Popular Post

zwani.com myspace graphic comments

অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করে দুই হাজার ডলার পর্যন্ত দেশে আনা যাবে

অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে সার্ভিস প্রোভাইডারসের (ওপিজিএসপি) মাধ্যমে সেবা রফতানির অর্থ সংগ্রহের শর্ত কিছুটা শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের ফ্রিল্যান্সাররা যাতে সহজে তাদের উপার্জিত অর্থ সংগ্রহ করতে পারে এজন্যই নতুন এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। গেটওয়ের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের পরিধি বাড়িয়ে প্রতিবারে ৫০০ ডলার থেকে সর্বোচ্চ দুই হাজার মার্কিন ডলার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আগে থেকে কোন ঘোষণার (পূর্বানুমতি) প্রয়োজন হবে না। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী সকল অনুমোদিত ডিলারদের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো সার্কুলারে বলা হয়েছে, সেবা রফতানির মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ (ইনওয়ার্ড রেমিট্যান্স) ওপিজিএসপির মাধ্যমে সংগ্রহ করতে সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। প্রতি লেনদেনে দুই হাজার ডলার পর্যন্ত সংগ্রহ করা যাবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত সি ফর্মে ঘোষণা করার প্রয়োজন হবে না। তবে মাস শেষে ডিলার ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকে যে রিপোর্ট পাঠায় তাতে ওই অর্থের কথা উল্লেখ করতে হবে।
জানা গেছে, ওপিজিএসপি সেবা দেয়ার জন্য গত বছর আগস্টে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি, ডাটা প্রসেসিং, বিজনেস প্রসেসিং, বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং, অফশোর তথ্যপ্রযুক্তি প্রভৃতি কাজের মাধ্যমে সেবা রফতানি হচ্ছে। এসব সেবা থেকে অর্জিত অর্থ এর আগে ব্যাংক ব্যবস্থায় আনতে হতো। এতে বিদেশের অনেক প্রতিষ্ঠান অর্থ পরিশোধে বিব্রত বোধ করত। কেননা বেশিরভাগ দেশে এ ধরনের সেবার বিপরীতে অর্থ অনলাইনে পরিশোধ করা হয়। বর্তমানে ওপিজিএসপিতে অর্থ পেতে আন্তর্জাতিক অনলাইন পেমেন্ট কোম্পানি অ্যালার্টপে অনুমোদন পেয়েছে। গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে যার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পরে ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এ সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
এই সিদ্ধান্ত দেশে অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে পেপ্যাল এর কাজ শুরুর পথকেও প্রশস্ত করবে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
Tag : ,

একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে odesk-e গত তিন মাসে আমার অবস্থান

ওডেক্সে আমার যাত্রা শুরু গত তিন মাস আগে।খু্বই চিন্তায় ছিলাম কিভাবে ওডেস্কে সহজে আগানো ও কাজ পাওয়া যাবে তা নিয়ে। আমার মাথায় ছিল কোন ক্যাটাগরিতে কাজ করলে সহজে কাজ পাওয়া যাবে। এজন্য আমি SEO,Blogging, Web Development & Design, Writing ইত্যাদির উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করি।
ওডেস্কে কাজ পাওয়ার জন্য প্রথমে চিন্তা করে বের করি কোন দক্ষতা নিয়ে কাজের আবেদন করলে সহজে কাজ পাওয়া যাবে। SEO শিখার সময় আমি yahoo-answers এর উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে ছিলাম। ওডেক্সে সার্চ করে দেখলাম yahoo-answers এর উপর কাজ খুবই কম। তাই আমি ওডেক্সে yahoo-answers কে প্রথম কাজ পাওয়ার কৌশল হিসাবে বেছে নিলাম। যথারীতি আবেদন করলাম এবং কাজও পেলাম। এই মুর্হূতে ওডেক্সে Find contractors এ yahoo-answers দিয়ে সার্চ দিলে আমার পজিশন 2 (দুই) নাম্বারে। আমার জন্য সুখবর হলো এই যে, আমার এখন yahoo-answers এ কাজের জন্য বিড করতে হয় না। বিড করা ছাড়াই ওডেস্ক এবং ওডেস্ক মার্কেটপ্লেস এর বাহিরে প্রতি মাসে 5/7টি কাজ পায় নিয়মিত।
ওডেস্ক এ আমার yahoo-answers সার্চ প্রোপাইলঃ https://www.odesk.com/o/profiles/browse/min/0/max/45/hrs/0/?q=yahoo-answers
আমার ওডেক্স প্রোপাইলঃ https://www.odesk.com/users/Writing-Wordpress-Joomla-Drupal-PHPBB-Ecomme...
Tag : ,

seo নিয়ে কাজ করছেন ফ্রিল্যান্সার মাহবুব আলম

মাহবুব আলম। তিনি বাংলা ভাষায় প্রযুক্তিবিষয়ক ব্লগ সাইট টেকটিউনস-এর মডারেটরদের একজন। অনলাইনে সোর্ডফিশ নামেই তার বেশি পরিচিতি। টেকটিউনসে লেখালেখি করতে গিয়ে তার অনলাইনের প্রতি আগ্রহ জন্ম হয়। এরপর তার ফ্রিল্যান্সিং জগতে আত্মপ্রকাশ। সাধারণত তিনি এসইও (SEO) নিয়ে কাজ করেন। অল্প সময়েই তিনি একটি ভালো অবস্থানে চলে আসেন। তিনি ফ্রিল্যান্সিং এর সফলতার গল্প বলেছেন প্রিয়.কমের সাথে। মাহবুব আলম সম্পর্কে আরো জানতে তার ফেসবুকে যোগদান করতে পারেন।

প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিংয়ে কিভাবে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন?
মাহবুব আলম: টেকটিউনসে নিয়মিতভাবে লেখালেখি করার সময় অনেকের কথা জানতে পেয়েছি যারা ফ্রিল্যান্সিং-এর মাধ্যমে ভালো একটি অবস্থান করে নিয়েছে অনলাইনে। মূলত টেকটিউনস থেকেই ফ্রিল্যান্সিং এর প্রতি আগ্রহ বাড়ে। এর পর হাটি হাটি পা পা করে আজকের এই ফ্রিল্যান্সিং ভূবনে পর্দাপণ করা।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিংয়ে আসার জন্য সবচেয়ে বেশি উৎসাহ পেয়েছিলেন কোথা থেকে?
মাহবুব আলম: টেকটিউনস লেখালেখি করার সময় এসইও-র প্রতি আগ্রহ জাগে। এছাড়া তেমন কারো কাছ থেকে সহযোগিতা পাইনি।
প্রিয় টেক: কবে থেকে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেছিলেন? সাধারণত কি কাজ করেন?
মাহবুব আলম: আমার ফ্রিল্যান্সিং-এর বয়স খুবই কম। মাত্র ৭/৮ মাসের। সাধারণভাবে এসইও কাজ করেছি প্রথম থেকেই।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং-এ এখন পর্যন্ত আপনার অর্জন কতটুকু?
মাহবুব আলম: মাত্র ৭/৮ মাসের ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে পরিপূর্ণভাবে কাজ করতে পেরেছি অনলাইনে। সফলভাবে কাজ শেষ করা এটি সত্যিই পাওয়া একজন ফ্রিল্যান্সারের জন্য।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয় করা প্রথম টাকা কিভাবে পেয়েছিলেন?
মাহবুব আলম: অনলাইনে পেমেন্ট আনার বিষয়গুলো জানা ছিল আগে থেকেই। তাই মানিবুকারের মাধ্যমে প্রথম পেমেন্ট এনেছিলাম। পরে এসব ডলার অনলাইনে সেল করে দিয়ে টাকা পাই।

প্রিয় টেক: প্রথম টাকা পেতে কি কোনো বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন?
মাহবুব আলম: না, তেমন কোনো সমস্যা হয়নি।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং এ প্রথম কোন কাজ করেছেন এবং প্রথম পেমেন্ট কত পেয়েছিলেন?
মাহবুব আলম: প্রথম কাজ পেয়েছিলাম ৩০০ ডলারের ব্যাকলিংক তৈরি করার ফিক্সড প্রাইজের।
প্রিয় টেক: প্রথম টাকা পাওয়ার অনুভুতি কেমন ছিলো এবং সে টাকা কি করেছিলেন?
মাহবুব আলম: প্রথম টাকা পাওয়ার অনুভুতি অনেক আনন্দের। সেটা বাবা-মা-ভাইকে দিয়েছিলাম। যদিও অনলাইনে বিভিন্ন ভাবে আয় করেছি তবে এটি ছিল অন্যরকম পাওয়া।
প্রিয় টেক: বাংলাদেশ থেকে ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কাজ করার সম্ভাবনা কেমন?
মাহবুব আলম: বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আমরা কাজ না জেনেই কাজ করতে যাই। পিটিসি সাইটের প্রতি যেভাবে সকলের আগ্রহ ছিল, কেননা এখানে ক্লিক করলেই টাকা। অথচ এখানে সে ৭/৮ হাজার টাকা খরচ করে অ্যাকাউন্ট বানাচ্ছে। আয় খুবই কম। অপরদিকে ফ্রিল্যান্সিং-এর জন্য কোন একটি কাজ শিখে কাজ করার প্রতি আগ্রহ নেই বললেই চলে। অথচ কাজ জানে এমন ফ্রিল্যান্সারদের কাজের চাপে কোন কিছু ভাবার সময় থাকে না।
প্রিয় টেক: বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তির মন্দ দিক কোন গুলো ?
মাহবুব আলম: আমরা বসে বসে ফেসবুকে অযথা সময় ব্যয় করি। কিন্তু এখানেও যে আয় করার মত বিষয় রয়েছে অনেকেই তা জানেনা। বিনোদনের জন্যই অনলাইন ব্যবহার করি। এখান থেকে ভালোদিকগুলো গ্রহণ করি খুবই কম মানুষ।
প্রিয় টেক: আপনার কাছে দেশের তথ্য প্রযুক্তির ভালো দিকগুলো কি কি?
মাহবুব আলম: ঘরে বসেই এখন মাসে লাখ টাকা না হোক অন্তত চলার মত আয় করছে অনেকে। সরকার চাইলে আরো সুযোগ-সুবিধা দিয়ে এই ক্ষেত্রে উন্নতি করতে পারে।
প্রিয় টেক: প্রথম প্রথম ইন্টারনেট কি কাজে ব্যবহার করতেন আর এখন ইন্টারনেটে কি নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকেন?
মাহবুব আলম: প্রথমে ইন্টারনেটে ইয়াহু মেইল খুলেছিলাম সাইবার ক্যাফে বসে। গেমসই খেলা হত বেশি। এখন অনলাইনে কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন তথ্য খুঁজে খুঁজে নতুন বিষয় জানার চেষ্টা করি।
প্রিয় টেক: তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির জন্য সরকারের কি কি করা উচিত ?
মাহবুব আলম: সর্বনিম্ম দামে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা প্রদান এবং বিভিন্ন প্রশিক্ষণকেন্দ্র চালু করা যেখানে কাজের প্রশিক্ষণ নিয়ে সবাই কাজ করতে পারে অনলাইনে।
প্রিয় টেক: ইন্টারনেটেই যেহেতু আয় তো বাংলাদেশের ইন্টারনেট সার্ভিস নিয়ে কি আপনি সন্তুষ্ট?
মাহবুব আলম: চড়া দামে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হলেও সার্ভিস মোটেও ভালো নয়। অথচ পাশের দেশ ভারতে ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার কারণে ওরা সবদিক দিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের যোগ্যতা থাকার পরও আমরা ইন্টারনেটের জন্য পিছিয়ে রয়েছি।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং এর কাজগুলো সাধারণত কোন সময় করেন?
মাহবুব আলম: রাতের বেলাই করা হয় বেশি।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য সবচেয়ে কোন প্রতিবন্ধকতায় বেশি পড়েছেন?
মাহবুব আলম: সবচেয়ে বেশি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে ইন্টারনেট সমস্যা। তারপরে অনেকেই ভালো চোখে দেখেন না যে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং এ এগিয়ে যাই। নানাভাবে বিরক্ত করেছে কাজ থেকে বিরত রাখার জন্য।
প্রিয় টেক: স্বাধীনভাবে নাকি দলগত ভাবে কাজ করছেন?
মাহবুব আলম: প্রায় ৬ মাস একটি টিমে কাজ করার পর এখন স্বাধীনভাবেই কাজ করা শুরু করেছি।
প্রিয় টেক: বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের সবচেয়ে বড় সমস্যা কোনটি বলে মনে করেন?
মাহবুব আলম: বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের সবচেয়ে বড় সমস্যা নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব রয়েছে। নিজেরা মিলে মিশে কাজ করলে আমরা আরো এগিয়ে যেতে পারি।
প্রিয় টেক: ভবিষ্যতে কি ফ্রিল্যান্সিংকেই ক্যারিয়ার হিসাবে নিতে চান নাকি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাজ করতে চান?
মাহবুব আলম: ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে ক্যারিয়ার গড়ার ইচ্ছে রয়েছে। পাশাপাশি "অনলাইন ইস্কুল" নামে একটি অনলাইন ভিত্তিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। যেখানে অনলাইনে কাজ শেখানোর ব্যবস্থা রয়েছে। ফেসবুকের মাধ্যমে এখানে এসইও ব্লগিং এফিলিয়েশন এর মত বিষয়গুলো শিখার সুযোগ রয়েছে। যদিও আমাদের দেশে এই ধরনের ব্যবস্থা এই প্রথম। পিডিএফ, ভিডিত্ত আকারে টিউটোরিয়াল দেওয়া হয়েছে। যেটা বাংলাদেশে নতুন মাত্রা যুক্ত করবে অনলাইনে কাজ শেখার ব্যাপারে।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কাজ করতে সরকারের কাছে কি কোনো চাওয়া আছে?
মাহবুব আলম: রাত জেগে যে ডলারগুলো দেশে নিয়ে আসছি আমরা সরকারের কাছে চাওয়া এখান থেকে কোন প্রকারের ফি যাতে যুক্ত না করা হয়। বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ভিসা কার্ড ব্যবহার সহজলভ্য করা হলে কাজের জন্য অনেক সুবিধা হত। পাশাপাশি পেপ্যাল যেন বাংলাদেশে দ্রুত আসে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবী জানাচ্ছি।
প্রিয় টেক: বায়াররা বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের কেমন মূল্যায়ন করে বলে মনে করেন?
মাহবুব আলম: বায়াররা মূলত ভালো কাজ দেখাতে পারলে যে কাউকে ভালো দৃষ্টিতে দেখে। কিন্তু আমরা অনেকেই না জেনে না বুঝে কাজ করতে গিয়ে মার্কেটপ্লেসগুলো নষ্ট করে ফেলছি। যা মোটেও শুভ নয় বাংলাদেশীদের জন্য।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং এ ভালো পারফরমেন্স করার জন্য কি কি যোগ্যতা থাকা উচিত?
মাহবুব আলম: প্রথমেই নিজেকে ধৈর্য ধরে কাজ করা শিখতে হবে। অর্থের আশা না করে কাজ শিখে কাজ করলে অবশ্যই ভালো একটি রেজাল্ট আসবে দীর্ঘস্থায়ীভাবে। হতাশ না হয়ে মনে জোর রাখতে হবে। মানুষ ইচ্ছে করলে সবই পারে। আমিও পারবো।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং এ যারা নতুন তাদের জন্য কি পরামর্শ দিবেন?
মাহবুব আলম: ফ্রিল্যান্সিং এ যারা নতুন এসেছেন কিংবা আসার চিন্তা করছেন তারা অবশ্যই একটি বিষয় মনে রাখবেন, অনলাইন ভুবন একদিনের জন্য নয়। এলাম আর চলে গেলাম। এখানে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্ররিশ্রম করতে হবে। সামান্য ভুলের জন্য আপনার ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই যাই করবেন না কেন মন দিয়ে করবেন। সফলতাই আসবেই।
Tag : ,

ফ্রিল্যান্সারদের অনলাইন পেমেন্ট সহায়তা করেন ইকরাম

মোঃ ইকরাম। একাধারে তিনি ওয়েব ডেভেলপার, গ্রাফিক্স ডিজাইনার, ব্লগার, এসইও, আউটসোর্সিং এবং ইন্টারনেট মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ। ১৯৯৯ সালে এস.এস.সি পরীক্ষা শেষ করে তিনি আতাউর রহমান সোহেল নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রথম মাইক্রোসফট অফিস শেখেন। এরপর হার্ডওয়্যার নিয়ে কাজ করে এ সম্পর্কে তার অনেক ধারণা হয়ে যায়। দুই বছর পর ২০০১ সালে এলিফ্যান্ট রোডে একটি কম্পিউটার বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করেন। হার্ডওয়্যার নিয়ে তার প্রচণ্ড আগ্রহের কারণে এখানে দুই বছর থেকে আরো বেশি এক্সপার্ট হয়ে যান। এরপর তিনি অনেক প্রতিষ্ঠানেই হার্ডওয়্যার সাপোর্ট দিতে থাকেন।
Ekram-10.jpg
তিনি দেশের একটি বড় সাংবাদিক ট্রেনিং ইন্সটিটিউট বিজেম এ ৫ বছর ধরে আইটি এডভাইজার হিসেবে হার্ড।ওয়্যার ও নেটওয়ার্কিং সাপোর্টসহ সব ধরনের আইটি সাপোর্ট দিচ্ছেন। এছাড়া তার প্রিয় বন্ধু ইফতেখারের সহযোগিতায় কাঁটাবনে ওয়েব ডিজাইন কোম্পানী প্রতিষ্ঠা করেন যেখানে তিনি কোম্পানীর অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, মার্কেটিং, হার্ডওয়্যার, নেটওয়ার্কিং, গ্রাফিক্স ডিপার্টমেন্টের দেখাশোনা করতেন। আট মাসে তাদের অবস্থান প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি হলেও সামান্য ভুল বুঝাবুঝির কারণে সে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হয়। সে সময় তার পার্টনার তাকে চ্যালেঞ্জ দেয় আর সেই চ্যালেঞ্জ থেকেই তিনি আইটিতে নিজেকে দক্ষ হিসেবে তৈরির পরিকল্পনা করেন। প্রথম প্রথম বিভিন্ন সিডি কিনে এবং বই পড়ে প্রথম দক্ষ হন ফ্লাশ এনিমেশনের ওপর। বাচ্চাদের জন্য একটা এনিমেটেড সিডিও তৈরি করেন তিনি। এরপরের পরিকল্পনা ছিল ওয়েবডিজাইন শিখার। সেটাও গুগল থেকে সাহায্য নিয়ে শিখে ফেলেন। তিনি ওয়েব ডিজাইন শিখে প্রথম কাজটাই পেয়েছিলেন একটি বড় কোম্পানীর। কোম্পানীর নাম গিভেন্সী গ্রুপ। তিনি বলেন, আমার প্রথম ওয়েবডিজাইন মাত্র ১ মাস নিজে নিজে শেখার পরেই করি। এই কাজের পর থেকেই আবার সবার সামনে নিজেকে অন্য পরিচয়ে নিয়ে আসি। শুরু হয় নতুন জীবনের পদচরনা এবং এখনও চলছে। তিনি গতানুগতিক ধারার বাইরে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে থাকেন। বাংলাদেশে যারা অনলাইনে আয় করা ডলার ক্যাশ করতে সমস্যায় পরেন তাদের জন্য তিনি পেপ্যালসহ অন্য ইন্টারন্যাশনাল কার্ড সাপোর্ট দিয়ে থাকেন । তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম পেবিডিটি। ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে তার অভিজ্ঞতার গল্প বলেছেন প্রিয়.কমের সাথে। ইকরাম সম্পর্কে আরো জানতে তার ফেসবুক, ব্যক্তিগত সাইট এ যোগদান করতে পারেন।
Ekram-11.JPG
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে প্রথম ধারণা পেলেন কিভাবে?
মোঃ ইকরাম: আমি যখন প্রথম ওয়েবসাইট বানাই তখন থেকেই বাইরের কাজ কিভাবে যোগাড় করা যায়, সেটা নিয়ে ভাবছিলাম। মূলত তখন থেকেই ফ্রিল্যান্সিং কাজের ধারনা পেতে শুরু করি।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিংয়ে কিভাবে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন?
মোঃ ইকরাম: আমি যখন দেশের বাইরের কাজ যোগাড় করার চিন্তা করি, তখন মাথাতে আসে প্রথম ই-কমার্স ব্যবসা করার। এই পরিকল্পনা থেকে আমি আমার এক অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী বন্ধুর মাধ্যমে সে দেশে ব্যবসা করার লাইন্সেস নেই। একটা ই-কমার্স সাইট বানাই আমার অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী সেই বন্ধুর সাহায্য নিয়ে। তখন এই ব্যবসার জন্য পেপ্যাল, মাস্টারকার্ড, ভিসা কার্ড এর ব্যবস্থা করি। ৫ টা অষ্ট্রেলিয়ান ওয়্যার হাউজের সাথে চুক্তিও শেষ করি। কিন্তু যে ধরনের সেটআপ দরকার সেটার ব্যবস্থা করতে পারছিলাম না। তখন আপাতত সেটার পরিকল্পনা বন্ধ রাখলাম। আবার অন্যদিকে আমার কাছে বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল কার্ড আছে জানার পর অনেকে তাদের বিভিন্ন সার্ভিসের জন্য আমার সাহায্য নেয়া শুরু করল। তখন অনেকের অনুরোধ রাখতে গিয়ে শুরু করি অনলাইন পেমেন্ট সাপোর্ট ব্যবসা। এই প্রজেক্টের নাম দেই পেবিডিটি। সেটা করার পর আমি অনেক কিছু শিখতে পারি। ফ্রিল্যান্সিং জগতের অনেক অলিগলি সম্পর্কে জানতে পারি। কারন যারা অনলাইনে উপার্জন করে তাদের অনেকে ডলার আনার জন্য পেবিডিটি'র সার্ভিস নিয়ে থাকে। এই সার্ভিস দিতে গিয়ে দেখি, অনেকে অনেক জায়গা থেকে ইনকাম করে। অনেক অজানা পদ্ধতিগুলো জানতে পারি। মূলত এই ব্যবসা করতে গিয়েই ফ্রিল্যান্সিংয়ের ব্যাপারে ভাল ভাবে উদ্ধুদ্ধ হই।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিংয়ে আসার জন্য সবচেয়ে বেশি উৎসাহ পেয়েছিলেন কোথা থেকে?
মোঃ ইকরাম: paybdt ব্যবসা করার কারনে অনেকে আমার কাছ থেকে ইনকামের ব্যাপারগুলো নিয়ে সাহায্য চাইত। আমি নিজে কাজ শুরুর আগেই মানুষকে এই ব্যপারে সহযোগিতা শুরু করি। পরে কখন যে নিজেও এই জগতের সাথে যুক্ত হয়ে যাই তা টেরই পাইনি!
প্রিয় টেক: কবে থেকে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেছিলেন? সাধারণত কি কাজ করেন?
মোঃ ইকরাম: ২০০৯ থেকে আমি এই জগতে পা রাখি। এফিলিয়েশন কাজ বেশি করি।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং এ আপনার প্রিয় সাইট কোনগুলো?
মোঃ ইকরাম: http://www.freelancer.com , http://www.flippa.com, http://fiverr.com
প্রিয় টেক: অন্য সাইট গুলো থেকে আপনার সব থেকে প্রিয়ই সাইটের তফাৎ কি?
মোঃ ইকরাম: যেকোন গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা freelancer.com এর বিভিন্ন প্রতিযোগীতাতে অংশগ্রহন করে ডলার আয় করতে পারে যেটা অন্য অনেক উপায়ের তুলনায় অনেক সহজ পদ্ধতি। fiverr.com আপনাকে বায়ার খুজতে হয়না, বায়ার আপনাকে খুঁজে বের করবে। এই সাইটের কাজগুলো মাত্র ৫ ডলার হওয়ার কারনে অনেকেই এখানে কাজ করতে আগ্রহ পায় না। কিন্তু তাদের জন্য বলি, আমার একজন ক্লায়েন্ট এই সাইট থেকে একমাসে ২৪০০ ডলার ইনকাম করে সেটা আমার মাধ্যমে পেমেন্ট গ্রহন করেছে।
Ekram-09.jpg
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি?
মোঃ ইকরাম: আমাদের দেশে অনলাইনে যারা উপার্জন করে তারা সবাই এক জায়গাতেই দৌড়ায়। যখন ডাটা এন্ট্রির হাওয়া ছিল তখন সবাই মিলে এই কাজটাই করেছে। যখন লাইভ স্ট্রিমিংয়ের এফিলিয়েশন শুরু হল সবাই এই জায়গাতে ঝাপিয়ে পড়ল। এখন চলছে ওডেস্কের হাওয়া, সবাই এখন এখানে সাতার কাটছে। কিন্তু অনলাইন ইনকাম মানে শুধু মাত্র ওডেস্ক, এফিলিয়েশন না। আরও অনেক উপায় আছে, যেগুলা আমরা জানিনা। সেগুলা মানুষকে জানানোর জন্য আমার একটা বই ছাপানোর পরিকল্পনা আছে। সেটা বর্তমানে প্রতি মঙ্গলবার দৈনিক আমার দেশ পত্রিকাতে "অনলাইনে ইনকামের ১০০ উপায়" শিরোনামে ছাপা হচ্ছে। এখানে আমি অনলাইনে ইনকামের সত্যিকারের ১০০ টা উপায় নিয়ে ধারাবাহিকভাবে লিখছি। ভবিষ্যতে বই আকারে প্রকাশ করার ইচ্ছা আছে, যদি আল্লাহ সেই সুযোগ দিয়ে থাকেন।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং এ এখন পর্যন্ত আপনার অর্জন কতটুকু?
মোঃ ইকরাম: অর্জনের ব্যপারে বলতে গেলে বলতে পারি, আমি অনেকগুলো উপায়ে উপার্জন করেছি যেগুলো আমাদের দেশের খুব কম মানুষ জানে। এই অর্জনটুকুই আমি বড়ভাবে দেখছি।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয় করা প্রথম টাকা কিভাবে পেয়েছিলেন?
মোঃ ইকরাম: আমার নিজের পেপ্যাল কার্ডের মাধ্যমে।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং এ প্রথম কোন কাজ করেছেন এবং প্রথম পেমেন্ট কত পেয়েছিলেন?
মোঃ ইকরাম: fiverr.com এ ফ্লাশ ব্যনার বানানোর কাজ দিয়ে আমার শুরু। ওখানে তো আসলে মাত্র ৫ ডলার পেমেন্ট করে থাকে।
প্রিয় টেক: বাংলাদেশ থেকে ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কাজ করার সম্ভাবনা কেমন?
মোঃ ইকরাম: বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং অনেক ভাল অবদান রাখার সম্ভাবনা আছে। আমাদের মত দরিদ্র দেশগুলোতে শ্রমের মূল্য কম দেখে বায়াররা এসব কাজ করিয়ে নিতে আগ্রহবোধ করে। এদেশে বর্তমানে মানুষদের মধ্যে প্রচুর আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে এই ব্যপারে। অনেকে কাজ করার জন্য এগিয়ে আসছে আবার অনেকে ব্যক্তিগতভাবে কিংবা সংগঠিতভাবে অন্যকে দক্ষ করে তৈরির জন্য এগিয়ে এসেছে। এটা অনেক ভাল লক্ষণ। ইতিমধ্যে বায়ারদের কাছে বাংলাদেশের ব্যাপারে ভাল ধারনা তৈরি হয়েছে।
প্রিয় টেক: বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তির মন্দ দিক কোন গুলো ?
মোঃ ইকরাম: আমাদের দেশে বিদ্যুৎ সমস্যা এবং ইন্টারনেট সমস্যাটা সবচেয়ে বেশি। এই দিকগুলোতে সমস্যা দূর করা গেলে ঢাকার বাইরের জেলাগুলো থেকে আরো অনেক লোক প্রস্তুত হবে এই কাজ করার জন্য।
প্রিয় টেক: আপনার কাছে দেশের তথ্য প্রযুক্তির ভালো দিকগুলো কি কি?
মোঃ ইকরাম: আমাদের দেশে তথ্যপ্রযুক্তির যাত্রা খুব বেশিদিনের নয়। তারপর অনেক মানুষের চেষ্টাতে আমরা খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি।
অনেক ব্লগ এবং ফেসবুক আপনি দেখে থাকবেন অনেক সফল ব্যক্তি তাদের অনেক ব্যস্ততার মধ্যেও যেকোন ধরনের সাহায্য কেউ চাইলে সহযোগিতা করে। বিভিন্ন ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমেও তারা অনেক দক্ষ লোক তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যেখানে এদেশের সব জায়গাতে এখন কলুষিত হয়ে গেছে, সেখানে আইটি জগতের এই রকম সৎ পরিবেশ আমাকে বড় স্বপ্ন দেখায়। এটা আমাদের তথ্য প্রযুক্তির অনেক ভাল দিক।
প্রিয় টেক: প্রথম প্রথম ইন্টারনেট কি কাজে ব্যবহার করতেন আর এখন ইন্টারনেটে কি নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকেন?
মোঃ ইকরাম: প্রথম কম্পিউটার ব্যবহার শুরু করি ১৯৯৯ সালে আর প্রথম ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু করি ২০০০ সালে। প্রথম দিকে শুধুমাত্র গান, ওয়ালপেপার সংগ্রহের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করতাম। এখন ইন্টারনেটে খুব বেশি দেশি বিদেশি ব্লগের লেখা পড়ে, বিভিন্ন পত্রিকার কলাম পড়ে সময় কাটে। নিজেও বিভিন্ন ব্লগে রেগুলার লেখি। ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে অনেকের প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়।
প্রিয় টেক: তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির জন্য সরকারের কি কি করা উচিত ?
মোঃ ইকরাম: এই মুহুর্তে ২টা দাবি সরকারের কাছে। বিদ্যুৎ সমস্যা দূর করতে হবে, ইন্টারনেট সেবা দেশের সবজায়গাতে সহজলভ্য করতে হবে।
প্রিয় টেক: ইন্টারনেটেই যেহেতু আয় তো বাংলাদেশের ইন্টারনেট সার্ভিস নিয়ে কি আপনি সন্তুষ্ট?
মোঃ ইকরাম: বাংলাদেশের ইন্টারনেট সার্ভিস আগে থেকে অনেকগুন উন্নত হয়েছে। তবে অনেক ভাল করতে হবে। আমার কাছে মনে হয় সরকারের এই জায়গাতে নিয়ন্ত্রন অনেক কম। যে যার মত ব্যবসা করে যাচ্ছে। সরকারকে এখনই জোরালো কোন পদক্ষেপ নেয়া জরুরী।
Ekram-01.JPG
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং এর কাজগুলো সাধারণত কোন সময় করেন?
মোঃ ইকরাম: রাতের সময়টা ছাড়া এই কাজ করার মত সময় এখন পাইনা।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য সবচেয়ে কোন প্রতিবন্ধকতায় বেশি পড়েছেন?
মোঃ ইকরাম: দক্ষলোকের অভাবের কারনে অনেক কিছু করার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও এখনও অনেক কিছুই করতে পারছি না।
প্রিয় টেক: স্বাধীনভাবে নাকি দলগত ভাবে কাজ করছেন?
মোঃ ইকরাম: দলগতভাবে।
প্রিয় টেক: বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের সবচেয়ে বড় সমস্যা কোনটি বলে মনে করেন?
মোঃ ইকরাম: আমাদের জাতিগতভাবে ধৈর্য্য অনেক কম। সেই সমস্যা থাকার কারনে অল্পদিনেই অনেক কিছু চাই। যেটা ফিল্যান্সিংয়ের অনেক জায়গাতে এখনও আমাদের ভাল অবস্থান থাকলেও ভবিষ্যতে সেটা হয়ত খারাপের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
প্রিয় টেক: ভবিষ্যতে কি ফ্রিল্যান্সিংকেই ক্যারিয়ার হিসাবে নিতে চান নাকি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাজ করতে চান?
মোঃ ইকরাম: অবশ্যই প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাজ করার স্বপ্ন দেখি।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কাজ করতে সরকারের কাছে কি কোনো চাওয়া আছে?
মোঃ ইকরাম: ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আগ্রহ তৈরির জন্য সরকারকে উদ্যোগ নেয়া উচিত। পেপ্যাল সার্ভিস শুনেছি জানুয়ারিতে চালু হবে। সেটা যেন আর না পিছায় যায় সেই দিকে সরকারকে খেয়াল রাখা উচিত।
প্রিয় টেক: বায়াররা বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের কেমন মূল্যায়ন করে বলে মনে করেন?
মোঃ ইকরাম: বাংলাদেশের অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং জগতে অনেক স্বীকৃতি পেয়েছে। এ জন্য আমাদের দিকে বায়ারদের আগ্রহ ও আস্থা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং এ ভালো পারফরমেন্স করার জন্য কি কি যোগ্যতা থাকা উচিত?
মোঃ ইকরাম: সবার আগে বলব ইংরেজী জানতে হবে। বায়ারদের সাথে কমিউনিকেশনের জন্য এটা জরুরী। ধৈর্য্য বাড়াতে হবে। কম্পিউটারের যেকোন একটি বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। সাধারনত এসইও, গ্রাফিক্স এবং ওয়েব ডিজাইন জানা লোকদের ফ্রিল্যান্সিং এ ভাল চাহিদা করতে পারে।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং এ যারা নতুন তাদের জন্য কি পরামর্শ দিবেন?
মোঃ ইকরাম: আগে কিছু শিখার জন্য সময় ব্যয় করতে হবে। এখন যেকোন কিছুর জন্য অনেক ভাল ভাল প্রতিষ্ঠান আছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্লগগুলো থেকেও অনেক কিছু শিখা যায়। তাছাড়া ইউটিউব তো আছেই। আগেই টাকার জন্য কাজ না করে, দক্ষ হওয়ার জন্য কাজ করুন। যখন আপনি দক্ষ হবেন তখন টাকা আপনার পিছনে ছুটবে
Tag : ,

আউটসোর্সিং-এ সফল ব্যক্তিত্ব সাঈদ ইসলাম

 সাঈদ ইসলাম। বাংলাদেশে আউটসোর্সিং-এ সামনের সারি থেকে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি তাদের একজন। পেশায় একজন তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। দেশে ও দেশের বাইরে প্রযুক্তির নানা ক্ষেত্রে তার পদচারণা রয়েছে। দক্ষতা অর্জন করেছেন সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার, ওপেন সোর্স, লিনাক্স, ভিওআইপি এবং টেলিফোন বিলিং সিস্টেমের ওপর। পড়াশোনা করেছেন কানাডা থেকে। সফলতার সাথে বিগমাসটেক কমিউনিকেশনস লি: নামের একটি প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন। বাংলাদেশ থেকে আউটসোর্সিং-এ আয় করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন প্রিয়.কমের সাথে। সাঈদ ইসলাম সম্পর্কে আরও জানতে তার ফেসবুক পেজ অথবা লিঙ্কড ইনে যোগ দিতে পারেন।
সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
সাঈদ ইসলাম প্রিয়.কমের সাথে আলাপ কালে প্রযুক্তি নিয়ে তার ছোট থেকে বেড়ে ওঠা এবং অনেক পাওয়া না পাওয়ার গল্প বলেছেন। তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকে কারিগরী বিষয়ক যেকোন ব্যাপারেই আমার কৌতূহল ছিল। কানাডায় ছাত্রাবস্থায় ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত একটি কম্পিউটার কেনার সামর্থ্য আমার কখনও ছিল না। বিধায় কম্পিউটার আছে এমন কাউকে পেলে তার সাথে বন্ধুত্ব জুড়ে দিতাম আর সে সুবাদে তার কম্পিউটারটি ব্যবহারের সুযোগ হত।
২০০১ সালে পার্ট টাইম হেল্প ডেস্ক/টেকনিক্যাল সাপোর্ট হিসেবে আমার কম্পিউটার পেশার যাত্রা শুরু। তখন উইন্ডোজ সিস্টেম নিয়েই কাজ করতাম আর পাশাপাশি ঘরে ছোট আকারে ল্যাব বানিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে রিসার্চ করে সেগুলো প্র্যাকটিস করতাম। বিশেষ করে টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম। চাকরিরই পাশাপাশি শুরু করি টরেন্টোর ছোট-খাট লিনাক্স ও অ্যাপেল সিস্টেম নির্ভর প্রতিষ্ঠান গুলোকে সাপোর্ট দেয়া। এভাবে আমি লিনাক্স, ভিওআইপি এবং টেলিফোন বিলিং সিস্টেম এ বেশ পারদর্শী হতে থাকি। হঠাৎ করে একদিন স্বল্প ব্যয়ে টেলিফোন সার্ভিস দেয় এমন এক মাঝারি সাইজ এর প্রতিষ্ঠান জি-৩ টেলিকম-এ চাকরির প্রস্তাব পাই। চাকরিতে যোগদানের পর ওখান থেকে আমি টিডিএম সুইচ, সিসকো নেটওয়ার্কিং ও অ্যাডভান্স বিলিং শেখার সুযোগ পাই যা আইটি জগতে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এরপর ২০০৫ থেকে ২০০৯ এর শুরুর দিক পর্যন্ত আমি ওখানকার বড় বড় দুটি প্রতিষ্ঠানে সিনিয়র লিনাক্স সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেটর পদে চাকরি করি এবং শিখি অ্যাডভান্স সিস্টেম টেকনোলজি। যা বিশেষ করে সরকারি, ব্যাংক, টেলিফোন অপারেটর এবং গ্রুপ অফ কোম্পানির মতো প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যবহার হয়। এর পাশাপাশি চুক্তি ভিত্তিক কাজ করতে থাকি ২০০৬ পর্যন্ত।
২০০৯ সালের মার্চ মাস। উত্তর আমেরিকার ১০ দশ বছরের তথ্য প্রযুক্তির অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে বাংলাদেশ উন্নয়নের অংশীদার হবো এই পরিকল্পনা নিয়ে আমার সর্বশেষ কর্মস্থল কানাডার একটি অনলাইন গেমিং প্রতিষ্ঠান এ। যারা শিশু কিশোরদের জন্য গেইমস তৈরি করে, তাদের থেকে ছয় মাস মেয়াদী বাংলাদেশ থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা যাবে এমন একটি চুক্তি ভিত্তিক আইটি কনসালটেন্সি কাজ নিই আর সেটাকে পুঁজি করে দেশে ফিরে আসি। বাংলাদেশ থেকে টানা দেড় বছর প্রতিষ্ঠানটিকে আইটি সেবা প্রদান শেষে আমাকে প্রস্তাব করা হলো কানাডা ফিরে গিয়ে তাদের অফিস থেকে কাজ করতে। আমি সেই প্রস্তাবে রাজি না হয়ে দেশেই থেকে যাবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিই।
এর মাঝে হটাৎ করে গুগল থেকে ইমেইল পাই সিনিয়র সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং পদে চাকরির জন্য। উত্তেজনাময় অবস্থায় প্রস্তুতিহীন ভাবেই দুই ধাপ টেলিফোন ইন্টারভিউ দেই। তৃতীয় ধাপে এসে কর্মস্থল হিসেবে আমাকে জিজ্ঞেস করা হলে আমি পার্শ্ববর্তী দেশে ভারতকে বেছে নিই। কারণ ভারত বাংলাদেশের সব চেয়ে নিকটবর্তী দেশ যা বাংলাদেশ থেকে যাওয়া আসার জন্য সহজ। দুর্ভাগ্য বশত আমাকে জানানো হয় যে তাঁদের সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং টিম শুধু মাত্র যুক্তরাষ্ট্র ও সুইজারল্যান্ডের জন্য প্রযোজ্য। চাকরিটা হলে আরও বিশেষ কাজ শেখা আমার জন্য হতো সুবর্ণ সুযোগ।
প্রিয় টেক: আউটসোর্সিং-এ কিভাবে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন এবং কার উৎসাহে উৎসাহিত হয়েছিলেন?
সাঈদ ইসলাম: ২০০৬ সাল থেকেই আমি কানাডা থেকে ফেরত এসে বাংলাদেশে স্থায়ী ভাবে বসবাস করার জন্য চেষ্টা করতে থাকি। অবশেষে ২০০৯ সালের মার্চ মাসে স্থায়ী ভাবে দেশে ফেরার পর ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আমার এক ছোট ভাই রাকিব এর মাধ্যমে ওডেস্ক সম্পর্কে জানতে পাই। তার যথেষ্ট উৎসাহে আমি ওডেস্ক এর সাথে পুরোপুরি সম্পৃক্ত হয়ে যাবার চেষ্টা চালানো শুরু করে দেই। আমার অভিজ্ঞতা অথবা দক্ষতা অনুযায়ী পছন্দ মত কাজ যেমন অ্যাডভান্স সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং/এডমিনিস্ট্রেশন/আর্কিটেকচার ও ক্লাউড কম্পিউটিং এর কাজ ওডেস্ক ক্যাটাগরির তালিকায় খুবই কম। এর হার ৫ শতাংশ বলা যেতে পারে। সংখ্যার হার কম থাকলেও হাল না ছেড়ে টানা এক মাস চেষ্টার পর ২য় মাসে মোটামুটি একটি মনের মতো কাজ পেয়ে যাই আর সেখান থেকে আমার ওডেস্ক বা আউটসোর্সিং জীবন শুরু।
প্রিয় টেক: আউটসোর্সিং-এ সাধারণত কি কাজ করেন?
সাঈদ ইসলাম: আমি একজন সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার, আর্কিটেক্ট এবং ওপেন সোর্স প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। আমার অভিজ্ঞতা অথবা দক্ষতা অনুযায়ী পছন্দ মত কাজ যেমন অ্যাডভান্স সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং/এডমিনিস্ট্রেশন/আর্কিটেকচার ও ক্লাউড কম্পিউটিং বিষয়ক কাজ করে থাকি। এছাড়াও ওপেন সোর্স প্রযুক্তি ভিত্তিক যেকোনো কাজসহ সিস্টেম ডিজাইন, ডেপলয়মেন্ট, ইন্টিগ্রেশন, ম্যানেজমেন্ট, ট্রাবলশুটিং ও অটোমেশন আমার কাজের অন্তর্ভুক্ত।
প্রিয় টেক: আউটসোর্সিং ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে প্রথম ধারণা পেলেন কিভাবে?
সাঈদ ইসলাম: ২০০৫ এর শেষের দিকে আমি এই ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পাই। এবং এর ভিত্তিতে বাংলাদেশ থেকে সার্ভিসসহ সফটওয়্যার তৈরি করিয়ে উত্তর আমেরিকার বাজারে রপ্তানি করার লক্ষে ২০০৬ সালে ঢাকার মহাখালী এলাকায় বিগমাসটেক কমিউনিকেশনস লিঃ নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালু করি। যা তখন আমি কানাডা থেকে নিয়ন্ত্রণ করতাম। এরপর ২০১০ সালে যখন থেকে ওডেস্ক মার্কেটপ্লেইস কাজ সংগ্রহ করা শুরু করি তখন থেকে এই আউটসোর্সিং ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা পাই।
প্রিয় টেক: এই ইন্ডাস্ট্রিতে এখন পর্যন্ত আপনার অর্জন কতটুকু?
সাঈদ ইসলাম: আউটসোর্সিং ইন্ডাস্ট্রিতে তথ্য প্রযুক্তি সম্পৃক্ত মূলধারার কাজের সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে খুবই কম। অর্থাৎ উন্নত বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠান গুলোর সম্পৃক্ততা এই আউটসোর্সিং মার্কেট প্লেসের সাথে তেমন দেখা যায় না। এতে করে আমার তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা উচ্চতর কাজের ক্ষেত্রে ব্যাবহার করার সুযোগ এখনও মনের মতো করে হয়নি। তবে অন্যান্যদের তুলনায় আমার অর্জন বেশ ভালো। উল্লেখ্য যে, গুগল ইতিমধ্যে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কাজ করানো শুরু করেছে তবে কি ধরণের কাজ করিয়ে যাচ্ছে তা আমার এখন পর্যন্ত জানা নেই।

প্রিয় টেক: এখান থেকে আয় করা প্রথম টাকা কিভাবে পেয়েছিলেন?
সাঈদ ইসলাম: আউটসোর্সিং ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম মার্কেট প্লেস ওডেস্ক থেকে আয় করা টাকা প্রাথমিক ভাবে তাদের অ্যাকাউন্টে জমা থাকে যা একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর উত্তোলন করা যায়। আমি প্রথম থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত ওয়্যার ট্রান্সফারের মাধ্যমে আমার এইচএসবিসি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে নিয়ে আসছি যাতে সময় লাগে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মতো। এতে করে ওয়্যার ট্রান্সফার চার্জ হিসেবে প্রতি বার আমাকে ৩০ ডলার করে দিতে হয়।
প্রিয় টেক: প্রথম টাকা পেতে কি কোনো বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন?
সাঈদ ইসলাম: যেহেতু আমি বাংলাদেশে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা আনার পদ্ধতি ও সম্ভাব্য বিড়ম্বনার ওপর যথেষ্ট খোঁজখবর করেছিলাম এবং সে অনুযায়ী প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছিলাম। সেহেতু আমাকে কোন প্রকার বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হয়নি।
প্রিয় টেক: আউটসোর্সিং ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথম কোন কাজ করেছেন এবং প্রথম পেমেন্ট কত পেয়েছিলেন?
সাঈদ ইসলাম: প্রথম কাজটি সিস্টেম ইনফ্রাষ্ট্রাকচার মাইগ্রেশন ভিত্তিক। দুই মাস নাগাদ কাজটি করার পর যে পেমেন্ট পেয়েছিলাম তা কানাডার সমমানের চাকরির বেতনের কাছাকাছি। এখানে বলে রাখা প্রয়োজন যে ভাল পেমেন্ট শুধু দক্ষতার ভিত্তিতে সম্ভব।
প্রিয় টেক: প্রথম টাকা পাওয়ার অনুভূতি কেমন ছিলো?
সাঈদ ইসলাম: আউটসোর্সিং থেকে প্রাপ্ত প্রথম পেমেন্টের টাকা আমাকে আরও উৎসাহিত করে এবং পর্যাপ্ত আত্মবিশ্বাস যোগায়।
প্রিয় টেক: বাংলাদেশ থেকে আউটসোর্সিং নিয়ে কাজ করার সম্ভাবনা কেমন?
সাঈদ ইসলাম: আউটসোর্সিং কাজের সম্ভাবনার কথা বলতে গেলে গেলে আমি বলবো এটি উজ্জ্বল সম্ভাবনাময়। একটি বিশেষ ক্ষেত্র যা অদূর ভবিষ্যতে বর্তমানের বিপুল লাভজনক গার্মেন্টস শিল্পের সাথে তুলনীয়, তবে এক্ষেত্রে সরকারসহ সবার সহায়তা ও সচেতনতা প্রয়োজন।
প্রিয় টেক: বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তির মন্দ দিক কোন গুলো?
সাঈদ ইসলাম: প্রধানত বিদ্যুৎ সহ ধীর গতির অনিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট। এছাড়া তুলনামূলক ভাবে বাংলাদেশে ইন্টারনেট সার্ভিসের মূল্য বেশি।
প্রিয় টেক: আপনার কাছে দেশের তথ্য প্রযুক্তির ভালো দিকগুলো কি কি?
সাঈদ ইসলাম: বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তির ভালো দিকগুলো বলতে না পারলেও প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে তুলনা করলে দেখা যায় যে আমরা সঠিক পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার অভাবে তাদের থেকে এখনও অনেক পিছিয়ে আছি।

প্রিয় টেক: তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির জন্য সরকারের কি কি করা উচিত?
সাঈদ ইসলাম: প্রথমত সরকারকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট নিশ্চয়তার জন্য সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে। অতঃপর বর্তমান তথ্য প্রযুক্তি সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানে ও ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলতা চিহ্নিত করে তা সংস্করণ করতে হবে। যে সকল প্রকল্প বাস্তবায়নে সঠিক পরিকল্পনা ছিল না তা সনাক্ত করে পুনর্বিবেচনা করতে হবে।
প্রিয় টেক: ইন্টারনেটেই যেহেতু আয় তো বাংলাদেশের ইন্টারনেট সার্ভিস নিয়ে কি আপনি সন্তুষ্ট?
সাঈদ ইসলাম: আমার সামর্থ্য সাধ্য অনুযায়ী ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে আমি একাধিক সংযোগ রাখি। সন্তুষ্ট হবার কাছাকাছি থাকি কিন্তু সাধারণ ব্যবহারকারীদের কথা বিবেচনা করলে এটি সন্তোষজনক নয়।
প্রিয় টেক: আউটসোর্সিং এর কাজগুলো সাধারণত কোন সময় করেন?
সাঈদ ইসলাম: বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ক্লায়েন্ট শিডিউল অথবা প্রোজেক্ট ডেডলাইন অনুসারে নিজের সময় মতো করি। তবে কিছু কিছু কাজের ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট এর অফিস টাইম এর সাথে মিলিয়ে কাজ করতে হয়। সেক্ষেত্রে আমাদের দেশের সময় অনুযায়ী দুপুর দুইটা থেকে ইউরোপিয়ান ক্লায়েন্ট এর জন্য এবং সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত দুইটা বা চারটা পর্যন্ত কাজ করে থাকি।
প্রিয় টেক: আউটসোর্সিং কাজের ক্ষেত্রে সবচেয়ে কোন প্রতিবন্ধকতায় বেশি পড়েছেন?
সাঈদ ইসলাম: অনিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট ও বিদ্যুৎ এর কারণে বেশ কিছু সময়ে ক্লায়েন্টদেরকে মানসম্পন্ন সেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছি এবং পরিশেষে বেশ কিছু ক্লায়েন্ট হারিয়েছি।
প্রিয় টেক: আউটসোর্সিং এর কাজ কি একাই করেন নাকি দলগত করেন?
সাঈদ ইসলাম: আমি সাধারণত যে ধরণের কাজ করে থাকি সেগুলোর জন্য বাংলাদেশে দক্ষ মানুষের বেশ অভাব। ছয় সদস্য বিশিষ্ট ছোট একটি টিম আছে যারা আমার প্রতিষ্ঠান বিগমাসটেকে কর্মরত। টিমের সদস্যদেরকে আমি নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছি এবং তাঁরা অসাধারণ কাজ করছে। এদের মধ্যে সুশান্ত কুমার রায়, কামরুন নাহার ও শাফরিনা এর কথা না বললেই নয়। কাজের ধরণ বিশেষে বেশির ভাগ কাজই আমার নিজেকেই করতে হয়। তারপরও আমার টিম আমাকে যথেষ্ট সহযোগিতা করে থাকে।
প্রিয় টেক: বাংলাদেশের আউটসোর্সিং সার্ভিস প্রভাইডারদের সবচেয়ে বড় সমস্যা কোনটি বলে মনে করেন?
সাঈদ ইসলাম: যারা সফলতার সাথে আউটসোর্সিং এর কাজগুলো করতে পারছে না তাদের ক্ষেত্রে বলা যেতে পারে যে তাদের এই ইন্ডাস্ট্রির উপর পূর্ণ ধারণার অভাব রয়েছে এবং সাথে ধৈর্যেরও ঘাটতি আছে ।
প্রিয় টেক: বায়াররা বাংলাদেশী আউটসোর্সিং সার্ভিস প্রভাইডারদের কেমন মূল্যায়ন করে বলে মনে করেন?
সাঈদ ইসলাম: তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক মূলধারার ও সমমানের কাজের ক্ষেত্রে বিদেশী ক্লায়েন্টরা সাধারণত বাংলাদেশীদের কাজের মানের উপর নির্ভর করতে সংকোচবোধ করে। কেননা আমাদের দেশের বেশির ভাগ পেশাজীবীদের ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট ষ্ট্যাণ্ডার্ড অনুযায়ীয় কাজের গুনাগুণ মাণ নিশ্চিত করার জ্ঞান কম।
প্রিয় টেক: আউটসোর্সিং সার্ভিসে ভালো পারফরমেন্স করার জন্য কি কি যোগ্যতা থাকা উচিত?
সাঈদ ইসলাম: দক্ষতা নিশ্চিত করে ক্লায়েন্টের কাঙ্ক্ষিত মানসম্পন্ন কাজের সেবা দিতে হবে। ক্লায়েন্ট সন্তুষ্টি নিশ্চিত করে তার থেকে কিভাবে ভাল রেটিং ও ফিডব্যাক পাওয়া যায় এর দিকে নজর দিতে হবে। যা পরবর্তীতে কাজ পেতে বিশেষ ভাবে সহায়তা করবে।
প্রিয় টেক: আউটসোর্সিং সার্ভিসে যারা নতুন তাদের জন্য কি পরামর্শ দিবেন?
সাঈদ ইসলাম: কাজ জানা না থাকলে আগে কাজ শিখতে হবে এবং দক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে। তারপর আউটসোর্সিং উপর পর্যাপ্ত রিসার্চ যা এই ক্ষেত্রটির উপর পূর্ণ ধারণা দিবে। শুরুতে কত অর্থ উপার্জন করা যাবে তা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে প্রথম কাজটি কিভাবে পাওয়া যায় সেটির জন্য ধৈর্য সহকারে যথেষ্ট চেষ্টা করতে হবে।
Tag : ,

ছোট কাজ করে ছোট টাকা উপার্জন (অভিজ্ঞদের জন্য নয়)

আশা করি সবাই ভালো আছেন। ইন্টারনেট এ ছোট ছোট কাজ করে কিছু টাকা উপার্জনের কিছু সাইট নিয়ে হাজির হলাম আপনাদের সামনে। হয়তবা অনেকেই এই সাইট গুলোর নাম আগে থেকেই জানেন। যারা জানেন না তাদের জন্য আমার আজকের লিখা।
microworkers.com: এই সাইটটি অনেক জনপ্রিয়। কাজ করার সাত দিনের মাঝে আপনার টাকা হয়ে যাবে। একাধিক একাউন্ট করা যাবে না। নয় ডলারের বেশি হলে পেপাল, পায়জা ও মানিবুকের্স দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন।
shorttask.com: এই সাইটটি কার্যক্রম অনেক ভালো। একাধিক একাউন্ট করা যাবে না। দশ ডলারের বেশি হলে পেপাল দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন।
minuteworkers.com: এই সাইটটি ভালো সাইট হিসাবে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে। রেফারেল দিলে পাচ সেন্ট পাবেন ও আপনার রেফারার যদি একটি কাজ সফলভাবে শেষ করেন তবে দশ সেন্ট পাবেন। দুই ডলারের বেশি হলে ১০% ফী দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন। তবে দশ ডলারের বেশি হলে কোনো ফী দিতে হবে না। পেপাল ও পায়জা দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন।
microtoilers.com: এই সাইটটিতে একাউন্ট করার সাথে সাথে এক ডলার পাবেন। এই সাইট এ রেফারেল এর বেবস্থা আছে। প্রথমবার টাকা তুলতে পচিশ ডলার বেশি হতে হবে। এরপর নয় ডলারের বেশি হলে পেপাল ও পায়জা দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন। (তবে এই সাইটটিতে আমি কখনো কাজ করিনি)
jobboy.com: এই সাইটটিতে একাউন্ট করার সাথে সাথে এক ডলার পাবেন। এই সাইট এ রেফারেল এর বেবস্থা আছে। দশ ডলারের বেশি হলে পেপাল ও পায়জা দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন।
microjob.co: এই সাইটটিতে আপনি নিজের প্রোফাইল তৈরী করে আপনার কাজের বর্ণনা দিতে পারবেন পাশাপাশি ছোট ছোট কাজ করে কিছু টাকা উপার্জন করতে পারবেন। পেপাল, পায়জা ও মানিবুকের্স দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন। কিন্তু টাকা পাঠাতে ত্রিশ কর্ম দিবস সময় নিয়ে থাকে।
centworkers.com: এই সাইটটিতে আপনি রেফারেল দিলে দশ সেন্ট পাবেন ও আপনার রেফারার যদি কাজ করে একশ ডলার উপার্জন করেন তবে এক ডলার পঞ্চাশ সেন্ট পাবেন। পাচ ডলারের বেশি হলে পেপাল, পায়জা ও মানিবুকের্স দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন।
pointdollars.com: এই সাইট এ রেফারেল এর বেবস্থা আছে। প্রথমবার টাকা তুলতে পচিশ ডলার বেশি হতে হবে। এরপর নয় ডলারের বেশি হলে পেপাল ও পায়জা দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন। (তবে এই সাইটটিতে আমি কখনো কাজ করিনি)
deshiworker.com: এটি একটি বাংলাদেশী সাইট। এর মান ঠিক রাখতে এডমিনগণ যথেষ্ট চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যারা ইংলিশ একটু কম পারেন, তারা এই সাইটটিতে চেষ্টা করতে পারেন। এই সাইটটি সম্পর্কে বেশি কিছু বলছি না, কারণ সাইটটি বাংলায়। তাই কোনো কিছু বুঝতে অসুবিধা হবার কথা না।
আমার লেখাতে সব কিছু পরিষ্কার না হলে, সাইটগুলো কিভাবে কাজ করে এই নিয়ে বাংলাতে ভিডিও দেখতে পারেন।
Tag : ,

ফ্রিল্যান্সারে বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে বাংলাদেশের মো. আলী আজগর

(প্রিয় টেক) মো. আলী আজগর। অনলাইন ফ্রিল্যান্সিংয়ে হাতে খড়ি ২০০৯ সালে। লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন সায়েন্সে মাস্টার্স ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করে শুধু চাকরির আশায় না ঘুরে নিজে কিছু করার বাসনায় শুরু করেছিলেন ঘরে বসে অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে আয় করতে। শুরুতে তেমন সফলতা না পেলেও অদম্য ধৈর্য বর্তমানে তাকে সফলতার দ্বারপ্রান্তে এনে দিয়েছে। বর্তমানে তিনি শীর্ষ স্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস ফ্রিল্যান্সার.কম সাইটের ওয়েবসাইট, আইটি অ্যান্ড সফটওয়্যার ক্যাটাগরির ফেসবুক, টুইটার ও সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাব-ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে রয়েছেন। একই সঙ্গে সব ক্যাটাগরির মধ্যে তিনি প্রজেক্ট ও আয়ের পরিমাণের ওপর বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন। তিনি এ পর্যন্ত ২ হাজার ৫৩১টি প্রজেক্ট সমাপ্ত করেছেন। ফ্রিল্যান্সার ডটকম সাইটের ৫টি ক্যাটাগরি যথাক্রমে কোয়ালিটি অব ওয়ার্ক, কমিউনিকেশন, দক্ষতা, কাজের আহ্বান, পেশাগত দক্ষতার ওপর তার সফলতা শত ভাগ। তার সফলতার গল্প বলেছেন প্রিয়.কমের সাথে। ফ্রিল্যান্সার ডটকমে মো. আলী আজগরের ইউজার নেম ল্যান্সারবয়১২০৬ আর মো. আলী আজগরের সাথে যোগাযোগ করতে তার ফেসবুকে যোগদান করতে পারেন

প্রিয়.কমের অফিসে লেখকের সাথে ফ্রিল্যান্সার মো. আলী আজগর
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে প্রথম ধারণা পেলেন কিভাবে?
মো. আলী আজগর: আমি যখন ক্লাস টেনে পড়ি, তখন থেকেই কম্পিউটার নামক যন্ত্রটির প্রতি প্রচণ্ড ঝোঁক ছিল। সময় পেলেই ওটার পেছনে ব্যয় করতাম। ২০০৮ সালের কথা। নেট নিয়ে ঘাটাঘাটি করা অভ্যাসে পরিণীত হয়। টিউটোরিয়াল ডাউনলোড করে সেটা নিয়ে চর্চা করতাম। তখন ভাল টিউটোরিয়ালের কথা চিন্তাই করা যেত না। তারপরও আমি বলব, আমার টিউটর আমি নিজেই। ওই সময়েই জানতে পারি অনলাইনে আয় করা সম্ভব। কিন্তু কোনভাবেই সেটা উদ্ধার করতে পারছিলাম না। কিন্তু চেষ্টা করে গেলাম।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিংয়ে কিভাবে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন?
মো. আলী আজগর: ২০০৯ সালে সাইনআপ করলাম ফ্রিল্যান্সার.কম-এ। দীর্ঘ ১ বছর বিড করতে করতে ২০১০ সালের শেষে প্রথম বিড জয় করলাম। সত্যি সেটা ছিল এভারেস্ট জয় করার মত আনন্দের। সফলভাবে প্রজেক্ট শেষ করলাম। ক্লায়েন্টও আমার উপর যথেষ্ট খুশি। আরেকটা প্রজেক্ট দিল আমাকে। তারপর একে একে অনেক প্রজেক্ট পেতে থাকলাম। আমাকে আর পেছনে ফিরে যেতে হয়নি কখনই।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিংয়ে আসার জন্য সবচেয়ে বেশি উৎসাহ পেয়েছিলেন কোথা থেকে?
মো. আলী আজগর: আমি আসলে নিজেই আমাকে ফ্রিল্যান্সিংয়ে আসার জন্য সবচেয়ে বেশি উৎসাহ দিয়েছি। কারণ ওই সময়ে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা ছিল না। যা এখন সবার কাছে সুপরিচিত।
প্রিয় টেক: কবে থেকে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেছিলেন? সাধারণত কি কাজ করেন?
মো. আলী আজগর: মূলত বলা যায় আমার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু ২০১০ সালের শেষ দিকে। ফ্রিল্যান্সার.কম-এ আমি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ও ইন্টারনেট মার্কেটিং-এ কাজ করি। ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব ইত্যাদি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে আমি আমার ক্লায়েন্টদের ব্যবসাকে প্রসারিত করার কাজে সহায়তা করছি। ফেসবুক ও টুইটার প্রোমোশন এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং-এ আমি ফ্রিল্যান্সার.কম সাইটে বিশ্বসেরা হিসাবে নির্বাচিত হয়েছি।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং এ আপনার প্রিয় সাইট কোনগুলো?
মো. আলী আজগর: মোটামুটি ফ্রিল্যান্সিং এর বেশিরভাগ সাইটেরই আমি মেম্বার। তবে আমার একটিই মাত্র প্রিয় সাইট - ফ্রিল্যান্সার.কম।
প্রিয় টেক: অন্য সাইট গুলো থেকে আপনার সব থেকে প্রিয় সাইটের তফাৎ কি?
মো. আলী আজগর: বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং-এর অজস্র সাইট আছে। আর এখানে আজ প্রচুর বাংলাদেশি কাজ করছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে ফ্রিল্যান্সার.কম-এ কাজ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। এই সাইটের নিয়মকানুন ও কাজের পদ্ধতি আমার কাছে সহজ মনে হয়।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
মো. আলী আজগর: বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার। যদিও আমি বলব এটা মাত্র শুরু। আমাদের আরও এগুতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং উন্নয়নে আমার যে কোন ব্যক্তিগত সহায়তা ও পরামর্শ সবসময় সবার জন্য উন্মুক্ত। ভবিষ্যতে ইচ্ছে আছে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে কিছু একটা করার।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং এ এখন পর্যন্ত আপনার অর্জন কতটুকু?
মো. আলী আজগর: অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, ফ্রিল্যান্সার.কম-এ মাত্র ২ বছরে আজ আমার অবস্থান বিশ্বের ৩ নম্বরে। আর ফেসবুক ও টুইটার প্রোমোশন এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং-এ আমি ফ্রিল্যান্সার.কম সাইটে বিশ্বসেরা। এই মূহুর্ত পর্যন্ত আমার সংগ্রহ ২২৬৪ টি ফিডব্যাক (রিভিউ) এবং ১০০% রেপুটেশন। সাধারণত: ৫টি ক্যাটাগরিতে রেপুটেশন দেয়া হয়। সবগুলো ক্যাটাগরিতেই আমার ১০০% রেপুটেশন।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয় করা প্রথম টাকা কিভাবে পেয়েছিলেন?
মো. আলী আজগর: ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয় করা প্রথম টাকা ফ্রিল্যান্সিং-এর মানি ট্রান্সফার সাইট মানিবুকার্স (বর্তমান নাম স্ক্রিল) এর মাধ্যমে ১৪ দিন পরে আমার ব্যাংক একাউন্টে জমা হয়েছিল।

প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং এ প্রথম কোন কাজ করেছেন এবং প্রথম পেমেন্ট কত পেয়েছিলেন?
মো. আলী আজগর: ফ্রিল্যান্সিং এ প্রথম কাজটি ছিল ৫০০ ফেসবুক পেইজ লাইক প্রমোট করা। প্রথম পেমেন্ট পেয়েছিলাম ৩০ ডলার। এর মধ্যে ফ্রিল্যান্সার প্রজেক্ট ফি বাবদ ৫ ডলার কেটে রেখেছিল।
প্রিয় টেক: প্রথম টাকা পাওয়ার অনুভূতি কেমন ছিলো এবং সে টাকা কি করেছিলেন?
মো. আলী আজগর: ওটা ছিল এক অদ্ভুত অনুভূতি। আজও আমি সেই দিনের সেই আনন্দ উপলব্ধি করি। সে টাকা দিয়ে আমি আরও দ্রুতগতির ইন্টারনেট নিয়েছিলাম।
প্রিয় টেক: বাংলাদেশ থেকে ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কাজ করার সম্ভাবনা কেমন?
মো. আলী আজগর: এ পেশায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো আজ বাংলাদেশকে তাদের পছন্দের তালিকায় স্থান দিচ্ছে। এটা একটা বড় অর্জন। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এই অর্জনটাকে ধরে রাখতে পারলে এবং বাস্তবে পরিপূর্ণভাবে রূপ দিতে পারলে বাংলাদেশে আর কোন বেকার সমস্যা থাকবে না। তবে এক্ষেত্রে সরকারের সহায়তা জরুরী। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নিশ্চয়তাসহ ইন্টারনেটের মূল্য কমানো এবং কম্পিউটার পণ্যের সহজলভ্যতা, পেপ্যাল চালু করা ইত্যাদি। আমি চাই আগামী প্রজন্ম এই পেশায় আরও সম্পৃক্ত হবে। বাংলাদেশের আর্থিক উন্নয়নে ফ্রিল্যান্সিং হবে প্রধান হাতিয়ার - এটা আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি।
প্রিয় টেক: বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তির মন্দ দিক কোন গুলো ?
মো. আলী আজগর: প্রধান অন্তরায় লোডশেডিং এবং ইন্টারনেট লাইনের দূর্বলতা। এদেশে নেটের বিল অনেক বেশি, সেবার মান খুবই বাজে। পেপ্যাল না আসা। আজও এ দেশে তেমন ভাল কোন ফ্রিল্যান্সিং সংগঠন গড়ে ওঠেনি।
প্রিয় টেক: আপনার কাছে দেশের তথ্য প্রযুক্তির ভালো দিকগুলো কি কি?
মো. আলী আজগর: কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান ফ্রিল্যান্সিং সেমিনার আয়োজন করে এই পেশাকে সবার দোরগোড়ায় নিয়ে গেছে। এটা একটা ভাল দিক। আবার কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান ফ্রিল্যান্সিং -এর বিভিন্ন কোর্স করাচ্ছে। এটাও ভাল দিক। তবে আমাদের সবাইকেই সতর্ক থাকতে হবে প্রশিক্ষণ যেন প্রহসনে পরিণত না হয়। তাই ভাল প্রতিষ্ঠান থেকেই প্রশিক্ষণের ব্যাপারে সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। প্রশিক্ষণের ব্যাপারে সরকারি নীতিমালাও তৈরি করা উচিৎ বলে মনে করি।

প্রিয় টেক: প্রথম প্রথম ইন্টারনেট কি কাজে ব্যবহার করতেন আর এখন ইন্টারনেটে কি নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকেন?
মো. আলী আজগর: প্রথম প্রথম ইন্টারনেটে শুধু গান, মুভি ডাইনলোড করাতেই ব্যস্ত থাকতাম। আর এখন কাজ নিয়ে। মাঝে মাঝে ঘুমাবারও সময় পাইনা।
প্রিয় টেক: তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির জন্য সরকারের কি কি করা উচিত ?
মো. আলী আজগর: নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা করা। আরও দ্রুতগতির ইন্টারনেট সহজলভ্য মূল্যে সরবরাহ করা। স্কুল-কলেজে বিনামূল্যে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সেবা সরবরাহ করা। এমনকি তাদের পাঠ্যপুস্তকে ফ্রিল্যান্সিং অধ্যায় সংযোজন করা। পেপ্যাল দ্রুত চালু করা।
প্রিয় টেক: ইন্টারনেটেই যেহেতু আয় তো বাংলাদেশের ইন্টারনেট সার্ভিস নিয়ে কি আপনি সন্তুষ্ট?
মো. আলী আজগর: মন্দের ভাল। প্রতিদিন কাজ করতে গিয়ে ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ বার ইন্টারনেট সমস্যায় ভুগি। কিছুই করার নেই।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য সবচেয়ে কোন প্রতিবন্ধকতায় বেশি পড়েছেন?
মো. আলী আজগর: ফ্রিল্যান্সিং কথাটা যতটা সহজ মনে হয়, আসলে ততটা নয়। বলা যায় চ্যালেঞ্জিং জব। প্রতিনিয়ত কোন না কোন প্রতিবন্ধকতা আসেই। আর সেগুলোকে মোকাবেলা করে এগিয়ে যাবার মধ্যে আনন্দও আছে। একবার আমার ফ্রিল্যান্সার আইডি হ্যাক হয়ে গিয়েছিল। ১০০০ ডলার ছিল। সেটাও চুরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ফ্রিল্যান্সার.কম-এর সহযোগিতায় সবই আবার ফিরে পেয়েছিলাম।
প্রিয় টেক: বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের সবচেয়ে বড় সমস্যা কোনটি বলে মনে করেন?
মো. আলী আজগর: অধৈর্য্যতা। সবাই রাতারাতি বড়লোক হতে চায়। তাই সাইনআপ করার পর কয়েকদিন বিড করে না পেয়ে হারিয়ে যায়।
প্রিয় টেক: ভবিষ্যতে কি ফ্রিল্যান্সিংকেই ক্যারিয়ার হিসাবে নিতে চান নাকি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাজ করতে চান?
মো. আলী আজগর: ফ্রিল্যান্সার হিসাবে যথেষ্ট পেয়েছি, আমি পরিপূর্ণভাবে সন্তুষ্ট। আমার প্রতিষ্ঠানের নাম “অনলাইন আর্নিং ম্যাজিক”। চিন্তাভাবনা করছি একে আরও বড় প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবার। প্রক্রিয়া চলছে।

প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কাজ করতে সরকারের কাছে কি কোনো চাওয়া আছে?
মো. আলী আজগর: প্রথম চাওয়া পেপ্যাল। দ্বিতীয় চাওয়া দ্রুত গতির অথবা বেশিদামির ইন্টারনেট হোক, সেটা আমার বড় চাওয়া নয়, আমার বড় চাওয়া যে ইন্টারনেট পাচ্ছি তা যেন স্ট্যাবল থাকে সেটা নিশ্চিত করা। কাজ করতে গিয়ে যেন প্রতিদিন হাজারবার নেট ফল্ট না করে। যা খুবই বিরক্তিকর এবং কাজের গতি মারাত্মকভাবে হ্রাস করে। আর, আবারও বলছি - নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ চাই।
প্রিয় টেক: বায়াররা বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের কেমন মূল্যায়ন করে বলে মনে করেন?
মো. আলী আজগর: বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা বিদেশি বায়ারদের কাছে খুবই মূল্যায়িত। এর অন্যতম এবং প্রধান কারণ - এদেশের শ্রম সবচেয়ে সস্তা। আর এটাও পাশাপাশি স্বীকার করতেই হবে - বাংলাদেশের সবাই টাইগার। তাদের সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে কাজ করার যোগ্যতা আজ বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদেরকে নিয়ে ভাবতে বিদেশি প্রতিষ্ঠান ও বায়ারদেরকে বাধ্য করছে। এটা বাংলাদেশের বড় প্রাপ্তি।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং এ ভালো পারফরমেন্স করার জন্য কি কি যোগ্যতা থাকা উচিত?
মো. আলী আজগর: ভাল যোগাযোগ গুণাবলী। ইংরেজিতে দক্ষ। কাজের মূল্যায়ন করা ও মান ঠিক রাখা। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ ডেলিভারি দেয়া।
প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং এ যারা নতুন তাদের জন্য কি পরামর্শ দিবেন?
মো. আলী আজগর: নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে গেলে সফলতা আসবেই। ফ্রিল্যান্সিং-এ অজস্র রকমের কাজ আছে। যে কোন একটা স্কিলে দক্ষতা অর্জন করে এগিয়ে গেলে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে অবশ্যই যাওয়া সম্ভব। বিশেষ পরামর্শ - একসাথে সব স্কিলে কাজ করতে গেলে শেষ পর্যন্ত কোনটাই হবে না। তাই সাবধানতা অবলম্বন করা কাম্য।
Tag : ,

যেভাবে google অ্যাডসেন্স থেকে প্রতিমাসে হাজার ডলার আয় করছি!

মাত্র বছর খানেক কাজ করেই আজ আমি প্রতি মাসে ১০০০ ডলারের মত আয় করছি। আর এই ছোট্ট সফলতাটুকু কিভাবে এল তা নিয়ে বিস্তারিত জানাতেই আজকের এই পোস্ট। তো, চলুন পিছনে ফিরে যাই।

যেভাবে আমার ইন্টারনেট জগতে আগমন?

২০০৯ এর শেষের দিকে আমি যখন U@C কোচিং সেন্টারে একজন কম্পিউটার অপারেটর হিসাবে কাজ করি, তখনই প্রথম ইন্টারনেট এর সাথে আমার পরিচয়। আর তখন থেকেই আমি ইন্টারনেট সম্পর্কে জানি। এর কিছুদিন পর আমি একটা ফেসবুক এ্যাকাউন্ট খুলি। এটাই ছিল আমার প্রথম কাজ ইন্টারনেটে। তবে এটুকুতেই সীমাবদ্ধ ছিলাম অনেকদিন। একদিনের ঘটনাঃ AIUB এর এক বড় ভাই আমার কম্পিউটারে একটা ভাইরাস ঢুকিয়ে দিল। আমি যখন এ কম্পিউটার অন করি, ১০/১৫ সেকেন্ড পড়ে আবার বন্ধ হয়ে যায়। মাথায় কিচ্ছু ঢুকছে না। কেন এমন হচ্ছে? কি ধরতে পেরেছেন? হ্যাঁ, তিনি আমার কম্পিউটারে একটা অটরান ভাইরাস স্টার্টআপে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। পড়ে অবশ্য উনিই সেটা ঠিক করে দেন। তো, আমি উনাকে বললাম, এইটা কিভাবে করলেন? তিনি আমাকে বললেন, টেকটিউনস নামে একটা ব্লগ আছে সেখান থেকে শিখেছি। আমি উনার কাছে লিঙ্ক চাইলাম। উনি আমাকে লিঙ্ক দিলেন। বুঝতেই পারিনি মুরসালিন ভাই (AIUB এর ওই ভাইয়ের নাম ছিল মুরসালিন) আমাকে আসলে ব্লগের লিঙ্ক নয়, আমার লাইফের মোড় ঘুরানোর লিঙ্ক দিয়েছেন। তো সারাদিন টেকটিউন্সে পড়ে থাকতাম। রাত জেগে জেগে লেখা পড়তাম। হঠাত একদিন চোখে পড়ল ডেভসটিম লিমিটেড এর কো ফাউন্ডার “তাহের চৌধুরী সুমন” ভাইয়ের ব্লগিং শুরু করা নিয়ে একটি লেখা। লেখাটা পড়ে আমার এতটাই ভালো লাগলো যে আমি সেদিনই উনার সমস্ত লেখাগুলো খুঁজা শুরু করলাম। পেয়েও গেলাম এ্যাডসেন্স নিয়ে উনার লেখাগুলো। ব্যস, আর যায় কোথায়?? সারাদিন এগুলো পড়ি আর স্বপ্ন দেখি আমিও একদিন এ্যাডসেন্স থেকে ইনকাম করব। কিন্তু কিভাবে শুরু করব এটাই বুঝে উঠতে পারছিলাম না। কথায় আছে, “ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। ঘাটতে ঘাটতে সুমন ভাইয়ের ফেসবুক আইডি পেয়ে গেলাম। দিলাম ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট!!! এরপর?????

বিষয় নির্বাচন নিয়ে মহা বিপদঃ

সুমন ভাই আমার ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট এক্সেপ্ট করলেন। তার কাছে জিজ্ঞেস করলাম ভাইয়া আমি তো ব্লগিং সিখতে চাই। আমি কিভাবে শুরু করবো?? সুমন ভাই আমাকে বললেন যে তুমি কি কি জান? আমার সোজাসাপ্টা উত্তরঃ আমি কিছুই জানি না। সুমন ভাই তখন বললো যে ব্লগিং কাজ করতে গেলে আমাকে জানতে হবে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কিংবা যে কোন সিএমএস সাইট ডিজাইনের জন্য, জানতে হবে লেখা লেখি এর সাইটটাকে প্রোমট করার বিষয় গুলোও জানতে হবে। উনি আমাকে বেশ কয়েকটা সাইটের লিঙ্কও দিয়ে দিলেন। এরপর শুরু করলাম ওয়েব ডেভেলপিং শিখা। যখন মুটামুটি শিখলাম, তখন সুমন ভাইকে নক করলাম উনি সাজেস্ট করলেন আমার জানাশুনা আছে এমন বিষয় নিয়ে লিখা লিখি করতে। এবার আরেকটা টেনশন এ পরলাম। একাউন্ট তো খুললাম, কিন্তু কি বিষয়ে আমি ব্লগিং করবো কারন আমার জানাশুনার বিষয় গুলো খুব কম? এবার বিষয় খুঁজে পাচ্ছিনা। মহা টেনশন! অবশেষে আবার আরেক ত্রাণকর্তার খোঁজ পেলাম? এবার কে জানেন? জিন্নাতুল হাসান ভাইয়ের বাংলা ব্লগটি। সেখানে নাম মনে নেই এক লেখকের টিউনে জানতে পারলাম যে, আপনি যেই বিষয়টি খুব ভালো জানেন, সেই বিষয় টি নিয়ে ব্লগিং শুরু করেন, ঠিক সেই সুমন ভাইয়ার মতই উত্তর। এবার আবার চিন্তা শুরু হলঃ আমি কোন বিষয়টা ভালো জানি? (আমার কাছে মনে হয় কিছুই জানিনা আবার মনে হয় আমি দুনিয়ার সব ই জানি। হা…হা…হা…) আমি তখন প্রচুর বই পরতাম। আচমকা মাথায় আইডিয়া এল যে, আমি যদি ই-বুক নিয়ে সাইট করে কেমন হয়? যেই ভাবা সেই কাজ। শুরু করলাম ই-বুক নিয়ে কাজ। অবশেষে একটা সাইট দাড়করালাম ই-বুক নিয়ে। কিন্তু সাইটে তো বই আছে ঠিকই, ভিজিটর কই? আবার সমস্যা?

সাইটে ভিজিটর নেই, এখন উপায়?

কদিন বাদেই সুমন ভাইকে আবারো মেসেজ দিলাম। ভাইয়া, আমি তো সাইট করছি কিন্তু ইনকাম কই??? সুমন ভাই এবার আমাকে বুঝিয়ে বললেন যে, সাইটে ইনকাম করতে হলে আমার প্রথমেই দরকার প্রচুর পরিমানে ভিজিটর। আমার সাইটে জত বেশি ভিজিটর আসবে ততদ্রুত আমার ইঙ্কামের রাস্তা খুলবে। আর যায় কোথায়, শুরু করলাম ফেসবুকে যেখানে সেখানে কমেন্ট করা। যার তার সাইটে স্প্যামিং করা। কিন্তু ভিজিটর আসতেছেই না। যদিও আসে, কিন্তু তারা থাকে না। এখন উপায়? ইতিমধ্যে আমি এ্যাডসেন্স এ এ্যাপ্লাইও করে ফেলেছি। ফলাফলঃ পাইনি।

নতুন সমস্যায় পড়লামঃ

হ্যাঁ, একেতো সাইটে ভিজিটর নেই এই চিন্তায় আমি অস্থির। কিন্তু, হঠাত করেই সুমন ভাই বললো তুমি এইভাবে করলে হবে না। যদি ব্লগিং কে পেশা হিসেবে নিতে চাও, তবে Domain Hosting কিনে শুরু কর। এদিকে আমার বিশ্বাসে আস্তে আস্তে চির ধরতে শুরু করছে যে হয়তো আমার পক্ষে এইসব সম্ভব না। কিন্তু সুমন ভাইয়ের কথা গুলো বিশ্বাস করতাম। আর আজও করি। তো তার কথা মত ডোমেইন হোস্টিং কিনেই শুরু করলাম। আমি ততদিনে জুমলা শিখে গেছি। প্রথম সাইটটা বানালাম জুমলা দিয়ে। কিন্তু সমস্যাটা রয়েই গেল। সাইটে ভিজিটর নেই। আগেই জেনে গেছি যে, সাইটে ট্র্যাফিক না থাকলে টাকাও নেই!! সুতরাং, সাইটের ভিজিটর বাড়ানো আমার জন্যে অপরিহার্য হয়ে দাঁড়ালো। (যদি ইনকাম করতে চাই)

শুরু হল এসইও শিখাঃ

সাইটে ভিজিটর নেই কেন? কি করে সাইটে ভিজিটর বাড়াবো এই সব নিয়ে যখন খুব চিন্তায় আছি। তখনই পাশে এসে দাঁড়ালেন সুমন ভাই। জানালেন এসইও কথা। কিওয়ার্ড রিসার্স, অনপেজ অপটিমাইজেশন এবং অফপেজ অপটিমাইজেশন আরও কত্ত কি। তাঁর লিখা গুলো এবং নেটেও এসইও নিয়ে পড়াশুনা করতে বললেন তার কথা মত শুরু করলাম এসইও শেখা। পাশিপাশি সাইটের এসইও’র কাজও। মাত্র ১০/১৫ দিনের মধ্যেই আমি দেখলাম আমার সাইটে উল্লেখ পরিমাণ ভিজিটর আসা শুরু করেছে। মুখের হাসিটাও আস্তে আস্তে ফুটতে শুরু করছে। কিন্তু ইনকাম কই????
দেখতে দেখতে প্রায় ৭/৮ মাস পার হয়ে গেছে। আমার সাইটে এখন অনেক ভিজিটর (দৈনিক ১০০০ পেজভিউ!!!) আসে। সুমন ভাই বললো এবার এ্যাডসেন্স এ এপ্লাই কর। আমি করলাম। কিন্তু পেলাম না। সুমন ভাইকে জানালাম। তিনি সাইট দেখে বললো, সাইটের ডিজাইন চেঞ্জ কর আর বাংলা লেখা গুলো রিমুভ কর। উনার কথামত সব ঠিকঠাক করে আবার এ্যাডসেন্স এ্যাকাউন্ট করার নিয়ম অনুযায়ী গুগল এ রিকুয়েস্ট করলাম। ৪ দিন পর রিপ্লে এল, আমার এ্যাকাউন্ট এক্টিভ হয়নি। কারণ, Unacceptable content. আবার সুমন ভাইয়ের সরানাপন্ন হলাম। তিনি বললেন, আমি এ্যাডসেন্স এর নীতিমালা পড়েছি কিনা?? আমি বললাম না। তখন সুমন ভাই আমাকে বললেন যে আপনি আমার আগের পোস্ট গুলা আবার পরেন। সেখানে সুমন ভাইয়ের কিছু লেখা দেখে বুঝতে পারলাম আমার সাইটে আরও ভালো মানের কন্টেন্ট লাগবে, ভিসিটর আরও বেশি লাগবে, আরও বেশি পেজভিউ লাগবে। ঠিক আছে। আশা ছারলাম না। আবারও শুরু করলাম। (ঘুরে ফিরে আবার SEO তে যাওয়া লাগলো)।

এ্যাডসেন্স নামক সোনার হরিণটা পেয়েই গেলামঃ

দেখতে দেখতে এক বছর পার হয়ে গেলো। আমার ভিসিটর ও বাড়া শুরু হল। আমিও টিটি থেকে ওয়েব ডিজাইনিং শিখে নিয়েছি। জুমলার উপর মোটামুটি হাফেজ হয়ে গেলাম। এইবার নিজের মানসিকতার ও পরিবর্তন করলাম। সিদ্ধান্ত নিলাম, টাকা ইনকাম করতে পারি আর না পারি, প্রতিদিনই আমি আমার সাইটে নিত্য-নতুন বই আপলোড করবো। (তাই বলে ভাববেন না যে, আমি এ্যাডসেন্সের জন্যে আবেদন করা বন্ধ রেখেছি!!) ঠিক মত পোস্ট করি, ঠিক মত SEO করি, নিয়মিত ভিসিটরদের চাহিদার প্রতি খেয়াল রাখি। আমার তখন দৈনিক সাইট ভিসিট হয় ১২০০ বারের উপর। এ্যাডসেন্স পাই আর না পাই, নিজেকে সার্থক মনে হতে লাগলো। কে জানতে এরই মধ্যে আমি আরও এক জায়গায় সফল হয়ে যাচ্ছি!!!!!!!!!!!!!!
হ্যাঁ, আমি এ্যাডসেন্স এ্যাকাউন্ট পেয়ে গেছি। এবার আমাকে কে ঠ্যাকায়?

এক্যাউন্ট তো পেয়েছি, কোড বসাবো কোথায়?

হ্যাঁ, আমি এখন মোটামুটি সফল একাউন্ট পেয়ে গেছি। কিন্তু, সমস্যা হচ্ছে কোথায় কোথায় এ্যাডের কোড বসাবো? এবার আবার ত্রাণকর্তা তাহের চৌধুরী সুমন ভাই উনি আমাকে মাসুদুর রশিদ ভাইয়ের লেখার লিংক দিলেন । তার একটা টিউন থেকে জানতে পারলাম কোথায় এ্যাড কোড বসাতে হবে? কিভাবে বসাতে হবে? একটা পেজ এ সর্বোচ্চ কয়টা লিঙ্ক এ্যাড বসাতে পারব, কয়টা টেক্সট/ইমেজ/ব্যানার এ্যাড বসাতে পারব? এইসব। তার টিউন মত সব বসালাম। এবার অপেক্ষা টাকা আর টাকা ইনকামের। হায়রে, টাকা আর টাকা। টাকা আর টাকা। টাকা আর টাকা। টাকা আর টাকা। (আমি কি তখন যানতাম, রাস্তা আরও অনেক দূর?!) এরই মধ্যে তাহের ভাইয়ের সেই বিখ্যাত টিউনের লিঙ্ক আমাকে পাঠিয়ে দিলেন “গুগল এডসেন্স ধারীরা সাবধান হোন : এডসেন্স ব্যান এড়াতে টিউনটিতে বিশেষ দৃষ্টি দিন”বলেন তো দেখি, এ্যাডসেন্স পাওয়ার সাথে সাথে যদি কেউ এমন হুমকি দেয় মেজাজ টা কেমন লাগে????? (ভাগ্য ভালো, সেদিন উনি লিঙ্কটা দিয়েছিলেন। নয়তো কবেই আমার একাউন্ট পটল তুলত)

মাস শেষ হয়ে গেলো, ইনকাম মাত্র ১৬ সেন্ট????

একমাস হয়ে গেলো। আমার ইনকাম হল মাত্র ১৬ সেন্ট? ক্লিক ও পড়ে কম। অথচ ভিসিট হয় ১২০০+. বিশ্বাস করা যায়? (পরের মাসের ইনকাম শুনলে লাফ দিবেন) এতদিনে আমি মাসুদুর রশিদ ভাইকে চিনে ফেলেছি। তাই, তার সরনাপন্ন হলাম। তিনি আমাকে বললেন যে, আপনি যে SEO করার সময় যেই সব Keyword ব্যবহার করছেন, সেগুলোর ক্লিকের দাম কম, তাই আপনার ইনকাম ও কম। এবার আবার শুরু হল কি-ওয়ারড রিসার্চ। অবশেষে ১ মাস পর আমার এক্যাউন্ট এ দেখি ১১৩ ডলার ৮০ সেন্ট! হয়তো, অনেক কম টাকা কিন্তু একাউন্ট পাওয়ার ২ মাস পর ১১৩ ডলার আমার মত ছেলের জন্যে অনেক ছিল। অবশেষে গুগল আমার চেক ইস্যু করল। পাঠিয়ে দিল আমার আড়াই বছরের কষ্টার্জিত ১১৩ ডলার ৮০ সেন্ট!!!!

সময় এবার অপেক্ষার! কখন আসবে সেই চেক???

চেক আর আসেনা। সময় ও যেন কাটেনা। (কেন জানিনা এই সময়টায় আমি “সময় যেন কাটেনা” গানটা একটু বেশি শুনেছি) তাহের ভাইকে ফোন দেই আর বলি ভাই আমার চেক তো এলো না, তাহের ভাই বলে অপেক্ষা করেন, চলে আসেবে। শাকিল আরেফীন ভাইকেও ফোন দেই আর বলি ভাই আমার চেক তো এলো না, তাহের ভাই বলে অপেক্ষা করেন, চলে আসেবে। একই ভাবে ফোন দেই, Sowrdfish মাহবুব ভাইকেও। সবাই বলে অপেক্ষা করেন, চলে আসবে। আমিও তখন মনকে বুঝাই, অপেক্ষা কর, চলে আসবে!!!!!!!!!

অবশেষে এল স্বপ্নের সেই এ্যাডসেন্স চেক !!!!!!!!!!!!!!!!

২৭ দিন পর অফিসে এসে ডাকপিয়ন আমাকে গুগল এর চেক দিয়ে যায়। মনটা যে কি খুসি লাগছিল বুঝাতে পারবনা। ঠিক এখন আপনাদের কাছে যেমন লাগছে, আমার কাছে তার চেয়ে বেশি লেগেছি। আড়াই বছর চাষ করার পর আজ প্রথম আমি ফসল পেলাম। সাথে সাথে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলাম। টিটিকে জানাল, তাহের ভাইকে জানালাম, মাহবুব ভাইকে জানালাম, শাকিল আরেফিন ভাইকে জানালাম, সাব্বির আলাম (আসিফ পাগলা সাব্বির) ভাইকেও জানালাম। টেক্টিউন্স এর সবাইকে জানালাম। অন্য রকম একটা দিন উদযাপন করলাম। আর স্বপ্ন দেখতে লাগলাম প্রতি মাসে একটা করে গুগলের চেকের। (কে জানতে কয়দিন পর আমার উপর দিয়ে একটা ঝড় যাবে???)
adsceque.jpg

চেক ভাঙ্গাতে গিয়ে মহা বিপদঃ কোন ব্যাংকে ভাঙ্গাবোঃ

চেক ভাঙ্গাতে গিয়ে কি বিপদে পরেছি তা জানতে এখানে যান। অবশেষে যদি ও আমি ইসলামী ব্যাংক থেকেই চেক ভাঙ্গিয়েছি। সময় লেগেছে ২০ দিনের মত, টাকা কেটেছে প্রথম বার ১৬০২ টাকা। তবে পরের বার থেকে নাকি এত কাটবে না। সর্বোচ্চ ৬০০ কাটবে। প্রথম বার দেখে ওদের সিস্টেম এ কিছু ভুল ছিল। (এরপরের চেক ভাঙ্গাতে আমার ৩৬০০/= টাকা কেটে রেখেছিল। যেখানে কাটার কথা ছিল ৬০০ সেখানে কাটছে ৩৬০০ টাকা। পড়ে ব্যাঙ্কের হেডঅফিসে গিয়ে বিস্তারিত জানিয়ে অভিযোগ দেয়ার পর বর্তমানে মাত্র ১১৫/= টাকা কাটে)

“অতি লোভে তাঁতি নস্ট” মরতে মরতে বেঁচে গিয়েছিঃ

তখন আমার দৈনিক ২ ডলারের কাছাকাছি ইনকাম হত। হটাত একদিন মাথায় দুষ্টু বুদ্দি চেপে বসলো। কি জানেন? IP Hide করে নিজের এ্যাড এ নিজে ক্লিক দেয়ার সিধান্ত। যেই ভাবা সেই কাজ। দিলাম আমার আই পি হাইড করে America র আইপি বানিয়ে। আর সাইটে গিয়ে দিলাম ৪ টা ক্লিক! ৩/৪ ঘন্টা পর দেখি আমার একাউন্ট এ জমা পরছে ২২ ডলার। মাথা নস্ট। এখন থেকে দৈনিক আইপি হাইড করে ক্লিক দেবো। হতাত, সন্দেহ হল যে আমার আইপি কি গুগল ধরতে পারবে? দিলাম গুগলে সার্চ “What is my real IP?”. ওমা! আমার তো দেখি আসল আই পি শো করছে!!!!! সাথে সাথে তাহের ভাইকে ফোন, ভাই এখন কি করবো? উনি প্রথমে ছোট ভাইয়ের মত ইচ্ছামত শাসালেন। আর বললেন পেজভিউ কত? বললাম যে ৩০০০ এর বেশি। উনি বললেন, যা করছে তা তো আর ফিরে পাওয়া জাবেনা, তবে জীবনে ও আর এই কাজ করেন না। আমি বললাম আচ্ছা। বিশ্বাস করুন, আমি আর জীবনে ও এই কাজ করিনি আর করবো ও না। শেষে দেখা যাবে, আম যাবে, ছালাও যাবে। তাই, এই সব বাদ ঠিক পথে ইনকাম শুরু করলাম। আর সবাইকে জানাতে লাগলাম যে, আমার সাইটে প্রচুর পরিমাণে বই পাওয়া যায়। এইসব করে ভিসিটর বশড়াতে লাগলাম। (কে জানত যে আমি ঠিক পথে থাকলেও, কিছু মানুষ ইতিমধ্যেই আমার ক্ষতি করা শুরু করছে??????)

লিঙ্ক শেয়ার করে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারলাম!!

সামু তে একদিন গিয়ে দেখি এক জন হুমায়ুন আহমেদ এর বই খুঁজছে। বেচারার প্রতি সদয় হয়ে আমি আমার ওয়েব সাইটের লিঙ্কটা সামুতে শেয়ার করলাম। (নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারলাম) তো, আমি ঘন্টাখানেক পড়ে আমার এ্যাডসেন্স এ্যাকাউন্ট এ গিয়ে দেখি ক্লিক পরেছে ১৩০ টা!!!!!!!!!! ইনকাম হয়েছে ৪৫ ডলার!!!!!! কি? খুব খুসি লাগছে শুনে? না? আমার কপাল ভালো যে, আমি সেইদিন এত ইনকাম দেখে খুসি হতে পারিনি। যদি খুসি হতাম। তাহলে আমার একাউন্ট আর থাকতো না! কিচ্ছু বুঝতে পারছি কি করব? উপায় না সাইটই অফলাইনে নিয়ে গেলাম। এখন আবার চিন্তা সাইট যদি ভিসিট না হয়, তাহলে পেজভিউ বারবে না। পেজ CTR 15 এর উপরে। যেখান ১০ হলেই বিনা নোটিসে একাউন্ট ব্যান হয়, সেখানে ১৫!!!!!!!!!!!! ভাবা ঝায়???? আবার ফোন দিলাম তাহের ভাইকে (যেখানেই বিপদ, সেখানেই তাহের ভাই। আমার বিশ্বাস হয়না এই লোকটা এত হেল্পফুল কিভাবে হতে পারে তাও আবার নিস্বার্থভাবে) তিনি আমাকে বললেন, আপনার এ্যাডের কোডগুলো আপাতত ব্লক করে দেন। তাহলে পেজভিউ বারবে, কিন্তু কোন ক্লিক পরলে গুগল কাউন্ট করবে না। উনার কথামত এ্যাড কোড ব্লক করে দিলাম। কিছুক্ষন পর দেখি আমার পেজ CTR কমা শুরু হইছে। আর সেই ৪৫ ডলার মাইনাস হয়ে Real Income ৩ ডলার দেখাচ্ছে। (শালা কত্ত খারাপ! ৪৫ ডলার যখন দিছিলি, তখন মাইনাস করলি কেন?) অল্পের উপর দিয়ে বেঁচে গেলাম। তবে বিশ্বাস করুন, আমি এখন ভয়ে আছি সেই দিনের ঘটনার জন্যেই না আমার এ্যাকাউন্ট ব্যান হয়ে যায়! আমার জন্যে একটু দোয়া কইরেন।

এখন আমার কি অবস্থা????

আমার বর্তমান অবস্থা জানতে বেশি কিছু লাগবে না শুধু আমার আজকের ইনকামের স্ক্রীনশটটা দেখুনঃ
todays.jpg
Tag : ,

ZOVOXZ INSTITUTE-e নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ফ্রি কনসাল্টেশন !

নতুন ফ্রিল্যান্সারদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও গাইডলাইন দেয়ার জন্য ZOVOXZ INSTITUTE প্রতি শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আয়োজন করছে ফ্রি কনসাল্টেশনের । যারা ফ্রিল্যান্সিং করার কথা ভাবছেন কিন্তু কোথা থেকে শুরু করবেন, কি দিয়ে শুরু করবেন বা কোন বিষয়ে কাজ করবেন এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যান ।
অনেকেই বিভিন্ন গ্রুপ, ব্লগ বা ফোরামে সাহায্য চান কিন্তু অনেকেই সেখান থেকে সমাধান দিলেও বুঝতে পারেন না । তাই তাদের সুবিধার্থে হাতে-কলমে বিষয়গুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেয়ার জন্য ZOVOXZ এর একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস । ইতোমধ্যে কয়েক সপ্তাহে অনেক নতুন ফ্রিল্যান্সার বা ফ্রিল্যান্সার হতে আগ্রহীদের নিয়ে সফলভাবে কন্সালটেশনের আয়োজন করা হয়েছে । যারা ফ্রিল্যান্সিং করছেন তারা যদি কাজ করতে গিয়ে কোথাও সমস্যায় পড়েন তাহলে সরাসরি অফিসে গিয়ে ZOVOXZ TEAM এর সহায়তা নিয়ে সমস্যার সমাধান করতে পারবেন ।
Free-Consultation

কারা যোগ দিতে পারবে ?
  • নতুন ফ্রিল্যান্সার
  • ফ্রিল্যান্সার হতে আগ্রহী যে কেউ
  • প্রোগ্রামিং, ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ইত্যাদি নিয়ে কাজ করতে ইচ্ছুক ব্যাক্তি

কি কি বিষয়ে আলোচনা হবে ?
  • স্কিল ডেভলপমেন্ট
  • ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস
  • ক্যারিয়ার

কিভাবে যোগ দিবেন ?
ফ্রি কনসাল্টেশনে যোগ দিতে চাইলে এই লিঙ্ক থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে ।

অফিসের ঠিকানাঃ
জোভোক্স লিমিটেড
স্যুইট# ০৬, লেভেল# ০৮ (এ. কে কমপ্লেক্স)
১৯, গ্রিন রোড, ঢাকা-১২০৫
হটলাইনঃ ০১৫ ১১ ৯৬ ৮৬ ৯৯
ওয়েবসাইটঃ www.zovoxz.com
Tag : ,

"ওয়ার্ডপ্রেস থীম ডেভলপমেন্ট" শীর্ষক ফ্রী ইবুক প্রকাশ করল ZOVOXZ INSTITUTE

ফ্রীল্যান্সারদের ক্যারিয়ার গঠনে সহায়তার লক্ষ্যে ZOVOXZ INSTITUTE প্রতিমাসে দুটি ক্যারিয়ার সহায়ক ইবুক প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রকাশিত হল "ওয়ার্ডপ্রেস থীম ডেভলপমেন্ট" শীর্ষক প্রথম ইবুক। বইটি সম্পূর্ন বিনামূল্যে বিতরনের জন্য।

বইতে থাকছে -

  • প্রয়োজনীয় টুলস
  • ডেভলপমেন্ট স্ট্যান্ডার্ড
  • ওয়ার্ডপ্রেস থীমের গঠন
  • টেমপ্লেট ফাইল লিস্ট
  • প্রথম থীম তৈরি
  • ডাইনামিক লিঙ্কের ব্যবহার
  • থীম ফাংশন
  • নেভিগেশন মেনু রেজিস্টার
  • উইজেট রেজিস্টার
  • কাস্টম পেজ টেমপ্লেট
  • কুয়েরি-বেজড টেমপ্লেট
  • প্লাগিন এ পি আই হুক্‌স
  • থীম কাস্টমাইজেশন এ পি আই
বইটির সাথে প্র্যাকটিস করার জন্য সোর্স ফাইলও দেওয়া আছে।
লেখকঃ নাজমুল হাসান রূপক
theme book Click-here-to-Free-Download
বিঃদ্রঃ বইটি মিডিয়াফায়ারে আপলোড করা আছে। অনুগ্রহপূর্বক কেউ অন্য কোথাও বইটি আপলোড করে শেয়ার করবেন না। কারন এতে বইটি সঠিক ডাউনলোড এর সংখ্যা আমরা বুঝতে পারব না। শেয়ার করতে হলে নিচের শর্ট লিংকটি শেয়ার করুন।
http://tiny.cc/wpthemedev
ZOVOXZ INSTITUTE এর পক্ষ থেকে প্রতিমাসে দুটি ক্যারিয়ার সহায়ক ইবুক প্রকাশিত হবে । আপনার কপিটি বুঝে পেতে নিচের লিঙ্ক থেকে ফর্মটি পূরন করুন । আমাদের নতুন বই প্রকাশিত হওয়ার পরে আপনার ইমেইলে আপনার কপিটি পৌঁছে দেয়া হবে ।
http://institute.zovoxz.com/subscribe
Tag : ,

সফল ফ্রিল্যান্সার হউন: সাথে বাংলা ভিডিও টিউটোরিয়াল

আসসালামুআলাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজকে লিখতে বসলাম ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে। ইদানিং এইটি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এছাড়া অতিরিক্ত কিছু টাকা আয়ের জন্য অনেক ভালো একটি উপায় হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। কিন্তু এটি নিয়ে এখন ব্যবসা শুরু হয়ে গেছে। চারদিকে নানা রকম কোর্স, নানা রকম ওয়েবসাইট। কি বিশ্বাস করবো, কাকে বিশ্বাস করবো, কোন ওয়েবসাইট বিশ্বাস করব? এই প্রশ্নের জবাব আমি আপনাকে দিয়েই দেওয়াবো! কিভাবে? তাহলে পুরো লেখাটি পড়ুন।
প্রথমে শুরু করি ওয়েবসাইট দিয়ে। আপনি কিভাবে বুঝবেন, আপনি যে ওয়েবসাইটে কাজ করছেন এটি আসল নাকি নকল? এটির জন্য নিচের ছবিটি দেখুন।

কি দেখলেন? একটি ওয়েবসাইটের লিঙ্ক। এটি একটি সনদ বলা যায়। একটি ওয়েবসাইট কতটা আসল বা নকল তা নির্ভর করে এই সনদটির উপর। আমি বলতে চাচ্ছি, যে কোনো টাকা লেনদেনের ওয়েবসাইটে এই সনদটি অবশ্যই থাকবে। আর যদি না থাকে তাহলে বুঝবেন সেই ওয়েবসাইটে কোনো ঝামেলা আছে। তবে এই সনদ ছাড়া যে সব ওয়েবসাইটই নকল তা না, তবে ৯৫% ই নকল। তাই কোনো টাকা লেনদেনের ওয়েবসাইটকে বিশ্বাস করার আগে এই বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে নিন।
জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটের নাম সবারই জানা, তাই সেগুলো নিয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। কিন্তু আপনি কি কাজ করবেন? সেটি সম্পূর্ণ আপনার ভালো লাগা ও দক্ষতার উপর নির্ভর করে। তবে মনে রাখবেন, যদি আপনি একদিনে কোটিপতি হয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে থাকেন। তবে আমি বলবো ফ্রিল্যান্সিং বাদ দেন। তাহলে আপনি কোন কাজটি করতে পারেন? যদি আপনার হাতে খুব বেশি সময় না থাকে তবে এসইও এর কাজ শিখতে পারেন। এটি শিখতে খুব বেশি সময় লাগে না, কিন্তু কাজ করতে অনেক সময় প্রয়োজন। কারণ এসইও এক/দুই ঘন্টার কাজ না। আর ইদানিং বাংলাদেশে অনেকেই এসইও এর কাজ করছে। যার ফলে এই কাজের রেট দিন দিন কমে যাচ্ছে। ইদানিং দেখি ওদেস্ক এর ক্লায়েন্টরা কাজের বর্ণনার মাঝেই লিখে দেয় 0.20/hr ডলার বাকিটা আপনিই বুঝতেই পারছেন। এসইও শিখতে আপনার জন্য বাংলা ভিডিও টিউটোরিয়াল
এছাড়া ওয়েব ডিজাইন ও গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজের রেট তুলনামূলক ভাবে বেশি। এই কাজ গুলো করতে এসইও এর থেকে কম সময় লাগে কিন্তু শিখতে অনেক সময় লাগে ও প্রচুর মাথা খাটাতে হয়। ওয়েব ডিজাইন ও গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপর বাংলা ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখতে চাইলে ফ্রী বাংলা টিউটোরিয়াল তো আছেই। এছাড়া আর্টিকেল লিখেও ভালো টাকা আয় করা সম্ভব, কিন্তু তাতে অবশ্যই ইংরেজীতে ভালো দখল থাকতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং এ সফল হওয়ার কিছু উপায়:

  • এটির জন্য অবশ্যই আপনাকে দক্ষ হতে হবে
  • সুন্দর একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে
  • আপনার একটি সুন্দর ব্লগ বা ওয়েবসাইট থাকা উচিত, যাতে আপনার দক্ষতার পূর্ণ পরিচয় পাওয়া যায়
  • ক্লায়েন্টকে মুগ্ধ করার মত কভার লেটার লেখার যা অবশ্যই কাজের বর্ণনার সাথে মিল থাকতে হবে
  • ক্লায়েন্ট যে কাজটির জন্য জব পোস্ট করেছে, যদি সম্ভব হয় তবে সেই কাজের কিছু স্যাম্পল করে কভার লেটারে যুক্ত করে দিন
  • আপনার স্কাইপি, গুগলটক্, ইয়াহু ম্যাসেঞ্জার, টিম ভিউয়ার সবসময় একটিভ রাখুন
  • সবসময় ক্লায়েন্টের সাথে দ্রুত যোগাযোগের চেষ্টা করুন
  • যে কাজ পারবেন না শুধু শুধু ঐসব কাজে বিড দিবেন না
আর সকল ফ্রিল্যান্সারের কাছে আমার আকুল আবেদন, দয়া করে মনসম্মত রেটে বিড দিবেন। $০.২/hr রেটে কাজ করার থেকে রাস্তার মাঝে ভিক্ষা করেন, অনেক বেশি টাকা পাবেন। আমরা অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং করতে আগ্রহী কিন্তু ঠিক মত প্রোফাইল তৈরি করতে পারি না বা সঠিক নিয়মে তা করি না। যার ফলে আমাদের কাজ পাওয়াটা খুব কষ্টকর হয়ে যায়। এই নিয়ে বাংলা ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখতে পারেন।
সবশেষে বলবো, কষ্ট করুন, দক্ষ হউন, সফলতা আপনার কাছে আসতে বাধ্য। আমার কোনো কথায় কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে মাফ করবেন। সবাইকে ধন্যবাদ।
Tag : ,

ফ্রিল্যান্সারদের ডলার ভাঙ্গিয়েও আয় করা যায়

 একাধারে ওয়েব ডেভেলপার, গ্রাফিক্স ডিজাইনার, ব্লগার, এসইও, আউটসোর্সিং এবং ইন্টারনেট মার্কেটিং নিয়ে কাজ করছি। 2008 সালে এস.এস.সি পরীক্ষা শেষ করে আতাউর রহমান সোহেল নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রথম মাইক্রোসফট অফিস সম্পর্কে শিক্ষা নেওয়ার মাধ্যমে এই জগতে আমার অনুপ্রবেশ। আমার প্রথম ওয়েবডিজাইন মাত্র ১ মাস নিজে নিজে শেখার পরেই করি। এই কাজের পর থেকেই আবার সবার সামনে নিজেকে অন্য পরিচয়ে নিয়ে আসি। শুরু হয় নতুন জীবনের পদচারনা এবং এখনও চলছে।
আমি গতানুগতিক ধারার বাইরে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে থাকি। বাংলাদেশে যারা অনলাইনে আয় করা ডলার ক্যাশ করতে সমস্যায় পরেন তাদের জন্য আমি পেপ্যালসহ অন্য ইন্টারন্যাশনাল কার্ড সাপোর্ট দিয়ে থাকি। নতুন যারা ফ্রিল্যান্সিং এ আসেন তাদের জন্য প্রাথমিক অবস্থায় ডলার ভাঙ্গান একটু ঝামেলা হয়ে যায়। আবার অনেক পুরানা লোকও জরুরী টাকার প্রয়োজনে আমার কাছে ডলার ভাঙ্গাতে আসে। আমি তাদের ডলার ভাঙ্গিয়ে দিয়ে একটা কমিশন রাখি। এর থেকেও আমার আয় হয়। আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম পেবিডিটি।
আমি যখন দেশের বাইরের কাজ যোগাড় করার চিন্তা করি, তখন মাথাতে আসে প্রথম ই-কমার্স ব্যবসা করার। এই পরিকল্পনা থেকে আমি আমার এক অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী বন্ধুর মাধ্যমে সে দেশে ব্যবসা করার লাইন্সেস নেই। একটা ই-কমার্স সাইট বানাই আমার অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী সেই বন্ধুর সাহায্য নিয়ে। তখন এই ব্যবসার জন্য পেপ্যাল, মাস্টারকার্ড, ভিসা কার্ড এর ব্যবস্থা করি। ৫ টা অষ্ট্রেলিয়ান ওয়্যার হাউজের সাথে চুক্তিও শেষ করি। কিন্তু যে ধরনের সেটআপ দরকার সেটার ব্যবস্থা করতে পারছিলাম না। তখন আপাতত সেটার পরিকল্পনা বন্ধ রাখলাম। আবার অন্যদিকে আমার কাছে বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল কার্ড আছে জানার পর অনেকে তাদের বিভিন্ন সার্ভিসের জন্য আমার সাহায্য নেয়া শুরু করল। তখন অনেকের অনুরোধ রাখতে গিয়ে শুরু করি অনলাইন পেমেন্ট সাপোর্ট ব্যবসা। এই প্রজেক্টের নাম দেই পেবিডিটি। সেটা করার পর আমি অনেক কিছু শিখতে পারি। ফ্রিল্যান্সিং জগতের অনেক অলিগলি সম্পর্কে জানতে পারি। কারন যারা অনলাইনে উপার্জন করে তাদের অনেকে ডলার আনার জন্য পেবিডিটি'র সার্ভিস নিয়ে থাকে। এই সার্ভিস দিতে গিয়ে দেখি, অনেকে অনেক জায়গা থেকে ইনকাম করে। অনেক অজানা পদ্ধতিগুলো জানতে পারি। মূলত এই ব্যবসা করতে গিয়েই ফ্রিল্যান্সিংয়ের ব্যাপারে ভাল ভাবে উদ্ধুদ্ধ হই।
আমাদের দেশে অনলাইনে যারা উপার্জন করে তারা সবাই এক জায়গাতেই দৌড়ায়। যখন ডাটা এন্ট্রির হাওয়া ছিল তখন সবাই মিলে এই কাজটাই করেছে। যখন লাইভ স্ট্রিমিংয়ের এফিলিয়েশন শুরু হল সবাই এই জায়গাতে ঝাপিয়ে পড়ল। এখন চলছে ওডেস্কের হাওয়া, সবাই এখন এখানে সাতার কাটছে। কিন্তু অনলাইন ইনকাম মানে শুধু মাত্র ওডেস্ক, এফিলিয়েশন না। আরও অনেক উপায় আছে, যেগুলা আমরা জানিনা। সেগুলা মানুষকে জানানোর জন্য আমার একটা বই ছাপানোর পরিকল্পনা আছে। সেটা বর্তমানে প্রতি মঙ্গলবার দৈনিক আমার দেশ পত্রিকাতে "অনলাইনে ইনকামের ১০০ উপায়" শিরোনামে ছাপা হচ্ছে। এখানে আমি অনলাইনে ইনকামের সত্যিকারের ১০০ টা উপায় নিয়ে ধারাবাহিকভাবে লিখছি। ভবিষ্যতে বই আকারে প্রকাশ করার ইচ্ছা আছে, যদি আল্লাহ সেই সুযোগ দিয়ে থাকেন।
বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং অনেক ভাল অবদান রাখার সম্ভাবনা আছে। আমাদের মত দরিদ্র দেশগুলোতে শ্রমের মূল্য কম দেখে বায়াররা এসব কাজ করিয়ে নিতে আগ্রহবোধ করে। এদেশে বর্তমানে মানুষদের মধ্যে প্রচুর আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে এই ব্যপারে। অনেকে কাজ করার জন্য এগিয়ে আসছে আবার অনেকে ব্যক্তিগতভাবে কিংবা সংগঠিতভাবে অন্যকে দক্ষ করে তৈরির জন্য এগিয়ে এসেছে। এটা অনেক ভাল লক্ষণ। ইতিমধ্যে বায়ারদের কাছে বাংলাদেশের ব্যাপারে ভাল ধারনা তৈরি হয়েছে। তবে আমাদের দেশে বিদ্যুৎ সমস্যা এবং ইন্টারনেট সমস্যাটা সবচেয়ে বেশি। এই দিকগুলোতে সমস্যা দূর করা গেলে ঢাকার বাইরের জেলাগুলো থেকে আরো অনেক লোক প্রস্তুত হবে এই কাজ করার জন্য। আমাদের দেশে তথ্যপ্রযুক্তির যাত্রা খুব বেশিদিনের নয়। তারপর অনেক মানুষের চেষ্টাতে আমরা খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি। অনেক ব্লগ এবং ফেসবুক আপনি দেখে থাকবেন অনেক সফল ব্যক্তি তাদের অনেক ব্যস্ততার মধ্যেও যেকোন ধরনের সাহায্য কেউ চাইলে সহযোগিতা করে। বিভিন্ন ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমেও তারা অনেক দক্ষ লোক তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যেখানে এদেশের সব জায়গাতে এখন কলুষিত হয়ে গেছে, সেখানে আইটি জগতের এই রকম সৎ পরিবেশ আমাকে বড় স্বপ্ন দেখায়। এটা আমাদের তথ্য প্রযুক্তির অনেক ভাল দিক।
আমার এই মুহুর্তে ২টা দাবি সরকারের কাছে। বিদ্যুৎ সমস্যা দূর করতে হবে, ইন্টারনেট সেবা দেশের সবজায়গাতে সহজলভ্য করতে হবে। বাংলাদেশের ইন্টারনেট সার্ভিস আগে থেকে অনেকগুন উন্নত হয়েছে। তবে অনেক ভাল করতে হবে। আমার কাছে মনে হয় সরকারের এই জায়গাতে নিয়ন্ত্রন অনেক কম। যে যার মত ব্যবসা করে যাচ্ছে। সরকারকে এখনই জোরালো কোন পদক্ষেপ নেয়া জরুরী। ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আগ্রহ তৈরির জন্য সরকারকে উদ্যোগ নেয়া উচিত।
আর ফ্রিল্যান্সিং এ যারা ভালো পারফরমেন্স করাতে চান তাদের জন্য বলছি, সবার আগে ইংরেজী জানতে হবে। বায়ারদের সাথে কমিউনিকেশনের জন্য এটা জরুরী। ধৈর্য্য বাড়াতে হবে। কম্পিউটারের যেকোন একটি বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। সাধারনত এসইও, গ্রাফিক্স এবং ওয়েব ডিজাইন জানা লোকদের ফ্রিল্যান্সিং এ ভাল চাহিদা করতে পারে। আগে কিছু শিখার জন্য সময় ব্যয় করতে হবে। এখন যেকোন কিছুর জন্য অনেক ভাল ভাল প্রতিষ্ঠান আছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্লগগুলো থেকেও অনেক কিছু শিখা যায়। তাছাড়া ইউটিউব তো আছেই। আগেই টাকার জন্য কাজ না করে, দক্ষ হওয়ার জন্য কাজ করুন। যখন আপনি দক্ষ হবেন তখন টাকা আপনার পিছনে ছুটবে।
Tag : ,

The Won Blog Of EARN FOR TEICKS. The Blog Created by Bijoy Kumar Biswas. Designed by বিজয়*বিজন*বিজু