাইটগুলিতে সময় কাটান।
কাজ শুরু করুন, সেইসাথে আরো জানার চেষ্টা করুন।
দ্রুত ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার ভাল-মন্দ
অনেকেই এখানে আসতে চান কিন্তু কিভাবে আসবেন বা দ্রুত না ধীরে শুরু করবেন এমন নানান ব্যাপার রয়েছে। তাই তাদের জন্য আমার কিছু পরামর্শ দিলাম এখানে। ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টি নিয়ে সাম্প্রতিককালে যত আলোচনা হয়েছে অন্য কোন পদ্ধতি নিয়ে ততটা সম্ভবত হয়নি। অনেকের মতে কর্মসংস্থান, কাজের ধরন সবকিছুই পাল্টে দিচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। এখনও বলা হচ্ছে, এই পদ্ধতি চলছে। অন্যান্য পদ্ধতির মত পুরোপুরি স্বীকৃতি পায়নি। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন থাকতে পারে এখনই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা উচিত কি-না। ফ্রিল্যান্সিং একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। প্রস্তুতির জন্য বহু সময় ব্যয় করতে হয়, নানাধরনের পদ্ধতি শিখতে হয়। অন্যকথায় অভ্যস্ত হতে হয়। যেহেতু এটি চলমান প্রক্রিয়া সেহেতু হ্যাঁ বা না উত্তর যথেষ্ট না। এখনই শুরু করার ভাল এবং মন্দ দুদিকই রয়েছে। জেনে নেয়া যাক ভাল দিকগুলি কি, মন্দ দিকই বা কি।
দ্রুত শুরু করার সুবিধে
* নিজেকে অভিজ্ঞ হিসেবে তৈরি করার জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া যায়। একটি উদাহরণ বিবেচনায় আনতে পারেন, যারা উইন্ডোজের আগেই ডস ব্যবহার করে কম্পিউটারে কাজ শুরু করেছেন তারা কম্পিউটারের ভেতরের অনেক বিষয় সহজে বোঝেন যা বর্তমানের উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরা বোঝেন না। প্রতিদিন ফ্রিল্যান্সিং কাজের পদ্ধতির যে পরিবর্তনগুলি হচ্ছে তারসাথে মিল রেখে নিজেকে এগিয়ে রাখা সম্ভব দ্রুত শুরু করলে।
* নিজের অবস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়া, ব্লগ ইত্যাদির মাধ্যমে পরিচয় তৈরি করতে হলে যত দ্রুত শুরু করা যায় তত এগিয়ে থাকা সম্ভব।
* কাজের পরিধি বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হয় দ্রুত শুরু করলে। হয়ত এই মুহূর্তে যে কাজে আপনি আগ্রহী নন তেমন কোন কাজ আপনার পছন্দের তালিকায় যোগ হতে পারে এবং একসময় সেটাই মুল কাজ হতে পারে।
* বাংলায় বলে পুরনো চাল ভাতে বাড়ে, ইংরেজিতে বলে ওল্ড ইজ গোল্ড। মুল বক্তব্য একটাই, অনেক কোম্পানি অভিজ্ঞতা বিচার করে সুবিধে দেয়। দ্রুত শুরু করে এই সুবিধে পেতে পারেন।
দ্রুত শুরু করার কিছু সমস্যাও রয়েছে। সেগুলি একবার জেনে নেয়া যাক;
* ফ্রিল্যান্সার হতে সময় লাগে একথা ভুলে যাবেন না। আপনি কাজ শুরু করে কয়েক মাসে সফল ফ্রিল্যান্সার হবেন একথা ঠিক না। এমন পরিস্থিতিতে যদি আয়ের জন্য অন্য পেশার ওপর নির্ভর করতে হয় তাহলে সেদিকে ক্ষতি হতে পারে। অন্তত এখন পর্যন্ত যখন ফ্রিল্যান্সিংকে সাধারণ পেশার পর্যায়ে বিবেচনা করা হয় না।
* আপনি সফল নাও হতে পারেন। আবারও, কারণ একই। ফ্রিল্যান্সিং এখনও প্রক্রিয়াধীন। আপনি যে সেবা নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে আগামীতে সেই সেবার প্রয়োজন নাও থাকতে পারে। বর্তমানে মানুষকে করতে হয় এমন অনেক কাজ হয়ত আগামীতে প্রযুক্তির মাধ্যমে করা হবে।
* আপনার খরচ বাড়তে পারে। যদি স্মার্টফোনের সফটওয়্যার তৈরিকে কাজ হিসেবে বিবেচনা করেন, আপনাকে নানা ধরনের ডিভাইস কিনতে হবে। অন্যান্য কাজের জন্য বিশেষ কিছু কেনা প্রয়োজন হতে পারে।
* প্রযুক্তির দীর্ঘ স্থায়িত্ব না থাকাও একটি মাথাব্যথার কারণ হিসেবে দেখা দিতে পারে। যে সফটওয়্যার আপনি ব্যবহার করছেন আগামীতে তার বদলে অন্যকিছু ব্যবহৃত হতে পারে। বিশেষ করে অপারেটিং সিস্টেমে যখন ঘনঘন পরিবর্তন হচ্ছে, তারসাথে মিল রেখে নতুন ডিভাইস তৈরি হচ্ছে সেখানে এই বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন বললে বেশি বলা হয় না। ট্যাবলেট, এন্ড্রয়েড ইত্যাদি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে। স্থায়ী চেহারা না নেয়া পর্যন্ত সকলের পক্ষে সফল হওয়া সম্ভব নাও হতে পারে।
আপনি দ্রুত শুরু করবেন কি-না এ প্রশ্ন যদি করেন তাহলে উত্তর হতে পারে, সবকিছু বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়াই মঙ্গল। এমন কোন বিষয় বেছে নিন যা স্থায়ী, আপনার আওতার মধ্যে এবং বর্তমান অন্য কাজের ক্ষতি না করেই করা যায়।
Tag : ,

উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন শুরু যেখানে...

ফ্রীল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং জগতে পদচারনা খুব বেশি দিনের নয় কিন্তু ফ্রীল্যান্সিং থেকেই ইতোমধ্যে খুঁজে পেয়েছি অনেক কিছু। জীবনকে বিশ্বাস করতে শিখেছি। শিখেছি কিভাবে হাহাকারময় চাকুরীর বাঁজারে নিজেকে প্রমাণ করে নিজের পায়ে দাঁড়ানো যায়। স্বপ্ন দেখতে শিখেছি এবং পেয়েছি পরিশ্রম দিয়েই নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার নির্ভরযোগ্য প্লাটফর্ম।
পড়াশোনা করছি কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এ শেষ বর্ষে। ফ্রীল্যান্সিং এর পাশাপাশি নিজেদের উদ্যোগে গড়ে তোলা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। সাথে আছে আরো কিছু স্বপ্নবান সঙ্গী। আমার ফ্রীল্যান্সার থেকে উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার ব্যক্তিগত কিছু কথা, কিছু স্বপ্নের কথা শেয়ার করার জন্যই আজকের এই লেখা।
শুরুর কথা
কম্পিউটার বিজ্ঞানের ছাত্র হওয়ায় কিছু দক্ষতা হয়ত ছিল কিন্তু ছিলোনা তেমন আত্মবিশ্বাস। কারন চার বছরের গ্রাজুয়েশন কোর্সের চার বছর শেষ হলেও নিজেকে আবিষ্কার করলাম তৃতীয় বর্ষের শুরুতে। না দোষ কিন্তু আমার না! দোষ হয়ত শিক্ষ্যাব্যবস্থার। যেকারনে চিন্তা শুরু হয়েছিল কিছু একটা করার কারন চাকুরীর বাজারও তেমন আশাব্যাঞ্জক বলে কারো মুখে শুনিনি। তাছাড়া পড়াশোনা শেষ করার আগে ভাল চাকুরি শুরুর কথা স্বপ্নেও ভাবা যায়না। তারপরে আবার “অভিজ্ঞতা” নামক প্রহসন।
এসব কারনেই “কিছু একটা” করার চিন্তায় যখন ঘুরছিলাম তখন দেখতাম অনেকেই ফ্রীল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং করে নিজের খরচ নিজে বহন করছে। ২০১১ এর শুরুর দিকে নিজে নিজেই ব্যাপারটা নিয়ে একটু ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করে মার্কেটপ্লেসগুলো সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সংগ্রহ করলাম। যেমন মার্কেটপ্লেসগুলো কি, এখানে কীভাবে কাজ করা হয়, কীভাবে টাকা পাওয়া যায় ইত্যাদি।
এরপর প্রাথমিক ধারণা অর্জনের পর শুরু ওডেস্ক এবং ফ্রীল্যান্সারে অ্যাকাউন্ট করে ফেললাম। নিজের প্রয়োজনীয় তথ্য এবং কয়েকটা সাধারণ টেস্ট বা পরীক্ষা দিয়ে প্রোফাইলটাও তৈরি করে ফেলি।
নিজেকে তৈরি করা
প্রোফাইল তৈরির পর মার্কেটপ্লেসগুলোতে জমা হওয়া কাজগুলো দেখতে থাকলাম। দেখা গেল সাধারণ কাজগুলো আমি পারি কিন্তু তাতে টাকার পরিমাণ কম। আর একটু কঠিন কাজগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকলেও কাজ শুরু করার মত তৈরি ছিলাম না। তাই নিজেকে আরেকটু ঝালাই করে নেয়া শুরু করলাম। নেটওয়ার্কিং এর কোর্স (CCNA) করা ছিল কিন্তু এই বিষয়ে পোস্ট হওয়া কাজগুলো বুঝতে বেশ সমস্যা হচ্ছিল তাই ওয়েব ডেভলপমেন্ট নিয়ে কাজ শুরু করলাম। এইচটিএমএল, সিএসএস জাভাস্ক্রিপ্ট এবং পিএইচপি ঝালাই করে নিলাম। উল্লেখ্য এই ল্যাঙ্গুয়েজ ছাড়াও আমার আরো কিছু ল্যাঙ্গুয়েজ জানা ছিল কিন্তু পেশাদার কাজ কখনো করা হয়ে ওঠেনি তাই শুরুতে বেশ বিব্রত ছিলাম। কাজ শুরু করার পর দেখলাম অনেক কিছুই পারিনা!! হাল ছাড়িনি, হাল ছাড়তে হয়নি কারন আমার সাথে গুগল ছিল! যেকোন সমস্যায় পড়লেই গুগলে সার্চ দিতাম এবং সমাধানও পেয়ে যেতাম। যেকোন কাজের জন্য আসলে ইন্টারনেটে প্রচুর রিসোর্স রয়েছে। শুধু তাঁদের খুঁজে বের করে ব্যবহার করতে জানতে পারলেই হয়।
প্রথম কাজ ওডেস্কে
আমি যখন বিড করা শুরু করি এবং যখন শুরু করি তখন আমার জব কোটা ছিল ১৫। আমি খুব সাবধানে আমার পক্ষ্যে যে কাজগুলো সম্পূর্ন ভাবে করা সম্ভব এবং করতে পারব সেরকম কিছু জবে বিড করি। সম্ভবত একদিনে ৮টা জবে বিড করেছিলাম। হয়ত আমার ভাগ্য ভাল কিংবা আমি সঠিক পদ্ধতিতে বিড করেছিলাম অথবা দুটোর কারনেই সেদিনই রাত ৩টার দিকে একটা ইন্টারভিউ এর অফার পাই। বায়ারের সাথে স্কাইপে কথা হয় এবং কাজটি আমাকে দিয়ে দেয়। কাজ পেয়ে খুশি হওয়ার বদলে আমার উত্তেজনা বেড়ে যায় এবং ঠিকঠাক শেষ করতে পারব কিনা এই ভয়ে সারারাত না ঘুমিয়ে কাজ করতে থাকি এবং উত্তেজনাবশত সকালের মধ্যেই একটা ওয়েবসাইট দাঁড় করিয়ে ফেলি! যদিও আমার কাজ শেষ করার সময়সীমা ছিল ৭ দিন কিন্তু পরেরদিনই আমার যতটুকু করার কথা ততটুকু করে দিই। বায়ার কাজে সন্তুষ্ট হয় এবং সাথে সাথেই ডলার পাঠিয়ে দেয়। তখনের অনুভূতিটা ছিল আসলেই অন্যরকম!! উল্লেখ্য কাজটি ছিল একটি ওয়েবসাইট তৈরির কাজ যার বাজেট ছিল ৫০ ডলার এবং আমি বিড করেছিলাম ৩০ ডলারে। কিন্তু বায়ার আমাকে পরেরদিন দিয়েছিল ১০০ ডলার!
কাজ এবং কাজ
প্রথমে ক্লায়েন্টের প্রজেক্টটি শেষ করার পর আমি দ্বিতীয় কাজের জন্য কয়েকমাস বিড করার সুযোগ পাইনি! কারন ওই ক্লায়েন্ট পরেরদিন আমাকে না বলেই নতুন একটা প্রজেক্টে হায়ার করে এবং সেটা ছিল ঘন্টাপ্রতি কাজ। শুরুতে আমি প্রফাইলে আওয়ারলি রেট পাঁচ দিয়ে রেখেছিলাম এবং সে ওই রেটেই আমাকে কাজ করার ইনভাইটেশন পাঠায়। আমিও স্বানন্দে গ্রহন করি এবং বেশ কয়েকটা প্রজেক্ট সফলভাবেই শেষ করি। এরপর আর কাজ খোঁজার জন্য আমাকে সময় খরচ করতে হয়নি বরং নিজের পড়াশোনা এবং অন্যান্য কাজের ফাঁকে প্রজেক্টের কাজ করতে থাকি...
উল্লেখ্য তার সাথে আমার কমিউনিকেশন খুব ভাল ছিল এবং লোকটা বেশ রসিকও! আমার কাছে মনে হয় ক্লায়েন্টদের সাথে ঠিকঠাক যোগাযোগ এবং ভাল সম্পর্ক তৈরি করতে পারলে নতুন কাজ পাওয়ার জন্য তেমন কিছু করতে হয়না। আমার প্রথম ক্লায়েন্টের সাথেই আমি অনেক ভাল একটা সম্পর্ক তৈরি করি এবং এখনো তার যেকোন কাজের জন্যই আমার ডাক পড়ে!
নিজেকে আরো বিস্তৃত করা
আসলে মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়া এবং করার পর আমার আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে যায়। আমি বিশ্বাস করতে শিখি নিজের ভিতরে কিছু থাকলে আমি যেকোন জায়গায় বসে অন্তত মার্কেটপ্লেস থেকে আয় করতে পারব। তাই আরো নতুন নতুন জিনিস শেখার জন্য সময় দিতে থাকি। টেকনোলজির যেকোন ব্যাপারে আমার আগ্রহ আগে থেকেই ছিল কিন্তু এটা থেকে আয় করার পর আমার আগ্রহ আরো বহুগুণে বেড়ে যায়। তখন আর নতুন কিছু শেখার জন্য সময় পার করলেও খুব বেশি খারাপ লাগেনা বরং নিজের মধ্যে নতুন নতুন দক্ষতা যোগ করতে পেরে আরো আত্মবিশ্বাসী হই। শিখে নিতে থাকি আরো কিছু প্রয়োজনীয় ল্যাঙ্গুয়েজ ও টেকনলজি।
কাজ করা একসাথে...
এরই মাঝে পরিচয় হয় রাহাত হোসেন নামের আরেক স্বপ্নবান যুবকের সাথে। আমরা কিছু আইডিয়া নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম mrLab নামে একটি ভার্চুয়াল টীমের মাধ্যমে। মার্কেটপ্লেস ছাড়াও আরো কিছু নতুন কাজ করার সুযোগ পাই। তারপর কাজ করতে থাকি একসাথে এবং সাথে জন্ম নিতে থাকে উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার স্বপ্ন... ...
উদ্যোক্তা হয়ে ওঠা
আমরা কয়েকজন একসাথে বিভিন্ন কাজ করছিলাম ঠিকই কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু সমস্যায় পড়ে যেতে হত। প্রয়োজন হত একসাথে বসে কিছু সমস্যা সমাধান করার। দুইজনের বাসার দূরত্ব ছিল অনেক তাই মাঝে মাঝে ধানমন্ডি লেক, স্টার কাবাব বা টিএসসি’র মাঠ হয়ে উঠতো আমাদের অফিস! আমরা অনুভব করলাম আমাদের (সাথে আরো কয়েকজন ছিল) একসাথে বসে কাজ করার মত একটা জায়গা দরকার। একে অপরকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য দরকার মাথার উপর একটি অভিন্ন সিলিং!
কিন্তু বললেই তো আর হয়ে যায়না! একটা অফিস নেয়া এবং সাথে আরো কিছু অপরিহার্য প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়া, অফিসের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা ইত্যাদি বেশ একটা খরচান্ত ব্যাপার যা বহন করার ক্ষমতা আমাদের ছিলোনা। যেহেতু আমাদের কিছু নেই তাই কোন ব্যাংকও আমাদের পাশে দাঁড়াবে না।
কিন্তু তারুন্যের কাছে হার মানতে বাধ্য হল সব বাধাবিপত্তি! আমরা শুরু করার মত প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে গেলাম। পেয়ে গেলাম স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় রসদ।
শুরু হল মাস্টারপ্ল্যান কারন আমরা শুরু করেই মুখ থুবড়ে পড়তে চাইনি। যদিও বেশ কিছু বিদেশী ক্লায়েন্ট আমাদের ভরসা ছিল তথাপি আমরা দেশেও দেশের হয়ে কিছু করার চিন্তা করলাম। শুধু মার্কেটপ্লেসের কাজ করে টাকা উপার্জন করতে চাইনি, চেয়েছি বৃত্তের বাইরে আরো কিছু একটা করতে।
স্বপ্ন বাস্তবায়নের আগে বেড়ে ওঠা বেয়াড়া স্বপ্নগুলোকে একটা নির্দিষ্ট ফ্রেমে নিয়ে আসা হল। সাথে যোগ হল কিছু নতুন মিশন... নতুন ভিশন...
আমরা যখন উদ্যোক্তা
অতঃপর ২০১২ এর নভেম্বরে নিজেদের একটা স্থান খুঁজে পেলাম। একটা নতুন অফিস নিয়ে নিলাম এবং জন্ম নিল ZOVOXZ নামের একটি সম্ভাবনা! নিজেদের মত করে অফিস সাজাতে লাগলাম। আমরা নিজেরাই মাঝে মাঝে আর্কিটেক্ট আবার নিজেরাই ঘাম ঝরানো শ্রমিক। গ্রিন রোডের এ.কে কমপ্লেক্সের নবম তলায় তৈরি হল আমাদের স্বপ্ন! তৈরি হল ZOVOXZ LTD. নামের একটি কোম্পানি যার প্রত্যেকটি সদস্যের বয়স ২৫ এর কম কিন্তু চোখেমুখে স্বপ্নের কোন অভাব নেই, সারাদিন পরিশ্রমের পরেও শরীরে নেই কোন ক্লান্তি! কারন আমরা আমাদের কাজকে ভালবাসতে শিখেছিলাম!
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১২! কিছু কাছের মানুষের ভালবাসা ও শুভকামনায় শুরু হল আমাদের পথচলা...
আমরা উদ্যোগ নিয়েছি নিজেদের স্বাবলম্বী করার সাথে আরো অনেককেই স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ করে দেয়ার।
আমাদের নিজস্ব কিছু আইডিয়া আছে যেগুলো বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে আমরা একসাথে এক ছাদের নিচে কাজ করে যাচ্ছি। মূলত মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ নিয়ে সেগুলো নিজেরা করে থাকি এবং দেশীয় কাজগুলোও করি। কাজ করতে করতে আমাদের অর্জিত জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা ছড়িয়ে দেয়ার জন্য প্রতি শুক্রবার আমাদের অফিসে ফ্রী কনসাল্টেশনের ব্যবস্থা রেখেছি যেন নতুনদের দিক-নির্দেশনা দিতে পারি। অনেকেই ইতোমধ্যে আমাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে কাজ শুরু করছেন। তাছাড়া প্রতিমাসে ক্যারিয়ার সহায়ক দুটি বই প্রকাশ করে বিনামূল্যে বিতরনের উদ্যোগ গ্রহন করেছি। এ ছাড়াও নতুনদের মার্কেটপ্লেসে কাজ করার জন্য উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য সীমিত আসনের এবং সাধ্যের মধ্যে কিছু প্রফেশনাল ট্রেনিং এর ব্যবস্থা আছে। আমরা আরো কিছু ভবিষ্যৎ উদ্যোগ গ্রহন করেছি যার লক্ষ্যে আমরা অবিরাম কাজ করে যাচ্ছি...
শেষকথা
শুরু করেছিলাম “আমি” বা আমাকে এবং আমার ফ্রীল্যান্সিং দিয়ে কিন্তু একা শেষ করতে পারলাম না! যোগ হয়ে গেল আরো কিছু স্বপ্ন এবং একটি সম্পূর্ন নতুন “উদ্যোগ”!! মানে আমরা এখন একেকজন গর্বিত উদ্যোক্তা কিন্তু শুরুটা হয়েছিল ফ্রীল্যান্সিং দিয়ে । ফ্রীল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে আমরা আত্মবিশ্বাস এবং জয়ের পুঁজি পেয়েছিলাম এবং নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলাম। আমরা আমাদের প্রাথমিক স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। নিজেদের স্বাবলম্বী করতে পেরেছি। অপেক্ষা করছি সবাইকে নিয়ে স্বাবলম্বী হয়ে সমৃদ্ধ জন্মভূমি গড়ে তোলার
Tag : ,

ব্লগিং বদলে দিক আপনার ভাগ্য........................

অনলাইন ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে ব্লগিং হচ্ছে দ্রুত প্রসারমান ও সম্ভাবনাময় একটি ক্ষেত্র। অনলাইনে আয় করার অন্যতম সহজ ও সম্ভাবনাময় উপায় হল লেখালেখি, যেটিকে আমরা আর্টিকেল রাইটিং বা ব্লগিং হিসেবে জানি। যারা ইংরেজিতে ভালো তারা ব্লগিং ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে পারেন। যারা ইংরেজিতে দক্ষ তারা এই ধরনের কাজ করে মাসে বেশ ভালো আয় করতে পারেন। বাংলাদেশে অনেক প্রফেশনাল ব্লগার রয়েছেন যারা নিজের ভাষাগত দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে এ ধরনের কাজগুলো সফলতার সাথে করছেন। এরা একে মূল পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
what-a-blog-can-do.jpg
বাংলাদেশে ব্লগিংয়ের সম্ভাবনা অফুরন্ত!
ব্লগিং আমাদের দেশে নতুন মনে হলেও উন্নত বিশ্বে এটি বিরাট আয়ের জন্য অনেক জনপ্রিয় মাধ্যম। যেহেতু বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ আর এখানকার শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা অনেক, তাই ঐ সব শিক্ষিত বেকারদের যদি ব্লগিং সম্পর্কে ভাল ধারণা দেওয়া যায় তাহলে তারা খুব সহজেই নিজেদের স্বাবলম্বী হিসাবে গড়ে তুলতে পারেন।
ইচ্ছাশক্তি বড় শক্তি!
ইচ্ছা থাকলে আপনি ব্লগিংয়ের কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। প্রয়োজন শুধু একটি কম্পিউটার, ইন্টারনেট সংযোগ ও ব্লগিং সম্পর্কিত বিস্তারিত ধারণা। আপনা ক্যারিয়ার হিসেবে ব্লগিং হতে পারে আদর্শ পেশা। কেননা, অন্যান্য চাকরিতে আপনাকে দিনে কমপক্ষে ৮ ঘন্টা বা তারো বেশি পরিশ্রম করতে হয়। তার বিনিময়ে যে পরিমাণ পারিশ্রমিক আপনি পান সেই তুলনায় ব্লগিংয়ে মাত্র ৫ থেকে ৬ ঘন্টা সময় দিলেই তারচেয়ে অনেক বেশি পরিমানে আয় করা সম্ভব। উদাহরণ হিসেবে আমরা অনেকের নাম বলতে পারি যারা ব্লগিংয়ে পেশা হিসাবে নিয়ে আজ প্রতিষ্ঠিত। যা কিনা যেকোন চাকরির চেয়ে অনেক ভাল। আর তা একটু মেধা খাটিয়ে কাজ করতে পারলে সম্ভব।
skill-up.JPG
যোগ্যতা ছাড়াই কি ব্লগিং সম্ভব?
অনলাইনে আয় করার জন্য শুধু যে দক্ষতা থাকতে তা নয় আপনার অবশ্যই যোগ্যতাও থাকতে হবে। অনলাইনে আয় করার জন্য আপনার খুব বেশি যোগ্যতার প্রয়োজন হবে না। আর ব্লগিং অর্থাৎ ইংরেজি লেখালেখি শুরু করার আগে প্রথমে কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে হবে। আর তাহলঃ
১। আপনার আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে আত্নবিশ্বাস খুবই জরুরি কারণ এখানে আপনাকে আপনার নিজের দক্ষতা এবং যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে আয় করতে হবে সেই ক্ষেত্রে আপনাকে নিজের উপর অবশ্যই বিশ্বাস আনতে হবে যে এই কাজের জন্য আপনিই উপযোগী কি না? কারণ বিশ্বাস ছাড়া আপনার এখানে কাজ নির্বাচন এবং তা সম্পূর্ণ করার ক্ষেত্রে দিদ্ধাগ্রস্ত হবেন। তাই আপনাকে নিজের উপর বিশ্বাস আনতে হবে। তা না হলে আপনি কোন কাজই সফলভাবে করতে পারবেন না সকল কাজ করার ক্ষেত্রেই আপনার মনে ভীতস্ততা কাজ করবে।
২। আপনাকে অবশ্যই ইংরেজিতে ভালো হতে হবে। ইংরেজি বানান এবং ব্যাকরণ সঠিকভাবে জানা থাকতে হবে, বিশেষ করে কমপ্লেক্স ও কম্পাউন্ড বাক্য ঠিকভাবে লেখার যোগ্যতা থাকতে হবে। ছোট, মাঝারি ও লম্বা বাক্য লিখতে পারার দক্ষতা থাকতে হবে। শুদ্ধ বানানের প্রতি লক্ষ রাখতে হবে। এক্ষেত্রে এমএস ওয়ার্ডের স্পেল চেকারের ব্যবহার করতে পারেন। আমেরিকান স্পেলিং শুদ্ধভাবে জানতে হবে। ছোট, মাঝারি ও লম্বা বাক্য লিখতে হবে। তাই গ্রামার সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। এক্ষেত্রে ব্রিটিশ ও আমেরিকান গ্রামার সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা ভালো।
৩। পরিশ্রম করার মানসিকতা থাকতে হবে। কারণ পরিশ্রমই ব্লগিংয়ের অন্যতম বিষয়।
৪। যে বিষয়ে আপনি ব্লগিং করবেন সে বিষয়ে আপনার সম্যক জ্ঞান থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ধারণা না থাকলে সে বিষয়ে কিছুই লিখতে পারবেন না।
৫। ব্লগ পোস্ট আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করার দক্ষতা অর্জন করতে হবে। ব্লগিংয়ে পোস্টের মধ্যে ভালোভাবে আলোচিত বিষয়কে তুলে ধরতে পারার দক্ষতা থাকতে হবে এবং আপনার স্বয়তা তুলে ধরতে হবে।
৬। এখানে পারিশ্রমিক হিসেবে বিভিন্ন এড মিডিয়া বা গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে প্রদর্শিত এড থেকে আয় মাসে ১০০ ডলার থেকে ১০০০ ডলার বা তারও বেশি হতে পারে (এটি ভিজিটরের এড ক্লিকের উপর নির্ভরশীল)। এক্ষেত্রে আয় কম হলে দমে যেতে পারবেন না।
৭। কোনো কোনো মাসে হয়তো প্রতিদিন ১০০-২০০ জন বা আরও বেশি ভিসিটর পেতে পারেন, আবার কখনো হয়তো দিনে ২০-৫০ জন ভিসিটরও পেতে পারেন। এক্ষেত্রেও দমে যেতে পারবেন না।
৮। আপনি ধৈর্যহারা হতে পারবেন না। কারণ ব্লগিংয়ে ধৈর্যধারণ ছাড়া সাফল্য আসে না। তাই আপনাকে লেগেই থাকতে হবে।
আপনি যদি মনে করেন উপরের সবগুলো শর্তই আপনার মধ্যে আছে তাহলেই কেবল আপনি অনলাইনে আয় করার জন্য সমর্থ হবেন।
writting.jpg
কতটুকু শ্রম দিতে হবে?
আপনাকে ধরে নিতে হবে আপনি এক দিনে মানসম্পন্ন কতগুলো পোস্ট করতে পারবেন। কিভাবে সুন্দরভাবে গুছিয়ে ব্লগপোস্ট লিখতে পারবেন। ক্লান্তি কতখানি সামাল দিতে পারবেন, দিনে কত ঘণ্টা ব্লগিংয়ের পিছনে ব্যয় করতে পারবেন ইত্যাদি নির্ভর করছে আপনি কতখানি ভিজিটর থেকে সাড়া পাচ্ছেন এবং নিজে কতক্ষণ করতে পারছেন তার ওপর। আর শ্রম কতটুকু দিতে হতে পারে তা আগের বর্ণনা থেকে নিশ্চয় বুঝে ফেলেছেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ভালো দক্ষতাসম্পন্ন হতে হবে। আপনি ব্লগপোস্ট লেখার ক্ষেত্রে কোনোভাবেই অন্যের লেখা কপি করতে পারবেন না। ব্লগপোস্টের স্বকীয়তার মাধ্যমে আপনাকে তা তুলে ধরতে হবে।
money.jpg
কি পরিমাণ আয় করা সম্ভব?
একজন ব্লগার এর আয় নির্ভর করে তার ব্লগিং স্টাইল ও দক্ষতার উপর। যে যত বেশি দক্ষ তার আয়ও তত বেশি। তবে সাধারণত একজন দক্ষ ব্লগার অনায়াসেই মাসে ২০/৩০ হাজার থেকে শুরু করে লক্ষাধিক টাকাও আয় করতে পারেন। তাছাড়া আরও যেসব বিষয়ের উপর আয় নির্ভর করেঃ
১। আপনার ব্লগে কি পরিমাণ ভিসিটর বা ট্রাফিক পাচ্ছেন।
২। আপনার ব্লগে প্রদর্শিত এডে ক্লিক কেমন পড়ছে (ভিসিটরের উপর নির্ভরশীল) এবং
৩। আপনি প্রতিদিন ব্লগিংয়ে কত ঘণ্টা সময় দিতে পারছেন।
তবে এ কথা মাথায় রাখতে হবে যে, সব মাসে একইভাবে আয় হবে না। কতটুকু পারবেন এবং কতখানি কাজ করলে আপনার ব্লগিংয়ের কোয়ালিটি ধরে রাখতে পারবেন, কতটুকু লাভ করবেন- সব নির্ভর করে আপনার ওপর।
blog-boss.jpg
কেমন প্রস্তুতি নিতে হবে?
APA Style, MLA, Chicago Style Proof Reading জানাটা জরুরি। APA হলো American Psychological Association এবং MLA হলো Modern Languages Association। এছাড়া ব্রিটিশ ইংরেজির জন্য অক্সফোর্ড স্টাইলের Proof Reading ও Editing জানলেও ভালো কাজ দেবে। ইংরেজি বিষয়ে অনলাইন থেকে অনেক সাহায্য পাবেন।
অনলাইন ইংরেজি শেখার কিছু লার্নিং টুলঃ
livemocha.JPG
১। লাইভমোচাঃ এটি হচ্ছে ভাষা শেখার কাজে ব্যবহৃত একটি সোশ্যাল নেটওয়ার্ক। এর সাহায্যে আপনি যেমন আপনার মাতৃভাষা শেখার কাজে কেউ একজনকে সাহায্য করতে পারেন তেমনি সেও পারে আপনি শেখার চেষ্টা করছেন এমন একটি বিদেশী ভাষা শিক্ষায় আপনাকে সাহায্য করতে। লিংকঃ http://www.livemocha.com/
verbalearn.JPG
২। ভারবালার্নঃ এই ওয়েব সাইটের সাহায্যে অনলাইন স্টাডি সেশনের মাধ্যমে আপনি আপনার ইংরেজি ভাষা দক্ষতাকে বৃদ্ধি করতে পারবেন। আপনার সঙ্গে সঙ্গে এ টুলটি নিজেও শিখতে থাকবে, সে সঙ্গে আপনার অগ্রগতি এবং দুর্বলতার একটি রেকর্ডও সংরক্ষণ করতে থাকবে। অফলাইনে নিজের স্টাডি লিস্ট পর্যালোচনা করার মাধ্যমে বিভিন্ন শব্দের মানে আরো ভালভাবে মনে রাখতে পারবেন, সে সঙ্গে এগুলোর উচ্চারণ কি হবে তাও অনলাইনে জেনে নিতে পারবেন। লিংকঃ http://www.verbalearn.com/
এছাড়াও বিভিন্ন বইয়ের লাইব্রেরিতেও এসব বিষয়ে বই পাবেন আশা করি। তবে নিয়মগুলো বেশ ভালোভাবে রপ্ত করতে হবে।
কি লিখবেন?
ব্লগিংয়ের বিষয়টা নির্ভর করে আপনার দক্ষতা, রুচি, সহযোগিতা সর্বোপরি যে সাইট বা বিষয়ের জন্য লেখা হচ্ছে সেটার চাহিদার ওপর। যে কোন বিষয়ে একটি ব্লগ তৈরি করে আয় করা যায়। ব্লগে ভিজিটর যত বেশি হবে আয়ের সম্ভাবনা তত বেশি। এজন্য শুরুতে একটি বিষয় বেছে নেয়া প্রয়োজন।
ইন্টারনেটে খোঁজ করে ব্লগের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে ধারণা পেতে পারেন। বস্তুত বিষয়ের কোন সীমাবদ্ধতা নেই। তবে বিষয়বস্তু যা-ই হোক না কেন একজন ব্লগারকে কোনো নির্দিষ্ট টপিক নিয়ে ভালভাবে ধারণা অর্জন করে তৈরি করতে হয়। উন্নত বিশ্বে একজন ব্লগারকে একজন সাংবাদিক আবার গবেষকও অভিহিত করা হয়। আপনার ব্লগিংয়ের বিষয়বস্তু উপর ভিত্তি করে ঠিক করে নিতে হয় আপনার দিক ঠিক করে নিতে হবে।
কিভাবে লিখবেন?
একটি ব্লগপোস্ট অবশ্যই প্রাঞ্জল ও গুরত্বপূর্ণ তথ্য দ্বারা সমৃদ্ধ হতে হবে। ব্লগার হিসেবে আপনাকে মনে রাখতে হবে, যারা ব্লগে আপনার ব্লগপোস্ট পড়বেন, তিনি মিনিট প্রতি বা ঘণ্টা প্রতি নির্দিষ্ট পয়সা খরচ করে পড়বেন। সুতরাং তিনি চাইবেন সবচেয়ে কম সময়ে প্রয়োজনীয় জিনিস পড়তে। তাই তথ্য নির্ভর, সংক্ষিপ্ত বিষয়ভিত্তিক লেখাই আপনাকে লিখতে হবে। এতে ব্লগার হিসেবে আপনার গ্রহণযোগ্যতা যেমন বাড়বে তেমনি উপার্জনের পথও প্রশস্ত হবে।
মনে রাখতে হবে ব্লগপোস্ট যেন যুক্তিযুক্ত হয়। ব্লগপোস্ট লেখার আগে কি লিখছেন, কেন লিখছেন তা জানতে হবে। নিজের কোনো শখ, দৈনন্দিন জীবন, ব্যক্তিগত কোনো অভিজ্ঞতা বিষয়ে লিখতে হলে ব্লগপোস্ট লেখার শুরুটা হবে একটু অন্যরকম। কারণ ভিন্নতা পাঠককে নাড়া দেয়। এ ক্ষেত্রে ঘটনার খুটিনাটি বিষয়ে না গিয়ে বরং যা ঘটেছিল ঠিক তাই বর্ণনা করুন। অতিরিক্ত শব্দ ব্যবহার না করে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং সহজ শব্দ বেছে নিন। ব্লগপোস্ট লেখা শেষে বারবার পড়ুন। ভালো ব্লগপোস্ট পড়া, ই-মেইল, চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে ব্লগারদের সঙ্গে ভাবনা চিন্তার আদান প্রদান করুন। ব্লগপোস্টের মধ্যে রহস্য রাখার চেষ্টা করুন। পাঠকরা যাতে চমক পায় সে রকম কিছু রাখুন।
helpful-tips.jpg
ভালো ব্লগার হওয়ার জন্য যেসব বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন!
প্রথমে ইন্টারনেট ব্যবহারের খুটিনাটি সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। তারপর তীক্ষ্ণ একাগ্রতার সাথে টপিকের বিষয়বস্তু ভালভাবে জানার চেষ্টা করতে হবে। নিজের সৃজনশীলতায় তথ্যকে সম্পূর্ণ করে লেখার যোগ্যতা থাকতে হবে। নিজস্ব এবং সংগৃহীত তথ্যকে সাজিয়ে পাঠকের সামনে নতুনভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করতে হবে। যাতে পাঠক নতুন কিছু লাভ করতে পারে।
ব্লগার হিসেবে আপনি একেবারে নতুন হলেও সমস্যা নেই। তবে সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা থাকলে ভালো হয়। লেখার ইচ্ছা, ভালো রচনাশৈলী ও সময়োপযোগী বিষয়বস্তু নির্বাচনের সামর্থ্য থাকলে এ পেশায় আপনি সফলতা লাভ করতে পারবেন।
কিভাবে আপনি ব্লগিংয়ের ধারণা পাবেন?
১। কোন বিষয় একাগ্রতার সাথে জানার মাধ্যমেঃ ব্লগিং করতে হলে যে জিনিসটি আপনাকে সবচেয়ে বেশি করতে হবে, সেটি হলো পড়া। যেকোনো বিষয়ে ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে পড়া হল সবচেয়ে জরুরী বিষয়। নিয়মিত সংশ্লিষ্ঠ বিষয়ে বিভিন্ন ব্লগ পড়লে বা ইন্টারনেটে ঘাটাঘাটি করলে আপনি কি নিয়ে লিখবেন সেটি সম্পর্কে অনেক ব্লগিং আইডিয়া পাবেন। আপনি যেটা পড়েছেন সেটি নিয়ে লিখবেন না। ঠিক তারই পাশাপাশি যেটি পাঠক এখনো জানেনি সেটি নিয়ে নতুন ধারণা করতে পারবেন। আপনি শুধু অন্যান্য ব্লগ পড়বেন না একটি সাধারণ বই পড়লেও ব্লগিং আইডিয়া পাওয়ার যায়।
আপনি বিভিন্ন ম্যাগাজিন, কনফারেন্স পেপার, বিশিষ্ঠজনদের বায়োগ্রাফি অথবা তাদের সাফল্যের কাহিনী পড়েও অনেক আইডিয়া পেতে পারেন। এখন সে বিষয়টি নির্দিষ্ঠ করে আপনাকে মার্কেট রিসার্চ করতে হবে এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আপনার ব্লগিং আইডিয়া পেতে অন্য ব্লগাররা কি বলছে বা লিখছে সেটি আপনাকে অনেক সহায়তা করবে। আপনার যদি ভালোমানের ব্লগার হতে চান তাহলে এ কাজটি আপনাকে করতেই হবে। ইন্টারনেট মার্কেটিং, ব্লগিং বা মানি মেকিং অনলাইন বিষয়ে প্রোব্লগার (http://www.problogger.net/) এর মতো অনেক ভালো ভালো ব্লগ আছে। এসব ব্লগের পোস্ট পড়ে আপনি অনেক আইডিয়া পাবেন।
২। অনলাইন ফোরামে অন্যের টপিক সমস্যার সমাধান দিনঃ ফোরাম হলো এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে মানুষ কি জানতে চায় বা অনুসন্ধান করছে সেটি জানার অন্যতম মাধ্যম। ফোরাম হিসেবে আপনি ইয়াহু অ্যান্সার বা উইকি অ্যান্সারসহ হাজার হাজার ফোরাম পাবেন যেখান থেকে আপনি আপনার লেখার আইডিয়া পাবেন। ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আয়ের জন্য এ বিষয়ের বিভিন্ন ব্লগ বা বিভিন্ন ফোরামে ঢুকে বিভিন্নজনের টপিক পড়ুন। আলোচনা পড়ুন। অনেক দিকনির্দেশনা পাবেন।
৩। আর্টিকেল ডিরেক্টরি নিয়মিত ভিজিট করার মাধ্যমেঃ বিভিন্ন আর্টিকেল ডিরেক্টরি থেকে আপনি কি বিষয়ে লিখতে পারেন সে বিষয়ে সম্পর্কে সম্যক ধারণা সৃষ্টি করতে পারে। আপনি আপনার ব্লগে বিভিন্ন আর্টিকেল ডিরেক্টরির একই বিষয় নিয়ে আরো গভীরভাবে ও ভালোভাবে তা প্রকাশ করে সে বিষয়ে সবাইকে জানাতে পারেন।
৫। গুগল অ্যাডওয়ার্ড টুল ব্যবহারের মাধ্যমেঃ লোকজন সার্চ ইঞ্জিনে কি অনুসন্ধান করছে সে শব্দ বা বাক্য দিয়ে গুগল অ্যাডওয়ার্ড (https://adwords.google.co.uk/select/KeywordToolExternal) টুলের মাধ্যমে ঐ সম্পর্কিত ভালো আইডিয়া পাওয়া যায়। সে হিসেবে লোকজন কি বিষয়ে অনুসন্ধান করছে তার উপর ভিত্তি করে আপনি বেশ কিছু ব্লগিং আইডিয়া পাবেন। তাছাড়া এটি একটি এসইও টুলও। তাই আপনি এর মাধ্যমে আপনি আপনার ব্লগপোস্টে গুরুত্বপূর্ণ কিওয়ার্ড যুক্ত করতে পারবেন।
৬। সাম্প্রতিক বিষয় সম্পর্কে ধারণা রাখার মাধ্যমেঃ নতুন নতুন ব্লগিং আইডিয়া ও ব্লগ কনটেন্ট পাওয়ার জন্য সাম্প্রতিক বিষয় একটি গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎস। আপনি যদি কোনো সংবাদ ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারেন তবে যারা সাম্প্রতিক সংবাদ খোঁজেন তাদের মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন থেকে ভালো ট্রাফিক পাবেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আপডেটেড নিউজ পেতে আপনি গুগলে নিউজ অ্যালার্ট তৈরি করতে পারেন। ফলে আপনি সহজেই আপডেটেড নিউজের খবর পাবেন। তাছাড়া আপনি যদি এমন কোনো বিষয়ে ব্লগিং করেন যেটি দ্রুত পরিবর্তন হয়, যেমন- রাজনীতি বা প্রযুক্তি, সেসকল ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ব্লগিং আইডিয়া পেতে সর্বশেষ সংবাদের খোঁজ রাখতেই হবে।
৭। পাঠকের সাথে সম্পর্ক তৈরি করার মাধ্যমেঃ ব্লগের ক্ষেত্রে এটি একটি প্রয়োজনীয় বিষয়। আপনি আপনার পোস্টে পাঠকের কাছে তাদের মতামত চেয়ে প্রশ্ন করতে পারেন। এর ফলে আপনি কিছু অ্যাক্টিভ মন্তব্যকারী পাবেন। এছাড়া তারা কি চায় সে সম্পর্কেও অনেক মন্তব্য পাবেন। একই কাজটি আপনি সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুকে বা টুইটারেও করতে পারেন। তাদের বিষয় থেকে নতুন নতুন ব্লগিং আইডিয়া পাবেন।
৮। নিয়মিত গুগল অ্যানালাইটিক্স চেক করার মাধ্যমেঃ ভিসিটর কিভাবে আপনার ব্লগে আসছে সে সম্পর্কে গুগল অ্যানালাইটিক্স (http://www.google.com/analytics/) ধারণা দেয়। সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে কি পরিমাণ ভিজিটর আসছে সেটি জানার মাধ্যমে আপনি তাদেরকে কতোটা সন্তুষ্ট করতে পারছেন বা আপনার কিওয়ার্ডটি কতোটুকু যুক্তিযুক্ত হয়েছে সেটি সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাবেন। আর এই টার্গেটেড কিওয়ার্ডের মাধ্যমে আপনি আপনার ব্লগকে উন্নত করে আরো ভালো ট্রাফিক লাভ করবেন।
google-adsense-logo.gif
গুগল এডসেন্স থেকে হাজার ডলার আয় করুন!
গুগল এডসেন্স (http://www.google.com/adsense) ব্যবহৃত হয় এমন সাইটে Ads By Google কথাটি লেখা থাকে। এখন আপনি যদি Ads By Google লেখা ওয়েবসাইটের কোন বিজ্ঞাপনে ক্লিক করেন তাহলে উক্ত ওয়েবসাইটের মালিক গুগলের কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ রেভিনিউ পাবে। ইন্টারনেটে যত ওয়েবসাইট আছে তার অধিকাংশ ওয়েবসাইটই এই গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় করে থাকে।
গুগলের অনলাইন বেজড অ্যাডভার্টাইজিং প্রোগ্রাম-এর নাম হল অ্যাডসেন্স। গুগল নিজে ধনী হবার পাশাপাশি তার হাজারো ভক্তদের অর্থ উপার্জনের সুযোগ দিয়েছে। বিশ্বের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইনে তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। এই বিজ্ঞাপনগুলো প্রচার করে থাকে গুগল অ্যাডসেন্স-এর মত অ্যাডভার্টাইজিং নেটওয়ার্ক। এসব নেটওয়ার্ক বিজ্ঞাপন প্রচারে যে পরিমাণ অর্থ পায় তা থেকে কিছু অর্থ তাদের নেটওয়ার্কের পাবলিশার বা আমাদের মত ওয়েবসাইট মালিক বা ব্লগারদের দিয়ে থাকে।
গুগল অ্যাডওয়ার্ডসের মাধ্যমে বিজ্ঞাপনদাতারা গুগলকে বিজ্ঞাপন দেয় আর সে বিজ্ঞাপনগুলো গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে ওয়েবমাষ্টার বা ব্লগাররা তাদের সাইটে প্রদর্শন করে। আর এটি অনলাইনে টাকা উপার্জনের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম।
গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় করতে যেসব বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখবেন!
১। গুগল অ্যাডসেন্স-এর পাবলিশার হবার জন্য আপনার একটি নিজস্ব ওয়েব সাইট বা ব্লগসাইট থাকতে হবে। এটি ফ্রিও হতে পারে।
২। আপনার সাইটে প্রচুর পরিমাণে তথ্যবহুল কনটেন্ট থাকতে হবে। ব্লগের বিষয়বস্তুর ধারাবাহিকতা থাকতে হবে। ব্লগের কনটেন্ট হিসেবে লিখতে পারেন যে কোনো পণ্য বা সফটঅয়্যার, মুভি ইত্যাদির রিভিউ। তবে পাইরেসি সংক্রান্ত জটিলতা এড়ানো অপরিহার্য। কারণ যে সফটঅয়্যার টাকা দিয়ে কিনতে হয় সেটি যদি আপনি অবৈধভাবে ডাউনলোড লিংক দেন তাহলে তাহবে আইন বিরোধী এবং অ্যাডসেন্স-এর নিয়ম বিরুদ্ধ।
৩। কোনো ওয়েব সাইট থেকে কনটেন্ট কপি পেস্ট করা চলবে না। আপনার ব্লগে কমপক্ষে ৩০-৪০টি পোস্ট থাকতে হবে।
৪। সাইটটিতে ভাল ভিজিটর বা ট্রাফিক থাকতে হবে।
৫। আপনার সাইটটি সার্চ ইঞ্জিনে থাকতে হবে। কারণ গুগল সার্চ ইঞ্জিন থেকে আসা ভিজিটরকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে।
৬। আপনার করা পোস্টগুলোর মধ্যে কমপক্ষে ১৫-২০ টি গুগলের সার্চ ইঞ্জিনে ইনডেক্স হতে হবে। আপনার কয়টি পেজ ইনডেক্স হয়েছে তা জানতে গুগলে sites://http://yourblogaddress দিয়ে সার্চ করে দেখতে পারেন। যদি ইনডেক্স না হয় তবে অ্যাপ্লাই না করাই ভাল। কারণ আপনার অ্যাপ্লিকেশন গ্রহণ করা নাও হতে পারে। তখন আপনার পরিশ্রমটাই বৃথা যাবে। তাই ইনডেক্স হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
গুগল অ্যাডসেন্স থেকে কিভাবে টাকা পাব?
গুগল অ্যাডসেন্স-এ রেজিস্ট্রেশন করার সময় গুগল আপনার Payee Name, Contact Address, Post Code অর্থাৎ আপনার বিস্তারিত তথ্য নিয়ে নেবে। এরপর আপনার অ্যাকাউন্টে ১০ ডলার জমা হলে আপনার প্রদেয় ঠিকানাতে ডাকযোগে পিন নম্বরের একটি চিঠি আসবে। উক্ত চিঠিতে যে পিন নম্বরটি পাবেন তা আপনার অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টে দিতে হবে।
যখন আপনার অ্যাকাউন্টে যখন ১০০ বা তার বেশি পরিমাণ ডলার জমা হবে তখন আপনার প্রদত্ত ঠিকানায় অ্যাডসেন্স থেকে একটি চেক আসবে। চেকটি পাবার পর আপনার স্থানীয় ব্যাংকে উক্ত Payee Name দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট খুলুন এবং চেকটি জমা দিন। কিছুদিন পর চেকটি লোকাল কারেন্সি অর্থাৎ বাংলাদেশী টাকায় কনভার্ট হয়ে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হবে। মনে রাখবেন Payee Name ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মালিকের নাম একই হতে হবে।
কিভাবে গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় করা যায়?
গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় করতে হলে প্রথমেই যে জিনিসটা দরকার সেটা হচ্ছে একটি তথ্যবহুল ওয়েবসাইট বা ব্লগ, যেখানে নির্দিষ্ট কোন একটা বিষয়ের উপর প্রচুর তথ্য উপাত্ত থাকবে এবং বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন যেমন গুগল, ইয়াহু, বিং থেকে ভিজিটররা এসে ওয়েবসাইট বা ব্লগে তাদের আকাংখিত তথ্য এবং সমাধান পাবে।
দ্বিতীয়ত, একটি গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টের জন্য গুগলের নিজস্ব প্রাইভেসি পলিসি এবং টার্মস অব সার্ভিসেস গুলো মেনে আবেদন করতে হয়। দুই ধাপের ভেরিফিকেশন প্রসেস সম্পন্ন হওয়ার পর গুগল অ্যাডসেন্স কর্তৃপক্ষ আবেদনকারিকে অ্যাপ্রুভাল দেয়।
আবেদন গৃহীত হওয়ার পর, অ্যাডসেন্স সাইট থেকে বিজ্ঞাপন জেনারেট করে সাইটে বসাতে হয়। অ্যাডসেন্স রোবট সাইটের কনটেন্টের উপর ভিত্তি করে কন্টেক্সচুয়াল বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে এবং ভিজিটররা উক্ত বিজ্ঞাপনে ক্লিক করা মাত্রই পাবলিশারদের অ্যাকাউন্টে প্রাপ্ত টাকাটা জমা হয়। প্রতি মাসের শেষের দিকে অ্যাডসেন্স কর্তৃপক্ষ অ্যাকাউন্টধারীর ঠিকানায় চেক ইস্যু করে।
একজন অ্যাডসেন্স পাবলিশার মাসে কত টাকা আয় করতে পারে?
আমাদের তরুণদের মধ্যে ব্লগ লিখে শত কোটি টাকা আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। গুগল অ্যাডসেন্স মূলত গুগলের একটি পণ্য। গতবছর গুগল এ পণ্য থেকে আয় করেছে ৭৭ হাজার ৬৮০ কোটি টাকারও বেশি বেশি পরিমাণ অর্থ (সূত্রঃ উইকিপিডিয়া)। তারা মধ্য সুবিধা প্রদানকারী হিসাবে ৩২ শতাংশ টাকা কেটে রাখে।
এখন ৩২ শতাংশ থেকেই গুগলের যদি আয় হয় ৭৭ হাজার কোটি টাকার বেশি, তাহলে ৬৮ শতাংশ পেয়ে অ্যাডসেন্স পাবলিশারদের আয় আরও বেশি। অন্যান্য দেশের অনেক তরুণ-তরুণীরা একমাত্র গুগল অ্যাডসেন্স থেকে মাসে ৩০ হাজার ডলারের উপরে আয় করছেন। সঠিক দিক নির্দেশনা আর নিয়মিত সাধনা করে গেলে প্রতি মাসে বাংলাদেশিরাও সমপরিমাণ বা তারচেয়ে বেশি আয় করতে পারে।
শুধুমাত্র বেসিক ইংরেজি জ্ঞান এবং নিয়মিত লিখে যাওয়ার ধৈর্য্যই গুগল অ্যাডসেন্সে সাফল্য পাওয়ার মূলমন্ত্র। বাংলাদেশী তরুন এবং বেকার যুবকরা তাদের অলস সময়ের কিছুটা সময় এর পিছনে ব্যয় করলে তাদের জীবনধারাই পাল্টে যেতে পারে। টাকা উপার্জনের এই ফ্রি এবং বৈধ প্লাটফর্মটিকে সঠিকভাবে কাজে লাগান গেলে বাংলাদেশ এই সেক্টর থেকেই প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারে।
বাংলাদেশে এখন এমন গুগল অ্যাডসেন্স পাবলিশার রয়েছেন যারা ব্লগ লিখে আয় করছেন ৩ থেকে ৫ হাজার ডলার পর্যন্ত। বাংলাদেশে গুগল অ্যাডসেন্সে খুব ভালো করছে এরকম মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। অনেকেই প্রফেশনাল ব্লগিং এর দিকে নজর দিচ্ছে এবং উত্তরোত্তর নিজের দক্ষতা উন্নয়ন করে অ্যাডসেন্স থেকে বেশ ভালো অংকের টাকা আয় করছে।
বর্তমানে প্রায় ৩৫ টি দেশের ভাষায় অ্যাডসেন্স চালু রয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, বাংলা ভাষায় এখনো অ্যাডসেন্স পাওয়া যায় না। অ্যাডসেন্স যদি বাংলা ভাষা সাপোর্ট করে; তবে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের বাংলা ব্লগাররা প্রচুর আয় করার স্বপ্ন দেখতে পারে।
গুগল অ্যাডসেন্সের চেক কিভাবে দেশে আনবেন?
গুগল অ্যাডসেন্সের চেক সাধারনত দুটি উপায়ে বাংলাদেশে আনা যায়। ডাক বিভাগের সাধারণ সার্ভিসের মাধ্যমে অথবা ডিএইচএল কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে। সাধারণ ডাক সার্ভিসের মাধ্যমে ঠিকানামতো পৌছাতে একটি চেক ১৫ থেকে ২০ দিনের মতো সময় নেয়। তবে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে মাত্র ৪ দিনের মধ্যেই চেক আনা সম্ভব।
may-adsense-earnings.jpeg
গুগল অ্যাডসেন্সের চেক কোথায় ক্যাশ করাবেন?
বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় অনেক সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংক গুগল অ্যাডসেন্সের চেক ক্যাশ করে থাকে। সরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে জনতা ব্যাংক এবং সোনালী ব্যাংক অন্যতম। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে এক্সিম ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, এইচএসবিসি এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংক গুগলের চেক ক্যাশ করে থাকে। একটি চেক ক্রেডিট হতে লোকাল ব্যাংকগুলোতে সাধারণত ২০ থেকে ৪৫ দিনের মতো সময় লাগে।
গুগল অ্যাডসেন্সে সাফল্য পেতে কতদিন লাগতে পারে?
গুগল অ্যাডসেন্সে সাফল্য পুরোপুরি নির্ভর করে ওয়েবসাইট বা ব্লগের কনটেন্ট এবং সাইটে আসা ট্রাফিকের উপর। কেউ যদি ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করার ঠিক ২ মাসের মধ্যেই প্রচুর পরিমাণ ট্রাফিক তথা ভিজিটর সাইটে আনতে পারে, তবে ঠিক ২ মাস পর থেকেই আয় করা সম্ভব। হতাশ না হয়ে নিয়মিত ভালো মানের ব্লগপোস্ট লিখে যেতে পারলে গুগল অ্যাডসেন্স থেকে সাফল্য আসতে বাধ্য। যদি লেগে থাকার মতো ধৈর্য থাকে এবং নিয়মিত নতুন নতুন ব্লগপোস্ট লেখা যায় তবে কেউ অ্যাডসেন্স নিয়ে কাজ শুরু করার ঠিক ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যেই সাফল্য পেতে পারে।
গুগল অ্যাডসেন্সে সাফল্য পেতে হলে যেসব বিষয় মাথায় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে!
১। পাঠক যাতে আপনার ব্লগ পড়ে স্বাচ্ছন্দ্য পায় এবং তার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সহজেই জানতে পারে সেজন্য পয়েন্ট অথবা তালিকা আকারে ব্লগ লিখুন।
২। একজন ব্লগারের লেখা পড়তেই পাঠকরা তার ওয়েবসাইটে আসেন। আর ওয়েবসাইটে গুছিয়ে এবং সাবলীলভাবে লেখার প্রতিই সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দেওয়া জরুরি। কারণ আপনি যত সুন্দরভাবে গুছিয়ে লিখতে পারবেন সাফল্যও তত দ্রুত আপনার দরজায় উঁকি দেবে।
৩। ব্লগে প্রতিটি আর্টিকেল পাবলিশ করার সময় রিলেটেড ছবি ব্যবহার করবেন। আর্টিকেলে যদি যথোপযুক্ত ছবি থাকে তা বিজ্ঞাপনে ক্লিক বেশি পড়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। তবে কখনোই বিজ্ঞাপন আর্টিকেলের ছবির পাশাপাশি বা একসাথে ঘেষে বসানো যাবে না। ছবি থাকলে আর্টিকেল পড়তে মানুষজন আগ্রহী হয় এবং বেশি সময় ধরে সাইটে অবস্থান করে। এটি সত্য যে, একজন ভিজিটর যদি বেশকিছু সময় ধরে সাইটে অবস্থান করে তবে তার মধ্যে আরো তথ্য জানার একটা আগ্রহ তৈরি হয় এবং তখনই কেবল সে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে।
৪। প্রথমেই খুব বেশি টাকা পাওয়া যায় এমন কিওয়ার্ড টার্গেট করে ব্লগ বানাবেন না। প্রথমে কম দামি কিওয়ার্ড টার্গেট করুন এবং সাইটে ভিজিটর আসতে শুরু করলে তারপর বেশি টাকা পাওয়া যায় এমন কিওয়ার্ড টার্গেট করুন।
৫। নিয়মিত ভালো মানের ব্লগপোস্ট প্রকাশ করুন। তবে কখনোই লেখা অন্য সাইট থেকে কপি করে প্রকাশ করা যাবে না। লেখার মান ভালো হলে সার্চ ইঞ্জিন থেকে প্রচুর ভিজিটর পাওয়া যায়। যেহেতু মোট ক্লিকের উপর টাকার পরিমাণ নির্ভর করে সেহেতু যত বেশি সম্ভব ট্রাফিক আনা যায় আয় বেশি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
৬। কখনই কপিরাইটকৃত ছবি ব্যবহার করবেন না। কারণ কপিরাইটেড ছবি ব্যবহার করলে গুগল যেকোন সময় অ্যাকাউন্ট ব্যান করে দিতে পারে।
৭। অপ্রাসঙ্গিক কোন ছবি, রং এবং অযাচিত উইজেট ব্যবহার করবেন না। এগুলো পাঠককে বিভ্রান্ত করে এবং সাইটের বাউন্স রেট বাড়িয়ে দেয়। একই সঙ্গে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করার সম্ভাবনাও কমিয়ে দেয়।
৮। মোটামুটি সার্চ হয় এরকম কিওয়ার্ড টার্গেট করে ব্লগ তৈরি করুন। গুগলের এক্সটারনাল কিওয়ার্ড টুল ব্যবহার করে, কিওয়ার্ড রিসার্চ এবং কম্পিটিটিভ এনালাইজ করে সঠিক কিওয়ার্ডগুলো নির্বাচন করুন এবং তার উপর ভিত্তি করে ব্লগপোস্ট তৈরি করুন। মনে রাখবেন, যত বেশি ইউনিক ব্লগপোস্ট পাবলিশ করা যায় আয়ের সম্ভাবনা ততই বেশি।
৯। একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে ব্লগিং করুন। বিভিন্ন টপিক নিয়ে ব্লগিং করলে সঠিক অ্যাড পাওয়া যায় না। ফলে বিজ্ঞাপনে ক্লিক পড়ার হার কমে যায়। সবচেয়ে ভাল হয় যদি গতানুগতিক টপিক সিলেক্ট না করে মার্কেট রিসার্চ করে এমন একটা টপিকে ব্লগিং করা যেটা নিয়ে সচরাচর মানুষ ব্লগিং খুব কম করে। এতে করে প্রতিযোগীতা কম হয় এবং খুব সহজেই সার্চ ইঞ্জিন থেকে ভিজিটর পাওয়া যায় এবং বিজ্ঞাপনের কস্ট পার ক্লিকও (প্রতি ক্লিকের মূল্য) বেশি পাওয়া যায়।
১০। নিয়মিত সাইটের ট্রাফিক, CTR (ক্লিক পড়ার হার) এবং পেজ ইম্প্রেশন মনিটর করুন। ইনভ্যালিড অথবা অস্বাভাবিক পরিমাণ ক্লিক পড়লে সাথে সাথে সেটা গুগলের কাছে রিপোর্ট করুন। এতে করে অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট ব্যান হওয়া থেকে রক্ষা পাবেন।
১১। কখনো সার্চ ইঞ্জিনকে টার্গেট করে অযাচিত কিওয়ার্ড দিয়ে ব্লগ বানাবেন না। কারণ সার্চ ইঞ্জিনগুলো শুধুমাত্র আপনাকে পাঠক এনে দিতে পারবে কিন্তু পাঠক যদি সাইটে বেশি সময় অবস্থান না করে তবে কখনো বিজ্ঞাপনেও ক্লিক করবে না।
গুগলের অ্যাডসেন্স বিষয়ে কিছু ভ্রান্ত ধারণার অপনোদন!
১। গুগলের অ্যাডসেন্স পাবলিশারদের অ্যাকাউন্ট বাতিল হয়ে যাওয়াঃ বাংলাদেশি কোন পাবলিশারের ওয়েবসাইটে একটু বেশি Click Through Ratio (CTO) অর্থ্যাৎ ক্লিকের হার বেশি হলেই অ্যাকাউন্ট বাতিল হয়ে যায়। এ কারণেই অনেক ব্লগার মাঝপথে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
২। অনেকগুলি সাইটে অনেকগুলি এ্যাডসেন্স ব্যবহার করলে আয় বেশিঃ এ্যাডসেন্সে লাভ দেখে অনেকেই একাধিক এ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট ব্যবহারে আগ্রহী হন। এটি করে আপনি প্রথম দিকে করে আয় করতে পারবেন কিন্তু পরে সব হারাতে হবে। কারণ গুগলের ট্র্যাক করার ক্ষমতা অন্যান্য সাইট থেকে সবচেয়ে বেশি তাই গুগল কোন একসময় সেটা ঠিকই ধরে ফেলবে এবং সবগুলি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেবে।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) সফটওয়্যার ব্যবহার করলে দ্রুত আয় বাড়েঃ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের জন্য সফটওয়্যার ব্যবহার করলে অবশ্যই সাইটের পরিচিতি বাড়ে কিন্তু এ্যাডসেন্সকে টার্গেট করে যদি সেটা করেন তাহলে গুগল সেটা পছন্দ করে না। গুগল এমন সাইটে লাভজনক এ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপন দেয় সেখানে ভিজিটর নিজে আগ্রহী হয়ে যায়। ফলে কোন সাইটে প্রতি ক্লিকে পাওয়া যায় কয়েক সেন্ট, কোন সাইটে কয়েক ডলার।
আপনারা যেহেতু অনলাইনে আয় করতে চান অবশ্যই এই সকল ধারণাকে এড়িয়ে চলবেন কারণ এই সকল ভুল ধারণাগুলো আপনার অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করবে। তাই যথাসম্ভব এই সকল উদ্দেশ্য এবং পথ এড়িয়ে আপনার জন্য শ্রেয়। কারণ অনলাইনে আয় অনেকই এ করতে পারে কিন্তু আয় করে সফল সকলে হতে পারে না। মনে রাখবেন, অ্যাডসেন্স থেকে টাকা উপার্জনের জন্য অনেক সময়ের প্রয়োজন।
reference-links.gif
ব্লগিংয়ের টপ টেন ওয়েবসাইট!
ব্লগিং বিষয়ে আরও ভাল ধারণা পাওয়ার জন্য নিচের দশটি ব্লগ সাইট দেখতে পারেন।
১। বিজনেস ইন সাইডার। লিংকঃ http://www.businessinsider.com/
২। শাউট মি লাউড। লিংকঃ http://www.shoutmeloud.com/
৩। হাফিংটন পোস্ট। লিংকঃ http://www.huffingtonpost.com/
৪। ম্যাশেবল। লিংকঃ http://www.mashable.com/
৫। প্রোব্লগার। লিংকঃ http://www.problogger.net/
৬। মেন উইথ পেনস। লিংকঃ http://www.menwithpens.ca/
৭। কপি ব্লগার। লিংকঃ http://www.copyblogger.com/
৮। ক্রিস ব্রগান। লিংকঃ http://www.chrisbrogan.com/
৯। স্মার্ট প্যাসিভ ইনকাম। লিংকঃ http://www.smartpassiveincome.com/
১০। দ্যা সিম্পল ডলার। লিংকঃ http://www.thesimpledollar.c

ব্লগিংয়ের মাধ্যমে হাজার ডলার আয়ের উপায় এবং সর্বাধিক আয়কৃত কিছু ব্লগের গল্প

ব্লগিং অনলাইন আয়ের ক্ষেত্রে একটি নির্ভরযোগ্য উপায়। ব্লগিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে অর্থ উপার্জন করা যায়। এটা আমরা সবাই কমবেশি জানি। কিন্তু একটি ব্লগ থেকে মাসে $100,000 আয় করা যায় এরকমটি হয়ত আমাদের জানা নেই। শুনতে একটু অবিশ্বাস্য লাগলেও ব্যাপারটি কিন্তু সত্যি। অনলাইনে এমন কিছু ব্লগ রয়েছে যাদের মাসিক ইনকাম উপরোল্লেখিত অর্থের সমান বা সামান্য কম বেশি। আজ আমরা আলোচনা করব এমন কিছু সফল ব্লগের সম্পর্কে যেগুলি অন্যান্য ব্লগারদের ব্লগিংয়ে সফলতার ব্যাপারে ক্রমাগত অনুপ্রেরণা যুগিয়ে যাচ্ছে। তো বন্ধুগণ চলুন দেখে নেওয়া যাক এমন কিছু ব্লগ যেগুলি মাসে আয় করছে মিলিয়ন ডলার।

Rank Website Owner Monthly Earnings Main Income
1 The Huffington Post Arianna Huffington $2,330,000 Pay Per Click
2 www.mashable.com Pete Cashmore $560,000 Advertising Banners
3 Perez Hilton Mario Lavandeira $450,000 Advertising Banners
4 Techcrunch Michael Arrington $400,000 Advertising Banners
5 Smashing Magazine Vitaly Friedman $190,000 Advertising Banners
6 Timothy Sykes Timothy Sykes $150,000 Affiliate Sales
7 Gothamist Jake Dobkin $110,000 Pay Per Click
8 Tuts Plus Collis Taeed $110,000 Membership Area
9 Car Advice Alborz Fallah $70,000 Advertising Banners
10 Venture Beat Matt Marshall $62,000 Pay Per Click
11 Slash Gear Ewdison Then $60,000 Pay Per Click
12 Life Hacker Nick Denton $60,000 Advertising Banners
13 Dooce Heather B. Armstrong $50,000 Pay Per Click
14 Steve Pavlina Steve Pavlina $45,000 Pay Per Click
15 Talking Point Memo Joshua Micah Marshall $45,000 Advertising Banners
16 Problogger Darren Rowse $40,000 Advertising Banners
17 Kotaku Nick Denton $32,000 Advertising Banners
18 Shoemoney Jeremy Schoemaker $30,000 Private Advertising
19 Coolest Gadgets Allan Carlton $30,000 Advertising Banners
20 JohnChow John Chow $29,000 Affiliate Sales
21 SmartPassiveIncome Pat Flynn $21,500 Affiliate Commissions
22 Joystiq AOL $18,000 CPM Advertising
23 PC Mech David Risley $16,000 Affiliate Sales
24 Freelance Switch Collis Ta’eed $15,000 Membership Area
25 Abduzeedo Fabio Sasso $12,000 Advertising Banners
26 Sizlopedia Saad Hamid $11,000 Pay Per Click
27 Overhead in New York Michael Malice $9,000 Advertising Banners
28 Six Revisions Jacob Gube $9,000 Advertising Banners
29 Noupe Noupe $8,000 Advertising Banners
30 Retire at 21 Michael Dunlop $5,000 Affiliate Sales


আপনি ব্লগ তৈরী করতে যত দেরি করবেন, অর্থ উপার্জনের সুযোগ ততটাই হারাবেন

ব্লগিং এখন অনলাইন আয়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য একটি মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। ব্লগিংয়ে সফলতার মূল চাবিকাঠি অবশ্যই ধৈর্য এবং সহনশীলতা। আজকে যার সফল ব্লগার তারাও ব্লগিংয়ের প্রথম দিকে চরম ধৈর্যশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। সুতরাং ‍ব্লগিংয়ে সফল হওয়ার জন্য ধৈর্য এবং নিষ্ঠা সহকারে কাজ করে যেতে হবে।
আপনি যদি আপনার ব্লগে কার্যকরী পোস্ট দিতে পারেন তাহলে ভিজিটর  আপনার ব্লগের প্রতি আকৃষ্ট হবে। এবং প্রতিনিয়ত আপনার ব্লগের ভিজিটর সংখ্যা বাড়তেই থাকবে। আর যখন উপার্জন বাড়তে থাকবে তখন ব্লগিংকেই আপনি মূল পেশা হিসাবে নিতে পারবেন আনায়াসেই। সুতরাং আর দেরী কেন আপনি যদি ব্লগিংকে পেশা হিসাবে নিতে চান তাহলে তৈরী করে ফেলুন একটি ব্লগ সাইট এবং শুরু করুন ব্লগিং।

কিভাবে ব্লগিংয়ের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যায়

ব্লগিংয়ের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের জন্য রয়েছে নানা উপায়। কোন ব্লগার বিভিন্ন ধরনের কীওয়ার্ড নিস [niche] ব্যবহার করে। কেউবা high paying keyword ব্যবহার করে। আর এভাবেই তাদের ব্লগে আনতে থাকে হাজার হাজার ভিজিটর আর বাড়তে থাকে উপার্জন। তো চলুন জেনে নেওয়া কোন কোন পদ্ধতি অবলম্বন করে ব্লগারগণ আয় করছে হাজার হাজার ডলার।

ব্যানার এডভার্টাইজিং

এটি ব্লগারদের নিকট সবচেয়ে জনপ্রিয় এডভার্টাইজিং পদ্ধতি। ব্লগারগণ এটি বেশি পছন্দ করেন কারণ এটি নিশ্চিত আয়ের একটি পথ। অন্য কিছু যেমন, এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে প্রোডাক্টের উপর ভিত্তি করে আয়ের পরিমাণ উঠানামা করতে থাকে।

CPM এডভার্টাইজিং

যে ব্লগে প্রচুর পরিমাণ ভিজিটর রয়েছে সে ব্লগে এ পদ্ধতি খুবই জনপ্রিয়। কারণ এক্ষেত্রে এডভার্টাইজার শুধুমাত্র Impression হলেই পেমেন্ট করবে। এখানে কোন ক্লিকের ব্যাপারও নেই আবার প্রোডাক্ট বিক্রির ব্যপারও নেই। সুতরাং ব্লগে ভিজিটর মানেই ইনকাম।

এফিলিয়েট মার্কেটিং

এফিলিয়েট মার্কেটিংও ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আয়ের একটি কার্যকরী উপায়। সেলস কমিশন নির্ভর করবে আপনার প্রোডাক্ট নিস-এর উপর। ভাল প্রোডাক্ট প্রোমোট করতে পারলে আপনার আয়ের পরিমাণও ভাল হতে থাকবে।

পে পার ক্লিক

পে পার ক্লিক ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আয়ের জন্য সবচেয়ে প্রচলিত এবং জনপ্রিয় পদ্ধতি। আর এক্ষেত্রে আয়ের জন্য পরম নির্ভরতার নাম গুগল এডসেন্স। যদি সঠিকভাবে ব্লগিং করা যায় তাহলে গুগল এডসেন্স-ই আপনাকে পৌছে দিতে পারে সাফল্যের শিখরে।
Tag : ,

The Won Blog Of EARN FOR TEICKS. The Blog Created by Bijoy Kumar Biswas. Designed by বিজয়*বিজন*বিজু